সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি ২০২৪-সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো অনেকেই আগে অনেক ওয়েবসাইট এবং অনলাইনে অনেক তথ্য
ঘাটাঘাটি করে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার
এজেন্সি ২০২৪-সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় এবং সরকারিভাবে বিদেশ যেতে নিবন্ধন করবেন
কিভাবে এ সকল বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছেন। আর এ সকল বিষয় আজকে আপনারা আমার এই
পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন এজন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি ২০২৪-সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় সহ
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে নিবন্ধন করবেন কিভাবে এছাড়াও বিদেশ যাওয়ার আগে
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গুলো কি কি, বিদেশ যেতে বা কোন দেশে যেতে কত বছর বয়স লাগে এ
সম্পর্কে ইউরোপে কোন কাজের চাহিদা বেশি ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয়ে। যেগুলো পড়ে
আপনারা সঠিক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন আশা করি এজন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা-সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি ২০২৪-সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
আমাদের অনেকেরই বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন থাকে কাজের জন্য আবার অনেকেই যায় লেখাপড়ার
জন্য উচ্চ শিক্ষার জন্য। কিন্তু আমরা টাকার অভাবে অনেকেই বিদেশ যেতে পারি না আবার
অনেকে আছে যারা দালালের খপ্পরে পড়ে অনেক টাকা ক্ষতি করে বসে থাকে এজন্য আপনারা
এদিক থেকে সাবধান হবেন। আপনারা যদি বিদেশ যেতে চান তাহলে এখন অনেক সরকারি
বেসরকারি এজেন্সি বা কোম্পানি আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা সহজে বিদেশ যেতে
পারবেন। এছাড়া আপনারা সরকারিভাবে বিদেশ
আরো পড়ুনঃইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
যাওয়ার উপায় এর মধ্যে হচ্ছে আপনারা স্কলারশিপ এর মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে
আপনারা অল্প খরচে যেতে পারবেন। আপনারা সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য Ami
Probashi অ্যাপ থেকে একাউন্ট ওপেন করার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের পাসপোর্ট জাতীয়
পরিচয় পত্র এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সাবমিট করে আপনার পছন্দের দেশে যাওয়ার
জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা মাহাবুব ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি এর
মাধ্যমে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে পারবেন।
এছাড়া সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে নিবন্ধন শুরু করা হয়েছে এতে আপনারা নিবন্ধন শুরু
করতে পারেন। এই বিষয়গুলো সহ এবং আরো অনেক বিষয়গুলো সম্পর্কে এই পোস্টের মাধ্যমে
আলোচনা করা হয়েছে নিচে এ গুলো জানতে মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি পড়ুন যাতে করে
আপনারা উপকৃত হতে পারেন।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য এবং বেকারত্ব কমানোর জন্য বিদেশ যায়। যাতে করে
তাদের পরিবার সুখে থাকে। তবে অনেকেই সরকারি ভাবে বিদেশ যায় আবার অনেকেই দালালের
মাধ্যমে যায়। তবে দালালের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার ফলে অনেকের অনেক ভোগান্তির
শিকার হতে হয় কষ্টে পড়তে হয় আর যদি সরকারি ভাবে যাওয়া যায় তাহলে কোন ধরনের
সমস্যা হওয়ার কথা হয়না। আপনারা কেউ যদি সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে চান তাহলে
আপনাদের প্রথমে Ami Probashi অ্যাপ থেকে
একাউন্ট ওপেন করার পরে আপনার পাসপোর্ট জাতীয় পরিচয় পত্র ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
সাবমিট করে আপনারা আপনাদের পছন্দের দেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।Ami
Probashi এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনারা চাকরির ধরন ও বেতন সম্পর্কিত নানা বিস্তারিত
তথ্য জানতে পারবেন এবং জানার পরে আবেদন করতে পারেন বা পারবেন। উক্ত কোম্পানির
ম্যানেজমেন্ট টিম যদি আপনাকে সিলেক্ট করে থাকে তাহলে পরবর্তীতে আপনি তাদের
নির্ধারিত স্থানে উত্তীর্ণ হয়ে বিদেশ ভ্রমণ
করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা শ্রমিক এবং স্কলারশিপ পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা ও
সাধারণত চাকরিপ্রার্থী মানুষ হিসেবে আপনারা সরকারি ভাবে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন
বা বিদেশে যেতে পারবেন। আপনারা কোন রকমের দালালের চক্র ছাড়াই Ami Probashi এই
অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি বিদেশে যেতে পারবেন বা বিদেশে চাকরির জন্য আবেদন করতে
পারবেন। সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আনুমানিক খরচ হতে পারে ১,০০,০০০ টাকা
থেকে ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত। তবে
বিভিন্ন দেশ ভেদে এই খরচের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে তবে ব্যক্তিগতভাবে বিদেশ
ভ্রমণের থেকে সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণের জন্য বা বিদেশ যাওয়ার জন্য খরচ অনেক কম
হয়। তবে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার আগে অথবা ভ্রমণের আগে আপনার কর্মদক্ষতা থাকতে
হবে অবশ্যই এবং টিটিসি থেকে বিদেশ ভ্রমণ কোর্স সম্পূর্ণ করে আপনাদের সার্টিফিকেট
গ্রহণ করতে হবে। সরকারিভাবে কম খরচে আপনারা ভারত, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড,
থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত,
ওমান এবং পোল্যান্ড যেতে পারবেন। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য খরচ কম হবে আর
যদি আপনারা বেসরকারি অথবা কোন দালাল চক্রের ফাঁদে পড়েন তাহলে প্রতারণার শিকার
হবেন এবং অনেক বেশি টাকা খরচ হবে আপনাদের।
বিদেশ যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গুলো কি কি
একজন মানুষকে বিদেশ যাওয়ার আগে অনেক ধরনের পদক্ষেপের সম্মুখীন হতে হয়। নিচে
সেসকল পদক্ষেপ সমূহ বলা হলো
- বৈধ ভাবে এবং নিরাপদে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
- প্রথমে আপনারা লাভ ক্ষতি হিসাব করে পরবর্তীতে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
- আপনি সংশ্লিষ্ট ডিইএমও তে ডাটাবেজ নাম নিবন্ধন করুন।
- বিদেশ যাওয়ার আগে সে দেশের ভাষা সম্পর্কে জানুন এবং সংশ্লিষ্ট কাজের দক্ষতা অর্জন করুন।
- আপনারা সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ করবেন।
- আপনার নিজের পাসপোর্ট নিজের কাছে রাখুন ও ভিসা সংগ্রহ করে তারপরে সেটা যাচাই করুন।
- আপনি চুক্তিপত্রে ভালো মতো দেখে শুনে পড়ে বুঝে তারপরে স্বাক্ষর করবেন।
- আপনি অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার হতে আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
- আপনার আঙ্গুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংশ্লিষ্ট ডিইএমও অফিসে দিন।
- বিদেশ যাওয়ার আগে আপনি তিন দিনের প্রাক-বহি কমন বহির্গমন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করুন।
- আপনি বিদেশ যাওয়ার আগে দুইটি ব্যাংক একাউন্ট খুলুন।
- বিএমইটির স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করুন।
- বিদেশ যাওয়ার আগে আপনার প্রত্যেকটি কাগজপত্র এর তিন থেকে চারটি করে ফটোকপি তৈরি করে রাখুন।
- আপনি যদি সকল নিয়ম মেনে আপনার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করেন তাহলে সবকিছু ভালো হবে। অর্থাৎ আপনি বিদেশ যাওয়ার আগে অবশ্যই সকল নিয়ম মেনে যাত্রা শুরু করবেন।
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে নিবন্ধন করবেন কিভাবে
সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আগ্রহী দক্ষ অদক্ষ এবং পেশাজীবী এবং স্বল্পদক্ষ
নারী পুরুষের জন্য নিবন্ধন শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা মোবাইল ব্যাংকিং এর
মাধ্যমে (বিকাশ/নগদ/শিওর ক্যাশ/রকেট) ২০০ টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে নিবন্ধন
করতে পারবেন। সম্প্রতি জনশক্তি কর্মসংস্থান এবং পরিসংখ্যান ব্যুরো এ সংক্রান্ত এক
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কোন রকমের দালাল বা মধ্যস্বত্ব ভোগী ছাড়াই ৬১
জেলায় নিবন্ধন কাজ চালু হচ্ছে। বিএমইটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বছরে প্রতি উপজেলা থেকে ১ হাজার কর্মী বিদেশে
পাঠানোর কথা রয়েছে। সে অনুযায়ী সরকারিভাবে বিদেশে কর্মী পাঠাতে গত বছরের ১
আগস্ট ঢাকা জেলায় নিবন্ধন শুরু হয়। পরে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে নারায়ণগঞ্জ এবং
গাজীপুর জেলার নিবন্ধন শুরু হয়। এই জেলাগুলো ছাড়াও আরো দেশের বাকি ৬১ জেলার
নিবন্ধন শুরু হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন
জনশক্তি কর্মসংস্থান এবং পরিসংখ্যান ব্যুরো এর কেন্দ্রীয় ডাটা
ব্যাংকে এ নিবন্ধন কাজ শুরু হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে নিবন্ধনকারীর
যোগ্যতা সম্পর্কে। নিবন্ধনকারীর বয়স হতে হবে অবশ্যই ১৮ বছরের উপরে। তবে
মধ্যপ্রাচ্যে নারী গৃহকর্মী হিসেবে যদি কেউ যেতে চায় তাহলে তার বয়স হতে হবে ২৫
থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। এছাড়াও নিবন্ধনকারী ব্যক্তির অন্তত ৬ মাসের বৈধ পাসপোর্ট
এবং নিজস্ব একটা মোবাইল থাকতে হবে। নিবন্ধন করার পরে নিবন্ধনের আপডেট তথ্য তাকে
অবশ্যই মোবাইল ফোনের এসএমএস এর মাধ্যমে
জানিয়ে দেবে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, এই নিবন্ধন
প্রক্রিয়াটি একটি চলমান প্রক্রিয়া তাই নিবন্ধন শুরুর পরে যে কোন সময় সংশ্লিষ্ট
জেলা কর্মসংস্থান এবং জনশক্তি দপ্তর অথবা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে
আপনারা অবশ্যই নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে পারবেন বা করা যাবে। আপনাদের নিবন্ধনের সময়
সব সকল যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতার সনদ সংযোজন করতে হবে। তবে এই ডাটা ব্যাংকে করা
নিবন্ধন নিবন্ধনকারী ব্যক্তিদেরকে কখনোই বিদেশ যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত
করবে না। আর এই নিবন্ধনের মেয়াদ হবে ২ বছর। এজন্য আপনারা এ সময়ের মধ্যে কোন
যোগ্যতা অথবা অভিজ্ঞতা অর্জিত হলে সেটা এই ডাটা ব্যাংকে সংযোজনের ব্যবস্থা চালু
আছে। আর নিবন্ধনকারী ব্যক্তির যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকার তাদেরকে কাজের ব্যবস্থা
করে দিবে বা তাদের কাজের ব্যবস্থা করবে।
ইউরোপে কোন কাজের চাহিদা বেশি
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ আছে এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য এ
সকল কাজের চাহিদা বেশি থাকার জন্য যারা দক্ষ পারদর্শী কর্মী তাদের কাজের চাহিদাও
বেশি এবং তারা ভালো চাকরি পেতে পারেন সহজেই। ইউরোপের অনেকগুলো দেশ আছে যেগুলো
প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য আকর্ষণীয় মানের বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে।
এই ইউরোপ মহাদেশের সকল দেশে সকল কাজের চাহিদা প্রায় সমান। বিভিন্ন দেশের
স্টুডেন্টেরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গিয়ে থাকে
এবং তারা সাধারণত ডেলিভারির কাজ করে থাকে সবচেয়ে বেশি। আর যারা কাজের উদ্দেশ্যে
যায় তাদের মধ্যে অনেক প্রবাসী ভাইয়েরা শারীরিক শ্রম হয়ে থাকে এমন ধরনের কাজ
সবচাইতে বেশি করে থাকে। এ সকল বিষয়ে যারা ইউরোপের যে কোন দেশে গিয়েছে সে সকল
ব্যক্তির কাছ থেকে আপনারা আরো ভালোভাবে জানতে পারবেন। ইউরোপে যে সকল কাজের চাহিদা
বেশি সে সকল বিষয়ে বলা হলো
- প্লাম্বার
- ইলেকট্রিশিয়ান
- ড্রাইভার অর্থাৎ বাস, স্ট্রাক ও ট্যাক্সি ইত্যাদির
- ওয়েল্ডার
- ডেলিভারি কর্মী
- নির্মাণ শ্রমিক
- বিক্রয় কর্মী
- রেস্তোরাঁ ওয়েটার
- সফটওয়্যার ডেভলপার
- ওয়েব ডেভেলপার
- সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ
- শিক্ষক
- পরিছন্নতা কর্মী
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি ২০২৪
আমরা অনেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য অনেক দালালের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে আবার অনেকে
দালালের খপ্পরে পড়ে অনেক টাকা লোকসানের মধ্যে পড়ে যায় এতে করে তাদের অনেক
ক্ষতি হয়। আবার অনেক সময় তারা বিদেশ যাওয়া থেকে আটকা পড়ে যায়। এজন্য আপনারা
দালালের সাথে যোগাযোগ না করে আপনারা সরাসরি সরকারি এবং বেসরকারি অনেক বিশ্বস্ত
এজেন্সি রয়েছে আপনারা তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিদেশে যেতে পারেন। আমাদের
বাংলাদেশ
থেকে
সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য অনেকগুলো ভিসা এজেন্সি বা কোম্পানি আছে যেগুলো
সাহায্য নিয়ে আপনারা সহজে বিদেশে যেতে পারবেন এবং এ সকল কোম্পানি বা এজেন্সি
আপনাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে বিদেশ যাওয়ার জন্য। তাহলে আসুন জেনে
নেওয়া যাক সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি ২০২৪ সম্পর্কে।
মাহাবুব ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সিঃঠিকানা: ডি.আই.টি. রোড,৪৭৬/বি, গ্রাউন্ড
ফ্লোর, ঢাকা।মোবাইল নম্বর: ০১৭১৫০০৯০৯৬,
০১৮১৯২৫৭০৪৯,০১৭৪৮৩৮৩৮৩০।ফ্যাক্স:৮৮-০২-৮৩১১৪৮১।
এম.পি. ট্রাভেলস লিমিটেডঃঠিকানা: শাপলা ভবন, ৪র্থ তলা, সাইড নং
৫০২-৫০৪,৪৯, মতিঝিল সি/এ, ঢাকা।মোবাইল নম্বর: ০১৭১৫৪২৮৭১৩।
ডায়মন্ড ট্রাভেলঃঠিকানা: কমলাপুর বাজার রোড, ৩৫/৪, ১ম তলা, মতিঝিল সি/এ,
ঢাকা।মোবাইল নম্বর: ০১৭১৫০৯০৮২৩।ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৮৩১৫৯৪৬।
বি.এম.এস ট্রাভেলসঃঠিকানা: নোয়াখালী টাওয়ার,৩য় তলা,৫৫/বি, পুরানো পল্টন,
ঢাকা।মোবাইল নম্বর: ০১৭৪০৪০০১২৯।ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৫৫২৩৮৯।
খাঁন ট্যুরস্ট এন্ড ট্রাভেলঃঠিকানা: এস.আর গাডেন,৫ম তলা,৫২, নয়াপল্টন,
ঢাকা।মোবাইল নম্বর: ০১৭১৩০১১৭৯৩।ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৮৩১৬৯৫৬।
শাহেনা ট্যুরস্ট এন্ড ট্রাভেলঃঠিকানা: হাবিবুল্লাহ মেনশন,৪র্থ তলা,
১২০,ডি.আই.টি. এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপু্ল, ঢাকা।মোবাইল নম্বর:
০১৮১৯২১৬৩৮৮।ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৭১৯২৮৬২।
নিলয় ওভারসিস এন্ড ট্রাভেলিং লিমিটেডঃঠিকানা: মৌচাক টাওয়ার, ৪৮/বি,
অষ্টম তলা, মালিবাগ মোড়, ঢাকা।মোবাইল নম্বর: ০১৭১২৫৭৬৬৬১,০১৯১৪৪০৬০৬।ফ্যাক্স:
৮৮-০২-৯৩৪১৮০২।
শামীম ট্রাভেলসঃঠিকানা: হাউস নং ১১ গ্রাউন্ড ফ্লোর,রোড নং ২২, ব্লক K
ঢাকা।মোবাইল নম্বর: ০১৬১৩৩২২৯১০, ০১৭১৩৩২২৯১০।ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৯৮৮১
ফারহান এভিয়েশন সার্ভিসেসঃঠিকানা: এস.আর গাডেন, ৩য় তলা,৫২, নয়াপল্টন,
ঢাকা।মোবাইল নম্বর: ০১৮১৯২৫০১৩।
সরকারিভাবে বিদেশ গেলে কি কি কাজ পাওয়া যায়
আমাদের দেশের অনেক মানুষ বা আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা বিদেশ যায় চাকরি
করার জন্য বা কাজের জন্য কিন্তু তারা এ বিষয়ে জানেনা যে বিদেশে কোন কাজের চাহিদা
সবথেকে বেশি থাকে। আজকে আপনাদের এ বিষয় সম্পর্কে জানাবো যে বিদেশে কোন কাজের
চাহিদা বেশি। আমাদের বাংলাদেশ থেকে যে সকল শ্রমিক বিদেশে যায় তারা একটি উন্নত
রাষ্ট্র এবং সেখানে অনেক সেক্টরে বিদেশি শ্রমিকের চাহিদা অনেক বেশি থাকে তবে কিছু
কাজ বেতন এবং শ্রমিকের
দক্ষতার ওপর নির্ভর করে থাকে। তার মধ্য থেকে যে সকল কাজের চাহিদা বেশি থাকে
দেওয়া হল-
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
- কৃষিকাজ
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
- কম্পিউটার অপারেটর
- গার্মেন্টস অপারেটর
- হোটেল বয়
- ওয়েটার
- বাগান পরিদর্শক
- নির্মাণ শ্রমিক
- কন্সট্রাকশন
- নার্স
- ক্লিনার এর কাজ
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ
আপনার যদি উপরের উল্লেখিত এ সকল কাজগুলো ভালোভাবে জানা থাকে তাহলে আপনি বিদেশে
গেলে আপনার চাহিদা বেশি থাকবে। আপনি যদি একজন প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে বিদেশ যেতে
চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এ সকল কাজের ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে এছাড়াও আপনার এ
সকল কাজের ওপর দক্ষতা থাকলে আপনি সহজে সকল কাজের ওপরে বিদেশ যাওয়ার জন্য ভিসা
পেয়ে যাবেন।
বিদেশে যেতে বা কোন দেশে যেতে কত বছর বয়স কত লাগে জানুন
আপনারা হয়তো অনেকেই এই বিষয়ে অর্থাৎ বিদেশে যেতে বা কোন দেশে যেতে কত বছর বয়স
লাগে এ বিষয়ে জানেন না। অনেকে আবার এই বিষয়ে অনলাইনে অনেক অনুসন্ধান চালিয়ে ও
মনের মত সঠিক তথ্য জানতে পারেনা এজন্য আজকে আপনারা আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এ
বিষয়টি অর্থাৎ বিদেশে যেতে কত বছর বয়স লাগে বা কোন দেশে যেতে কত বছর বয়স লাগে
আপনি কাজের ভিসার জন্য অন্য দেশে যাওয়ার জন্য আপনার সর্বনিম্ন কত বছর বয়স এর
দরকার হবে এ সকল
বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করেছি।আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি অবশ্যই এ সকল
বিষয়ে জানতে পারবেন। এক দেশ থেকে যখন অন্য কোন দেশে যাওয়া হয় তখন এর জন্য একটা
নির্দিষ্ট বয়স দরকার হয়। তবে আপনারা যে কোন বয়সের মানুষ পৃথিবীর যেকোনো দেশে
যেতে পারবেন পর্যটক হিসেবে তবে সেই একই ব্যক্তি কাজের জন্য অথবা প্রেসার জন্য যে
কোন বয়সেই যেতে পারবেন না যেকোন দেশে। তবে শুধুমাত্র কয়েকটি ভিসায় যেমন
চিকিৎসা এবং ভ্রমণ ইত্যাদি তবে
আপনারা কাজের জন্য ভিসা করতে আপনাদের একটি নির্দিষ্ট বয়সের দরকার হবে তবে আপনারা
এর দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পারবেন। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেরই কাজ করার জন্য
একটা নির্দিষ্ট বয়সের মানুষকে অনুমতি দিয়ে থাকে তারা। এছাড়াও বিদেশীদের জন্য
আছে কাজ করার একটা বয়স যার নিচে অথবা উপরে তারা সে সকল দেশে কাজ করতে পারেন না।
পৃথিবীর প্রায় সকল দেশ ১৮ বছর বয়স কে কাজের জন্য উপযুক্ত মনে করে থাকেন তবে এর
মধ্যে কিছু দেশ আছে যেখানে কাজ
করার জন্য দরকার হবে ২১ বছর বয়স। আবার কিছু দেশে কাজ করার বয়সের সীমাবদ্ধতা
দিয়ে রেখেছেন সে সকল দেশ। এ জন্য নিচে আপনাদের বিদেশ যেতে বা কোন দেশে যেতে কত
বছর বয়স লাগে সে সম্পর্কে বলা হলো
ওমান যেতে কত বছর বয়স লাগে
ওমান দেশে যেতে সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স হতে হবে অবশ্যই আপনার। এই দেশে ১৮ বছর
বয়সের মানুষকে কাজের জন্য উপযুক্ত মনে করা হয়ে থাকে। কাজ করার জন্য এই দেশে ১৮
বছর বয়সের নিচের ব্যক্তি গুলোকে অনুপযুক্ত মনে করা হয় আপনার বয়স ১৮ বছর না হলে
আপনি এই দেশে কাজ করতে পারবেন না।(তথ্যটি – ভিসা সেবা.কম থেকে সঠিক তথ্য
সংগৃহিত)। প্রতিবছর এই ওমানের অনেক পরিমাণে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে আর এই
নিয়োগে আবেদন করার জন্য
আপনার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর হওয়া দরকার এছাড়াও এই জনবল নিয়োগ পত্র এ বয়সের
সর্বনিম্ন কত বছর হওয়া দরকার এ বিষয়ে উল্লেখ থাকে।
দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে
দুবাই যেতেও আপনাকে অবশ্যই সর্বনিম্ন ১৮ বছরের হতে হবে অর্থাৎ এই দেশে যেতে আপনার
বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৮ বছর। ওমান দেশের মতো দুবাই এ ও ১৮ বছর বয়সের ব্যক্তি
গুলোকে কাজের উপযুক্ত মনে করা হয়। প্রতি বছর এই দেশে অনেক বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন
দেশের মানুষ গিয়ে থাকেন এবং এই দেশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সর্বনিম্ন কত বছর হলে
আপনি এই দেশে যেতে পারবেন তার উল্লেখ থাকে।
কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে
দুবাইয়ের মত আপনি যদি কাতারে যেতে চান তাহলে আপনার বয়স অবশ্যই সর্বনিম্ন ১৮
বছরের হতে হবে। উপরের দেশ গুলোর মতই এই দেশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বয়সসীমা ও
সর্বনিম্ন কত প্রয়োজন সেটা উল্লেখ করা থাকে এজন্য নিয়োগ পত্রটি আপনাকে অবশ্যই
ভালোভাবে দেখতে হবে। এই দেশের সরকার ও ১৮ বছর বয়সের মানুষ কে কাজের জন্য উপযুক্ত
মনে করে থাকেন।
সৌদি আরবে যেতে কত বছর বয়স লাগে
আপনারা যদি সৌদি আরবে যেতে চান কাজ করার জন্য তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার বয়স
কমপক্ষে ২১ বছর হওয়া দরকার আর এটা আপনার পাসপোর্টে উল্লেখিত থাকতে হবে অবশ্যই।
আপনার পাসপোর্টে অবশ্যই আপনার বয়স ২১ বছর পূর্ণ হয়েছে এ বিষয়ে উল্লেখ থাকতে
হবে। এখানে উল্লেখ থাকতে হবে বলতে বোঝানো হয়েছে যে আপনার বয়স অবশ্যই কমপক্ষে ২১
বছর হতে হবে। আপনারা যদি কাজ করার জন্য সৌদি আরবে কোন পুরুষ কর্মী যেতে চান তাহলে
আপনার বয়স ২১ বছর থেকে ৪৫
বছর এর মধ্যে হতে হবে। এছাড়া যদি কোন মহিলা কর্মী এই সৌদি আরবে যেতে চান কাজ
করার জন্য তাহলে অবশ্যই আপনার বয়স হতে হবে ২৫ বছর থেকে ৪৫ বছর এর মধ্যে।
কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে
আপনাদের মধ্যে যদি কেউ কুয়েতে যেতে চান তাহলে আপনার বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে
কারণ কুয়েতে ২১ বছরের নিচে কোন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে না। এজন্য অবশ্যই
আপনার এই দেশে যাওয়ার জন্য ২১ বছর হওয়া দরকার অর্থাৎ আপনি যদি কাজের জন্য এই
দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনার বয়স ২১ বছর হতে হবে।
মালয়েশিয়া যেতে কত বছর বয়স প্রয়োজন
মালয়েশিয়াতে কাজের জন্য যেতে হলে আপনার বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হওয়া দরকার।
এছাড়া আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী অথবা স্টুডেন্ট হন তাহলে আপনি অবশ্যই ১৮ বছর
বয়সে স্টুডেন্ট ভিসায় এই দেশে যেতে পারবেন। এই দেশে আপনারা সর্বনিম্ন ২১ বছর
বয়স আর সর্বোচ্চ ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত যেতে পারবেন কাজ করার জন্য।
সিঙ্গাপুর যেতে কত বছর বয়স প্রয়োজন
সিঙ্গাপুরে যেতে চাইলে আপনার বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর বয়সের হতে হবে কারণ এই দেশে
২১ বছরের নিচে কোন শ্রমিক বা কর্মী তারা নেয় না। এজন্য আপনি যদি এই সিঙ্গাপুরে
যেতে চান তাহলে আপনার বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর হতে হবে তবে আপনি আবেদন করতে পারবেন
যেতে পারবেন সিঙ্গাপুরে।
ইউরোপ যেতে কত বছর বয়স লাগে
আপনাদের মধ্যে যদি কেউ ইউরোপের দেশগুলোতে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে আপনার বয়স
সর্বনিম্ন হতে হবে ২১ বছর। তবে আপনি ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে
পারবেন অথবা ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে পারবেন।
বাহরাইন যেতে কত বছর বয়স লাগে
আপনাদের মধ্যে যদি কেউ বাহরাইনে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বয়স
লাগবে ২০ বছর অর্থাৎ আপনাকে ২০ বছর বয়সের হতে হবে কারণ এই দেশে ২০ বছরের নিচে
কোন কর্মী নেওয়া হয় না এবং তারা ২০ বছরের নিচে কোন কর্মীদেরকে নিয়োগ দেন না।
বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন
আমাদের মধ্যে অনেকেরই বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাওয়ার স্বপ্ন থাকে তবে বিদেশে
উচ্চশিক্ষার জন্য প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে আর্থিক সংকট। আমাদের মধ্যে অনেকের
যোগ্যতা থাকলেও আমরা আর্থিক সংকটের জন্য বিদেশে পড়তে যেতে পারি না অনেকেই। আর এই
সমস্যার সমাধানের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সংস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিক
সহযোগিতা অথবা স্কলারশিপ প্রদান করে থাকেন। স্কলারশিপ অথবা শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে
আপনারা অল্প খরচে ভাবেনা খরচের
মাধ্যমে পড়াশোনার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন বা যাওয়া যায়। স্কলারশিপ বা
শিক্ষাবৃত্তির ধরন অনুযায়ী আবাসন ভাতা, যাতায়াত ভাতা এবং বিমানের টিকিট
অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। অনেকেই এই বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় বিষয়ে
জানেনা বা বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই আর যারা এ
সকল বিষয়ে জানতে চাই তাদের জন্য আজকে আমার এই পোস্টটি। আপনারা এই পোস্টটি মনোযোগ
সহকারে পড়লে আশা করি বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
ফুলব্রাইড স্কলারশিপ যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের এই ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ ১৫৫ টি দেশের চার হাজার শিক্ষার্থীকে
দেওয়া হয়ে থাকে। এই স্কলারশিপে প্রায় সকল বিষয়েই দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রে
যাওয়া আসার বিমান ভাড়া, টিউশন সহ সব একাডেমিক ফি, আবাসন খরচ, খাওয়া-দাওয়ার
খরচ, স্বাস্থ্য বীমা, ভ্রমণ ভাতা এছাড়াও ব্যক্তিগত খরচের জন্য আছে মাসিক ভাতা
ইত্যাদি এই সকল বিষয়গুলো স্কলারশিপের অন্তর্ভুক্ত। এই ফুল ব্রাইড স্কলারশিপ
পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকের প্রথম
শ্রেণীতে
অবশ্যই উত্তীর্ণ হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কোন বিশ্ববিদ্যালয় এর ডিগ্রী থাকলে হবে
না। এছাড়াও আপনার কমপক্ষে দুই বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। আইইএলটিএস এর জন্য
ন্যূনতম স্কোর থাকতে হবে সাত।টোফলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম স্কোর থাকতে হবে ৮০। আপনাকে
অবশ্যই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে ওপরে বর্ণিত এ সকল যোগ্যতা গুলো থাকলে আপনি
অবশ্যই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন।
শেভেনিং স্কলারশিপ ও কমনওয়েলথ মাস্টার্স স্কলারশিপ যুক্তরাজ্য
সেভেনিং এবং কমনওয়েলথ স্কলারশিপ এর মাধ্যমে আপনারা যুক্তরাজ্যে যেতে পারবেন। এই
স্কলারশীপ দেওয়া হয়ে থাকে ১১৪ দেশ থেকে ১৫০০ শিক্ষার্থীকে।শেভেনিং স্কলারশীপের
আওতার মধ্যে থাকে শিক্ষার্থীর টিউশন ফি, মাসিক ভাতা, নিজ দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে
যাওয়া আসার যাতায়াত ভাড়া, এছাড়াও থাকে একটা ভিসা আবেদন এর খরচ, আগমন ভাতা,
নিজ দেশে প্রস্থান ভাতা, যুক্তরাজ্যের শেভেনিং ইভেন্ট গুলোতে অংশ নিতে ভ্রমণ
অনুদানসহ ইত্যাদি সরবরাহ করা হয়ে থাকে।শেভেনিং স্কলারশিপ এ
আবেদন করতে হয় প্রতি বছর ৫ নভেম্বরের মধ্যে। এই প্রোগ্রামে আপনি অ্যাপ্লাই করতে
আপনার অনার্সে ন্যূনতম নম্বর থাকতে হবে ৬০ শতাংশ মাস্টার্স করছে আবেদন করার জন্য
আপনার প্রয়োজনীয় সকল যোগ্যতা থাকতে হবে। আবেদন করার জন্য আপনার দুই বছর কাজের
অভিজ্ঞতা থাকতে হবে আর আপনার আইইএলটিএস এর ন্যূনতম স্কোর থাকতে হবে ৬ দশমিক পাঁচ
এছাড়াও প্রতি সেকশনে ন্যূনতম ৫.৫ থাকতে হবে। তবে এর পূর্বে ব্রিটেন সরকার
অর্ধায়িত বৃত্তির
তহবিলের সাহায্যে যুক্ত রাজ্যে পড়াশোনা করলে আপনি এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন
করতে পারবেন না। এছাড়া আবার আপনার যদি মাস্টার্স ডিগ্রী কমপ্লিট করা হয়ে থাকে
তাহলে আপনি এই স্কলারশীপে পুনরায় মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কমনওয়েলথ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম এর আওতায় ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার পাশাপাশি
আপনারা মাসে প্রায় দুই লাখ টাকা পাবেন। তবে এটার জন্য আপনার থাকতে হবে দুই বছর
কাজের অভিজ্ঞতা। একই সাথে পড়াশোনা
শেষ করে আপনাকে দুই বছরের মধ্যে দেশে ফিরে আসতে হবে। বাংলাদেশের ইউজিসি এই
স্কলারশিপ এর জন্য প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করে থাকে। আপনারা এই ইউজিসির ওয়েবসাইটে
গিয়ে আবেদন করতে পারবেন এই স্কলারশিপ এর জন্য। প্রতিবছর ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে
আবেদন করতে পারবেন আপনারা বা এই তারিখের মধ্যে আপনাদের আবেদন করতে হবে এবং
সার্টিফিকেট সহ আপনার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনাকে অবশ্যই ইউজিসির প্রধান
কার্যালয় জমা দিতে হবে।
ডিএএডি স্কলারশিপ জার্মানি
জার্মান ভিত্তিক ডিএএডি স্কলারশিপের মাধ্যমে আপনারা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবেন বা
পাওয়া যায়। আমাদের বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এটা একটা বেশ জনপ্রিয়। এই
স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন চাওয়া হয় প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসে।
আপনারা এই ডিএএডি স্কলারশিপ এর জন্য সকল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাবেন।
ইরাসমুস মুন্ডুস, ইউরোপ
ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশিপ এর মাধ্যমে আপনারা ইউরোপের অনেক দেশের যেকোনো
বিশ্ববিদ্যালয় এ যাওয়ার সুযোগ পাবেন বা যাওয়ার সুযোগ থাকে এই স্কলারশিপ এর
মাধ্যমে। আর এই স্কলারশিপ এর আওতায় থাকে টিউশন সহ সকল একাডেমিক ফি, বিমান খরচ সহ
৫০ শতাংশ আবাসন এবং খাওয়া খরচ। প্রতিবছর আপনারা এই স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে
পারবেন অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর জানুয়ারি পর্যন্ত।
অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ
অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ এর আওতায় থাকে টিউশন ফি ভ্রমণ ভাতা এবং
অন্যান্য অনেক সুবিধা। এছাড়াও এই স্কলারশিপ এর আওতায় শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে
৫০০০ ডলার করে দেওয়া হয়ে থাকে। এই স্কলারশিপ এর জন্য আপনারা আবেদন করতে পারবেন
বা আবেদন করতে হয় প্রতিবছর ৩০ জুনের মধ্যে। এই স্কলারশিপ গুলো ছাড়াও আপনারা
জাপানের মেটক্স বৃত্তি, বেলজিয়াম তুরস্কের বুর্সলারি বৃত্তি, চীনের সিএসসি
স্কলারশিপ এছাড়াও আছে রাশিয়া কোরিয়ার কেজিএসপি স্কলারশিপ। আর এই স্কলারশিপ
গুলো অনেক জনপ্রিয় আপনারা এই স্কলারশিপ গুলোর সকল তথ্য পাবেন শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে।
বিদেশ যেতে মেডিকেলে কি কি টেস্ট করা হয়ে থাকে
বিদেশ যেতে হলে আমাদের মেডিকেল টেস্ট করতে হয়। আমরা অনেক কাজের জন্যই বা
প্রয়োজনে দেশের বাহিরে গিয়ে থাকি আর দেশের বাহিরে যাওয়ার প্রসঙ্গে আসলে আমাদের
প্রয়োজন হয় মেডিকেল টেস্ট করানোর। আর এই মেডিকেল টেস্টগুলো অনেক ক্ষেত্রেই
বাধ্যতামূলক আমাদের জন্য। এই মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য অর্থাৎ আমাদের স্বাস্থ্য
পরীক্ষার অংশ হিসেবে এখানে সাধারণ শারীরিক অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে
অর্থাৎ বিদেশ যেতে হলে আমাদের
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার দরকার হয় অর্থাৎ বিদেশ যাওয়ার জন্য আমাদেরকে মেডিকেল
টেস্ট করানো হয়ে থাকে আর এখানে অনেকগুলো বিষয়ে টেস্ট করা হয়ে থাকে সেগুলো নিচে
বলা হল
- ইউরিন পরীক্ষা করা হয়
- এক্স রে করা হয়
- রক্ত পরীক্ষা করা হয় অর্থাৎ(এইচএসবিএসজি, হেপাটাইটিস - এ ও বি)
- ভি ডি আর এল অর্থাৎ যৌন রোগ/সংক্রমণ এর পরীক্ষা করানো হয়
- এইচআইভি অর্থাৎ এইডস এর পরীক্ষা করানো হয়
- টিউবারকিউলোসিস অর্থাৎ যক্ষ্মার পরীক্ষা করানো হয়
- ম্যালেরিয়া এবং লেপ্রসি এর পরীক্ষা করানো হয়
- মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভবতী কিনা এ বিষয়ে পরীক্ষা করানো হয়
- সাম্প্রতিক সময়ে করোনা এর টেস্ট করানো হয় ইত্যাদি এ সকল পরীক্ষাগুলো করা হয়।
এছাড়াও বিদেশ যাওয়ার আগের মেডিকেল টেস্টে যে সকল রোগ থাকলে আনফিট করে দেওয়া
হয় সেগুলো হলো
- করোনা পজেটিভ
- এইচআইভি এইডস
- চর্মরোগ খুব বেশি হলে এবং হেপাটাইটিস এ/বি
- হার্টের সমস্যা
- শ্বাসকষ্ট অথবা অ্যাজমা।
এছাড়াও বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেলের মেয়াদ অর্থাৎ মেডিকেল চেকআপের মেয়াদ থাকে
তিন মাস পর্যন্ত। তিন মাসের মধ্যে যদি আপনি মেডিকেল চেকআপ না করেন অথবা না করলে
আপনার এই মেয়াদ বাতিল হয়ে যাবে। আপনার এই মেডিকেল চেকআপের রিমোট জমা করার পরে
আপনি তারপরে আপনি বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনার ভিসা তৈরির অনুমতি পাবেন। আপনার
মেডিকেল রিপোর্ট যদি ভালো থাকে তাহলে আপনি ভিসা পাবেন আর যদি আপনার মেডিকেল
রিপোর্ট
ভালো না থাকে তাহলে আপনি বিদেশ যাওয়ার জন্য ভিসা পাবেন না। তবে মেডিকেল মেয়াদ
বাড়ানো যাবে এটা নির্ভর করবে আপনি যে কোম্পানির হয়ে যাবেন তার ওপর।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো তার এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের আপনাদের জানানোর
চেষ্টা করেছে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি ২০২৪-সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার
উপায় এবং সরকারিভাবে বিদেশ যেতে নিবন্ধন করবেন কিভাবে এ সকল বিষয়ে। এছাড়াও আরো
অনেকগুলো বিষয় আছে বিদেশ যাওয়া সম্পর্কিত এগুলো পড়ে আপনারা অবশ্যই এ সকল বিষয়
সঠিক তথ্য জানতে পারবেন আশা করি। আর আপনাদের কাছে এই পোস্টটি পড়ে যদি ভালো
লাগে
তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন আপনাদের পরিচিতদের মাঝে। আর প্রতিদিন
আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার সাথে থাকুন এছাড়াও আপনারা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে
পারেন এই পোস্টটি সম্পর্কে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url