গর্ভাবস্থায় বাম কাত হয়ে শোয়ার উপকারিতা বিস্তারিত জানুন
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো আগে
গর্ভাবস্থায় বাম কাত
হয়ে শোয়ার উপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত এছাড়াও
গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হতে পারে এরকম আরো নানা প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে
জানার চেষ্টা করেছেন কিন্তু সঠিক উত্তর খুঁজে পাননি আপনাদের মধ্যে যারা খুঁজে
পাননি তারা আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এ সকল প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে পারেন
এজন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় কি কি করা উচিত কি খাওয়া উচিত
কিভাবে শোয়া উচিত বা ঘুমানো উচিত কতটুকু পানি পান করা উচিত এছাড়াও গর্ভাবস্থায়
বাচ্চার পেটের কোন পাশে থাকে ইত্যাদি আরো এরকম অনেক প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর
সঠিকভাবে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা সঠিক উত্তরটি
জানতে পারবেন। আপনাদের মধ্যে যদি কারো এ সকল প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকে তাহলে
অবশ্যই জানতে পারেন আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এ জন্য দয়া করে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা-গর্ভাবস্থায় বাম কাত হয়ে শোয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় প্রত্যেকটি মহিলাকে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয় খাওয়া-দাওয়ার
বিষয়ে তেমনি করে ঘুমের বিষয়েও। কারণ এ সময় একটু ভুলের কারণে গর্ভবতী মহিলাকে
নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ সময় একজন গর্ভবতী মহিলাকে পরিণত পরিমাণে পানি
পান করতে হবে যাতে করে বাচ্চা এবং মা দুজনে সুস্থ থাকে। প্রতিদিন পরিমিত পরিমানে
ঘুমাতে হবে দিনের বেলা ঘুমাতে হবে ২ ঘন্টা এবং রাতে ঘুমাতে হবে আট ঘন্টা।
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলাকে বাম কাত হয়ে শোয়ার কথা বলা হয় কারণ বাম পাশ
হয়ে
ঘুমালে মায়ের বড় শিরা ইনফেরিয়র ভেনা কাভা তে চাপ কম পড়ে এবং রক্ত সঞ্চালন
স্বাভাবিক হয় লিভারে চাপ কম পড়ে। এছাড়াও হৃদপিণ্ড এ রক্ত প্রবাহ ঠিকমতো হয়
এবং হৃদপিণ্ড থেকে রক্ত বের হতে সমস্যা হয় না। এ সময় উপুড় অথবা চিত হয়ে ঘুমানো
কখনোই উচিত নয় এতে করে মা ও শিশুর ক্ষতি হতে পারে যেমন মায়ের শ্বাস-প্রশ্বাসে
কষ্ট হয়, মৃত সন্তান প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং বাচ্চার নড়াচড়া
করতে কষ্ট হয় ইত্যাদি আরও নানা সমস্যা হতে পারে। এরকম আরো অনেক তথ্য পোস্টটিতে
দেওয়া হয়েছে ।
গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়
পানি আমাদের জীবনকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখার জন্য এবং বিভিন্ন রোগের হাত থেকে
রক্ষার জন্য অনেক দরকার। আমাদের শরীরের বেশিরভাগ পানি থাকে। সুস্থ থাকার জন্য
যেমন পানি পান করা দরকার তেমনি গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলারও সুস্থ থাকার
জন্য ও তার সন্তানের সুস্থ থাকার জন্য পানি পান করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলা যদি পানি কম পরিমাণে পান করে তাহলে তার নানা
রকমের সমস্যা হতে পারে এবং তার সন্তানেরও ক্ষতি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যদি পানির
অভাব
হয় তাহলে গর্ভবতী মহিলা ডি-হাইড্রেশনের মধ্যে পড়বে এবং তার সন্তানের ক্ষতি হবে।
আবার গর্ভবতী মহিলা ক্লান্ত হয়ে পড়বে এছাড়াও কনস্টিপেশন হতে পারে। পানি আমাদের
শরীরের ভেতরে ক্ষতিকর জীবাণু বা টক্সিনকে বাহিরে বের করতে সাহায্য করে থাকে এবং
সেই সাথে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং আমাদের
মস্তিষ্ককে সচল রাখতেও সাহায্য করে থাকে। আমাদের শরীরের জন্য পানি এত
গুরুত্বপূর্ণ বলে এর অপর নাম বলা হয় জীবন। আমাদের সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন
পর্যাপ্ত পরিমাণে
পানি পান করা উচিত। আবার গর্ভবতী মহিলাদের অসুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন পরিমিত
পরিমানে
পানি
পান করা দরকার। গর্ভাবস্থায় যদি কোন মহিলার সামান্য ভুল হয়ে যায় তাহলে এই
ভুলের জন্যই তার জীবনের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এজন্য এ সময় মহিলাদের সাবধানে
থাকতে হবে। একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষকে প্রতিদিন ২ লিটার পানি পান করার কথা
বলা হয়। তাছাড়া ফলের রস, চা-কফি এবং সুপ ইত্যাদির মাধ্যমেও আমাদের শরীরে পানি
প্রবেশ করে কিন্তু যখন মহিলাদের ভেতরে আরেকটা প্রাণ
এর জন্ম হয় তখন তার জন্য আমাদের শরীরে পানির দরকার হয়। গর্ভাবস্থায় আপনি দিনে
দুই লিটারের ওপরে আরো একটু বেশি পরিমাণে অর্থাৎ ৫০০ মিলিমিটার পানি পান করবেন।
কিন্তু এই হিসেবটা সবার ক্ষেত্রে এক নয় কেউ যদি বেশি ওজনের এবং গর্ভাবস্থায়
বেশি পরিমাণে খাবার খায় তাহলে তাকে আরো বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় আপনারা সবাই খেয়াল রাখবেন যে যাতে করে ডিহাইড্রেশন এর মধ্যে পড়তে
না হয় এটা খুব খারাপ এতে করে আপনার এবং আপনার সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে এরকম আরো অনেক প্রশ্ন আছে যেগুলো আমাদের
মনে ঘুর পা খেতে থাকে। আবার গর্ভাবস্থায় আমাদের পেটের সন্তান ছেলে হবে নাকি
মেয়ে হবে এমন অনেক আরো প্রশ্ন কিন্তু বর্তমান সময়ে এখন বিভিন্ন আধুনিক
প্রযুক্তির দ্বারা গর্ভের সন্তান সম্পর্কে নানা তথ্য জানা যাচ্ছে। কিন্তু আগে
গর্ভের সন্তানের সম্পর্কে কোন তথ্য জানা যায়নি কেবলমাত্র কিছু বিশেষ লক্ষণ
পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে অনেকে গর্ভে থাকা সন্তান সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যেত।
গর্ভবতী মায়ের অনেক
লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে তার পেটে থাকা সন্তানের অনেক তথ্য জানা যেত। যখন
একজন নারী গর্ভধারণ করে থাকে তখন তার শরীরে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এবং এ
সময় তার মনে অনেক প্রশ্ন জাগে। তেমনি একটি প্রশ্ন হচ্ছে গর্ভাবস্থায় বাচ্চা
পেটের কোন পাশে থাকে এ সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বলবো।
একজন নারী যখন গর্ভধারণ করে তখন তার শারীরিক অনেক পরিবর্তন হয়ে থাকে এবং এর
পাশাপাশি তার গর্ভের সন্তানেরও অনেক পরিবর্তন
হতে থাকে। এজন্য এ সময় বিভিন্নভাবে অবস্থান করতে দেখা যায় পেটে সন্তানকে। এজন্য
বাচ্চা মায়ের পেটে কোন পাশে থাকে নির্দিষ্ট ভাবে বলা অসম্ভব। গর্ভাবস্থার শেষের
দিকে বাচ্চা মায়ের পেটের নিচের দিকে অবস্থান করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায়
বাচ্চার মায়ের পেটের যে কোন পাশে থাকতে পারে। তবে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে বাচ্চা
মায়ের পেটের মাঝখানে অবস্থান করে এরপরে যখন বাচ্চার আকার বড় হতে থাকে তখন
বাচ্চা নিজে নিজেই পেটের বিভিন্ন জায়গায় একা একাই নড়াচড়া
করতে থাকে। এজন্য গর্ভাবস্থায় মায়ের পেটে থাকা বাচ্চা মায়ের ডান অথবা বাম উভয়
পাশেই থাকতে পারে। আমাদের মাঝে অনেকের একটি প্রচলিত ধারণা আছে যে গর্ভাবস্থায়
বাচ্চা পেটের ডান পাশে থাকে কিন্তু এটা নিতান্তই আমাদের ধারণা এটার শতভাগ
নিশ্চয়তা নেই। আর এজন্যই গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকবে এটা
নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়।
গর্ভাবস্থায় কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত
আমাদের সবার জীবনে ঘুম অনেক প্রয়োজন কিন্তু গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলাকেও
ঠিকমতো ঘুমাতে হবে এতে করে গর্ভবতী মহিলা এবং তার সন্তান উভয়েরই ভালো হবে। একজন
গর্ভবতী মহিলার গর্ভাবস্থায় যেমন খাবারের দিকে নজর রাখতে হবে তেমনি ঘুমের
বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। গর্ব অবস্থায় পুষ্টিকর এবং সবুজ শাকসবজি হলুদ ফলমূল
খাওয়া উচিত শরীর স্বাস্থ্য এবং তার গর্ভের সন্তানের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য
তেমনি ঘুমানো অনেক প্রয়োজন মা এবং সন্তানের জন্য। তা না হলে মা এবং সন্তান
দুজনের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হতে পারে এবং মায়ের নানা রকমের জটিলতা দেখা দিতে
পারে। গর্ভাবস্থায় এক জন মহিলাকে পরিণত পরিমাণে যেমন পানি পান করতে হবে তেমনি
পরিমিত পরিমাণে ঘুমোতে হবে বিশ্রাম করতে হবে। একজন পূর্ণবয়স্ক প্রাপ্ত মানুষকে
যেমন দিনে ২ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন তেমনি গর্ভবতী মহিলাকে দিনে ২ লিটার এর
বেশি অর্থাৎ আরো ৫০০ মিলিলিটার পানি পান করা প্রয়োজন এতে করে বাচ্চা এবং মা
দুজনে ভালো থাকবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন গর্ভাবস্থায়
একজন গর্ভবতী মায়ের বিশ্রাম নেওয়া অনেক প্রয়োজন এ সময় একজন গর্ভবতী নারীকে
অন্তত পক্ষে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। রাতের বেলা ৮ ঘণ্টা এবং দিনের বেলা ঘুমাতে হবে
২ ঘন্টা। গর্ভবতী নারী বিশ্রাম নেওয়ার ফলে তার শরীর যেমন ভালো থাকবে তেমনি তার
গর্ভের সন্তানের শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। এ সময় বিশ্রাম ছাড়াও একজন
গর্ভবতী নারীকে আরো অনেক বিষয়ে নজর দিতে হবে যেমন তাকে এ অবস্থায় ঢিলাঢালা
পোশাক পড়তে হবে এছাড়াও যে খাবার গুলো খেলে সহজে হজম হবে সে রকম খাবার খেতে
হবে।
এগুলোর পাশাপাশি ওজন বাড়ানোর দিকটাও নজরে দিতে হবে গর্ভবতী মায়ের ওজন কম থাকলে
ওজন বাড়াতে হবে আর যাদের ওজন বেশি আছে তাদের ওজন বাড়ানোর তেমন একটা দরকার নেই।
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার নানা কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে আবার শারীরিক
নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে এজন্য তারা অবশ্যই একজন গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ
নিয়ে চলতে পারেন এতে করে তাদের এ সকল জটিলতা এবং সমস্যা দূর হবে। অর্থাৎ আপনারা
গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন জটিলতা এড়িয়ে চলুন এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক সন্তানের জন্ম
দিন।
গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয়
গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয় এ প্রশ্নের উত্তর সকল গর্ভবতী মহিলাদের জানা
দরকার। কারণ এই সময় যদি অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে শুয়ে থাকা হয় এবং ঘুমানো হয়
তাহলে তার গর্ভবতী মহিলায় এবং তার সন্তানের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঘুমের
অনেক উপকারিতা আছে এবং গর্ভাবস্থায় ঘুমের এবং বিশ্রাম নেওয়ার দরকার আছে কিন্তু
অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে নয়। এজন্য গর্ভাবস্থায় পরিমিত পরিমাণে ঘুমাতে হবে এবং
বেশি পরিমাণে ঘুমানো যাবে না। এ সময় নারীদের নিয়ম করে ঘুমানো উচিত কারণ এ সময়
যদি
কোন নারী অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে ঘুমায় তাহলে তারা তার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য
ক্ষতিকর হতে পারে। গর্ভাবস্থায় নারীদের হরমোন পরিবর্তনের কারণে তারা সহজে
ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং এ সময় তাদের অতিরিক্ত একটা ওজন বহন করতে হয় আর এজন্য
দরকার হয় তাদের বিশ্রাম নেওয়ার। এ সময় বিশ্রাম এবং ঘুম দুটোই গর্ভবতী মহিলাদের
জন্য দরকার তাদের স্বাস্থ্যের জন্য। এ জন্য একজন গর্ভবতী নারীকে অবশ্যই জানতে হবে
যে গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয় তাহলে জেনে নিন এ সম্পর্কে।
কিছু গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে মৃত সন্তান প্রসবের
সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে যে সকল মহিলারা তৃতীয় ত্রৈমাসিকের সময় প্রতিদিন
নিয়মিত একটানা নয় ঘন্টার বেশি ঘুমায় তাদের জন্য তাদের সন্তানের ঝুঁকি আরো
বেড়ে যায়। এগুলো ছাড়াও অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে ঘুম স্বাভাবিক প্রসব এবং বিভিন্ন
জটিলতার সম্ভাবনা সমস্যাগুলোকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এ সময় নারীদের ওজন বেড়ে যায়
এবং হরমোন গুলো অনিয়মিত হয় এজন্য তাদের শরীরে বেশি ক্লান্তি লাগে ও ঘুম পায়।
আপনি যদি ঘুমোতে
চান এ সময় তাহলে আপনাকে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে আর এসময় এই ঘুমটা আপনার
পর্যাপ্ত পরিমাণ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য। তবে কখনোই আপনি একটানা ৮ থেকে ৯ ঘন্টা
বা এর বেশি ঘুমানো ভালো নয় এতে করে মা এবং শিশু দুজনারি ক্ষতি হতে পারে। আপনাদের
মধ্যে কারো যদি এই সময় বেশি ঘুমের দরকার হয় তাহলে আপনি চাইলে অল্প অল্প করে
বেশি পরিমাণে ঘুমাতে পারেন যেমন ধরুন সকালে এক ঘন্টা বিকেলে তিন ঘন্টা আবার রাতে
চার থেকে ছয় ঘন্টা ঘুমাতে পারেন। একটানা অনেকক্ষণ ঘুমালে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী ঘুমাবেন।
গর্ভাবস্থায় বেশি ঝাল খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় খাবার খাওয়ার বিষয়ে অনেক সতর্ক থাকতে হয়। এ সময় গর্ভবতী
মহিলাদের পুষ্টি করে এবং হলুদ ফলমূল এবং সবুজ শাক-সবজি বেশি পরিমাণে খেতে হয়
যাতে করে তারা পুষ্টি ও ভিটামিন পায় এবং মা ও সন্তান দুজনেই ভালো থাকে। আবার
অনেক খাবার আছে যেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এতে করে মা ও শিশু দুজনে ভালো
থাকতে পারবে। এ সময় মহিলাদের ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যাতে করে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। কারণ এই সময় তাদের বাড়তি পুষ্টির যোগান
দিতে হয় এজন্য এ সময় বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়া দরকার যাতে করে তাদের পুষ্টি
এবং ভিটামিনের অভাব দূর হয়। এ সময় তাদের মাছ, মাংস, ডিম ও ডাল ইত্যাদি প্রোটিন
জাতীয় খাবার খেতে হবে এছাড়া এ সময় তাদের প্রয়োজন পরে বাড়তি ক্যালরির।এজন্য
আপনারা গর্ভাবস্থায় কিসমিস এবং খেজুর এর মত শুকনো ফল খেতে পারেন এতে করে
ক্যালরির যোগান দেওয়া সম্ভব হবে। এ সময় ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এর চাহিদা ও
বেড়ে যায় এজন্য আপনি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার যেমন
গরু এবং খাসির কলিজা, কমলা, মালটা ও ডিমের কুসুম ইত্যাদি খেতে পারেন। বেশি
পরিমাণে পানি পান করতে হবে বাদাম, দই ও ব্রকলি খেতে পারেন এতে করে শিশুর হাড়
মজবুত হবে। তবে এ সময় আপনাকে এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে
হবে। এ সময় আপনি কাঁচা বা আধা সেদ্ধ করা শাক-সবজি খেতে পারবেন না এজন্য আপনি
ভালোভাবে সেদ্ধ করে বা রান্না করে তারপরে খাবেন। গর্ভাবস্থায় যেহেতু থার্ড
টাইমেস্টারে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে এজন্য এ
সময় আপনারা বেশি পরিমাণে লবণ খাবেন না। এছাড়াও আপনারা লবণ এবং অন্যান্য যে সকল
খাবার লবণযুক্ত সেসকল খাবার গুলো বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে আপনাদের
পায়ে
পানি আসতে পারে। আবার এ সময় আপনি ঝাল এবং ঝাঁঝালো এ ছাড়াও তৈলাক্ত এবং ক্যাফেইন
জাতীয় খাবার খাবেন না। এ সকল খাবার খাওয়ার ফলে আপনার এবং আপনার বাচ্চার ক্ষতি
হতে পারে। এ সকল খাবার গুলো ছাড়া এ সময় আপনি উচ্চ শর্করা জাতীয় খাবার গুলো
খাবেন না কারণ গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের
ঝুঁকি থাকতে পারে। এজন্য মিষ্টি অথবা মিষ্টি জাতীয় খাবার ছাড়াও উচ্চ শর্করা
জাতীয় খাবার গুলো খাওয়ার ফলে আপনার এবং আপনার সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। আপনারা
সকলে মনে রাখবেন আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের শরীর আলাদা রকমের হয়। এজন্য
গর্ভধারণের পরে আমাদের নিয়মিত চিকিৎসকের সাথে কথা বলা দরকার। বেশি পরিমাণএ ঝাল
খাওয়ার ফলে ঘুমের সমস্যা এবং মুখে ব্রণ হতে পারে এছাড়াও কথা বলতে গেলে বাধার
সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য খাবারে হালকা ঝাল এবং
মসলার খাবারের স্বাদ এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। খাবারে ঝাল থাকলে সেটা
আমাদের মেয়েদের কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এছাড়াও হতাশা দূর
করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে ঝাল খাওয়ার ফলে অনেকের
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হওয়া সম্ভব না থাকতে পারে। এজন্য আপনি যতটুকু ঝাল
খেতে পারবেন ততটুকু খাবেন এর বেশি পরিমাণে ঝাল খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। তবে
আপনারা কাঁচা মরিচ এর ঝাল খেতে পারেন গুড়া মরিচ বা
শুকনা মরিচ খাবেন না। এ সময় অতিরিক্ত পরিমাণে ঝাল খাওয়ার ফলে অনেকের যে পাতলা
পায়খানা বা ডায়রিয়া হতে পারে তার জন্য তার শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাবে আর
এটা বাচ্চার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এজন্য আপনারা গর্ভাবস্থার অতিরিক্ত
পরিমাণে ঝাল খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
গর্ভাবস্থায় বাম কাত হয়ে শোয়ার উপকারিতা
বর্তমানে এখন অনেক চিকিৎসক গর্ভবতী মহিলাদের বাম পাশ বা বাম কাত হয়ে শোয়ার বা
ঘুমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন কিন্তু কেন এ বিষয়ে আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা আজকে এই
পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। গর্ভবতী মহিলাদের বাম পাশ হয়ে ঘুমানোর মেডিকেল কারণ
আবিষ্কার করা হয়েছে। যেহেতু গর্ভাবস্থায় ভ্রুণ দিন দিন বাড়তে থাকে আর এটি
স্বাভাবিকভাবেই মায়ের অভ্যন্তরীণ অর্গান এবং রক্তনালীতে বেশি চাপ ফেলে। ডাক্তার
গ্রেস পিয়েন বলেন, মায়ের একটি বড় শিরা হচ্ছে ইনফেরিয়র ভিনা কাভা
যেটা মেরুদন্ডের ডানপাশের বরাবর থাকে এবং এটি আমাদের শরীরের নিচের অংশ থেকে
হৃদপিণ্ড আবার রক্ত বহনের কাজ করে থাকে। তিনি আরো বলেন গর্ভবতী মহিলারা যদি পিঠে
ভর দিয়ে অথবা চিৎ হয়ে ঘুমায় তাহলে এই ইনফেরিয়র ভিনা কাভায় ভ্রূণের চাপ বেশি
পরিমাণে পড়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এর ফলে হৃদপিন্ডের দিকে নতুন করে ফিরে যাওয়া
রক্তের পরিমাণ কমে যায়। বাম পাশে কাত হয়ে ঘুমানো ডান পাশে কাত হয়ে ঘুমানোর
চেয়ে এতে চাপ পড়া সম্ভবনা কম থাকে এটা তিনি
প্রমাণ করেছেন। কারণ এই চাপ পড়া ভালো নয়। হৃদপিন্ডে যদি কম রক্ত প্রবেশ করে
তাহলে হৃদপিণ্ড থেকে কম পরিমাণে রক্ত বের হবে এর ফলে মায়ের রক্তচাপ কমে যাওয়া
সম্ভাবনা থাকবে ও মা এবং শিশু দুজনার জন্য রক্তে অক্সিজেন পরিবহনের পরিমাণ কমে
যাবে। তিনি বলেন গর্ভাবস্থার শেষ দিকে যদি কোন গর্ভবতী নারী পিঠে ভর দিয়ে ঘুমায়
তাহলে তার মৃত বাচ্চা প্রসব করার ঝুঁকি থাকে। আবার চিৎ হয়ে ঘুমানোর কারণে রক্ত
প্রবাহ কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিবে। গর্ভাবস্থায় কোন নারী যদি
চিৎ হয়ে ঘুমায় তাহলে তার শরীরের বড় শিরা ইনফেরিওর ভেনা কাভাতে চা পড়তে
থাকে এবং হৃদপিন্ডের ও কম রক্ত প্রবেশ করতে থাকে। এর ফলে হৃদপিণ্ড থেকে কম
পরিমাণে রক্ত বের হয় যার ফলে মায়ের শরীরে রক্তচাপ কমে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে ও
প্ল্যাসেন্টাতে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে। এর ফলে গর্ভ থাকা শিশুর শরীরে
অক্সিজেন এর ঘাটতি দেখা দেয়। এজমা এবং স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে যে সকল মায়েদের
তাদের নিজের শরীর এবং শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সমস্যা হয়ে
থাকে এরকম
সমস্যা আছে তারা কখনোই চিৎ হয়ে ঘুমানো ঠিক নয়। এভাবে শেয়ার ফলে রক্ত প্রবাহ কম
হবে আর এই দুই সমস্যা একসাথে হয়ে আরো জটিল অবস্থায় রূপ নিবে একজন গর্ভবতী
মায়ের ক্ষেত্রে। আপনি ডান পাশ অথবা বাম পাশ উভয় পাশেই ঘুমোতে পারবেন এতে করে
আপনার কোন মানা নেই। যেভাবে একজন গর্ভবতী মহিলা ঘুমোলে আরাম পাবে আপনি সেভাবে
ঘুমাতে পারেন। বাম পাশে ঘুমানোর কথা বেশি বলা হয় কারণ এভাবে ঘুমালে লিভার
অতিরিক্ত ওজন বিশিষ্ট আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চাপ থেকে সুরক্ষিত থাকে এবং রক্ত
সঞ্চালন
ও সহজ হয়। এছাড়াও গর্ভে থাকা শিশুর রক্ত সরবরাহ মায়ের হার্ট থেকেও সহজতর হয়ে
থাকে। গর্ভাবস্থায় কোন নারী যদি উপুড় হয়ে ঘুমায় তাহলে তার পাকস্থলী ও প্রসারিত
জরায়ুর ওপরে চাপ সৃষ্টি হয় এবং খাবার হজম করতেও সমস্যা হয়। এজন্য আবার বাচ্চার
নড়াচড়া করতে কষ্ট হয় এবং মায়ের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হতে দেখা যায়। এজন্য
আপনারা গর্ভাবস্থায় উপুড় এবং চিৎ হয়ে কখনো ঘুমাবেন না। সবচেয়ে বেশি ভালো হবে
আপনারা যদি এ সময় বাম পাশ হয়ে ঘুমান তাহলে এতে করে আপনি এবং আপনার বাচ্চার
দুজনারই ভালো হবে।
গর্ভাবস্থায় অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় ঠিক মতো সময়ে এবং কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়া
অত্যন্ত প্রয়োজন এতে করে মা ও সন্তান দুজনে পুষ্টি পাবে দুজনার স্বাস্থ্য ভালো
থাকবে। এ সময় যদি কোন গর্ভবতী মহিলা এক বেলা খাবার কম খায় বা বাদ রাখে তাহলে
তার এবং তার গর্ভস্থ শিশুর বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি এবং জটিলতা দেখা
দিতে পারে। খাবার অনেকক্ষণ না খাওয়ার কারণে গর্ভবতী মহিলার শক্তি কমে যাবে এবং
সে দুর্বল হয়ে পড়বে আবার আয়রন সহ হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি
দেখা দিবে যার ফলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা দেখা দিবে। গর্ভবতী মহিলার ওজনের তারতম্য
হতে পারে এছাড়াও গর্ভবতী মহিলার পায়ে পানি আসতে পারে। এরকম আরো নানা সমস্যা হতে
পারে একজন গর্ভবতী নারীর খাবার অনেকক্ষণ না খাওয়ার কারণে। অনেকক্ষণ খাবার না
খাওয়ার কারণে মা ও শিশুর পুষ্টি ও ভিটামিনের অভাব দেখা দিবে যার কারণে শিশুর
বিকাশ ও বৃদ্ধি ভালোভাবে হবে না। এ সময় অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে শরীরে পানির
অভাব দেখা দিবে এবং পানি শূন্যতা এই সমস্যা হবে
এবং হতে পারে অ্যাসিডিটি। এগুলো পাশাপাশি সন্তানের অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহের
অভাব দেখা দিবে যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা যেমন ওজন কমে যাওয়া সন্তানের ইত্যাদি আরও
নানা সমস্যা। সন্তানের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ও বৃদ্ধির জন্য গর্ভবতী মহিলাদের
ঠিকমতো খাবার খাওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী নারীকে যেমন পরিমিত পরিমাণে বিশ্রাম এবং ঘুমানো দরকার
তেমনি করে এ সময় বেশি শুয়ে থাকলে আবার মা ও শিশু দুজনার ক্ষতি হতে পারে। এ সময়
মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পরিণত পরিমাণে পুষ্টিকর ফলমূল এবং শাকসবজি
গ্রহণ করা দরকার তেমনি করে ঘুমও বিশ্রাম নেওয়া দরকার এতে করে মা ও শিশু দুজনার
ভালো থাকবে এবং নানা রকম সমস্যার জটিলতা কাটবে। একজন মা সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে
পারবে। একজন গর্ভবতী মহিলাকে রাতের বেলা ৮ ঘণ্টা এবং দিনের
বেলা ২ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। কিন্তু অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে অর্থাৎএকটানা ৮ থেকে
৯ঘণ্টা ঘুমানো উচিত নয় এতে করে সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। আবার একজন গর্ভবতী
মহিলা গর্ভ অবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলেও ক্ষতি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় শেষের তিন
মাস ঘুমানোর সময় একজন গর্ভবতী নারীকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা না হলে মা
এবং শিশু দুজনারি স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তাহলে আপনারা জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় এ বিষয়ে
- মৃত সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- নরমাল ডেলিভারি না হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
- গর্ভবতী নারীদের ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে আরো।
- বেশি শুয়ে থাকলে শিশুর স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ে।
- আপনাদের পিঠের নিচের দিকে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- একটানা অনেকক্ষণ চিৎবা উপুড় হয়ে শুয়ে থাকার কারণে পেটের ভেতরে থাকা বাচ্চার শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।
- গর্ভের সন্তানের মাথা বড় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় কিন্তু এটা খুব কম দেখা যায়।
- গর্ভের সন্তান পেটের নিচের দিকে নামতে পারে না কিন্তু এ ঘটনাটিও খুব কম ঘটে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে আপনাদের জন্য গর্ভাবস্থায় বাম কাত হয়ে
শোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করেছে। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ এই
প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে অথবা এরকম গর্ভাবস্থা সম্পর্কে আরও
অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। গর্ভাবস্থায় কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় এবং বেশি ঝাল খেলে কি হয় এছাড়াও বেশি
ঘুমালে কি ক্ষতি হতে পারে এরকম আরো অনেক প্রশ্ন উত্তর আছে এখানে
এগুলো জানতে পড়তে পারেন। গর্ভাবস্থায় বাম পাশ হয়ে শোয়া অনেক ভালো এতে করে
লিভারের উপর চাপ কম পড়ে এবং ইনফেরিয়র ভেনা কাভা এর ওপর চাপ কম পড়ে এজন্য। এই
পোস্টটি পড়ে আপনাদের যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনারা এই পোস্টটি পরিচিতদের
মাঝে শেয়ার করে দিবেন যাতে করে তারাও পড়ার সুযোগ পায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url