গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার কারন কি জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো আগে গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার কারন কি এবং
লাল শাকের
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক সঠিক তথ্য বিস্তারিতভাবে জানার জন্য
খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু পাননি। যারা পান নি তারা আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে
জেনে নিন এজন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আপনারা আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার কারন কি এবং
লাল শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সহ পুঁইশাকের বিচির উপকারিতা, ১০০ গ্রাম পুঁইশাকে
কত ক্যালরি থাকে, রক্তে চর্বি বাড়াতে দেয় না পুঁইশাকের বিচি ইত্যাদি আরও অনেক
বিষয়ে অনেক তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা
অনেক সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য জানার জন্য অবশ্যই আপনাদের
শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ করছি এই পোস্টটি।
ভূমিকা
আমরা সকলেই লাল শাক এবং পুঁইশাক ও পুঁইশাকের বিচি খেতে পছন্দ করে থাকি কারণ এতে
অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংক, কপার, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি উপাদান আছে।
আর এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে, হজম শক্তি উন্নত করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, ত্বকের নানা রকম অসুখ দূর
করতে, ক্যান্সার প্রতিরোধে, কিডনি ভালো রাখতে, এছাড়াও
আমাদের চোখ এবং চুল ভালো রাখতে, ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। আবার অনেক
সময় দেখা যায় যে আমাদের গাছের পাতা ও হলুদ হয়ে যায় এরও অনেক কারণ আছে যেমন
ধরুন গাছের গোড়ায় পানি কম বেশি হলে নাইট্রোজেন এবং ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হলে
আবার পোকামাকড়ের আক্রমণের কারণেও গাছের পাতা হলুদ হয়ে যেতে পারে আবার কাজ অনেক
সময় বিবর্ণ হয়ে পড়ে এবং মারা যায়। পুঁইশাক খেলে আমাদের ওজন কমে।পুঁইশাক এ এমন
অনেক উপাদান আছে
যেটা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে এজন্য আপনারা ওজন কমানোর জন্য আপনাদের খাবার
তালিকায় পুঁইশাক রাখতে পারেন। পুঁই শাকের বিচি আমাদের রক্তে চর্বি বাড়াতে দেয়
না। এছাড়াও ১০০ গ্রাম পুঁইশাকের আছে খাদ্য শক্তি ২৭ কিলো ক্যালরি এছাড়াও
প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি আছে
বিভিন্ন পরিমাপের।
পুঁইশাকের বিচির উপকারিতা
আমরা যেমন সবাই পুঁইশাক খেতে পছন্দ করি তেমনি এর বিচি বা বীজ আমরা অনেকে খেতে
পছন্দ করে থাকি। পুইশাক আমরা নানাভাবে রান্না করে খেয়ে থাকি তেমনি করে এর বীজও
আমরা নানাভাবে রান্না করে খেয়ে থাকি কারণ এতে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন আছে। আপনারা
অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন এর বিচি খেলে আবার কি উপকার পাওয়া যায় কিন্তু না এর
বিচি খাওয়ারও অনেক উপকারিতা আছে। পুঁইশাকের বিচিতে থাকে ভিটামিন এ, সি, ফলিক
অ্যাসিড, আয়রন, জিঙ্ক এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত আরও অনেক উপকারী সব পুষ্টি উপাদান গুলো। এতে থাকা
ভিটামিন এ আমাদের চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের নানা রকমের
সমস্যার সমাধানের কাজ করে থাকে। আবার ভিটামিন সি আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে ভালো
রাখতে এবং আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং আমাদের স্বাস্থ্যকে
উন্নত করার জন্য সাহায্য করে থাকে। এভাবে আমাদের স্বাস্থ্য কে আরো নানা ভাবে
বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে এই পুঁইশাকের
বিচি। এই ফল কাঁচা অবস্থায় দেখতে সবুজ রঙের হয় এবং টাকা অবস্থায় এর রং হয়
নীলচে কালো রঙের। তাহলে আসুন জানা যাকপুঁইশাকের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে
উচ্চ আয়রনের উৎপাদনঃ পুই শাকের বিচিতে থাকে আয়রন আর এটা আমাদের সংক্রামক
এনেমিয়ার প্রতিরোধের জন্য একটা উচ্চ উৎপাদন করে থাকে। এই রোগের কারণে আমাদের
শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমতে থাকে এটা হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন এবং রক্তক্ষরণ
বাড়াতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ পুঁইশাকের বিচি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
সাহায্য করে থাকে। এটা পাকস্থলী এবং বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার রোগ উপশম এর জন্য
অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য আপনাদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের
সমস্যা থাকলে আপনারা অবশ্যই পুঁইশাকের বিচি খেতে পারেন।
উচ্চ এন্টিউক্লিয়েট গ্লোকোসিনেটের উৎপাদনঃ এই পুঁইশাকের বিচি
এন্টিউক্লিয়েট গ্লোকোসিনেটের উৎপাদন করে থাকে যেটা আমাদের ক্যান্সারের প্রতিরোধে
কাজ করে থাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভাবে। এই এন্টিউক্লিয়েট গ্লোকোসিনেট আমাদেরকে
নানা রকমের ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার কোষগুলোর
বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারীঃ আপনাদের মধ্যে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত
রোগী তারা পুঁইশাকের বিচি খেতে পারেন। পুঁইশাকের বিচি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা
স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে থাকে।
এছাড়াও এই বিচি খাওয়ার ফলে ফিস্টুলা এবং হেমোরয়েড হওয়ার কোন আশঙ্কা থাকে না
অর্থাৎ ভয় কমায়। এই বিচি নিয়মিত ভাবে খাওয়ার ফলে রক্ত কোনরকমে চর্বি বাড়ার
ভয় থাকে না। আবার এটা আমাদের মেয়েটা বলে জল প্রিয়াকে সহজ করে তুলে এবং
ক্যালোরি ক্ষয় করতে ও সাহায্য করে থাকে। পাইলস এর সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে
থাকে। এছাড়াও আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য এবং চুলকে মজবুত করার জন্য এই
বিচি অনেক পরিমাণে সাহায্য করে থাকে। আবার পুঁইশাকের বিচির আঁশ শুক্রাণু সক্রিয়
তার বৃদ্ধিতে সহায়তা
করে থাকে এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর মাত্রা কম পরিমাণে থাকে।অতএব দেখা যাচ্ছে যে
পুঁইশাকের বিচি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য একটা শক্তিশালী সবজি আর এটা আমাদের
স্বাস্থ্য কে নানা দিক থেকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এজন্য আপনারা আপনাদের খাদ্য
তালিকার একটা অংশ হিসেবে এই পুঁইশাকের বিচি রাখতে পারেন তবেই এর উপকারিতা পাবেন।
পুষ্টিবিদদের মতে অন্যান্য সকল খাবারের পাশাপাশি আমাদের খাদ্য তালিকায় পুঁইশাকের
বিচি বা ফল আমরা রাখতে পারি এতে করে আমাদের স্বাস্থ্যের উপকারই হবে।
পুঁইশাক খেলে কি ওজন কমে
আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে পুঁইশাক খেলে কি ওজন কমে না বাড়ে। এ বিষয়ে আজকে
আপনারা জেনে নিন। পুইশাকে যেমন অনেক পুষ্টিগুণ আছে তেমন আছে অনেক ভিটামিন ও খনিজ
পদার্থ যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ফাইবার,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি উপাদান। আর এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য
অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে
আমাদেরকে। এতে থাকা ভিটামিন এ
আমাদের চোখে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে চোখের ছানি পড়া
সমস্যা দূর করতে এবং দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। ভিটামিন সি এবং আইরন
সমৃদ্ধ পুঁইশাক আর এটা আমাদের মেটাবলিজম প্রক্রিয়া সহজ করে তুলে এবং সেই সাথে
ক্যালরি ক্ষয় করতেও সাহায্য করে থাকে। এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী
তেমনি আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। আমাদের ত্বকের নানারকম রোগ
থেকে রক্ষা করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে চুলের
স্বাস্থ্য মজবুত করতে সাহায্য করে। পুঁইশাকে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ আর এগুলো
আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। এজন্য আপনারা যদি বেশি পরিমাণে মোটা হন তাহলে
আপনাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত পুঁইশাক রাখতে পারেন এতে করে আপনার ওজন কমবে কারণ
এতে আছে ওজন কমানোর অনেক উপাদান। এ ছাড়া পুঁইশাক খাওয়ার ফলে আমাদের হৃদরোগের
ঝুঁকি কমবে, ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে, চর্মরোগ এবং চুলকানি প্রতিরোধ
করা সম্ভব হবে, বয়সের ছাপ
কমবে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করা সম্ভব হবে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও পুঁইশাক আমাদের দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে বলে
আমাদের বদহজম, এসিডিটি এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পাই। এছাড়া
পুঁইশাকের আরো নানা উপকারিতা আছে।
১০০ গ্রাম পুঁইশাকে কত ক্যালরি থাকে
পুঁইশাকের নানা উপকারিতা আছে কারণ এই শাকে আছে নানা রকমের পুষ্টি গুন এবং
ভিটামিন। এই শাকে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ পদার্থ, বিটা ক্যারোটিন,
কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন ইত্যাদি।পুঁইশাক খাওয়ার ফলে আমরা নানা রকমের রোগ থেকে
সহজেই রক্ষা পেতে পারি। যেমন আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারি, আমাদের
হজমে সমস্যা দূর হবে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে, বয়সের ছাপ
কমাতে, চর্মরোগ
এবং চুলকানি প্রতিরোধএ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে,
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে, হজম শক্তি উন্নত
করতে এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ইত্যাদি নানা উপকার করে থাকে। এতে থাকা
ভিটামিন এ আমাদের চোখে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে ও
চোখের ছানি পড়া প্রতিরোধ করতে এবং দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের নানা রকম রোগ জীবাণু দূর করতে থাকে এতে করে আমাদের ত্বক
ভালো থাকে।
প্রতি ১০০ গ্রাম পুঁইশাক এ রয়েছে
- প্রোটিন-২.২ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট-৪ গ্রাম
- আয়রন-১০ মিলিগ্রাম
- জলীয় অংশ-৯২.০ গ্রাম
- খনিজ-১.৪ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম-১৬৪ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সি-৬৪ মিগ্রা
- ক্যারোটিন- ১২৭৫০ মাইক্রো গ্রাম
- খাদ্য শক্তি-২৭ কিলো ক্যালরি।
গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার কারন কি
অনেক সময় দেখা যায় যে গাছের পাতা
হলুদ
হয়ে যায় এবং শুকিয়ে মারা যায়। এরকমটা হওয়া কিন্তু স্বাভাবিক ব্যাপার নয় এ
ধরনের সমস্যা কে বলা হয়ে থাকে ক্লোরোসিস। গাছের পাতা ক্লোরোফিলের কারণে সবুজ
দেখায় আর এর উপস্থিতিতে সূর্যের আলো এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সাহায্য নিয়ে গাছ
অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ তৈরি করে থাকে। গাছের পাতা হলুদ হলে বুঝতে হবে সে গাছের
পাতায় কিছু মৌলিক পদার্থের অভাব আছে। যেমন নাইট্রোজেন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম
ইত্যাদি। এগুলো
হচ্ছে মৌলিক পদার্থ আর এগুলোর অভাব হলে গাছের পাতা হলুদ হয়ে যেতে পারে।
নাইট্রোজেন আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম এর মত আরও অনেক উপাদান আছে যেগুলো গাছের
সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর এই সকল পুষ্টি উপাদান গুলোর
অভাব হলে গাছের পাতা হলদে বা হলুদ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনারা গাছের জন্য সুষম ও
পানিতে যে সারগুলো সহজেই মিশে যায় সেগুলোর ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা
মাসে কমপক্ষে একবার করে জৈব সার
দিতে পারেন গাছে। আবার আপনারা যখন একটি গাছের গোড়ায় বেশি পরিমাণে পানি দিবেন
তখন এর শিকড় গুলো প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না ও তারা এসময় শ্বাস নেওয়া বন্ধ
করে দেয় অর্থাৎ গাছগুলো দম বন্ধ করতে শুরু করে দেয়। এ কারণে ও গাছের পাতা হলুদ
হয়ে যেতে পারে আবার অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক গাছ মারা যায়। এজন্য আপনারা
যদি কোন গাছের পাতা হলুদ হয়ে যেতে দেখেন তাহলে আপনারা সে কাজগুলোতে কম করে পানি
দেবেন এবং ঘন ঘন পানি দেবেন না। আবার
অনেক সময় দেখা যায় যে গাছ যখন প্রয়োজনীয় পানি তার প্রয়োজন অনুযায়ী পায় না
তখন বৃদ্ধি ভালোভাবে হয় না এবং পুষ্টির অভাব দেখা দেয় এজন্য গাছ অনেক সময়
নেতিয়ে পড়ে এবং বিবর্ণ হয়ে যায়। গাছের গোড়ায় কম পরিমাণে পানি দেওয়ার কারণে
অনেক সময় গাছের পাতা হলুদ অথবা খয়েরি রঙের হয়ে যায়। কারণ গাছের বেঁচে থাকার
জন্য এরা শিকড়ে পুষ্টি পরিবহন করার জন্য পানির দরকার হয়। আবার রুট বাউন্ড হয়ে
যাওয়ার কারণে অর্থাৎ অনেক সময় আমরা অনেক গাছ টবে
লাগিয়ে থাকি। আর এ সকল গাছের টবের তুলনায় যদিগাছের শিকড় বড় হয়ে যায় তখন
সেগুলো ঠিকমতো আর বাড়তে পারে না আর এ কারণে তখন সেই গাছের পাতা হলুদ হয়ে যেতে
পারে। এরকম সমস্যা হলে এক থেকে দুই বছর পর পর সেই গাছের শিকড় কেটে ছেঁটে দিতে
হবে এবং গাছের শিকড় যদি জড়িয়ে থাকে তাহলে সেই গাছ তার প্রয়োজনীয় খাদ্য
সংগ্রহ করতে অসুবিধা হবে। পোকার বা ফাঙ্গাসের আক্রমণের কারণে গাছের পাতা হলুদ হতে
পারে এজন্য আপনারা কীটনাশক ব্যবহার
করতে পারেন। অর্থাৎ গাছের পাতা হলুদ হতে পারে অনেকগুলো কারণে যেমন গাছের গোড়ায়
পানি কম বেশি হওয়ার কারণে আবার পোকামাকড় অথবা ফাঙ্গাসের আক্রমণের কারণে
ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হলে এবং পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব দেখা দিলে গাছের পাতা হলুদ
হয়ে যেতে পারে।
লাল শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে যে আমাদের বয়স যখন ৩০ থেকে ৪০ বছর হচ্ছে বা পার হলেই
আমাদের বিভিন্ন রকমের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে কিন্তু
আমরা যদি নিয়মিত ভাবে লাল শাক খায় তাহলে আমরা অনেক রোগ থেকে সহজে রক্ষা পেতে
পারি। লাল শাক আমাদের ছোট বড় সকলের কাছে একটি প্রিয় শাক। লাল শাক আমাদের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কারণ এতে আছে অনেক ভিটামিন এ যা আমাদের
রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে পারে এবং দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে
ও বাড়াতে সাহায্য করে। এতে আছে বিটা ক্যারোটিন যা আমাদের বুক জ্বালা করা
নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। লাল সাথে আছে ক্যালসিয়াম এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহে ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধে
লড়াই করতে থাকে এবং এটা আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং রক্তের কোলেস্টেরল
নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা আছে লাল শাকের।
লাল শাকের অনেক পুষ্টিগুণ আছে এতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম,
বিটা ক্যারোটিন ইত্যাদি উপাদান।
১০০ গ্রাম পরিমাণ লাল শাক এ আছে
- ক্যালসিয়াম আছে প্রায়- ৩৭৪ মিলিগ্রাম
- প্রোটিন আছে-৫.৩৪ মিলিগ্রাম
- ক্যারোটিন আছে-১১.৯৪ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি আছে- ২০.১৩ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সি আছে-৪২.৯০ মিলিগ্রাম
- খনিজ পদার্থ আছে-১.০৬ মিলিগ্রাম
- খাদ্য শক্তি আছে-৪৫ কিলো ক্যালরি
- চিনি আছে-4.96 মিলিগ্রাম
- স্নেহ পদার্থ আছে-০.১৪ মিগ্রা ইত্যাদি।
লাল শাকের উপকারিতা
লাল শাকের উপকারিতা হচ্ছে। লাল শাকে আছে অনেক হিমোগ্লোবিন আর এই হিমোগ্লোবিন রক্ত
তৈরিতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মহিলাদের যখন অপারেশন করা হয় তখন এদের অনেক রক্তের
প্রয়োজন হয় এজন্য চিকিৎসকরা তাদের লাল শাক খাওয়ার কথা বলে থাকেন। কারণ লাল শাক
খেলে অনেক রক্ত হয়।
হাড় মজবুত করেঃ লাল শাক এ আছে ভিটামিন কে এটা আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য
ভালো রাখতে অনেক সহায়তা করে থাকে। কিন্তু যদি একবার আপনাদের হার শক্ত হয়ে যায়
তাহলে নিরাপদ হাড়ের রোগ অস্টিওপোরোসিস এর ভালো ভাবে চিকিৎসা করা যায় না।
দৃষ্টির জন্যঃ লাল শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি আর
এগুলো আমাদের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এই
শাকে আছে ভিটামিন এ এটা আমাদের চোখের রেটিনার কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আবার যাদের রাত কানা রোগ আছে তারা লাল শাক খেলে অনেক উপকার পাবেন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেঃ লাল শাকে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যেটা
আমাদের ক্যান্সার রোগ নিরাময়ের কাজ করে থাকে। এছাড়াও এই শাকে আছে ভিটামিন সি
ভিটামিন ই পটাশিয়াম অ্যামাইনো এসিড আয়রন এবং ফসফরাস এগুলো আমাদের শরীরের অনেক
বিষাক্ত পদার্থ বা উপাদান প্রতিরোধে কাজ করে থাকে এর ফলে আমাদের দেহে ক্যান্সার
কোষ বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম থাকে।
হার্ট সুস্থ রাখতেঃ লাল শাক এ আছে ফাইটোস্টেরল আর এটা আমাদের রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজে অনেকটাই সাহায্য করে থাকে। লাল শাক আমাদের হৃদরোগের জন্য
একটা কার্যকরী ঔষধ প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চারবার খাওয়ার ফলে আমাদের হার্ট সুস্থ
থাকবে।
রক্তশূন্যতা দূর করতেঃ লাল শাক খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তশূন্যতা দূর হবে
কারণ এতে অনেক উপাদান আছে যা আমাদের দেহে লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়াতে
সাহায্য করে। এ জন্য যাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা আছে তারা লালসা খেলে অনেক উপকার
পাবে। এই শাক কাটার পরে এক কাপ লেবু এবং এক কাপ মধু মিশিয়ে এক থেকে দুই চা চামচ
রস নিতে পারেন এভাবে খাওয়ার ফলে আপনার রক্তস্বল্পতা দূর হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ আমরা যদি নিয়মিত লাল শাখায় তাহলে আমাদের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং এটা আমাদের ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর
অভাবন করবে। যার ফলে আমাদের দেহে অনেক রোগ সহজেই প্রবেশ করতে পারবে না।
গর্ভবতী মায়েদের জন্যঃ গর্ভবতী মহিলারা যদি নিয়মিত লাল শাখান তাহলে অনেক
উপকার পাবেন কারণ এতে আছে ক্যালসিয়াম যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখাতে সহায়তা করবে
এবং এটা আপনার নবজাতক শিশুর প্রতিদিনের পুষ্টি এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে
পারবে।
দাঁত এবং হাড় মজবুত করতেঃ লাল শাকে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম।
আমাদের দেহের হাড় গঠনের কাজে সাহায্য করে এবং এটা আমাদের দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নতি
করতে সাহায্য করে।
রক্তশূন্যতার ক্ষেত্রেঃ আমাদের মধ্যে যাদের আয়রনের অভাব আছে তাদের
অনেকেরই রক্তশূন্যতার সমস্যার ভুক্ত দেখা যায় আর এজন্য আপনারা নিয়মিত লাল শাক
খেতে পারেন এতে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এটা আমাদের হিমোগ্লোবিন বানাতে সাহায্য
করবে এবং লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করতে অনেক ভূমিকা রাখে।
কিডনি ভালো রাখতেঃ লাল শাক আমাদেরকে কিডনি ভালো রাখতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি আমাদের কিডনি পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে থাকে এছাড়াও
আমাদের শরীর থেকে এবং আমাদের রক্তে থাকা নানা ক্ষতিকর উপাদান গুলো আমাদের দেহ
থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতেঃ আপনাদের দেহে যদি বেশি পরিমাণে চর্বি থাকে ও আপনারা যদি ওজন
কমাতে চান তাহলে আপনারা প্রতিদিনের খাবার তালিকায় লাল শাক রাখতে পারেন এবং খেতে
পারেন। এই শাক আমাদের দেহের ওজন বাড়াতে দেয় না অর্থাৎ ওজন কমাতে সাহায্য করে
থাকে।
চুল পড়া বন্ধ করতেঃ চুল পড়া বন্ধ করার জন্য লাল শাক অনেক কার্যকরী একটি
খাবার। এটি আমাদের চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে এটা নিয়মিত খাওয়ার
ফলে আমাদের চুলের গোড়া শক্ত হবে মজবুত হবে চুলের পুষ্টির যোগাবে।
ডায়াবেটিস কমাতেঃ লাল শাকের মধ্যে এমন অনেক পুষ্টিগুণ আছে যা আমাদের
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে এবং এটি আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজও করে থাকে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ করতেঃ আমরা যদি নিয়মিত লাল শাখায় তাহলে আমাদের রক্ত
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। এই সবজিটা আমাদের হৃদয়কে
শক্তিশালী করতে সাহায্য করে থাকে এবং এতে থাকা বিটা ক্যারোটিন আমাদের হৃদরোগে
আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অনেক কার্যকরী একটি সবজি।
ঠান্ডা জনিত জ্বর প্রতিরোধ করতেঃ আমাদের মধ্যে অনেকেরই প্রায় ঠান্ডা জনিত
জ্বর দেখা যায় আর এটা প্রতিরোধ করার জন্য আপনারা লাল শাক ব্যবহার করতে পারেন।
এজন্য আপনারা একটি বাটিতে পানি এবং লাল শাক নিয়ে গরম করুন। এরপরে ঠান্ডা করে নিন
এবং ঠান্ডা হওয়ার পরে এটা পান করতে পারেন এভাবে আপনারা ১ থেকে ২ সপ্তাহ পান করার
ফলে আপনাদের এই ঠান্ডা জনিত জ্বর সহজেই প্রতিরোধ করতে পারবেন।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেঃ এই লাল শাক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয়
পদার্থ আর এটা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য
নিরাময় করা যাই অতি সহজেই।
এতক্ষণ তো আমরা উপরের আলোচনা থেকে লাল শাকের উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এবার আমরা
জানবো লাল শাকের কিছু অপকারিতা সম্পর্কে।
- আমরা আগে জেনেছি যে লাল শাকে রয়েছে অনেক আয়রন আর এটা বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে রাতে ঘুমানোর ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা হয়ে যায়। অর্থাৎ আমাদের রাতে ভালো ঘুমাতে অসুবিধা হতে পারে।
- যাদের লিভার এবং হার্টের সমস্যা আছে এ সকল ব্যক্তিদের দেহে সাধারণত আয়রনের পরিমাণ একটু বেশি পরিমাণে থাকে আর এজন্য এ সকল ব্যক্তিদের লাল শাক বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো।
- অনেক গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। লাল শাক খাওয়ার ফলে অনেক উপকার পাওয়া যায় এ সময় কিন্তু বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে তাদের হজমের সমস্যা হতে পারে অর্থাৎ খাবার হজম হয় না এজন্য এদের বেশি পরিমাণে লাল শাক না খাওয়া ভালো।
- লাল শাকের রয়েছে অনেক ফাইবার আর এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হলেও রাতের বেলা লাল শাক না খাওয়াই ভালো কারণ এটা খাবারের হজমকারী গুরুত্বপূর্ণ নালী রাতে কাজ করতে ব্যর্থ হয়ে থাকে।
- রাতের বেলা লাল শাক খাওয়ার ফলে পরিপাকতন্ত্র অর্থাৎ রাতে খাবারের পরিপাকতন্ত্র প্রয়োজনীয় পুষ্টির সঙ্গে কাজ করতে ব্যর্থ হতে পারে।
- লাল শাক খাওয়ার ফলে কিছু মানুষের এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে এক্ষেত্রে তাদের লাল শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো।
- কিছু মানুষের লাল শাকের উচ্চ এসিডিটির জন্য অস্থিরতার সমস্যা দেখা দিতে পারে এ ক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
রক্তে চর্বি বাড়াতে দেয় না পুঁইশাকের বিচি
পুঁইশাক অনেক পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটা সবজি। আমরা অনেকেই পুঁইশাকের চাইতে
পুঁইশাকের বিচি অনেক পছন্দ করে থাকি। দেশ জুড়ে এর অনেক খ্যাতি এবং পরিচিতি আছে।
আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এর অনেক পুষ্টিগুণ আছে। এই শাক যেমন অনেক
পুষ্টিগুণে ভরপুর ও মজাদার তেমনি এর বিচির ও অনেক পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন আছে এবং
এটা খেতে অনেক মজাদার। পুঁইশাকের বিচিতে আছে পুঁইশাকের চাইতেও তিনগুণ বেশি
পরিমাণে আঁশ এবং বর্জ্য পদার্থ। এই শাকের বিচি
দেখতে সবুজ কালচে লাল রঙের হয়ে থাকে এবং এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক
উপকারী। এতে থাকা আঁশ আমাদের শরীর থেকে রোগ জীবাণু বের করে দিতে সাহায্য করে।
আবার আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং ফেস্টুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার আশঙ্কা কমাতে
সাহায্য করে। এই বিসি আমাদের পাকস্থলী এবং কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে
পারে এবং এটা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে থাকে। আমরা যদি নিয়মিত ভাবে এই
পুঁইশাকের বিচি খায় তাহলে আমাদের রক্তে
চর্বি বাড়ার কোন আশঙ্কা থাকবে না। এছাড়াও এই বিচিতে আছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন
সি আয়রন ভিটামিন এ ছাড়াও আছে জিংক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি। ভিটামিন সি এবং
আয়রন সমৃদ্ধ এই বিচি আমাদের মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়া সহজ করতে সাহায্য করে
এছাড়া ক্যালরি ক্ষয় করতে ও সহায়তা করে থাকে। আমাদের শরীরের ওজন কমাতেও সাহায্য
করে থাকে। এই পুঁইশাকের বিচিতে থাকা আঁশ আমাদের শুক্রাণুর সক্রিয়তা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে থাকে। এই বিচিতে রয়েছে
আরও ফলিক অ্যাসিড, জিংক এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট এগুলো আমাদের ত্বকের নানা রকমের রোগ
জীবাণু দূর করার কাজ করে আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে এছাড়া এতে থাকা
ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য অনেক উপকারী। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এছাড়াও আমাদের মাথার চুলকে মজবুত রাখতে সাহায্য
করে থাকে। এই পুঁইশাকের বিচি খাওয়ার ফলে আমরা পাইলস এর সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি
পেতে পারি আবার ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা
পুঁইশাকের বিচি খেতে পারেন। এটা খাওয়ার ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং রক্ত
গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এটা সাহায্য করে। এই বিচিতে কম থাকে গ্লাইসনিক
ইনডেক্স এর মাত্রা। অর্থাৎ এই পুঁইশাকের বিচি খাওয়ার ফলে আমাদের রক্ত চর্বি
বাড়ার কোনো ভয় থাকবে না এজন্য আপনারা নিঃসন্দেহে এই বিচি খেতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ
সম্পর্কে আলোচনা করেছে এবং সেই সাথে লাল শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক
তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছে। পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে এ সকল বিষয়ে জানতে
পারবেন এবং উপকৃত হবেন। গাছের পাতা সাধারণত পানি কম বেশি হওয়ার কারণে
ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে এবং পোকামাকড় আক্রমণের কারণে হলুদ হয়ে যেতে পারে। আর
আপনাদের যদি ভালো লাগে তাহলে এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url