প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয় জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আমার এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর লোন প্রকারভেদ। এছাড়াও
এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য
জানতে পারবেন আর এ সকল তথ্য জানার জন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজকে আপনারা আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয়, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর লোন প্রকারভেদ, প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার উপায়
লোন নিতে কি কি কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস প্রয়োজন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর লোনের
সুদের হার কত ইত্যাদি সম্পর্কে। আপনারা এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে এ
সকল বিষয় জানতে পারবেন এজন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে অনেকগুলো ব্যাংক প্রতিষ্ঠান আছে আর এগুলো নানাভাবে
আমাদেরকে সহযোগিতা করে থাকে বিভিন্ন প্রকারের ঋণ প্রদান করে। বর্তমানে বাংলাদেশ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের ঋণ প্রদান করে থাকে বিভিন্ন প্রকারের ঋণ এর
মাধ্যমে তারা প্রথমত বিদেশীদের অর্থাৎ প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করে থাকে তাদের
পরিবারের সদস্যদের আর্থিকভাবে সাহায্য করে থাকে। তাদের দেশে ফেরার পরে অর্থাৎ
প্রবাসীদের দেশে ফেরার পরে কর্মসংস্থানের সুযোগ
করে দেয়া থেকে শুরু করে তাদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করে থাকে
বিভিন্ন ভাবে দিন প্রধান সুবিধা প্রদান করে থাকে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অনলাইনে
আবেদন করা যায় না তবে অনলাইন থেকে আপনারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ফর্ম সংগ্রহ
করে তারপরে সেটা পূরণ করার মাধ্যমে সকল তথ্য দিয়ে জমা দিতে হবে ব্যাংকে। প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংক অভিবাসন ঋণ, পুনর্বাসন ঋণ এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
এছাড়াও বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ প্রদান করে থাকে। তারা
বিভিন্ন মেয়াদে তিন বছর মেয়াদে ঋণ প্রদান করে থাকে। তারা বিনা জামানতে আবার
জামানত সহ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। এ সকল বিষয়ে সকল তথ্য
জানার জন্য এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনারা এ সকল
বিষয়ে জানতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাদেরকে লোনের
জন্য আবেদন করতে হবে। আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের
লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না বা আবেদন করা যায় না। তবে আপনারা অনলাইন থেকে
আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন বা করা যায়। এক্ষেত্রে আপনারা অনলাইন থেকে আবেদন
ফরমটি সংগ্রহ করার মাধ্যমে তারপরে সেটা যথাযথ ভাবে আপনার সঠিক সকল তথ্য দিয়ে
পূরণ করে সেটা সরাসরি
নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর শাখায় উপস্থিত থাকার মাধ্যমে জমা দিয়ে আপনি
আপনার আবেদন কার্যক্রমটি সম্পন্ন করতে পারেন। আপনারা যদি সঠিকভাবে অনলাইনে আবেদন
করতে পারেন তাহলে আপনাদেরকে বারবার ব্যাংকে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদনের বিশেষ কোনো পদ্ধতি নেই তবে আপনারা এই
কাজটি খুব সহজে সম্পন্ন করতে পারবেন বা করা যায়। আপনারা ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে
সেখান থেকে বা ওয়েবসাইটে থেকেও
এই ফর্ম সংগ্রহ করতে পারেন। এবং আপনারা সেই সাথে এই ফর্মটি আপনাদের সকল ধরনের
ইনফরমেশন করতে পারেন। আর এজন্য আপনারা একটি কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে আপনারা এই
রকম ফরম ফিলাপের কাজ করতে পারেন বা সাহায্য করতে পারে কম্পিউটার দোকানে যারা কাজ
করে থাকে তারা। আপনারা দোকানে গিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে পারেন আপনাদের সকল
প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন বা তথ্য দিয়ে এবং তারপরে আপনাকে সেটা জমা দিতে হবে।
আপনাদের বৈধ পাসপোর্ট এর ফটোকপি এবং বৈধ ভিসার
ফটোকপি সেই সাথে আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দিতে হবে। এ সকল তথ্য বা
ডকুমেন্টস ছাড়াও ব্যাংক আপনাদের কাছ থেকে আরো কিছু ডকুমেন্ট চাইবে আর সেগুলো
হচ্ছে আপনাদের ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, আপনাদের আয়ের প্রমাণপত্র এছাড়াও আপনাদের
আগে কোন ব্যাংকের লোন পরিশোধ হয়েছে কিনা সে সকল বিষয়ে আপনার ট্যাক্স এর
সার্টিফিকেট ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও ব্যাংক যদি আপনাদের কাছে আরো কোন কপি চাই তবে
সেক্ষেত্রে সেগুলো আপনাকে প্রদান করতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর লোনের সুদের হার
উপরের আলোচনা থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয় এবং প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম বা উপায় এবং অনলাইন আবেদন ইত্যাদি সম্পর্কে
জানতে পেরেছেন এবার আপনারা জানতে পারবেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোনের সুদের হার
সম্পর্কে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তাদের লোনের জন্য বিভিন্ন রকম সুদের হার এবং
সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকগুলো তাদের অর্থাৎ
প্রবাসীদের সুবিধার জন্য সর্বনিম্ন সুদের হার নির্ধারণ করেছেন নিচে সে বিষয়ে
আলোচনা করা হলো
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তাদের অভিবাসন লোনের জন্য সুদের হার নির্ধারণ করেছেন সর্বোচ্চ ৯% এবং লোনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন দুই বছর।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক পুনর্বাসন লোনের জন্য সুদের হার নির্ধারণ করেছেন সর্বোচ্চ ৯% ও সময়সীমা ১০ বছর।
- প্রবাসী বৃহৎ পরিবার লোন এর জন্য সুদের হার নির্ধারণ করেছেন ৯ পার্সেন্ট ও লোনের সময়সীমা ১০ বছর।
- এগুলো ছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের জন্য সুদের হার নির্ধারণ করেছে চার পার্সেন্ট ও লোনের সময়সীমা হচ্ছে পাঁচ বছর।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয় জানুন
বাংলাদেশে আজও অসংখ্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠান আর এ সকল ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আর এই ব্যাংক এখন অন্যতম ব্যাংক। কারণ প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক তাদের ভিন্ন ধর্মী প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের
মনে জায়গা করে নিয়েছে। মূলত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের কে নিয়ে কাজ
করে। বাংলাদেশের অনেক অবহেলিত রেমিটেন্স যোদ্ধাদেরকে সঠিক মূল্যায়ন ফিরিয়ে দিতে
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তাদের নানা কার্যক্রম চালু রেখেছে এখনও। অন্যান্য
যে সকল ব্যাংক প্রতিষ্ঠান আছে তাদের তুলনায় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদেরকে
ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করে থাকে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন
ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। এই ব্যাংক বিদেশ ফেরত সকল প্রবাসীদের দেশে
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে এবং এ কাজ করা থেকে তারা সকল প্রকার
সুযোগ-সুবিধা তাদেরকে প্রদান করে থাকে। এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের
পরিবারের সদস্যদের ও বিভিন্ন মেয়াদে অনেক টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে তাদেরকে
সহযোগিতা
করে থাকে। আপনারা আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয় এ সম্পর্কে। বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিনা
জামানতে আর জামানত সহ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে থাকে। ঋণ প্রদান করার
ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অভিবাসন প্রকল্পের আওতায় তিন বছর মেয়াদে
সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত তারা ঋণ প্রদান করে থাকে। আর পুনর্বাসন ঋণ প্রকল্পের
আওতায় তারা ১০ বছর মেয়াদে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত তারা ঋণ সুবিধা
প্রদান
করে থাকে। এই প্রকল্প গুলোর আওতা গুলো ছাড়াও তারা বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার
ঋণ প্রকল্প এর আওতায় এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসী ব্যক্তির পরিবারের
সদস্যদেরকে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ও জামানত সহ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
১০ বছর মেয়াদে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। ২০২০
সালে করনা মহামারের পর বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ সুবিধা চালু করা হয় আর এই প্রকল্পের
আওতায় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিহীন সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা তিন বছর মেয়াদে
আর জামানত সহ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়। আশা করি আপনারা এ
আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা
পর্যন্ত ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে এ বিষয়ে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার উপায়
এবার আপনারা আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে
লোন নেওয়ার উপায় বা নিয়ম সম্পর্কে। আপনারা যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন
নিতে চান তাহলে আপনাদেরকে অবশ্যই এই ব্যাংকের যে সকল নিয়ম আছে সেগুলো পালন করতে
হবে। আর সে সকল বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হলো
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসাঃ আপনাকে অবশ্যই ব্যাংক লোনের জন্য আপনার
যত ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অথবা ডকুমেন্ট দেওয়ার কথা বলা হবে সেগুলো সবই
আপনাকে জমা দিতে হবে। আর এ সকল কাগজপত্রগুলো আপনি কিভাবে জমা দিবেন এর জন্য
আপনারা ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করতে পারেন বা আপনাদেরকে ব্যাংকের শাখায় গিয়ে
যোগাযোগ করতে হবে। দরকার হলে আপনার ডকুমেন্টস এবং আপনার জামিনদারের ডকুমেন্টস
গুলো ব্যাংকে প্রদান করতে হবে।
একাউন্ট খুলতে হবেঃ ঋণ নেওয়ার জন্য আপনাকে প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
আপনার এলাকায় যদি নিকটস্থ কোনো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা থাকে তাহলে সেখানে
গিয়ে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলে আসবেন। কারণ হচ্ছে লোনের টাকা আপনার হাতে সরাসরি
দেওয়া হবে না বরং ব্যাংকের একাউন্টে জমা দেওয়া হবে আর পরবর্তীতে আপনি আপনার সেই
ব্যাংক একাউন্ট থেকে আপনি টাকা তুলতে পারবেন।
আবেদন ফরম পূরণঃ আপনাকে এই মুহূর্তে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সেই ফর্মে
যা যা ইনফরমেশন বা তথ্য চাইবে আপনাকে সে সকল তথ্য দিয়ে বা তথ্যগুলো উল্লেখ করার
মাধ্যমে ফর্মটি পূরণ করতে হবে। আবার আপনারা প্রয়োজন হলে অনলাইন থেকেও আবেদন ফরম
এর কপি নামিয়ে সেটা আপনারা পূরণ করতে পারেন।
আবেদন পত্র জমাঃ আবেদন ফরমটি পূরণ করার পরে আপনাকে আবেদন পত্রটি জমা দিতে
হবে। এবং সেই সাথে আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র বা ডকুমেন্টসগুলো অবশ্যই থাকতে
হবে। আর আপনার এই আবেদন পত্রটি আপনার নিকটস্থ ব্যাংকের শাখা রয়েছে সেখানে আপনি
জমা দিয়ে আসবেন।
ঋণ মঞ্জুরঃ আপনাকে অবশ্যই ব্যাংকের ম্যানেজার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা
আপনার আবেদন পত্র এবং সেই সাথে সকল তথ্যের ভিত্তিতে আপনাকে ঋণ দিবে কি দিবে না সে
ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করবেন এবং যাচাই-বাছাই করার পরে যদি আপনার কোন সমস্যা না
থাকে তাহলে আপনাকে ঋণ দেওয়া হবে। আর যদি কোন সমস্যা বা ভুল থাকে তাহলে আপনার ঋণ
পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর লোন প্রকারভেদ
আমাদের বাংলাদেশ অসংখ্য ব্যাংক আছে আর তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক। এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের জন্যই মূলত কাজ করে থাকে।
প্রবাসীদেরকে সহযোগিতা করা এবং তাদের পরিবারকে সহযোগিতা করা জামানত সহ এবং বিনা
জামানতে বিভিন্ন মেয়াদের ঋণ প্রদান করে থাকে এভাবে প্রবাসী পরিবারদেরকে সাহায্য
করে থাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। প্রবাসীদেরকে দেশে ফেরার পরে বিভিন্ন
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি দেওয়ার সুবিধার প্রদান করে থাকে এই প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক। অর্থাৎ প্রবাসী ব্যাংক তাদের ভিন্ন
ধর্মে প্রকল্প গুলো বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের মানুষগুলোর কাছে জায়গা করে
নিয়েছে এভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নানা কার্যক্রম চালু রেখেছে এবং
প্রবাসীদেরকে এবং প্রবাসী পরিবার গুলোকে সাহায্য করে থাকছে। এছাড়াও যদি কোন
ব্যক্তি বৈধ ভিসার মাধ্যমে প্রবাসী হিসেবে বিদেশ যায় আর বিদেশ থেকে ফিরে এসে নিজ
এলাকায় যদি কোন কর্মসংস্থান তৈরি করতে চায় তাহলে তাদেরকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
বিনা জামাতে ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কর্তৃক
বিভিন্ন বা অনেক ক্যাটাগরির ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয় আর সেগুলোর নিচে আলোচনা করা
হলো
অভিবাসন ঋণঃ প্রবাসীদের সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
অভিবাসন ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। যে সকল ব্যক্তিরা বৈধ উপায়ে বিদেশ যাওয়ার
জন্য পরিকল্পনা মাফিক বৈধভাবে ভিসা ও পাসপোর্ট এর অনুমোদন পেয়েছে তাদেরকে মূলত
এই অভিবাসন ঋণ প্রদান করা হয়।
পুনর্বাসন ঋণঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এই পুনর্বাসন ঋণ সুবিধা প্রদান করে
থাকে যে সকল প্রবাসী বিদেশ থেকে ফিরে আসার পরে অর্থাৎ নিজ দেশে ফিরে আসার পরে যখন
তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে মূলধন না থাকার কারণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে
পারেনা সে সকল প্রবাসী অর্থাৎ বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এই
পুনর্বাসন ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও যারা মূলত রাজনৈতিক এবং সামাজিক বা
নিয়োগদাতা করতে হয়রানের শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন বা এসেছেন তাদেরকেও এই
পুনর্বাসন ঋণের সুবিধা প্রদান করা হবে বা তারাও এই পুনর্বাসন ঋণের আওতাভুক্ত হবে।
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তাদের এই
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ যে সকল ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের দিয়ে
থাকে তারা হচ্ছে। বাংলাদেশের যে সকল নাগরিক বৈধ ভাষার মাধ্যমে বিভিন্ন কাজের
উদ্দেশ্যে বিদেশ ভ্রমণ করে থাকে আর তার আয়ের ওপর নির্ভরশীল দেশে থাকা পরিবারের
সদস্যরা যেমন ধরুন বাবা মা স্ত্রী দাদা-দাদি ভাই বোন অথবা যারা নিকট আত্মীয় তারা
এই বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ গ্রহণ করতে পারবে বা
এই লোন এর সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
বিশেষ পুনর্বাসন ঋণঃ এই বিশেষ পুনর্বাসন ঋণের সিস্টেমটা নতুন চালু করা
হয়েছে। করোনার মহামারীর জন্য ২০২০ সালে এই ঋণের ব্যবস্থা চালু করা হয়। কারণ
করোনা কালীন সময়ে অনেক প্রবাসী দেশে চলে আসে আর তাদের ইনকাম বন্ধ হয়ে যাওয়ার
জন্য এই ঋণ সিস্টেম চালু করা হয়। আবার করোনাই আক্রান্ত হওয়ার কারণে যদি বিদেশে
মৃত্যুবরণ করে এমন হলেও তাদের পরিবারদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার সুবিধার্থে
জন্য এই ঋণ পেয়ে থাকেন। এই ঋণ গ্রহণের
জন্য ঋণগ্রহীতা জামানত ছাড়া সর্বোচ্চ তিন বছর মেয়াদে সর্বোচ্চ পরিমাণে ৩ লাখ
টাকা ঋণ নিতে পারেন। আর যদি জামানত সহ ঋণ নিতে চায় তাহলে নিতে পারবেন সর্বোচ্চ
৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে এই ধরনের ঋণ এর ক্ষেত্রে প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে
সর্বোচ্চ পঁচিশ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে অভিবাসন লোন নিতে যা যা লাগে
আপনাদের মধ্যে যদি কেউ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে অভিবাসন লোন নিতে চান তাহলে
আপনাদের কি কি লাগবে এবার সে বিষয়ে বলবো আপনাদের। বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক থেকে আপনারা যদি অভিবাসন লোন নিতে চান তাহলে আপনাদের বেশ কিছু কাগজপত্রের
দরকার হবে। আর এ সকল কাগজপত্র গুলো আপনাদেরকে সঠিক ও নির্ভুলভাবে নিকটস্থ প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংক এর শাখায় জমা দিতে হবে। আপনার কাগজপত্র যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনি
ব্যাংক ম্যানেজার এর কাছ থেকে আপনার লোন গ্রহণের অনুমতি পাবেন বা ব্যাংক
ম্যানেজার আপনার লোন গ্রহণের অনুমতি দিবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং নাগরিক সনদপত্র দরকার হতে পারে।
- আপনার পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় একটা অ্যাকাউন্ট।
- দুইজন জামিনদার ও তাদের যাবতীয় সকল তথ্য ও জামিনদারের স্বাক্ষর করা ব্যাংকের তিনটি চেক এর পাতা।
- ভিসা, পাসপোর্ট এবং বিএমইটি কার্ড এর কপি ইত্যাদি এগুলো দরকার হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে পুনর্বাসন নিয়ে ঋণ নিতে হলে কি কি লাগবে
আপনারা যদি কেউ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে পুনর্বাসন ঋণ নিতে চান তাহলে আপনাদের
বেশ কয়েক কাগজপত্র দরকার হবে।, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আপনাদেরকে এই পুনর্বাসন ঋণ
সেবা প্রদান করবে আর তার জন্য আপনাদের কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে তার সাথে
জামিনদার এর কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সেগুলো নিচে দেওয়া হল
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি ছবি।
- জামিনদারের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- আবেদনকারী এবং জামিনদার এর পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন কর্তৃক প্রদত্ত প্রাপ্ত নাগরিক সনদপত্র।
- জামানত সম্পত্তির ডকুমেন্টস এর ফটোকপি এবং ঋণগ্রহী তার স্বাক্ষর সহ তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তিনটি চেক পাতা।
- বিদেশ থেকে প্রত্যাগমন সংক্রান্ত সকল ডকুমেন্টস এবং প্রকল্পের সকল তথ্য সাথে গত দুই বছরের আয় এবং ব্যয়ের বিবরণ।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ গ্রহণের জন্য কি
কি লাগে
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ প্রদান করা হয়। আর
আপনারা যারা এই ঋণ নিতে চান তাদের এবং তার জামিনদারের কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে
ব্যাংকে। এই বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোন এর আওতায় ঋণ তোলার জন্য
আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং তার পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি ছবি জমা
দিতে হবে। এছাড়াও জামিনদারের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি সহ আনুষঙ্গিক বেশ কিছু
কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ গ্রহণের জন্য যা যা লাগবে
বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ গ্রহণের জন্য ডকুমেন্টস বা যা যা কাগজপত্র লাগবে সেগুলোর নিচে
বর্ণনা করা হলো
- আবেদনকারের পাসপোর্ট অথবা বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণের ডকুমেন্টস বা বিদেশে চাকরির চুক্তিপত্র এর ফটোকপি দিতে হবে।
- তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
- জামিনদারের দুই কবি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও পরিচয় পত্র এর ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।
- প্রকল্পের ঠিকানার বিস্তারিত সকল তথ্য।
- দোকানে এর ক্ষেত্রে হলে ভাড়ার চুক্তিপত্র ও আর যদি নিজের দোকান হয় সেক্ষেত্রে প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।
- প্রকল্পের নাম ব্যাংক থেকে আর্থিক সাহায্য নেওয়া হচ্ছে সেই সকল ধরনের ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
- গ্রহীতার কাছ থেকে অবশ্যই নিজের নামের তিনটি স্বাক্ষরিত চেকের পাতা জমা দিতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আপনারা যদি লোন নিতে চান বা তাদের নিয়োগ সম্পর্কে
জানতে চান তাহলে আপনাদেরকে অবশ্যই ব্যাংকের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে। আর এজন্য
আপনাদের জন্য এখানে এখন আছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় কোথায় আছে এ বিষয়ে
তাহলে আপনারা জেনে নিন এই বিষয়ে। আর আপনাদের জানা দরকার যে প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক কোথায় কোথায় আছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর মোট শাখা মূলত হচ্ছে ১২১ টি।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রধান শাখা
ব্যবস্থাপক
৭১-৭২, ইস্কাটন গার্ডেন রোড, ঢাকা-১০০০
ফোনঃ +৮৮-০২-৮৩২১৮৭৮
মোবাইলঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭০০
ঢাকায় আরেকটি শাখা
কাকরাইল শাখা
ব্যবস্থাপক
৮৯/২, বিএমইটি ভবন, কাকরাইল, ঢাকা।
ফোনঃ +৮৮-০২৮৩০০৩১০
মোবাইলঃ +৮৮-০১৭০০-৭০২৭০১
এছাড়াও আপনারা আরো জানার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর ওয়েবসাইটে ঢুকে সেখানে
সমস্ত শাখা গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং প্রবাসী কল্যাণের জন্য যে ধরনের
আপনারা লোন নিতে চান সে ধরনের লোন আবেদন করতে পারবেন এবং আলোড়ন আবেদন করার জন্য
আপনাদের যে সকল ইনফরমেশন লাগবে সেগুলো জানতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে
আপনারা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর লোন প্রকারভেদ,
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার উপায় এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয় ও অনলাইন আবেদন ইত্যাদি সম্পর্কে। এবার আপনারা জানতে
পারবেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে বা কি কি ডকুমেন্টস এর
প্রয়োজন হয় সে সকল বিষয়ে। প্রথমত আপনারা সব কল ডকুমেন্টস গুলোর সহ আবেদন কপি
জমা না দিলে আপনারা কখনোই
ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ পাবেন না অথবা ব্যাংক আপনাদের ঋণ প্রদান করবেন না। এজন্য
আপনাদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র গুছিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং এটা খুবই
জরুরী। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে নিচে এ বিষয়ে বলা হলো
- ঋণ আবেদনকারী এর পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৪ কপি।
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি আবেদনকারীর।
- আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা সহ পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক সার্টিফিকেট এর ফটোকপি।
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট ম্যানপাওয়ার স্মার্ট কার্ড এর কপি, ভিসার কপি তার লেবার কন্টাক্ট পেপার যদি থাকে তবে সেক্ষেত্রে এটা দিতে হবে তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়।
- জামিনদারের এক কপি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি এক্ষেত্রে দুইজন জামিনদার লাগবে।
- জামিনদারের ভোটার আইডি কার্ডের কপি এবং তাদের বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা সহ ইউনিয়ন পরিষদের সার্টিফিকেট এবং কপি।
- জামিনদার এর মধ্যে একজনের স্বাক্ষরিত ব্যাংকের তিনটি চেক এর পাতা।
- ঋণ নেওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে আপনি যে ব্যাংকে এপ্লাই করেছেন সেই ব্যাংকের শাখায়।
আপনি ঋণ নেওয়ার পরে আপনাকে জানতে হবে ঋণের মেয়াদ কতদিন থাকে এ বিষয়ে। নতুন
ভিসার ক্ষেত্রে মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ তিন বছর আর যদি রি এন্ট্রি ভিসা হয় তবে
সেক্ষেত্রে মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ দুই বছর। আবার যদি কোন লোক বিদেশে যেতে চায়
তাহলে তার জন্য কি কি ধরনের ইনফরমেশন লাগবে অথবা তার এই পুরো জার্নিটা কেমন হবে
সেই সকল বিষয়ে বোঝানোর জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তাদের কে একটা প্রশিক্ষণ
দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রবাসী ভাই যদি কোন দালালের
খপ্পরে পড়ে অথবা দালালের খপ্পরে
পড়ার আগে তাকে কি ধরনের পদক্ষেপ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এ সকল বিষয়ে তাদেরকে
বোঝানো বা ক্লাস নেওয়া হবে। আর এই প্রশিক্ষণ ক্লাসটা রয়েছে সর্বোচ্চ তিন মাস
থেকে তিন দিনের। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যারা বিদেশে যেতে আগ্রহী তারা বা সে সকল
ব্যক্তিরা তাদের লক্ষ্য সেট করতে পারবেন এই প্রশিক্ষণটা তাদেরকে এ বিষয়ে অনেক
সাহায্য করবে। ওপরের এই ডকুমেন্টস বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াও যদি ব্যাংক কোন
কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট চায় তাহলে সেগুলো দিতে হবে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
আপনাদের মাঝে এখন আমি আলোচনা করব প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা সম্পর্কে
তাহলে চলুন জানা যাক প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন সুবিধা কি কি পাওয়া যায়
সেগুলো সম্পর্কে।বাংলাদেশ ব্যাংক সহ বাংলাদেশের আরও সকল ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের মত
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর একাধিক সুযোগ সুবিধা আছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর
সুবিধাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সহজ শর্তে ঋণ সেবা পাওয়া যায় এছাড়াও
সুদের হার অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের তুলনায় অনেক কম। এগুলো ছাড়াও
যারা চাকরি বাকাদের জন্য বিদেশ যাওয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে এই
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক জামানত বিহীন ঋণ সেবা
প্রদান করেও থাকে। অন্যান্য ব্যাংকের চাইতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ পরিষদের
জন্য পর্যাপ্ত অর্থাৎ অনেক সময় দিয়ে থাকে এবং জামানত যুক্ত বড় অংকের ঋণ সুবিধা
ও প্রদান করে থাকে। এগুলো ছাড়াও যদি কোন প্রবাসী প্রবাসে থাকাকালীন সময় কোন
সমস্যায় পড়ে তাহলে তাকে সেখান থেকে মুক্তির জন্য লোন প্রদান করে থাকে এবং
প্রবাসীদের দেশে ফিরে কর্মসংস্থান তৈরি
করার ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন ও করে থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হচ্ছে একটি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান আর এই ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান
প্রবাসীদের অধিকারের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ঋণ সেবা প্রদান করে থাকে।
আপনারা যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ঋণ নিয়ে থাকেন বা নিতে
চান তাহলে ঋণ খেলাফি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। যেটার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে অনেক
প্রবাসীরা এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর সাথে নিশ্চিন্তে লেনদেন করতে পারছে এবং
অনেক সুবিধা পাচ্ছে তারা।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিত্তিতে
এবং এদের ঋণের নানা প্রকার ভেদ আছে। এ সকল প্রকারভেদের ভিত্তিতে প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক থেকে সকল আবেদনকারীরাই কিন্তু লোন নিতে পারে না। লোন পাওয়ার উপযুক্ত
ব্যক্তিরা কেবল শুধু লোন নিতে পারে। প্রবাসে কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হলে
অবশ্যই আবেদনকারী কে বাংলাদেশের নাগরিক এবং তার বয়স হতে হবে ১৮ অথবা তার বেশি।
এগুলো ছাড়াও আবেদনকারীকে অবশ্যই অন্য কোন
ব্যাংক অথবা এনজিও এর সাথে ঋণ খেলাপির ইতিহাসমুক্ত থাকতে হবে। যে ব্যক্তি আবেদন
করবে তার পক্ষে কমপক্ষে হলেও দুইজন জামিনদার থাকতে হবে ও ঋণ পরিশোধে জামিনদারকে
অবশ্যই আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে হবে। তবে অভিবাসন ঋণ পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর বিদেশ
যাত্রার জন্য বৈধ ভিসা, তার পাসপোর্ট এবং আনুষঙ্গে কাগজপত্র থাকতে হবে। আর
পুনর্বাসন ঋণ পাওয়ার জন্য ব্যবসা অথবা প্রকল্পের ঠিকানা এবং উদ্দেশ্য সম্বলিত
প্রতিবেদনগুলো জমা দিতে হবে। তবেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়া যাবে।
কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে
আপনারা উপরের আলোচনা থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার উপায় অনলাইন
আবেদন এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দিয়ে থাকে লোন পাওয়ার
যোগ্যতা এবং লোন পেতে হলে কি কি ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র প্রয়োজন হয় লোনের সুবিধা
ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবার আপনারা জানতে পারবেন কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী
লোন দিয়ে থাকে এ বিষয়ে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন অনলাইন আবেদন করার জন্য
আপনাদেরকে প্রথমে সঠিক ব্যাঙ্ক
নির্বাচন করতে হবে বাংলাদেশে মোট সাতটি ব্যাংকে সুবিধা প্রদান করে থাকে নিচে এ
বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট সাতটি ব্যাংক রয়েছে
যারা প্রবাসী ভাইদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করে থাকেন এবং তাদেরকে লোন প্রদান
করে থাকেন। আর এ সকল ব্যাংকগুলো তাদেরকে অর্থাৎ প্রবাসীদের জন্য সকল ধরনের সুবিধা
অনুযায়ী লোনের ব্যবস্থা করেছেন। আর এই ধরনের লোনগুলো নেওয়ার জন্য আপনাদেরকে কোন
জমি বন্ধক অথবা কোন কিছু আটকে
থাকবে না প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে আপনারা বিনা জামানতে খুব সহজেই লোন
পেয়ে যাবেন। আর যে সাতটি ব্যাংক প্রবাসী ভাইদের লোন দিয়ে থাকেন সেই সাতটি
ব্যাংকগুলো হচ্ছে
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
- পূবালী ব্যাংক
- অগ্রণী ব্যাংক
- সোনালী ব্যাংক
- এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক
- এনআরবি ব্যাংক এবং
- এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক।
বর্তমানে এই সাতটি ব্যাংকগুলো প্রবাসীদের জন্য লোনের ব্যবস্থা করে থাকেন বা
তাদেরকে লোন দিয়ে থাকেন। তবে এর গুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে হচ্ছে প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংক। কারণ হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের একটাই উদ্দেশ্য যেটা হচ্ছে
প্রবাসীদেরকে তারা যথাযথ ভাবে সাহায্য করতে পারেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সংগঠিত
হয় ২০১১ সালে আর এই ব্যাংকটি প্রবাসী ভাইদের সহযোগিতা করা থেকে শুরু করে তাদেরকে
সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো তারে পোষ্টের মাধ্যমে আপোনদের জানানোর চেষ্টা করেছে
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয় এ বিষয়ে এবং প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক এর লোন প্রকারভেদ সহ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর লোন সুবিধা কত টাকা লোন
দিয়ে থাকে কি কি কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয় এছাড়াও আবেদন করার নিয়ম
অনলাইনে আবেদন ইত্যাদি বিষয়ে। আশা করি আপনারা এ বিষয়গুলো পড়ে সঠিক তথ্য জানতে
পারবেন এবং বুঝতে পারবেন। আপনাদের এই পোস্টটি পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই
শেয়ার করে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url