প্রফেশনাল এবং চাকরির জন্য সিভি তৈরির এ টু জেড তথ্য জানুন

আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো আগে অনেকেই প্রফেশনাল এবং চাকরির জন্য সিভি তৈরির এ টু জেড তথ্য এবং মোবাইলের মাধ্যমে সিভি তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে অনেক সঠিক তথ্য জানার চেষ্টা করেছেন কিন্তু জানতে পারেননি।যারা জানতে পারেননি তারা আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন এজন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
প্রফেশনাল এবং চাকরির জন্য সিভি তৈরির এ টু জেড তথ্য জানুন
আপনাদেরকে আমি আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব সিভি কি, প্রফেশনাল এবং চাকরির জন্য সিভি তৈরির এ টু জেড তথ্য, মোবাইলের মাধ্যমে সিভি তৈরি করার নিয়ম এছাড়াও সিভি,বায়োডাটা এবং রিজিউম এর মধ্যে পার্থক্য, চাকরির জন্য সিভি তৈরির নিয়ম এই বিষয়গুলো আরো অনেক কয়েকটি বিষয়। আর আপনারা অবশ্যই এই বিষয়গুলো জানার জন্য আমার এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

এখন প্রায় প্রত্যেকটা চাকরির জন্য সরকারি অথবা বেসরকারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির জন্য সিভি তৈরি করতে হয়। আর এখন আমরা ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে সিভি তৈরি করতে পারি। এর জন্য অনেকগুলো অ্যাপস আছে যেগুলো সম্পর্কে আপনারা এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন। এছাড়াও প্রফেশনাল এবং চাকরির জন্য সিভি তৈরির এ টু জেড তথ্য এবং মোবাইলের মাধ্যমে সিভি তৈরি করার নিয়ম জানতে পারবেন আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে। সিভি তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাদের আপনাদের প্রথমে জানতে হবে 
সিভি কি এটা তৈরি করতে কোন কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে এবং কোন কোন বিষয়গুলো প্রয়োজন সেগুলো সবগুলো তথ্য এই সিভির মধ্যে দিতে হবে। এই সিভিটি আপনাকে আপনার চাকরির প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে অনেকটাই সাহায্য করবে। এখানে আপনাকে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার দক্ষতা ভাষাগত দক্ষতা ব্যক্তিগত তথ্য গুলো এখানে সুন্দরভাবে সঠিক বানান অনুযায়ী লিখতে হবে। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেকগুলো বিষয় জানতে পারবেন যেগুলো অনেক বিস্তারিতভাবে নিজে আলোচনা করা হয়েছে।

সিভি কি

সিভি বা Curriculum Vitae হল একজন ব্যক্তির শিক্ষা এবং চাকরি জীবনের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সারাংশ। এই সাধারণত দুই পাতার হয়ে থাকে ও এটি মূলত চাকরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এখন বর্তমানে অন্যান্য আরো অনেক ক্ষেত্রে সিভির ব্যবহার বেড়ে চলেছে দিন দিন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অফিসিয়াল ভাষা হচ্ছে ইংরেজি এজন্য এটি সাধারণত ইংরেজিতে লেখা হয়ে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে বাংলাতেও সিভি লেখা হয়।তবে যাই হোক সিভি এবং রিজিউম ২টি বাংলাদেশের জীবন 

বৃত্তান্ত অর্থেই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটার মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। প্রথমত হচ্ছে সিভির চাকরি ছাড়া আরও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বা করা যায়। আর রিজিউম শুধু একটি নির্দিষ্ট চাকরির জন্য বানানো হয়ে থাকে বা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দ্বিতীয় তো হচ্ছে সিভির কোন লিমিটেশন হয় না আর এটাতে আপনাদের জীবনের সকল চাকরির অভিজ্ঞতা, আপনাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বাকি সকল প্রাপ্তি আপনারা শেয়ার করতে পারবেন এখানে। আবার আপনারা এর জন্য যতগুলো 

পৃষ্ঠা দরকার হবে সেটাও ব্যবহার করতে পারবেন সিভিতে। অপরদিকে রিজিউম এর ক্ষেত্রে আপনি যে চাকরির জন্য রিজিউমটা তৈরি করতে চাচ্ছেন বা তৈরি করবেন আপনি শুধু সেটার ক্ষেত্রেই এটা ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি শুধু যে চাকরির জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন সেটার ক্ষেত্রে এটির সাথে আপনি প্রাসঙ্গিক চাকরির অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য বিষয়গুলো এক থেকে দুই পৃষ্ঠার মধ্যে এখানে তুলে ধরতে পারবেন। আর যদি আপনি এক পৃষ্ঠার মধ্যে সকল তরকারি জিনিসগুলো তুলে 

ধরতে পারেন তাহলে সেটা সবথেকে ভালো হবে রিজিউমের ক্ষেত্রে। আর এগুলোই হচ্ছে সিভি এবং রিজিউম এর মধ্যে মূল কিছু পার্থক্য। তবে যদিও আমাদের বাংলাদেশে এগুলোর তেমন কোন প্রয়োগ দেখা যায় না। সিভি এবং রিজিউম ব্যবহার করা হয়ে থাকে একই অর্থে।

সিভি, রিজিউম এবং বায়োডাটা এর মধ্যে পার্থক্য কি

সিভি রিভিউম এবং বায়োডাটা এই তিনটি জীবন বৃত্তান্ত হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে এদের মধ্যে কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। আর এটা যদি আমাদের জানা না থাকে তাহলে আমরা অনেকেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারি। এজন্য আমাদের এ সকল বিষয়ে জানা দরকার বা এদের মধ্যে কি পার্থক্য আছে এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ।নিচে এ তিনটির মধ্যেকার পার্থক্য আলোচনা করা হলো

সিভিঃ সিভি হল উচ্চশিক্ষা, পিএইচডি, গবেষণা এবং এমফিল ইত্যাদিতে আবেদন করার জন্য আপনার নিজের যাবতীয় তথ্য দিয়ে বিস্তারিত যে ডকুমেন্টস তৈরি করা হয়ে থাকে সেটাই হলো সিভি। সিভি ২ থেকে ১০ পৃষ্ঠার হতে পারে তথ্যের আলোকে। সিভিতে কোন নির্দিষ্ট লিমিটেশন নেই।

রিজিউমঃ রিজিউম হচ্ছে চাকরির সুবাদের ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত আকারে যে ডকুমেন্টস তৈরি করা হয়ে থাকে সেটাই হলো রিজিউম। রিজিউম অবশ্যই এক থেকে দুই পৃষ্ঠার হতে হবে।

বায়োডাটাঃ বায়োডাটা হচ্ছে একটা ব্যক্তির ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যক্তিগত সকল ধরনের তথ্য দিয়ে তৈরি করা একটা ডকুমেন্টস। এটা সাধারণত বিয়ের ক্ষেত্রে দরকার হয়। এজন্য চাকরির ক্ষেত্রে বায়োডাটা সাবমিট করা মানে বোকামি করা। আর এগুলোই হচ্ছে মূলত এই তিনটা বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য। তবে আমাদের বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সিভি এবং রিভিউ এর আলাদা তেমন কোন প্রয়োগ নেই প্রায় ক্ষেত্রেই এগুলো একই অর্থে ব্যবহার করা হয়।

মোবাইল দিয়ে সিভি তৈরি করার কিছু অ্যাপস

আমরা অনেকেই আছি যারা হয়তো জানি না যে মোবাইলের মাধ্যমে টিভি তৈরি করা যায় আর এর জন্য কিছু অ্যাপস আছে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে। আর আপনারা যদি মোবাইল এর মাধ্যমে সিভি তৈরি করতে চান তাহলে আপনাদের জানতে হবে কোন অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে আপনারা মোবাইল দিয়ে সিভি তৈরি করতে পারবেন। অথবা মোবাইলের মাধ্যমে সিভি তৈরি করার জন্য আপনারা কোন কোন অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে সহজেই সকল প্রকার সিভি তৈরি করতে পারবেন নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলো

  • Resume Builder App
  • Resume Builder & CV Maker for Jobs
  • Online CV Maker
  • Resume Builder-CV Engineer
  • Al Powered-CV & Resume Maker
  • PDF Resume App
আপনারা উপরের উল্লেখিত এ সকল অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে সহজেই সকল রকম সিভি তৈরি করতে পারবেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

মোবাইলের মাধ্যমে সিভি তৈরি করার নিয়ম

আপনারা অনেকেই মোবাইলের মাধ্যমে সিভি তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে হয়তো জানেন না যারা জানেন না তারা আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এটার সঠিক নিয়ম জানতে পারবেন এজন্য আপনারা দয়া করে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন শেষ পর্যন্ত। মোবাইলের মাধ্যমে সিভি তৈরি করার জন্য আপনাদেরকে কিছু ধাপ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আর এই ধাপগুলো নিচে আলোচনা করা হলো যার মাধ্যমে আপনারা সহজেই সিভি তৈরি করতে পারবেন মোবাইলের মাধ্যমে তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন নিচের আলোচনা থেকে।

এপ্স ইন্সটল করাঃ আপনি প্রথমে গুগল প্লে স্টোর এ গিয়ে তারপরে সেখানে টাইপ করবেন Professional Resume Builder টাইপ করা হলে সার্চ করার পরে আপনি এই অ্যাপ্লিকেশন এর নিচে থেকে ইন্সটল বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে ইনস্টল করে তারপরে এটা ডাউনলোড করে নিবেন ইনস্টল করার মাধ্যমে এবং এটা ওপেন করবেন।

এরপরে পারমিশন দেওয়াঃ আপনি যখন খুলবেন তখন খোলার পর টার্ক অফ সার্ভিস এর একদম নিচে একটি একসেপ্ট এন্ড কন্টিনিউ বাটন আছে সেখানে চাপ দিবেন যাতে করে এটা আপনার মোবাইলে ব্যবহারের অনুমতি পান আপনি।

সিভি মেকিং শুরুঃ তারপরে আপনি Resume Builder এ পেজের নিচের মাঝখানে থাকা প্লাস চিহ্নটিতে ক্লিক করবেন।

ব্যক্তিগত তথ্য যোগ করাঃ তারপরে যখন প্রোফাইল লেখা পেজটি ওপেন হবে তখন সেখানে আপনি পার্সোনাল তথ্যগুলো দিয়ে দিবেন। যেমন ধরুন এডুকেশন এক্সপেরিয়েন্স স্কেলস অবজেক্টিভ গুলো পেশ করতে পারেন বা করতে হবে এগুলো যখন সব টাইপ করা হয়ে যাবে তখন ডান দিকে আসার রাইট চিহ্নে ক্লিক করে আপনার তথ্যগুলো সেভ করে নিবেন এই রাইট কিনে ক্লিক করলে আপনার তথ্যগুলো তখন সেভ হয়ে যাবে।

আগে থেকে তৈরি অবজেক্টিভ সিলেক্ট করাঃ আপনি যখন আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য এড করবেন বা যখন এড করা হয়ে যাবে তখন আপনার প্রোফাইলের সাথে মিল থাকা এমন অবজেক্টিভ বেছে নিবেন এবং নিজের মত এডিট করতে পারবেন আপনারা।

ইচ্ছামত কিছু সেকশন অ্যাড করাঃ আপনারা চাইলে আপনাদের নিজের সিভিতে কিছু অনেক রকমের ইন্টারেস্টেড আরো অনেক কিছু সেকশন জব করে নিতে পারেন আর এর জন্য আপনাদেরকে প্রোফাইল থেকে অ্যাড মোর সেকশনে গিয়ে সেখানে ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনারা আপনাদের সিভিতে যে অপশন গুলো যোগ করতে চান সেগুলো সেখানে গিয়ে ক্লিক করতে পারেন এবং তারপরে নিচে ক্রিয়েট নিউ সেকশনে ক্লিক করতে হবে।

ভিউ সিভিতে ক্লিক করাঃ আপনার যখন নিজের সমস্ত ডাটা দেওয়ার পরে প্রোফাইলের উপরের ডান দিকে অবস্থান করা বা থাকা ভিউ সিভি অপশনে দিয়ে সেখানে ক্লিক করতে হবে আপনাকে।

টেমপ্লেট বাছাই করাঃ এরপরে আপনি চুস টেমপ্লেট থেকে আপনাদের পছন্দমত একটা টেমপ্লেট বাছাই করে নিবেন এবং এটা বাছাই করা মাত্র এটা রেজিমে নিজ থেকেই তৈরি হয়ে যাবে। তারপরে এটা আপনাদের নিজেদের সিভির প্রিভিউ চেক করতে পারবেন আপনারা।

সেন্ড প্রিন্ট শেয়ার এক্সপোর্ট করাঃ তারপরে প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি করা পিডিএফ ফাইল সেভ ও এক্সপোর্ট করতে পারবেন আপনারা। সেন্ড অপশন থেকে আপনারা যে কোন জিমেইলে অথবা যে কোন আইডিতে পাঠাতে ও পারবেন এটা। এছাড়াও আপনারা আপনাদের প্রয়োজনে আপনাদের মোবাইল থেকে সরাসরি প্রিন্ট অথবা শেয়ার এক্সপোর্ট করে নিতে পারবেন আপনারা।

আর মূলত ওপরের এগুলোই সিভি তৈরি করতে দরকার হয়ে থাকে। মোবাইলের মাধ্যমে আপনারা ইতিমধ্যে কিভাবে সিভি তৈরি করবেন এ বিষয়ে জানলেন এবং বুঝতে পেরেছেন আশা করি। এ সকল নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে যেকোন রকমের সিভি তৈরি করতে বা লিখতে পারবেন আপনারা।

প্রফেশনাল সিভি তৈরির নিয়ম

প্রফেশনাল সিভি তৈরির নিয়ম সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হলো। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে আপনাদের চাকরি জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই সিভি বা জীবন বৃত্তান্ত হচ্ছে একটা জরুরী বিষয়। বেসরকারি চাকরি গুলোর ক্ষেত্রে এটার গুরুত্ব আরো অনেক বেশি। বাংলাদেশে চাকরির যে পরিমাণ চাহিদা সেটার তুলনায় চাকরির খাত গুলো অনেক কম পরিমাণে আছে। আর এজন্য ভালো রকমের প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই আমাদেরকে চাকরি পেতে হয়। আর এজন্য এক্ষেত্রে একটা মানসম্মত 
সিভি এই প্রতিযোগিতায় অনেকটাই সাহায্য করতে পারে এবং এগিয়ে রাখতে পারে আমাদেরকে। প্রথম দেখার মাধ্যমে যদি আপনার সিভিটা আপনার এমপ্লয়ার এর পছন্দ না হয়ে থাকে তাহলে আপনার ইন্টারভিউ এর জন্য ডাক পাওয়ার সুযোগ থাকবে খুবই কম। অনেক এমপ্লয়ার আছে যারা প্রথম দেখাতেই সিভি পছন্দ না হলে রিজেক্ট করে দেয়। এজন্য একটা মানসম্মত সিভি আপনাদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকটাই। তবে এখানে আমরা অনেকেই আছে যারা 

চাকরি প্রত্যাশীরা তারা কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে সেখান থেকে তাদের ফরমেট অনুসারে সিভি বানিয়ে সাবমিট করে থাকি আর এটা সম্পূর্ণ ভুল পদ্ধতি। কারণ তাদের বানানো ফরমেটের সাথে আপনাদের দরকারি ফরমেট তো না ও মিলতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আপনার অনেক দরকারী তথ্যগুলো সিভি থেকে অনেক সময় বাদ পড়ে যায়। আর এক্ষেত্রে এ বিষয়টি মাথায় রেখে আপনার উচিত সবসময় আপনার নিজেকেই আপনার সিভি তৈরি করা। আপনারা যদি সিভি বানানোর কার্যকরি কৌশল 

সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনারা Ghoori Learning এর প্রফেশনাল সিভি রাইটিং কোর্সটি করতে পারেন বা দেখতে পারেন। আপনারা আমার এই লেখার মাধ্যমে প্রফেশনাল সিভি তৈরির নিয়ম ছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন যেগুলো আপনাদের খুব উপকারে আসবে। এছাড়াও আপনারা খুব সহজেই সিভি তৈরি করতে পারবেন এই উপায় গুলোর মাধ্যমে তাহলে চলুন এবার মূল কথায় ফিরে যাওয়া যাক অর্থাৎ প্রফেশনাল সিভি তৈরির নিয়ম সম্পর্কে জানা যাক বিস্তারিতভাবে।

শিরোনামঃ সিভি লেখার শুরুতেই শিরোনাম হিসেবে আপনাকে Curriculum Vitae/Resume ব্যবহার না করে আপনি আপনার নিজের নাম ব্যবহার করতে পারেন আর এই রীতি বর্তমানে অনেক প্রচলিত।

যোগাযোগের ঠিকানাঃ নামের সাথে আপনারা নিজের ঠিকানা, ফোন নাম্বার আপনার ইমেইল এড্রেস দিতে পারেন বা এখানে দিতে হবে। এছাড়াও আপনাকে LinkedIn প্রোফাইলের লিংক যোগ করতে হবে।

ছবিঃ আপনাকে পাসপোর্ট সাইজের একটা ফরমাল ছবি অবশ্যই এখানে যুক্ত করতে হবে। আর ছবিটি অবশ্যই হতে হবে রুচিসম্মত এবং মার্জিত। আপনি খেয়াল রাখবেন এখানে যেন ছবিটি অনেক দিনের বেশি পুরনো না হয় এবং ছবিটি যাতে ইনফরমাল না হয়। আর এখানে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা অথবা হালকা নীল রংয়ের হতে হবে।

ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্যঃ এই অংশে আপনাকে আপনার ক্যারিয়ারের মূল উদ্দেশ্য আপনি কি করতে চাচ্ছেন আপনার আগ্রহের বিষয় গুলো এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরতে হবে। তবে এই অংশটা আকর্ষণীয় হওয়া দরকার। তবে এটা অবশ্যই চাকরি ভেদে অথবা ক্ষেত্র ভেদে পরিবর্তন করে নিতে হতে পারে। যদি আপনার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য সংশ্লিষ্ট ফিল্ডের সাথে মিলে যায় সে ক্ষেত্রে ওই ফিল্ডে আপনার সিলেক্টেড হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে অন্যদের তুলনায়। তবে এক্ষেত্রে লেখাটি অবশ্যই দুই থেকে পাঁচ লাইনের মধ্যে আপনাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে।

কাজের অভিজ্ঞতাঃ সব প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানি যাই অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে আর এজন্য এখানে আপনাকে অবশ্যই আপনার ক্যারিয়ারের জীবনের ছোট বড় যে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা কাজ করেছেন আপনি সে সকল অভিজ্ঞতা গুলো এখানে সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখবেন।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আপনি আপনার সকল ধরনের ডিগ্রির তথ্য এখানে লিখতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার সর্বশেষ ডিগ্রী শুরুতে লিখে তারপর অন্যান্য গুলো নিচে তুলে ধরতে হবে। আপনি এখানে লেখার ক্ষেত্রে আপনার কোর্সের নাম, প্রতিষ্ঠানের নাম, আপনার পাশের সন, মেয়াদ, এবং আপনার ফলাফল বিস্তারিতভাবে এখানে লিখতে হবে আর এই তথ্যগুলো আপনাকে দিতে হবে ছক আকারে।

অন্যান্য দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণঃ এক্ষেত্রে আপনার যে যে দক্ষতা গুলো আছে সেগুলো লিখতে হবে। যেমন ধরুন কম্পিউটার স্কেল, কোন সফটওয়্যার এর কাজে পারদর্শিতা আপনার ভাষাগত দক্ষতা ইত্যাদি দক্ষতা গুলো এখানে লিখতে পারেন আপনি। যদি কোন বিশেষ ট্রেনিং করে থাকেন সেটাও আপনি এখানে তুলে ধরতে পারেন। আপনার যদি কোন বাড়তি স্কিল থাকে সেটা আপনাকে অন্যদের থেকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

শখঃ আপনি এখানে আপনাদের গঠনমূলক পছন্দের কাজ অথবা শখ গুলো যুক্ত করতে পারেন। অনেকের অনেক খারাপ কোন কাজের শখ থাকতে পারে সেটা অবশ্যই এখানে লিখবেন না।

কার্যক্রমঃ কার্যক্রমের মধ্যে হতে পারে আপনি যদি কোন সামাজিক এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন গুলোর সাথে কাজ করেছেন বা আগে করেছিলেন এটা এখানে যুক্ত করতে পারেন। এছাড়াও আপনাদের যদি কোন বিশেষ অর্জন অথবা সম্মাননা থাকে সেটা উল্লেখ করতে পারেন আপনারা এখানে।

সম্পর্কঃ সম্পর্ক এটা হচ্ছে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আবার এটা অনেকেই স্কিপ করে থাকেন অনেক সময়। রেফারেন্স হচ্ছে আপনার যে তথ্যগুলো এখানে দিয়েছেন সেগুলো সঠিক কিনা তা যাচাই করার জন্য একজন অথবা দুইজন ব্যক্তির নাম পরিচয় দেওয়া হয়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি আপনার সম্পর্কে ভালো বলতে পারবেন। আপনাদের তথ্যগুলোকে রেফারেন্সের মাধ্যমে মজবুত করে নেওয়া যেতে পারে এজন্য আপনারা এটি বাদ দেবেন না।

স্বাক্ষর এবং তারিখঃ সবশেষে আপনাকে উপরে তথ্যগুলো সত্য এ মর্মে আপনার স্বাক্ষর ও তারিখ দিতে হবে।

প্রফেশনাল সিভি তৈরির ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা

  • আপনারা অবশ্যই সিভির তৈরীর সময় অথবা লেখার সময় বানান, ভাষা এবং বাক্য ব্যবহার এর ক্ষেত্রে সতর্ক বা সচেতন থাকুন।
  • বারবার আপনারা আপনাদের তথ্যগুলো চেক করার মাধ্যমে একটা নির্ভুল সিভি তৈরি করুন।
  • যে স্থানে কাজের জন্য সিভি তৈরি করেছেন সে কোম্পানির অথবা প্রতিষ্ঠানের কাজের সাথে সমন্বয় অথবা মেইল করে অভিজ্ঞতা এবং আগ্রহ গুলো প্রকাশ করবেন বা উল্লেখ করুন।
  • আপনার সিভিতে অবশ্যই আপনি নিজেকে প্রকাশ করবেন সহজ, ছোট এবং স্পষ্ট বাক্যের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে আপনারা কখনোই অহেতুক কোন কঠিন ভাষা ব্যবহার করবেন না এটা ব্যবহার করা পরিহার করুন।
  • প্রত্যেক বার সিভি কোথাও দেওয়ার আগে অবশ্যই সেটার তথ্য আপডেট করে নিবেন।

চাকরির জন্য সিভি তৈরির নিয়ম

আপনারা যে কোন চাকরির জন্য সিভি এবং প্রফেশনাল সিভি তৈরি করতে চান তাহলে এর কিছু নিয়ম রয়েছে। যেমন আপনারা যদি চাকরির জন্য সিভি তৈরি করতে চান তাহলে আপনাদের কিছু তথ্য জানার প্রয়োজন হবে সেগুলো হচ্ছে সিভি, বায়োডাটা ও রিজিউম এগুলো সম্পর্কে। এগুলোর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে যা আপনাদের জানার দরকার তবে আপনারা প্রফেশনাল এবং চাকরির জন্য সিভি তৈরি করতে পারবেন সঠিকভাবে। এসকল বিষয়ে নিচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো

বায়োডাটাঃ বায়োডাটা হচ্ছে এমন একটা তথ্য ভান্ডার যেখানে আপনার অন্তর্ভুক্ত থাকা সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্যগুলো দেওয়া থাকবে বা এখানে পাওয়া যাবে এটাই হচ্ছে বায়োডাটা। এই বায়োডাটার মাধ্যমে আপনার পরিবারের অবস্থান আপনাদের পরিবারের কোন সদস্য আপনি এবং আপনি কোথায় থাকেন আপনার পরিচিতি এছাড়াও থাকে আপনার পিতা-মাতার নাম পেশা ইত্যাদি আরো অনেক তথ্য এই বায়োডাটা তে উল্লেখ করা থাকে। বায়োডাটার মধ্যে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলোর 

পাশাপাশি আরো আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার কিছু তথ্য দেওয়া হয়ে থাকে যে তথ্যগুলো আপনার বায়োডাটা কে আরো আকর্ষণীয় ভাবে একটা সিভি তৈরি করার ক্ষেত্রে কাজে লাগে আর এই তথ্যগুলোই সিভি তৈরি করতে প্রয়োজন হয়।

সিভিঃ সিভি বলতে বোঝানো হয় অনেক রকমের শিক্ষা উচ্চ শিক্ষার যে সকল ডকুমেন্টসগুলো তৈরি করা হয় সে সকল তথ্যগুলোকেই সিভি বলা হয়। যেমন আপনার যদি কোন ধরনের দক্ষতা অর্জন থাকে তাহলে আপনি সেটা সিভিতে উল্লেখ করতে পারেন সিভির মধ্যে আরো অনেক তথ্য দেওয়া হয়। অর্থাৎ একটি সিভি তৈরি করা হয়ে থাকে আপনাদের সকল বায়োডাটা এবং দক্ষতা অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্ত তথ্য দিয়ে।

রিজিউমঃ চাকরির ক্ষেত্রে এপ্লাই করতে অনেককেই এই রিজিউম লেখার প্রয়োজন হয়ে থাকে। চাকরির জন্য একটা টিভি ও রিজিউম এর মধ্য একটা ভেদাভেদ আছে কারণ সেগুলো আপনি সিভিতে উল্লেখ করতে পারেন সেগুলো কখনোই রিজিউমে উল্লেখ করতে পারবেন না। বাংলাদেশের নিয়ম অনুসারে রিজিউমের উল্লেখ করতে হয় আপনার জীবনের লক্ষ্য কেন্দ্রিক কিছু বিষয় ও রিজিউম এ উল্লেখিত বিষয়গুলো হলো যে আপনার কি কি দক্ষতা আছে এছাড়াও দক্ষতা গুলো কি এছাড়াও 

আরো যেমন আপনার যে সকল সেচ্ছা ধর্মী কাজের অভিজ্ঞতা আছে সেগুলো এখানে উল্লেখ করতে হবে। আবার আপনি যদি কোন জায়গায় চাকরি করে থাকেন সেখানকার অভিজ্ঞতার কথা আপনাকে এখানে উল্লেখ করতে হবে আর মূলত উল্লেখিত থাকে।

চাকরির জন্য সিভি তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা আরো ভালোভাবে নিচের আলোচনা থেকে জানতে পারবেন। চাকরির জন্য এবং প্রফেশনাল সিভি তৈরী করার জন্য আপনারা নিচের আলোচনা থেকে এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন। এজন্য আপনারা দয়া করে নিচের আলোচনা করবেন তাহলে আপনাদের কাছে বিষয়গুলো ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

প্রফেশনাল এবং চাকরির জন্য সিভি তৈরির এ টু জেড তথ্য

প্রফেশনাল অথবা চাকরির জন্য হোক আপনার যেকোনো ধরনের সিভি হোক না কেন সেটাকে আকর্ষণীয় ভাবে পেশ করতে হবে কারণ যারা আপনার এই সিভিটি চেক করবে তারা কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড সময় নিয়ে আপনাদের এই সিভিটি দেখবে। এজন্য আপনাদের সিভিটা আকর্ষণীয় ভাবে লেখার চেষ্টা করতে হবে এছাড়াও আপনারা এই সিভিটাকে এমন ভাবে উপস্থাপন করবেন যেন যারা এই সিভিটা পড়বে তারা অল্প সময়ের মধ্যে বসতে পারে যে আপনি তাদের কাছে আত্মবিশ্বাসী 
হয়ে উঠতে পারবেন। এখানে কখনোই আপনারা কোন অপ্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন না এবং ছবির ক্ষেত্রে শ্রী লেখার নিয়ম হলো সিভি অথবা জীবন বৃত্তান্ত দুই পৃষ্ঠার বেশি লেখা যাবে না ও বায়োডাটা কে এক কথায় বলা যায় মার্কেটিং এর মত। কারণ হচ্ছে তাদের কাছে একটা আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল বায়োডাটা উপস্থাপন করতে হবে আপনাকে ও প্রয়োজনে আপনারা হাইলাইটস করতে পারবেন শুদ্ধভাবে এবং আপনারা নির্ভুলভাবে লিখার চেষ্টা করবেন। আপনারা প্রত্যেকটা স্পেলিং সঠিকভাবে লিখার 

চেষ্টা করবেন কারণ যদি বানান ভুল হয় তাহলে আপনি তাদের চোখে একটু নিচু পদের হতে পারেন। চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম হল বায়োডাটা অথবা সিভি লেখার পূর্বে নির্ধারিত যে চাকরির জন্য আপনি সিভি তৈরি করবেন সেই চাকরি সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে গবেষণা করে নিতে হবে। কারণ হলো চাকরির সার্কুলার এর ওপরে অনেক সময় দেখা যায় যে শিবির পরিবর্তন হতে পারে এজন্য আপনারা যে কোন বায়োডাটা অথবা সিভি লেখার আগে সেটা ভালোভাবে গবেষণা করে নিবেন 

এবং অপ্রয়োজনীয় কোন তথ্য দেবেন না। এই বিষয়গুলোর মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন আপনাদেরকে কি কি বিষয়গুলো পরিহার করতে হবে। তাহলে চলুন এবার জানা যাক সিভি তৈরি করার জন্য আপনাদেরকে কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে ও কি কি বিষয়গুলো সিভিতে তুলে ধরতে হবে সে বিষয় সম্পর্কে। আর এই বিষয়গুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো

হেডিং বা শিরোনামঃ বর্তমান সময়ে মর্ডান সিভিগুলোতে শিরোনাম এর হিসাবে নিজের নাম দেওয়া হয় তাই কারিকুলাম ভিটা অথবা সিভি দিয়ে শিরোনাম করা সঠিক মাধ্যম হবে না। শিরোনাম এর পাশাপ আপনাদেরকে কিছু যোগাযোগের জন্য তথ্য সংযুক্ত পড়তে হবে এবং এই পয়েন্টগুলোর মধ্যে আছে ইমেইল এড্রেস, যোগাযোগের ঠিকানা আপনাদের ফোন নাম্বার। যেটা বাধ্যতামূলক দেওয়া লাগবে এছাড়াও আপনারা এখানে প্রোফাইলের লিংক এবং লিংকডইন প্রোফাইল দিবেন যেন সেটা সচল 

থাকে তা না হলে আপনাদের সমস্যা হতে পারে। আপনারা এ বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করবেন এছাড়াও শিরোনামে এ সকল তথ্যগুলো পেশ করা আপনাদের জন্য বাধ্যতামূলক।

ছবি বা ফটোঃ আপনারা অনেকেই আছেন যারা যে কোন ধরনের ছবি দিয়ে থাকেন এই সিভি তৈরি করার ক্ষেত্রে কিন্তু আপনারা খেয়াল রাখবেন যে আপনারা কোন ধরনের কাজে এই ছবি ব্যবহার করছেন। আপনারা তো চাকরির জন্য অথবা প্রফেশনাল সিভি তৈরি করার জন্য ছবি ব্যবহার করছেন এজন্য আপনারা চেষ্টা করবেন প্রফেশনাল ছবি দেওয়ার। এছাড়াও ছবি যাতে ইস্মার্ট হয় এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড যেন এক কালারের হয়। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড কালার এর ক্ষেত্রে আপনারা নীল অথবা 

সাদা কালারের ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করতে পারেন এছাড়া আপনাদের ছবিটি হতে হবে পাসপোর্ট সাইজের। আর মূলত এগুলোই একটা প্রফেশনাল অথবা চাকরির সিভি তৈরি করতে প্রয়োজন হয় তাই এগুলো আপনাদের জন্য মাস্ট বি প্রয়োজন।

পেশাগত লক্ষ্যঃ আপনি আপনার সিভিক লেখার সময় অবশ্যই আপনার পেশাগত লক্ষ কি সেটা উল্লেখ করবেন। আর এ ক্ষেত্রে আপনি যে কোন কাজ অথবা যে কোন রকমের পেশাই হোক না কেন তা উল্লেখ করবেন সংক্ষিপ্ত ও নির্ভুল ভাবে। পেশাগত লক্ষ্য উপস্থাপন করতে হবে আপনাকে এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন ভুল না হয়।

আপনার ব্যক্তিগত তথ্যঃ আপনারা চাকরির জন্য হোক বা যেকোনো ধরনের প্রফেশনাল সিভি তৈরি করতে যখন যাবেন তখন সেখানে আপনাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনাদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলোর উপস্থাপন করতে হবে আর এ সকল ব্যক্তিগত তথ্যের মধ্যে আপনার জন্ম তারিখ, আপনার পিতা এবং মাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা ও আপনার ধর্ম এছাড়াও আপনার শখ এই বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে আপনাকে।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ প্রফেশনাল তৈরি করতে যেমন দরকার শিক্ষাগত যোগ্যতা তেমনি করে চাকরির ক্ষেত্রেও প্রথমত এর তথ্যগুলো প্রয়োজন হয়। কারণ এই শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে আপনার এবং অন্য কারো মিল দেখা যাবে না আর আপনার এই শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখেই আপনাকে নির্বাচন করা হবে। আপনি অবশ্যই সিভির মধ্যে সুন্দরভাবে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল তথ্যগুলো দিবেন এবং এগুলো দেয়া অবশ্যই আবশ্যক।

ভাষাগত দক্ষতাঃ চাকরির জন্য আপনাদের সিভি তৈরি করতে যেমন প্রয়োজন হয় ভাষাগত দক্ষতা। যেমন ধরুন আপনি যদি বাংলাদেশের কোন চাকরি করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে বাংলা ও ইংরেজি ভাষার। এজন্য আপনি প্রথমেই এই বাংলা ও ইংরেজি ভাষাকে অর্থাৎ আপনার নিজের ভাষাকে আকর্ষণীয় ভাবে সিভিতে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন এছাড়াও এই ভাষার পাশাপাশি আপনি যদি অন্য কোন ভাষা জানেন তাহলে সেই ভাষা এর দক্ষতা সম্পর্কে আপনি এখানে উল্লেখ করবেন।

প্রশিক্ষণঃ আপনি যে সকল প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন আগে সেটা হোক কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা যে কোন স্কুল যতরকম প্রশিক্ষণে আপনি অংশগ্রহণ করেছেন সেই অংশগ্রহণকৃত প্রশিক্ষণ গুলোর তালিকা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন বা তুলে ধরবেন আর এখানে অতিরিক্ত কোন কিছু দেওয়া যাবে না। আপনার চাকরির উপর ভিত্তি করে আপনাকে প্রশিক্ষণের তথ্যগুলো পেশ করার প্রয়োজন হবে প্রশিক্ষণের নাম ও আয়োজক এর তথ্য আপনি সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করবেন।

চাকরির পূর্বের অভিজ্ঞতাঃ আপনি যে কোন চাকরির ক্ষেত্রে আপনার যদি কোন আগের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি সেটা অবশ্যই এখানে তুলে ধরবেন। কারণ যে কোন ধরনের চাকরির অভিজ্ঞতা যদি আপনার থাকে তাহলে এটা আপনার প্রমোশন এর কাজে সাহায্য করবে অর্থাৎ আপনার প্রমোশন তাড়াতাড়ি হবে এছাড়াও আপনার অভিজ্ঞতার ওপর আকর্ষণ বাড়বে। আপনাদের মধ্যে যারা নতুন চাকরির জন্য সিভি লেখেন তাদের কোন অভিজ্ঞতা থাকে না এজন্য যারা আগে চাকরির জন্য সিভি লিখেছেন তাদের ওই অভিজ্ঞতা তুলো তুলে ধরতে পারবেন আপনার এই সিভির মধ্যে।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো তার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর এবং বোঝানোর চেষ্টা করেছে প্রফেশনাল এবং চাকরির জন্য সিভি তৈরির এ টু জেড তথ্য এবং মোবাইলের মাধ্যমে সিভি তৈরি করার নিয়ম ছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয়। এই বিষয়গুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক তথ্য জানতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন আশা করি। আপনাদের যদি এই পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনাদের পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url