ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের লোন নেওয়ার উপায় জানুন
আসসালামু আলাইকুম,আমার এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের লোন নেওয়ার উপায় এবং ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম। এ সকল
বিষয়গুলো ছাড়াও আরো অনেক বিষয়ে আমার এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো জানার
জন্য আপনাদেরকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ করছি।
আজকে আপনারা আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন ইসলামী ব্যাংক সরকারি
চাকরিজীবীদের লোন নেওয়ার উপায় এবং ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সহ ইসলামী
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে এবং
ইসলামী ব্যাংক কি কি খাতে লোন দিয়ে থাকে ইত্যাদি এ সকল বিষয়ে। আশা করি আপনারা
এই সকল বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং সঠিক তথ্য জানতে পারবেন এজন্য শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা-ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের লোন নেওয়ার উপায় জানুন
বর্তমান সময়ে এখন অনেক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি চাকরিজীবীদের
বিশেষ সুযোগ সুবিধা এবং সুদের হার কম এ সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে লোন
দিয়ে থাকে। আর ইসলামী ব্যাংক ও সরকারি চাকরিজীবীদের লোন দিয়ে থাকে। ইসলামী
ব্যাংকে আপনারা কিভাবে একটা একাউন্ট খুলবেন এবং একাউন্ট খুলতে হলে আপনাদের কি কি
কাগজপত্রের দরকার হবে এবং কত টাকা দরকার হবে এ সকল বিষয়ে জানতে পারবেন আমার এই
পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে। ইসলামী ব্যাংকের সরকারি চাকরিজীবীদের লোন পাওয়ার
ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক থেকে চাকরির বয়স এক বছর হতে হবে। আর সরকারি চাকরিজীবীদের
লোনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে তাদের বেতন এর ওপরে। ইসলামী ব্যাংক সরকারি
চাকরিজীবীদের বিভিন্ন খাতে লোন দিয়ে থাকে আর সেগুলো হচ্ছে বাড়ি নির্মাণ বা
বাড়ি সংস্কার করার জন্য, গাড়ি কেনার জন্য, শিক্ষা লোন ও ব্যবসায়িক লোন ইত্যাদি
লোন গুলো দিয়ে থাকেন। এই বিষয়ে অর্থাৎ ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের লোন
নেওয়ার উপায় সম্পর্কে নীচে আরও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে যেটা আপনারা
পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের লোন নেওয়ার উপায় জানুন
আপনারা যদি চান তাহলে ইসলামী ব্যাংক থেকে সহজে বিভিন্ন খাতের ওপরে লোন নিতে
পারেন। ইসলামিক ব্যাংকের সাধারণত বিভিন্ন খাতে লোন দেওয়া হয়ে থাকে আর এ সকল
খাতগুলো হচ্ছে বাড়ি তৈরি, ব্যবসায়িক, কৃষি শিল্প এবং ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি
খাতে। আর আপনি যদি একজন সরকারি চাকরিজীবী হন তাহলে আপনি সহজে ইসলামী ব্যাংক থেকে
লোন সুবিধা পেতে পারেন। আর চাকরিজীবীদের জন্য লোনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়ে
থাকে তাদের বেতন এর ওপর নির্ভর করে। অন্যান্য যে কোন ব্যাংকের তুলনায়
ইসলামিক
ব্যাংকে লোন এর মাধ্যমটা একেবারে ভিন্ন এজন্য অনেকেই লোন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন
সমস্যায় পড়েন। প্রথমত ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে লোন এর পরিবর্তে ইনভেস্টমেন্ট শব্দটি
ব্যবহার করে থাকেন। অর্থাৎ এখানে ইসলামী ব্যাংক আপনাকে লোন নয় ইনভেস্ট করবে আর
আপনি সেখান থেকে লাভবান হবেন। বিষয়টা এভাবেই রয়েছে আর আপনারা আমার এই
আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন ইসলামিক ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের লোন নেওয়ার
উপায় এবং ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন সুবিধা পাবেন আপনারা কিভাবে এ সকল বিষয়
সম্পর্কে।
ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের লোন
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক থেকে চাকরির বয়স
এক বছর হতে হবে অবশ্যই। কেন কমপক্ষে সেটার এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে আপনার।
যদি আপনি আপনার চাকরির বেতন ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহণ করেন তাহলে আপনাকে সর্বশেষ
ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে আপনি যখন ঋণ আবেদন করবেন তখন এই দিন
আবেদন ফরম এর সাথে। আর যদি আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনুসারে এক বছর এর চাকরির
অভিজ্ঞতা দেখান তবে
আপনাকে সেখানে সেটা গ্রহণযোগ্য করা হবে না। শিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার অথবা ডাক্তার যারা
আছেন তাদের ক্ষেত্রেও একই একই প্রতিষ্ঠানে অন্তত পক্ষে এক বছর চাকরির অভিজ্ঞতা
দেখাতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের লোন নেওয়ার পদ্ধতি
আপনারা যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাদের নিম্নোক্ত
বিষয়গুলো ফলো করতে হবে বা জানতে হবে
- লোন নেওয়ার সময় আপনাদেরকে ইসলামী ব্যাংকের যেকোনো একটা ব্রাঞ্চে যেতে হবে অবশ্যই।
- আপনি কিসের জন্য বা কি কাজের জন্য লোন গ্রহণ করবেন সেটা সম্পর্কে তাদের সাথে অর্থাৎ ইসলামিক ব্যাংকের সঙ্গে আলাপ করে নিতে হবে।
- ব্রাঞ্চে যাওয়ার আগে আপনাদের চাকরির প্রমাণপত্র এছাড়াও বেতনের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি এগুলো সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।
- আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্র, ছবি এবং যাবতীয় সকল ব্যক্তিগত তথ্য আপনাদেরকে সাথে নিয়ে যেতে হবে।
যদি আপনাদের বেতন ৫০ হাজার টাকার ওপরে হয়ে থাকে তাহলে ১০ লাখ টাকার বেশি লোন
গ্রহণ করতে পারবেন আপনারা তবে যদি বেতন কম হয় তাহলে আপনারা ১০ লাখ টাকার কম লোন
নিতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক পার্সোনাল লোন
আপনারা অনেকেই আছেন যারা ইসলামী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে যাচ্ছেন তবে
ইসলামী ব্যাংক থেকে কোন প্রকারের পার্সোনাল লোন নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। আপনারা
ইসলামী ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত কাজের জন্য আপনার বাড়ি তৈরীর লোন এবং ব্যবসার কাজ
করার জন্য লোন নিতে পারবেন। আপনারা এই দুইটি লোন যেভাবে নিবেন সেগুলো বলা হলো।
ইসলামী ব্যাংক হাউজহোল্ড ইনভেস্টমেন্ট
আমরা আগেই বলেছি যে ইসলামী ব্যাংক লোন প্রদান করে থাকে না বরং এরা ইনভেস্ট করে।
এজন্য আমরা লোন শব্দটি ব্যবহার করব না। ইসলামী ব্যাংক থেকে আপনারা যদি বাড়ি
তৈরির জন্য ইনভেস্টমেন্ট করে থাকেন অথবা বাড়ির নির্মাণ এছাড়াও আপনারা যদি বাড়ি
সংস্কার করার জন্য ইনভেস্টমেন্ট নেওয়ার জন্য আপনাদেরকে আর্থিকভাবে সচ্ছল এমন
দুইজন ব্যক্তির গ্যারান্টার দিতে হবে। আপনারা নতুন বাড়ি তৈরি করার জন্য ৩০ লাখ
টাকার মত ইনভেস্টমেন্ট নিতে পারবেন
আর আপনারা যদি পুরাতন বাড়ি সংস্কার করতে চান তাহলে আপনারা এর জন্য ১০ লাখ টাকার
মত ইনভেস্টমেন্ট নিতে পারবেন। আর এই লোনের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাদের যে সকল
ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলো হল
- এনইসি লাগবে
- নামজারি রশিদ, ডি সি আর এবং খতিয়ান নাম্বার
- এসএ, সিএস এবং বিএস খতিয়ান
- বায়া দলিল।
আপনারা উপরের এই সকল ডকুমেন্টস এবং গ্যারান্টার দিয়ে তারপরে যদি আবেদন করেন আর
আবেদন করার পরে যদি আপনারা ইনভেস্টমেন্ট পাওয়ার উপযুক্ত হন তাহলে আপনারা বাড়ি
তৈরি করার জন্য এবং বাড়ির সংস্কার করার জন্য ইনভেস্টমেন্ট পাবেন।
ইসলামী ব্যাংক বিজনেস লোন
আপনারা ইসলামী ব্যাংক এর মাধ্যমে সহজে আপনার ব্যবসার জন্য ইনভেস্টমেন্ট সুবিধা
নিতে পারবেন। ব্যবসায়ীদের জন্য লোনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে ব্যবসার ধরন
এবং জমির পরিমাণ ইত্যাদি এগুলোর ওপর নির্ভর করার মাধ্যমে। আর আপনাদের ব্যবসার
কাজের জন্য ইন্টারেস্টমেন্ট পেতে যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজ লাগবে সেগুলো হলো
- ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট
- আপনার ব্যবসার সকল কাগজপত্র এবং প্রমাণপত্র
- জমির দলিল
- আপনার ব্যক্তিগত সকল ডকুমেন্ট।
- ইসলামী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট
ইসলামী ব্যাংক এর লোন এর ইন্টারেস্ট রেট কত হবে এ বিষয়টা আপনাকে অবশ্যই ব্রাঞ্চ
থেকে জেনে নিতে হবে। আর এই তথ্য মতে ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেট হচ্ছে
- পার্সোনাল লোন-১৬%
- হোম লোন-৯%
- স্টুডেন্ট লোন-১২.৫%
- কার লোন-১৬%
- এস এম ই লোন-১২%
আপনাকে সঠিকভাবে আপনার লোন অনুযায়ী ইন্টাররেস্ট এর পরিমাণটা জানতে হলে অবশ্যই
ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে আর এ বিষয়ে আপনাকে সঠিক নিয়মটাই জানতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক স্যালারি লোন
আপনারা ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে স্যালারি লোন গ্রহণ করতে পারবেন। যদি আপনারা
ইসলামী ব্যাংক এর মাধ্যমে প্রতি মাসের স্যালারি গ্রহণ করে থাকেন তবে আপনাদেরকে এই
লোনের জন্য প্রতি মাসে আপনাদের স্যালারি থেকে আপনার সেই লোন এর কিস্তির টাকা
অর্থাৎ কিস্তি অটোম্যাটিক কেটে নেওয়া হবে।
ইসলামী ব্যাংক লোন পরিশোধ করার নিয়ম
ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করার পরে বা যদি আপনারা ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন
নিয়ে থাকেন তাহলে প্রতি মাসে নির্ধারিত একটা তারিখের মধ্যে আপনাকে অবশ্যই
ব্যাংকে গিয়ে সেই লোন পরিশোধ করতে হবে। আর যদি আপনি স্যালারি লোন গ্রহণ করে
থাকেন তাহলে আপনার বেতন থেকে ব্যাংক নির্ধারিত টাকার পরিমাণ কেটে নিবে। আপনারা
কিভাবে লোন পরিশোধ করবেন এটা একান্তই আপনাদের ব্যক্তিগত বিষয়। এছাড়াও লোন
পরিশোধ করার ভালো পদ্ধতি জানার জন্য অবশ্যই আপনাদেরকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এর সাথে
আলোচনা করে নিলে ভালো হবে বা আপনারা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এর কাছে গিয়ে আলোচনা করতে
পারেন।
ইসলামী ব্যাংক কি কি খাতে লোন দিয়ে থাকে
ইসলামী ব্যাংক অনেকগুলো খাতে লোন দিয়ে থাকে আর এই বিভিন্ন খাতে ইসলামী ব্যাংক
শরিয়াহ ভিত্তিক লোন প্রদান করে থাকে যেটা সুদমুক্ত ও ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ম মেনে
পরিচালিত করা হয়ে থাকে। এরা মুরাবাহা,ইজারা, মুশারাকা, এবং মুদারাবা পদ্ধতিতে
লোন দিয়ে থাকে। প্রতিটা লোনের পরিমাণ, সময়কাল ও শর্তাবলী নির্ভর করার মাধ্যমে
লোনের ধরন, গ্রাহকের প্রয়োজন ও ব্যাংকের নীতির উপর। নিচে আপনাদের সুবিধার্থে
জন্য বিভিন্ন খাত এবং লোনের পরিমাণ, সময় কাল ও পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হল
ব্যক্তিগত লোন (Personal Loan):
- লোনের উদ্দেশ্যঃ বাড়ি নির্মাণ, গাড়ি কেনার জন্য এবং জরুরি খরচ বা প্রয়োজনে যেমন চিকিৎসা শিক্ষা এবং বিবাহ ইত্যাদি।
- লোনের পরিমাণঃ ৫০,০০০ টাকা থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে এটা নির্ভর করে গ্রাহকের আয় ও ব্যাংকের শর্তাবলির ওপরে।
- মেয়াদঃ সাধারণত ১ থেকে ১০ বছর।
- পদ্ধতিঃমুরাবাহা (পণ্য ক্রয়-বিক্রয়) বা ইজারা (লিজিং) পদ্ধতিতে।
বাড়ি নির্মাণ অথবা ক্রয় লোন (Home Financing):
- লোনের উদ্দেশ্যঃ বাড়ি নির্মাণ, ক্রয় অথবা কোন বাড়ি সংস্কার অথবা পুনরনির্মাণ করার জন্য।
- লোনের পরিমাণঃ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
- মেয়াদঃ ৫ থেকে ২৫ বছর সময়।
- পদ্ধতিঃমুরাবাহা বা ইজারা ভিত্তিক লোন।
ব্যবসায়িক লোন (Business Loan):
- লোনের উদ্দেশ্যঃ ব্যবসায়ী কোন পণ্য ক্রয়, সম্পদ বৃদ্ধি এবং পুঁজিবি বিনিয়োগ।
- লোনের পরিমাণঃ এক লক্ষ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
- মেয়াদঃ ১ থেকে ৭ বছর সময়।
- পদ্ধতিঃমুরাবাহা (পণ্য কেনাবেচা), মুশারাকা (লাভ-ক্ষতি ভিত্তিক অংশীদারিত্ব), মুদারাবা (পুঁজি বিনিয়োগ)।
শিক্ষা লোন বা এডুকেশন লোন
- লোনের উদ্দেশ্যঃ উচ্চ শিক্ষার খরচ মেটানোর জন্য।
- লোনের পরিমাণঃ ৫০,০০০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
- মেয়াদঃ ৩ থেকে ১০ বছর।
- পদ্ধতিঃমুরাবাহা ভিত্তিক।
কৃষি লোন বা এগ্রিকালচার লোন
- লোনের উদ্দেশ্যঃ কৃষি পণ্য উৎপাদন করার জন্য, গবাদি পশু পালন এবং কৃষি সরঞ্জাম কেনার জন্য।
- লোনের পরিমাণঃ ১০,০০০ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
- মেয়াদঃ ১ থেকে ৫ বছর সময়।
- পদ্ধতিঃ মুদারাবা (বিনিয়োগ) বা মুরাবাহা ভিত্তিক।
রিয়েল এস্টেট লোন (Real Estate Loan):
- লোনের উদ্দেশ্যঃ বাণিজ্যিক অথবা আবাসিক সম্পত্তি ক্রয় বা নির্মাণ করার জন্য।
- লোনের পরিমাণঃ ৫ লক্ষ থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
- মেয়াদঃ ৫ থেকে ২০ বছর।
- পদ্ধতিঃইজারা (লিজিং) বা মুশারাকা ভিত্তিক।
বিদেশি বাণিজ্য লোন (Foreign Trade Financing):
- লোনের উদ্দেশ্যঃ আমদানি রপ্তানি খাতে ব্যবসায়ীক খরচ করার জন্য।
- লোনের পরিমাণঃ এটা নির্দিষ্ট নয় ব্যবসার প্রকৃতি ও বিনিয়োগের পরিমাণ অনুযায়ী এটা ভিন্ন হতে পারে।
- মেয়াদঃ ১ থেকে ৫ বছর সাধারণত।
- পদ্ধতিঃ মুরাবাহা, মুশারাকা, ইজারা, মুদারাবা পদ্ধতিতে।
গাড়ি ক্রয় লোন (Car Loan):
- লোনের উদ্দেশ্যঃ ব্যক্তিগত অথবা বাণিজ্যিক গাড়ি কেনার জন্য।
- লোনের পরিমাণঃ এক লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
- মেয়াদঃ ৩ থেকে ৭ বছর সময়।
- পদ্ধতিঃ ইজারা পদ্ধতি।
লোন পাওয়ার শর্তাবলী:
- এখানে গ্রাহকের মাসিক আয় এর ওপর ভিত্তি করে অর্থাৎ মাসিক আয়ের ভিত্তিতে লোনের পরিমাণটা নির্ধারিত করা হয়ে থাকে।
- লোন এর আবেদনকারীর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র, আয় এর সনদপত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এছাড়াও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য বা নথি থাকতে হবে।
- লোন প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা ও সম্পত্তি জামানত হিসেবে বিবেচিত করা হতে পারে।
- এই লোনগুলা শরিয়াহ্ মোতাবেক পরিচালিত করা হয়ে থাকে ও সুদের পরিবর্তে মুনাফা আদায় করা হয়ে থাকে।
ইসলামী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
আপনারা যদি ইসলামী ব্যাংকে একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনাদের ন্যূনতম
ডিপোজিট ফি প্রদান করতে হবে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। আপনারা এখান থেকে কখনো ৫০০ টাকা
উত্তোলন করতে পারবেন না। আর আপনারা মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে ইসলামী ব্যাংকে
স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
আমরা অনেকেই জানিনা যে ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হলে কি কি লাগে অথবা কি কি
কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কে। আজকে আপনারা আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে ইসলামী
ব্যাংকে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে আপনাদের কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সে
সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে আপনারা জেনে নিন ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি
লাগে এ বিষয়ে নিচের পয়েন্ট গুলো থেকে জানতে পারবেন।
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ড আর যদি আবেদনকারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হয় তাহলে তার জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি লাগবে।
- আবেদনকারীর ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পাসপোর্ট এর কপি লাগবে।
- আবেদনকারীর দুই কপি রঙিন ছবি পাসপোর্ট সাইজের তবে এই ছবিগুলো সদ্য তোলা হতে হবে।
- এছাড়াও আরো লাগবে নোমিনীর জাতীয় পরিচয় পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি।
- নোমিনীর এক থেকে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি আর এগুলো সদ্য তোলা হতে হবে।
- প্রয়োজনের ক্ষেত্রে দরকার হবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স/ই-টিন সার্টিফিকেট।
- অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রয়োজন হবে গার্ডিয়ান এর তথ্য।
- এছাড়াও বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন হতে পারে নাগরিক সনদপত্র এর।
- এগুলো ছাড়া প্রয়োজন হবে একাউন্ট তৈরি করার পরে ন্যূনতম একটা ডিপোজিট ফি এর।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
আমরা অনেকে আছি যারা এখনো ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানিনা। আর
যারা জানেনা তারা আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন কিভাবে আপনারা
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন সে সকল নিয়ম এবং ইসলামী ব্যাংকের একাউন্টের
ধরন সম্পর্কে। ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনাদের CellFin অ্যাপসটিতে
প্রবেশ করার পরে Open A/C অপশনে প্রবেশ করতে হবে। তারপরে আপনাদেরকে সেলফিন
একাউন্টের ছয় ডিজিট এর পিন নাম্বার
বসিয়ে দিতে হবে। তারপরে আপনাদেরকে Branch ও Personal information সেট করতে হবে।
এরপরে সিলেট একাউন্ট টাইপ (Select account type) এখান থেকে আপনাদেরকে ইসলামী
ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ধরন নির্বাচন করতে হবে এবং নমিনের সকল ইনফরমেশন বা তথ্য
প্রদান করতে হবে। উপরের তথ্যগুলো পুনরায় চেক করে আপনারা কনফার্ম বাটনে ক্লিক
করবেন আর এভাবে আপনার ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চালু হয়ে যাবে। আপনারা যদি অনলাইন
থেকে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলে থাকেন তাহলে আপনারা কোন ধরনের চেক ও কার্ড
পাবেন না। এগুলো নেয়ার জন্য আপনাদেরকে আপনার এনআইডি কার্ড নিয়ে আপনাকে সেই
ব্যাংকে অর্থাৎ ইসলামী ব্যাংকের যোগাযোগ করে টাকা ডিপোজিট করার মাধ্যমে চেকবুক
এবং কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে। এখানে আমি আপনাদের সংক্ষিপ্ত আকারে ইসলামী
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বলেছি। এবার চলুন ইসলামী ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম অর্থাৎ আপনারা কিভাবে সেলফিন এপ্সটিতে গিয়ে কিভাবে
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন সে বিষয়ে আপনাদের বলব
ইসলামী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কত প্রকার
বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকে আপনারা তিন ধরনের একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন অর্থাৎ
ইসলামী ব্যাংকে তিন ধরনের একাউন্ট তৈরি করা হয়ে থাকে বা করা যায়। আর সেগুলো
হচ্ছে
- স্টুডেন্ট একাউন্ট
- সেভিংস একাউন্ট
- কারেন্ট একাউন্ট
সেলফিন এর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
এর মাধ্যমে আপনারা ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলে প্রথমে আপনাদেরকে গুগল
প্লে স্টোর থেকে সেলফিন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। তারপরে
সেলফিন অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম এই লেখাটি যে জায়গায় আছে সেই লেখাটি দেখে আপনারা
একটা সেলফিন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিবেন। আপনারা সেলফিন অ্যাকাউন্ট ব্যতীত ইসলামী
ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না। এখন আপনাদেরকে স্টেপ টু স্টেপ দেখানো হলো
নিচে
স্টেপ ১ঃ সেলফিন অ্যাপস এ প্রবেশ করুন
আপনারা সঠিক তথ্য দেয়ার মাধ্যমে সেলফিন অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে পুনরায় আবার
সেলফিন অ্যাপস এ প্রবেশ করুন। তারপরে Open A/C অপশনে প্রবেশ করতে হবে। Open A/C
প্রবেশ করার পরে আপনাদেরকে সেলফিন একাউন্টের পিন নাম্বার দিতে হবে। এখানে আপনারা
অ্যাকাউন্ট তৈরি করা সময়ে যে পিন নাম্বার সেট করেছিলেন সেটা দিতে হবে। তারপরে
আপনারা সাবমিট (SUBMIT) বাটনে ক্লিক করবেন।
স্টেপ ২ঃ ব্রাঞ্চ এবং পার্সোনাল ইনফরমেশন প্রদান করুন
এই ধাপে প্রথমে আপনাদেরকে ব্যাংক ব্রাঞ্চ সিলেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে
ব্রাঞ্চের আওতায় একটা ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন সেটা সিলেক্ট করতে
হবে। তারপরে আপনাকে যথাক্রমে আপনার
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- আপনার বৈবাহিক অবস্থান
- আপনার মাসিক ইনকাম
- আপনার ইনকাম করার মাধ্যম এবং প্রফেশন
- আপনার লোকেশন অর্থাৎ (বাসা, ফ্লাট, রোড)
- আপনার থানা এবং জেলা
- আপনার পোস্ট কোড।
এই তথ্যগুলো আপনাকে যথাযথভাবে বসিয়ে দিতে হবে। তারপরে আপনি পুনরায় উপরের
তথ্যগুলো ভালোভাবে চেক করার মাধ্যমে নেক্সট (NEXT) বাটনে ক্লিক করবেন। আপনার
ওপরের এই তথ্যগুলো অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী
বসাতে হবে আপনাকে। আপনি নেক্সট (NEXT) বাটনে ক্লিক করার পরে কিছু সময় আপনাকে
অপেক্ষা করতে হবে। এরপরে আপনি উপরে যে তথ্যগুলো দিয়েছেন সেগুলো পুনরায় আপনার
সামনে আবার আপনাকে দেখানো হবে। এই তথ্যগুলো যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে আপনি
Confirm বাটনে ক্লিক করবেন।
স্টেপ ৩ঃ একাউন্টের ধরন নির্বাচন করুন
এই ধাপে আপনাকে ইসলামিক ব্যাংকে আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন
সেটা নির্বাচন করতে হবে। সাধারণত আমরা ইসলামী ব্যাংকে তিন ধরনের অ্যাকাউন্ট
রেজিস্টার করতে পারি। আর সেগুলো হচ্ছে সেভিংস একাউন্ট, কারেন্ট একাউন্ট এবং
স্টুডেন্ট একাউন্ট। আপনারা সেলফিন অ্যাপ এর মধ্যে Select account type এই ধাপে
আপনারা সকল অ্যাকাউন্ট তৈরি করা সম্পর্কে অর্থাৎ এ সকল অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে
বিস্তারিত দেখতে পাবেন। আপনি আপনার প্রয়োজন
অনুযায়ী অ্যাকাউন্টের ধরন নির্বাচন পারবেন। আপনার পছন্দ অনুযায়ী একাউন্টের ধরন
নির্বাচন করার জন্য আপনি Select account type থেকে আপনার পছন্দের টাইপের একাউন্টে
থাকা সিলেক্ট (Select) বাটনে ক্লিক করুন।
স্টেপ ৪ঃ নমিনির তথ্য প্রদান করুন
এইভাবে আপনাকে নমিনির ভোটার আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী সকল তথ্য
প্রদান করতে হবে। সেলফিন অ্যাপস এ নমিনির যে সকল তথ্য প্রয়োজন হয় সেগুলো হল
- নমিনির নাম
- নমিনির পিতার নাম
- নমিনির মাতার নাম
- নমিনির আইডি নাম্বার অর্থাৎ তার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার অথবা ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার
- নমিনির এর সাথে আপনার কি সম্পর্ক সেই সম্পর্কের নাম
- নমিনির সম্পূর্ণ ঠিকানা অর্থাৎ তার জেলা, থানা ও পোস্টকোড এগুলো
- নমিনির ছবি এবং তার ভোটার আইডি কার্ডের ছবি আপলোড করার প্রয়োজন হয়।
Choose File এর ওপরে ক্লিক করার পরে প্রথমে নমিনের জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা তার
পাসপোর্ট এর ছবি আপলোড করতে হবে। তারপরে Choose File এর ওপরে এসে সেখানে ক্লিক
করে নমিনীর একটা স্পষ্ট এবং সুন্দর ছবি আপলোড করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড বা
পাসপোর্ট এর ছবি ও নমিনির ছবিটি অবশ্যই স্পষ্ট ক্লিয়ার থাকতে হবে। অন্যথায়
আপনাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আইডেন্টি ভেরিফাই কমপ্লিট হবে না। পুনরায় আবার ওপরের
তথ্য গুলো ভালোভাবে চেক করার মাধ্যমে
নেক্সট (NEXT) বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপরে আপনার সামনে নমিনির সকল তথ্যগুলো
আবার দেখাবে সেগুলো ভালোভাবে চেক করে আপনি এখান থেকে Confirm বাটনে ক্লিক করবেন।
তারপরে আপনার সামনে “Bank account open successfully!” লেখা একটা পেজ ওপেন হবে।
অভিনন্দন আপনাদের ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলা সম্পূর্ণ হয়েছে এবং আপনারা এখান
থেকে আপনাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যে নাম্বার সেই নাম্বারটি সংগ্রহ করে নিতে
পারবেন। তারপরে আপনারা
আবার পুনরায় সেলফিন অ্যাপস এ প্রবেশ করে Bank A/C অপশনে প্রবেশ করবেন। প্রবেশ
করার পরে দেখতে পাবেন আপনি সবার ওপরে আপনার সদ্য চালু হওয়া বাংলাদেশ ইসলামী
ব্যাংক একাউন্টের তথ্যগুলো।
স্টেপ ৫ঃ ব্যাংকের চেক এবং কার্ড সংগ্রহ
আপনারা যদি অনলাইনের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চালু করেন তাহলে একাউন্ট চালু
করার পরে আপনারা কিন্তু কোন ধরনের চেক বই অথবা কার্ড পাবেন না। আর যদি আপনারা
আপনার একাউন্টের উপরে ভিত্তি করে ব্যাংকের চেক এবং কার্ড এখানে আপনারা ডেবিট
কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে নিতে চান তাহলে নির্ধারিত ব্রাঞ্চে আপনাদেরকে
যোগাযোগ করতে হবে। আপনারা অবশ্যই সেই ব্রাঞ্চে যাওয়ার আগে সর্বনিম্ন ডিপোজিট কে
আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। তারপরে আপনারা ব্যাংকে
সরাসরি
উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ফ্রম এবং তথ্যাদি পূরণ করার মাধ্যমে কার্ড ও
চেক বুকের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সেখানে গিয়ে আবেদন করবেন। পরবর্তী সময়ে
এগুলো রেডি হলে নির্ধারিত ব্রাঞ্চ থেকে আপনারা সেগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনারা চেক বই এবং কার্ড ব্যতীত সেলফিন অ্যাপস এর সাহায্যে সহজেই আপনার
যাবতীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন। আপনারা এই সেলফিন অ্যাপস এর
মাধ্যমে উপভোগ করতে পারবেন ফান্ড ট্রান্সফার এবং ফান্ড উইথড্রসহ সকল প্রকার সেবা।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট ফরম
আপনারা যদি সরাসরি ব্যাংক ব্রাঞ্চে গিয়ে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে চান
তাহলে আপনাদের একটা একাউন্ট ওপেনিং ফরম প্রয়োজন হবে। আপনারা চাইলে সরাসরি অনলাইন
থেকেও একাউন্ট ওপেনিং ফরম (Account Opening Form) টা ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
এছাড়াও আপনারা সরাসরি আপনাদের সেই নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংক ব্রাঞ্চে গিয়েও এই
ফরমটি সংগ্রহ করতে পারেন। আপনারা সেখানে গিয়ে আপনাদের সঠিক তথ্যগুলো দিয়ে
ফর্মটি পূরণ করে ইসলামী ব্যাংক এর শাখায় জমা দেওয়ার মাধ্যমে ও নতুন ইসলামী
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন।
সরকারি চাকরিজীবীদের লোন সুবিধা ২০২৪
আপনারা উপরের আলোচনা থেকে ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের লোন নেওয়ার উপায়
এবং ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন এখন আপনারা জানবেন সরকারি চাকরিজীবীদের লোন সুবিধা ২০২৪ সম্পর্কে। ২০২৪
সালে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য অনেক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদেরকে বিশেষ
লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে আর এসব গোল লোন সাধারণত কম সুদের হারে এবং
সহজ শর্তে এবং দীর্ঘমেয়াদী লোন পরিশোধের সুযোগ সহ আরো অনেক সুযোগ দিয়ে থাকে।
সরকারি কর্মচারীদের জন্য লোনের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো নিজে আলোচনা করা হলো
সুদের হার
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার সাধারণত কম হয়ে থাকে বেসরকারি চাকরিজীবীদের তুলনায়।
- সুদের হার প্রায় ৭% থেকে ৯ শতাংশ এর মধ্যে হয়ে থাকে। তবে এটা ব্যাংক ভেদে এবং লোন এর ধরন অনুযায়ী কিছুটা ভিন্ন বা আলাদা হতে পারে।
লোন এর পরিমাণ
- লোন এর পরিমাণ সাধারণত সেই কর্মচারীর মাসিক বেতন ও তার পদমর্যাদার ওপরে নির্ভর করে থাকে।
- বেতনভিত্তিক লোন এর পরিমাণ হয়ে থাকে পাঁচ লক্ষ থেকে ত্রিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এটা ছাড়াও বাড়ি নির্মাণ অথবা আরও বড় মাপের লোন এর জন্য লোনের পরিমাণটা আরো বেশি হতে পারে।
লোনের ধরন
- পার্সোনাল লোনঃ ব্যক্তিগত খরচ মেটানোর জন্য যেমন ধরুন চিকিৎসা সন্তানের শিক্ষা বিবাহ অথবা অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনের খরচের জন্য।
- বাড়ি নির্মাণ বা ক্রয় লোনঃ বাড়ি নির্মাণ অথবা ফ্ল্যাট ক্রয় করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি লোন দেওয়া হয়ে থাকে।
- গাড়ির ক্রয় লোনঃ গাড়ি ক্রয় বা কেনার জন্য এই লোন দেওয়া হয়ে থাকে।
- বিনোদন অথবা ভ্রমণ লোনঃ ভ্রমণ লোন অথবা ভ্রমণ করতে খরচ মেটানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এখানে লোন দেওয়া হয়।
- শিক্ষা লোনঃ শিক্ষা লোন দেওয়া হয়ে থাকে সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্য।
পরিশোধনের সময়সীমা
- আপনি যে লোন নিবেন সেই লোনের পরিশোধন এর সময়সীমা সাধারণত হতে পারে ১ বছর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত।
- আপনি যদি বড় লোন নেন তবে সেক্ষেত্রে পরিশোধনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী সময়সীমা হতে পারে যেমন ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত।
জামানত
- সাধারণত সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ও সরকারি চাকরির নিরাপত্তা থাকার কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জামানতের দরকার হয় না।
- তবে যদি আপনারা কেউ কোন বড় মাপের লোন নিয়ে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে আপনার জমির দলিল অথবা আপনার সম্পত্তি জামানত হিসেবে রাখা যেতে পারে।
লোনের সুবিধা
- সহজ প্রক্রিয়াঃ সরকারি চাকরিজীবীদের আই নির্দিষ্ট হওয়ার জন্য ব্যাংকগুলো তাড়াতাড়ি ও সহজ প্রক্রিয়ায় লোন প্রদান করে থাকে।
- স্বয়ংক্রিয় কিস্তি কাটাঃ অনেক সময় দেখা যায় যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যাংকগুলোর শক্তি থাকে সে ক্ষেত্রে সেখানে বেতন থেকে সরাসরি সেই লোনের কিস্তি কেটে নেওয়া হয়ে থাকে।
- বীমা সুবিধাঃ অনেক ব্যাংক লোন এর সাথে জীবন বীমা অথবা দুর্ঘটনা বীমা এর সুবিধা প্রদান করে থাকে।
আবেদন প্রক্রিয়া
- আবেদন করার সময় আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র, তার বেতন সনদ, তার চাকরির প্রমাণপত্র ও ব্যাংকের নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে দিতে হবে।
- লোনের পরিমাণ, দরকারি সকল কাগজপত্র ও শর্তাবলী নির্ভর করে থাকে ব্যাংকের নীতিমালার উপরে।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বিশেষ ব্যাংক সুবিধা
- ইসলামী ব্যাংকঃশরিয়াহ্ ভিত্তিক লোন প্রধান সুবিধা।
- জনতা ব্যাংকঃ সরকারি ব্যাংক হিসেবে বিশেষ ছাড় ও সহজ শর্তে লোন প্রদান সুবিধা করে থাকে।
- সোনালী ব্যাংকঃ সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এরা সহজ পরিশোধ ও কম সুদের হারে লোন প্রদান করে থাকে।
- অগ্রণী ব্যাংকঃ সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এরা ব্যক্তিগত ও আবাসন লোনের বিশেষ সুবিধা প্রদান করে থাকে।
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য লোন নেওয়ার সুবিধা
- স্থায়ী আয় এর উৎস থাকার কারণে ব্যাংকগুলো কম ঝুঁকি নিয়ে লোন দিয়ে থাকে।
- সহজ শর্তে এরা বড় মাপের লোন পাওয়া সুবিধা প্রদান করে থাকে।
- দীর্ঘ মেয়াদী লোন পরিশোধ এর সুযোগ থাকার জন্য কিস্তি পরিশোধ করা সহজ হয়।
সরকারি চাকরিজীবীরা অথবা সরকারি কর্মকর্তারা এই সকল বিশেষ লোন সুবিধা থাকার কারণে
তাদের প্রয়োজন মত তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক প্রয়োজন গুলো সহজেই পূরণ করতে
পারে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো তার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর বা বোঝানোর
চেষ্টা করেছে ইসলামী ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের লোন নেওয়ার উপায় এবং ইসলামী
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম ছাড়াও আরো অনেকগুলো ইসলামী ব্যাংক এর বিষয়ে। আশা
করি আপনারা এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বিষয়গুলো জানতে অথবা বুঝতে পারবেন। আপনাদের
যদি এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন এবং
নতুন তথ্য পেতে প্রতিদিন ভিজিট করুন এছাড়াও কমেন্টে জানাতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url