ল্যাপটপ কেনার সময় কি কি দেখে কিনতে হয় জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব
ল্যাপটপ কেনার
সময় কি কি দেখে কিনতে হয় এছাড়াও পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কিছু বিষয়
সম্পর্কে। এছাড়াও আপনারা অনেকগুলো বিষয়ে জানতে পারবেন এখান থেকে আর এজন্য
আপনারা এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব ল্যাপটপ কেনার সময় কি কি
দেখে কিনতে হয় এছাড়াও পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কিছু বিষয় সহ ল্যাপটপ
কত ওয়াটের হয়, পুরাতন ল্যাপটপ এর দাম কত ইত্যাদির আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়। যেগুলো আপনারা এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন আশা করি এজন্য
আপনারা পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা-ল্যাপটপ কেনার সময় কি কি দেখে কিনতে হয়
আমরা অনেকেই আছে যারা ল্যাপটপ কিনে এখন ঘরে বসেই ইনকাম করতে চাই আর এজন্য আমরা
এখন একটা ভালো মানের ল্যাপটপ কিনতে চাই। আর ল্যাপটপ কেনার জন্য আপনাদের কয়েকটি
বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে বা আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে
যেগুলো জানার মাধ্যমে আপনারা একটি ভালো মানের ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। একটা ল্যাপটপ
কেনার সময় আপনাদের মাথায় রাখতে হবে সেই ল্যাপটপের প্রসেসর, হার্ডওয়ার,র্যাম,
ব্যাটারির স্থায়িত্ব
ইত্যাদি সকল বিষয়। এছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আপনারা জেনে বুঝে
ল্যাপটপ কিনবেন। আবার অনেকে আছে যারা টাকার অভাবের জন্য আমরা অনেকেই পুরাতন
ল্যাপটপ কিনে থাকি। আমরা অনেকেই আছে যারা পুরাতন ল্যাপটপ কিনে থাকে অনেক মার্কেট
অথবা দোকান থেকে অনলাইন থেকে facebook গ্রুপ এবং ব্যক্তিগত পরিচিতদের মাঝ থেকে।
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগেও আপনাদের কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। পুরাতন
ল্যাপটপ কেনার আগে আপনাকে
সেই ল্যাপটপের ব্যাটারির স্থায়িত্ব অবস্থা সেটার processor, ram এছাড়াও আরো
অনেক বিষয়গুলো জেনে তারপরে নিবেন। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা ল্যাপটপ
কেনার সময় কি কি দেখে কিনতে হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে
পারবেন।
ল্যাপটপ কত ওয়াটের হয়
আমরা অনেকেই জানিনা ল্যাপটপ কত ওয়াটের হয় আর আজকে আপনারা আমার এই পোষ্টের
মাধ্যমে এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন যদি আপনারা এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ
পর্যন্ত পড়েন তাহলে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ল্যাপটপ কত ওয়াটের হয় এ
বিষয়ে সম্পর্কে। ল্যাপটপের বিদ্যুৎ খরচ অথবা ওয়াটেজ সাধারণত নির্ভর করে থাকে
ল্যাপটপের মডেল, প্রসেসর, ডিসপ্লে সাইজ ও অন্যান্য সকল হার্ডওয়ার উপাদানের ওপর।
তবে ল্যাপটপের বিদ্যুৎ খরচ বা
ওয়াটেজ এ সকল উপাদানের ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। তবে একটি ল্যাপটপের
বিদ্যুৎ খরচ সাধারণভাবে ২০ থেকে ১০০ ওয়াটের মধ্যে হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাদের
জন্য ল্যাপটপের বিদ্যুৎ খরচের একটা সাধারন ধারণা দেওয়া হল নিচে
আধুনিক আলট্রাবুক বা লাইটওয়েট ল্যাপটপ
বিদ্যুৎ খরচঃ ২০ থেকে ৫০ ওয়াট এই ধরনের ল্যাপটপগুলো সাধারণত হালকা ও কম
পাওয়ার কনজাম্পশন এর জন্য ডিজাইন করা হয়ে থাকে। যেমন ধরুন-Microsoft Surface,
MacBook Air বা অন্যান্য লাইট ওয়েট মডেল।
স্ট্যান্ডার্ড ল্যাপটপ
বিদ্যুৎ খরচঃ ৫০ থেকে ৭০ ওয়াট আর এই ধরনের ল্যাপটপ গুলোর সাধারণত
অফিশিয়াল কাজ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং মাল্টিমিডিয়া কনজাম্পশন এর জন্য ব্যবহার
করা হয়। এ সকল ল্যাপটপগুলোর বিদ্যুৎ খরচ মিড রেঞ্জের মধ্যে হয়ে থাকে।
গেমিং ল্যাপটপ
বিদ্যুৎ খরচঃ ৭০ থেকে ১০০ প্লাস ওয়াট, এ সকল গেমিং ল্যাপটপে শক্তিশালী
গ্রাফিক্স কার্ড ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসর থাকার জন্য এ সকল ল্যাপটপগুলোর
বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে। যেমন-Alienware, MSI, Asus ROG
ইত্যাদি আর এ ল্যাপটপগুলো অধিক পরিমাণে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে।
উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপ(ভিডিও এডিটিং অথবা প্রফেশনাল কাজে ব্যবহৃত হয়)
বিদ্যুৎ খরচঃ ৮০ থেকে ১২০ ওয়াট, এ সকল ল্যাপটপগুলোতে থাকে উচ্চ ক্ষমতা
সম্পন্ন প্রসেসর ও অন্যান্য হার্ডওয়ার এজন্য এ সকল ল্যাপটপ গুলোর বিদ্যুৎ খরচও
অনেক বেশি হয়ে থাকে।
চার্জার ও পাওয়ার এডাপ্টারের ক্ষমতাঃ ল্যাপটপ এর চার্জার সাধারণত ৪৫
ওয়াট থেকে ১০০ ওয়াট পর্যন্ত হতে পারে। আর উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাপটপ গুলোর
ক্ষেত্রে চার্জার সাধারণত একটু বেশি ওয়াটের হয়ে থাকে।
- সারণী: ল্যাপটপের সাধারণ বিদ্যুৎ খরচ
- ল্যাপটপ টাইপ বিদ্যুৎ খরচ (ওয়াট)
- আল্ট্রাবুক / লাইটওয়েট ল্যাপটপ ২০-৫০ ওয়াট
- স্ট্যান্ডার্ড ল্যাপটপ ৫০-৭০ ওয়াট
- গেমিং ল্যাপটপ ৭০-১০০+ ওয়াট
- উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ল্যাপটপ ৮০-১২০ ওয়াট
এগুলো হচ্ছে গড়পরতা মান, তবে আপনি যদি নির্দিষ্ট মডেলের ল্যাপটপের জন্য সঠিক
ওয়াটেজ জানতে চান তাহলে আপনি ম্যানুয়াল অথবা ডকুমেন্টেশন দেখে পরামর্শ নিতে
পারেন।
পুরাতন ল্যাপটপের দাম কত
আপনারা এতক্ষণ ওপরের আলোচনা থেকে অবশ্যই জানতে পেরেছেন ল্যাপটপ কত ওয়াটের হয়ে
থাকে এ বিষয়ে এখন আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব পুরাতন ল্যাপটপ এর দাম কত এই
বিষয়ে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে পুরাতন ল্যাপটপের দাম কয়েকটি বিষয়
অথবা জিনিসের ওপর নির্ভর করে থাকে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়গুলো কি
কি
ল্যাপটপের ব্র্যান্ড ও মডেলঃ জনপ্রিয় ব্র্যান্ড যেমন-Dell, HP, Lenovo,
বা Apple-এর পুরাতন ল্যাপটপ গুলোর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে সাধারণত। তবে মডেল যদি
নতুন এবং শক্তিশালী হয় অথবা মডেল যত নতুন এবং শক্তিশালী হবে এর দাম ততই বেশি
হয়ে থাকবে।
কনফিগারেশন (স্পেসিফিকেশন): প্রসেসর (i3, i5, i7), RAM (4GB, 8GB, 16GB)
হার্ড ড্রাইভ অথবা এস এস ডি ও গ্রাফিক্স কার্ড এর ধরন এগুলো পুরাতন ল্যাপটপ এর
দামের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে থাকে। এছাড়াও উচ্চ কনফিগারেশন এর ল্যাপটপ গুলোর দাম
ও বেশি হয়ে থাকে।
ব্যাটারি অবস্থাঃ যে সকল ল্যাপটপ গুলোর ব্যাটারির আয়ু বেশি থাকে সেগুলোর
দামও তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হবে।ব্যাটারির অবস্থা যদি ভালো না হয়ে থাকে তাহলে
ল্যাপটপগুলোর দাম কিছুটা হলেও কম হবে।
অবস্থাঃ আবার যে সকল ল্যাপটপগুলো খুব বেশি ব্যবহার করা হয়নি এবং বাহ্যিক
অবস্থা ভালো আছে সে সকল ল্যাপটপগুলোর দাম তুলনামূলক একটু বেশি হবে।
মডেল কত পুরনোঃ ল্যাপটপের মডেল যত পুরনো হবে এর দাম কত কম হবে। সাধারণত
তিন থেকে পাঁচ বছর এর পুরাতন মডেল গুলোর দাম আপনারা একটু সাশ্রয়েই কিনতে পারবেন।
নিচে উদাহরণস্বরূপ কিছু দাম বলা হলো
উদাহরণস্বরূপ কিছু দাম-
- Core i3, 4GB RAM, 500GB HDD: ৳১৫,০০০ থেকে ৳২৫,০০০ (বাংলাদেশি টাকা)
- Core i5, 8GB RAM, 256GB SSD: ৳২৫,০০০ থেকে ৳৪০,০০০
- Core i7, 16GB RAM, 512GB SSD: ৳৪০,০০০ থেকে ৳৬০,০০০+
- এর বাইরেও যে সকল বিশেষ ব্র্যান্ড যেমন-Apple MacBook বা গেমিং ল্যাপটপ এর দাম আরো বেশি হতে পারে। আর এ সকল ল্যাপটপ গুলো পুরাতন হলেও দাম একটু বেশি হয়ে থাকে।
আপনারা যদি দাম যাচাই-বাছাই করতে চান তাহলে আপনারা অবশ্যই স্থানীয় মার্কেট অথবা
অনলাইন প্লাটফর্মে যেমন bikroy.com অথবা অন্যান্য রিসেলার সাইটে গিয়ে সেখানে এ
সকল ল্যাপটপগুলোর দাম দেখতে পারেন।
ল্যাপটপ কেনার সময় কি কি দেখে কিনতে হয়
এটা ভালো ল্যাপটপ কেনার জন্য আমাদের অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হয় এবং
অনেকগুলো বিষয়ে আমাদের জানা প্রয়োজন। একটা ল্যাপটপ কেনার সময় কি কি দেখে কিনতে
হয় এ বিষয়ে আপনারা আমারে পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এজন্য যাতে করে আপনি
আপনার চাহিদা অনুযায়ী সঠিক ল্যাপটপ কিনতে পারেন সহজেই। আপনারা আমার এই আলোচনা
থেকে ল্যাপটপ কেনার সময় কি কি দেখে বা কোন কোন বিষয়গুলো খেয়াল রেখে কিনতে হবে
সে বিষয়গুলো
আমি এখানে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করব আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন। তাহলে আসুন
জেনে নেওয়া যাক ল্যাপটপ কেনার সময় কি কি দেখে কিনতে হয় এই বিষয়ে
প্রসেসর (CPU)
কেন গুরুত্বপূর্ণঃ ল্যাপটপ এর কর্মক্ষমতা অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে এই
প্রসেসরের ওপর। দ্রুত অথবা তাড়াতাড়ি প্রসেসর ল্যাপটপকে মাল্টিটাস্কিং ওভারি
কাজগুলো করতে সক্ষম করতে সাহায্য করে থাকে।
বাছাইয়ের জন্য কিছু টিপস
- সাধারণ কাজের জন্যঃIntel Core i3 বা AMD Ryzen 3 যথেষ্ট।
- মাল্টিটাস্কিং বা ভারী কাজের জন্যঃIntel Core i5 বা i7 এবং AMD Ryzen 5 বা 7 ভালো অপশন।
- গেমিং বা ভিডিও এডিটিংয়ের জন্যঃIntel Core i7 বা i9 এবং AMD Ryzen 7 বা 9 সবচেয়ে উপযুক্ত।
র্যাম (RAM)
কেন গুরুত্বপূর্ণঃর্যাম হচ্ছে ল্যাপটপ এর মেমোরি যা আপনাদের ল্যাপটপে
একসাথে অনেক কাজ করতে সক্ষম করে থাকে।
বাছাইয়ের জন্য কিছু টিপস
- সাধারণ ব্যবহার করার জন্য ৪GB থেকে ৮GB র্যাম যথেষ্ট।
- ভারী কাজ বা গেমিংয়ের জন্য ৮GB থেকে ১৬GB র্যাম ভালো হবে।
স্টোরেজ (Storage)
কেন গুরুত্বপূর্ণঃ স্টোরেজ নির্ধারণ করে থাকে কতটুকু ফাইল, সফটওয়্যার ও
ডাটা আপনারা ল্যাপটপে সংরক্ষণ করতে পারবেন সে বিষয়গুলো সম্পর্কে।
বাছাইয়ের জন্য কিছু টিপস
- SSD (Solid State Drive): এটা দ্রুত বা তাড়াতাড়ি ডেটা পড়া ও লেখার কাজ সক্ষম করে থাকে। এর ফলে ল্যাপটপ এর গতি অনেক বেড়ে যায়।২৫৬GB থেকে ৫১২GB SSD বেশ জনপ্রিয়।
- HDD (Hard Disk Drive): এটা তুলনামূলকভাবে সস্তা, তবে এটা ধীর গতি সম্পন্ন। যদি আপনারা বেশি ডেটা সংরক্ষণ করতে চান বা করে রাখতে চান তবে আপনারা ১TB বা ২TB HDD নিতে পারেন, তবে SSD গতি বেশি দেয়।
গ্রাফিক্স কার্ড (GPU)
কেন গুরুত্বপূর্ণঃ গ্রাফিক্স কার্ড ল্যাপটপ এর ভিজুয়াল পারফরম্যান্স এর
জন্য দায়ী। এছাড়া এটা বিশেষ করে গেমিং, ভিডিও এডিটিং ও থ্রিডি মডেলিং এর
ক্ষেত্রে ও দায়ী।
বাছাইয়ের জন্য কিছু টিপস
- সাধারণ ব্যবহার বা ভিডিও দেখাঃ ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স যথেষ্ট (যেমন Intel UHD বা AMD Radeon Vega)।
- গেমিং বা ভিডিও এডিটিংয়ের জন্যঃNvidia GeForce GTX বা RTX সিরিজ বা AMD Radeon RX সিরিজ ভালো অপশন।
ডিসপ্লে (Display)
কেন গুরুত্বপূর্ণঃ আপনি আপনার ল্যাপটপকে কতটুকু ক্লিয়ার বা পরিষ্কার ও
ডিটেইলড হেও দেখাবেন তা নির্ভর করবে এর ডিসপ্লের উপরে।
বাছাইয়ের জন্য টিপস
- রেজোলিউশনঃFull HD (1920x1080) ডিসপ্লে বর্তমানে এখন স্ট্যান্ডার্ড। তবে এটা উচ্চ রেজোলিউশন এর জন্য 4K ডিসপ্লে নেওয়া যায়। যেটা ভিডিও এডিটিং এবং গেমিং এর জন্য উপযুক্ত বিশেষ করে।
- ডিসপ্লে সাইজঃ যদি আপনারা পোর্টেবিলিটি চান তাহলে আপনারা ১৩ থেকে ১৪ ইঞ্চি ল্যাপটপ নিতে পারেন এটা সুবিধা জনক। তবে আপনারা গেমিং বা মাল্টিমিডিয়া কাজ করার জন্য ১৫ থেকে ১৭ ইঞ্চি নিলে ভালো হবে।
ব্যাটারি লাইফ
কেন গুরুত্বপূর্ণঃ আপনারা যখন দীর্ঘ সময় ধরে বহিরাগত কাজ অথবা ভ্রমণে
যাবেন বা গেলে আপনাদের ল্যাপটপের ব্যাটারি লাইফ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
বাছাইয়ের জন্য টিপসঃ ৮ থেকে ১০ ঘন্টার ব্যাটারি গুলো ভালো পারফরম্যান্স
করার জন্য ভালো ব্যাকআপ দেয়। তবে যদি আপনারা গেমিং ল্যাপটপের জন্য এটা তুলনামূলক
অর্থাৎ এ ব্যাটারি লাইফ তুলনামূলক কম হবে।
পোর্ট এবং কানেক্টিভিটিঃ আপনাদের ল্যাপটপে পর্যাপ্ত পোর্ট থাকা দরকার,
যাতে করে আপনারা বিভিন্ন ডিভাইস সংযোগ করতে পারেন বা করা যায়।
বাছাইয়ের জন্য টিপসঃUSB-C, USB 3.0, HDMI এবং Thunderbolt 3 পোর্ট খেয়াল
করবেন।Wi-Fi 6 এবং Bluetooth 5.0 সমর্থিত হলে ওয়্যারলেস সংযোগ এর ক্ষেত্রে
সুবিধা হবে।
কিবোর্ড এবং টাচপ্যাড
কেন গুরুত্বপূর্ণঃ টাইপিং ও নেভিগেশন এর ক্ষেত্রে কীবোর্ড এবং টাচপ্যাড এর
ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
বাছাইয়ের জন্য টিপসঃ আপনারা ব্যাকলিড কিবোর্ড ও বড় সাইজের রেস্পন্সিভ
টাচপ্যাড দেখতে পারেন।
ওজন ও পোর্টেবিলিটি
কেন গুরুত্বপূর্ণঃ যদি আপনারা ল্যাপটপ নিয়মিত বহন করেন তাহলে এর ওজন একটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাদের জন্য।
বাছাইয়ের জন্য টিপসঃ আপনারা এর জন্য এক দশমিক তিন থেকে দুই কেজি ওজনের
ল্যাপটপ পোর্টেবিলিটি ক্ষেত্রে আপনাদের জন্য আদর্শ। এছাড়া গেমিং অথবা ভারি
ল্যাপটপগুলো একটু বেশি ওজনের হয়ে থাকে সাধারণত।
বাজেটঃ আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী সেরা মানের একটা ল্যাপটপ নির্বাচন করতে
পারেন এবং এটা নির্বাচন করা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার কাছে।
বাছাইয়ের জন্য টিপসঃ সাধারণত আপনারা ব্যবহার করার জন্য ল্যাপটপ ৩০ হাজার
থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে একটা ভালো মানের ল্যাপটপ কিনতে পারবেন অথবা এগুলোর
মধ্যে ভালো অপশন পাওয়া যাবে আপনার জন্য। এছাড়া আপনি যদি গেমিং অথবা গ্রাফিক্স
ইন্টেন্সিভ কাজ করতে চান তাহলে আপনি ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার ওপরে আপনার বাজেট
লাগতে পারে অথবা আপনি এর মধ্যে কিনতে পারবেন এটা কিনলে ভালো হবে।
ব্র্যান্ড এবং ওয়ারেন্টি
কেন গুরুত্বপূর্ণঃ আপনি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড ও ভালো ওয়ারেন্টি সেবা
পাওয়ার জন্য ভালো মানের ব্র্যান্ড এবং ওয়ারেন্টি সহ ল্যাপটপ কিনতে পারেন এটা
আপনার ল্যাপটপের দীর্ঘ স্থায়িত্বতা নিশ্চিত করতে পারবে।
বাছাইয়ের জন্য টিপসঃ আপনি ভালো ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ গুলো কিনতে পারেন এবং
এগুলো বাজারে অনেক জনপ্রিয় এবং এই ল্যাপটপগুলো ওয়ারেন্টি সুবিধা প্রদান করবে
আপনাকে। যেমন-Dell, HP, Lenovo, Asus, এবং Apple আপনি এই ব্র্যান্ডের ল্যাপটপগুলো
কিনতে পারেন।
পুরাতন ল্যাপটপ কোথায় পাওয়া যায়
আপনারা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পারলে ল্যাপটপ কেনার সময় কি কি দেখে কিনতে হয় এ
বিষয়ে। এবার আমি আপনাদের জানাবো পুরাতন ল্যাপটপ কোথায় পাওয়া যায়? এর
সম্পর্কে। অনেকেই হয়তো পুরাতন ল্যাপটপ কোথায় পাওয়া যায় এ বিষয়ে জানেনা যারা
জানে না তারা জেনে নিতে পারবেন এখান থেকে। পুরাতন ল্যাপটপগুলো বিভিন্ন স্থানে ও
প্লাটফর্মে সহজেই আপনারা পেয়ে যাবেন বা পাওয়া যায়। আর এগুলো এখানে আলোচনা করা
হলো কিভাবে আপনারা কোন জায়গায় পাবেন অর্থাৎ কিছু সাধারন স্থান ও পদ্ধতির নিচে
আলোচনা করা হলো
লোকাল ইলেক্ট্রনিক মার্কেটঃ আপনারা বিভিন্ন শহরের অনেক ইলেকট্রনিক
মার্কেটগুলোতে সহজে পুরাতন ল্যাপটপ গুলো পাবেন। এই মার্কেটগুলোতে এবং ইলেকট্রনিক
দোকানে পুরাতন ল্যাপটপ কেনা-বেচার অনেক দোকান থাকে। আর এখান থেকে আপনারা সহজেই
পুরাতন ল্যাপটপগুলো যাচাই বাছাই করে কিনতে পারবেন। বাংলাদেশে যেমন ঢাকার ইডিবি
ভবন(IDB Bhaban), কমলাপুর কম্পিউটার মার্কেট ও মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার এ আপনারা
পুরাতন ল্যাপটপ পাবেন এবং কিনতে
পারবেন। এসব মার্কেটে অথবা দোকানে গিয়ে আপনি সরাসরি ল্যাপটপগুলো দেখে পরীক্ষা
করে এছাড়াও আপনি দাম করে কিনতে পারবেন ল্যাপটপগুলো।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস
- বিক্রয় ডটকম Bikroy.com: এই বিক্রয় ডটকম হচ্ছে বাংলাদেশের একটা খুব জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনারা পুরাতন ল্যাপটপ পাবেন এখানে অনেক ব্যক্তি ও বিক্রেতারা পুরাতন ল্যাপটপ বিক্রি করে থাকেন। এছাড়াও এখানে অনেক মডেলের ল্যাপটপ পাওয়া যায় এবং এগুলোর দাম আপনারা নির্ধারণ করে কিনতে পারবেন।
- OLX.com.bd: এটা হচ্ছে আরেকটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনারা অনেক পুরাতন ইলেকট্রনিক পণ্য পাবেন এবং অনেক পুরাতন ল্যাপটপ পাবেন। যারা এগুলো বিক্রি করে থাকে আপনি এখান থেকেও ল্যাপটপ কিনতে পারবেন।
- Daraz.com.bd: আপনারা দারাজ থেকেও পুরাতন ও রিফারবিশড ল্যাপটপ পাবেন এগুলো এখানে পাওয়া যায়। তবে এখানে বেশিরভাগ পণ্য হয় নতুন তবে মাঝে মধ্যে পুরাতন ল্যাপটপ ও তারা বিক্রি করে থাকে। এজন্য আপনারা এখানে যোগাযোগ করার মাধ্যমেও পুরাতন ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ও গ্রুপ
- ফেসবুক মার্কেটপ্লেসঃ এটা হচ্ছে একটা সহজ প্লাটফর্ম যেখানে অনেক লোকাল সেলারদের থেকে আপনি পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারবেন সহজেই। এখানে আছে অনেক অপশন এবং দাম।
- ফেসবুক গ্রুপঃ ফেসবুক গ্রুপের মধ্যে যেমন-"Computer Bazar Bangladesh" বা "Laptop Buy Sell BD" ইত্যাদি গ্রুপগুলোতে আপনি পুরাতন ল্যাপটপ পেতে পারেন এখানে অনেক পুরাতন ল্যাপটপ কেনাবেচার সুযোগ আছে।
ব্যক্তিগত উৎসঃ আপনি আপনার অনেক পরিচিত ব্যক্তির এবং বন্ধুদের কাছ থেকেও
আপনি সহজেই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সুযোগ পেতে পারেন। আপনাদের মধ্যে অনেক পরিচিত
ব্যক্তি আছে যাদের পুরাতন ল্যাপটপ আছে আর তারা বিক্রির চেষ্টা করে থাকে। আপনি
চাইলে সেখান থেকেও পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারেন। আপনি চাইলেও এখান থেকেও অনেক
পরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে ভালো মানের ভালো অবস্থার একটি ল্যাপটপ সাশ্রয়ী মূল্যে
কিনতে পারেন।
রিফারবিশড ল্যাপটপ স্টোরঃ এছাড়াও অনেক নির্দিষ্ট দোকান এবং শোরুমে গিয়েও
আপনারা পুরাতন অথবা রিফারবিশড ল্যাপটপ কিনতে পারেন তারা এগুলো বিক্রি করে থাকে।
আপনারা এ সকল শোরুমে বা দোকানে গিয়ে যাচাই বাছাই করে এবং ওয়ারেন্টি সহ ল্যাপটপ
নিতে পারেন আর এরা ওয়ারেন্টি সহ বিক্রি করে থাকে। আপনি যদি এ সকল দোকান থেকে
ল্যাপটপ কিনেন তাহলে কিছুটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।যেমন-HP, Dell, Lenovo এর
অনেক অনুমোদিত রিফারবিশড
দোকান বা স্টোর আছে। ইচ্ছা করলে আপনি এখান থেকেও অনেক ভালো মানের পুরাতন ল্যাপটপ
কিনতে পারেন।
পত্রিকায় এবং বিজ্ঞাপনঃ অনেক স্থানীয় পত্রিকা এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও
আপনারা মাঝে মাঝে পুরাতন ল্যাপটপ বিক্রির সন্ধান পেতে পারেন। কারণ পত্রিকায় অনেক
সময় পুরাতন ল্যাপটপ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে থাকে যেটা দেখে আপনারা ক্রেতা
বিক্রেতারা যোগাযোগ করার মাধ্যমে ল্যাপটপ কিনতে পারেন।
কোন জেনারেশন ল্যাপটপ ভালো
আমরা অনেকেই জানি না কোন কাজের জন্য কোন জেনারেশন এর ল্যাপটপ ভালো। এখন আপনারা
আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন কোন জেনারেশন ল্যাপটপ ভালো এ বিষয়ে।
ল্যাপটপের জেনারেশন নির্ধারণ করে থাকে সেই ল্যাপটপের প্রসেসরের প্রযুক্তিগত
ক্ষমতা ও পারফরম্যান্স। সাধারণত একটা নতুন জেনারেশনের প্রসেসর গুলো আগের তুলনায়
অনেক উন্নত পারফরম্যান্স এছাড়াও বেশি শক্তি সাশ্রয় আরও দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা
দিয়ে থাকে। তবে কোন
জেনারেশনের ল্যাপটপ ভালো হবে সেটা নির্ভর করবে আপনার কাজের ধরন এবং আপনার চাহিদার
উপরে। পোস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে কোন জেনারেশন এর ল্যাপটপ ভালো হবে
তা আলোচনা করলাম নিচে
আধুনিক এবং সাধারণ ব্যবহারের জন্য (ওয়ার্ড, ব্রাউজিং, মুভি দেখা ইত্যাদি)
- ৮ম থেকে ১২তম জেনারেশন (Intel Core i5/i7): আপনারা সাধারণ অফিসের কাজের জন্য, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও দেখা অথবা হালকা ফটো এডিটিং এর কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন ৮ম থেকে ১২তম জেনারেশন এর ল্যাপটপ গুলো আর এগুলো এ সকল কাজের জন্য খুবই ভালো হবে। এই জেনারেশনের ল্যাপটপ গুলো তাড়াতাড়ি ব্যাটারির স্থায়িত্ব বেশি এছাড়াও হালকা কাজের জন্য পর্যাপ্ত।
- AMD Ryzen 3/5 সিরিজ:AMD Ryzen এই সিরিজের ল্যাপটপগুলো সাধারণ কাজ করার জন্য ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে থাকে এছাড়াও তুলনামূলকভাবে এগুলো সাশ্রয়ী।
গেমিং এবং গ্রাফিক্স ইন্টেন্সিভ কাজের জন্য (ভিডিও এডিটিং, 3D মডেলিং
ইত্যাদি)
- ১০ম থেকে ১৩তম জেনারেশন (Intel Core i7/i9): গেমিং ভিডিও এডিটিং ও অন্যান্য গ্রাফিক্স ইন্টেন্সিভ কাজ করার জন্য আপনারা ১০ম থেকে ১৩তম জেনারেশনের Intel Core i7 বা i9 প্রসেসর এর ল্যাপটপ গুলো ব্যবহার করতে পারেন এগুলো বেশি উপযুক্ত। এই প্রসেসর গুলোর উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ও মাল্টিটাস্কিং এর জন্য ও অনেক উন্নত হয়ে থাকে।
- AMD Ryzen 7/9 সিরিজঃAMD-এর Ryzen 7 এবং 9 সিরিজ এর প্রসেসর গুলো গেমিং এবং ভিডিও এডিটিং এর জন্য অনেক উপযুক্ত। এগুলাও ইন্টেল প্রসেসর এর তুলনায় অনেক সময় সাশ্রয়ী ও শক্তিশালী পারফরম্যান্স দিয়ে থাকে।
প্রোগ্রামিং ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য
- ৯ম থেকে ১২তম জেনারেশন (Intel Core i5/i7): আপনারা প্রোগ্রামিং, কোডিং ও ডেভেলপমেন্ট কাজগুলো করার জন্য ৯ম থেকে ১২তম জেনারেশন এর ল্যাপটপ গোলা ব্যবহার করতে পারেন এগুলো বেশ ভালো।Core i5 এবং i7 প্রসেসর মাল্টিটাস্কিং এবং ভারী সফটওয়্যার চালানোর জন্য অনেক শক্তিশালী।
- AMD Ryzen 5/7 সিরিজঃAMD Ryzen 5 ও 7 সিরিজ প্রোগ্রামারদের জন্য ভালো অপশন হতে পারে। কারণ এগুলোর মাল্টিকোর পারফরম্যান্স ও অনেক ভালো । যেটা বিভিন্ন ভারী কোডিং টাস্ক এর জন্য অনেক দরকারী হয়ে থাকে।
উচ্চতর এবং ভবিষ্যতপ্রযুক্তি সংবলিত ল্যাপটপ (AI/মেশিন লার্নিং, ভারী রিসার্চ
ইত্যাদি)
- ১১তম এবং ১৩তম জেনারেশন (Intel Core i9): এ আই, মেশিন লার্নিং অথবা অন্য কোন রিসোর্স ইনটেন্সিভ এর কাজ করার জন্য ইন্টেল এর ১১তম অথবা ১৩তম জেনারেশন এর প্রসেসর গুলো অনেক উপযুক্ত। এগুলো দ্রুত ডেটা প্রসেসিং ও বড় ডেটাবেজের সঙ্গে কাজ করার জন্য সেরা।
- AMD Ryzen 9: একই কাজ করার জন্য AMD Ryzen 9 এই প্রসেসর উপযুক্ত। এরা উচ্চতর পারফরম্যান্স ও মাল্টিথ্রেড প্রসেসিং এ বেশ কার্যকর হয়ে থাকে।
কেন নতুন জেনারেশন ভালো?
- পারফরম্যান্সঃ নতুন জেনারেশন এর প্রসেসর গোলা আগের তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি কাজ করে থাকে এছাড়াও মাল্টি টাস্কিং দক্ষ ভাবে পরিচালনা করে থাকে।
- ব্যাটারি লাইফঃ নতুন জেনারেশন এর ল্যাপটপগুলোতে সাধারণত শক্তি সাশ্রয় এর জন্য উন্নত প্রযুক্তি থাকে আর যেটা ব্যাটারি এর স্থায়িত্ব বাড়াতে সাহায্য করে থাকে বা ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ায়।
- ফিচার এবং আপগ্রেডঃ প্রত্যেকটা নতুন জেনারেশন এ প্রযুক্তিগত উন্নতি হয়ে থাকে যেমন-Thunderbolt, PCIe 4.0 সাপোর্ট, উন্নত গ্রাফিক্স, এবং AI এক্সিলারেশন।
সারসংক্ষেপঃ আপনারা যদি সাধারন কাজ করার জন্য ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে
আপনারা ৮ম থেকে ১২তম জেনারেশন এর ল্যাপটপ কিনতে পারেন এগুলো আপনাদের জন্য ভালো
অপশন হবে। আর যদি আপনারা গেমিং, ভিডিও এডিটিং অথবা ভারী কাজ করতে চান তাহলে ১০তম
থেকে ১৩তম জেনারেশন এর Intel Core i7/i9 বা AMD Ryzen 7/9 ল্যাপটপ গুলো কিনতে
পারেন এগুলো আপনাদের জন্য সেরা বা ভালো হবে। আশা করি বিষয়গুলো আপনারা বুঝতে
পেরেছেন।
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কিছু বিষয়
এখন আমি আপনাদের মাঝে আলোচনা করব পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কিছু বিষয়
সম্পর্কে। আপনারা যখন পুরাতন ল্যাপটপ কিনবেন তখন আপনাদের এই সকল বিষয় গুলো নজরে
বা খেয়াল রাখতে হবে। ওইগুলো নজরে রাখেন তাহলে আপনারা একটি ভাল মানের ল্যাপটপ
কিনতে পারবেন সহজেই। তাহলে চলুন জেনে নিন পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় কিছু
বিষয় সম্পর্কে যা নিচে আলোচনা করা হলো
- ল্যাপটপের অবস্থা পরীক্ষা করুনঃ আপনারা পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই ল্যাপটপের বাহ্যিক অবস্থা যেমন-কিবোর্ড, স্কিন, টাচপ্যাড ও পোর্টগুলি ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিবেন। এছাড়াও আপনারা ল্যাপটপে কোন ভাঙ্গন অথবা ফাটল আছে নাকি সেটা লক্ষ্য করবেন।
- হার্ডওয়্যারের পারফরম্যান্স দেখুনঃ আপনারা অবশ্যই ল্যাপটপ কেনার সময় প্রসেসর, র্যাম, হার্ড ড্রাইভ বা এস এস ডি ও ব্যাটারি লাইফ এগুলো পরীক্ষা করে নিবেন। এছাড়াও আপনারা ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপটি কেমন দ্রুত কাজ করছে অথবা দ্রুত কাজ করছে কিনা সে বিষয়ে যাচাই করে নিবেন। আবার ল্যাপটপের ব্যাটারি কতক্ষণ সময় ধরে চলছে সেটাও যাচাই করে তারপরে কিনবেন।
- অপারেটিং সিস্টেমঃ আপনি যে ল্যাপটপ কিনবেন সেই ল্যাপটপটি কোন অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা আছে সেটা নিশ্চিত করে কিনবেন। এছাড়াও সেটার বৈধ এবং আপডেটেড কিনা সেটাও নিশ্চিত করবেন এবং তারপরে কিনবেন।
- ব্যাটারি ক্ষমতা যাচাই করুনঃ একটি ল্যাপটপের ব্যাটারির স্থায়িত্ব হচ্ছে একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এজন্য আপনারা ল্যাপটপ কেনার সময় ব্যাটারির চার্জ কতক্ষণ সময় ধরে থাকে তা দেখে নিবেন এছাড়াও সেটার রিপ্লেসমেন্ট প্রয়োজন আছে কিনা তাও যাচাই করবেন।
- পোর্ট এবং কানেক্টিভিটি পরীক্ষাঃ আপনি অবশ্যই ল্যাপটপ কেনার আগে ল্যাপটপে USB পোর্ট, হেডফোন জ্যাক, HDMI পোর্ট, ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ ইত্যাদি এগুলোর সাপোর্ট ঠিক ঠাক মত কাজ করছে কিনা সেগুলো দেখে নিবেন।
- মূল্যমান বিচার করুনঃ আপনি পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই এর বর্তমান বাজার মূল্য যাচাই বাছাই করবেন। ল্যাপটপের কনফিগারেশন এর সঙ্গে তুলনা করার মাধ্যমে এর সঠিক দাম প্রদান করবেন।
- ওয়ারেন্টি ও রিটার্ন পলিসিঃ আপনি যখন কোন দোকান অথবা অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে পুরাতন ল্যাপটপ কিনবেন তার আগে অবশ্যই ওয়ারেন্টি ও রিটার্ন পলিসি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন।
- ব্যবহারের ইতিহাসঃ আপনি পুরাতন ল্যাপটপটি কেনার আগে অবশ্যই laptop টি আগে কতটা ব্যবহার করা হয়েছে ও সেটা কিভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা জানার চেষ্টা করবেন। কারণ ল্যাপটপটি যদি বেশিদিন ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটার পারফরম্যান্স কম হবে।
আশা করি আপনারা উপরের আলোচনা থেকে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় যে বিষয়গুলো
আছে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এগুলো আপনাদের অনেক উপকারে
আসবে এবং আপনারা অনেক উপকৃত হতে পারবেন।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো তার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার
চেষ্টা করেছে ল্যাপটপ কেনার সময় কি কি দেখে কিনতে হয় এবং পুরাতন ল্যাপটপ কেনার
আগে করণীয় কিছু বিষয় ছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয়ে। আশা করি আপনারা এই বিষয়গুলো
পড়ে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। আপনাদের যদি এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে
অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন এবং নতুন তথ্য পেতে প্রতিদিন ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url