কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো এ বিষয়ে জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আজকের আলোচ্য বিষয় হল কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো এবং
ফ্রিল্যান্সিং
কাজের জন্য ল্যাপটপ নাকি পিসি কোনটা ভালো এছাড়াও আরো অনেক টপিক আছে যেগুলো
সম্পর্কে আরো জানা-অজানা তথ্য দেওয়া হয়েছে। আর এ সকল বিষয়ে জানতে চাইলে
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
প্রথমে আমি আপনাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ করছি কারন আপনারা আমার এই
পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো এ বিষয়ে এবং
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য ল্যাপটপ নাকি পিসি কোনটা ভালো এছাড়াও আছে পুরাতন
ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় রাজশাহী এবং ঢাকা, কোন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ভালো ২০২৪
ইত্যাদি বিষয়ে। এ সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন মনোযোগ
সহকারে।
ভূমিকা-কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো
বর্তমান যুগ হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ আর এখন এর প্রযুক্তির যুগে এসে মানুষ ঘরে বসে
অনলাইনে নানা ধরনের কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করছে। মানুষ এখন ঘরে বসে ল্যাপটপ
এবং পিসি ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করছে। এখন ফ্রিল্যান্সিং কাজের অনেক ভাগ
আছে যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ডাটা এন্ট্রি, কনটেন্ট রাইটিং ও
ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি আরও নানা ধরনের কাজ। আর এ সকল কাজগুলো করার জন্য এখনো
অনেকে ল্যাপটপ অথবা পিছে ব্যবহার করে থাকছে। অনেকেই ব্যবহার করা সুবিধায় এবং বহন
করা
সুবিধার জন্য ল্যাপটপ আবার অনেকেই ভারি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়ার এর জন্য
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য পিসি ব্যবহার করছে। অনেকেই আবার ব্যবসায়িক কাজ করার
জন্য ব্যবহার করছে অনেক ভালো ব্র্যান্ডের ও মডেলের ল্যাপটপ। আপনারা নিচের আলোচনার
মাধ্যমে আরো ভালোভাবে এ সকল বিষয়ে বুঝতে পারবেন এজন্য আপনারা মনোযোগ সহকারে এই
পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। তাহলেই নিজের আলোচনার মাধ্যমে কোন কাজের জন্য কোন
ল্যাপটপ ভালো এ বিষয়ে জানতে পারবেন।
পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় রাজশাহী
আজকে আমার এই আলোচনার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয়
রাজশাহী সম্পর্কে। রাজশাহীতে এখন অনেক পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করা হয় এবং
এর জন্য বেশ কিছু জায়গা বা স্থান ও মাধ্যম আছে। রাজশাহী হচ্ছে একটি প্রযুক্তি
নির্ভর শহর এজন্য এখানে অনেক পুরাতন ল্যাপটপ কেনাবেচার চাহিদাও এখন বৃদ্ধি
পেয়েছে। নিজের রাজশাহীতে ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করার কিছু প্রধান স্থান বা
জায়গায় এবং পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো
লোকাল ইলেকট্রনিক মার্কেট
- সাহেব বাজার কম্পিউটার মার্কেটঃ রাজশাহীর বাজারে এখন অনেকগুলো কম্পিউটারের দোকান আছে যেখানে আপনারা নতুন ও পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারবেন এখানে এসকল ল্যাপটপ বিক্রি করা হয়। এ সকল মার্কেটে আপনারা সরাসরি মার্কেটে বা দোকানে গিয়ে ল্যাপটপগুলো যাচাই বাছাই করার মাধ্যমে কিনতে পারবেন আবার বিক্রিও করতে পারবেন।
- শিরোইল কম্পিউটার মার্কেটঃ রাজশাহীর শিরোইল এলাকায় অনেক কম্পিউটার সব আছে যেখান থেকে আপনারা সহজেই পুরাতন ও রিফারবিশড ল্যাপটপ কিনতে পারবেন আবার বিক্রিও করতে পারবেন।
অনলাইন প্লাটফর্ম
- Bikroy.com: এই bikroy.com প্ল্যাটফর্মটি হচ্ছে বাংলাদেশের সব জায়গায় পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করার জন্য খুবই জনপ্রিয়। রাজশাহী থেকে ও আপনারা এখানে সেলার এর বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে ল্যাপটপ কিনতে পারবেন অথবা নিজের ব্যবহৃত ল্যাপটপটি আপনি বিক্রি করতে পারবেন এখানে।
- OLX.com.bd:OLX-এ রাজশাহীর অনেক বিক্রেতা আছে যারা পুরাতন ল্যাপটপের বিজ্ঞাপন পোস্ট করে থাকেন আর আপনারা সেখান থেকে সহজেই ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন।
- ফেসবুক মার্কেটপ্লেসঃফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করার মাধ্যমে রাজশাহী শহরের আশেপাশের সেলার এর কাছ থেকে আপনারা সহজেই পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে অথবা বিক্রি করতে পারেন। আর এখানে সরাসরি চ্যাট করার মাধ্যমে আপনারা দরদাম করতে পারবেন।
ফেসবুক গ্রুপ
- Computer Buy Sell Rajshahi: রাজশাহীতে এখন পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করার জন্য অনেক ফেসবুক গ্রুপ আছে। আর আপনারা এই ধরনের গ্রুপে বিক্রেতা দের অফার দেখতে পারবেন ও নিজের ল্যাপটপ বিক্রির জন্য আপনি পোস্ট করতে পারবেন।
- Laptop Buy Sell Bangladesh: এটা সারা বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত হলেও আপনারা রাজশাহী থেকেও অথবা অনেকেই এখন রাজশাহী থেকে এখানে পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করে থাকে।
লোকাল কম্পিউটার দোকানঃ রাজশাহীর অনেক কম্পিউটার দোকানে পুরাতন ও
রিভারবিস্ট ল্যাপটপ বিক্রি করা হয়ে থাকে। অনেক সময় আবার দোকানে সেলার এর থেকে ও
পুরাতন ল্যাপটপ বেচাকেনা করা হয়। রাজশাহীর সাহেব বাজার, রাজশাহীর শিরইল ও
অন্যান্য প্রধান এলাকায় এ সকল ধরনের দোকান আছে।
রিফারবিশড ল্যাপটপ শোরুমঃ রাজশাহীতে এখন কিছু অনুমোদিত রিফারবিশড ল্যাপটপ
এর শোরুম আছে যেখানে আপনারা যাচাই-বাছাই করে এবং ওয়ারেন্টি সহ ল্যাপটপ কিনতে
পারবেন এখানে এ ধরনের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। এখানে অনেক রিফারবিশড ল্যাপটপ অনেক
সময় সস্তায় নতুনের চেয়ে এবং ভালো অবস্থায় যেতে পারে।
ব্যক্তিগত উৎসঃ আপনি আপনার অনেক পরিচিত ব্যক্তি অথবা বন্ধুর কাছ থেকেও
অনেক পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারেন অথবা বিক্রি করতে পারেন তাদের কাছে। রাজশাহী
শহরে যদি আপনাদের পরিচিতদের মধ্যে কেউ থাকে আর যদি সে ল্যাপটপ বিক্রি করে তাহলে
আপনি তার কাছ থেকে সাশ্রয়ী দামে সেই ল্যাপটপটি কিনতে পারেন।
পত্রিকা এবং বিজ্ঞাপনঃ আপনি স্থানীয় পত্রিকা ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুরাতন
ল্যাপটপ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে এবং ক্রেতা বিক্রেতাদের যোগাযোগ করার
মাধ্যমে পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন। এখন অনেক স্থানীয় পত্রিকা ও
বিজ্ঞাপনের মাঝেমধ্যে পুরাতন ল্যাপটপ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় ঢাকা
উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় রাজশাহী
এবার আপনারা জানতে পারবেন পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় ঢাকা সম্পর্কে। রাজশাহীর
মতো ঢাকাতেও এমন অনেক জনপ্রিয় স্থান এবং পদ্ধতি আছে যেখানে পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয়
বিক্রয় করা হয়। এখন অনেক জনপ্রিয় স্থান এবং পদ্ধতির আছে যেগুলো পুরাতন ল্যাপটপ
ক্রয় বিক্রয় করার জন্য প্রসিদ্ধ। এখানে আপনারা বিভিন্ন বিক্রেতা দের কাছ থেকে
সরাসরি ল্যাপটপ কিনতে অথবা বিক্রি
করতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় ঢাকাতে
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান বা জায়গা এবং মাধ্যম উল্লেখ করা হলো
লোকাল ইলেকট্রনিক মার্কেট
- IDB ভবন (IDB Bhaban), আগারগাঁওঃ এটা ঢাকার একটা অন্যতম বড় ইলেকট্রনিক্স মার্কেট যেখানে আপনারা পুরাতন এবং নতুন সকল ধরনের ল্যাপটপ পাবেন এখানে অনেক দোকান আছে।
- মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার, পান্থপথঃ মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার কম্পিউটার এর জন্য অনেক বিখ্যাত এখানে আপনারা পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় এর জন্য অনেক কয়েকটি দোকান পাবেন বা দোকান আছে। এর মাধ্যমে আপনারা পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে অথবা বিক্রি করতে পারবেন।
- কমলাপুর কম্পিউটার মার্কেটঃ ঢাকার কমলাপুর এলাকায় অবস্থিত এই মার্কেটটিও ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয়ের জন্য অনেক পরিচিত। এখানেও অনেক পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করা হয়।
অনলাইন প্লাটফর্ম
- Bikroy.com: bikroy.com হচ্ছে ঢাকার পুরাতন ল্যাপটপ বিক্রি এবং কেনার জন্য অন্যতম একটা জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস। এখানে অনেক সেলারের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে আপনারা ল্যাপটপ কিনতে পারবেন দরদাম করে।
- OLX.com.bd: এটা হচ্ছে আরেকটা অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনারা ঢাকার মধ্যে পুরাতন ল্যাপটপ এর অনেক অফার পাবেন। এ ছাড়া এখান থেকে আপনারা অনেক পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন।
- Facebook Marketplace: ফেসবুকের এই ফিচারটি লোকাল সেলারদের কাছ থেকে পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় এর একটা সহজ মাধ্যম। আর এখানে আপনারা সরাসরি স্থানীয় সেলারদের সাথে চ্যাট করার মাধ্যমে দাম ঠিক করতে পারবেন এবং ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন।
- Daraz.com.bd: দারাজে যদিও বেশিরভাগ নতুন পণ্য থাকে তবে মাঝে মাঝে পুরাতন ল্যাপটপ ও এখানে আপনারা পাবেন।
ফেসবুক গ্রুপঃ ঢাকায় অনেক ফেসবুক গ্রুপ আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা
পুরাতন ল্যাপটপ কেনাবেচা করার সন্ধান পাবেন এবং এখানে অনেক ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয়
করা হয়ে থাকে। যেমন-Laptop Buy Sell BD,Computer Bazar Bangladesh এবং Tech Land
Bangladesh এই গ্রুপ গুলোর মাধ্যমে আপনারা বিজ্ঞাপন পোস্ট করে ল্যাপটপ বিক্রি
করতে পারবেন অথবা ক্রেতাদের অফার ও দেখতে পারবেন আপনারা।
রিফারবিশড শোরুমঃ ঢাকায় অনেক শোরুম আছে আর সেখানে রিফারবিশড অথবা ব্যবহার
করা ল্যাপটপ বিক্রি করা হয়। যেমন ধরুন HP, Dell, Lenovo ইত্যাদি। আর এগুলোর অনেক
অনুমোদিত স্টোর আছে এবং এই স্টোরগুলোতে অনেক সুবিধা আছে। এ সকল শোরুম থেকে কিনলে
আপনারা ওয়ারেন্টি ও নিশ্চয়তা পাবেন।
পত্রিকা ও ম্যাগাজিনঃ ঢাকায় এখন অনেক পত্রিকা এবং বিজ্ঞাপনে ম্যাগাজিনেও
পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় যেটা দেখে আপনারা পুরাতন
ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন।
লোকাল কম্পিউটার দোকানঃ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অনেক কম্পিউটার দোকান
গুলোতে এখন পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় করার ব্যবস্থা আছে। বিশেষ করে
মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা ও ধানমন্ডি এসব এলাকার অনেক দোকানে পুরাতন ল্যাপটপ
ক্রয় বিক্রয় করা হয়ে থাকে আপনারা সেখান থেকেও ল্যাপটপ নিতে পারেন। আর এ সকল
জায়গাগুলো আপনাদের জন্য পুরাতন ল্যাপটপের ভালো অপশন হতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য ল্যাপটপ নাকি পিসি কোনটা ভালো
আমরা এখন অনেকে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য অনেকেই ল্যাপটপ আবার
অনেকেই পিসি ব্যবহার করে থাকি। অনেকের পছন্দ পিসি আবার অনেকের পছন্দ ল্যাপটপ এটা
যার যার ইচ্ছা মতো অথবা পছন্দ এর ওপর নির্ভর করে। তবে কাজের ক্ষেত্রে কিন্তু
আলাদা পছন্দ হতে পারে অনেকেরই। বর্তমান সময়ে এখন আমরা
অনলাইনে
ফ্রিল্যান্সিং অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ভিডিও এডিটিং
ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য ল্যাপটপ অথবা
পিসি ব্যবহার করে অর্থ ইনকাম করছি। আর আজকে আপনারা আমারে পোষ্টের মাধ্যমে জানতে
পারবেন ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য ল্যাপটপ নাকি পিসি কোনটা ভালো এ বিষয়ে।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ ও পিসি অথবা ডেস্কটপ উভয়েরই আছে নিজস্ব একটা
সুবিধা এবং অসুবিধা। আর কোনটা ভালো হবে সেটা নির্ভর করবে আপনাদের কাজের ধরন,
বাজেটের ওপর এবং পোর্টেবিলিটি এর ওপর। বর্তমান সময়ে ল্যাপটপ ফ্রিল্যান্সিং কাজ
করার জন্য অনেকে পছন্দ করে থাকেন এবং
ল্যাপটপ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খুবই একটা পছন্দের কারণ হচ্ছে ল্যাপটপ সহজে বহন
করা যায় এছাড়াও এটা অন্য যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করার সুবিধা প্রদান করে থাকে।
এজন্য অনেক ফ্রিল্যান্সাররাই ল্যাপটপ পছন্দ করে থাকেন। আর আপনাদের মধ্যে যদি
নিয়মিত কেউ ভ্রমণ করে থাকেন অথবা কাজের জন্য আপনাদেরকে একাধিক জায়গায় যেতে হয়
তাহলে আপনাদের ল্যাপটপ পছন্দ করা আদর্শ হতে পারে। এখন বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের
অনেক মডেলের অনেক উন্নত
মানের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। আর আপনারা এ সকল ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য এবং বহন
করার সুবিধার্থে জন্য এ সকল ব্র্যান্ডের ও অনেক উন্নত মানের মডেল নির্বাচন করে
ল্যাপটপ কিনতে পারেন সহজেই। এছাড়াও ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকার কারণে
বিদ্যুৎ না থাকলেও আপনারা কাজ চালিয়ে যেতে পারেন এই গুণাবলীর জন্য অনেকেই
ল্যাপটপ পছন্দ করে থাকেন বা আপনাদের পছন্দের জন্য আদর্শ হতে পারে ল্যাপটপ এজন্য।
অপরদিকে পিসি অথবা ডেক্সটপ
সাধারণত ল্যাপটপের মত একই দামে হলেও ল্যাপটপের তুলনায় কিন্তু বেশি শক্তিশালী
হার্ডওয়্যার ও আপগ্রেড এর সুবিধা প্রদান করবে আপনাদের। গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও
এডিটিং এবং গেম ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি ভারি কাজগুলো করার জন্য আপনাদের অনেকেরই
পছন্দ হতে পারে পিসি। আর এ সকল ভারী কাজের জন্য পিসি বা ডেস্কটপ ভালো। কারণ হচ্ছে
এটা সহজেই আপগ্রেড করা যায় ও দীর্ঘ সময় ধরে ভারী কাজ পরিচালনা করার জন্য এটা
সক্ষম। এছাড়াও আছে ডেক্সটপ বা
পিসির আছে বড় স্কিন ও ভালো কুলিং সিস্টেম যার জন্য অনেক সময়ের জন্য কাজ করা
আপনাদের জন্য আরামদায়ক হবে। সুতরাং বলা যাচ্ছে যে যদি আপনাদের কাজ অধিকাংশ সময়
এক জায়গায় বসে করার প্রয়োজন হয় ও ভারী সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয় তাহলে
আপনারা পিসি বা ডেস্কটপ ব্যবহার করতে পারেন এটা হবে আপনাদের জন্য অনেক উত্তম। আর
যদি আপনারা চলাচল বেশি করে থাকেন অথবা ভ্রমণ করে থাকেন বেশি তাহলে এছাড়াও
পোর্টেবিলিটি গুরুত্বপূর্ণ হয় এক্ষেত্রে
আপনারা ল্যাপটপ বেছে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাদের জন্য সেরা বিকল্প হবে
ল্যাপটপ। তাহলে আপনারা বুঝতে পারলেন উপরের আলোচনার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কাজের
জন্য ল্যাপটপ নাকি পিসি কোনটা ভালো এ বিষয়ে।
কোন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ভাল ২০২৪
বর্তমান সময়ে এখন অনেক ভালো ভালো ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে। আর এ সকল
ল্যাপটপগুলো ব্যবহার করে এখন অনেকেই
ঘরে বসে
ফ্রিল্যান্সিং অথবা আরো অন্যান্য অনলাইন কাজগুলো করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও
এডিটিং ইত্যাদি আরও অনেক কাজগুলো করার মাধ্যমে এখন অনেকেই অনেক ধরনের ব্র্যান্ডের
ল্যাপটপ ব্যবহার করছে। আজকে আপনারা আমার এই পোস্টের
মাধ্যমে জানতে পারবেন কোন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ভালো ২০২৪ এ বিষয়ে। ২০২৪ সালে
ফ্রিল্যান্সিং ও অন্যান্য অনেক অনলাইন কাজ করার জন্য এখন বর্তমান বাজারে অনেক
ভালো ল্যাপটপের কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ড আছে যেগুলো তাদের পারফরম্যান্স
প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও নির্ভরযোগ্যতার জন্য অনেক সুপরিচিত হয়েছে। আপনাদের
সুবিধার্থে নিচে অনেকগুলো প্রভাবশালী ব্যান্ডের আলোচনা করা হলো
Apple:Apple-এর MacBook সিরিজ যেটা বিশেষ করে MacBook Air এবং MacBook Pro
এর উচ্চ মানের নির্মাণ ও অসাধারণ পারফরমেন্স এর জন্য অনেক পরিচিত। M1 এবং M2
শীতের কারণে এগুলোর ব্যাটারি লাইফ ও প্রসেসিং স্পিড অনেক অতুলনীয়। আপনাদের
গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিডিও এডিটিং ও অন্যান্য ক্রিয়েটিভ কাজ করার জন্য এগুলো
আপনাদের কাছে একটি জনপ্রিয় পছন্দ হতে পারে। এ সকল কাজগুলো করার জন্য আপনারা এই
ব্র্যান্ডের ল্যাপটপগুলো কিনতে পারেন।
Dell:Dell-এর XPS সিরিজ, বিশেষ করে XPS 13 এবং XPS 15 এগুলো আপনাদের
পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। কারণ হচ্ছে এগুলো খুবই ভালো। এ সকল ল্যাপটপ গুলোর
শক্তিশালী হার্ডওয়ার এছাড়াও আছে উজ্জ্বল ডিসপ্লে ও স্লিম ডিজাইন ইত্যাদি এর
জন্য অনেক পরিচিতি আছে।Dell-এর Inspiron সিরিজটাও আপনারা সাশ্রীর মরলে কিনতে
পারবেন এবং এটা আপনাদের ভালো পারফরম্যান্স প্রদান করবে।
Lenovo:Lenovo-এর ThinkPad সিরিজ আপনারা যারা ব্যবসা ও পেশাদার তাদের জন্য
খুবই ভালো এবং খুব জনপ্রিয় এই ল্যাপটপ।ThinkPad X1 Carbon এবং ThinkPad T14 এর
আছে শক্তিশালী ব্যাটারি লাইফ এছাড়াও দুর্দান্ত কিবোর্ডের পরিচিতি। এগুলো সবই
ভালো। এছাড়াও অনেক ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এই Lenovo Yoga সিরিজের 2-in-1 এই
ল্যাপটপ অনেক পছন্দের ও আকর্ষণীয়।
HP:HP-এর Spectre x360 এবং Envy সিরিজের ল্যাপটপগুলো ডিজাইন এবং তাদের
পারফরম্যান্সের জন্য অনেক উচ্চ মানের হয়ে থাকে। আর আপনারা এই ব্র্যান্ডের
ল্যাপটপগুলো সহজে ব্যবহার করতে পারবেন আপনাদের গ্রাফিক্স ডিজাইন ও প্রোগ্রামিং
এছাড়াও সাধারণ কাজ করার জন্য। এই ল্যাপটপগুলোর অনেক ফিচারসহ আসে সাধারণত এছাড়াও
আপনারা গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং সহ সাধারণ কাজ করার জন্য এই ব্র্যান্ডের
ল্যাপটপ আপনাদের জন্য অনেক উপযোগী হতে পারে।
ASUS:ASUS-এর ZenBook এবং ROG (Republic of Gamers) ল্যাপটপগুলো উচ্চতর
গেমিং পারফরম্যান্সের জন্য অনেক প্রসিদ্ধ।ZenBook সিরিজের ল্যাপটপ গুলো সাধারণত
পাতলা ও হালকা হয়ে থাকে যা আপনারা ভ্রমণের সময় সহজেই সাথে নিতে পারবেন এবং এটা
অনেক সুবিধা জনক হবে আপনাদের জন্য এ সকল বৈশিষ্ট্যের জন্য। এজন্য আপনারা আপনাদের
কাজের জন্য এই ব্র্যান্ডের ল্যাপটপগুলো কিনতে পারেন।
এখন ২০২৪ সালে এসে আপনারা আপনাদের কাজের ধরন প্রয়োজনীয়তা অনুসারে আপনারা
আপনাদের পছন্দের ব্র্যান্ড এবং মডেল নির্বাচন করে ল্যাপটপ কিনতে পারেন এটা
আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।Apple, Dell, Lenovo, HP, এবং ASUS
ইত্যাদি এ সকল ব্র্যান্ডের সকলেই উচ্চমানের ল্যাপটপ অফার প্রদান করে থাকে। তার
মধ্য থেকে আপনারা আপনাদের সঠিক মডেল বেছে নিবেন এবং আপনাদের বাজেট এবং চাহিদা
অনুযায়ী বিবেচনা করে ল্যাপটপ নিবেন।
তবে আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো সহজেই সম্পন্ন করতে পারবেন এবং নিজের
ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন অনলাইন কাজগুলো করার মাধ্যমে। এজন্য আপনাদের একটা ভালো
ব্র্যান্ডের ভালো মডেলের ল্যাপটপ নির্বাচন করা খুবই প্রয়োজন।
কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো এ বিষয়ে জানুন
বর্তমান যোগ হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ আর কম্পিউটার হল এর অনেকটা বড় অংশ। কম্পিউটার
সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে একটা হচ্ছে ল্যাপটপ কম্পিউটার এবং আরেকটি হচ্ছে
ডেস্কটপ কম্পিউটার। তবে ডেস্কটপ এর চাইতে ল্যাপটপ ছোট হওয়ার কারণে এর জনপ্রিয়তা
বৃদ্ধি পেয়েছে অথবা এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে দিনকে দিন।আর এখন অনেকেই ঘরে বসে
নানা ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য ল্যাপটপ বেছে নিচ্ছে। চাইলে আপনিও আপনার
বাজেটের মধ্যে থেকে একটা
ভালো মানের কাঙ্খিত ল্যাপটপ নিতে পারেন। কেনার আগে অবশ্যই সেই ল্যাপটপের
প্রসেসর,র্যাম, ব্যাটারি লাইফ এবং স্টোরেজ ইত্যাদি এ সকল বিষয়ে জেনে বুঝে
তারপরে কিনবেন। এখন বাজারে অনেক ভালো এবং উন্নত ব্র্যান্ডের অনেক জনপ্রিয়
ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমেই আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি কোন
কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনতে চাচ্ছেন এ বিষয়ে। নিচে কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ
ভালো এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো
স্ট্যান্ডার্ড ল্যাপটপঃস্ট্যান্ডার্ড ল্যাপটপ আপনারা অনলাইন ক্লাস,
ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও চ্যাট ও কনফারেন্স, অফিস সফটওয়্যার এছাড়াও ই বই পড়া
ইত্যাদি এর সকল কাজের জন্য অনেক ভালো। আর এই ধরনের ল্যাপ আছে ইন্টেল সেলেরন,
কোরআই-৩ অথবা রাইজেন-৩ প্রসেসর। আর আপনারা এই ধরনের ল্যাপটপ গুলো ৪০ থেকে ৪৫
হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন।
প্রফেশনাল ল্যাপটপঃ এ ধরনের ল্যাপটপগুলোতে আছে শক্তিশালী হার্ডওয়্যার। এ
ধরনের ল্যাপটপগুলো আপনারা ফ্রিল্যান্সিং, প্রোগ্রামিং এছাড়াও আরো অন্যান্য
প্রফেশনাল কাজ এর জন্য ব্যবহার করতে পারবেন এবং এগুলো অনেক ভালো এ সকল কাজ করার
জন্য। কোরআই-৫ অথবা রাইজেন সিরিজের সর্বশেষ জেনারেশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে
আরমূল্য হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা মধ্যে হয়ে থাকে।
বিজনেস ল্যাপটপঃ আপনারা যদি ব্যবসায়িক কাজ করার জন্য ল্যাপটপ কিনতে চান
তাহলে আপনারা কম ওজনের একটা ছোটখাটো আলট্রাবুক কিনতে পারেন এটা ভালো হবে আপনাদের
জন্য। ল্যাপটপের ওজন ১.৫ কেজি এর নিচে হলে ভালো হবে আপনাদের জন্য এছাড়াও এর
ব্যাটারি ব্যাকআপ যেন ৬ ঘন্টার উপরে হয়ে থাকে। কোর আই সেভেন প্রসেসর,৮ জিবি
র্যাম, এসএসডি স্টোরেজ ও ডেডিকেটেড গ্রাফিক্সের ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করতে পারেন
আপনারা।
গেমিং বা গ্রাফিক্স এডিটিং ল্যাপটপঃ যদি আপনারা গেম খেলার জন্য একটা
উপযুক্ত ল্যাপটপ কিনতে বা খোঁজেন সে ক্ষেত্রে আপনারা কোর আই সেভেন প্রসেসর, ৮
থেকে ১৬ জিবি র্যাম, ১৭ ইঞ্চি স্কিন এছাড়াও এস এস ডি অথবা হাইব্রিড স্টোরেজ ও
চার থেকে আট জিবি ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স আছে এমন ধরনের ল্যাপটপ কিনতে পারেন। এ সকল
কাজের জন্য এ ধরনের ল্যাপটপ গুলো ভালো হবে।
আপনারা যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চান তাহলে
ল্যাপটপ
কেনার সময় আপনাদের আপনাদের আপনাদের আপনাদের কাজের ধরন এবং পারফরম্যান্স এর
প্রয়োজনীয়তা গুলো বিবেচনা করা উচিত। এ কারণ ফ্রিল্যান্সিং কাজ অনেক ধরনের হতে
পারে যেমন ধরুন কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, প্রোগ্রামিং
ইত্যাদি। আর এজন্য আপনাদের কাজের ধরন অনুযায়ী আপনাদের ল্যাপটপের স্পেসিফিকেশন
নির্বাচন করা প্রয়োজন।
প্রসেসরঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য একটি শক্তিশালী প্রসেসর প্রয়োজন যাতে করে
মাল্টি টাস্কিং করা যায় ও দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়। ইন্টেল আই ফাইভ বা
i7 অথবা এ এম ডি AMD Ryzen 5 বা 7 প্রসেসর বেশি কার্যকর হবে। কারণ হচ্ছে এগুলো
ভারী সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম চালাতে সক্ষম।
র্যামঃ সাধারণ কাজ করার জন্য ৮ জিবি র্যাম দরকার হতে পারে। তবে যদি
আপনারা গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিডিও এডিটিং অথবা ভারি কোডিং এর কাজ করার জন্য আপনাদের
প্রয়োজন হবে ১৬ জিবি বা তারও বেশি ram এর। যাতে করে আপনারা মুসলিম ভাবে মাল্টি
টাস্কিং করতে পারেন বা মাল্টি টাস্কিং করা যায়।
স্টোরেজঃSSD (Solid State Drive) থাকা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে এটা দ্রুত
ডেটা লোড ও প্রসেস করতে সাহায্য করবে। ২৫৬ জিবি ssd সাধারণ ফ্রিল্যান্সিং কাজ
করার জন্য যথেষ্ট তবে যদি বড় ফাইল সংরক্ষণের প্রয়োজন হয় তাহলে ৫১২ জিবি অথবা
তার বেশি এসএসডি প্রয়োজন হয়।
ডিসপ্লেঃ একটা ফুল HD (1920x1080) রেজ্যুলুশন ডিসপ্লে বেশিরভাগ কাজ করার
জন্য যথেষ্ট। আপনাদের মধ্যে যারা গ্রাফিক ডিজাইন অথবা ভিডিও এডিটিং করে থাকেন
তাদের জন্য বড় ও উচ্চ রেজুলেশন এর ডিসপ্লে যেমন ১৫.৬ ইঞ্চি বা ফোর কে সুবিধা
জনক।
ব্যাটারি লাইফঃ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটা ল্যাপটপের ব্যাটারি লাইফ অনেক
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ যুক্ত ল্যাপটপ থাকা প্রয়োজন যাতে করে
কাজের সুবিধা হয় এবং ব্যাটারি চার্জ করার চিন্তা ছাড়াই আপনারা অনেক সময় ধরে
কাজ করতে পারবেন। ৮ থেকে ১০ ঘন্টার ব্যাটারি লাইফ হচ্ছে ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রে ভালো
অপশন।
পোর্টেবিলিটিঃ যেহেতু অনেক ফ্রিল্যান্সাররাই বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে
থাকেন এজন্য ল্যাপটপের পোর্টেবিলিটি (হালকা ওজন এবং স্লিম ডিজাইন) অনেক
গুরুত্বপূর্ণ। ১৩ থেকে ১৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে এর ল্যাপটপ বহন করার জন্য অনেক ভালো এবং
এটা সহজেই বহন করা যায়।
অতিরিক্ত ফিচারঃ পর্যাপ্ত ইউএসবি পোর্ট, টাইপ সি পোর্ট ও এইচডিএমআই পোর্ট
থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও একটা ভালো মানের ওয়েবক্যাম ও মাইক্রোফোন যদি থাকে তাহলে
ভিডিও কনফারেন্সিং ও মিটিংয়ের জন্য অনেক সুবিধা হয়।
কিছু সুপারিশকৃত ল্যাপটপ মডেল
- Apple MacBook Air (M2 chip): কন্টেন্ট রাইটিং, প্রোগ্রামিং, ও লাইট গ্রাফিক্স কাজ করার জন্য উপযুক্ত।
- Dell XPS 13: প্রোগ্রামিং, লেখালেখি, এবং সাধারণ ফ্রিল্যান্স কাজ করার জন্য আদর্শ।
- Asus ZenBook 14: হালকা ডিজাইন এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স এর জন্য ভালো।
- HP Spectre x360: যারা ডিজাইন বা মাল্টিটাস্কিং করে থাকেন তাদের জন্য অনেক উপযোগী।
আপনাদের যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য ল্যাপটপ বেছে নেওয়ার সময় আপনারা
আপনাদের কাজের ধরন অনুসারে স্পেসিফিকেশন ও পারফরম্যান্স বিবেচনা করার বিষয়টি
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যদি সাধারন কাজ করতে চান তাহলে আপনারা একটা মাঝারি
ক্ষমতার ল্যাপটপ কিনতে পারেন আর যদি ভারি কাজ করতে চান তাহলে আপনাদের প্রয়োজন
হবে শক্তিশালী প্রসেসর, বেশি র্যাম যুক্ত ল্যাপটপ ও ডেডিকেটেড এর।
হ্যাকিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো
আপনারা উপরের আলোচনা থেকে কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো এবং কোন ব্র্যান্ডের
ল্যাপটপ ভালো ২০২৪ এ সকল বিষয়ে জানতে পেরেছেন। এখন আপনারা জানতে পারবেন হ্যাকিং
এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো এ বিষয়ে। হ্যাকিং হচ্ছে বিশেষ করে ইথিক্যাল হ্যাকিং
অথবা সাইবার সিকিউরিটি বিশ্লেষণ এর জন্য একটা উপযুক্ত ল্যাপটপ আপনাদের নির্বাচন
করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর এই ধরনের কাজ করার জন্য ল্যাপটপের কিছু নির্দিষ্ট
গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই গুণাবলী গুলো কি কি
প্রসেসরঃ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসর যেমন ধরুন ইন্টেল আই সেভেন (i7 বা
AMD Ryzen 7) এগুলো বেছে নেওয়া ভালো কারণ সাইবার সিকিউরিটি টুলস ও ভার্চুয়াল
মেশিন চালানো এর জন্য অনেক শক্তিশালী প্রসেসিং ক্ষমতার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
র্যামঃ আপনারা এ কাজের জন্য কমপক্ষে ১৬ জিবি র্যাম এর ল্যাপটপগুলো বেছে
নিতে পারবেন এবং ল্যাপটপে এই কাজের জন্য ১৬ জিবি র্যাম থাকা অত্যাবশক। যেটা
একাধিক টুলস ও ভার্চুয়াল মেশিন একসাথে চালানোর সময় আপনাদের ল্যাপটপের সিস্টেমকে
স্থিতিশীল রাখবে।
স্টোরেজঃ ৫১২ জিবি ssd অথবা তার বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন স্টোরেজ এর প্রয়োজন
। কারণ হচ্ছে এতে করে বড় ফাইল ও লোগস আপনাদের সংরক্ষণ করার কাজটি সহজ হবে
এছাড়াও সিস্টেমের বুট এবং লোডিং টাইম ও কমবে।
ডিসপ্লেঃ ফুল এইচডি (HD (1920x1080) ডিসপ্লে আপনাদের রংয়ের বিষয়ের
সঠিকতা ও স্পষ্টতা নিশ্চিত করার কাজটি করবে যেটা কোডিং ও ডাটা বিশ্লেষনের জন্য
অনেক সহায়ক।
গ্রাফিক্স কার্ডঃ যদি ও ইথিক্যাল হ্যাকিং এর জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ
গ্রাফিক্স কার্ড এর দরকার হয় না। তবে একটা NVIDIA GeForce GTX 1650 অথবা তার
ওপরের মডেল থাকলে আপনারা গ্রাফিক্স সম্পর্কিত অন্যান্য কাজেও এটা ব্যবহার করতে
পারবেন বা ব্যবহার করা যাবে।
ব্যাটারি লাইফঃ দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ যুক্ত অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ধরে চলা
ব্যাটারি লাইফ থাকা ল্যাপটপগুলো আপনাদেরকে ফিল্ড ওয়ার্ক এবং চলাচলের সময় কাজ
করার জন্য সুবিধা দিয়ে থাকবে।
এই স্পেসিফিকেশন গুলার ওপর ভিত্তি করে আপনারা Dell XPS 15, Apple MacBook Pro,
এবং Lenovo ThinkPad X1 Carbon এই সকল মডেল গুলো ইথিক্যাল হ্যাকিং ও সাইবার
সিকিউরিটি কাজ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন বা এই মডেল গুলো অনেক উপযুক্ত হতে
পারে আপনাদের জন্য। তবে আপনারা ল্যাপটপ কেনার আগে অথবা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে
আপনাদের কাজের ধরন প্রয়োজন ও বাজেট বিবেচনা করে তারপরে নিবেন অথবা সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করবেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো তার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা
করেছে কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো এ বিষয়ে এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য
ল্যাপটপ নাকি পিসি কোনটা ভালো এ বিষয়ে ছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয়ে। এই বিষয়গুলো
পড়ার পরে আপনাদের যদি এই পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আপনারা এই পোস্টটি অবশ্যই
শেয়ার করে দিবেন আপনাদের পরিচিতদের মাঝে। কমেন্টে জানাবেন কেমন হয়েছে আর নতুন
তথ্য জানতে ভিজিট করুন প্রতিদিন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url