গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হয় বিস্তারিত জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন আজকে আমি আপনাদের
গর্ভাবস্থায়
মাদার হরলিক্স খেলে কি হয় এবং মাদার হরলিক্স বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বলবো।
আপনারা হয়তো আগে এ বিষয়ে অনেক সঠিক তথ্য খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু পাননি যারা
পাননি তারা আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন এজন্য শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে
আপনাদের।
আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার বিষয়ে
অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত
মাস থেকে খেতে হয়, মাদার হরলিক্স কখন খেতে হয় বানানোর নিয়ম খাওয়ার নিয়ম,
মাদার হরলিক্স এর দাম ইত্যাদি অনেক কয়েকটি বিষয়ে সঠিক তথ্য বিস্তারিতভাবে
আলোচনা করেছি যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক সঠিক তথ্য জানতে পারবেন এজন্য
আপনাদের অনুরোধ করবো শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা-গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হয়
আজকাল অনেক গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেয়ে থাকেন এবং
ডাক্তাররা ও এ মাদার হরলিক্স খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ একজন গর্ভবতী
মহিলাকে এবং তার বাচ্চার জন্য অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয়। এ সময় তাকে
পুষ্টিকর এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলমূল এবং শাকসবজি বেশি বেশি করে খাওয়ার কথা বলা
হয়ে থাকে যাতে করে মা ও বাচ্চা দুজনেই পুষ্টি পায় এবং সুস্থ থাকে। মাদার
হরলিক্স হচ্ছে গর্ভবতী মা এবং স্তনদানকারী মায়েদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করে
তৈরি করা হয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য যে সকল পুষ্টির
প্রয়োজন পড়ে সেই সকল পুষ্টি এবং ভিটামিন দিয়ে মাদার হরলিক্স তৈরি করা হয়। যখন
কোন গর্ভবতী মহিলা ঠিকমতো খাবার খেতে পারে না বা খাবারের রুচি থাকে না তখন
ডাক্তাররা এই মাদার হরলিক্স খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন যাতে করে সে প্রয়োজনীয়
পুষ্টি পায়। গর্ভবতী মায়েরা অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিনের খাদ্য
তালিকায় রাখতে পারেন। এই মাদার হরলিক্স গর্ভবতী মায়েরা গরম দুধের সাথে
মিশিয়ে খেতে পারে। গর্ভবতী মা এবং স্তন দানকারী মায়েরা এই মাদার হরলিক্স খেতে
পারেন যেকোনো সময় থেকে । গর্ভধারণের প্রথম মাস থেকে তারা খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স কত মাস থেকে খেতে হয়
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার মধ্যে থাকা দরকার
আয়রন, ফলিক এসিড, হাইপ্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান
গুলো। এই সকল ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে মা ও
শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব হবে না। এতে করে শিশুর
বিকাশ ও বুদ্ধিসহ শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলোর কোন সমস্যা হবে না। এজন্য একজন
গর্ভবতী মা এবং দুগ্ধ দানকারী মা তাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্যান্য
খাবারের সাথে মাদার হরলিক্স খেতে পারে।
অন্যান্য খাবারের সাথে মাদার হরলিক্স তাদের খাদ্য তালিকায় থাকলে এতে করে
প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। তবে এক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট বয়সের কোন
সীমা নেই। গর্ভবতী মহিলারা এবং স্তন দানকারী মা যে কোন সময়ে মাদার হরলিক্স খেতে
পারে। এ মাদার হরলিক্স আপনি গর্ভধারণের প্রথম মাস থেকে শেষ পর্যন্ত খেতে পারেন
যদি আপনার কোন সমস্যা না হয় তাহলে। অনেকের গ্যাসের সমস্যা হতে পারে এক্ষেত্রে
ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। মাদার হরলিক্স প্লাস এর ডিজাইন করা হয়েছে সাধারণত
বৈজ্ঞানিকভাবে গর্ভবতী এবং স্তন দানকারী নারীদের জন্য।
মাদার হরলিক্স এর কাজ কি
গর্ভাবস্থায় বা দুগ্ধ দানকারী মহিলারা মাদার হরলিক্স খেতে পারেন এতে কোন
নির্দিষ্ট বয়সের সীমা নেই। আপনি গর্ভধারণের প্রথম মাস থেকেই মাদার হরলিক্স খেতে
পারেন। এ সময় একজন গর্ভবতী মহিলার প্রতিদিনের খাবার তালিকার সাথে মাদার হরলিক্স
রাখতে পারেন এতে করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ভিটামিনের অভাব পূরণ হবে। গর্ভের শিশুর
ব্রেইন ডেভেলপমেন্টে সহায়তা করে থাকে কোলিন। আর মাদার হরলিক্স প্লাস কোলিন
সমৃদ্ধ এজন্য গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই একজন গর্ভবতী মহিলা মাদার হরলিক্স খেতে
পারেন।
মাদার হরলিক্স হচ্ছে অনেক ধরনের পুষ্টিকর খাদ্যের সম্পূরক এটি একজন গর্ভবতী
মহিলাদের শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে বেশ কার্যকর। এ মাদার হরলিক্স
গর্ভবতী মহিলা এবং স্তন দানকারী মহিলাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এতে
আছে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ ও ডি এইচ এ আর এ সকল উপাদানগুলো একজন
গর্ভবতী মহিলার অনেক উপকার করে থাকে। এটি শুধু গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে সীমাবদ্ধ
থাকে তা নয় এটি তার গর্ভের সন্তানের শারীরিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং বাচ্চার
জন্মকালীন ওজন বৃদ্ধিতে কার্যকরী
ভূমিকা পালন করে। মাদার হরলিক্স ক্যালরি পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে। দেখা যাচ্ছে
যে অনেক মহিলারা গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো খাদ্য খেতে পারেনা এক্ষেত্রে অনেকের পুষ্টির
অভাব দেখা দেয় আর এক্ষেত্রে মাদার হরলিক্স পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ করে
থাকে। যখন কোন গর্ভবতী মহিলারা ঠিকমতো পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারছে না বা পুষ্টির
ঘাটতি হচ্ছে এ অবস্থায় তখন তারা তাদের শরীরের কথা চিন্তা করে মাদার হরলিক্স খেতে
পারেন এতে করে মা ও শিশু দুজনার স্বাস্থ্যই সুস্থ থাকবে। গর্ভাবস্থায় এরকম
পরিস্থিতিতে মাদার হরলিক্স খাওয়ার উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে।
মাদার হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম
মাদার হরলিক্স গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় থাকা দরকার এতে করে
তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এটি অন্যান্য খাবারের
পাশাপাশি প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখতে হবে। এটি হচ্ছে একটা ফুড সাপ্লিমেন্ট
হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে এবং মাদার হরলিক্স কোন প্রাকৃতিক খাবার নয়। এটাকে
প্রস্তুত করা হয়েছে কৃত্রিমভাবে এজন্য মাদার হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
জেনে তারপরে খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার যেমন অনেক উপকারিতা
আছে তেমনি এটার
পাশাপাশি এটা খেতে হবে সঠিক নিয়ম মেনে। তা না হলে মাদার হরলিক্স খাওয়ার ফলে বেশ
কয়েকটি অপকারিতা দেখা দিতে পারে গর্ভবতী মহিলাদের। এটা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
একজন ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন যে, একজন গর্ভবতী মহিলা প্রতিদিন
একবার অথবা দুইবার মাদার হরলিক্স খেতে পারবেন। দুইবারের বেশি খাওয়া উচিত এতে করে
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। একজন গর্ভবতী মহিলা প্রতিদিন
সকালের নাস্তা করার সময় এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাদার হরলিক্স খেতে পারবেন।
গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় এখন অনেক মায়েরা মাদার হরলিক্স খেয়ে থাকেন এতে করে তারা পুষ্টির
চাহিদা মেটাতে পারে। আবার অনেকেই আছেন যারা এই মাদার হরলিক্স খায় না তবে কি
তাদের বাচ্চা সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয় না এই পৃথিবীতে। আসলে গর্ভাবস্থায়
মাদার হরলিক্স যে একজন গর্ভবতী মহিলাকে খেতেই হবে এরকম কোন কথা নেই। মাদার
হরলিক্স হচ্ছে জনপ্রিয় মল্টেড মিল্ক পাউডার। এটা একজন মায়ের একটি সম্পূরক খাদ্য
বা ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যখন
একজন গর্ভবতী মহিলা খাবারের রুচি থাকে না এবং অন্যান্য খাবার খেতে পারে না
ভালোভাবে তখনই তাকে মাদার হরলিক্স খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে। যাতে করে সে
প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ভিটামিন পায়। কারন গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলারাই ঠিকমতো
খাবার খেতে পারে না এতে করে তাদের পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় একজন
গর্ভবতী নারীকে অবশ্যই সব সময় পুষ্টিকর এবং সুষম খাবার প্রোটিনযুক্ত ভিটামিন
মিনারেল আয়রন যুক্ত খাবার খেতে হয়। যাতে করে তার শরীরে কোন
জটিলতা দেখা দিতে না পারে পুষ্টির ঘাটতি না হয় এবং বাচ্চারও যাতে কোন সমস্যা না
হয়। যাতে করে বাচ্চার বুদ্ধির বিকাশ এবং শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ভালোভাবে হয়
এবং হাড় মজবুত ও শক্ত হয়। যখন একজন গর্ভবতী মহিলা ঠিকমতো খাবার খেতে পারবেনা
তখন সে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাদার হরলিক্স রাখতে পারবে এতে করে তার পুষ্টি
চাহিদা এবং ক্যালরি পূরণ করা সম্ভব হবে। গর্ভবতী মহিলারা যে সকল খাবার খেয়ে থাকে
এর ফলে তাদের শরীরে যে পরিমান ক্যালরি তৈরি হয়ে থাকে তা পূরণ
করার জন্য এ সময় মাদার হরলিক্স সাহায্য করতে পারে। একজন গর্ভবতী মহিলা মাদার
হরলিক্স গর্ভধারণের প্রথম মাস থেকে খেতে শুরু করতে পারে। এটা তারা হালকা গরম
দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারবে সকালে নাস্তা সময় অথবা রাত্রে ঘুমানোর আগে। এতে
করে বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ভালোভাবে হবে
ওজন বৃদ্ধি পাবে ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট এ সাহায্য করে থাকবে। কারণ মায়ের পেটে বাচ্চার
সবকিছুর গঠন হয়ে থাকে। তবে এটা খাওয়ার পড়বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে
তারপরে খাবেন।
মাদার হরলিক্স কখন খেতে হয়
একজন গর্ভবতী মহিলা গর্ভধারণের সময় প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য
অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি মাদার হরলিক্স খেতে পারেন এতে করে তার পুষ্টির অভাব
পূরণ হবে। তবে মাদার হরলিক্স কখন খেতে হবে বা খেতে হয় এ বিষয়ে অনেকেরই হয়তো
জানা নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার মাদার হরলিক্স
খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধ্যতামূলক নিয়ম নেই আবার এ সময় তাকে যে মাদার হরলিক্স
খেতেই হবে এরকম কোন নিয়ম বা কথা নেই। এ সময় একজন
গর্ভবতী মহিলাকে অনেক শাক সবজি এবং সুষম পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে
গর্ভবতী মহিলা এবং তার পেটের সন্তান ভালো থাকবে পুষ্টি পাবে। যখন কোন গর্ভবতী
মহিলা কোন কারণবশত স্বাভাবিক ভাবে খাবার খেতে পারে না তখন তাকে পুষ্টির চাহিদা
পূরণ করার জন্য মাদার হরলিক্স খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে বা খাওয়ানো হয়। এ সময়
একজন গর্ভবতী মহিলা তার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের
পাশাপাশি মাদার হরলিক্স রাখতে পারেন ফুড সাপ্লিমেন্ট
হিসেবে। গর্ভধারনের শুরু থেকে একজন গর্ভবতী মহিলা মাদার হরলিক্স খেতে পারেন। আর
মাদার হরলিক্স কখন খেতে হবে এ বিষয়ে বেশিরভাগ ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যে
গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস অতিক্রম করার পর থেকে মাদার হরলিক্স খাওয়ার। একজন
গর্ভবতী মহিলা মাদার হরলিক্স খেতে পারেন সকালে নাস্তা সময় এবং রাতে ঘুমোতে
যাওয়ার আগে।
মাদার হরলিক্স বানানোর নিয়ম
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার জন্য মাদার হরলিক্স
খাওয়ানো হয়। একজন নারীর ক্ষেত্রে গর্ভকালীন সময়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এ সময়
করা ছোট একটি ভুলের জন্য তার এবং তার সন্তানের জীবনের ঝুঁকি হতে পারে। এজন্য এ
সময় অনেক সাবধানতা অবলম্বন করে চলাফেরা এবং খাওয়া-দাওয়া করা উচিত। এ সময় অনেক
পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া উচিত যাতে করে মা ও শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়
এবং শিশুর বিকাশ ভালোভাবে হয়। এজন্য এ সময় যদি কোন
গর্ভবতী মহিলা মাদার হরলিক্স খায় তবে তাকে মাদার হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম এবং
বানানোর নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। তাকে মাদার হরলিক্স খাওয়ার বিষয়েও
সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ সঠিক নিয়ম মেনে যদি মাদার হরলিক্স না বানানো
হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে। এজন্য আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন মাদার
হরলিক্স বানানোর নিয়ম সম্পর্কে। মাদার হরলিক্স কেনার সময় আপনারা লক্ষ্য করবেন
যে এই প্যাকেটের গায়ে মাদার হরলিক্স বানানোর নিয়ম
সম্পর্কে লেখা থাকে কিন্তু এটা পড়ে হয়তো অনেকে ভালোভাবে বুঝতে পারে না। এজন্য
আজকে আমি সহজ ভাবে আপনাদের এ বিষয়ে বলব। আপনারা মাদার হরলিক্স বানানোর জন্য
প্রথমে একটা পরিষ্কার গ্লাসে এক গ্লাস পরিমাণে
গরম
দুধ নিবেন। অনেকে আবার গরম পানির সাথে মিশিয়ে এটা বানানোর কথা বলে তবে এর
সর্বোত্তম কার্যকারিতা পাওয়ার জন্য আপনারা গরম দুধের সাথে মিশিয়ে এটা তৈরি
করবেন এবং খাবেন। আপনারা গরম গরম এক গ্লাস পরিমাণ দুধ এর সাথে ভালোভাবে
মিশিয়ে
নিবেন দুই থেকে তিন চামচ পরিমাণে অথবা ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম পরিমাণ মাদার হরলিক্স।
এটা ভালোভাবে নাড়া দিয়ে নিবেন এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে মাদার হরলিক্স তারপরে
আপনারা এটা খেতে পারেন।
মাদার হরলিক্স খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার অবশ্যই সুষম এবং পুষ্টিকর শাকসবজি ও ফলমূল
খাওয়া উচিত যাতে করে সে এবং বাচ্চা প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। কিন্তু আমাদের
মধ্যে অনেকেই আছেন যারা গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার ফলে সকল পুষ্টি
চাহিদা মেটানো সম্ভব এ কথা বলে থাকেন। অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক গর্ভবতী
মহিলার শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দেয় কারণ তারা ঠিকমতো খাবার খেতে পারে না এ সময়
তাদের অন্যান্য খাবার গ্রহণ করার পাশাপাশি মাদার হরলিক্স খাওয়ার কথা
বলা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার কোন বাধা ধরা নিয়ম বা
প্রয়োজনীয়তা নেই। এ সময় একজন গর্ভবতী মহিলা অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি তার
শরীরে পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য মাদার হরলিক্স খেতে পারেন আর ডাক্তাররা এ
পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার যেমন অনেক উপকারিতা আছে
তেমনি এসময় মাদার হরলিক্স খাওয়ার বেশ কিছু অপকারিতাও আছে। নিচে এগুলো উল্লেখ
করা হলো
- প্রয়োজনের তুলনায় গর্ভবতী মহিলারা বেশি পরিমাণে মাদার হরলিক্স খাওয়ার ফলে তাদের রক্তচাপ বৃদ্ধির পেতে পারে।
- বদহজম হতে পারে।
- বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে।
- অনেকের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- স্নায়ু বিপর্যয় হতে পারে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যা হতে পারে।
- মেয়াদ উত্তীর্ণ অথবা নষ্ট মাদার হরলিক্স ভুলবশত খাওয়ার ফলে বিষক্রিয়ার সমস্যা হতে পারে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে অনেকের মৃত্যু ঘটতে পারে। এজন্য মাদার হরলিক্স খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মাদার হরলিক্স এর দাম
বর্তমান সময়ে এখন অনেক গর্ভবতী মহিলারায় গর্ভকালীন সময়ে মাদার হরলিক্স খেয়ে
থাকেন বা আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের বাজারে এখন প্রায় অনেক ফার্মেসী এবং
মুদি দোকানে এই মাদার হরলিক্স পাওয়া যায়। আর এর দাম একেক রকম হয়ে থাকে এক এক
প্যাকেটের মূল্য। এর সঠিক দাম না জানার কারণে আমরা অনেকেই মাদার হরলিক্স কেনার
সময় প্রতারিত হই বা ঠকে যায়। ভ্যানিলা ফ্লেভারের ৩৫০ গ্রাম ওজনের মাদার হরলিক্স
এর দাম ধরা হয়েছে ৪৯০ টাকা। বর্তমানে
আপনারা মাদার হরলিক্স প্লাস এর ৩৫০ গ্রাম এর দাম হচ্ছে ৫৮৫ টাকা। মাদার হরলিক্স
এর ৫০০ গ্রাম প্যাকেটের মূল্য ৯০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা। কেনার সময় আপনাকে
অবশ্যই এর উৎপাদনের এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেখে কিনতে হবে। সেই সাথে আপনারা
মাদার হরলিক্স কেনার সময় এর প্যাকেটের গায়ে লেখা মূল্য দেখে নিবেন।
ঠান্ডা পানি দিয়ে কি হরলিক্স খাওয়া যাবে
ঠান্ডা পানি দিয়ে হরলিক্স অথবা এই জাতীয় কোন উপাদানগুলো খাওয়া ঠিক হবে না।
কারণ হরলিক্সে থাকা দানাদার গরুগুলো ঠান্ডা পানিতে মেশানো হলে ভালোভাবে মিক্স হয়
না আর তখন এর কার্যকারীতাও অনেক কম হয়। হরলিক্স আপনারা হালকা গরম দুধের সাথে
মিশিয়ে খেতে পারেন এভাবে খাওয়াই উত্তম। হরলিক্সের যে পুষ্টি উপাদান আছে সেগুলো
দুধের প্রোটিনের সাথে মিশে সেটা আপনার শরীরের জন্য ভালো কাজ করবে। দুধে থাকে
এমিনো এসিড, বিভিন্ন রকমের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ
থাকে যেমন ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আইরন, কপার, আয়োডিন, কোবাল্ট, জিংক এবং
সেলেনিয়াম ইত্যাদি। গরুর দুধের মধ্যে পানি থাকে ৮৬.৫ শতাংশ, চর্বি থাকে ৪.৫%,
ল্যাকটোজ থাকে ৪.৮%, প্রোটিনের পরিমাণ থাকে ৩.৫ শতাংশ এছাড়াও ভিটামিন এবং খনিজ
পদার্থ থাকে ০.৭%। এজন্য হরলিক্স হালকা গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া ভালো এতে
করে স্বাদ এবং পুষ্টির পরিমাণ উভয়ই ঠিক থাকবে আমরা পুষ্টি পাব। এছাড়াও আমাদের
শরীরে পরিপাক ও কার্যকর ভাবে হবে।
মাদার হরলিক্স কোনটা ভালো
মাদার হরলিক্স সাধারণত প্রস্তুত করা হয়ে থাকে একজন গর্ভবতী মা এবং শিশুর দিকে
লক্ষ্য রেখে। একজন গর্ভবতী মহিলার শারীরিক পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য যে সকল
পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন সেগুলোর প্রায় সবকটি উপাদান দিয়েই মাদার হরলিক্স তৈরি
করা হয়। বর্তমানে এখন বাজারে অনেক কোম্পানির মাদার হরলিক্স পাওয়া যাচ্ছে এজন্য
আমরা সঠিকভাবে ধারণা করতে পারি না যে কোন কোম্পানির মাদার হরলিক্স ভালো বা কোনটা
ভালো। একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য মাদার হরলিক্স কোনটা ভালো হবে এ
বিষয়ে আপনারা অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করলে সব থেকে ভালো হবে।
আপনারা চাইলে জিএসকে(gsk) কোম্পানির মাদার হরলিক্স কিনতে পারেন এবং খেতে পারেন।
কারণ এখন বর্তমানে যে সকল কোম্পানির মাদার হরলিক্স পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে
জিএসকে(gsk) কোম্পানির মাদার হরলিক্স এর গুণগত মান অন্যান্যদের চাইতে অনেক ভালো।
এছাড়াও বেশিরভাগ ডাক্তাররা এখন এই জিএসকে কোম্পানির মাদার হরলিক্স কেনার এবং
খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন গর্ভবতী মহিলাদের।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে আপনাদের জন্য গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স
খাওয়ার বিষয়ে অনেক কথা বলেছে যেমন গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হবে, এটা
বানানোর নিয়ম এবং খাওয়ার নিয়ম এটার দাম কত, এর কাজ কি ইত্যাদি বিষয়ে অনেক
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে। আপনাদের মধ্যে কারো যদি এ বিষয়ে
কোনো ধারণা না থাকে তাহলে আপনারা অবশ্যই আমার এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে
পারবেন এ বিষয় সম্পর্কে আর আপনাদের যদি এই পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই
শেয়ার করে দিবেন যাতে অন্যরাও পড়ার সুযোগ পায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url