কোন প্রাণী ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি ঘুমায় জানুন

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো আগে কোন প্রাণী ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি ঘুমায় এবং কোন প্রাণী সবচেয়ে বেশি দিন বাঁচে এরকম আরো অনেক প্রশ্নের সঠিক উত্তর হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু তার নিচে যারা পাননি তারা আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এরকম অনেক প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন। এজন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন আপনারা।
কোন প্রাণী ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি ঘুমায় জানুন
এখানে আপনাদের আজকে প্রাণী সম্পর্কে অনেক অজানা এবং বিস্ময়কর তথ্যের সঠিক উত্তর দেওয়া হয়েছে। যেমন কোন প্রাণী ঘুমায় বেশি, কোন প্রাণী ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি ঘুমায়, কোন প্রাণী সবচেয়ে বেশি দিন বাঁচে, কোন প্রাণী সবচেয়ে বেশি খায় এবং কোন প্রাণী ৩ বছর ঘুমাতে পারে এরকম আরো অনেক প্রশ্নের সঠিক উত্তর আছে এই পোস্টটিতে যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন। আপনারা যদি এরকম আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত পড়বেন অবশ্যই।

ভূমিকা-কোন প্রাণী ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি ঘুমায় 

পৃথিবীতে অসংখ্য প্রাণী আছে এ সকল প্রাণী সম্পর্কে অনেক অজানা এবং বিস্ময়কর তথ্য আছে যেগুলো হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা আবার অনেকের জানা আছে। যাদের জানা নেই তারা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যে সকল বেশি ঘুমায় তারা হচ্ছে কোয় কোয়ালা। কোয়ালা দিনে প্রায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২০ থেকে ২২ ঘন্টা ঘুমায়। এছাড়া বন্দি থাকা অবস্থায় সিংহ দিনে ঘুমায় ১০ থেকে ১৫ ঘন্টা। বিড়াল ঘুমায় ১৮ ঘন্টা। আবার সবচেয়ে বেশি দিন বাঁচে ঝিনুক এরা মলাস্ক পর্বের প্রাণী।
সবচেয়ে বেশি খাবার খায় বড় আকৃতির নীল তিমি এবং হাতি। দাঁড়িয়ে ঘুমাতে পারে ঘোড়া। একটানা তিন বছর ঘুমাতে পারে শামুক এরা শীত এবং ক্ষুধার কারণে এমনটা করে। আবার পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যারা জীবনে কখনো পানি পান করে না। এরা হচ্ছে ক্যাঙ্গারু র‍্যাট। আবার এমন অনেক প্রাণী আছে যারা চোখ খোলা রেখে ঘুমায় এ সকল প্রাণীর মধ্যে হচ্ছে মাছ, কুমির, পেঙ্গুইন ও ডলফিন এর মত অনেক প্রাণী। এরা চোখ খোলা রেখে ঘুমায় যাতে করে বিপদ আসলে সহজে বুঝতে পারে।

কোন প্রাণী ঘুমায় বেশি 

পৃথিবীতে অনেক প্রাণী আছে এবং এদের ঘুমের ধরন এবং সময় একেক প্রাণীর একেক রকম হয়। কোন প্রাণী বেশি ঘুমায় এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা খুবই মুশকিল কারন পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে বা যারা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে থাকে। কোয়ালা প্রাণীটি সবচেয়ে বেশি ঘুমায়। এই প্রাণীটি তাদের ঘুমের জন্য অনেক পরিচিত এবং তারা প্রতিদিন ঘুমিয়ে থাকতে পারে ২২ ঘন্টা। এই ঘুমটা তাদের খাদ্যের কারণে হয়ে থাকে তারা প্রধানত ইউক্যালিপটাস পাতা খেয়ে থাকে আর এই পাতাতে 

শক্তির পরিমাণ কম থাকে এ জন্য তাদের বেশি সময় ধরে ঘুমের মাধ্যমে শক্তি সংরক্ষণ করার দরকার হয়। এজন্য এই কোয়ালা প্রাণীটি দিনে ১৮ থেকে ২২ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটাতে পারে। শিকারি প্রাণীদের মধ্যে সিংহের ঘুমের খ্যাতি আছে এরা দিনের বেশিরভাগ সময়টাই শুয়ে বসে কাটিয়ে থাকে কাটিয়ে থাকে এরা দিনে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকে। প্রয়োজন হলে এরা কম সময় ঘুমিয়ে দিব্যি সুস্থ থাকতে পারে। ঘুমকাতুরে বলে খ্যাত আছে স্লথ এরা দিনের ১৫ ঘন্টার বেশি সময় ঘুমিয়ে কাটাতে পারে। ২০০৮ 

সালের এক গবেষণা থেকে জানা যায় যে এরা দিনে ১০ ঘন্টার কম সময় ও ঘুমাতে পারে। বন্যপ্রাণীদের নিদ্রাভ্যাস এর ওপর অনেক বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের গবেষণা করেছে এবং এতে অনেক বিচিত্র রকমের খবর পাওয়া গিয়েছে। বড় আকারের প্রাণী আর্মাডিলো দিনে ১৮ ঘন্টায় মাটির নিচের গর্ভে কাটায় তবে তারা কিন্তু দিনের পুরোটা সময়ই ঘুমিয়ে থাকে না।মেলবোর্নের লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক জন লেস্কু বলেছেন লোমশ আর্মাডিলো বিশ ঘন্টা দশ মিনিট সময় দিনে ঘুমাতে পারে। এছাড়াও 

এ প্রজাতির ছোট ইঁদুর আছে যারা প্রতিদিন ২০ ঘন্টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ঘুমাতে পারে।১৯৬৯ সালের এক গবেষণা থেকে দেখা যায় যে ছোট এক জাতের বাদামী বাদুড় দিনে প্রায় ২০ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকে। আবার বিড়াল বেশি ঘুমায় এরা প্রতিদিন প্রায় ১৮ ঘণ্টা ঘুমায়।

কোন প্রাণী সবচেয়ে বেশি খায়

কোন প্রাণী সবচেয়ে বেশি খায় এই প্রশ্নের উত্তর হবে সাধারণত যে সকল প্রাণীগুলো আকারে বড় প্রাকৃতিকভাবে সে প্রাণীগুলোই খাবার সবচেয়ে বেশি খাবে। আর সবচেয়ে বড় জীবন্ত প্রাণী হচ্ছে নীল তিমি। আর এই বিশাল আকারের প্রাণীটি তার বিশাল আকারের ফ্রেমটিকে সমর্থন করার জন্য সাধারণত সবচেয়ে বেশি খাবার খাবে। নীল তিমি তার শরীরের ওজনের অনুপাতে বেশি খাবার খেয়ে থাকে। এই প্রাণীটি প্রতিদিন চার টন অথবা প্রায় ৩৬০০ কেজি পর্যন্ত ক্রিল খেতে পারে। তাদের ওজন ২০০ 
টন বা প্রায় ১৮০,০০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে আর এই বিশাল আকারের এবং ওজনের প্রাণীটির এজন্য খাবারের পরিমাণটাও বেশি। অপরদিকে একটি হাতি এক দিনে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ পাউন্ড খরচ করে থাকে এবং এর বেশির ভাগই নিঃসৃত হয়ে থাকে এবং এটি তাদের বেশি খাবার খাওয়ার কারণ। আফ্রিকান হাতি প্রতিদিন প্রায় ৩০০ পাউন্ড অথবা প্রায় ১৩৬ কেজি পরিমাণে গাছপালা খেতে পারে। কিন্তু প্রাণী জগতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বেশি খাবার ভক্ষণকারী প্রাণী হচ্ছে নীল তিমি।

কোন প্রাণী সবচেয়ে বেশি দিন বাঁচে

গ্যালাপাগোস টরটয়েস প্রজাতির কচ্ছপ ১৭০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এই কচ্ছপ এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Chelonoidis nigra। কিন্তু এই প্রজাতির কচ্ছপের চাইতেও আরেকটি প্রাণী আছে যারা গড়ে বেঁচে থাকে ৪০০ বছর পর্যন্ত। এই প্রাণীটি হচ্ছে অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকা এই প্রাণীটি হচ্ছে সামুদ্রিক কুয়াহগ। এই প্রাণীটি হচ্ছে মূলত মলাস্কা পর্বের একটা ঝিনুক এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Arctica islandic। এরা বাস করে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে এছাড়াও এই প্রাণীটি সমুদ্রে থাকে এবং অনেকেই এই ঝিনুককে খাবার 
হিসেবে খেয়ে থাকে এবং এটা খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। এজন্য এখন বাণিজ্যিকভাবে এই ঝিনুকের অনেক চাহিদা আছে এদের আকার খুব ছোট হয়ে থাকে। এই ঝিনুক গুলো ৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন উপায়ে বের করেছে এদের বয়স এছাড়াও অনেক ভিন্ন ভিন্ন প্রাণী বা বস্তুর বয়স নির্ণয় করেছে তারা। যেমন গাছের গুড়ি কাটলে এর বর্ষবলয় হিসেব করে দেখার মাধ্যমে গাছটির বয়স কত তা বলা যায়। তেমনি করে ঝিনুকের একটি নিয়ম আছে যেটার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা তাদের বয়স নির্ণয় করতে সম্ভব হয়েছে। এই 

ঝিনুকের খোলসের গায়ের ওপরে দেখায় কুজের মতো একটা উঁচু জায়গা এটাকে বলা হয় আম্বো।এই আম্বোকে কেন্দ্র করে থাকে অনেকগুলো বলয় ঝিনুকের খোলস জুড়ে এবং এই বলয় গুলার নাম হচ্ছে গ্রোথ রিং। ঝিনুকের এই বলয় গুলো হিসেব করলেই ঝিনুকের বয়স জানা যায়। ২০০৬ সালে আইসল্যান্ডের উত্তর উপকূল থেকে একটা ঝিনুক ধরা পড়েছিল এটাকে ব্যাংগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গবেষণা করার মাধ্যমে এর বয়স কত তা নির্ধারণ করতে পেরেছিল তারা বলেছিল এই ঝিনুকের বয়স হতে পারে ৫০৭ বছর। সেই ঝিনুকটিকে সবাই মিং নামে চিনে।

কোন প্রাণী দাঁড়িয়ে ঘুমায়

আমরা অনেকেই হয়তো বাসে অথবা ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় সিটে বসে ঘুমিয়ে পড়ি অনেক সময়। আবার রাতে ভ্রমণ করার সময় অনেকে আমার বাসে অথবা ট্রেনের সিটে বসে ঘুমিয়ে পড়ি এজন্য কিন্তু তখন আমাদের বালিশ এবং বিছানা কিছুই লাগে না। তাই বলে কি আমরা বলব যে মানুষ বসে ঘুমায়? না এমনটা বলা যাবে না কারণ মানুষ সব সময় শুয়ে ঘুমায়। ছোটবেলা থেকে আমরা পড়েছি যে ঘোড়া দাঁড়িয়ে ঘুমায় বিষয়টা কিন্তু এমন না ঘোড়া দাঁড়িয়ে ঘুমায় আবার শুয়েও ঘুমায়। বিষয়টা 

আপনাদের ক্লিয়ার করে বলি। কোন প্রাণী দাঁড়িয়ে ঘুমায় এর উত্তর আমরা সবাই বলব যে ঘোড়া। কারণ ঘোড়া দাঁড়িয়ে ঘুমাতে পারে কিন্তু অন্য কোন প্রাণী তা পারে না। এর কারণ হচ্ছে ঘোরার পায়ে একটা বিশেষ ব্যবস্থা করা আছে অর্থাৎ ঘোড়া তার পা এমন ভাবে লক করে রাখতে পারে যে ওই দাঁড়ানো অবস্থা ফিক্সড হয়ে যায়। এ সময় ঘোড়া তখন তার ভারসাম্য রক্ষা করা ছাড়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে আর এজন্যই ঘোড়া মূলত দাঁড়িয়ে ঘুমাতে পারে। দাঁড়িয়ে থাকা হচ্ছে ভারসাম্যর ব্যাপার 

সঠিক অবস্থানে পা রাখার পরে শরীরের ভর দিয়ে সেটার ওপরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এবং ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়। আর কেউ যদি দাঁড়িয়ে ঘুময় এ সময় কিন্তু সে তার শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবে না আর এজন্য ঘুমানো অবস্থায় কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হয় না। কিন্তু ঘোড়া দাঁড়িয়ে থাকতে পারে এবং দাঁড়িয়ে ঘুমোতেও পারে।

কোন প্রাণী ৩ বছর ঘুমাতে পারে

আমাদের এই পৃথিবীতে নানা রকমের অসংখ্য প্রাণী আছে যেগুলো সম্পর্কে আছে নানা রকম অজানা অনেক তথ্য। কোন প্রাণী তিন বছর ঘুমাতে পারে এর উত্তর হবে শামুক। শামুক প্রচন্ড ধীর গতিতে চলাচল করা একটি স্থলচর প্রাণী। এরা সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে এবং ছায়াযুক্ত স্থানে বাস করে। এদের শরীর শক্ত খোলসের দ্বারা আবৃত থাকে এবং শামুকের খোলস তাদের শরীরকে রক্ষা করতে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখার কাজ করে থাকে।এই শামুকের একটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ঘুমোতে পারে।

আবার শামুকের কোন কোন প্রজাতি আছে যেগুলো একটানা ৩ বছর পর্যন্ত ঘুমাতে পারে। এদের এরকম ঘুমকে জীব বিদ্যার ভাষায় বলা হয়ে থাকে হাইবারনেশন এবং বাংলায় বলা হয়ে থাকে শীতনিদ্রা। শামুকের ক্ষেত্রে তাদের এই হাইবারনেশন শীতকালে ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য সহায়তা করে থাকে শামুকদেরকে। এরকম কৌশলে শীতে বা বৈরী আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে তাদের শরীরে জমা চর্বি এবং পুষ্টির ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন প্রাণী বেঁচে থাকে।

কোন প্রাণী জল খেলে মারা যায়

কোন প্রাণী জল খেলে মারা যায় এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা আবার অনেকেই জানে যারা জানে না তারা আজকে আমার এ পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যাদের আছে নানা অজানা তথ্য। পানি ছাড়া আমরা কোন মানুষ অথবা প্রাণী বেঁচে থাকতে পারি না অথচ এমন এক প্রাণী আছে যে প্রাণী জল খেলে মারা যায়। ক্যাঙ্গারু ইঁদুর জল খেলে মারা যায়। এই ক্যাঙ্গারু ইঁদুর জীবনে কখনো জল পান করে না। এরা জীবনে একবারও জল খায়নি এরা 

জল পান করার সাথে সাথে মারা যায়। জল না খেয়ে তারা বেঁচে থাকতে পারে। খাবার এবং পানি ছাড়া বেঁচে থাকা সম্ভব সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহ পর্যন্ত আর খাবার না খেয়ে শুধু পানি খাওয়ার মাধ্যমে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত বাঁচা সম্ভব। আশা করি আপনারা সঠিক উত্তরটি পেয়েছেন।

কোন প্রাণী তিন পায়ে চলে

কোন প্রাণী ৩ পায়ে চলে এর সঠিক উত্তর হবে মানুষ। আবার অনেকে বলে কোন সকালে চার পায়ে বিকেলে দুই পায়ে এবং সন্ধ্যায় তিন পায়ে চলে এই প্রশ্নের উত্তরটাও হবে মানুষ। কারণ এই প্রশ্নগুলোর মানে হচ্ছে সকালে মানে হচ্ছে শৈশব বিকেলে মানে হচ্ছে যৌবন এবং সন্ধ্যা মানে হচ্ছে বার্ধক্যকে অর্থাৎ বুড়ো বয়সকে বোঝানো হয়েছে। আর এগুলো হচ্ছে মানুষের জীবনের তিনটি ধাপ। এই তিনটি ধাপ অর্থাৎ শৈশবের সময় একটা শিশু হাঁটুর ওপরে ভর করে চলাচল করে বা হাঁটে এজন্য এ সময়ে

চার পায়ে হাঁটে বলে মনে করা হয়। আর যৌবনে মানুষ হাঁটে দুই পায়ে আর বৃদ্ধ বয়সে মানুষ লাঠি নিয়ে চলাচল করে বা হাঁটে এজন্য একে বলা হয়ে থাকে তিন পা। কারণ পৃথিবীতে প্রাকৃতিকভাবে এখনো তিন পায়ে চলে এমন কোন প্রাণীর অস্তিত্ব নেই বলে জানা যায়।

কোন প্রাণী পানি পান করে না

আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অথবা কোন প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য পানি খুব প্রয়োজন কিন্তু পৃথিবীতে এমন এক প্রাণী আছে যারা জীবনে কখনো এক ফোঁটা পানি পান করে না। আমরা যেখানে পানি পান না করলে মারা যায় সেখানে এই প্রাণীটি জীবনে কখনো পানি পান করে না। এই প্রাণীটি হচ্ছে ক্যাঙ্গারু র‍্যাট। বিজ্ঞানীদের মতে ক্যাঙ্গারু র‍্যাট হচ্ছে এমন একটি প্রাণী যারা জীবনে কখনো পানি পান করে না। এই প্রাণীটি মরুভূমিতে থাকে একটি গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে যে এই প্রাণীর 

পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে চালানোর জন্য কোনরকমের পানির প্রয়োজন হয় না। এদের শরীরে কোন পানি নেই এজন্য এই প্রাণীটি ঘামে না। এ প্রানী গুলো খুব জোরে দৌড়াতে পারে। এরা এক সেকেন্ডে প্রায় ৬ মিটার পর্যন্ত দৌড়াতে পারে। এদের এই লম্বা পায়ের জন্য এই প্রজাতির ঈদের গুলোকে বলা হয়ে থাকে ক্যাঙ্গারু র‍্যাট। এই প্রাণীগুলো লম্বায় ৩৮ সেন্টিমিটার হয় এবং এদের লেজ হয় ২০ সেন্টিমিটার এর মতো।

কোন প্রাণী চোখ খুলে ঘুমায়

পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যে প্রাণীগুলো চোখ খোলা রেখে ঘুমাতে পারে। কিন্তু ঘুমালে তো চোখ বন্ধ থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু অনেক প্রাণী চোখ খোলা রেখে ঘুমাতে পারে দেখে আপনি বুঝতে পারবেন না যে তারা ঘুমোচ্ছে না জেগে আছে। পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যারা চোখ খোলা রেখে ঘুমায়। ডলফিন ঘুমোনোর সময় এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায় এবং বিশ্রাম নেওয়ার সময় তারা সজাগ থাকে। এই পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাণী আছে যাদের ঘুমকে বলা হয়ে থাকে ইউনিহেমিসফিয়ারিক ঘুম। 

ঘুমের সময় এ সকল প্রাণীর মস্তিষ্ক এর একটা অংশ সজাগ থাকে যাতে করে তারা সহজেই বুঝতে পারে কোন শিকারি তাদের আক্রমণ করছে কিনা। আবার কিছু প্রাণীর কিছু ক্ষেত্রে চোখের পাতা না থাকার কারণেও চোখ খোলা রেখে ঘুমায়। কিছু প্রজাতির পেঙ্গুইন আছে যারা ঘুমানোর সময় দুই চোখ অর্ধেক খোলা রেখেই ঘুমায়। তাদের এভাবে ঘুমানোর কারণ হচ্ছে যাতে করে তারা আসন্ন বিপদ সহজেই বুঝতে পারে। পেঁচা ঘুমানোর সময় চোখ খোলা রেখেই ঘুমায় যাতে করে বিপদে সজাগ থাকতে পারে তারা। অন্যদিকে সাপের চোখের 

পাতা নেই এজন্য তারা চোখ খোলা রেখে ঘুমায়। আর সাপের চোখের পাতার ওপরে থাকে ট্রান্সপারেন্ট নামের একটি স্তর যেটা সাপের চোখকে আঘাত থেকে রক্ষা করে থাকে। আবার মাছ চোখ খোলা রেখে ঘুমায়। হাঁস ঘুমানোর সময় তাদের এক চোখ খোলা রাখে এবং এরা দল বেঁধে ঘুমায়। কারণ যাতে শিকারের শিকার হতে না হয় তাদের। এছাড়াও কুমির অনেক পাখি এবং তিমি আছে যারা চোখ খোলা রেখে ঘুমাতে পারে এবং তাদের মস্তিষ্কের অর্ধেক সচল থাকে ঘুমানোর সময়।

কোন প্রাণী ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি ঘুমায়

ঘুম আমাদের জীবনের বেঁচে থাকার জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। এই ঘুমের সাহায্যে আমরা বিশ্রাম নিতে পারি এবং আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে পারি। কিন্তু পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যারা দিনের বেশিরভাগ সময়টাই ঘুমিয়ে কাটাতে পারে। তেমনি এক প্রাণী হচ্ছে কোয়ালা। এই প্রাণীটি সবচেয়ে দীর্ঘ ঘুমোনো একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী এ রাত দিনে প্রায় ২০ থেকে ২২ ঘন্টা ঘুমায়।১৯৬৯ সালের এক গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, এক ছোট জাতের বাদামি বাদুড় দিনে প্রায় ২০ ঘন্টা ঘুমায়। ঘুমকাতুরে স্লথ 

দিনে ১৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘুমায় কিন্তু ২০০৮ সালের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে যে এরা দিনে ১০ ঘন্টার কম সময় ঘুমায়। লোমশ আর্মাডিলো ঘুমায় দিনে ২০ ঘন্টা ১০ মিনিট এবং এক প্রজাতির ছোট ইদুর ঘুমায় বিশ ঘন্টা দশ মিনিট পর্যন্ত এই তথ্যটি দিয়েছে মেলবোর্নের লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক জন লেস্কু। বন্দি অবস্থায় সিংহ ঘুমাতে পারে দিনে ১০ থেকে ১৫ ঘন্টা। বিড়াল ঘুমায় দিনে প্রায় ১৮ ঘণ্টা।

কোন প্রাণী ৬ মাস ঘুমায়

আজকে আমি আপনাদের জানাবো কোন প্রাণী গুলো ছয় মাস ঘুমাই। পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যারা একটানা ছয় মাস পর্যন্ত ঘুমাতে পারে। গিনিপিগ, কাঠবিড়ালি এবং ইঁদুর এর মত পানি গুলো একটানা ছয় মাস ঘুমাতে পারে। তাদের এই একটানা ছয় মাস ঘুমানোর কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত শীত অথবা খাদ্যের অভাব হলে তারা এমন করে থাকে। ডলফিন এবং হাঙ্গর যখন ঘুমায় তখন তারা তাদের অর্ধেক মস্তিষ্ক সজাগ রাখে এতে করে ঘুমোনোর সময় ও তারা ডুবে যাওয়ার থেকে রক্ষা পায়।

অন্যদিকে বাদুড় ঘুমাই দিনে ২০ ঘন্টা এবং তারা গাছের ডালে ঝুলে ঝুলে ঘুমায় কারণ তাদের ডানা দুর্বল থাকে এবং এভাবে ঘুমাতে তাদের সুবিধা হয়। অপরদিকে হাঙ্গরকে একটানা সাঁতার কাটতে হয় অক্সিজেনের জন্য। তারা যখন ঘুমায় তখনও তারা সাঁতার কাটে অক্সিজেনের জন্য। সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী গুলো গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য একটানা অনেক দিন পর্যন্ত ঘুমোতে পারে। শামুক একটানা এক বছর পর্যন্ত ঘুমাতে পারে। একটি মিশরীয় শামুককে মিউজিয়ামে রাখা হয়েছিল মারা 

গেছে বলে মনে করে কিন্তু চার বছর পরে সেই শামুকটি খোলস ছেড়ে বাহিরে বের হয়ে আসে। আর ব্যাঙ ও একটানা ঘুমাতে পারে অনেক দিন। এ সময় তাদের শরীর জমে যায় এবং ফুসফুস বন্ধ থাকে। জিরাফ আবার এক সপ্তাহ ঘুম না পেরেও থাকতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে একটা জিরাফ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ মিনিট ঘুমায়। পোলার বিয়ার পানি গুলো একটানা অনেক দিন ঘুমোতে পারে। একটানা অনেকদিন ঘুমানোর তারা এর ধকল কাটানোর জন্য আবার বেশ কিছুদিন ঘুমাতে পারে। ঘোড়া, জেব্রা, হাতি দাঁড়িয়ে ঘুমাতে 

পারে যাতে করে শিকারি আসলে তাড়াতাড়ি দৌড় দিতে পারে। হাঁস দল বেঁধে ঘুমায় এবং ঘুমানোর সময় এক চোখ খোলা থাকে তাদের। যাতে করে শিকারির শিকার তাদের না হতে হয়। অপরদিকে রাজহাঁস দাঁড়িয়ে ঘুমায় তবে তারা শিকার হওয়ার ভয়ে তারা এমনটা করে না। তারা এ কাজটি করে থাকে ঘুমানোর সময় তারা আরামদায়ক জায়গা খুঁজে পায় না বলে। আবার কিছু কিছু পাখি আছে যারা উড়তে উড়তে ঘুমাতে পারে। সামুদ্রিক ভোঁদড় গুলো ঘুমানোর সময় একে অপরের হাত ধরে ঘুমায় যাতে করে ভেসে না যায়।

কোন প্রাণী দুধ ও ডিম দেয়

কোন প্রাণী দুধ ও ডিম দেয় এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। এরকম অনেক অজানা প্রশ্ন এখন সরকারি চাকরির ইন্টারভিউ এবং চাকরির পরীক্ষাতে সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নতে দেওয়া থাকে কিন্তু আমরা অনেকেই এর সঠিক উত্তর দিতে পারি না। কারণ এরকম প্রশ্নের উত্তর আমরা জানি না তাই উত্তর দিতে পারি না। এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো আপনিও দিতে পারবেন না। তাহলে জেনে নিন এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর। কোন প্রাণীর দুধ ও ডিম দেয় এর উত্তর হল প্লাটিপাস এবং ইচিডনা। প্লাটিপাস এবং ইচিডনা এই দুই প্রাণী স্তন্যপায়ী প্রাণী 

কিন্তু তারা সন্তান উৎপাদনের জন্য ডিম পেড়ে থাকে। প্লাটিপাস প্রাণীরা থাকে অস্ট্রেলিয়ায় এ প্রাণীগুলো দেখতে হাঁসের মতো এরা পানিতে থাকে কিন্তু পাখি বা মাছ নয় এরা এরা হচ্ছে স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা সন্তান প্রসব করে এবং সন্তানকে দুধ খাওয়ায়। কিন্তু এ সকল প্রাণীদের দাঁত নেই চোখই সব। এই চোখ দিয়েই তারা পানির নিচ থেকে শামুক, জেলিফিশ, লার্ভা এবং গুগলি সহ নুড়ি এবং মাটি ও তারা তুলে আনে এবং সেগুলো তারা চিবিয়ে খায়। তারা এই নুড়িগুলোকে দাঁত বানিয়ে শক্ত শক্ত খোলস চিবানোর মাধ্যমে তারা ভেতরের মাংসল অংশ খায়।

কোন প্রাণীর চোখ নেই 

পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যাদের চোখ নেই কিন্তু তারা চলাচল করতে পারে। যেমন জোঁক ও কেঁচো এদের চোখ নেই। আবার হাইড্রার কোন রকমের চোখ নেই। বাদুড় এর চোখ আছে কিন্তু এরা চোখ দিয়ে দেখতে পারে না তাই এদের চোখ থাকা না থাকা একই কথা। অন্যদিকে স্টার নোজড মোল এদের চোখ নেই কিন্তু নাক তারকা আকৃতির হয়ে থাকে।ব্লাইণ্ড ক্যাট হচ্ছে সামুদ্রিক এক ধরনের মাছ এদের ও চোখ নেই।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে আপনাদের জন্য প্রাণী সম্পর্কিত অনেক অজানা তথ্য দিয়েছে যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা সঠিক তথ্য জানতে পারবেন এবং অবাক হয়ে যাবেন। যেমন কোন প্রাণী ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি ঘুমায়, কোন প্রাণী সবচেয়ে বেশি দিন বাঁচে, কোন প্রাণী সবচেয়ে বেশি খায় এবং কোন প্রাণীর চোখ নেই ইত্যাদি অনেক প্রশ্ন। এ সকল প্রশ্নের উত্তর যদি আপনারা জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি পড়বেন এবং পড়ার পরে অন্যদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। যাতে করে তারা পড়ার সুযোগ পায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url