ইউরোপের কোন দেশে নাগরিকত্ব সহজে পাওয়া যায় জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো অনেকেই আছেন যারা
ইউরোপের
কোন দেশে নাগরিকত্ব সহজে পাওয়া যায় এবং প্রবাসীদের জন্য কোন কোন দেশ ভালো এ সকল
বিষয়ে সঠিক তথ্য জানার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন কিন্তু জানতে পারেননি। যারা
জানতে পারেনি তারা আজকে আমারে পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন এজন্য মনোযোগ সহকারে
শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজকে আপনাদের আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব ইউরোপের কোন দেশে
নাগরিকত্ব সহজে পাওয়া যায় এবং প্রবাসীদের জন্য কোন কোন দেশ ভালো এছাড়াও
ইউরোপের কোন দেশে বেতন বেশি ২০২৪ ইউরোপের দেশে সর্বনিম্ন বেতন কত ইত্যাদি আরও
অনেক কয়েকটি বিষয়ে। আশা করি এই বিষয়গুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক সঠিক তথ্য
বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন এজন্য আপনারা মনোযোগ দিয়ে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
ভূমিকা-ইউরোপের কোন দেশে নাগরিকত্ব সহজে পাওয়া যায় জানুন
আমরা অনেকে কাজের জন্য বিদেশ যাই সেটা ইউরোপের দেশগুলো হোক আর অন্য দেশ হোক। যে
কোন দেশে গেলে যে আমরা সেই দেশে নাগরিকত্ব পাবো এরকম কোন বিষয় নেই। নাগরিকত্ব
পাওয়ার জন্য প্রত্যেকটা দেশেরই অনেকগুলো নীতি আছে। নাগরিকত্ব পাওয়া যায়
ইউরোপের কয়েকটি দেশে সহজেই অন্যান্য দেশের চাইতে তবে আপনারা অন্যান্য দেশেরও
নাগরিকত্ব পাবেন। সেই দেশের নিয়ম নীতি মেনে কাজ করার মাধ্যমে। আপনারা ইউরোপের
পাঁচটি দেশের নাগরিকত্ব সহজে পেতে
পারবেন সেগুলো হল জার্মানি, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল এবং ইতালি। এই দেশগুলো
ছাড়াও আরো অনেক দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া যায় তবে সকল দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার
জন্য জন্ম সূত্রে নাগরিকত্ব হতে হবে বিবাহ সূত্রে নাগরিকত্ব হতে হবে এবং আরো
সাধারণীকরণের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। এছাড়াও প্রবাসীদের জন্য অনেকগুলো
দেশ ভালো তার মধ্যে প্রথমে অবস্থান করে হচ্ছে ডেনমার্ক তারপরে সৌদি আরব এছাড়াও
আছে অস্ট্রিয়া ইউরোপের দেশ যেমন জার্মানি, সুইজারল্যান্ড,
সুইডেন, নরওয়ে, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ইত্যাদি দেশগুলোতে জীবন যাপনের
ব্যবস্থা কাজের সুযোগ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কর্ম ঘন্টা সংস্কৃতি ঐতিহ্য
ইত্যাদির কারণে এ সকল দেশগুলো প্রবাসীদের জন্য অনেক ভালো এছাড়াও এ সকল দেশের
বেতন ও ভালো। এছাড়াও আপনারা নিজের আলোচনা থেকে আরও জানতে পারবেন অনেকগুলো বিষয়।
ইউরোপের কোন দেশে বেতন বেশি ২০২৪
পৃথিবীর সব থেকে ধনী এবং সমৃদ্ধ দেশগুলো ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত। আর জীবিকা
নির্বাহের জন্য অনেকেই এই ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলো পছন্দ করে থাকেন এবং এই দেশগুলো
প্রায় সকলের কাছে পছন্দের দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করছে। ইউরোপ মহাদেশের
দেশগুলোতে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেতন অনেক বেশি দেওয়া হয়। এছাড়াও ইউরোপ
মহাদেশের দেশগুলোতে কাজের অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। অনেকের স্বপ্ন আছে এজন্য এই
ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলোতে যাওয়ার
আরো পড়ুনঃইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
এই সকল দেশগুলোতে যেতে যেমন লাখ টাকা খরচ করতে হয়। ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলোতে
যেতে ৯ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলোতে যেতে যেমন
লাখ টাকা খরচ হয় তেমনি আপনি লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতেও পারবেন। ইউরোপের দেশে দেশ
অনুযায়ী ন্যূনতম ৯০ হাজার থেকে পাঁচ থেকে নয় লাখ টাকা পর্যন্ত আপনারা
ইনকাম
করতে পারবেন বা ইনকাম করা যায়। উচ্চ বেতনের চাকরি এবং উন্নত জীবনযাপনের জন্য
এজন্য অনেকেই ইউরোপ
মহাদেশে যেতে চান এবং এই ইউরোপ মহাদেশ এটা আদর্শ চয়েজ ও অনেকের কাছে। ইউরোপের
অনেক দেশে বিভিন্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হয়। ইউরোপের যে সকল দেশে বেতন বেশি
এবার সে সকল বিষয় নিয়ে নিজে আলোচনা করা হলো
সুইজারল্যান্ডঃ সুইজারল্যান্ডকে স্বপ্নের দেশ বলা হয়ে থাকে। কারণ
সুইজারল্যান্ডে একজন শ্রমিকের মাসিক বেতন প্রায় ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে
থাকে। এছাড়াও সুইজারল্যান্ডে একজন দক্ষ শ্রমিক প্রতিমাসে আয় করতে পারেন ১২ লাখ
টাকা পর্যন্ত।
জার্মানিঃ ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে আরেকটি উন্নতশীল রাষ্ট্র হচ্ছে জার্মানি।
জার্মানিতে একজন প্রবাসী প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারেন আট থেকে নয় লক্ষ টাকা।
এছাড়াও যেসব শ্রমিকের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বেশি তারা প্রতি মাসে আয় করতে পারেন
১০ লাখ টাকা।
সুইডেনঃ অনেক প্রবাসের মত অনুযায়ী ইউরোপ মহাদেশের সবথেকে ভালো কাজের
পরিবেশ এবং সুরক্ষা রয়েছে এই সুইডেনে। সুইডেনে একজন শ্রমিক মাসে আয় করতে পারেন
নূন্যতম প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত।
নরওয়েঃ ইউরোপ মহাদেশের আরেকটি দেশ হচ্ছে নরওয়ে এবং নরওয়েতে একজন
শ্রমিকের মাসিক বেতন হচ্ছে প্রায় ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা। তবে যদি কোন শ্রমিক
ওভারটাইম হিসেবে কাজ করে তাহলে তার বেতন আরো বেশি হবে সে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত
ইনকাম করতে পারবেন প্রতিমাসে।
অস্ট্রিয়াঃ বর্তমান সময়ে এখন ইউরোপ মহাদেশের উন্নতশীল দেশগুলোর মধ্যে
অন্যতম হচ্ছে অস্ট্রিয়া। অস্ট্রিয়াতে এখন হাজার হাজার শ্রমিক আমদানি করা হয়ে
থাকে প্রতি বছর। অস্ট্রিয়াতে একজন শ্রমিকের মাসিক বেতন গড়ে প্রায় ছয় থেকে সাত
লাখ টাকা।, তবে যে সকল শ্রমিকরা প্রেম করে তাদের বেতন আরও বেশি ন্যূনতম নয় লাখ
টাকা।
উপরের এ সকল দেশগুলো ছাড়াও ইউরোপের আরো অনেক দেশ আছে যেগুলোতে শ্রমিকদের বেতন
বেশি। যেমন আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, স্পেন, মালটা,
লুক্সেমবার্গ, পর্তুগাল এবং স্লোভেনিয়া দেশগুলো তো একজন শ্রমিক প্রতিমাসে বেতন
পেয়ে থাকেন সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত।
ইউরোপের দেশে সর্বনিম্ন বেতন কত
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) বিশ্বের এমন একটি আঞ্চলিক জোট যারা তাদের বাজার
অর্থনীতি এবং ঐতিহ্য ভাগাভাগি করে থাকে। এ সকল যৌথ উপযুক্ত ২৭ টি দেশের ভৌগোলিক
কাঠামো থাকলেও তাদের মধ্যে নেই কোন আন্তঃসীমান্ত।তাদের লক্ষ্য হচ্ছে একক
অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে আর্থিক উন্নতি করা। ইইউতে এক অর্থনীতি চালু আছে
তবে প্রতিটি দেশেরই আছে ভৌগোলিক অবস্থার মত আলাদা অর্থনৈতিক কাঠামো। আর এজন্য
প্রতিটি দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান হচ্ছে ভিন্ন।
আবার একক বাজার অর্থনীতি হওয়ার কারণেও একই পণ্যের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন
মূল্যায়ন আছে। ইউরোপের প্রত্যেকটি দেশের আছে ভিন্ন বেতন কাঠামো। যেমন ইউরোপীয়
ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার সত্বেও বুলগেরিয়ার মাসিক বেতন হচ্ছে ৩৩২ ইউরো।
আবার লুক্সেমবুর্গের মাসিক বেতন হচ্ছে ২২0২ ইউরো। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক
ইউরোপের দেশগুলোর মাসিক সর্বনিম্ন বেতন কত সে সম্পর্কে। এক ইউরো সমান হচ্ছে
বাংলাদেশের মুদ্রায় ১০২ টাকার কম/বেশি হতে পারে।
একেবারে নিচের দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে বুলগেরিয়ার সর্বনিম্ন বেতন
হচ্ছে ৩৩২ ইউরো, হাঙ্গেরিতে ৪৪২ ইউরো, রোমেনিয়ায় ৪৫৮ ইউরো, লাটভিয়ার সর্বনিম্ন
বেতন হচ্ছে ৫০০ ইউরো, ক্রোয়েশিয়ার সর্বনিম্ন বেতন ৫৬৩ ইউরো, চেক রিপাবলিকে ৫৭৯
ইউরো, পোল্যান্ডে ৬১৪ ইউরো, ইস্তোনিয়ায় ৫৮৪ ইউরো,স্লোভাকিয়ায় ৬২৩ ইউরো,
লিথুনিয়ায় ৬৪২ ইউরো, গ্রিসে ৭৫৮ ইউরো, পর্তুগালে ৭৭৬ ইউরো, মালটায় ৭৮৫ ইউরো,
স্লোভেনিয়ায় ১০২৪ ইউরো, স্পেনে ১১০৮ ইউরো,
ফ্রান্সে ১৫৫৫ ইউরো, জার্মানিতে ১৬১৪ ইউরো, বেলজিয়ামে ১৬২৬ ইউরো, নেদারল্যান্ডসে
১৬৮৫ ইউরো, আয়ারল্যান্ডে ১৭২৪ ইউরো এবং লুক্সেমবুর্গে ২২০২ ইউরো। এছাড়াও ইতালি,
ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড, সুইডেন এবং সাইপ্রাস এই দেশগুলো তাদের
সর্বনিম্ন বেতনের হিসাব থেকে বাদ পড়েছে কারণ এই দেশগুলোর মধ্যে বেতনের তারতম
আছে। এদের ক্ষেত্রে তাদের ট্রেড ইউনিয়ন এ সকল দেশের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করে
দিয়ে থাকে। যেমন কোন কোন দেশে সে দেশের
অঞ্চল ভেদে বেতন বিভিন্ন হয় আবার কোন কোন দেশের সর্বনিম্ন বেতন এখনো নির্দিষ্ট
করা হয়নি। অপরদিকে অনেক দেশে বছরে ১৪ টি বেতন হিসাব করা হয়ে থাকে যেমন
পর্তুগালে নির্ধারিত বেতন হচ্ছে ৬৬৫ ইউরো। কিন্তু বারো মাসের হিসেব করলে তার গড়
হচ্ছে ৭৭৬ ইউরো। স্পেন এবং গ্রীস এই একই হিসেবে সংযুক্ত আছে। তবে এ সকল দেশগুলোর
সর্বনিম্ন বেতন কম হলেও আবার গড় বেতনের দিক থেকে এগিয়ে আছে। কেননা এই সর্বনিম্ন
বেতন খুব অল্প সংখ্যক কর্মচারীদের দেওয়া হয়ে থাকে।
যথা ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী দেখা যায় যে পর্তুগালে গড় বেতন ১৩১৪ অথচ যেখানে
তাদের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৭৭৫ ইউরো। তাদের বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে
স্থানীয় সহজ লভ্যতা, খাদ্যাভ্যাস এবং আন্তর্দেশীয় ভ্যাট ইত্যাদির কারণে মৌলিক
পণ্য গুলার দাম অনুযায়ী। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে পর্তুগালে যানবাহন ব্যবহার
করার ফলে তাদের যে ব্যয় হয় সেটা তাদের দেশের জনগণ করে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে
নেদারল্যান্ডে তার থেকে তিন গুণের বেশি ব্যয় হয়ে থাকে। আয়ের
সাথে সমন্বিত করে ব্যয়গুলো নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। অতএব দেখা যাচ্ছে যে যাদের
আয় বেশি হবে তাদের জীবনযাত্রায় ব্যয়ের পরিমাণটাও বেশি হবে। তবে দেখা যায় যে
অভিবাসীদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ কর্মজীবীরা সর্বনিম্ন বেতনে বেশি চাকরি করে থাকে আর
এর অন্যতম কারণ হচ্ছে কাজের অভিজ্ঞতা এবং ভাষাগত দক্ষতার অভাব থাকার জন্য। এ জন্য
যদি কেউ ইউরোপে যেতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আগে থেকে খুব সহজেই একটি ভালো বেতন
কাঠামো নিয়ে চিন্তা করতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনাদেরকে একটি বিষয় বিবেচনায়
রাখতে
হবে যে আপনি কোন কাজটি করবেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলোতে আপনার ওই কাজের চাহিদা কেমন
আছে সে কাজে আপনার কতটুকু দক্ষতা আছে এ সকল বিষয়ে। এর পাশাপাশি আপনি যে দেশে
যেতে চান সে দেশের ভাষা গত জ্ঞান থাকতে হবে আপনার বা আপনার কতটুকু জ্ঞান রয়েছে
সে বিষয়টি আপনার বিবেচনায় রাখতে হবে। এ সকল বিষয়গুলো আপনি যদি মেনে ইউরোপের
দেশগুলোতে যেতে পারেন তাহলে আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার জীবন অতিবাহিত করতে
পারবেন এবং আপনি খুব সহজেই একটা ভালো বেতনে চাকরি পাবেন।
ইউরোপের কোন দেশে নাগরিকত্ব সহজে পাওয়া যায়
ইউরোপের কোন দেশে নাগরিকত্ব সহজে পাওয়া যায় এ বিষয়ে জানার কৌতুহল অনেকেরই
জাগে। এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আজকে আপনাদের আমার এই পোস্টটি পড়তে হবে তবে
আপনারা জানতে পারবেন ইউরোপের কোন দেশের নাগরিকত্ব সহজে পাওয়া যায়। অনেকের কাছে
ইউরোপের নাগরিকত্ব পাওয়া স্বপ্নের মত কারণ এই ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত যেকোনো একটি
দেশের ভিসা পেয়ে গেলে আপনি সহজে আরও ২৭ টি দেশে বিনা ভিসায় সহজেই ভ্রমন করতে
পারবেন। সুযোগ-সুবিদার জন্য এখন
অনেক মানুষ বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলোকে বেশি পছন্দ করে থাকেন। তবে
এই দেশগুলোতে নাগরিকত্ব পাওয়া অনেক একটা জটিল ব্যাপার তবে এর মধ্যে বেশ কিছু দেশ
আছে যেগুলোতে তুলনামূলকভাবে আপনি সহজে নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। শক্তিশালী
পাসপোর্ট, জীবনযাত্রার মান, ভ্রমণের সুযোগ, উন্নত শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা এই
সকল কিছুর জন্য ইউরোপ হচ্ছে আকর্ষণের জায়গা। তবে ইউরোপের প্রতিটি দেশের
নাগরিকত্ব নীতিমালা ভিন্ন এ জন্য একচেটিয়া
ভাবে বলা যাবে না যে ইউরোপের অমুক দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ। ইউরোপের
সেনজেনভুক্ত এবং নন সেনজেনভুক্ত প্রায় প্রতিটি দেশেরই নতুন নাগরিকত্ব নেওয়ার
অপশন রয়েছে। তবে এখানে আছে কিছু সহজ এবং কিছু কঠিন এর ব্যাপার। তবে যে দেশগুলো
তুলনামূলকভাবে সহজে নাগরিকত্ব প্রদান করে থাকে এমন পাঁচটি দেশের নাম নিচে উল্লেখ
করা হলো
আয়ারল্যান্ডে নাগরিকত্বঃ আয়ারল্যান্ড হচ্ছে পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ।
আয়ারল্যান্ড দুটি অংশে বিভক্ত একটি হচ্ছে উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং অপরটি হচ্ছে
আয়ারল্যান্ড এর প্রজাতন্ত্র। আয়ারল্যান্ডের এই প্রজাতন্ত্রকে সাধারণত
আয়ারল্যান্ড বলা হয়ে থাকে যেটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। আয়ারল্যান্ড এর
রাজধানীর নাম হচ্ছে ডাবলিন। এই দেশটির আয়তন হচ্ছে প্রায় ৭০,২৭৩ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ মিলিয়ন। এই দেশটির সরকারের ধরন হচ্ছে পার্লামেন্টারি
প্রজাতন্ত্র।
ভাষা হচ্ছে আয়ারিশ (গায়েলিক) ও ইংরেজি। মুদ্রা হচ্ছে ইউরো আর প্রধান ধর্ম হচ্ছে
ক্যাথলিক খ্রিস্টান। আয়ারল্যান্ডের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে আছে
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব, বংশগত ভাবে নাগরিকত্ব, বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্ব,
প্রাকৃতিকিকরণের মাধ্যমে নাগরিকত্ব ইত্যাদি। আপনি যদি আয়ারল্যান্ডে নাগরিকত্ব
অর্জন করতে চান তাহলে এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই আয়ারল্যান্ডের
নাগরিকতা অর্জন করতে পারেন।
পর্তুগালে নাগরিকত্বঃ পর্তুগাল হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের একটা দেশ।
যেটা ইয়েবিয়ান উপদ্বীপে অবস্থিত। এই দেশটির উত্তর ও পূর্ব দিকে আছে স্পেন ও
পশ্চিম এবং দক্ষিণে আটলান্টিক মহাসাগর। এই দেশের রাজধানীর নাম হচ্ছে লিসবন। এ
দেশের আয়তন প্রায় ৯২,২১২ বর্গ কিলোমিটার আর জনসংখ্যা প্রায় ১০ মিলিয়ন। এই
দেশের সরকারের ধরন হচ্ছে ইউনিটারি পার্লামেন্টারি রিপাবলিক এদের জাতীয় ভাষা
পর্তুগিজ আর মুদ্রা ইউরো। এদেশের প্রধান ধর্ম হচ্ছে রোমান ক্যাথলিক।
পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া অনেক উপায় এ হতে পারে। সাধারণত
পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রধান উপায় গুলোর মধ্যে হচ্ছে জন্মসূত্রে
নাগরিকত্ব, বিবাহ সূত্রে নাগরিকত্ব ও সাধারণীকরণের মাধ্যমে নাগরিকত্ব।
জার্মানিতে নাগরিকত্বঃ জার্মানি দেশটি হচ্ছে মধ্য ইউরোপের একটা প্রভাবশালী
দেশ এ দেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস উন্নত অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের জন্য এই দেশটি
অনেক পরিচিত। এটি একটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও বিশ্বের অন্যতম
প্রধান শিল্প এবং প্রযুক্তি কেন্দ্র। জার্মানির রাজধানী হচ্ছে বার্লিন এদেশের
আয়তন প্রায় ৩৫৭,৩৮৬ কিলোমিটার আর জনসংখ্যা প্রায় ৮৩ মিলিয়ন। এদেশের সরকারের
ধরন হচ্ছে ফেডারেল পার্লামেন্টারি রিপাবলিক। ভাষা হচ্ছে জার্মান
এবং মুদ্রা ইউরো। এদেশের প্রধান ধর্ম হচ্ছে খ্রিস্টান (প্রধানত প্রোটেস্ট্যান্ট ও
ক্যাথলিক)। জার্মানি দেশে নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া গুলোর মধ্যে হচ্ছে
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব, বিবাহ সূত্রে নাগরিকত্ব ও সাধারণীকরণের মাধ্যমে নাগরিকত্ব।
ইতালিতে নাগরিকত্বঃ ইতালি হচ্ছে দক্ষিণ ইউরোপের একটা প্রাচীন ও সমৃদ্ধ
সংস্কৃতির দেশ। এই দেশটির ইতিহাস ও ঐতিহ্য অনেক পুরনো তবে এই দেশটি আধুনিক হিসেবে
পরিচিত। ইতালি দেশটি তার শিল্প স্থাপত্য সংগীত খাদ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য
অনেক বিখ্যাত। ইতালির রাজধানী হচ্ছে রোম এই দেশের আয়তন প্রায় ৩০১,৩৪০ বর্গ
কিলোমিটার এদেশের জনসংখ্যা প্রায় ৬০ মিলিয়ন। এদেশের সরকারের ধরন হচ্ছে
পার্লামেন্টারি রিপাবলিক এ দেশের ভাষা হচ্ছে ইতালিয়ান এবং
মুদ্রা হচ্ছে ইউরো এদেশের প্রধান ধর্ম হচ্ছে রোমান ক্যাথলিক। ইতালি দেশে ইতালিতে
নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রতিটি প্রক্রিয়া অনেক আইনি শর্ত ও প্রয়োজনীয়তার ওপর
নির্ভর করে থাকে। সঠিক ও আপডেট তথ্যের জন্য ইতালির নাগরিকত্ব সম্পর্কিত অফিশিয়াল
ওয়েবসাইট বা একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা উচিত আপনি যদি এই দেশের নাগরিকত্ব
পেতে চান তাহলে।
স্পেনে নাগরিকত্বঃ স্পেন হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত এবং একটি
সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক দেশ। এই দেশটি ইবেবিয়ান উপদ্বীপে অবস্থিত এর
পশ্চিমে পর্তুগাল উত্তরে ফ্রান্স ও আন্দরার সীমানা তারা বেষ্টিত। স্পেন হচ্ছে
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য এর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ভাষা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর
জন্য এই দেশটি অনেক বিখ্যাত। এই দেশের আয়তন প্রায় ৫০৫,৯৯০ কিলোমিটার ও জনসংখ্যা
প্রায় ৪৭ মিলিয়ন। এদেশের রাজধানীর নাম হচ্ছে মাদ্রিদ আর
এদেশের সরকারের ধরন হচ্ছে সংসদীয় রাজতন্ত্র। এদেশের মুদ্রা হচ্ছে ইউরো আর ভাষা
স্পেনীয় এছাড়াও আরও আছে কাতালান, বাস্ক এবং গালিশিয়ান ভাষার প্রচলন। স্পেনে
নাগরিকত্ব পাওয়া যায় প্রধানত জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব, বিবাহ সূত্রে নাগরিকত্ব ও
সাধারণীকরণের মাধ্যমে নাগরিকত্ব।
ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলোতে নাগরিকত্ব পাওয়া খুব একটা সহজ ব্যাপার নয় তবে উপরে
উল্লেখিত দেশগুলোতে তুলনামূলকভাবে নাগরিকত্ব পাওয়াটা সহজ। পৃথিবীর যেকোনো দেশেরই
নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রসেসিংটা প্রায় একই রকমের হয় খুব বেশি একটা আলাদা পার্থক্য
হয় না। ওপরে উল্লেখিত পাঁচটি দেশের মধ্যে সেনজেন দেশের তালিকায় আছে স্পেন,
পর্তুগাল, জার্মানি এবং ইতালি আর আয়ারল্যান্ড ও ইউরোপের একটা দেশ তবে এটা নন
সেনজেনভুক্ত দেশ। ইউরোপের দেশগুলোতে নাগরিকত্বের জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে
হয়।
তবে আর্থিকভাবে সচ্ছল হলে এবং কাঙ্খিত দেশের ভাষায় পারদর্শী এবং ইতিহাসেও
সংস্কৃতি বিষয়েও যদি ভালো জ্ঞান থাকে বা এ সকল বিষয়ে ও ভালো জ্ঞান থাকা জরুরী।
এছাড়াও আরো অনেক ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করার মাধ্যমে আপনারা তারপরে সেই দেশের
নাগরিকত্ব পেতে পারবেন বা পাওয়া সম্ভব। ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা কেবল
পাঁচটি দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে জানতে পারেন এছাড়াও আরো অনেকগুলো দেশ আছে
যে দেশগুলোর নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব। আপনার জন্য যে দেশটি ভালো হবে
সেটা আপনাকে বেছে নিতে হবে এবং তার ওপর নির্ভর করবে আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতি
দক্ষতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। কারণ প্রত্যেকটি দেশের একটা নিজস্ব নাগরিক নীতিমালা
রয়েছে এ সকল বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার জন্য আপনারা সংশ্লিষ্ট দেশের তোতা বাস
অথবা সরকারি ওয়েবসাইট দেখতে পারেন। আপনারা ধৈর্য সহকারে আপনাদের প্রয়োজনীয়
নথিপত্র সঠিকভাবে জমা দিবে না এবং আপনার আবেদন প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য ও ভুল
এড়ানোর জন্য আপনি একজন অভিবাসন আইনজীবের সাথে পরামর্শ করতে পারেন এ বিষয়ে।
প্রবাসীদের জন্য কোন কোন দেশ ভালো
অনেকেই এখন কাজের জন্য বিদেশে যান যাতে করে তাদের পরিবার ভালো থাকে সুখী থাকে।
এজন্য অনেকেই অনেক দেশে জানে ইউরোপের অনেক দেশে আবার সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র,
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এছাড়াও যায় ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া, কাতার ইত্যাদি
দেশগুলোতে। বর্তমান সময়ে এখন বিদেশের অনেক দেশগুলো আছে যেগুলো প্রবাসীদের জন্য
অনেক ভালো। এ সকল দেশগুলো তাদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনার দিক থেকে উন্নত করছে এবং
উন্নত সংস্কৃতি এবং জীবন যাপনের সুযোগ
সুবিধার রয়েছে অনেক উন্নত আছে কাজের সুযোগ সুবিধা। এ সকল সুযোগ-সুবিধা থাকার
জন্য তাদের জীবন অনেক উন্নত হচ্ছে এবং কাজের ক্ষেত্রেও তাদের জন্য ভালো।
ক্যারিয়ারের সম্ভাবনার দিকে থেকে সব থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত
কে হারিয়েও শীর্ষস্থান দখল করে আছে সৌদি আরব। জরিপে অংশ নেওয়া ৭৫% সৌদি প্রবাসী
জানাই যে তাদের জন্য এই দেশটি তাদেরকে ক্যারিয়ারের সম্ভাবনাকে উন্নত করছে এবং
সেই সাথে ৬২ শতাংশ প্রবাসী জানান যে তাদের
ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের অনুকূলে আছে এই সৌদি আরব। এছাড়া প্রবাসীদের জন্য আরও
অনেক দেশ আছে যেগুলো ভালো নিচে সে সকল দেশের বিষয়ে আলোচনা করা হলো।প্রবাসীদের
জন্য সেরা দেশের একটি হালনাগাদ তালিকার শীর্ষ অবস্থানে অবস্থান করছে ডেনমার্ক। আর
এর পরে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সৌদি আরব এটা আগের বছরের চাইতে ১২ ধাপ এগিয়ে আছে।
এক্সপার্ট ইনসাইডার এর জরিপে সর্বশেষ সংস্করণে দেখা গেছে যে এই সৌদি আরব প্রবাসী
অর্ধেকেরও বেশি উত্তরদাতা
স্থানীয় শ্রমবাজারকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন। ২০২৩ সালে এক্সপার্ট
ইনসাইডার এর একটি তালিকায় ১৪ তম অবস্থানে ছিল সৌদি আরব। আর সেসময় শীর্ষ
দেশগুলোর মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং বেলজিয়াম। চলতি বছর দ্বিতীয়
অবস্থানে উত্তরণ করেছেন সৌদি আরব এখানকার কর্মক্ষেত্রের ক্রমাগত উন্নতি কেই সূচিত
করা হয়েছে বলে জানানো হয়ে থাকে প্রতিবেদনে। অর্থনৈতিক বৈচিত্র করণ নীতি অনুসারে
সৌদি আরবে বিদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান এবং বসবাসের জন্য
সম্প্রীতি অনেক সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। এখানে ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা
এখানকার বেতন এবং চাকরির নিরাপত্তা কাজ এবং অবসর এছাড়াও কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি
ও সন্তুষ্টি সহ চারটি উপ শ্রেণীর উপর ভিত্তি করে এই সু সূচকটি তৈরি করা হয়।
সখানকার স্থানীয় চাকরির বাজার কর্মজীবনের সুযোগ সুবিধা অর্থনৈতিক অবস্থা এবং
কাজের নিরাপত্তার পাশাপাশি আছে বেতন ন্যায্যতা আছে কাজের কর্ম ঘন্টা আছে
কর্মজীবনের ভারসাম্য ও ব্যবসায়িক সংস্কৃতি এ সকল বিষয়গুলো তালিকার
অন্তর্ভুক্ত
আছে। এছাড়াও জরিপে আরো দেখা গেছে যে ৮২ শতাংশ সৌদি প্রবাসী স্থানীয় অর্থনৈতিক
অবস্থা নিয়ে অনেক বেশি সন্তুষ্ট। তবে বিশ্বব্যাপী যেখানে সাপ্তাহিক কর্ম ঘন্টা
সাড়ে ৪২ ঘণ্টায় সেখানে সৌদি আরবে পূর্ণকালের অবস্থানের জন্য প্রবাসীদের জন্য
সপ্তাহে করে ৪৭.৮ ঘন্টা কাজ করতে হয়। প্রবাসীদের জন্য এখানে পূর্ণকালীন
অবস্থানের জন্য এই দেশটিতে দীর্ঘ কর্ম দিবসের বিকল্প নেই। আর এই বিষয়টির
প্রতিফলন ঘটেছে সূচকে। সৌদি আরব প্রবাসীদের কর্ম ঘন্টার সূচকে আছে ২৩ তম
এছাড়াও কর্মজীবন ভারসাম্যের সূচকে আছে ২৭তম অবস্থানে। এই দেশের সূচকটিতে ভিসা
পাওয়া এবং স্থানীয় আমলা দের সাথে লেনদেন ব্যাংক একাউন্ট খোলার পাশাপাশি আছে
আবাসন ক্রয় ক্ষমতা এবং প্রাপ্যতা আছে অনলাইন পরিষেবা ও ইন্টারনেট সুবিধা সহ
ডিজিটাল জীবন এছাড়াও আছে স্থানীয় ভাষা শেখা ছাড়াও আছে জীবন যাপনের
সম্ভাব্যতাকে এই সূচকের মানদন্ড হিসেবে ধরা হয়েছে। এছাড়াও আরো অনেকগুলো দেশ আছে
যে দেশগুলো প্রবাসীদের জন্য ভালো বলে বিবেচিত সে সকল দেশগুলো হচ্ছে
ডেনমার্কঃ প্রবাসীদের অনলাইন ভিত্তিক বৈশ্বিক সমাজ ইন্টারনেশনস এর
এক্সপার্ট ইনসাইডার জরিপ বলছে যে, কাজ কাজের সুযোগ ও কর্মজীবন এবং ব্যক্তি জীবনের
ভারসাম্য নিয়ে সবথেকে তুষ্ট হচ্ছে ডেনমার্ক প্রবাসীরা। এই জরিপে অংশ নেন বিশ্বের
অনেক দেশের সাড়ে ১২ হাজারের বেশি প্রবাসী। এই জরিপে যে সকল বিষয়গুলো উঠে এসেছে
সেগুলো হল কর্মস্থলের সংস্কৃতি, কর্মস্থল সংক্রান্ত নিরাপত্তা, কাজ করে সন্তুষ্টি
পাওয়া, ক্যারিয়ারের প্রত্যাশা, রোজগার, কর্ম ঘন্টা ও অবসর ইত্যাদি
বিষয়গুলো। কর্মস্থলের সংস্কৃতি, কাজের সন্তুষ্টি, কাজ এবং অবসরের ভারসাম্যের
প্রশ্নের দিক থেকে হচ্ছে ডেনমার্কই সেরা। এই দেশের প্রায় ৮৪ শতাংশ প্রবাসী তাদের
কর্ম ঘন্টা ও অবসরের ভারসাম্য নিয়ে অনেক দুষ্ট যেটা পুরো বিশ্বে এটার হার হচ্ছে
৬০%। এছাড়াও ডেনমার্কের প্রায় ৮৪ শতাংশ প্রবাসী তাদের এই কর্ম ঘন্টা নিয়ে অনেক
সুখী। এই ডেনমার্কের গড়ে সপ্তাহে কাজ করতে হয় ৩৯ ঘণ্টা ১২ মিনিট, বৈশ্বিক গড়
সাড়ে ৪২ ঘন্টা। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বাসিন্দা এলানাবুল বেছে নিয়েছেন
প্রবাস জীবন এবং এখন তিনি আছেন ডেনমার্কের রাজধানী শহর কোপেনহেগেনে। তিনি
জানিয়েছেন যে এই সিদ্ধান্ত তার কর্মজীবনের ওপর অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এখানকার কর্ম ঘন্টা কম এছাড়াও কাজ ও ব্যক্তি জীবনের সীমাটা খুব পরিষ্কার। এখানে
অবসর সময়ে নিজের মতো করে সময় কাটানো যায় এতে কোন বাধা নেই। এই দেশে কাজের বেতন
বেশি টেক্সাস এর জীবন যাত্রার ব্যয় এর চেয়ে কম। এছাড়াও তিনি এখানে কম খরচে
পেয়েছেন সন্তানের ভালো ডে কেয়ার সেবা আছে
জনসাস্থ্য বিষয়ক সুবিধা ও অনেক ভালো। এ সকল সুযোগ সুবিধার জন্য ডেনমার্ক পৃথিবীর
সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকার মধ্যে স্থান প্রায় সবসময়।
ইউরোপীয় দেশঃ ইউরোপীয় দেশের মধ্যে আছে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন,
নরওয়ে এবং ডেনমার্ক এই দেশগুলোতে উচ্চমানের আয় করার সুযোগ আছে এবং আছে জীবন
যাত্রার মান এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ভালো। তবে এ সকল দেশগুলোতে জীবন যাত্রার
খরচ অনেক বেশি হয়ে থাকে।
উত্তর আমেরিকাঃ যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় এই দেশগুলোতে অনেক উচ্চ আয়ের
সুযোগ আছে প্রবাসীদের জন্য এছাড়াও আছে জীবনযাত্রার মান ভালো ও নানা রকম কাজের
সুযোগ আছে। তবে এ সকল দেশগুলোতে প্রবেশ অধিকার পাওয়া একটু নয় অনেক কঠিন।
অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডঃ এই দেশগুলোতে আছে অনেক আয়ের সুযোগ
এছাড়াও এ সকল দেশের জীবনযাত্রার মান অনেক ভালো আছে পরিবেশ নিরাপদ এছাড়াও মনোরম
প্রাকৃতিক দৃশ্য এ সকল দেশগুলোতে বিদ্যমান। যেগুলো আপনার আয়ের পাশাপাশি আপনার
মানসিক ভাবে আপনাকে অনেক সুখে রাখবে।
মধ্যপ্রাচ্যঃ মধ্যবাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও
কুয়েত এছাড়াও আমরা তো আগে সৌদি আরবের কথা বলেছি এ সকল দেশগুলোতে আছে আয়ের অনেক
সুযোগ আছে কাজের অনেক সুযোগ ।
সিঙ্গাপুরঃ এশিয়ার একটি উন্নত দেশ হচ্ছে সিঙ্গাপুর এখানে উচ্চ আয়ের অনেক
সুযোগ আছে এছাড়াও দেশটির ভালো অবকাঠামো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো তবে
সিঙ্গাপুরে জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেশি হয়ে থাকে।
বাংলাদেশী প্রবাসীর সংখ্যা কত সৌদি আরব
বাংলাদেশের অনেক মানুষ কাজের জন্য সৌদি আরব যায়। এখানকার জীবন-যাপন ব্যবস্থা এবং
কাজের সুযোগ সুবিধা আছে অনেক এজন্য আমাদের বাংলাদেশের মতো অনেক দেশের মানুষ সৌদি
আরবে যায় কাজের জন্য। এদেশের বেতন ব্যবস্থাও অনেক ভালো। প্রায় ২৮ লক্ষ প্রবাসী
বাংলাদেশী মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করে থাকে আর যাদের অর্ধে কি সৌদি আরবে এবং চার
ভাগের এক ভাগ থাকে আরব আমিরাতে। বাংলাদেশীরা সাধারণত টেকনিশিয়ান, গৃহস্থালি
কর্মী, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী হিসেবে
মধ্যপ্রাচ্যে যায় আরো অনেক বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার ও চিকিৎসক হিসেবে
আছে এই দেশে। সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের সংখ্যা প্রায় ২৬ মিলিয়ন হতে পারে এটা
আনসোর্স উপাদান চ্যালেঞ্জ ও সরানো হতে পারে। বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মীদের জন্য
একটা শীর্ষ গন্তব্য দেশ হচ্ছে এই সৌদি আরব ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে প্রায়
১০০,০০০ সৌদি আরবে অভিবাসন হিসেবে বাস করেছেন। বর্তমান সময়ে এখন তা আরও বৃদ্ধি
পেয়েছে। বর্তমানে সৌদি আরবে বাংলাদেশের
প্রায় ২০ লক্ষ লোক বৈধভাবে কাজ করছেন এছাড়াও আরো অবৈধভাবে আছে প্রায় ১০ লক্ষ
লোক। সৌদি আরবে বাংলাদেশ ঈদের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ২৬ মিলিয়ন। সৌদি আরবে
বেশিরভাগ বাংলাদেশী কাজ করে সেবা শিল্পে। সৌদি আরবের মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশই
হচ্ছে প্রবাসী। সৌদিতে বাংলাদেশী প্রবাসীরা আছে অনেক বেশি আর এদিক থেকে বাংলাদেশী
প্রবাসীদের অবস্থান অনুযায়ী সৌদি আরবের সংখ্যা হচ্ছে তৃতীয় স্থানে।
ইউরোপের কোন দেশে বাংলাদেশী বেশি
ইউরোপের কোন দেশে বাংলাদেশী শ্রমিক বেশি আছেন এ বিষয়ে হয়তো অনেকেই জানেন না
আজকে আপনারা আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন ইউরোপের কোন দেশে বাংলাদেশী
বেশি এই বিষয়ে। ইউরোপ মহাদেশে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি বাস করেন
যুক্তরাজ্যে।ব্রেক্সিটের পর থেকে দেশটি আর ইইউর অংশ না হওয়ার জন্য ইতালিতে এখন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান বাংলাদেশী কমিউনিটির বসবাস। ইউরোপের দেশ ইতালিতে
বাংলাদেশীরা আসা শুরু করে ৯০ এর দশকে তবে
এটা পরে তীব্র হয় ২০০০ এর দশকে এসে। ইউরোপের বাইরের দেশগুলো থেকে আশা অভিবাসীদের
সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশীরা এখন ইতালিতে অষ্টম সর্বোচ্চ। এই তথ্যটি এসেছে চলতি
বছরের জুলাইয়ে ইতালির শ্রম এবং সামাজিক পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
প্রতিবেদন থেকে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সর্বশেষ
সমীক্ষা অনুযায়ী ইতালিতে নিয়মিতভাবে বাস করছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৬৫২ জন
বাংলাদেশে অভিবাসী। আর এটা ইইউ ভুক্ত দেশগুলোর
মধ্য সর্বোচ্চ।ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়েছে যে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
বাংলাদেশী অভিবাসীরা থাকেন ফ্রান্সে ও তৃতীয় প্রধান দেশ হচ্ছে স্পেন। ২০০২ সালে
ইতালিতে বাংলাদেশের শ্রমিক জনসংখ্যা ছিল ২২ হাজার। অর্থাৎ এটা ২০ বছর পরে এসে এই
সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাত গুণ । প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে
ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে নিজ দেশের অর্থনীতিতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইতালি থেকে যে সকল দেশে অভিবাসী রেমিটেন্স
পাঠিয়ে থাকেন তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে তৃতীয়। ইতালি থেকে পাঠানো মোট
রেমিটেন্সের প্রায় ১৫ শতাংশ যায় আমাদের বাংলাদেশ এ। বাংলাদেশ থেকে যে সকল কারণে
ইতালিতে বাংলাদেশরা স্থায়ী হচ্ছেন সেগুলোর কারণ গুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যা এছাড়াও অর্থনীতির নাযক অবস্থা এবং
জলবায়ু পরিবর্তন
এর কারনে আর এ সকল কারণগুলো প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন ইতালির কর্তৃপক্ষ।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো তার এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছে
ইউরোপের কোন দেশে নাগরিকত্ব সহজে পাওয়া যায় এবং প্রবাসীদের জন্য কোন কোন দেশ
ভালো এ বিষয়গুলো ছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয়ে যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে
পারবেন আশা করি। আপনাদের যদি এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে আপনারা অবশ্যই এই
পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন এবং কমেন্টে জানাবেন। আরো নতুন তথ্য পেতে আমার সঙ্গে
থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url