পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা এবং পেঁপের পুষ্টিগুণ জানুন

আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো আগে পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা এবং পেঁপের পুষ্টিগুণ ছাড়াও পেঁপে পাতার রসের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন ও সঠিক তথ্য জানতে চেয়েছেন কিন্তু পাননি তারা আজকে আমার পোষ্টের মাধ্যমে এগুলো জানতে পারবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা এবং পেঁপের পুষ্টিগুণ জানুন
আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমি পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা এবং পেঁপের পুষ্টিগুণ ছাড়াও পেঁপে পাতার রসের উপকারিতা, পেঁপে পাতার রস মাথায় দিলে কি হয় ও পেঁপে পাতার ঔষধি গুন ছাড়াও অনেক বিষয়ে জানতে পারবেন সঠিক তথ্য যেগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং অন্য কেউ উপকৃত করতে পারবেন। পেঁপে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এটা আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এছাড়াও আরো অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে।

ভূমিকা

পেঁপে আমাদের দেশের একটা জনপ্রিয় ফল এই ফল প্রায় এখন সারা বছরই পাওয়া যায় পাকা পেঁপে আমরা ফল হিসেবে এবং কাঁচা পেঁপে আমরা সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি। পেঁপেতে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন উপাদান আছে যেগুলো আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। পেঁপেতে আছে ভিটামিন এ, সি, কে, ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইবার ও আইরন ইত্যাদি। পাকা পেঁপে খাওয়ার ফলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়, ত্বকের ও চুলের জন্য উপকারী, আমাদের হার্ট ভালো রাখে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়,
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাজ করে ভালো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমে সাহায্য করে, ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, চুল পড়া রোধ করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ও খুশকি দূর করে ইত্যাদি। আবার অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে পেঁপে খাওয়ার ফলে আমাদের নানারকম সমস্যা যেমন এলার্জিজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভপাতের সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে। শুধু যে পেঁপের উপকারিতা আছে তা নয় এর পাতার রসের অনেক উপকারিতা আছে।

পেঁপে পাতার রসের উপকারিতা 

পেঁপে আমরা সকলে কমবেশি খেয়ে থাকি কাঁচা পেঁপে আমরা সবজি হিসেবে রান্না করে খেয়ে থাকি আর পাকা পেঁপে আমরা ফল হিসেবে খেয়ে থাকি এতে অনেক পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা আছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। আমরা অনেকে পেঁপের গুনাগুন সম্পর্কে জানি হয়তো কিন্তু পেঁপে পাতার রসের উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো জানি না। পেঁপে পাতায় আছে ভিটামিন সি, এ, কে, বি, ই এছাড়াও আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও সোডিয়াম ইত্যাদি
এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। পেঁপে পাতার রস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী তেমনি চুল এবং আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকার বয়ে নিয়ে আসে। পেঁপে পাতায় আছে পাপাইন যা আমাদের হজমে সাহায্য করে। এছাড়া আমাদের পেট ফুলে যাওয়া খুশকি ও চুল পড়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। আজকে আপনাদের জানাবো পেঁপে পাতার রসের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।

হজমে সাহায্য করেঃ পেঁপে পাতায় আছে ইনজাইম প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেল যেগুলো ভেঙে খাবার হজম করতে সাহায্য করে এছাড়াও এতে থাকা উচ্চ এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আমাদের পেট এবং মলাশয় এর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও পেঁপে পাতার রস আমাদের আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে।

লিভারের জন্যঃ আমাদের লিভার পরিষ্কার রাখার জন্য পেঁপে পাতার রস সাহায্য করে থাকে। এই পাতার রস আপনি যদি নিয়মিত খান তবে আপনার লিভারের অনেক সমস্যার সমাধান পাবেন। জন্ডিস ও লিভার সিরোসিস হওয়ার ভয় কম হবে অনেকটাই।

মাসিকের ব্যথায়ঃ মাসিকের সময় মহিলাদের পেটে ব্যথা এবং যন্ত্রনা হয় এ সময় যদি আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে পেঁপে পাতার রস খেতে পারেন। এই পেঁপে পাতার রস আপনাদের হরমোন এবং মাসিক চক্র ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

ক্যান্সারের জন্যঃ পেঁপে পাতায় আছে এসিটোজেনিন নামের একটি যৌগ যা অ্যান্টি ক্যান্সার উপাদান।এথনোফার্মাকোলজির জার্নালের গবেষণা অনুসারে জানা যায় যে, পেঁপে পাতায় যে এনজাইম গুলো আছে সেগুলো আমাদের লিভার ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার এবং অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়া পেঁপে পাতার এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আমাদের যে কোন রকম প্রদাহ এবং কেমোথেরাপীর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে।

ত্বক ও চুলের জন্যঃ পেঁপে পাতার রসে ভিটামিন এ এবং সি যা আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে। পেঁপে পাতায় আছে কার্পাইন নামক যৌগ যেটা আমাদের মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। পেঁপে পাতার রস আমাদের ফ্রি র‍্যাডিক্যাল এর ক্রিয়াকে দমনে কাজ করে। ত্বকের পাশাপাশি পেঁপে পাতার রস আমাদের চুলের জন্যও অনেক উপকারী কারণ এটা আমাদের চুল পড়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা এবং মাথার খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।

ডেঙ্গু এর জন্যঃ যে সকল ব্যক্তিদের ডেঙ্গু হয় তাদের পেঁপে পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন কারণ ডেঙ্গু হলে প্ল্যাটিলেট কমতে থাকে আর পেঁপে পাতার রস খাওয়ার ফলে এটি বেড়ে যেতে পারে। পেঁপে পাতায় এন্টি ম্যালেরিয়া উপাদান আছে। এই পাতার থাকা এসিটোজেনিন যৌগ আপনাদের ডেঙ্গুর সাথে সাথে ম্যালেরিয়া অসুখ ও সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে।

রক্তে শর্করার মাত্রাঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই পেঁপে পাতার রস দারুন কাজ দিয়ে থাকে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইনসুলিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে যার ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা ঠিক থাকতে পারে। এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আপনাদের কিডনি ড্যামেজ হওয়া ও ফ্যাটি লিভার এর মত ডায়াবেটিসের কারণে যে সকল জটিলতা দেখা দেয় সেগুলো কমিয়ে আনতে সাহায্য করে থাকে।

পেঁপে পাতার ঔষধি গুন

আমরা অনেকে আছি যারা পেঁপে পাতার ঔষধি গুন সম্পর্কে জানি না আজকে যারা জানেন না তারা জেনে নিন আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে। পেঁপে খাওয়ার যেমন অনেক উপকারিতা আছে তেমনি পেঁপে পাতারও অনেক ঔষধি গুন আছে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এটা বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। পেঁপে আমরা কাঁচা অবস্থায় সবজি এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসেবে খেয়ে থাকে এটা অনেক সুস্বাদু এতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন আছে। যেটা শুধু আমাদের হজমে

সাহায্য করে তা নয় এটা আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হয়। পেঁপে গাছের প্রায় প্রতিটা অংশ ব্যবহার করা হয় যেমন এর ফুল ফল পাতা বীজ এবং শেকর ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পেঁপে পাতায় আছে ভিটামিন এ, কে,ই,বি, সি আরো আছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম এবং আইরন অর্থাৎ এর পাতার অনেক ঔষধি গুন আছে। পেঁপে পাতার ঔষধি গুন সম্পর্কে নিচে বলা হলো
  • পেঁপে পাতায় অ্যান্টি ম্যালেরিয়া উপাদান আছে । আবার এতে থাকা এসিটোজেনিন নামের যৌগ ম্যালেরিয়ার অসুখ সারাতে ব্যবহার করা হয়।
  • ডেঙ্গু জ্বরের জন্য পেঁপে পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে কারণ ডেঙ্গু হওয়ার ফলে আপনাদের শরীরে প্লাটিলেট কমতে থাকে আর পেঁপে পাতার রস খাওয়ার ফলে প্লাটিলেট বাড়তে থাকে।
  • লিভার পরিষ্কার রাখতে পেঁপে পাতার রস সাহায্য করে থাকে। এই পাতার রস প্রতিদিন খাওয়ার ফলে লিভারের নানা রকমের সমস্যা এবং জন্ডিস ও লিভার সিরোসিস হওয়ার ভয় অনেকটাই কম হয়।
  • পেঁপে পাতায় থাকা এনজাইম প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেলকে ভাঙতে সাহায্য করে ও হজমে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও পেঁপে পাতার রস খাওয়ার ফলে আলসার দূর করা সম্ভব হয়।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেঁপে পাতার রস অনেক উপকারী কারণ এটা ইনসুলিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে। এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ডায়াবেটিসের ফলে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হওয়া সমস্যা দূর করে থাকে।
  • ভিটামিন এ এবং সি যেগুলো আমাদের স্বাস্থের ও ত্বকের জন্য খুব ভালো। এটা আমাদের ত্বক ভালো রাখতে এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আমাদের মুখের ব্রণ দূর করতে এবং ফ্রিকেলস থেকে রক্ষা করে থাকে।
  • চুলের জন্য পেঁপে পাতার রস আয় অনেক উপকারী এটা আমাদের চুল পড়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যায় এবং খুশকি দূর করতে কাজ করে থাকে।

পেঁপে চাষের উপযুক্ত সময়

আমাদের দেশে কম বেশি পেঁপের চাষ করা হয় এবং এটা থেকে লাভবান হওয়া যায়। পেঁপের অনেক উন্নত ধরনের জাত আছে যেমন বারি পেঁপে-১,বাদশা রবি, রেড লেডি এবং খারিফ ২ এ ধরনের জাত চাষ করা হয়ে থাকে। পেঁপের অনেক পুষ্টিগুণ আছে এতে আছে ৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৮৮.৪ গ্রাম জলীয় অংশ, খনিজ লবণ আছে ০.৬ মিলিগ্রাম, ১.৭ গ্রাম আঁশ এছাড়াও আরো অনেক পুষ্টি উপাদান আছে ভিটামিন সি, লৌহ, আইরন ও খাদ্যশক্তি । এটার বীজ বপনের সময় হচ্ছে সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাস এবং ডিসেম্বর জানুয়ারি অর্থাৎ

আশ্বিন এবং পৌষ মাসে। চাষ পদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রথমে পলিথিন ব্যাগ নিতে হবে ৫X৪ ইঞ্চি আকারের ব্যাগ নিতে হবে এবং এতে পরিমাণ মতো বালি মাটি এবং পচা গোবরের সার মিশ্রণ করে ভর্তি করতে হবে এবং ব্যাগের তলায় দুই থেকে তিনটি ছিদ্র করে দিতে হবে । তারপরে সদ্য তোলা বীজগুলোকে রৌদ্রজ্জ্বল  যেখানে আলো বাতাস চলাচল করে এমন উর্বর জমি নির্বাচন করে বীজ তলার জন্য। পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করলে রোপনের পরে সে চারাগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। জাত ভেদে প্রতি শতক ১.৫ থেকে ২.৫ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়।

পেঁপে পাতার রসের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

পেঁপে পাতার রসের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে যেগুলো হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা যেটা অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ফলে আমাদের নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেঁপে কিছু লোকের ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর হতে পারে যেমন যাদের এলার্জি জনিত সমস্যা আছে তাদের। এছাড়া পেঁপের আঠা আমাদের চামড়ায় অস্বস্তির কারণ হতে পারে। আপনারা যখন বেশি পরিমাণে পেপে পাতা খাবেন তখন সেগুলো আপনাদের পাকস্থলীকে করতে পারে উত্ত্যক্ত। আবার মনে করা হয় যে পেঁপে রস ও
পেঁপে পাতা মৌখিক ভাবে নেওয়ার ফলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ এর মধ্যে আছে পাপাইন এর কারণে ফোলা ভাব মাথা ঘোরা মাথা ধরা ত্বকে ফুসকুড়ি হওয়া এবং চুলকানি হওয়া ইত্যাদি নানা রকমের প্রবণতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও পেঁপে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ক্ষতিকর। কাঁচা এ অথবা আধা পাকা পেঁপের রস বা আঠা তে থাকে উচ্চ ঘনত্ব বিদ্যমান যেটা জরায়ুগত সংকোচন ঘটাতে পারে যার ফলে গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে পেঁপে খাওয়ার ফলে 

খাদ্যনালী যেটা আপনাদের গলার সাথে পাকস্থলীর সাথে যুক্ত আছে তা সম্ভবত নষ্ট করে দিতে পারে। চার থেকে পাঁচ দিন পেঁপে পাতার রস খেলে তা ওষুধের মত কাজ করে কিন্তু এর বেশি খেলে তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এর থেকে বেশি দিন সেবন করার ফলে আপনার বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে। বেশি পরিমাণে পেঁপে পাতার রস খাওয়ার ফলে কিছু মানুষের পেট খারাপ ডায়রিয়া এবং হজমের অন্যান্য সমস্যা হতে পারে এতে থাকা উচ্চ এনজাইম এবং ফাইবার থাকার কারণে। এছাড়াও পেঁপে  

পাতার রস বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে আপনার শ্বাসকষ্টের লক্ষণ অনুভব করতে পারেন। অনেকদিন ধরে পেঁপে পাতার রস খাওয়ার ফলে আপনার লিভার ও কিডনিতে প্রভাব পড়তে পারে। কিছু ওষুধের সাথে যোগাযোগ করে থাকে পেঁপে পাতার রস যেমন ডায়াবেটিসের ঔষধ অথবা অ্যান্টি ক্যান্সার থেরাপে এবং রক্ত পাতলা কারী এর সাথে এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা প্রয়োজন। এটা আমাদের রক্ত পাতলা করার পাশাপাশি ও আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে।

পেঁপে পাতার রস মাথায় দিলে কি হয়

মৌসুমী ফল পেঁপে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী তেমনি আমাদের চুলের জন্যও অনেক উপকারী। পেঁপে পাতার রস আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারে আসে এতে আছে বিভিন্ন রকম খনিজ ভিটামিন ভিটামিন এ ভিটামিন সি ইত্যাদি। পেঁপে পাতায় থাকে ফাইবার এবং প্যাপেইন নামের যৌগ যেটা আমাদের লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং আমাদের চুলের জন্য অনেক ভালো। আজ আমরা জানবো পেঁপে পাতার রস মাথায় দিলে কি হয়

চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতেঃ পেঁপে পাতার রসে আছে অনেক রকমের খনিজ পদার্থ ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন কে ভিটামিন বি এছাড়াও আছে ফাইবার এবংপ্যাপেইন যৌগ যেগুলো আমাদের চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এই পাতার রস ১৫ মিনিট রাখার পরে হেনা পাউডার লাগিয়ে নিতে পারেন এক ঘন্টা রাখতে হবে এতে করে আপনার চুল পড়া কমে যাবে এবং নতুন চুল গজাবে।

চুল কালো করতেঃ পেঁপে পাতা আমাদের চুল কালো করতে অর্থাৎ সাদা চুল কালো করতে অনেক সাহায্য করে। অনেকে দেখা যাচ্ছে যে একটা বয়সের পর চুল সাদা হয়ে যায় আবার অনেকের অল্প বয়সের চুল সাদা হয়ে যাওয়ার সমস্যা আছে এগুলো রোধ করার জন্য আপনারা পেঁপে পাতার রস বা পেঁপে পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য আপনারা কচি পেঁপে পাতা ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে বেটে নিয়ে তারপরে সেটাকে থেকে রসটা মাথায় নিতে পারেন। এর সাথে আপনারা হেনা পাউডার আমলকি পাউডার মিশিয়ে নিতে পারেন।

খুশকি কমাতেঃ খুশকি কমানোর জন্য আপনারা পেঁপের হেয়ার প্যাক তৈরি করে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা পেঁপে কেটে নিয়ে তার সাথে আধা কাপ পরিমাণে টক দই তার সাথে দুই টেবিল চামচ পরিমাণ পেঁয়াজের কুচি একসাথে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে তারপরে চুলে লাগাতে হবে তিরিশ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। পেঁপের বিচি সহ পাকা পেঁপে পেস্ট করে নিলে ও হবে। এর বিচিতে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান খুশকি দূর করতে অনেক কার্যকর।

চুল ঝরা রোধেঃ পেঁপেতে থাকা এনজাইম আমাদের স্কাল্পের ময়লা ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে এবং আমাদের চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। চুল পড়া রোধ করতে এবং নতুন চুল গজানোর জন্য আপনারা এই ফলের ব্যবহার করতে পারেন নারিকেল দুধের হেয়ার মাস্ক এবং পেঁপে পেস্ট করে নিয়ে তার সাথে দুই টেবিল চামচ পরিমাণে নারকেলের দুধ ও এক টেবিল চামচ পরিমাণে মধু মিশিয়ে নিতে হবে তারপরে সেটা তুলে মাথায় ব্যবহার করে এক ঘন্টা রাখতে হবে এভাবে সপ্তাহে আপনারা তিনদিন করতে পারেন।

উকুন দূর করতেঃ আপনারা আপনাদের চুল থেকে উকুন বের করার জন্য পেঁপের আঠা ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক ও নিরাপদ ভাবে। কাঁচা পেঁপে অনেকক্ষণ কেটে রাখার পরে তার থেকে যে আঠা বের হবে তা এক চামচ পরিমাণে আঠা পানিতে গলিয়ে তারপরে ঘন্টাখানেক রাখতে হবে মাথায় লাগে পরপর তিন সপ্তাহ হয়ে এই পদ্ধতি মেনে চলার পরে দেখবেন আপনার মাথায় উকুন থাকবে না।

নরম রেশমী চুলের জন্যঃ পেঁপেতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন আপনাদের চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি যুগিয়ে অনেক সুন্দর করে তুলবে এবং রুক্ষ নিষ্প্রাণ চুলে প্রাণ ফেরাতে সাহায্য করবে পেঁপে। আধা কাপ পরিমাণ পাকা পেঁপের ক্বাথের সাথে এক টেবিল চামচ  অলিভ অয়েল ও আধা কাপ দই এবং তার সাথে অর্ধেক পাকা কলা একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে তারপরে এটা চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগাতে হবে সপ্তাহে দুই দিন নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন এটা। এতে চুলের আগা ফাটা কমে যাবে এবং ঝলমলে হবে।

পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা এবং পেঁপের পুষ্টিগুণ

আমাদের বাংলাদেশের একটা জনপ্রিয় ফল হচ্ছে পেঁপে এই পেঁপে আমরা কাঁচা অবস্থায় সবজি এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসেবে খেয়ে থাকি। এই ফলের অনেক পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন আছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এই ফলে আছে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন আছে ভিটামিন এ, সি, কে, ই, বি এবং এন্টি অক্সিডেন্ট ইত্যাদি। আজ আমরা পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা এবং পেঁপের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা নিচে বর্ণনা করা হলো

হজমে সাহায্য করেঃ যাদের বদ হজমের সমস্যা আছে তাদের পাকা পেঁপে খাওয়া খুব উপকারী। পাকা পেঁপে খাওয়ার ফলে আপনাদের মুখে রুচি বাড়বে এবং আপনাদের খিদে বাড়বে সেই সাথে আপনাদের বায়ু নাশ করতে সাহায্য করবে।

দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করতেঃ প্রতিদিন আপনি যদি তিনবার পেঁপে খান তাহলে আপনার চোখের বয়স জনিত ঝুঁকি কমে যাবে এটা একটি অপথ্যালমোলজি আর্কাইভস প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী বলা হয়েছে। পেঁপেতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, এ এবং ই এর কারণে চোখের জন্য ভালো পাকা পেঁপে।

হৃদরোগের ক্ষেত্রেঃ নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব কারণ এতে আছে ভিটামিন এ, সি ও ই শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট এই তিনটি পুষ্টি উপাদান আমাদের কোলেস্টেরল প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে যা হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোক এর কারণ হতে পারে। এছাড়াও পেঁপে তে ফাইবার থাকার কারণে আমাদের উচ্চ কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেঃ পেঁপেতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন ইত্যাদি ।এগুলো আমাদের পুষ্টি উপাদান এর যোগান দিয়ে থাকে এবং আমাদের শরীরের জন্য খুবই কার্যকর। ক্যারোটিন আমাদের ফুসফুস এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

চুলের যত্নেঃ চুলের যত্নের জন্য পেঁপে খুব গুরুত্বপূর্ণ। টক দই এবং এর সাথে পেঁপে মিশিয়ে চুলে মাখানোর ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয় চুল ঝলমলে উজ্জ্বল হয়। এক চামচ পেঁপের আঠা এবং তার সাথে ৭ থেকে ৮ চামচ পানি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের আগা ফাটা রোধ হয় এবং উকুন মরে যায়।

ত্বকের যত্নেঃ ত্বকের যত্নের জন্য পেঁপে খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে এটা আমাদের ত্বকের লাবণ্য এবং উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে ও ধরে রাখে। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাতে সাহায্য করে। আপনি যদি পাকা পেঁপের সাথে মধু এবং টক দই মিশিয়ে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

ব্রণের জন্যঃ ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য অথবা ব্রণের দাগ কমিয়ে আনার জন্য আপনারা টাকা পেঁপে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও মুখের মেছতা এবং ফুসকুড়ি দূর করতে পারেন পেঁপের সাহায্যে।

কোলেস্টেরল কমাতেঃ পেঁপেতে কোলেস্টেরল নেই কিন্তু অনেক পরিমাণে ফাইবার আছে। তাই যারা কোলেস্টেরল কমানোর জন্য চিন্তা করছেন তারা পেঁপে খেতে পারেন তাহলে আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

অর্শ ও কৃমিনাশক হিসেবেঃ কাঁচা পেঁপের আঠা ও বীজ কৃমিনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয় এছাড়াও এই পেঁপের আঠা চিনির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ফলে জন্ডিস এবং লিভারের নানা রোগ ভালো হয়। এই ফলের আঠা আপনি যদি প্রতিদিন সকালে পাঁচ থেকে সাত ফোটা বাতাসার সাথে মিশিয়ে খেলে আপনার অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও ব্রণ আঁচিল এবং জিভের ঘায়ে লাগানোর ফলে অনেক উপকার পাবেন।

পিরিয়ডের সময়ঃ পিরিয়ডের সময় অনেকের পেটে ব্যথা ও যন্ত্রণা হয় এ সময় আপনারা পেঁপে খেতে পারেন এতে করে এ সমস্যা কমে যাবে। এছাড়াও অনিয়মিত ঋতুচক্রের সমস্যা হলে আপনারা পাকা পেঁপে খেতে পারেন। পেঁপে খাওয়ার ফলে আপনাদের প্রদাহ জনিত সমস্যা কম হবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ পাকা পেঁপে অনেক রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে চিকিৎসকরা বলেছেন যে ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এর ফল তাই এই ফল খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

ওজন কমাতেঃ আপনারা যারা ওজন কমাতে চান তারা প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পাকা পেঁপে রাখতে পারেন। এটাতে অনেক পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে এবং আমাদের বিপাক হারো বাড়িয়ে তোলে।

অ্যাজমার ঝুঁকি কমাতেঃ পাকা পেঁপে খাওয়ার ফলে আপনাদের এজমার ঝুঁকি কমবে কারণ এতে আছে বিটা ক্যারোটিন যেটা আপনাদের এজমার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আর্থাইটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।

হাড় ভাল রাখবেঃ হাড়ের যেকোনো সমস্যা দূর করার জন্য আপনারা পাকা পেঁপে খেতে পারেন কারণ এতে আছে ভিটামিন কে যা আপনাদের হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করবে। এতে থাকা ভিটামিন কে আপনাদের শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণের কাজ করবে যে কারণে আপনার হাড় মজবুত হবে।

পেটের সমস্যা দূর করতেঃ পেটের সমস্যা দূর করার জন্য আপনারা টাকা পেঁপে খেতে পারেন এতে থাকা পাপাইন এনজাইম এই কাজে সাহায্য করবে। এতে থাকা উচ্চমাত্রায় ফাইবার এবং পানি আপনাদের কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাইলস রোগের জন্য অনেক উপকারে আসবে এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন পাকা পেঁপে খাওয়ার ফলে।

এবার আমরা জানবো পেঁপের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা জানবো পেপেতে কি কি পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন খনিজ লবণ আছে। পেঁপে আমাদের অনেক রোগের জন্য ভালো উপকারে আসে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ত্বকের জন্য চুলের জন্য এবং হাড়ের জন্য অনেক উপকারী। এত সকল উপকারিতা পায় এজন্য নিশ্চয়ই পেঁপের মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন আছে সেগুলো সম্পর্কে জানব

ইউ এস ডি এ নিউট্রিয়েন্ট ডাটাবেজ অনুসারে ১০০ গ্রাম কাঁচা পেঁপেতে পরিপোষক আছে
  • পানি-৮৮.০৬ গ্রাম
  • শক্তি- ৪৩ ক্যালোরি
  • প্রোটিন-০.৪৭ গ্রাম
  • চর্বি-০.২৬ গ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেট- ১০.৮২ গ্রাম
  • তন্তু-১.৭ গ্রাম
  • চিনি-৭.৮২ গ্রাম।
প্রতি ১০০ গ্রাম পেঁপেতে খনিজ উপাদানের মাত্রা আছে
  • ক্যালসিয়াম-২০ মিলিগ্রাম
  • ম্যাগনেসিয়াম-২১ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম-১৮২ মিলিগ্রাম
  • সোডিয়াম-৮ মিলিগ্রাম
  • জিংক-০.০৮ মিলিগ্রাম
  • লোহা-০.২৫ মিলিগ্রাম
  • ফসফরাস-১০ মিলিগ্রাম।
প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণে আছে ভিটামিন
  • ভিটামিন এ-৪৭
  • ভিটামিন বি১-০.০২৩ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি ২-০.০২৭ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি ৩-০.৩৫৭ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি ৬-০.০৩৮ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন সি-৬০.৯ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন ই-০.৩ মিলিগ্রাম।

পেঁপে খাওয়ার অপকারিতা

পেঁপে খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী কিন্তু যদি তাও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আজ তাই আপনাদের আমি পেঁপে খাওয়ার কিছু অপকারিতা সম্পর্কে বলব এগুলো ভালোভাবে জেনে তারপরে আপনারা পেঁপে খাবেন
  • অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে পেঁপে খেলে গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকে। কারণ এতে আসে ল্যাটেক্স এবং প্যাপেইন যা জরায়ু সংকোচন ঘটিয়ে গর্ভপাত ঘটাতে পারে আগেই।
  • পেঁপের কালো বিচি গুলো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কারণ এটাতে টক্সিক এনজাইম কারপাইন থাকে যা আমাদের মস্তিষ্ককে অসারতার তৈরি করে প্যারালাইসিস এর সমস্যা হতে পারে।
  • কাঁচা পেঁপের রস বিশাক্ত ও ক্ষতিকর হয় কারণ এটা আমাদের শরীরে চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে।
  • কাঁচা পেঁপের রস খাওয়ার ফলে আমাদের বদহজম বিষক্রিয়া এবংঅ্যাবডোমিনালে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অতিরিক্ত পেঁপে খাওয়ার ফলে অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যায় যারা ভগছেন তাদের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
  • আপনাদের মধ্যে যারা ল্যাটেক্স এলার্জিজনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদেরও পেঁপে খাওয়ার ফলে এলার্জি হতে পারে।
  • পেঁপেতে অনেক পরিমাণে ভিটামিন সি আছে এবং আরো আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এজন্য যাদের কিডনিতে পাথরের সমস্যা আছে তাদের এ সমস্যা আরও বাড়াতে পারে। এটা পাথরের আকার বড় করতে পারে এবং প্রস্রাব করতে অনেক কষ্ট হয়।
  • পেঁপেতে সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড আছে ।এই এমিনো এসিড আমাদের পাচনতন্ত্রে হাইড্রোজেন সায়ানাইড তৈরি করতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে পেঁপে খাওয়ার ফলে হাঁচি শ্বাসকষ্ট কাশি এবং চোখে পানি আসার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে যাদের এলার্জি আছে তাদের।
  • যারা হাইপোগ্লাইসেমিয়া আক্রান্ত হয়েছেন তাদের পেঁপে খাওয়া ক্ষতিকর কারণ এটি এ ধরনের ব্যক্তিদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কে বিপদজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে যার ফলে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • পেঁপে পুরুষদের উর্বরতা কমাতে সাহায্য করে। পুরুষের বীর্যের সক্রিয়তা কমাতে সাহায্য করে থাকে পেঁপে বীজের রস।

লেখকের মন্তব্য

ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা এবং পেঁপের পুষ্টিগুণ ছাড়াও পেঁপে পাতার রসের উপকারিতা, এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, পেঁপে খাওয়ার অপকারিতা ও পেঁপে পাতার রস মাথায় দিলে কি হয় ইত্যাদি অনেক কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করেছে যেগুলো পড়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাই এ সকল উপকারিতা অপকারিতা জেনে বুঝে তারপরে পেঁপে খাবেন। এই পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনারা এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন আপনাদের পরিচিত বন্ধু ও আত্মীয়দের মাঝে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url