ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো অনেকেই আগে
ইউরোপের
কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ এবং লিথুয়ানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে
অনেক সঠিক তথ্য খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য জানতে পারেননি। যারা জানতে
পারেননি তারা আজকে আমার এ পোষ্টের মাধ্যমে এ সকল বিষয় ছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয়
সম্পর্কে জানতে পারবেন এজন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজকে আপনারা আমারে পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু
আছে ২০২৪ এবং লিথুয়ানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ,
ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪, বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
ইত্যাদি অনেক কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক সঠিক
তথ্য জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন ও আপনাদের এ সকল বিষয়ের উপর একটা ধারণা
জন্মাবে। এজন্য আপনারা শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা-ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
আমাদের যে কোন দেশে যাওয়ার জন্য আগে জানতে হবে সেই দেশের ভিসা চালু আছে কিনা সে
সম্পর্কে। যদি ভিসা চালু থাকে তবে আমরা সেই দেশে যেতে পারবো তা না হলে যেতে পারবো
না। বর্তমান সময়ে এখন ইউরোপের অনেকগুলো দেশের ভিসা চালু আছে। যেমন ফ্রান্স,
পর্তুগাল, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, লাটভিয়া, হাঙ্গেরি, লিথুয়ানিয়া
ইত্যাদি দেশগুলোর এবং এই দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য আপনারা সহজেই ভিসা পেয়ে যাবেন
অন্যান্য দেশের চাইতে। তবে আপনারা যে
দেশে যেতে চান সেই দেশের ভিসার খরচ হবে এর ভিসার ক্যাটাগরির ওপর। কারণ বিভিন্ন
দেশের ভিসার ক্যাটাগরির খরচ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। আপনারা সবচাইতে কম খরচে
বাংলাদেশ থেকে যেতে পারবেন ভারতে সৌদি আরবে এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। এছাড়াও
আপনারা যদি ইস্কলারশিপ নিয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় যান তাহলে খরচ কম হবে। আপনারা এই
পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ সহ
- লিথুয়ানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ
- ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
- বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এবং
- বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সঠিক পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।
আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও ভেতরে আরো অনেকগুলো
বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন এজন্য আপনারা মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত দয়া করে এই
পোস্টটি পড়বেন। তাহলে আপনারা এ সকল বিষয়ে সম্পর্কে অনেক সঠিক জানতে পারবেন আশা
করি।
লিথুয়ানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
লিথুয়ানিয়া দেশটি হচ্ছে শেনজেনভুক্ত বালটিক দেশ। এই দেশটি বালটিক সমুদ্রের তীরে
অবস্থিত বলে এই দেশটিকে বলা হয়ে থাকে বালটিক দেশ। এই দেশটি এক সময় অনেক বড় ছিল
বর্তমানে বেলারুশ এবং ইউক্রেনের অধিকাংশ এলাকা এর অধীনে ছিল। ১৯১৮ সালে এই দেশটি
একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেই কিন্তু ১৯৪০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন এই
দেশটি দখল নিয়ে নেয়। ২১শ শতকে এসে এই দেশটি ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে
যোগদান করেছে। পূর্ব ইউরোপের এই লিথুয়ানিয়া
দেশটিতে জনসংখ্যা মাত্র ২৭.৩০ লাখ। তবে এই দেশে জনসংখ্যা কম হলেও ইউরোপ এর দেশ
হিসেবে এই দেশে প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক মানুষ কাজের সন্ধানে
যায়। লিথুয়ানিয়া অন্যান্য দেশের তুলনায় ইউরোপের মধ্যে এটা জনপ্রিয় দেশ এবং
অনেক মানুষের স্বপ্ন আছে ইউরোপের এই দেশে যাওয়ার। ইউরোপের মধ্যে অনেকগুলো দেশ
আছে আর এই দেশগুলোর মধ্যে লিথুয়ানিয়া হচ্ছে অন্যতম। তবে প্রচার ও না জানার
অভাবের কারণে এই দেশে বাংলাদেশী শ্রমিকদের সংখ্যা কম অনেক।
UNDESA- 2020 সালের তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে বাংলাদেশি বৈধ মাইগ্রেন্ট এর সংখ্যা
হচ্ছে মাত্র ৪৪ জন। তবে এই দেশটিতে বিভিন্ন কাজের অপার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া
প্রতিবছরই এই দেশটি বিভিন্ন কাজের জন্য অনেক শ্রমিক নিয়োগ করে থাকেন। এই দেশে
অনেক রকমের কাজ আছে চাইলে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী লিথুয়ানিয়ার ভিসা নিতে
পারবেন। আপনারা খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে এই দেশের ভিসার আবেদন করতে পারবেন বা
অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করা যায় এই দেশের।
লিথুয়ানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
এখন অনেক মানুষের স্বপ্ন আছে ইউরোপের এই দেশটি তথা লিথুনিয়া দেশে কাজের
উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য কারণ এই দেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় কাজ করলে অনেক বেশি
টাকা বেতন পাওয়া যায়। এই দেশটি প্রতিবছরই সরকারি ভাবে বিভিন্ন কাজের জন্য
শ্রমিক নিয়োগ করে থাকেন। আপনারা যদি সরকারি সার্কুলার এর আবেদন অনুযায়ী এই
দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পান তাহলে কম খরচের মধ্যেই আপনি এই লিথুনিয়া দেশে
পৌঁছাতে পারবেন। এই লিথুনিয়ার ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা কয়েকটি ক্যাটাগরিতে আছে। চারটি ক্যাটাগরিতে লিথুয়ানিয়ার ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা পাওয়া যায়
- সাধারণ কর্মীদের জন্য-ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
- অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য-EU Blue Card
- সিজনাল-কাজের ভিসা
- ইন্ট্রা-কোম্পানির ভিসা
লিথুয়ানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
এই দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য আপনারা খুব সহজে
অনলাইনের মাধ্যমে
আবেদন করতে পারবেন। আপনারা ঘরে বসেই এর আবেদন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনেক
মানুষের চাহিদা আছে এই লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য এবং কাজের জন্য এই
দেশে যাওয়ার। এখন নতুন করে সরকার অনেক কাজের জন্য অনেক শ্রমিক নিয়োগ শুরু
করেছেন। আপনারা যদি সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করতে চান তাহলে আপনাদের প্রথমে গুগল
ক্রোমে
প্রবেশ করতে হবে। এরপরে (lithuania visa application) কথাটি লিখে সার্চ করলে
আপনারা পেয়ে যাবেন অফিশিয়াল ওয়েবসাইট। সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে ভিসা
আবেদন ফ্রম সংগ্রহ করে নিতে হবে। আপনারা চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে খালিঘর গুলো
সঠিক তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করে এজেন্সির সাহায্য নিয়েই আপনি এই দেশের
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন।
লিথুয়ানিয়া দেশে যেতে কত টাকা লাগে
এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে হলে সম্পূর্ণ আপনাদের ভিসার ক্যাটাগরির ওপর খরচ বহন
করতে হবে। কারণ হচ্ছে ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
আপনারা যদি সরকারি ভাবে এই দেশে অর্থাৎ লিথুয়ানিয়া দেশের ভিসা পান তাহলে কম
খরচের মধ্যে আপনারা এই দেশে যেতে পারবেন। আপনারা সরকারিভাবে এই লিথুয়ানিয়া
দেশের ভিসা করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে। এছাড়া আপনারা
যদি বাংলাদেশ থেকে কোন এজেন্সির মাধ্যমে লিথুয়ানিয়া
দেশের ভিসার আবেদন করেন তাহলে আপনাদের স্টুডেন্ট ভিসা করতে খরচ হবে চার থেকে পাঁচ
লক্ষ টাকা আর যদি আপনারা কাজের জন্য ভিসা করেন তাহলে আপনাদের খরচ হবে সাত থেকে
নয় লক্ষ টাকা।
লিথুয়ানিয়া দেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি
আপনারা এই দেশে গেলে কয়েক ধরনের কাজ করতে পারবেন এবং এই দেশের কাজ অনুযায়ী
শ্রমিক অনেক কম এজন্য তারা অনেক দেশ থেকে এখন অনেক শ্রমিক নিয়োগ করে থাকছেন।
অনেকেই এই দেশে যাওয়ার আগে এই দেশে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি এই তথ্যগুলো
সম্পর্কে জানতে চাই। তবে স্থানীয় প্রবাসীদের থেকে জানা গেছে যে এই লিথুনিয়া
দেশটিতে কনস্ট্রাকশন, ইলেকট্রিক্যাল, ড্রাইভিং, ওয়েলডার, ফ্যাক্টরি, রেস্টুরেন্ট
এবং ক্লিনার ইত্যাদি এ ধরনের কাজগুলোর জন্য শ্রমিকদের চাহিদা অনেক বেশি।
লিথুনিয়া দেশের কাজের বেতন কত
সবাই কাজ শুরু করার আগে সেই কাজের পারিশ্রমিক তথা সেই কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে
জানতে চাই। বর্তমান সময়ে ইউরোপের এই লিথুনিয়া দেশটিতে অনেক মানুষ কাজের জন্য
যাচ্ছেন। তবে বেতন কত নির্ধারণ নির্ধারণ করা হবে এই তথ্যগুলো জানে না। অনেকেই
আবার এই দেশের কাজের বেতন সম্পর্কে অনলাইনের মাধ্যমে অনেক তথ্য জানার চেষ্টা
করছেন। এই লিথুনিয়া আপনার অভিজ্ঞতার ওপরে আপনার কাজের বেতন নির্ধারণ করবে। এই
লিথুনিয়া দেশটিতে মূলত ঘন্টা
ভিত্তিক করে ইউরো দিয়ে থাকে তারা। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ নতুন হয়ে থাকেন তাহলে
আপনি ইনকাম করতে পারবেন প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ ইউরো পর্যন্ত। এই টাকা
বাংলাদেশের টাকায় হিসাব করলে হবে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আর যদি আপনার
কাজের অভিজ্ঞতা ভালো থাকে তাহলে আপনি বাংলাদেশী টাকায় প্রতি মাসে ইনকাম করতে
পারবেন
৮০ হাজার ১ লক্ষ টাকা
পর্যন্ত।
ইউরোপ ভিসা এজেন্সি বাংলাদেশ
বাংলাদেশের এখন অনেক ভিসা এজেন্সি আছে যারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভিসা প্রসেসিং
এর কাজ করে থাকে। তবে এগুলোর মধ্যে একটি ভাল এজেন্সি নির্বাচন করা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ কাজ যাতে করে আপনাদের ইউরোপ যাওয়ার জন্য ভিসা নিয়ে যেন কোন
সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয় বা কোন সমস্যা না হয়ে থাকে। এমন একটি ভালো মানের
ইউরোপ ভিসা এজেন্সি নির্বাচন করার জন্য আপনাদের কিছু বিষয় এর দিকে খেয়াল রাখতে
হবে। যেমন ধরুন সেই এজেন্সির অভিজ্ঞতা, তাদের কাস্টমার
রিভিউ ও তাদের সফলতার হার এই তিনটি বিষয়ের দিকে আপনাকে লক্ষ্য রেখে যদি আপনারা
ভিসা এজেন্সি নির্ধারণ করে থাকেন তাহলে আপনি সহজে নিশ্চিত হতে পারবেন যে তাহলে
আপনারা অবশ্যই ইউরোপের ভিসা নিয়ে খুব সহজেই আপনারা ইউরোপ যেতে পারবেন। শেষ সকল
এজেন্সি গুলো আপনাদের সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করার মাধ্যমে আপনার ভিসার
স্ট্যাটাস সম্পর্কে আপনাকে অবগত করবে। এভাবে আপনাদের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায়
ভুলের সম্ভাবনা অনেক
কম হবে এবং আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা খুব সহজেই বেড়ে যাবে। আপনাদের
সুবিধার্থের জন্য নিচে কয়েকটি ভালো মানের ইউরোপ ভিসা এজেন্সির সম্পর্কে বলা হলো
এ খায়ের ইন্টারন্যাশনাল
এদের লাইসেন্স নাম্বার হচ্ছে ২২৩৫। এই এজেন্সির ঠিকানা হচ্ছে ১২২ ডিআইটি।
এক্সটেনশন রোড, ভাই ভাই ম্যানশন (জি ফ্লোর),ফকিরাপুল , ঢাকা-১০০০ এবং কন্টাক্ট
নম্বর: ০১৭১১৩৬৪০৭৪।
এ এ টি অভারসিস
এদের লাইসেন্স নাম্বার হচ্ছে ২৩৮৩, ঠিকানা হচ্ছে প্যালাডিয়াম মার্কেট, ২য় তলা,
স্যুট ২/এ, বাড়ি নং ১, রোড নং ৯৫, গুলশান ২, ঢাকা-১২১২ এবং কন্টাক্ট নম্বর:
০১৬১১৪২৪৪৮।
অ্যারিট গ্লোবাল সার্ভিস
লাইসেন্স নম্বর ২২৮৮,ঠিকানা: ৪৮ নয়াপল্টন, ৩য় তলা, ঢাকা-১০০০ এবং কন্টাক্ট
নম্বর: ০১৭৫৪৫০২০২৬।
আহলান সার্ভিসেস লিমিটেড
লাইসেন্স নম্বর ২২৭১,ঠিকানা: আরএস ভবন (৫ তলা), রুম নং ৬০৫, ১২০/এ মতিঝিল,
ঢাকা-১০০০ এবং কন্টাক্ট নম্বর: ০১৬১৩০০৩৩৬২৮।
এ গনি অভারসিস লিমিটেড
লাইসেন্স নম্বর ২২৯৬,ঠিকানা: এইচ-৮২, নিউ এয়ারপোর্ট রোড, বনানী, ঢাকা-১২১৩ এবং
কন্টাক্ট নম্বর: ০১৭১৬৬১১৩১৮।
তবে আপনারা অবশ্যই যে কোন এজেন্সির সাথে সম্পূর্ণ আপনাদের নিজ দায়িত্বে লেনদেন
করবেন।
ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি বাংলাদেশী অভিবাসী আছে। ১৯৭৬
সাল থেকে কাজের জন্য বৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে থাকে। আর এখনো প্রতি
বছর বৈধভাবে প্রায় ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশিরা বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য যাচ্ছেন।
আবার কেউ কেউ অবৈধভাবে জীবিকার সন্ধানে যাচ্ছেন অনেক দেশে। বাংলাদেশের সবচেয়ে
বড় শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি
আছে এককভাবে যার সংখ্যা ৪৫ লাখ এর কাছাকাছি। এরপরে
মালেশিয়ায় আছে ১২ লাখের বেশি বাংলাদেশি। এজন্য প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় এখন
বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্ত অবস্থানে অবস্থান করছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিকল্প হিসেবে
ইউরোপের শ্রমবাজার ধরতে কাজ শুরু করেছে দেশের পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ
মন্ত্রণালয়। আর এর ধারাবাহিকতায় ইউরোপের বৃষ্টি দেশে শ্রমবাজারের হাতছানি দেখা
দিয়েছে। তাহলে আসন ইউরোপের কোন কোন দেশে এখন কাজের জন্য কর্মী পাঠানোর
প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলোতে বিনা খরচে বাংলাদেশী
কর্মীদের নিরাপদ অভিবাসন এবং কর্মসংস্থানের জন্য ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশের সাথে এক সমঝোতা স্মারক হয় যা ইউরোপের দেশের শ্রম বাজারে বাংলাদেশী
কর্মীদের নিয়ে প্রথম লিখিত বোঝাপড়া। তাহলে আসন জানা যাক ইউরোপের কোন কোন দেশে
বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক কর্মীকে কাজের জন্য ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
গ্রীসঃ গত বছরের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে গ্রীসের পার্লামেন্ট চুক্তিটির
অনুমোদন করে। এর ফলে মৌসুমী কাজের ভিসায় পাঁচ বছরের জন্য ১৫,০০০ কর্মী নিবে
গ্রীস। এ সকল কর্মীদের যেসব খাতের জন্য নেওয়া হবে তার মধ্যে আছে দেশটির কৃষি
পর্যটন এবং তৈরি পোশাক খাত। বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য পাঁচ বছরের ভিসা সরবরাহ করবে
সরকার। প্রতিবছরে বাংলাদেশী কর্মী যাবেন চার হাজার করে। শর্ত অনুযায়ী মৌসুমী
ভিসা নিয়ে আসা বাংলাদেশিরা একটি নির্দিষ্ট কাজের মাধ্যমে গ্রীস আসবেন এছাড়াও
এরা বছরের নয় মাস গ্রীস
এ বসবাস এবং কাজের সুযোগ পাবেন। আর প্রত্যেক ব্যক্তিকে নয় মাস পরে আবার
বাংলাদেশে ফেরত যেতে হবে। নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার দায়বদ্ধ থাকবে দেশে
ফিরে আবারো তারা গ্রীস এ যেতে পারবেন সম্পূর্ণ সরকারি খরচের মাধ্যমে। এভাবে
বাংলাদেশী কর্মীরা বছরের.৯ মাস করে তারা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর গ্রিসে বৈধ অভিবাসে
হিসেবে কাজ করতে পারবেন। তবে আরেকটি বিষয় হচ্ছে যে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে যদি
কেউ কাজ করে তাহলে তাকে কিন্তু কোন প্রকারের নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বসবাস করার
জন্য আবেদন করার কোন রকমের সুযোগ দেওয়া হবে না।
রোমানিয়াঃ সাম্প্রতিক সময়ে এই রোমানিয়া দেশ দক্ষ এবং অদক্ষ অভিবাসন
প্রত্যাশীদের আকর্ষণীয় দেশ। এই দেশের সরকার বিদেশী কর্মীদের জন্য কয়েক হাজার
ভিসা চালু করেছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ভুক্ত এই
দেশটিতে বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক নাগরিক আসছেন। বাংলাদেশের প্রবাসী
কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলছে যে, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল নাগাদ
এই রোমানিয়া দেশটি ১৬ হাজার ৪০৯ জন বাংলাদেশী কর্মীকে ভিসা
দিয়েছে। এরই মধ্যে এই দেশটি ঢাকায় খুলেছে অস্থায়ী কনস্যুলেট। যে সকল খাতের
জন্য তারা কর্মী নিয়েছে এর মধ্যে হল নির্মাণ সেবা জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ বিভিন্ন
খাত। তাদের বেতন হচ্ছে ৪০০ থেকে ১০০০ ইউরো। বেতনের সাথে অনেকের আবার থাকার
ব্যবস্থা এবং খাবার ভাতা ও আলাদা ভাবে বাড়তি সময়ের মজুরিও দিচ্ছে তারা। কিন্তু
তারপরেও অনেক বাংলাদেশী কর্মীরা রোমানিয়া ছাড়ছেন। রোমানিয়া দেশে এসে ইউরোপীয়
ইউনিয়নের অনেক দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন এদের
মধ্যে বড় একটি অংশের লক্ষ্য হচ্ছে ইতালি অনেকেই ইতালির পারি দিচ্ছে। বিশেষ এই
ভিসায় আশা বাংলাদেশী কর্মীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য কোন দেশে যাওয়ার অনুমতি
নেই কিন্তু তারপরও তারা অবৈধভাবে চলে যাচ্ছে।
মাল্টাঃ ইউরোপের স্বাধীন প্রজাতান্ত্রিক দেশ মাল্টা। এই দেশটির আয়তন
মাত্র ৩১৬ বর্গ কিলোমিটার আর এই দেশটিতে বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়ার
সুযোগ আছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর তথ্য অনুযায়ী গত দুই বছরে বৈধভাবে এই
মালটা দেশে গেছেন ১০৪১ জন বাংলাদেশি কর্মী। এই দেশে যাওয়ার নিয়ম হচ্ছে, কোন
শ্রমিক যদি বৈধভাবে এই দেশে যেতে চাই তাহলে স্থানীয় মালিকের সাথে কাজের একটি
চুক্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং পরে মালটা দেশ থেকে অনুমতি পত্র এলে
সেই কাগজপত্র দূতাবাসের কাছে জমা দেওয়ার পর যদি সব ঠিক থাকে তাহলে ভিসা দেওয়া
হয়। তবে বাংলাদেশে মালটা দেশের কোন দূতাবাস নেই এজন্য বিচার জন্য যেতে ভারতের
নয়াদিল্লিতে মালটা দেশের দূতাবাসে। বাংলাদেশীদের জন্য ইউরোপের এই মালটা দেশে
শ্রমবাজার প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে কারণ কোন বাংলাদেশি মালটা দেশে এসে থাকছে না।
তারা যেকোনো ভাবে মালটা দেশে আসতে পারলে তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার
চেষ্টা করছে আবার অনেকে চলেও যাচ্ছে এর
ফলে মালটা কোম্পানির মালিক পক্ষের সাথে আগের চুক্তি ভঙ্গ হয়ে যায় ও এই শ্রমিকরা
চলে যাওয়ার কারণে কারখানায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়ে থাকে। আর এভাবেই ইউরোপের
আস্থা হারাচ্ছে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। মালটা থেকে অনেক বাংলাদেশিরা মূলত ইতালি,
ফ্রান্স, পর্তুগাল এবং স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন উন্নত দেশগুলোতে পাড়ি জমায়।
তারা বৈধভাবে এসে অবৈধভাবে পাড়ি জমাচ্ছে এইসব দেশে।
ইতালিঃ ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতে সবচেয়ে বেশি অবৈধভাবে বাংলাদেশী
কর্মীরা গিয়েছেন। সরকারি হিসেবে এই সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ হাজার এর মত। এই
দেশটিতে অনেক কাজের সুযোগ আছে আট বছর বন্ধ থাকার পরে ২০২০ সালের শেষ দিকে এসে
বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য ইতালির সরকার তাদের শ্রমবাজার খুলে দেয়। ইতালিতে কর্মী
পাঠানোর অনুমোদন পাওয়া ৩০ দেশের তালিকার মধ্যে তখন বাংলাদেশের নামও ছিল। আর যে
কারণে ২১ সালের ১ জুলাই থেকে ৩১
মার্চ ২০২০ পর্যন্ত এই দেশটিতে গিয়েছেন ১৩৩ জন। বিনা খরচে অথবা নামমাত্র খরচে
ইতালিতে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও এখন অনেকেই দালালের ফাঁদে পড়ে ১০ থেকে ১২ লক্ষ
টাকা খরচ করে অবৈধভাবে ইতালিতে পারি দেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন অনেক বাংলাদেশী
শ্রমিক। এদের মধ্যে কেউ কেউ গন্তব্যে পৌঁছায় আর কারো কারো ভূমধ্যসাগরের মধ্যে
সলিল সমাধি হয়। আর এর ফলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বহির্বিশ্বে এবং যারা
বৈধভাবে ইতালিতে যেতে চান তাদেরও সর্বনাশ হয়।
জার্মানিঃ ইউরোপের উন্নত এবং ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে জার্মানি।
বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে বর্তমান সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অনেক কর্মী নিয়োগের
চুক্তি নেই। তবে এই দেশটিতে কর্মী পাঠানোর সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আর এজন্য
জার্মানির শ্রম ও বাজারের সুবিধা পাওয়ার জন্য জার্মান সরকারের সাথে গভর্নমেন্ট
এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই এর অনেক চেষ্টা চালাচ্ছে কল্যাণ এবং বৈদেশিক
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। আর এটা হলে দারুণ ব্যাপার হবে। । তবে ২০২১ সালের ১
জুলাই
থেকে ৩১ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত বৈধভাবে জার্মানি গেছেন ২৭ জন বাংলাদেশি। তবে
জার্মানি দেশে পড়াশোনা করার সুযোগ আছে এজন্য জার্মান ভাষা জানা থাকা দরকার। তবে
এই দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া খুব সহজ কাজ নয় তাই বর্তমানে ২৩ সালে অনেকে মানুষ
জার্মানি দেশে কাজের ভিসায় পাড়ি জমাতে শুরু করেছেন।
ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
আপনারা বিদেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই জানতে হবে যে এখন বর্তমান সময়ের কোন কোন দেশের
ভিসা চালু আছে। অথবা কাজের জন্য কোন দেশ ভালো এবং কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে এ
সকল তথ্যগুলো আপনাকে সবার আগে জানতে হবে তা না হলে আপনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
আপনারা যদি ইউরোপে টুরিস্ট ভিসা, চিকিৎসা ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, সিজনাল এবং নন
সিজনাল ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে আগে জানতে হবে ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা
চালু
আছে ২০২৪ নতুন নিয়ম সম্পর্কে। আপনাকে এ সকল বিষয়ে জানতে হবে এর কারণ হচ্ছে
ইউরোপের যে সমস্ত দেশগুলোর ভিসা চালু আছে আপনি শুধু সে সকল দেশেই যেতে পারবেন
অথবা কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ভিসা চালু আছে অনেক দেশের আর
আপনি আপনার পছন্দ মতো দেশ নির্বাচন করে সেই দেশে কাজের জন্য যেতে পারেন।
২০২৪ সালে যে সকল দেশের ভিসা চালু আছে সে সকল দেশগুলো হলো
কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ
কোরিয়া, থাইল্যান্ড, জার্মান, ফ্রান্স, পর্তুগাল, মালদ্বীপ, সুইডেন, ব্রাজিল,
ইন্দোনেশিয়া, বেলজিয়াম, সৌদি আরব, দুবাই, মধ্যপ্রাচ্য এবং কাতার ইত্যাদি দেশ।
তবে এই তথ্যগুলো পরিবর্তনের সাথে সাথে আপডেট হতে পারে কারণ ২০২৪ সালের শুরুতে এখন
বর্তমান সময়ে এই দেশগুলোর ভিসা চালু রয়েছে। এছাড়াও হয়তো আরো অনেক দেশের ভিসা
চালু আছে যেগুলো হয়তো আমার জানা নেই এগুলো আপনারা জানতে পারেন অনলাইনে সার্চ
দেওয়ার মাধ্যমে।
ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ এ বিষয়ে এবার আপনারা জানতে পারবেন।
আপনারা অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যেতে চান অথবা স্টুডেন্ট ভিসায় অথবা
কাজের জন্য যেতে চান আর এজন্য আপনাদের জানা দরকার ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা
চালু আছে ২০২৪ এ বিষয়ে। তবে ইউরোপের অনেক দেশগুলোর ভিসা পাওয়া এখন খুব সহজ আবার
অনেক দেশের ভিসা পাওয়া সহজ হচ্ছে না। বর্তমান সময়ে ইউরোপের অনেক দেশের ভিসা
সহজে
পাওয়া যাচ্ছে না এখন ইউরোপের ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। আর এর মূল কারণ
হচ্ছে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এখন ইউরোপের এই দেশগুলোতে বসবাস করতে পছন্দ করে আর
এখন সকলে এ সকল দেশে যেতে চাচ্ছে। তবে বর্তমান সময়ে ইউরোপের অনেকগুলো দেশের এখনো
ভিসা চালু আছে।
ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ এ সম্পর্কে নিচে বলা হলো
- ফ্রান্স
- জার্মানি
- ইতালি
- স্পেন
- পোল্যান্ড
- পর্তুগাল
- নেদারল্যান্ড
- সুইডেন
- বেলজিয়াম
- ডেনমার্ক
- গ্রীস
- আইসল্যান্ড
- নরওয়ে
- স্লোভাকিয়া
- আইল্যান্ড
- মালটা
- লাটভিয়া
- হাঙ্গেরি
- লিথুয়ানিয়া
- লক্সেমবার্গ
- চেক প্রজাতন্ত্র
- বুলগেরিয়া
- মন্টি নিগ্রো
- আলবেনিয়া
- এস্তোনিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
- বোসনিয়া হার্জেগোভিনা
- ম্যাসেডোনিয়া
- কোসোভো
- সার্বিয়া
এছাড়াও শান মারিনো, গ্রিনল্যান্ড, ফেরুদ্বীপ, অস্ট্রেলিয়া, সুরিনাম, বানানা,
অ্যান্টি গোয়া, বারবুডা,জামাইকা, ব্রাজিল, চিলি, কোস্টারিকা, ডোমিনিকা
প্রজাতন্ত্র, সাল্ভাদর, হৈতি, সাইপ্রাস, আজারবাইজান,আর্মেনিয়া, বেলারুশ, জর্জিয়া,
মলদোভা, রাশিয়া, উজবেকিস্থান, কাজাখস্থান, কিরগিস্থান, তাজিকিস্থান, তুর্কমেনি
স্থান, অসেরবাইজান, বাহরাইন, ইকুয়াডর, কত ডিভোয়ের, গম্বিয়া, হুন্ডুরাস,
ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, কিরিবাটি, কিরগিস্থান, কিরিবাতি, ইত্যাদি দেশগুলোতে
বর্তমান
সময়ে ইউরোপের ভিসা চালু আছে। তবে এই দেশগুলোতে যাওয়া সহজ হবে না বর্তমান সময়ে
এই দেশগুলোতে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। এজন্য যারা ব্যবসায়ী কাজের জন্য অথবা
কাজের জন্য বা টুরিস্ট এবং স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তারা আগে থেকেই ইউরোপে
যাওয়ার জন্য ভিসার প্রসেসিং কাজ শুরু করে দিতে পারেন অথবা তাদের আগে থেকেই
ইউরোপের দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার প্রসেসিং কাজ শুরু করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
বাংলাদেশ হচ্ছে নিম্ন আয়ের দেশ এবং এ দেশে বেকারত্বের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে
বাংলাদেশের শিক্ষার হার আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে আর যার ফলে এদেশে এখন
বেকারদের মধ্যে প্রায় ৮০ভাগ শিক্ষিত বেকার আছে। আর এই বেকারত্বের হার কমানোর
জন্য বাংলাদেশের সরকার এখন অনেক প্রতিনিধিত্ব বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার
চেষ্টা করছে। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে তারা ফ্রি প্রশিক্ষণ দেওয়ার
মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করছে এবং বিভিন্ন ভিসার সাহায্যে উন্নত দেশগুলোতে
পাঠানোর
ব্যবস্থা করছে যাতে করে বেকারত্বের সংখ্যা কমে। বিদেশ যাওয়ার জন্য দেশ ও ভিসা
এবং বিমানের ক্যাটাগরির ওপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন প্রায় ৫ লাখ টাকা আর সর্বোচ্চ
প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে এখন প্রতিদিন প্রায়
হাজার হাজার মানুষ কাজের জন্য অর্থাৎ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, মেডিকেল
এবং স্টাডি ভিসা নিয়ে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। তবে দেশ এবং ভিসার ক্যাটাগরি
অনুযায়ী কোন দেশে যাওয়ার খরচ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। কম টাকায় যাওয়া
যায়
ভারত, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, কুয়েত, ওমান দেশে। বাংলাদেশ থেকে কম খরচে
কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এ বিষয়ে হয়তো অনেকেরই জানা নেই। আর এ বিষয়ে আজকে
আপনারা আমার এ পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন এ জন্য মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত
পড়বেন আপনারা আশা করি। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে কম খরচে যাওয়া যায় মধ্যপ্রাচ্যের
দেশ গুলোতে। বিশেষ করে কাজের ভিসায় সর্বনিম্ন চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে
যাওয়া যাচ্ছে সৌদি আরব, কাতার,
কুয়েত, মালয়েশিয়া এবং ওমান দেশে। এছাড়াও এই দেশগুলোতে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে
যেতে হলে খরচ হয় মাত্র এক থেকে দুই লক্ষ টাকা। এছাড়া আপনারা বাংলাদেশ থেকে কম
টাকার মধ্যে ইউরোপ মহাদেশের মালটা, পর্তুগাল, কানাডা, লিথুয়ানিয়া বেলজিয়াম এবং
ফ্রান্সে যেতে পারবেন। এ সকল দেশে কাজের জন্য যেতে আপনাদের সর্বনিম্ন ৮ এবং
সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা খরচ হবে। তবে আপনারা যদি ভিজিট ভিসা নিয়ে যান তাহলে
আপনাদের সর্বনিম্ন খরচ হবে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছরে
প্রত্যেক
দেশের ভিসার দাম বাড়ানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মী হিসেবে আপনারা
যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে চান তাহলে আপনাদের খরচ লাগবে সর্বনিম্ন ৪-৫ লক্ষ
টাকা। তবে আপনারা যদি মধ্যপ্রাচ্যের যে কোন দেশে ভিজিট ভিসা নিয়ে যান তাহলে
আপনাদের ভিজিট ভিসার দাম এর জন্য খরচ লাগবে মাত্র ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা। আর ইউরোপের
দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা এর মাধ্যমে কম খরচে যেতে পারবেন আপনারা বা যাওয়া যায়।
ইউরোপের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য খরচ হবে সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। তবে যদি
আপনারা
স্কলারশিপ এর মাধ্যমে যান তাহলে মাত্র ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা লাগবে। অর্থনৈতিক কারণে
আমাদের সকলেরই সকল জায়গায় ভ্রমণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সবচাইতে কম খরচে
বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে ভ্রমণ করার অন্যতম জায়গা হচ্ছে ভারত। আপনারা মাত্র ১০
থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন বা করা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের
অন্যতম সুন্দর দেশ হচ্ছে কাতার। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এই কাতারে হাজার হাজার
মানুষ অবস্থান করেন আর এজন্য কাতারের টুরিস্ট ভিসার দাম অথবা এর খরচ মাত্র
এক থেকে দুই লাখ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে যে সকল দেশের দূরত্ব কম হবে সে সকল
দেশগুলোতে যাওয়ার খরচ কম হবে অর্থাৎ আপনারা সে সকল দেশে কম খরচে যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে ভারত দেশের দূরত্ব কম এজন্য আপনারা সহজেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে কম
খরচে যেতে পারবেন। কোন দেশে যাওয়ার জন্য খরচ নির্ভর করে থাকে মূলত ভিসার ওপর।
তবে যদি আপনারা টুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন কম খরচে কারণ
টুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসার দাম কম।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার সঠিক পদ্ধতি
আপনারা সহজেই অনলাইন থেকে ইউরোপ ভিসা আবেদন করতে পারবেন। আর এজন্য আপনাকে প্রথমে
সিলেক্ট করতে হবে দেশ অর্থাৎ আপনি যে দেশে যেতে চান সেই দেশ। তারপরে আপনাকে ভিসা
ফি দিয়ে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্রের মাধ্যমে ইউরোপ যাওয়ার ভিসা এর জন্য আবেদন
করতে হবে। আপনারা অনেকেই আছেন যারা ইউরোপ ভিসা আবেদন করার উপায় সম্পর্কে জানতে
চান আবার অনেকেই জানেন আজ তাদের জন্য এই পোস্টটি। আমরা সকলেই জানি ইউরোপ হলো একটি
বৃহৎ মহাদেশ
আর এই মহাদেশে আছে প্রায় ৫০টির মত দেশ। এজন্য আপনাকে ভিসা আবেদন করার আগে
নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান সে বিষয়ে। আপনি ইউরোপের যে
দেশে যেতে চান সেই দেশের সকল নিয়ম মেনে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আর
আপনারা সহজেই ইউরোপের অনেক কয়েকটি দেশের ভিসা পাবেন। আপনারা সহজেই ইউরোপের
দেশগুলো যেমন ফ্রান্স, পর্তুগাল, মালটা, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, হাঙ্গেরি,
লাটভিয়া এবং লিথুনিয়া দেশের ভিসা খুব সহজেই পেয়ে যাবেন
বা খুব সহজেই এ সকল দেশের ভিসা পাওয়া যায়। এজন্য আপনারা ইউরোপের এ সকল দেশে
যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে পারেন। ইউরো ভিসা আবেদন করার উপায় এর জন্য আপনাকে
প্রথমে ইউরোপের যে দেশে যেতে চান সেই দেশের নাম সিলেক্ট করতে হবে। তারপরে আপনাকে
ভিসার ধরন সিলেট করতে হবে অর্থাৎ আপনি কোন ধরনের ভিসার মাধ্যমে সেই দেশে যেতে চান
যেমন টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি। তারপরে আপনাকে
ভিসার ধরন সিলেক্ট করার পরে আপনাকে প্রয়োজনীয়
ডকুমেন্টস সংগ্রহ করার মাধ্যমে সরাসরি এম্বাসি অথবা আপনারা
অনলাইন
থেকে ভিসা আবেদন কার্যক্রমটি শুরু করতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার
নিয়ম হচ্ছে বা আপনি কিভাবে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যাবেন সে বিষয়ে এবার বলা হল।
আপনি যেহেতু একজন বাংলাদেশী এজন্য আপনার একটা বিষয়ে জেনে রাখা দরকার আর সেটা
হচ্ছে আপনি কিভাবে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়া যায় বা যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
একজন বাংলাদেশী হয়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য আমাদের দুইটি সহজ উপায় আছে আর সে
দুইটি
সহজ উপায় হলো শিক্ষার্থীর ভিসা ও ভ্রমণ ভিসা। আপনারা মূলত বাংলাদেশীরা এই দুইটি
ভিসার মাধ্যমে খুব সহজে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যেতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা যখন এই
দুটো ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন আপনারা রোমানিয়া, আর্মেনিয়া সার্বিয়া ও
মাল্টার মত অনেক দেশে যেতে পারবেন। এগুলো ছাড়াও আপনারা অন্যান্য দেশে ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা এবং আরো অনেক ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন সহজেই। কিন্তু আমি আপনাদেরকে
আসলে সহজে ভিসা পাওয়ার দুইটি উপায় সম্পর্কে উপরের আলোচনাতে বলেছি আশা করি বুঝতে
পেরেছেন।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো তার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরার
চেষ্টা করেছে ইউরোপের কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪ এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে কম
খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এবং লিথুয়ানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে।
আশা করি এগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা সঠিক তথ্যগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আপনাদের যদি এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনারা এই পোস্টটি শেয়ার
করে দিবেন এবং কমেন্টে জানাবেন কেমন হয়েছে। এছাড়াও আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে
আমার সঙ্গে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url