বিদেশে চাকরি পাওয়ার উপায় ও বিদেশে চাকরির জন্য ওয়েবসাইট
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো আগে অনেকেই বিদেশে চাকরি পাওয়ার উপায় ও বিদেশে
চাকরির জন্য ওয়েবসাইট এছাড়াও
চাকরির আবেদন
পত্র বা কভার লেটার লেখার নিয়ম সম্পর্কে অনেক সঠিক তথ্য খোঁজাখুঁজি করেছেন
কিন্তু খুঁজে পাননি তা যারা আজকে আমাদের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন এজন্য শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।
আজকে আপনারা আমার এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন বিদেশে চাকরি পাওয়ার উপায় ও
বিদেশে চাকরির জন্য ওয়েবসাইট সহ চাকরির আবেদন পত্র বা কভার লেটার লেখার নিয়ম,
মোবাইলে চাকরির আবেদন করার নিয়ম, বেসরকারি চাকরিতে কি কি কাগজপত্র লাগে, অনলাইনে
সরকারি চাকরির আবেদন করার নিয়ম ইত্যাদি বিষয়গুলো ছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয়
সম্পর্কে। আপনারা এ সকল বিষয় জানতে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
আমরা এখন অনেকেই আছি যারা অনলাইনের মাধ্যমে অনেক চাকরির আবেদন করে থাকে সেটা
সরকারি হোক বা বেসরকারি অথবা বিদেশে চাকরির আবেদন। এই কাজটি এখন আমরা ঘরে বসে
আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে করতে পারি অথবা আমরা যে কোন কম্পিউটারের
দোকানে গিয়ে চাকরির আবেদন ফর পূরণ করতে পারি। এ বিষয়ে আমরা হয়তো অনেকেই জানি
আবার অনেকেই জানিনা আজকে আপনারা আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এ সকল বিষয়গুলো
ছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। বিদেশে চাকরি পাওয়ার জন্য
অনেকগুলো উপায় আছে এজন্য আপনারা আগে থেকেই পাসপোর্ট তৈরি করে রাখতে পারেন যে
দেশে যাবেন সেই দেশের ভাষা শিখে রাখতে পারেন এবং কাজের দক্ষতা অনুযায়ী চাকরির
আবেদন করতে পারেন আপনারা আগে থেকেই যে দেশে যেতে চান সেই দেশের অর্থনীতির
আবহাওয়ার এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেকগুলো
বিষয়
সম্পর্কে যদি আপনারা আগে থেকে ধারণা বা দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি সহজেই
বিদেশে চাকরি পেতে পারেন আর এখন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা সহজেই
খুঁজে পেতে পারেন বিদেশে চাকরির খোঁজ।
মোবাইলে চাকরির আবেদন করার নিয়ম
আপনারা আজকে আমার এ পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন মোবাইলের মাধ্যমে চাকরির আবেদন
করার নিয়ম সম্পর্কে। আপনারা যদি এ সকল বিষয় জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমার এই
পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন তাহলে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবেন আশা করি
ভালোভাবে। এখন অনেক রকমের চাকরির জন্য আবেদন করতে হয়। আর এই কাজটি আপনারা
আপনাদের হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ঘরে বসে করতে পারবেন। এজন্য আপনাদের
প্রয়োজন হবে একটি
স্মার্টফোনের এবং তার সাথে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থার। কোন চাকরির আবেদন করার
জন্য আপনারা যদি কোন দোকানে গিয়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে চাকরির আবেদন ফর পূরণ করতে
চান তাহলে আপনাদের টাকা লাগে প্রায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা আর এই টাকা আপনারা সহজেই
বাঁচাতে পারবেন আপনাদের হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে চাকরির আবেদন ফরম পূরণ করার
মাধ্যমে। এতে আপনাদের কোন ঝামেলা হবে না আর এখন তো সবার হাতে মোবাইল ফোন আছে
কিন্তু
অনেকে আছে যারা
মোবাইলের মাধ্যমে
চাকরির আবেদন করার নিয়ম বা কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে জানে না। এজন্য আজকে আমি
আপনাদের এ সকল বিষয়ে জানাতে চলেছি। তাহলে জেনে নেওয়া যাক মোবাইলে চাকরির আবেদন
করার নিয়ম সম্পর্কে। আপনারা অনেকেই জানতে চান মোবাইল এর মাধ্যমে চাকরির আবেদন
করার নিয়ম এবং মোবাইলের মাধ্যমে চাকরির আবেদন করতে কি কি বিষয়ে জানা প্রয়োজন
এবং কি কি প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে তাহলে জেনে নিন এ বিষয়ে।
এর জন্য আপনাদের প্রয়োজন হবে একটি স্মার্টফোন এবং আপনার প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট
সংযোগ ব্যবস্থা এর। তাহলে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে সহজেই আপনার
স্মার্টফোনের মাধ্যমে চাকরির আবেদন করতে পারবেন। আপনার স্মার্ট ফোনে প্রথমে নেট
কানেকশন দিয়ে এরপরে আপনাকে যেতে হবে গুগল ক্রমে তারপরে প্রয়োজন হবে আপনার একটি
ছবির। ছবির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সরকারি চাকরির জন্য ছবির সাইজ দেওয়া হয়ে থাকে ৩০০
গুন ৩০০ ডিক্সেল ও
ছবির সাইজ ১০০ কেবির মধ্যে হতে হবে তারপরে আপনার প্রয়োজন হবে একটা সিগনেচার এর
এবং এর সাইজ হতে হবে ৩০০ গুণিত ৮০ পিক্সেল এটা সর্বোচ্চ ৬০ কেবি হতে হবে। আর মূলত
এগুলোই মোবাইলের মাধ্যমে চাকরির আবেদন করতে প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর যদি এর বাহিরে
অন্য জিনিসগুলোর দরকার হয় তাহলে আবেদনের সময় যা যা প্রয়োজন হবে আপনাকে সেগুলো
অবশ্যই নিয়ম মেনে সঠিক তথ্য দিতে হবে এবং সঠিক তথ্য পূরণ করার মাধ্যমে আপনার
চাকরির
আবেদন সম্পূর্ণ করতে হবে। আপনি আবেদন ফরমটি সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে জানতে পারবেন
যে কি কি প্রয়োজন হবে সেগুলো সম্পর্কে সকল তথ্য। মোবাইলের মাধ্যমে চাকরির আবেদন
করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগল ক্রোম সফটওয়্যারটি আপনার ফোনে যদি ডাউনলোড
দেওয়া না থাকে তাহলে আপনাকে এই সফটওয়্যারটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে
তারপরে কাজ করতে হবে এছাড়াও আপনি অন্যান্য যে কোন অ্যাপস থেকেও এটা ডাউনলোড করে
নিতে পারেন। আপনার
ছবি এবং সিগনেচার এর কাজ করা কমপ্লিট হয়ে গেলে তারপরে আপনি যে চাকরির জন্য আবেদন
করতে চান সেই চাকরির অনলাইনে আবেদন করার ওয়েবসাইটে গিয়েও আপনি আপনার
প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে সেই চাকরির আবেদন করতে পারেন। আর এভাবে আপনারা ঘরে
বসে মোবাইলের মাধ্যমে চাকরির আবেদন করতে পারেন কোন ঝামেলা ছাড়াই।
বেসরকারি চাকরিতে কি কি কাগজপত্র লাগে
সরকারি চাকরিতে কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে যদি আপনারা জানতে চান তাহলে
আপনাদের পড়তে হবে এই পোস্টটি তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন। বেসরকারি চাকরিতে
সর্বপ্রথম লাগবে যে কাগজটি সেটা হল একটা সিভি এবং তারপরে লাগবে আপনার শিক্ষাগত
যোগ্যতার একটা সনদ আর আপনার এনআইডি কার্ড এর ফটোকপি। আপনার যদি এন আই ডি কার্ড না
থাকে তাহলে আপনি জন্ম সনদের ফটোকপি চেয়ারম্যান অথবা পৌরসভার সার্টিফিকেট এর
পাশাপাশি অতিরিক্ত
কিছু কাগজ লাগতে পারে বা দিতে হতে পারে। যেমন ধরুন ব্যাংক চেক পিতা ও মাতার
এনআইডি কার্ড অভিজ্ঞতার সনদপত্র ও বিদ্যুৎ বিল সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিতে
পারবেন।
চাকরির আবেদন পত্র বা কভার লেটার লেখার নিয়ম
আপনারা আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন চাকরির আবেদন পত্র লেখার নিয়ম
সম্পর্কে। আজকে আমি আপনাদের এ বিষয়ে সঠিকভাবে বোঝানোর এবং জানানোর চেষ্টা করব
আশা করি আপনারা এ বিষয়টি ভালোভাবে পড়ে বোঝার চেষ্টা করবেন। এখন অনেক রকমের
চাকরির আবেদন করতে হয় অনলাইনের মাধ্যমে আবার অনেক এনজিও চাকরির আবেদন করতে হয়
আবেদন পত্র লিখার মাধ্যমে। এর জন্য আমাদের কয়েকটি বিষয় ভালোভাবে মাথায় রেখে সে
অনুযায়ী
আবেদন পত্র লিখতে হবে। চাকরির আবেদন পত্র অথবা কভার লেটার হতে হবে সহজ এবং
প্রাণবন্ত। যেখানে থাকবে একজন প্রার্থী আবেদিত পদের জন্য সে কতটা যোগ্য
প্রতিষ্ঠানের জন্য তাকেই কেন প্রয়োজন এবং প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে দু-চার লাইন কথা
অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখতে হবে। অনেক মাল্টিন্যাশনাল এবং বেসরকারি শিল্প
প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কর্তাদের মতে মাত্র পাঁচ শতাংশ প্রার্থী তাদের সিভির সাথে
কভার লেটার দিয়ে থাকেন। আর এর মধ্যে অনেকের এই আবেদন পত্রে থাকে
অনেক বানান ভুল এবং বাক্য ভুল এবং আবেদন পত্র বা কভার লেটার থাকে অসম্পূর্ণ। আবার
অনেক সময় দেখা যায় যে এই আবেদন পত্রে প্রার্থী কি বুঝাতে চেষ্টা করেছেন সেটা
অস্পষ্ট থেকে যায়। আর সাধারণত স্বাভাবিকভাবে এ সকল সিভি নেওয়া হয় না। এখন অনেক
বেসরকারি চাকরি এবং এনজিও গুলো তাদের চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এর সাথে উল্লেখ করে
থাকে কভার লেটার অথবা চাকরির আবেদন পত্রের কথা। এজন্য এ সকল চাকরির ক্ষেত্রে এখন
এই আবেদনপত্র লেখার বিষয়টি
অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে অনেক চাকরিপ্রাপ্ত প্রত্যাশীদের কাছে। চাকরির আবেদন
পত্র হচ্ছে একটা ফরমাল চিঠি যেটা সিভির সাথে জমা দেওয়া হয়ে থাকে। অনেক কোম্পানি
অথবা প্রতিষ্ঠান চাকরি করার জন্য আবেদনের সময় জীবন বৃত্তান্ত এর সাথে একটা কভার
লেটার যোগ করা হয়ে থাকে বা করতে হয়। আর আপনারা যদি ইমেইলের মাধ্যমে কোন চাকরির
আবেদন পাঠান তাহলে আপনাকে একই মেইলে প্রথমে আপনার কভার লেটার এবং পরে এর সাথে
সিভি যুক্ত করে দিতে হবে।
কভার লেটারে মূলত থাকে আপনার দক্ষতার সুস্পষ্ট বিবরণ এবং আপনি কেন এই পদের জন্য
উপযুক্ত তার কিছু বর্ণনা। চাকরির বিভিন্নতা হিসেবে চাকরির আবেদন পত্র অনেক
প্রকারের হতে পারে। চাকরির ভিন্ন তার অনুসারে কভার লেটার বা চাকরির আবেদন পত্র
ভিন্ন হলেও এই চাকরির আবেদন পত্রের মূল বিষয় কিন্তু একই থাকে। চাকরির আবেদনপত্রে
সাধারণত তিনটি বিষয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে সূচনা, মূল অংশ এবং পরিসমাপ্তি।
সূচনাঃ চাকরির আবেদন পত্র শুরু হয়ে থাকে কভার লেটার দিয়ে। এখানে লিখতে
হবে আপনার পরিচয়, আবেদনের কারণ, কিভাবে আপনি এই নিয়োগ সম্পর্কে জেনেছেন ও এই
পদে আপনার চাকরি করার ইচ্ছা কেন ইত্যাদি বিষয়গুলো সংক্ষেপে এখানে লিখতে হবে।
যেমন-যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, গত ১৯-১০-২০২৪ তারিখ
ঢাকা পোস্ট জবস পাতায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পেরেছি আপনার
প্রতিষ্ঠানে এসিস্ট্যান্ট অফিসার পদে কিছু সংখ্যক লোক নিয়োগ করা হবে।
মূল অংশঃ এরপরে আপনার আবেদনপত্রের মূল অংশটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আবেদনপত্রের এই মূল অংশে আপনাকে পদের সাথে আপনার অভিজ্ঞতার বিষয়গুলা সম্পর্কে
সংক্ষেপে আলোচনা করতে হবে। এখানে আপনি চাইলে আপনার পূর্বের কাজের বিবরণ ও ছোট করে
দিতে পারেন আপনার পদের সাথে সামঞ্জস্য আছে। চেষ্টা করবেন যাতে দুটি প্যারাগ্রাফে
সমস্ত অভিজ্ঞতা দক্ষতা ও অর্জন সমূহ বর্ণনা করা হয়ে থাকে। যেমন ধরুন-বিগত পাঁচ
বছর ধরে পদ সংশ্লিষ্ট খাতে আমি সুনামের সাথে কাজ করেছি। এর ফলে পদ সংক্রান্ত
খুঁটিনাটি কার্যক্রম সম্পর্কে আমার অনেক অভিজ্ঞতা আছে।
পরিসমাপ্তিঃ আবেদনপত্রের শেষ অংশে ব্যক্ত করা থাকবে উক্ত পদে চাকরি করার
বাসনা। তারা আপনার সাথে পরবর্তীতে যোগাযোগ করবে সেটাও স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে
হবে। এর পাশাপাশি আপনার নিজের ইমেইল ও অন্যান্য যোগাযোগের তথ্য দিয়ে আপনাকে
ইন্টারভিউতে দেখা করার কথা ব্যক্ত করুন। এরপরে আপনি আপনার আবেদন পত্রটি সময়
নিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়োগ কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না। আর
সবশেষে আপনার নাম ও আপনার স্বাক্ষর দিবেন।
চাকরির আবেদনপত্র লেখার নিয়মের মধ্যে হচ্ছে পরে প্রথমে
- তারিখ
- বরাবর,
- আপনি যে বিষয় সম্পর্কে লিখবেন সে বিষয় সম্পর্কে লিখতে হবে
- এরপরে আপনি যে প্রতিষ্ঠানকে পাঠাবেন অথবা যে অফিসে পাঠাবেন তার উল্লেখ করতে হবে
- এর পরে ঠিকানা এবং জেলা লিখতে হবে
- তারপরে বিষয়
- এরপরে জনাব দিয়ে লেখা শুরু করতে হবে
- এখানে আপনাকে যে বিষয়ে লিখতে হবে সে বিষয়টি সম্পর্কে উল্লেখ করতে হবে এবং সম্পূর্ণ লেখা হয়ে গেলে এবার নিচে লিখতে হবে
- প্রার্থীর নাম
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- বর্তমান ঠিকানা-গ্রাম-ডাকঘর-উপজেলা-জেলা-স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম এগুলো লেখার পর লিখতে হবে
- জন্ম তারিখ
- আপনার ধর্
- আপনার বৈবাহিক অবস্থা
- রক্তের গ্রুপ
- জাতীয় পরিচয় পত্র নং
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- এবং মোবাইল নাম্বার
- তারপরে অতএব লিখে এখানে আপনার কিছু মনের ভাব প্রকাশ করতে হবে তারপরে সবশেষে লিখতে হবে
- নিবেদক
- এখানে লিখতে হবে আপনার নাম।
এর সাথে আপনাদের কিছু কাগজপত্র যুক্ত করতে হবে সেগুলো হল পাসপোর্ট সাইজের রঙিন
ছবি এক থেকে দুই কপি আপনার সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের ফটোকপি ও জাতীয়
পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা আপনার জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি মূলত এগুলো ব্যবহার করা
হয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের চাকরির আবেদন পত্র লিখার জন্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও
একই রকম।
অনলাইনে সরকারি চাকরির আবেদন করার নিয়ম
এখন প্রায় সব সরকারি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে চাকরির আবেদন গ্রহণ করে থাকছে কিন্তু
আবেদন করার নিয়ম অনেকে ঠিক মত জানে না বা জানা না থাকার কারণে অনেকেই অনেক
সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকে আবার কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে চাকরির আবেদন
করছেন এতে করে খরচ হচ্ছে অনেক টাকা। অথচ আপনি যদি এ সম্পর্কিত নিয়মাবলী গুলো
জানেন তাহলে আপনি ঘরে বসেই যে কোন চাকরি অথবা সরকারি চাকরির আবেদন করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনার সরকার
নির্ধারিত আবেদন ফ্রি ছাড়া আর কোন বাড়তি টাকা লাগবে না। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া
যাক অনলাইনের মাধ্যমে সরকারি চাকরির আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে। আবেদন করার সময়
যেগুলো থাকতে হবে সেগুলো হচ্ছে
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার।
- আপনার মোবাইল নাম্বার।
- আপনার সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
- আপনার স্বাক্ষর এর স্ক্যান কপি।
এরপরে আবেদনের ধাপসমূহ থাকবে। সরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠানেরই চাকরির আবেদন আপনি
করুন না কেন অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম কিন্তু একই রকম। এজন্য আপনাকে প্রথমে
নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এরপরে
- আবেদন ফ্রম এর নির্দিষ্ট ঘরে আপনাকে আপনার এসএসসি সনদ অনুসারে আপনার নাম লিখতে হবে বাংলায় এবং ইংরেজিতে বড় হাতের অক্ষরে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার ইংরেজিতে লিখতে হবে।
- জন্ম তারিখ লিখতে হবে ইংরেজিতে (YYYY-MM-DD) এই ফরমেটে।
- আপনাকে আপনার নিজ বিভাগ নির্বাচন করতে হবে।
- আপনার নিজ জেলার নাম নির্বাচন করতে হবে।
- আপনার এসএসসি সনদ অনুসারে আপনার নিজের পিতার নাম লিখতে হবে।
- একই সনদ অনুসারে নিজের মাতার নাম লিখতে হবে।
- জেন্ডার নির্বাচন করতে হবে।
- মোবাইল নাম্বার লিখতে হবে ইংরেজিতে।
- আপনার নিজ ধর্ম সঠিকভাবে লিখতে হবে।
- আপনার নিজ জাতীয়তা সঠিকভাবে লিখতে হবে।
- ইমেইল নাম্বার যদি থাকে তাহলে লিখতে হবে সঠিকভাবে ইংরেজিতে।
- আপনার পেশা কি সেটা লিখতে হবে।
- আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সঠিকভাবে লিখতে হবে।
- একপর্যায়ে আপনার যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অনেক তথ্য দিতে হবে।
- আপনাকে এজন্য নির্ধারিত একটা বক্সের শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্রম সাজিয়ে লিখতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা কে প্রথমে এনে তারপরে সেটা ক্রম অনুযায়ী সাজাতে হবে।
- আপনার যদি অতিরিক্ত কোন যোগ্যতা থাকে তাহলে সেটা সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে সেখানে।
- আপনার অভিজ্ঞতা বিবরণের ঘরে কোন রকমের অভিজ্ঞতা থাকলে সেটা সেখানে উল্লেখ করতে হবে।
- তারপরে আপনাকে সতর্কতার সাথে কোটার ঘর নির্বাচন করে সেখানে আপনার যদি কোন কোটায় আবেদন করেন তাহলে সেটা নির্বাচন করে দিতে হবে। আর যদি সেটা না হয় তাহলে অন্যান্য নির্বাচন করতে হবে।
- এরপরে আসবে আপনার ছবি এবং স্বাক্ষর আপলোড করার ধাপ। এই ধাপের ক্ষেত্রে তথ্যগুলো বেশ সর্তকতার সাথে আপলোড করতে হবে আপনাকে অবশ্যই এক্ষেত্রে যদি কোন তথ্য এদিক সেদিক হয় তাহলে ধাত্রী সম্পন্ন করা যাবে না।
- এখানে প্রথমে প্রার্থীর ছবি আপলোড করে দিতে হবে। ছবি হতে হবে সদ্য তোলা রঙিন ছবি। আর ছবির সাইজ ৩০০ গুন ৩০০ পিকজেল এবং জেপিজি ফরমেট এর হতে হবে এবং ছবির ক্ষেত্রে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে।
- আর ছবিটি অবশ্যই হতে হবে ৩০০ কেবি এর ভেতর।
- প্রার্থীর স্বাক্ষর হতে হবে ২৫০ গুণ ১৫০ পিক্সেল। এপিজি ফরমেট এবং সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড না হলে সেটা আপলোড করা সম্ভব হবে না। স্বাক্ষরের ছবিটির ক্ষেত্রেও ৩০০ কেবির মধ্যে হতে হবে অবশ্যই।
আপনি যদি সবকিছু সঠিকভাবে পূরণ করার পরে সংরক্ষণ করুন এবং পরবর্তী ধাপ এই বাটনে
ক্লিক করেন তাহলে আপনার সব ঠিক থাকবে এবং আপনার বায়োডাটা নির্ভুলভাবে তৈরি হবে।
এরপরে আপনাকে আবেদন ফির চালান রশিদের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে “আবেদন নিশ্চিত
করুন” এই বাটনে ক্লিক করা হলে আবেদন যাচাই করণ করনের একটি পেজ আসবে। এখানে যদি
সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে আবেদন নিশ্চিত করুন বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে। তবে যদি
এক্ষেত্রে বা
পর্যায়ে কোন তথ্য যদি ভুল থাকে তাহলে আপনি সহজেই সম্পাদনা বাটন এ ক্লিক করার
মাধ্যমে সেটা সংশোধন করতে পারবেন। তবে আবেদন একবার নিশ্চিত করা হয়ে গেলে পরে
কিন্তু সংশোধনের সুযোগ থাকবে না। চাকরির আবেদন সম্পূর্ণ হয়ে গেলে অবশ্যই
আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে রাখতে হবে। কেননা অনেক সময় দেখা যায় যে লিখিত অথবা
মৌখিক পরীক্ষায় চালানের মূল কপি আবেদন এর প্রিন্ট করা হার্ডকপি এবং সকল
সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হয়।
সরকারি চাকরিতে কি কি কাগজপত্র লাগে
এখন যেকোনো রকমের সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে আবেদন এর
মাধ্যমে। আর এর জন্য এখন কোন রকমের কাগজ পাতি জমা দেওয়া না লাগলেও কিন্তু কিছু
কাগজপত্র নিজের সাথে বা কাছের রাখা দরকার হয়ে দাঁড়ায় যেমন ধরুন আপনার শিক্ষাগত
যোগ্যতার সনদপত্র অথবা মার্কসিট আপনার জন্ম নিবন্ধন অথবা আপনার এনআইডি কার্ড ও
রঙিন ছবি পাসওয়ার্ড সাইজের এগুলো প্রয়োজন হবে। আপনি যখন চাকরির জন্য সংবরণ
করবেন তখন এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে
যে আপনার একটি সাথে যদি আরেকটি কাগজের মিল না থাকে তাহলে আপনি অনেক সমস্যা এর
সম্মুখীন হতে পারেন অথবা আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে এবং যদি ভুল থাকে তাহলে
আপনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে সেজন্য আপনারা অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন
এবং আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্র আপনার সকল শিক্ষা সনদ এবং ছবি এই সবগুলো একসাথে
নিয়ে চাকরির ফর্ম পূরণ করবেন এবং বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী উল্লেখিত শর্ত মেনে তারপরেই
আপনি সরকারি চাকরি
তে আবেদন করতে পারবেন। আর মূলত এগুলোই প্রয়োজন হয়ে থাকে সরকারি চাকরিতে আবেদন
করার ক্ষেত্রে এবং আপনারা সরকারি চাকরিতে আবেদন করার সময় অবশ্যই এই কাগজগুলোর
সাথে নিয়ে তারপরে ফর্ম পূরণ করবেন।তাহলে কোন সমস্যা হবে না এবং সেই সাথে আপনারা
সঠিক তথ্য দিতে পারবেন এবং কোন তথ্য ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না বা ভুল হবে না।
বিদেশে চাকরি পাওয়ার উপায় ও বিদেশে চাকরির জন্য ওয়েবসাইট
এখন এমন অনেক মানুষ আছে যারা বিদেশে চাকরি করার স্বপ্ন দেখে। আমাদের দেশের চাকরির
বাজারে অনেক সংকট স্বল্প বেতন এবং সুযোগ সুবিধা কম থাকার কারণে অনেক চাকরি
প্রত্যাশীরা এখন বিদেশে যেতে চাচ্ছেন এবং সেখানে গিয়ে উপার্জন করতে চান দেশের
তুলনায় অনেক বেশি। তারা তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করতে চান এজন্য অনেকেই এখন
বিদেশে চাকরি করতে আগ্রহী প্রকাশ করছে। কিন্তু দেশ ছেড়ে দেশের বাহিরে যাওয়া
থাকতে হবে অর্থ। এজন্য আজকে
আমি আপনাদের বিদেশে চাকরি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বলব। আর এই বিষয়গুলো জানার
জন্য আপনাদের অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে এর পাশাপাশি
আপনারা বিদেশে চাকরির জন্য যে সকল ওয়েবসাইট আছে সেগুলো সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
বিদেশে চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় গুলোর মধ্যে হচ্ছে
পাসপোর্ট প্রস্তুত রাখাঃ বিদেশে চাকরির জন্য বিদেশে যেতে চাইলে আপনাকে
প্রথমে আপনার পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে বা আপনাকে আগে থেকে
পাসপোর্ট
তৈরি করে রাখতে হবে। আপনার যদি কোন কারনে হঠাৎ করে চাকরি হয় তখন পাসপোর্টের জন্য
আপনাকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তাই আগে থেকেই এর প্রস্তুত করে রাখা ভালো।
ভিসা এবং কাজের অনুমতি পত্র বা ওয়ার্ক পারমিটঃ বিদেশে চাকরি করতে চাইলে
আপনাকে প্রথমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করা উচিত বা করতে হবে। কারণ
চাকরির আবেদনের সাথে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এর কাগজপত্র ও কাজের অনুমতি পত্র জমা
দিতে হয়। এজন্য আপনারা যদি আগে থেকেই আবেদন করে রাখেন তাহলে ভালো হয়। আরেকটি
বিষয় হচ্ছে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই সরকারি ভাবে নিবন্ধন করবেন বা করতে
হবে। আপনারা জনশক্তি, কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরো এদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে
নিবন্ধন করতে পারেন বা নিবন্ধন করতে হবে।
ভাষা জানতে হবেঃ আপনি বিদেশে যে দেশে চাকরি করতে যাবেন আপনাকে সেই দেশের
ভাষা শিখে রাখতে হবে আগে থেকেই এতে করে আপনার ভাষা এর জন্য কোন ঝামেলায় পড়তে
হবে না। যে দেশে চাকরি করতে যেতে চান সেই দেশের ভাষা জেনে রাখুন এবং এটা সিভিতে
যুক্ত করতে পারেন আপনি। এটা আপনার অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে গণ্য হবে আর এটা
আপনাকে ভিসা প্রাপ্তিতে সাহায্য করবে।
সিভিকে আপডেট করে রাখাঃ সিভি সব সময় আপনি আপডেট করে রাখবেন। ছোট কাজ
চাকরি স্বেচ্ছাসেবের কাজ অভিজ্ঞতা হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বহন করবে। আপনি যদি
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকেন সে সময়কালীন সময়ে যদি কোন সহপাঠ সংক্রান্ত
কার্যক্রমে যুক্ত থাকেন তাহলে সেটা গুরুত্বসহকারে বিবেচিত হবে।
চাকরির জন্য আবেদন করাঃ আপনারা এখন সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনের
মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির জন্য সহজে আবেদন করতে পারেন।
এজন্য আপনারাই এ সকল ওয়েবসাইটগুলোতে যেমন- ইনডিড, জবলি, ক্যারিয়ারবিল্ডার,
ক্যারিয়ারজেট, গোএবরোড, মনস্টার ইত্যাদি ওয়েবসাইট গুলো প্রতিদিন আপনার নজরে
রাখুন। আপনি যে কাজের প্রতি দক্ষ সেই কাজ অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন বা করুন।
আপনারা বিদেশের চাকরির জন্য প্রবাসী
কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড
(বোয়েসেল) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি
(বায়রা) এদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ইন্টারভিউঃ চাকরির ইন্টারভিউ ভিডিও কলের মাধ্যমে নেওয়া হয়ে থাকে এজন্য
যদি আপনি আগে থেকে ভিডিও কলে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য অবশ্যই নিজেকে প্রস্তুত করে
নিতে পারেন। অথবা আপনি ভিডিও কলে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে
পারেন আগে থেকেই।
অর্থনীতি, আবহাওয়া এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণাঃ আপনি যে দেশে চাকরি করতে
যেতে চায়না আপনি সেই দেশের অর্থনীতি, আবহাওয়া এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে আগে থেকে
স্বচ্ছ ধারণা রাখতে পারেন বা আপনার ধারণা থাকতে হবে এ সকল বিষয়ে। আর এই
বিষয়গুলো আপনাকে অনেক কাজে সাহায্য করবে বা আপনার অনেক ক্ষেত্রে কাজে লাগবে এই
তথ্যগুলো এজন্য আপনাকে এ সকল বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে। বিদেশে চাকরি পাওয়া
সহজ ব্যাপার নয় এই প্রক্রিয়াটা অনেক লম্বা। কিন্তু
আমরা যদি বসে থাকে তাহলে চলবে না আমাদের ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে
যেতে হবে তাহলে আমরা সফলতা পাব।
বিদেশে চাকরির জন্য ওয়েবসাইট
এখন বিদেশে চাকরি খোঁজার জন্য অনেকগুলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর মাধ্যমে
আপনারা সহজেই বিদেশে চাকরি খুজে পেতে পারবেন।
- Jobble
- Indeed worldwide
- Monster worldwide
- careerbuilder.com
- Jobs.goabroad.com
- Bdjobs.com
এখন এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা সহজেই বিদেশে চাকরির খোঁজ
পেতে পারেন এবং এ সকল ওয়েবসাইটে আছে বিদেশে চাকরির তালিকা। এ সকল ওয়েবসাইট
গুলোর মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে
প্রকৃতপক্ষেঃ প্রকৃতপক্ষে এটা একটি ওয়েবসাইটে যেখানে আপনারা সারা বিশ্ব
জুড়ে চাকরির সন্ধান করতে পারবেন এবং চাকরি করতে পারবেন সহজেই এই ওয়েবসাইটের
মাধ্যমে।
টুইটারঃ হচ্ছে এমন একটা ওয়েবসাইটে যেখানে আপনারা কোম্পানিগুলোকে অনুসরণ
করতে পারবেন এবং বিদেশে চাকরি খুঁজে পেতে পারবেন সহজেই এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
GoAbroad:GoAbroad হচ্ছে এমন একটি ওয়েবসাইটে যা আপনাদের অর্থাৎ লোকেদের
সাথে বিদেশে চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে একটি বিশেষজ্ঞ। এখানে আপনি বিদেশে চাকরি
সম্পর্কিত সকল তথ্য পাবেন এবং চাকরির অনুসন্ধান করতে পারবেন।
Workaway: workaway হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট যা আপনাদেরকে বাসস্থান ও খাবারের
বিনিময়ে কাজ খুঁজে পেতে দিয়ে থাকবে।
WWOOF:WWOOF আরেকটি ওয়েবসাইট যেটা আপনাদেরকে সারা বিশ্বের জৈব খামারগুলো
তে কাজ খুঁজে দেওয়ার কাজ করে থাকবে।
HelpX:HelpX আরেকটি ওয়েবসাইট যেটা আপনাদেরকে বাসস্থান ও খাবারের বিনিময়ে
কাজ খুজে দিয়ে থাকবে।
Craigslis:Craigslis এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি বিদেশে চাকরি সহ অন্য
যেকোনো কিছু খুঁজে পেতে পারবেন।
ফেসবুকঃ ফেসবুক হচ্ছে এমন একটি ওয়েবসাইটে যেখানে আপনারা বন্ধুদের সাথে
সংযোগ করতে পারবেন এবং এর পাশাপাশি বিদেশে চাকরি খোঁজে পারবেন সহজেই।
লিঙ্কডইনঃ লিঙ্কডইন এমন একটি ওয়েবসাইট যা আপনাদেরকে সারা বিশ্বের লোকের
সাথে নেটওয়ার্ক করতে পারবেন এবং চাকরি খোঁজার অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে।
গুগলঃ গুগল হলো একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনারা বিদেশে চাকরি সহ যেকোনো
কিছুর জন্য এখানে অনুসন্ধান বা খোঁজ করতে পারবেন। এখানে এমন কোন জিনিস নেই যে সে
সকল বিষয়ে আপনি জানতে চান এখানে সকল ধরনের তথ্য জানতে পারবেন আপনি।
এছাড়াও আরো অনেক জনপ্রিয় ফ্ল্যাট ফ্রম আছে যেগুলো আপনার চাকরির সন্ধান কে
স্বয়ংক্রিয় করবে। আপনি সহজ ভাবে আপনার প্রোফাইল তৈরি করে আপনার পছন্দমত চাকরি
অনুসন্ধানের কাজটি করতে পারেন এবং এক ক্লিকের মাধ্যমে আপনারা হাজার হাজার কাজের
জন্য আবেদন করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো তার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা
করেছে বিদেশে চাকরি পাওয়ার উপায় ও বিদেশে চাকরির জন্য ওয়েবসাইট এবং চাকরির
আবেদন পত্র বা কভার লেটার লেখার নিয়ম এছাড়াও আরো অনেক বিষয়গুলো সম্পর্কে
জানানোর চেষ্টা করেছি। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আশা করি আপনারা অনেক সঠিক তথ্য জানতে
পারবেন এবং বুঝতে পারবেন। আপনাদের যদি এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই এই
পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন
আপনাদের পরিচিতদের মাঝে। আর নিত্য নতুন তথ্য পেতে আমার এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
ভালো লাগলে কমেন্টে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন আশা করি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url