গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো এর আগে গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম
এবং উপকারিতা ও কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে অনেক সঠিক তথ্য
খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু খুঁজে পাননি যারা খুঁজে পাননি তারা আজকে আমার এই
পোষ্টের মাধ্যমে এগুলো বিষয় ছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয়ে জানতে পারবেন এজন্য শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।
আজকে আমি আমার এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের বাদাম সম্পর্কিত অর্থাৎ কাজুবাদাম ও
কাঠবাদাম সম্পর্কিত অনেক তথ্য দিয়েছে যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক উপকৃত
হতে পারবেন এবং অন্য কেউ উপকার করতে পারবেন। গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার
নিয়ম এবং উপকারিতা সহ কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা এছাড়াও চিনা বাদামের
ক্ষতিকর দিক কাজুবাদাম কখন খাওয়া ভালো ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয়ে সঠিকভাবে
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এজন্য আপনারা শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা-গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা
আমরা অনেকেই কাজুবাদাম খেতে পছন্দ করে থাকি এবং কাঠবাদাম ও খেয়ে থাকি। কারণ এই
দুই বাদাম খাওয়ার ফলে আমরা অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পায় এবং এতে অনেক পুষ্টিকর
ভিটামিন ও খনিজ উপাদান আছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে থাকে
আমাদেরকে বিভিন্ন রোগ থেকে এবং নানা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে থাকে। গর্ভাবস্থায়
কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় এটা গর্ভ অবস্থায় খাওয়া যেতে
পারে। কারণ এতে কপার, জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ,ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট
এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে। আর এগুলো একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য অনেক উপকারী
এবং তার বাচ্চার জন্য। এই কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে গর্ভের সন্তানের বিভিন্ন অঙ্গের
বিকাশ এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ও হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নতি ঘটে থাকে। এছাড়া রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়। এই
পোস্টটিতে আরো কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, চিনা বাদামের ক্ষতিকর দিক ও
কাজুবাদাম কাদের জন্য ক্ষতিকর ইত্যাদি আরো কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
করা হয়েছে যেগুলো আপনারা পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন।
কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
কাঠ বাদাম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী কারণ এই বাদামে আছে প্রোটিন,
ফাইবার, চর্বি, ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, তামা, ভিটামিন বি ১২,
ফসফরাস, ক্যালরি এবংকার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি পুষ্টিকর উপাদান। এই বাদামের ২৮ গ্রাম
পরিমাণ বাদামে আছে প্রোটিন ৬ গ্রাম, ফাইবার আছে ৩.৫ গ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ ৩২%,
চর্বি আছে ১৪ গ্রাম এছাড়াও ভিটামিন ই এর ৩৭%, ম্যাগনেসিয়াম আছে ২০% ইত্যাদি
এছাড়াও আরো অনেক পরিমাণে আছে তামা ফসফরাস। এই বাদাম ভিটামিন
বি ১২ ফসফরাস এবং তামা এর ভালো উৎস যেটা আমাদের জন্য ১৬১ ক্যালরি ও ২.৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে থাকে। এই কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে এটা সারারাত
পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপরে এটা আপনারা সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। এভাবে খাওয়া
হলে আপনারা সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন এবং এই কাঠবাদাম এভাবে খাওয়া হচ্ছে সেরা
উপায়। ভিজিয়ে রাখা কাঠবাদামের ফাইটিক এসিডের পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে থাকে এবং
এগুলো আমাদের
হজম হয় সহজে। এই এসিড আমাদের শরীর দ্বারা শোষিত জিংক, ম্যাঙ্গানিজ এবং
ক্যালসিয়াম এর পরিমাণ কমাতে পারে এজন্য অনেকেই ভেজানো এই কাঠবাদাম খেয়ে থাকেন
এবং পছন্দ করেন। এজন্য আপনারা কাঠ বাদাম খেলে অবশ্যই ভিজিয়ে রেখে তারপরে সেটা
সকালে খালি পেটে খাবেন। এবার আমরা জানবো কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
কোলেস্টেরল কমায়ঃ গবেষণা অনুসারে, কাঠ বাদাম খাওয়ার হলে আমাদের লোহিত
রক্তকণিকায় ভিটামিন ই এর মাত্রা বেড়ে যায় এবং কোলেস্টেরল থাকার ঝুঁকি কমাতে
সাহায্য করে। ভিটামিন ই এর মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে রক্তের প্রবাহে এবং এটা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করে এবং এটা আমাদের কোষগুলিকে কোলেস্টেরল তৈরি করতে বাধা
দিয়ে থাকে। এজন্য আপনারা প্রতিদিন এক মুঠো কাঠ বাদাম খেতে পারেন এতে করে আপনাদের
রক্তে প্রবাহে ভিটামিন ই তৈরি হবে এবং কোলেস্টেরল হওয়ার ঝুঁকি থেকে আপনারা বেঁচে
যাবেন।
হৃদয়ের জন্য ভালোঃ গবেষকরা বলেছেন যে আপনাদের মধ্যে যারা কাঠবাদাম খেয়ে
থাকেন তাদের রক্ত প্রবাহে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে এবং এটি আপনাদের
রক্তচাপ কমাতে এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশ এ রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটিয়ে থাকে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করেঃ এই কাঠবাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম আর এই
কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে একজন ডায়াবেটিসের ব্যক্তি ইনসুলিন প্রতিরোধের বিকাশ ঘটাতে
পারবে এবং এটা তাদের জন্য দুর্দান্ত। আর এটা ঘটবে কাঠবাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম
এর কারণে।
রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেঃ যাদের শরীরে কম ম্যাগনেসিয়াম আছে তাদের
উচ্চ রক্ত চাপের কারণ হতে পারে এটা। আর এটা আপনাদের হার্ট অ্যাটাক কিডনি ব্যর্থতা
এবং স্টোক এর দিকে পরিচালিত করতে পারে। কাঠবাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম যেটা
কার্যকর ভাবে আপনাদের নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।
কাঠবাদামের উচ্চ ভিটামিন ইঃ কাঠবাদামের মধ্যে আছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন ই
আর এটা একটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের পোস্টগুলোকে
বিষাক্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়াও রক্ত প্রবাহে ভিটামিন ই এর উচ্চ
পরিমাণে থাকার কারণে এটা পাম্প হয় এবং এর সাথে এটা আমাদের ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং
আলঝেইমার রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
ওজন কমাতেঃ কাঠবাদামে প্রোটিন ও আঁশের পরিমাণ থাকে বেশি এবং
কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ থাকে কম আর এটা আমাদের ক্ষুধা নিবারণ করতে সাহায্য করে
থাকে। আমাদের বেশিক্ষণ ক্ষুধা ধরে রাখতে পারে না আর এভাবে আমাদের ওজন কমাতে
সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায়ঃ আপনারা যদি প্রতিদিন চার থেকে ছয় টি কাঠবাদাম
ভিজিয়ে খান তাহলে এটা আপনাদের মস্তিষ্কের কাজের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও শিশুদের বুদ্ধি বিকাশের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হতে পারে। এই
কাঠবাদামে থাকা রিবোফ্লেভিন ও এল ক্যারনিটিন নামের এই দুইটি পুষ্টিগুণ উপাদান
আমাদের মস্তিষ্কের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় কারণ এই দুইটি উপাদান আমাদের মস্তিষ্কের
কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।
হার্ট ভালো রাখতেঃ কাঠ বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিন ইত্যাদি সব উপকারী উপাদান আর এই উপাদান গুলো আমাদের
হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে এবং এতে থাকা ভিটামিন ই আমাদের
হৃদরোগের ঝুঁকি কামায় এবং এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ
করতে সাহায্য করে থাকে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ কাঠবাদাম ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন এর মাত্রা
নিয়ন্ত্রণের কাজে সহায়তা করে থাকে। গবেষণায় বলা হয় যে খাবার খাওয়ার পরে
কাঠবাদাম খাওয়া হলে এটা ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ কাঠ বাদামে থাকা পুষ্টিগুণ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
আমাদের ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে এটা আমাদের কোলন ক্যান্সার
প্রতিরোধে কাজ করে এবং কোলনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ কাঠ বাদামে রয়েছে ফসফরাস আর এটা আমাদের
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে আর এই কাঠ বাদামে থাকা সোডিয়াম
আমাদের রক্তচাপের ওঠা নামা নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করে থাকে।
হাড় সুস্থতায়ঃ কাঠ বাদামে রয়েছে ফসফরাস, মিনারেল এবং ভিটামিন আর এগুলো
আমাদের হাড় ও দাঁতের সুরক্ষা করে থাকে। ফসফরাস আমাদের হাড় ও দাঁতের সুরক্ষা করে
এবং মজবুত করে তা নয় এটা আমাদের হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করার কাজও সাহায্য করে
থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়ঃ এই বাদামের মধ্যে থাকা ফাইবার আমাদের স্বাস্থ্যের
জন্য অনেক উপকারী কারণ এই ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের
সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। আরজিনিন এবং হেলদি ফ্যাটের সাথে ফাইবারের
উপস্থিতি কারডিওভাস্কুলার ডিজিজ এর রোগীদের জন্য এটা অনেক জরুরী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ কাঠবাদাম আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ানোর কাজে সাহায্য করে থাকে। এই কাঠবাদামের মধ্যে আছে ভিটামিন ই যেটা অনেক
শক্তিশালী একটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে
সুরক্ষা দেয় এবং রক্ষা করে থাকে।
কাঠ বাদামের অনেক উপকারিতা রয়েছে কিন্তু আমরা যদি এই কাঠবাদাম বেশি পরিমাণে খায়
তাহলে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হতে পারে। তাহলে এবার জানা যাক
কাঠবাদামের কিছু অপকারিতার কথা
- কাঠ বাদাম কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এলার্জির উপাদান হতে পারে যাদের এ ধরনের সমস্যা হয় কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে তারা কাঠ বাদাম এড়িয়ে চলবেন এতে করে তাদের ক্ষেত্রে কাঠবাদাম সমস্যা উৎপাদন করতে ও পারে।
- অনেকের আবার এই কাঠবাদাম বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- আগে থেকেই যাদের পেটে সমস্যা আছে তারা অল্প পরিমাণে কাঠ বাদাম খেতে পারেন বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে তাদের সমস্যা হতে পারে।
- কাঠবাদাম কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এনজাইমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কাজু বাদাম ও কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম
আপনারা কাজুবাদাম ও কাঠবাদাম ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। এছাড়া আপনারা কাঠবাদাম
এবং কাজুবাদাম সকালে অথবা বিকেলে স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন তবে খাওয়ার আগে
কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ভালো হবে এটা চিবানো ভালোভাবে হবে এছাড়া পুষ্টি
বেশি পরিমাণে পাওয়া যাবে। এই বাদামগুলো আপনারা রাতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে
খালি পেটে খেতে পারেন এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কাজুবাদাম এবং কাঠবাদাম দুটোই
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য
অনেক উপকারী কারণ এই বাদামে থাকে প্রোটিন, চর্বি, ফাইবার এবং আরও অনেক
প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান। এই বাদাম আপনারা দিনের যেকোনো সময় খেতে
পারেন তবে আপনাদের পরিণত পরিমাণে খেতে হবে সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে। এ সকল
বাদামের জন্য আপনাদের পরিবেশন এর আকার হতে পারে প্রায় ১/৪ কাপ এবং এতে ক্যালোরি
থাকে প্রায় ১৪০ থেকে ২০০ ক্যালোরি। আপনারা এছাড়াও আপনাদের পছন্দ মতো এই বাদাম
গুলো কাঁচা অথবা ভাজা
খেতে পারেন। এছাড়া আপনারা এগুলোকে যদি সাধারন ভাবে খেতে না পারেন তাহলে এর স্বাদ
বাড়ানোর জন্য আপনারা এর সাথে সামুদ্রিক লবণ বা দারুচিনির মত মসলা একসাথে মিশিয়ে
খেতে পারেন। আপনারা সহজে এবং দ্রুত জলখাবার হিসেবে ও এই বাদামগুলো দিয়ে নাস্তা
করতে পারেন। আপনারা এই বাদামগুলো অন্যান্য বাদাম শুকনো ফল অথবা বীজের সাথে
মিশিয়ে ট্রেইল মিশ্রণ তৈরি করে খেতে পারেন। উপাদান হিসেবে আপনারা ওটমিল, সালাত,
দই এর সাথে কাজুবাদাম
এবং কাঠবাদাম কেটে যোগ করতে পারেন এতে করে অতিরিক্ত পুষ্টি যোগ হবে। কাঠবাদাম
খাওয়ার ফলে আপনারা সহজে অনেকগুলো রোগ থেকে মুক্তি পাবেন এবং ভালো থাকবেন।
আপনাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে
এছাড়াও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এগুলো সাহায্য করে থাকে। তবে এগুলো আমাদের
পরিমিত পরিমানে খাওয়া উচিত প্রতিদিন আমাদের
সাত থেকে আটটি কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত। কাঠবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার ফলে এর পুষ্টিগুণ
অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। কাঠ বাদাম আপনারা পানিতে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ভিজিয়ে
রাখার পরে খেতে পারেন। শুকনো অবস্থাতেও কাঠবাদাম খাওয়া যেতে পারে তবে ভিজিয়ে
খাওয়ার চাইতে এর পুষ্টিগুণ কম হবে। আপনারা এই বাদাম অন্যান্য খাবারের সাথে
মিশিয়ে খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা
আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে আপনার খাবার বিষয়ে অনেক সচেতন থাকতে হবে এবং আপনাকে
একটি খাবার খাওয়ার আগে দুবার ভাবতে হবে কারণ এটি আপনার খাওয়া নিরাপদ হবে কিনা এ
বিষয়ে অনেকেই চিন্তা করে থাকে। এ সময় তাকে পুষ্টিকর এবং সুষম খাদ্য খেতে হবে
এবং কিছু খাদ্যে এড়িয়ে চলতে হবে। এ সময় আপনি সবজি ফল এবং গোটা শস্য এছাড়াও
আপনি অনেক রকমের শুকনো ফল এবং বাদাম খেতে পারেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা
জানতে পারবেন গর্ব অবস্থায়
কাজুবাদাম খাওয়ার বিষয়ে। কাজুবাদাম হচ্ছে অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য এটা নিরাপদ। গর্ভাবস্থায় খাবার ফলে এটা
শিশুর সুস্থ বিকাশের জন্য এছাড়া গর্ভবতী মহিলাদের ক্যালসিয়াম ভিটামিন প্রোটিন
কার্বোহাইড্রেট ফাইবার আয়রন এবং ভিটামিন গ্রহণ করা প্রয়োজন হয় আর কাজুবাদামে এ
সমস্ত পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে এবং এটা গর্ভবতী মহিলাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি
সরবরাহ করতে সক্ষম। আপনারা এ সময় মাঝারি পরিমাণে কাজুবাদাম খেতে
পারেন তাহলে আপনি ভালো থাকবেন অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে খাওয়া নিরাপদ নয়।
গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই অনেক উপকারী। কিন্তু এর
পুষ্টিগুণ গুলো থেকে সর্বাধিক উপকারিতা পাওয়ার জন্য এবং এর সম্ভাব্য কী এড়ানোর
বিষয়ে এটা নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে নিচে বলা হলো
পরিমিত পরিমাণে খাওয়াঃ গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খেতে হবে নিয়মিত পরিমিত
পরিমাণে। গর্ভাবস্থায় একজন মহিলা প্রতিদিন সাধারণত ২০ থেকে ৩০ গ্রাম কাজুবাদাম
খেতে পারবেন এবং এটা নিরাপদ এবং উপকারী। বেশি পরিমাণে কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে ওজন
বৃদ্ধির পাশাপাশি আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রাকৃতিক এবং অপ্রক্রিয়াজাত কাজুবাদামঃ কাঁচা কাজু বাদাম খাওয়া যেতেই
পারে কিন্তু অতিরিক্ত লবণ তেল চর্বিযুক্ত কাজুবাদাম এড়িয়ে চলাই ভালো।প্রাকৃতিক
এবং অপ্রক্রিয়াজাত কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
সংবেদনশীলতা অথবা এলার্জি যাচাইঃ কাজুবাদাম একজন গর্ভবতী মহিলাকে খাবার
আগে নিশ্চিত হতে হবে যে এই বাদামে আপনার কোন এলার্জি অথবা সংবেদনশীলতা আছে কিনা।
যদি কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এটা থেকে বিরত থাকাই
ভালো এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াঃ কাজুবাদাম গর্ভাবস্থায়
একজন মহিলা অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারে। সালাত, মধু,
ওটমিল এবং দই ইত্যাদির সাথে কাজুবাদাম মিশিয়ে আপনারা খেতে পারেন। এটা খাবারের
মান বৃদ্ধি করে থাকে এবং স্বাদে আনে বৈচিত্রতা।
সঠিকভাবে সংরক্ষণঃ কাজুবাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে সেটা সংরক্ষণ করা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজুবাদাম খাওয়ার আগে এবং সংরক্ষণ করে রাখার আগে এটা
ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে তারপরে রাখতে হবে যাতে করে এতে কোন জীবাণু বা ফাঙ্গাস না
জন্মাতে পারে। আপনারা ঠান্ডা এবং শুকনো জায়গায় রাখুন।
সুষম খাদ্য তালিকাঃ কাজুবাদাম হচ্ছে অনেক পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর এবং এটা
শুধু পুষ্টির উৎস নয় এতে আরো অনেক পুষ্টি আছে। এজন্য আপনারা আপনাদের সুষম খাদ্য
তালিকায় কাজুবাদাম রাখতে পারেন এবং এর পাশাপাশি পুষ্টিকর ফল, শাকসবজি, মাছ, দুধ,
ডিম এবং মাংস রাখতে পারেন। এতে যেমন মা সুস্থ থাকবে তেমনি শিশুর স্বাস্থ্য ভালো
থাকবে এবং পুষ্টির অভাব পূরণ করতে পারবে।
পর্যাপ্ত পানি পানঃ একজন গর্ভবতী মহিলাকে কাজুবাদাম খাওয়ার পাশাপাশি তাকে
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান
করলে শরীর হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে এছাড়াও পুষ্টি উপাদানগুলোর
শোষণ নিশ্চিত হয়।
ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণঃ গর্ভাবস্থায় আপনারা কোন নতুন খাবার খাওয়ার আগে
ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন অবশ্যই। আপনার কোন খাবার খাওয়ার ফলে যদি এলার্জি সমস্যা
দেখা দেয় তবে সেটা কাজুবাদাম হোক আর অন্য যে কোন খাবার তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী চলবেন।
গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা হলো
প্রোটিনের উৎসঃ কাজু বাদামে রয়েছে উচ্চ মানের প্রোটিন আর এটা
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন একজন গর্ভবতী মা
এবং তার শিশুর কোষ অথবা টিস্যুর বৃদ্ধি এবং পুনর্গঠনে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও
শিশুর মস্তিষ্ক এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গের বিকাশের জন্য প্রোটিনের অনেক
প্রয়োজনীয়তা আছে।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাটঃ কাজু বাদামের মধ্যে আছে মনোআনস্যাচুরেটেড এবং
পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট আর এটা গর্ভাবস্থায় মায়ের শক্তি সরবরাহ করার পাশাপাশি
সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে থাকে। এগুলো বাদেও এই ফ্যাট গুলো
হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
ভিটামিন ইঃ কাজুবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই যা একটি শক্তিশালী
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটা গর্ভবতী অবস্থায় আমাদের ত্বকের নানা সমস্যা কমাতে
সাহায্য করে থাকে। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি এটা দেহের কোষ কে ক্ষতির
হাত থেকে রক্ষা করে।
ভিটামিন কেঃ কাজুবাদামে আছে ভিটামিন কে এটা আমাদের শরীরের রক্ত জমাট
বাঁধার কাজে সাহায্য করে থাকে। গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই
ভিটামিন কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং এটা মা এবং শিশুর জন্য
রক্তক্ষরণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
ম্যাগনেসিয়ামঃ কাজু বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম পেশী এবং
স্নায়ুর কার্যক্ষমতার বাড়াতে সাহায্য করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য
করে থাকে। গর্ভাবস্থায় এটা খাওয়ার ফলে পেশীর ক্লান্তি কমে এছাড়াও মাইগ্রেন
থেকে মুক্তি দিতে পারে।
ফসফরাসঃ কাজু বাদামে রয়েছে ফসফরাস যেটা আমাদের দাঁতের গঠনের কাজে সাহায্য
করে থাকে। এছাড়া গর্ব অবস্থায় এটা মা এবং শিশুর হাড়ের সুস্থতার জন্য অনেক
গুরুত্বপূর্ণ।
পটাশিয়ামঃ কাজু বাদামে রয়েছে পটাশিয়াম যা শরীরের ইলেকট্রোলাইট
ব্যালেন্স বজায় রাখার কাজ করে থাকে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় পটাশিয়াম একজন গর্ভবতী মহিলার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য
করে থাকে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ কাজু বাদামের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান
গুলো মা এবং শিশুর কোষ কে মৌল বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে এছাড়াও
এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে ও
সহায়তা করে থাকে।
জিংকঃ কাজু বাদাম এ ব্রিং থাকে যেটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি
আমাদের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় এই জিঙ্ক মায়ের ও শিশুর
স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এছাড়া এতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য
গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
শিশুর বৃদ্ধি বিকাশেঃ গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম এর প্রয়োজনীয় ভিটামিন
শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় এবং এটা গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী
মায়ের দুপুরে সময় কাটানোর একটা আদর্শ স্ন্যাক।
শক্তি সরবরাহেঃ কাজুবাদামে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে
যার ফলে গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের শক্তি সরবরাহ করতে পারে এটা তাৎক্ষণিকভাবে।
রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমাতেঃ গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি
থাকে এবং এ সময় তাকে বেশি বেশি করে আইরন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার এজন্য এ সময়
একজন গর্ভবতী মা কাজুবাদাম খেতে পারেন। কারণ এতে আছে আয়রন এবং এটা রক্তস্বল্পতার
ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মাড়ি ও দাঁতের ক্ষয় রোধেঃ গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার ফলে একজন
গর্ভবতী মহিলা তার মাড়ি এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে পারবে।
লিপিড প্রোফাইল এর মাত্রাঃ গর্ভাবস্থায় যদি একজন গর্ভবতীব মহিলা তার
ডায়েটে কাজুবাদাম রাখেন তাহলে তিনি লিপিড প্রোফাইল এর মাত্রা বজায় রাখতে পারবেন
বিশেষ করে যদি সে গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকেন তাহলে।
কপারঃ কাজু বাদামের মধ্যে ভালো পরিমাণে কপার আছে এবং এটা কপারের একটি ভালো
উৎস। এই কপার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার ফলে গর্ভ অবস্থায় ভ্রুণের রক্তকণিকার বিকাশ
এবং ত্বরান্বিত করা সম্ভব। এক আউন্স পরিমাণ কাজু বাদামে রয়েছে ০.৬ মিলিগ্রাম
কপার এটা গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন ১ গ্রাম কপার গ্রহণের কার্যকারিতা পূরণ করতে
সাহায্য করতে পারবে।
কাজু বাদাম কখন খাওয়া ভালো
কাজুবাদাম হচ্ছে অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার এবং এটা নানা পুষ্টি গুণে ভরপুর।
কাজুবাদাম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারিতা নিয়ে আসে এটা আমাদের
স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। কারণ এতে আছে প্রোটিন, আয়রন,
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিংক, ফাইবার, কার্বোহাইডেট এবং
এন্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি উপাদান। আপনারা যদি আপনাদের ডায়েট এর জন্য কাজুবাদাম
খেয়ে থাকেন তাহলে আপনারা এটা সকালে নাস্তা করার পরে এবং দুপুরে খাবারের আগে যেমন
১১.০০ থেকে
১.০০ তার মধ্যে আপনারা একমুঠো এই বাদাম খেতে পারেন। এছাড়াও আপনারা বিকেলে যখন
আপনাদের হালকা ক্ষুধা লাগবে তখন আপনারা নাস্তা হিসেবে অন্যান্য খাবারের সাথে এক
মুঠো কাজুবাদাম খেতে পারেন ৪.০০ থেকে ৫.৩০ টার মধ্যে। এতে করে যেমন আপনাদের
ক্ষুধা চলে যাবে সেইসাথে আপনাদের ডায়েট ও ঠিক থাকবে। এছাড়া আপনারা কাজুবাদাম
সারারাত ভিজিয়ে রাখার পরে সকালে সেটা খালি পেটে খেতে পারেন এতে আরো বেশি
উপকারিতা পাওয়া যায়। রাতে
আপনারা দুধের সাথে ভিজিয়ে রাখার পরে সেটা সকালে খেতে পারেন এতে করে আপনাদের
বার্ধক্যকে হারের ক্ষয় নিয়ে আর কোন চিন্তা করতে হবে না কারণ কাজু এবং দুধ এই
দুই খাবারের মধ্যে আছে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন।
চিনা বাদামের ক্ষতিকর দিক
কাজুবাদাম এবং কাঠ বাদামের মতো চিনা বাদামেও অনেক উপকারিতা আছে এটা খাওয়ার ফলে
আমরা নানা রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারে। এতে আছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট,
চর্বি, ফাইবার, এবং ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান। এটা আমাদের ওজন কমাতে
সাহায্য করে শরীরে শক্তি যোগায় এবং নানার দুরারোগ্য রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখতে
সাহায্য করে থাকে। তাও এর নানা উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও এর কিছু ক্ষতিকর দিক বা
অপকারিতা আছে। যে সকল মানুষের এলার্জি
আছে তাদের চিনা বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত কারণ এতে করে সে সকল মানুষের
গলা ব্যথা, হজমের সমস্যা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা এবং ত্বকের নানা রকমের সমস্যা দেখা
দিতে পারে। তাহলে আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক চিনা বাদামের ক্ষতিকর দিক বা
অপকারিতা গুলো কি কি সে সম্পর্কে
- সাম্প্রতিক সময়ে এক প্রতিবেদন এ বলা হয়েছে যে বেশি পরিমাণে চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে এটা আমাদের শরীরে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক ও ক্যালসিয়াম এর মতো আরও নানা খনিজ লবণ শোষণে বাধা পড়ে থাকে।
- বেশি পরিমাণে চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে এটা আমাদের হজম শক্তিকে দুর্বল করে দেয়। এছাড়া আপনি যদি ওজন কমানোর কথা চিন্তা করেন তাহলে কাজুবাদাম খাবেন না কারণ এটা আপনাদের রোগা হওয়ার স্বপ্নকে প্রভাবিত করতে পারে।
- যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তারা বেশি পরিমাণে চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে নাক দিয়ে পানি পড়া, ত্বকের, হজমের, শ্বাসকষ্টের সমস্যা এবং গলা ব্যথা হতে পারে।
- আপনারা প্রতিদিন ১৬ টি অর্থাৎ ৪২ গ্রাম চিনা বাদাম খেতে খেতে পারবেন এতে করে আপনাদের স্বাস্থ্যের ওপরে কোন বিরূপ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে না। অর্থাৎ আপনারা দিনে এক মুঠো পরিমানে চিনা বাদাম খেতে পারবেন এটা আপনাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এটা বিশেষজ্ঞদের মতে।
- চিকিৎসকদের মতে চিনা বাদাম খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়। কারো যদি সকালবেলা খেতে খুব ইচ্ছে হয় তাহলে এই কিনা বাদাম আপনারা আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এভাবে খাওয়ার ফলে আপনাদের পেটে এটা ভালোভাবে হজম হবে।
- আপনারা যদি চিনা বাদাম ভিজিয়ে রেখে তারপরে খান তাহলে এর ভেতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো উপাদান গুলো আপনাদের শরীরে ভালো কাজ করবে এতে কোন সমস্যা হবে না।
- এছাড়াও আপনারা এটা স্নাক্সে খেতে পারেন ভাজা চিনা বাদাম এটা আপনাদের জন্য স্বাস্থ্যকর তবে আপনারা এটা খালি পেটে খাওয়া এড়িয়ে চলবেন। খালি পেটে খাওয়ার ফলে আপনাদের হজমে সমস্যা হতে পারে।
কাজু বাদাম কি ভেজে খেতে হয়
কাজুবাদাম আপনারা সাধারণত ভেজে খেতে পারেন এটা ভেজেও খাওয়া যায়। পাহাড়ি
এলাকায় কাজুবাদাম কে দা দিয়ে কেটে খুঁচিয়ে শাঁস বের করে তারপরে এগুলোকে রোদে
শুকিয়ে বীজের আবরণ তুলে নেওয়া হয়। তারপরে তারা এগুলোকে লবণ পানিতে কিছুক্ষণ
ভিজিয়ে রাখার পরে সেগুলো ভাজা হয়ে থাকে এবং পরে তারা খেয়ে থাকে। কাঁচা বাদাম
অত্যন্ত পুষ্টিকর তবে এতে অনেক সময় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকার সম্ভাবনা থাকে যা
আমাদের অসুস্থতার কারণ হতে পারে। কাঁচা অবস্থায় খেতে
হলে আপনারা এটাকে হালকা ভেজে খাবেন তাহলে বাদামের পোষ্টটি উপাদান আপনাদের জন্য
একই থাকবে। আপনারা আবার কিন্তু এটা অতিরিক্ত তেল দিয়ে ভেজে খাবেন না এতে
পুষ্টিগুণ কমে যাবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনের পরিমাণ কিছুটা কম থাকে।
এগুলো বাদেও বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি ও এর ক্ষতি হতে পারে। আপনারা
এক্ষেত্রে বাহিরের ভাজা বাদাম না খেয়ে আপনারা কাঁচা বাদাম কিনে এনে বাড়িতে সেটা
হালকা আচে ভেজে খেতে পারেন। এছাড়াও আপনারা কাজুবাদাম
রাতে পানিতে অথবা দুধের সাথে মিশিয়ে সেটা সকালে খেতে পারেন খালি পেটে এতে অনেক
উপকারিতা পাওয়া যায়। আবার কাঁচা কাজু বাদামের তুলনায় ভাজা কাজুবাদাম এ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে।
কাজু বাদাম কাদের খাওয়া উচিত নয়
কাজুবাদাম খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী কিন্তু কিছু মানুষ আছে
যাদের জন্য এটা খাওয়া উচিত নয় এতে করে তাদের স্বাস্থ্যের নানা রকমের সমস্যা
দেখা দিতে পারে। কারণ কাজুবাদামের রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম,
পটাশিয়াম, আয়রন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি উপাদান। এ সকল পুষ্টি
উপাদান গুলো যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার করে তেমনি কিছু মানুষের ক্ষেত্রে
উপকারের চাইতে অপকার করে থাকে বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে। এজন্য কাজুবাদাম কাদের
খাওয়া উচিত নয় এ বিষয়ে বলা হলো নিচে
- যাদের কিডনি এবং গলব্লাডারের সমস্যা আছে তাদের কাজুবাদাম এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ এতে থাকা বিদ্যমান অক্সালেট ক্যালসিয়াম কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে।
- কাজু বাদামে বেশি পরিমাণে ক্যালরি আছে আর এটা বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এছাড়াও বাদাম যদি লবণ দিয়ে বেজে খাওয়া হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমাদের ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে থাকে।
- যাদের কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা আছে আবার যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের এটা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এটা খাওয়ার ফলে তাদের অস্বস্তি বোধ হতে পারে।
- বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে যাদের অ্যালার্জি প্রবণতা আছে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে আবার কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
- বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে এতে থাকা অ্যামিনো এসিডের কারণে যাদের সংবেদনশীল অবস্থা দেখা দিবে তাদের ক্ষেত্রে মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে এটা।
কাজু বাদাম খেলে কি গ্যাস হয়
অনেকের বেশি পরিমাণে কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে আবার কারো
ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা নাও হতে পারে। কারণ কাজও বাদামে প্রচুর পরিমাণে আছে
ফাইবার আর এটা বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে আমাদের হজমের সমস্যা যেমন ফুলে যাওয়া
গ্যাস এবং ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে। তবে যাই হোক এই লক্ষণ গুলো সাধারণত হালকা
ভাবে হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে সময়ের সাথে উন্নতি হতে থাকে। অন্যান্য বাদামের মত
কাজুবাদাম বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে আপনাদের ও
হজমের সমস্যা হতে পারে এর কিছু কারণ হচ্ছে। কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার
থাকে এবং এটা বেশি পরিমাণে খাবার ফলে আমাদের পেট ফাঁপা গ্যাস ও ডায়রিয়া এবং
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া এই বাদাম
চর্বিযুক্ত হওয়ার কারণে এটা যদি আমরা বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি তাহলে আমাদের এটা
হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে যার ফলে পরবর্তীতে আপনাদের পেট খারাপ এর সমস্যা হতে পারে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে এই পোস্টটিতে গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার
নিয়ম এবং উপকারিতা অনেক তথ্য বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছে যেগুলো পড়ার মাধ্যমে
আপনারা অনেক সঠিক তথ্য জানতে পারবেন আশা করি। এই বিষয়টি ছাড়াও আরো অনেকগুলো
বিষয়ে এই পোস্টটিতে আলোচনা করা হয়েছে। আপনাদের যদি এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে
তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন এবং নিত্য নতুন তথ্য
পেতে আমার এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url