চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার-চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন আজ আপনারা
চুলের
যত্নে আমলকির ব্যবহার-চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতা এবং চুলের যত্নে আমলকি ও মেথি
সম্পর্কে অনেক সঠিক তথ্য জানতে পারবেন এই পোষ্টের মাধ্যমে। যে সকল তথ্য হয়তো
আপনারা আগে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু খুঁজে পাননি। এজন্য এ সকল বিষয়ে জানার
জন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজকে আপনারা আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন চুলের যত্নে আমলকির
ব্যবহার-চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতা এবং চুলের যত্নে আমলকি ও মেথি সহ চুলের
যত্নে আমলকি তেল, চুলের যত্নে আমলকি গুড়া এবং চুলের যত্নে আমলকি রস ইত্যাদি সকল
বিষয়ে। এ সকল বিষয়ে অনেক সঠিক তথ্য বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে যেগুলো পড়ার
মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন এ জন্য আপনাদের সকলকে অনুরোধ করবো এই পোস্টটি শেষ
পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা-চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার-চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতা
আমরা আমাদের চুলের যত্নে অনেকে ব্যবহার করে থাকে আমলকি আবার অনেকে ব্যবহার করে
থাকি মেথি। আর এই দুইটি উপাদান আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী। আমলকি ব্যবহার
করার ফলে আমাদের চুলের গোড়া শক্ত হয়, মজবুত হয়, চুল পড়া বন্ধ হয়, চুল ঘন
কালো হয়, মাথার খুশকি দূর হয় ও ত্বকের চুলকানি বন্ধ হয়। অর্থাৎ আমরা স্বাস্থ্য
উজ্জ্বল এবং ঝরঝরে চুল পেতে পারি। এজন্য আমরা আমাদের চুলে ব্যবহার করতে পারে
আমলকির তেল, আমলকির পাউডার এবং আমলকির
রস। এগুলো আমাদের চুলে ব্যবহার করার ফলে আমরা আমাদের চুলের ফলিকল এর মৃতকোষ নতুন
কোষে প্রতিস্থাপন করার কাজ করবে আমাদের মাথার খুশকি দূর হবে, অকালে চুল পড়া বন্ধ
হবে, চুল পাকা রোধ করা যাবে, চুলের গোড়া শক্ত হবে ও মজবুত হবে ইত্যাদি আরো নানা
উপকার। এছাড়াও আমরা আমাদের চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারি
মেথি। ব্যবহার করতে পারি মেথির হেয়ার প্যাক এজন্য আমরা মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে
রাখার পরে পরের দিন সকালে সেগুলোকে পেটে
সেটা আমরা মাথার ত্বকে এবং চুলে ব্যবহার করতে পারি। এতে করে আমাদের চুল শক্ত
মজবুত হবে চুল পড়া বন্ধ হবে চুলের আগা ফাটা বন্ধ হবে। নিচে আরও অনেক বিষয়ে
আলোচনা করা হয়েছে চুলের যত্ন নিয়ে এজন্য আপনাদের এই পোস্টটি পড়ার অনুরোধ করবো
যাতে করে আপনারা নিচের সমস্ত বিষয়গুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা সহজে আপনাদের চুলের
যত্ন নিতে পারবেন। আপনারা নিজের আলোচনা থেকে চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার এবং
চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার
যে সকল খাবারের পুষ্টিগুণ অন্যান্য সকল সাধারণ খাবারের তুলনায় পরিমাণে অনেক বেশি
থাকে সে সকল খাবারগুলোকে বলা হয়ে থাকে সুপার ফুড। সেরকমই একটি খাবার হচ্ছে
আমলকি। আর এটার পুষ্টি গুনাগুনের কথা বিবেচনা করলে আমরা একে সুপার ফুডের চেয়েও
এগিয়ে রাখতে পারি। এটা দেখতে সবুজ রঙের এবং টক এবং তেতো স্বাদের এই ফল ভিটামিন
সি এর ভালো উৎস।আমলকিতে থাকা পলিফেনলস নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ক্যান্সার
রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ
করে থাকে। অনেক গুণে সমৃদ্ধ আমলকি শুধু যে খাদ্য উপাদান তা নয় এটা আমাদের ত্বক
এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করা হয়ে আসছে। আপনারা
আপনাদের স্বাস্থ্যকর এবং ঝলমলে চুলের জন্য নিয়মিত আমলকি ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার
- আপনারা আপনাদের রুক্ষ শুষ্ক চুলগুলোকে মসৃণ এবং ঝরঝরে করার জন্য প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে আপনারা আমলকি চূর্ণ ব্যবহার করতে পারেন এতে অনেক উপকার হবে।
- এই আমলকি ব্যবহার করার ফলে আপনাদের মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকবে কারণ এতে আছে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এছাড়াও আপনাদের ত্বকে এটা পুষ্টি যোগাবে এবং আপনাদের মাথার খুশকি দূর করতে এটা সাহায্য করবে।
- আমলকির মধ্যে থাকা ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট এছাড়াও ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান গুলো কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করে থাকে। আর এই কোলাজেন আপনাদের চুলের ফলিকলের মৃত কোষগুলোকে নতুন কোষে প্রতিস্থাপন করতে সাহায্য করে।
- আপনারা আপনাদের চুলে আমলকির রস ব্যবহার করতে পারেন। এই রস আপনাদের চুলের ফলিকল গুলোকে শক্তিশালী করবে সেই সাথে আপনাদের চুলগুলোকে মজবুত করতে সাহায্য করবে। হলে আপনাদের চুল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও এটা আপনাদের মাথার ত্বক এবং চুলের টনিক হিসেবে কাজ করবে।
- এছাড়াও আপনারা যদি নিয়মিত আমলকির রস পান করেন তাহলে এতে থাকা ভিটামিন সি এবং এন্টি অক্সাইড আপনাদের বয়সের আগে চুল পাকা রোধ করার কাজে সাহায্য করবে।
- আপনারা যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন আমলকির রস দিয়ে আপনাদের চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করেন তাহলে আপনাদের চুলের পাকা ভাব কমে যাবে এছাড়াও এটা আপনাদের চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে।
- আমলকি আপনাদের মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে এবং ত্বক সুস্থ ও ভালো রাখতে সহায়তা করবে। আমলকি ব্যবহার করার ফলে আপনাদের চুলের গোড়া শক্ত এবং মজবুত হবে এবং চুল মসৃণ হবে।
চুলের যত্নে আপনারা যেভাবে আমলকি ব্যবহার করবেন
আমলকির হেয়ার প্যাকঃ আপনারা প্রথমে আমলকি রোদে শুকিয়ে তারপরে সেগুলো
মিহি করে গুড়া করে নিতে পারেন। এছাড়াও আপনারা এর সাথে নারকেল তেল অথবা অন্যান্য
ভেষজ উপাদান যেমন ধরুন মেহেদী অথবা মেথির গুড়া একসাথে করে ভালোভাবে মিশিয়ে
আপনারা হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিয়ে সেটা আপনাদের চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
আমলকির তেলঃ এর জন্য আপনারা আমলকি প্রথমে কেটে তারপরে সেগুলোকে সেদ্ধ করে
নিয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে পারেন। তারপরে আপনারা নারকেল তেলের সাথে শুকনো
টুকরাগুলোকে বিশ মিনিট ধরে গরম করে নিতে পারেন। তারপরে আপনারা সেগুলোকে ঠান্ডা
করে একটা পরিষ্কার বয়ামে করে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন। এই আমলকির তেল আপনারা
সপ্তাহে এক থেকে দুইবার আপনাদের চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
আমলকির রসঃ এটি হচ্ছে একটি সহজ প্রক্রিয়া। এর জন্য আপনারা প্রথমে আমলকি
কেটে তার সাথে পানি যোগ করে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। তারপরে আপনারা এই আমলকি এবং
লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে আপনাদের চুলের গোড়ায় দিয়ে রাখতে পারেন ৩০ মিনিটের মত।
সময় শেষ হয়ে গেলে আপনারা হালকা গরম পানি দিয়ে আপনাদের চুল ভালোভাবে পরিষ্কার
করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এভাবে আপনারা নিয়মিত আমলকির রস ব্যবহার করার ফলে আপনাদের
চুলের গোড়া শক্ত এবং মজবুত হবে।
চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতা
আদিকাল থেকেই অনেকেই চুলের যত্নে আমলকি ব্যবহার করে আসছে কারণ এতে আছে অনেক
প্রাকৃতিক সকল উপাদান যেগুলো আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী। আমলকি হচ্ছে ভিটামিন
সি এর ভালো উৎস। এটা দেখতে সবুজ রঙের এবং টক ও তেতো স্বাদযুক্ত। আমলকি যে শুধু
খাদ্য উপাদান তা নয় এটা আমাদের ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্যের জন্য অনেক আগে থেকেই
এটাকে আমরা ব্যবহার করে আসছি। আপনারা এ জন্য আপনাদের স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর
চুলের জন্য আমলকি ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের যত্নের জন্য আমলকির উপকারিতা
চুলের বৃদ্ধিতেঃ আমলকিতে উপস্থিত থাকা ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন ও
খনিজ উপাদান আমাদের মাথার ত্বকের সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে এছাড়াও স্বাস্থ্যকর
বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করার কাজে সাহায্য করে থাকে। এতে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন
প্রোটিন তৈরি করে থাকে। আর এটা আপনাদের চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করার কাজে
বহুগুণে সাহায্য করে থাকে। এই কোলাজেন আপনাদের চুলের ফলিকল এর মৃত কোষ গুলোকে
নতুন নতুন চুলের কোষ দিয়ে প্রতিস্থাপন করার কাজে সাহায্য করে থাকে।
চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেঃ আমলকি আপনাদের চুলগুলোকে পুষ্ট, মজবুত
ও কন্ডিশন করার কাজে সাহায্য করতে পারে যার ফলে আপনার চুলগুলোকে চকচকে দেখাবে এবং
আপনার চুলে যোগ করবে ভলিউম। একটা আমলকিতে ৮১.২% পর্যন্ত আর্দ্রতা থাকে আর এটা
আমাদের শুষ্ক চুলের জন্য অনেক দরকারি বা উপকারী। এছাড়া আপনাদের যদি তৈলাক্ত চুল
থাকে এর জন্য আপনারা ব্যবহার করতে পারেন আমলকি পাউডার। এটা আপনাদের মাথার ত্বকে
উপস্থিত থাকা সমস্ত বাড়তি তেলকে ভিজিয়ে রাখার কাজ করবে এছাড়াও কন্ডিশনিং করে
থাকবে।
খুশকির চিকিৎসা করেঃ আপনাদের মাথায় সাধারণত খুশকি শুষ্কতার কারণে হয়ে
থাকে। আর এই খুশকি দূর করার জন্য আপনারা ভিটামিন সি যুক্ত আমলকি ব্যবহার করতে
পারেন এতে করে আপনাদের চুলের শুষ্কতা দূর হবে এবং এটা আপনাদের মাথায় খুশকি জমতে
বাধা দিবে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকি এর অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ও
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য দ্বারা আপনাদের মাথার খুশকি দূর করবে এবং
চুলকানি বন্ধ করার কাজে সাহায্য করবে।
চুল মজবুত করতেঃ আপনারা আমলকির রস আপনাদের ত্বক এবং চুল এর জন্য ব্যবহার
করতে পারেন এটা ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী একটা টনিক হিসেবে কাজ করবে। এটা
আপনাদের চুলের ফলি কল গুলোকে শক্তিশালী করবে যার ফলে আপনাদের চুলের বৃদ্ধি ভালো
হবে সেই সাথে আপনাদের চুল শক্তিশালী হবে। এছাড়াও এটা ব্যবহার করার ফলে আপনাদের
চুলের শিকড় গুলো শক্তিশালী হবে ও চুলের বৃদ্ধি ও ভালো হবে।
স্ক্যাল্প ক্লিনজারঃ আমলকির রস আপনাদের মাথার স্ক্যাল্প পরিষ্কার করার
কাজে অনেক কার্যকরী একটা উপাদান হতে পারে এবং এটা অনেক কার্যকর। এটা আপনাদের
মাথার ত্বকে পুষ্টির যোগাবে এছাড়াও আপনাদের চুলগুলোকে চকচকে করবে। আমলকিতে থাকা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনাদের চুলগুলোকে ধুলাবালি এবং দূষণের কারণে চুলের যে ক্ষতি
হয় সেটা থেকে রক্ষা করবে।
চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতেঃ আমলকিতে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে
এছাড়াও আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট স আর এটা আমাদের মাথার রক্ত
সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যার ফলে চুল এর ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় চুল
তাড়াতাড়ি বাড়ে।
পিএইচ এর ভারসাম্য বজায় রাখতেঃ বর্ষাকালে আমাদের অনেকের মাথায় খুশকির
সমস্যা আরো বেড়ে যায় কারণ হচ্ছে মাথার ত্বক অতিরিক্ত পরিমাণে শুষ্ক হয়ে পড়ে
তখন। আর আমলকিতে আছে কোলাজেন। আর এই কোলাজেন চুলের ফলিকলে পুষ্টি যোগায় এবং
আমাদের মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে।
চুলের ক্ষতি এড়াতেঃ আমলকিতে আছে ট্যানিন ও ক্যালসিয়াম। আর এটা আমাদের
অতিরিক্ত তাপ থেকে চুলের ক্ষতি এড়াতে সাহায্য করে থাকে। এজন্য আমাদের চুল ঝরে
পড়া কমে যায় অনেকটাই।
আমলকির তেল ব্যবহারের উপকারিতাঃ আপনারা আমলকির তেল আপনাদের চুলের গোড়ায়
ভালোভাবে লাগালে এর ফলে আপনাদের চুল পড়ার পরিমাণ কমে যাবে। কারণ আমলকির তেল
ব্যবহার করার ফলে আপনাদের চুলের ফলিকল গুলো শক্ত হবে। এটা নিয়মিত মাসাজ করার ফলে
আপনাদের স্ক্যাল্প এ রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে এবং এতে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল
বৈশিষ্ট্য আপনাদের সকল ধরনের ইনফেকশন থেকে রক্ষা করবে। এছাড়া আমলকির তেল ব্যবহার
করার ফলে আপনাদের মাথার খুশকি দূর হবে এবং সেই সাথে মাথার ত্বকের চুলকানি ও কমে
যাবে।
আমলকির রসের উপকারিতাঃ আমলকির রসের উপকারিতা হল এটা আপনাদের চুলের গোড়া
শক্ত করবে এবং আপনাদের কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।এর ফলে আপনাদের চুলগুলো
দ্রুত লম্বা হবে। এটি ব্যবহার করার পরে আপনারা ৫ মিনিট রাখার পরে তারপরে আবার
একবার মালিশ করে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপরে আপনারা হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল
পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
চুল পড়া সমস্যা সমাধানেঃ আপনারা আপনাদের মাথার চুল অতিরিক্ত পড়ার
সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকে এরকম সমস্যা হলে আপনারা আমলকি এবং দই এর হেয়ার মাস্ক
বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনাদের চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং সেই সাথে
আপনাদের চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এই হেয়ারমাক্স তৈরি করার জন্য আপনারা প্রথমে ২
চা চামচ পরিমাণে আমলকির গুড়া এবং এর সাথে হালকা গরম পানি এবং দুই চা চামচ
পরিমাণে টক দই এবং এক চা চামচ পরিমাণে মধু
সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিয়ে সেটা আপনাদের চুলের
গোড়ায় এবং মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। লাগানোর পরে আপনারা আধা ঘন্টা রাখার পরে
ভালোভাবে চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। এটা ব্যবহার করার ফলে অনেক উপকার হবে।
এ সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনারা আপনাদের চুলে আমলকি ব্যবহার করতে পারেন আমলকি
পাউডার হিসেবে আমলকির রস বা জুস এবং আমলকি তেল।
চুলের যত্নে আমলকি তেল
আমরা অনেকেই আমাদের চুলের যত্নে আমলকি তেল ব্যবহার করে থাকি। এখন বাজারে আমলকি
তেল কিনতে পাওয়া যায় অথবা আপনারা নিজেরাই বাড়িতে আমলকি তেল বানিয়ে সেটা
আপনাদের চুলে ব্যবহার করতে পারেন। শীতের সময় আমাদের চুলের ওপর অনেক বেশি প্রভাব
পড়ে চুল পড়া সমস্যা এবং খুশকি বারে এজন্য এ সময় আমাদের একটু বাড়তি যত্ন নিতে
হয় চুলের জন্য। আর এই কাজে আপনাদেরকে সহজেই সাহায্য করতে পারে আমলকি নামের এই
ছোট ফলটি। আপনারা
যদি আমলকি দিয়ে আপনাদের চুলের যত্ন নিয়ে থাকেন তাহলে আপনারা খুব সহজেই সুস্থ
এবং প্রাণবন্ত চুল পেতে পারেন। কারন আমলকিতে আছে ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ভিটামিন
মিনারেল এবং খনিজ উপাদান এর মত আরও অনেক জরুরী সকল পুষ্টি উপাদান। আর এ সকল
উপাদান গুলো আমাদের স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এবং এটা আমাদের
চুল মজবুত করার কাজ করে থাকে এছাড়াও কন্ডিশনিং এর কাজও করে থাকে। আমলকিতে রয়েছে
৮১.২% ময়েশ্চার। আর এজন্য
এটা আমাদের রুক্ষ এবং শুষ্ক চুলের জন্য অনেক কার্যকরী। এর জন্য আমরা আমলকি তেল
ব্যবহার করতে পারি। কারণ আমলকির তেল আপনাদের চুল ভালো রাখার কাজ করতে পারে। এজন্য
আপনারা হাতে তেল নিয়ে আপনাদের মাথার তালু ও চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মালিশ করতে
পারেন। এভাবে যদি আপনারা নিয়মিত আপনাদের চুলে আমলকির তেল ব্যবহার করেন তাহলে
চুলের ফলিকল মজবুত হবে সেই সাথে আপনাদের চুল পড়ার পরিমাণ কমে যাবে। এভাবে আপনারা
যদি তেল মালিশ
করেন তাহলে স্কাল্পে রক্ত চলাচল বা রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে ঠিক এ কারণে আপনাদের
চুলের বৃদ্ধি ভালো হবে। এছাড়াও আমলকিতে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য
আপনাদের মাথার খুশকি দূর করবে এবং মাথার ত্বকের চুলকানি কমাতে সাহায্য করবে।
আপনারা চুল পড়া কমাতে এবং এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যউজ্জ্বল এবং ঝলমলে চুলের জন্য
আমলকি তেল ব্যবহার করতে পারেন। আপনারা বাড়িতে যেভাবে আমলকি তেল বানাবেন সে
সম্পর্কে এবার বলা হলো। প্রথমে আপনারা চার
থেকে পাঁচটি আমলকি কেটে নিয়ে সেগুলো থেকে বিচি ফেলে দিন। ১ কাপ পরিমাণ নারিকেল
তেল এর সাথে আপনারা কিছু পরিমাণে মেথি ও আমলকির টুকরোগুলো দিয়ে আপনারা সেগুলোকে
ফুটিয়ে নিতে পারেন অল্প আচে। চাইলে আপনারা আমলকি বেটে অথবা থেতো করে নিতে পারেন
তবে এক্ষেত্রে ভালোভাবে থেকে নিতে হবে তেল। তারপরে আপনারা এটাকে নামিয়ে নিয়ে
ঠান্ডা করে একটি পরিষ্কার কাঁচের বয়ানে রেখে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন এই আমলকির
তেল। এই তেল
আপনারা সপ্তাহে দুই তিন দিন গোসলের ঘন্টাখানেক আগে আপনাদের চুল এবং মাথার ত্বকে
মাসাজ করতে পারেন। তারপরে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে আপনারা আপনাদের চুল ভালোভাবে
পরিষ্কার করে ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনাদের চুল পড়া কমবে
এবং সেই সাথে চুল হবে মজবুত ও শক্ত।
চুলের যত্নে আমলকির গুঁড়া
চুলের যত্নে আপনারা আমলকির গুড়া ব্যবহার করতে পারেন আমলকির তেল ব্যবহার করার
পাশাপাশি। এজন্য আপনারা কয়েকটি আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে পারেন তারপরে
এগুলোকে কয়েক ঘণ্টার রোদে শুকিয়ে নিতে পারেন। রোদে শুকনর পরে এগুলো আপনারা মিহি
করে গুড়ো করে নিয়ে একটা পরিষ্কার কাঁচের বয়ানে সংরক্ষণ করে রেখে দিন। তারপরে
আপনারা আপনাদের চুলের বৃদ্ধির জন্য এর সাথে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান অথবা হেয়ার
ব্যাকে মিশিয়ে
আপনারা এটা ব্যবহার করতে পারেন আপনাদের চুলে। আমলকি আপনাদের চুলের জন্য অনেক
উপকার করবে এটা আপনাদের চুলের বৃদ্ধি চুলের ঘনত্ব বাড়ার জন্য প্রাকৃতিক
কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে এছাড়াও এটা আপনাদের মাথার খুশকি দূর করবে চুল করবে
মজবুত শক্ত এবং উজ্জ্বল ঝরঝরে। আপনারা আপনাদের চুলে আমলকি ব্যবহার করার ফলে এতে
থাকা ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ভিটামিন এবং খনিজ আপনাদের মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন
বাড়াবে এবং এতে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন
প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করবে। এতে করে আপনাদের চুলের বৃদ্ধি হবে আর খোলা যেন
আপনাদের চুলের ফলিকলের মৃত কোষ গুলোকে নতুন চুলের কোষ দিয়ে প্রতিস্থাপন করার
কাজে সাহায্য করবে। এটা আপনাদের চুলে পুষ্টি যোগাবে আপনার চুলের শুষ্কতা দূর করবে
এবং মাথার ত্বকের চুলকানি বন্ধ করার কাজে সাহায্য করবে। আপনাদের চুলকে রক্ষা করবে
ধুলাবালি এবং দূষণের কারণে চুলের বিভিন্ন ক্ষতি থেকে। এছাড়াও আপনারা আমলকি রোদে
শুকিয়ে সেগুলোকে মিহি ভাবে গুড়া করে তার
সাথে নারিকেল তেল এবং অন্যান্য ভেষজ উপাদান যেমন মেহেদী অথবা মেথির গুড়া মিশিয়ে
হেয়ার প্যাক তৈরি করে আপনাদের চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের যত্নে আমলকির রস
আমরা আমাদের চুলের যত্নে আমলকি এবং আমলকির তেল অথবা আমলকির গুড়া ব্যবহার করতে
পারি সেই সাথে আমরা আমলকির রস ব্যবহার করতে পারি আমাদের চুলের নানারকম ক্ষতিকর
দিক থেকে রক্ষার জন্য। আমলকির তেল এবং আমলকির গুড়া ব্যবহার করার ফলে যেমন আমাদের
চুল সুন্দর হয় মজবুত হয় চুল পড়া বন্ধ হয় সেরকম আমলকির রস ব্যবহার করার ফলে
আমাদের চুলের গোড়া শক্ত হবে। আমলকির রস ব্যবহার করা এটি একটি সহজ প্রক্রিয়া
এজন্য আপনারা প্রথমে
তার সাথে পানি যোগ করে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। এর সাথে আপনারা আমলকি ও লেবুর রস
একসাথে করে মিশিয়ে আপনারা আপনাদের চুলের গোড়ায় ব্যবহার করতে পারেন এবং ব্যবহার
করার পরে ৩০ মিনিট রেখে দিয়ে তারপরে হালকা গরম পানি দিয়ে আপনারা আপনাদের চুল
পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে পারেন। এভাবে আপনারা নিয়মিত আমলকির রস তুলে ব্যবহার
করার ফলে আপনাদের চুলের গোড়া শক্ত হবে। কারণ আমলকিতে আছে ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট
ভিটামিন এবং খনিজ
উপাদান এগুলো কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করার কাজে সাহায্য করে থাকে আর কোলাজেন চুলের
ফলিকলের মৃত কোষ গুলোকে নতুন কোষে প্রতিস্থাপন করার কাজ করে থাকে। আমলকিতে থাকা
এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আমাদের মাথার ত্বক পরিষ্কার
রাখতে এবং ত্বকে পুষ্টি যোগায় তে এছাড়াও আমাদের মাথার খুশকি দূর করতে সাহায্য
করে থাকে। আমলকির রস আমাদের চুলের ফলিকল গুলোকে শক্তিশালী করে থাকে এবং সেই সাথে
আমাদের
চুলগুলোকে মজবুত করার কাজ করে। এটা আমাদের মাথার ত্বক এবং চুলের টনিক হিসেবেও
দারুন কাজ করে থাকে। এছাড়াও আপনারা যদি নিয়মিত আমলকির রস পান করেন তাহলে এতে
থাকা ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সাইড আপনাদের বয়সের আগে চুল পাকা রোধ করার কাজ
করবে। আপনারা যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন আমলকির রস দিয়ে আপনাদের চুল ভালোভাবে
পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলেন তাহলে আপনাদের চুলের যে পাকা ভাবের সমস্যা আছে সেটা কমে
যাবে অর্থাৎ চুল
পড়া কমে যাবে। আমলকি ব্যবহার করার ফলে আপনাদের চুলের গোড়া হবে শক্ত এবং চুল হবে
মসৃণ ঝরঝরে ঝকঝকে উজ্জ্বল।
চুলের যত্নে আমলকি ও মেথি
আমরা আমাদের চুলের যত্নে অনেকে ব্যবহার করে থাকে আমলকি ও মেথি। আমাদের চুলগুলোকে
ভালো রাখার জন্য আমাদের প্রয়োজন চুলের বিশেষ যত্নের। আর এজন্য আপনারা আপনাদের
বাড়িতে থাকা দুইটি উপাদান দিয়ে সহজেই আপনাদের চুলের যত্ন করতে পারেন। এই দুইটি
উপাদান হচ্ছে আমলকি এবং মেথি।আর আপনাদের চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনারা
নিঃসন্দেহে আমলকি ও মেথি ব্যবহার করতে পারেন। আমলকি ব্যবহার করার ফলে আপনাদের চুল
হবে মসৃণ শক্ত চুলের গোড়া
শক্ত হবে মাথার খুশকি দূর হবে চুল ধরা চুল পড়া কমবে। এজন্য আপনারা আমলকির তেল,
আমলকির রস এবং আমলকি পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য আপনারা ব্যবহার করতে পারেন
আমলকির হেয়ার প্যাক আর এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর জন্য আপনাদের প্রয়োজন হবে
আমলকির পাল্প দুইটি এবং প্রয়োজন হবে তিন টেবিল চামচ পরিমাণে
মেথি। এবার আপনারা এই উপকরণগুলো একটি পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে পানি দিয়ে মেথি এবং
আমলকিকে ভিজিয়ে রাখতে পারেন ২ ঘন্টা।
তারপরে আপনারা এগুলোকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এটা
আপনারা আপনাদের চুলে লাগাতে পারেন লাগানোর পরে এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পরে আপনারা
আপনাদের চুলগুলোকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনারা সপ্তাহে একদিন
ব্যবহার করার ফলে উপকার পাওয়া যাবে। এই দুই উপাদান আমাদের চুলগুলোর বৃদ্ধিতে এবং
চুল মজবুত করার কাজে সাহায্য করে। কারণ মেথিতে আছে প্রোটিন এবং আইরন আর আমাদের
চুল মজবুত করার জন্য
এই দুই উপাদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেকের চুল পড়ে ড্রাই
হাইড্রো টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার কারণে আর আপনারা যদি মেথি দানার পেস্ট ব্যবহার
করতে পারেন চুলে তাহলে আপনাদের এই সমস্যার সমাধান হবে। এই সমস্যার কারণে আপনাদের
চুলের বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ে থাকে এজন্য চুল ছোট হয়ে যায় সহজে লম্বা হয় না। এর
জন্য আপনারা একটি পরিষ্কার পাত্রে পানি নিয়ে তাতে মেথি দানা ভিজিয়ে রাখতে পারেন
সারারত। তারপরে আপনারা পরের দিন
সকালে সেগুলোকে পেস্ট বানিয়ে আপনাদের চুলে লাগাতে পারেন আপনাদের মাথার ত্বকেও
লাগাতে পারেন এভাবে লাগিয়ে আপনারা ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। এক্ষেত্রে আপনারা শ্যাম্পু ব্যবহার না করলেও হবে এভাবে আপনারা সপ্তাহে
কমপক্ষে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে এক মাস ব্যবহার করার ফলে আপনাদের চুল
পড়া কমে যাবে। আবার অন্যদিকে আপনারা আপনাদের শুষ্ক এবং ভঙ্গুর চুলের ঘরোয়া যত্ন
নেওয়ার জন্য মেথি ব্যবহার করতে
পারেন অথবা মেথির হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এতে আছে প্রোটিন, আয়রন,
ভিটামিন এ, সি, ফলিক এসিড এবং ক্যালসিয়াম। এটা আপনাদের চুলের আগা ফাটা রোধ করবে
এবং খুশকি দূর করবে। আপনারা যদি আপনাদের চুলে নিয়মিত মেথির হেয়ার প্যাক ব্যবহার
করেন তাহলে আপনাদের চুল ঘন হবে, নরম এবং ঝলমলে হবে। এজন্য আপনারা মেথি সারারাত
পানিতে ভিজে পরের দিন সেগুলোকে মিহি করে বেটে নিয়ে তার সাথে এক টেবিল চামচ
পরিমাণে নারিকেলের
তেল এবং টক দই মিশিয়ে আপনারা আপনাদের চুলের গোড়া এবং সম্পূর্ণ চুলে ব্যবহার
করতে পারেন। ব্যবহার করার পরে এক ঘন্টা রাখার পরে শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার করে
ধুয়ে ফেলতে হবে।আবার অন্যদিকে আমলকিতে আছে অনেক উপকারী সকল উপাদান আছে ভিটামিন
সি এবং এন্টি অক্সিডেন্ট। পুষ্টিবিদদের মতে আমলকি আমাদের চুলে সহজেই পাক ধরতে
দেয় না চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে রাখে। চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করে এছাড়াও এটা
আমাদের মাথার খুশকি দূর করে, চুল
কালো করে, ঘন করে ও চুলের বৃদ্ধি করে থাকে। আর এই উপাদান দুটো আপনারা ব্যবহার
করতে পারেন কারণ এগুলো এখন প্রায় সবার বাড়িতে সহজেই পাওয়া যায়। আমলকি ব্যবহার
করার জন্য আপনারা একটি পরিষ্কার পাত্র নিয়ে তাতে লেবুর রস এবং তার সাথে মিশাতে
পারেন আমলকির গুড়া। এই দুই উপাদান গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে
সেটা আপনাদের চুলে এবং মাথার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন ব্যবহার করার পরে আপনারা
এক ঘন্টা রেখে তারপরে চুল
পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। এটা কেবল সাধারণ তথ্যের জন্য বলা হয়েছে এটা কোন ঔষধ
অথবা চিকিৎসার অঙ্গ নয় এজন্য আপনারা এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার জন্য একজন
বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো তার এই পোস্টটিতে চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার এবং
আমলকির উপকারিতা সম্পর্কে এছাড়াও আমলকির তেল, আমলকির গুড়া এবং আমলকির রস
ব্যবহার করার উপকারিতা সম্পর্কে অনেক তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছে। আশা করি
আপনারা এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে এ সকল বিষয়ে জানতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন এবং
সে অনুযায়ী আপনারা আপনাদের চুলের যত্ন নিবেন। আর আপনাদের যদি এই পোস্টটি পড়ে
ভালো লাগে তাহলে
অবশ্যই আপনারা এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন আপনাদের পরিচিতদের মাঝে। আর প্রতিদিন
নিত্য নতুন তথ্য পাওয়ার জন্য আমার সাথে থাকুন। পোস্টটি কেমন হয়েছে এবং আপনি
কতটুকু উপকৃত হতে পেরেছেন সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url