রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো আগে
রাতে
ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় এবং কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এ বিষয়
সম্পর্কে অনেক সঠিক তথ্য খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু খুঁজে পাননি যারা পাননি তারা
আজকে আমার এই পোস্টের মাধ্যমে সঠিক তথ্য পেতে পারেন। এজন্য আপনাদের শেষ পর্যন্ত
পড়তে হবে।
এখানে আমি আজকে আপনাদের জন্য রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় এবং কোন
ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এছাড়াও ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়, কি খেলে ঘুম বেশি
হয়, গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে অনেক সঠিক
তথ্য বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা সঠিক তথ্য জানতে
পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য
আপনাদের অনুরোধ করবো শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা-রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
আমরা সকলেই কিসমিস খেতে খুব পছন্দ করে থাকি কারণ এতে আছে অনেক উপকারী পুষ্টিগুণ
যেমন প্রোটিন, ফাইবার, আঁশ, ভিটামিন বি৬, বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম,
ক্যালসিয়াম, কপার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য
ইত্যাদি আর এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।শুধু যে আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তা নয় এটা গর্ভবতী মহিলা এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক
উপকারী। আমরা অনেকেই কিসমিস খেয়ে থাকি সকালে অথবা রাত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে
কিসমিস
ভেজানো পানি বা কিসমিস খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। রাতে কিসমিস খাওয়ার
ফলে আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়ে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এছাড়াও ওজন কমানো
যায়, ত্বকের জন্য ভালো, কোলেস্টেরল এবং অনিদ্রা দূর করা যায় ইত্যাদি আরো নানা
উপকারিতা আছে। আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকে তাহলে আমাদের ঘুম কম
হবে। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এবং গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অনেক
উপকারী। গর্ভবতী মহিলাদের ডানপাশের চাইতে বাম পাশে ঘুমানো অনেক ভালো।
১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়
আমাদের অনেকেরই রাতে ঘুম না হওয়ার অর্থাৎ ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ঘুম না হওয়ার
সমস্যা আছে। এরকম অবস্থাতে আমাদের যদি ঘুমের সমস্যা হয় তাহলে তা আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অনেক দরকার এতে
করে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আর যদি ঠিকমতো ঘুম না হয় তাহলে আমরা নানা
সমস্যার সম্মুখীন হবো আমাদের চিন্তা বাড়বে। এজন্য আপনারা যাতে করে রাতে ১
মিনিটের মধ্যে ঘুম আসে সেজন্য আপনাদের সহজ উপায় সম্পর্কে বলবো।
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন তেমনি আমাদের
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ঘুমেরও প্রয়োজন আছে। যারা ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল
অথবা টিভি দেখে সময় কাটায় ঘুম আসে না তাদের জন্য ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়
সম্পর্কে বলবো এতে করে আপনি সহজেই ঘুম আসতে পারবেন তাহলে জেনে নিন সেই উপায় গুলো
সম্পর্কে। কিন্তু সবার আগে আমাদের জানতে হবে আপনার ঘুম না আসার কারন কি। মানুষ
অনেক সময় ঘুমের অজুহাত দেখিয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ে কিন্তু তার
পরিবর্তে সে ঘুম আসে না ঘন্টার পর ঘন্টা জেগে থাকে ফোন দেখে অথবা টিভি দেখে।
ঘুমের সময় যদি আমরা কোন ইলেকট্রনিক্স জিনিস ব্যবহার করি তাহলে এটা আমাদের ঘুমের
ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। রাতে ঠিকমত ঘুম না আসার কারণে অনেকেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকেন
কিন্তু আপনি ঘুমের ঔষধ খাওয়া ছাড়াই সহজেই ঘুমাতে পারবেন নিচের এই উপায় অবলম্বন
করার মাধ্যমে।
শ্বাস প্রশ্বাসের কৌশলঃ ৪-৭-৮ এই উপায় বা কৌশলটি আপনার নিদ্রাহীনতার
সমস্যা দূর করতে অনেক কার্যকর একটি উপায়। এই উপায়টি আপনার মনকে শিথিল করতে
সাহায্য করবে যাতে করে আপনি সহজেই ঘুমাতে পারেন। আবার অনেকের মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে
যায় এবং আবার ঘুম আসতে অনেক দেরি হয় বা অসুবিধা যাদের এরকম সমস্যা হয় তারা
শ্বাস-প্রশ্বাসের এই কৌশলটি অবলম্বন করতে পারেন এতে অনেক উপকার হবে। এই ৪-৭-৮
শ্বাস-প্রশ্বাসের উপায় বা কৌশল এর মানে
হচ্ছে আপনি প্রথমে ৪ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস নেবেন এবং তারপরে সাত সেকেন্ডের জন্য
আপনি শ্বাস ধরে রাখবেন এবং তারপরে আপনি ৪ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস ছেড়ে দিবেন। এই
কৌশলের ফলে আপনার মন শান্ত হবে এবং সেই সাথে চাপ কমবে। এই কৌশলের ফলে আপনি
তাড়াতাড়ি ঘুমাতে পারবেন এবং সেই সাথে পেশির ব্যথা উপশম হবে। এই কৌশলটি আপনি যদি
ব্যবহার করেন তাহলে এর সাহায্যে আপনি ৬০ সেকেন্ড অর্থাৎ ১ মিনিটের মধ্যেই ঘুমাতে
পারবেন। এই কৌশলে সাহায্যে যেমন
আপনার অনিদ্রা এর সমস্যা দূর হবে তেমনি আপনার রাগ ও মাইগ্রেনের সমস্যার
নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন আপনি। এই উপায়টি যদি ছয় সপ্তাহ করা হয় তাহলে ভালো ফল
পাওয়া যায় আবার এই শ্বাস-প্রশ্বাস এর উপায় কি হৃদ রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।
এই কৌশলটি আপনাদেরকে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করবে।
কি খেলে ঘুম বেশি হয়
আপনারা যদি চিকন স্বাস্থ্যের থাকতে চান তাহলে আপনাদের প্রয়োজন হবে ঠিক মত ঘুমের।
ঘুম কেমন হবে এটা নির্ভর করে থাকে আমাদের জীবনযাত্রার উপরে। আমাদের ভালো ঘুমের
জন্য দরকার মানসিক প্রশান্তি এবং সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া অর্থাৎ ঘুম পাড়া।
এছাড়া আমাদের খাবারের বিষয়ে নজর দিতে হয়। কোন খাবার গুলো খাওয়ার ফলে আমাদের
ঘুম ভালো হয় বা হবে এগুলো প্রভাব আমাদের শরীরের ওপর পড়ে। আমরা চা কফি খাওয়ার
ফলে আমাদের ঘুমের ওপরে এটা বড় প্রভাব পড়ে এছাড়াও আরো অনেক খাবার আছে
যেগুলো
খাওয়ার ফলে আমাদের ঘুমের ওপর প্রভাব পড়ে থাকে। এছাড়া খাবার এবং ঘুম আমাদের
স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে অনেকটাই সাহায্য করে থাকে। আমাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করার
জন্য প্রয়োজন রাতে ঠিকমত ঘুমের।এই ঘুম আপনাকে পরবর্তী দিনে কাজ করার জন্য আপনার
শরীরকে ফিট হিসেবে তৈরি করবে। অনেক গবেষণা থেকে জানা যায় যে, কিছু খাবার আছে
যেগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের ঘুম ভালো হবে এবং আমাদের শরীরের নিঃসরণ হবে মেলাটোনিন
এবং কর্টিসল হরমোন আর এর ফলে আমাদের রাতে ভালো ঘুম হবে। এজন্য আপনাদের জানা দরকার
কি খেলে বা কোন খাবারগুলো খেলে ঘুম বেশি হয়
গরম দুধঃ রাতে আপনারা ভালো ঘুমানোর জন্য ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস
পরিমাণে গরম দুধ খেতে পারেন। কারণ দুধে আছে এমাইনো এসিড ট্রিপটোফ্যান যেটা আমাদের
ভালো ঘুমের জন্য সাহায্য করে।
ডিমঃ আপনারা রাতে ভালো ঘুমানোর জন্য ডিম খেতে পারেন। ডিমে হয়েছে ভিটামিন
ডি আর এই ভিটামিন ডি আমাদের মস্তিষ্কে যে অংশের নিউরন আমাদের ঘুমে সাহায্য করে
সেখানে কাজ করে থাকে। আপনাদের কারো যদি এই ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে তাহলে ভালো
ঘুম হবে না।
মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলুতে আছে অনেক পটাশিয়াম আর এটা আমাদের ঘুমাতে
সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও মিষ্টি আলুকে বলা হয়ে থাকে ঘুমের মাসি।
কাঠবাদামঃ কাঠবাদাম হচ্ছে মেলানোটিন এর উৎস। কাঠবাদামে থাকা এই ঘুমের
হরমোন মেলাটোনিন রয়েছে এটা আমাদের ঘুমাতে সাহায্য করে এছাড়াও আমাদের দেহ ঘড়িকে
নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করে থাকে। এতে আছে আরো ম্যাগনেসিয়াম যেটা আমাদের ঘুমের জন্য
অনেক প্রয়োজনীয় এজন্য আপনারা রাতে ভালো ঘুমানোর জন্য কাঠ বাদাম খেতে পারেন।
কলাঃ কলাতে
আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এছাড়াও আরো আছে অনেক খনিজ
উপাদান। আর এই খনিজ উপাদানের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমানে
গ্রহণ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার ভালো ঘুম হবে।
সাদা ভাতঃ ভালো ঘুমের জন্য আপনারা সাদা ভাত খেতে পারেন এটা আমাদের রক্ত
গ্লুকোজের মাত্রা হুট করে বাড়িয়ে দেয় আর এ কারণে আমাদের ঘুম ভালো হয়।
মধুঃ আপনারা যদি নিয়মিত মধু খান তাহলে রাতে ভালো ঘুম হবে কারণ এটা
সেরেটোনিন এবংমেলাটোনিন নামের ঘুমের হরমোন তৈরি করে থাকে।
তেলযুক্ত মাছঃ আপনারা রাতে ভালো ঘুমের জন্য তেল যুক্ত মাছ খেতে পারেন কারণ
এই মাছগুলোতে থাকে ভিটামিন ডি ও ওমেগা থ্রিফ্যাটি অ্যাসিড আর এই দুইটি উপাদানই
আমাদেরকে ঘুমের আবেশ আনতে সাহায্য করে থাকে।
নিয়মিত শরীর চর্চা করাঃ আপনারা যদি নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন তাহলে
আপনাদের স্বাস্থ্য সুস্থ থাকবে সেই সাথে আপনাদের মানসিক অবসাদ দূর হবে আর এটা
আপনাদের রাতে ভালো ঘুমোতে সাহায্য করবে। আপনি রাতে ভাল ঘুম ঘুমাতে পারবেন।
কোন প্রাণী ঘুমায় না
আমরা সকলে ঘুমাতে খুব পছন্দ করি এবং ছুটির দিনে অবসর সময়ে আমরা দুই এক ঘণ্টা
বেশি করে ঘুমায় যাতে করে আমাদের শরীরটা একটু আরাম পায়। এছাড়াও কাজের
ক্লান্তিতে এবং কাজের চাপে আমাদের দুচোখ ঘুমে জড়িয়ে আসে। কিন্তু এমন এক প্রাণী
আছে যারা কখনোই ঘুমায় না। আপনারা জানলে অবাক হবেন এর উত্তরটা এ প্রশ্নের উত্তর
হয়তো অনেকেই জানে না। এই প্রাণীটি আমরা সকলেই চিনি আমাদের সামনে থাকে কিন্তু এই
প্রাণীটি কখনো ঘুমায় না। এই প্রাণীটি হচ্ছে পিঁপড়া হ্যাঁ বিশ্বের এই
একমাত্র প্রাণী যারা কখনও ঘুমায় না। পিঁপড়া সারাদিন ব্যস্ততার সময় পার করে এবং
ছোটাছুটি করে অনেক বেশি কিন্তু তারা ঘুমায় না। কিন্তু পিঁপড়ারা ঘুমায় না বলে
যে তারা বিশ্রাম নেয় না এটা নয় কিন্তু তারা বিশ্রাম নেয়। এরা দিনে প্রায় ২৫০
বার বিশ্রাম নেয় আর এই বিশ্রাম এর মেয়াদ হচ্ছে এক মিনিট একবার বিশ্রামের। এখন
আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে পিঁপড়া এত পরিশ্রম করে তবু কেন ঘুমায় না। এর
কারণ হচ্ছে পিঁপড়ের চোখের পাতা নেই এজন্য এরা চোখ বন্ধ করতে পারে না। অথচ কিন্তু
তাদের দেখতে
কোন রকমের সমস্যা হয় না। আবার অধিকাংশ পিপড়ার দুইটি চোখ থাকে এতে আবার কয়েকটি
লেন্স থাকে এবং এই লেন্সের সাহায্যে তারা খুব ভালো দেখতে পাই চোখে। অথচ অপরদিকে
মানুষ ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমের জন্য ব্যয় করে আর পিঁপড়ারা ঘুম লুকিয়ে রাখে তাদের
গভীর বিশ্রামের মাধ্যমে। যে ২৫০ বার বিশ্রাম নেয় এর মানে এরা প্রায় চার ঘন্টার
ঘুমের সমান বিশ্রাম নেয়। বিশ্রাম করার সময় এদের ম্যান্ডিবল এবং অ্যান্টেনার
সঞ্চালন কম হয় আর এই দশা কে বলা হয় গভীর বিশ্রাম দশা।
এছাড়াও পিঁপড়ের শরীরে থাকে একটা ফুসফুস এর মাধ্যমে এরা অক্সিজেন শরীরে প্রবেশ
করিয়ে থাকে এবং তাদের সমস্ত শরীরে ছরিয়ে পড়ে অক্সিজেন। কিন্তু আমাদের থেকে
তাদের শ্বাস প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াটি একটু আলাদা। পিঁপড়ের শরীরে অনেক ছিদ্র থাকে
আর এসব ছিদ্রগুলোর সংযোগ নালী বা টিউব করেছে। তাদের শরীরে যখন অক্সিজেন প্রবেশ
করে তখন এই নালীর মাধ্যমে তাদের পুরো শরীরে অক্সিজেন ছড়িয়ে যায়। আবার পিঁপড়ার
হাটু এবং পায়ে আছে সেনসিং ভাইব্রেশন আর এর
মাধ্যমেই এরা আশেপাশের পরিস্থিতির অবস্থা বুঝতে পারে বা টের পেয়ে যায়। এরা বিপদ
আসার আগে থেকেই টের পেয়ে যায় এবং বিপদ দেখলে এরা কেমিক্যাল সিগন্যাল দেয়।
পিঁপড়েরা খাবারের সন্ধান পেলে কেমিক্যাল ফেরোমোন নির্গত করার মাধ্যমে সঙ্গীদের
খবর জানায়। পোকামাকড়ের মধ্যে পিঁপড়ে হচ্ছে বড় মস্তিষ্কের অধিকারী একটি
প্রাণী।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা আবার
অনেকেই জানি। যারা এই প্রশ্নের উত্তর জানেন না তারা আজকে আমারে পোষ্টের মাধ্যমে
জেনে নিন। আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিনের যোগান থাকা দরকার কারণ
ভিটামিনের অভাব থাকলে আমাদের শরীরে নানা রকম সমস্যা এবং রোগ দেখা দিতে পারে। তার
মধ্যে একটি হচ্ছে ঘুম কম হওয়া। আর এটা আপনারা বুঝবেন কিভাবে সেটা হচ্ছে আপনাদের
সহজে ঘুম হবে না অর্থাৎ কম হবে।
অর্থাৎ আমার বা আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর পরিমাণ কম হয় তাহলে আমাদের ঘুম কম
হবে। এ বিষয়ে আপনারা বিশ্ব ঘুম দিবসের থেকে জানতে পারবেন আমাদের শরীরটা ভালো
রাখার জন্য ঘুমের কত দরকার। আর এজন্য আপনারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে
পারেন। আমাদের যদি ঘুম ঠিকমতো না হয় তাহলে আমাদের শরীরে নানা রকম গুরুতর সমস্যার
সৃষ্টি হতে পারে আর এজন্য আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের নিয়মিত ঘুমের প্রয়োজন। আর
যদি আপনার শরীরে ভিটামিনের
অভাব থাকে তাহলে আপনার ঘুম কম হবে এবং শরীরে দেখা দিবে নানা রোগ বালাই। আমাদের
যদি ঠিক মতো ঘুম না হয় তাহলে আমরা ডিপ্রেশনের মধ্যে চলে যাব আমাদের মানসিক চাপ
দুশ্চিন্তা এমনকি উচ্চ ব্লাড প্রেসার সহ নানা রকমের রোগ দেখা দিতে পারে। এমনটা
যদি আপনাদের প্রতিদিনের জীবনে ঘটে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে আপনার ঘুম কম হবে ঘুমের সমস্যা
দেখা দিবে কারণ এই
ভিটামিন ডি মেলাটোনিন হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে থাকে এবং সেই সাথে এই হরমোনটা
আমাদের ঘুমের চক্রের সাথে একসাথে সম্পর্ক। এছাড়া বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে
যে, ভিটামিন ডি এর অভাবে আমাদের অস্থি সন্ধির সমস্যা বেড়ে যায় অনেক গুনে এগুলো
সহ আমাদের হাড়ের সমস্যা, হাড়ের ক্ষয়,পেশি এর দুর্বলতা ইত্যাদি সমস্যা গুলো
হয়ে থাকে। এছাড়াও আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ভিটামিন বি ৬ আরও একটা জরুরী
ভিটামিন এবং এই ভিটামিন ও আমাদের শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে থাকা দরকার। এই ভিটামিন বি
৬
আমাদের শরীরে যদি কম থাকে তাহলে মেলাটোনিন এবং সেরোটোনিন কম পরিমাণে বের হবে আর
যদি এই দুই হরমোন আমাদের শরীরে ভালো পরিমাণে থাকে তাহলে আমাদের ঘুম ঠিক মতো হবে
এবং ভালো হবে। আর যদি কম থাকে তাহলে আমাদের ঘুমের সমস্যার সৃষ্টি হবে ঘুমের
ব্যাঘাত ঘটবে এই ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে হলে আমাদের মাছ-মাংস দুধ এবং চিকেন
ইত্যাদি খেতে হবে। গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে ভিটামিন ডি এর অভাবে স্লিপ
অ্যাপনিয়া ছাড়াও আমাদের ঘুমের মান ও পড়ে যায়। আর এ ভিটামিন ডি এর অভাব
পূরণ
করার জন্য আমাদের সূর্যের আলোতে ৫ থেকে ৩০ মিনিট থাকতে হবে এছাড়াও সামুদ্রিক
খাবার মাছের তেল থেকেও আমরা পেতে পারি ভিটামিন ডি।এছাড়া অনেকের ঘুম না হওয়ার
আরো অনেক কারণ আছে যেমন অনেক রাত ভরে জেগে থেকে মোবাইল অথবা টিভি দেখা ইত্যাদি
কারণে ঘুম কম হতে পারে। এগুলো থেকে আমাদের সব সময় সতর্ক বা সাবধান থাকতে হবে এবং
যদি কারো প্রতিনিয়ত এরকম কোন সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে
হবে। এই প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের জন্য এজন্য আপনাদের বিস্তারিত জানার জন্য
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি কিসের লক্ষণ
ঘুমের মধ্যে অনেকের ঝাকুনি হয় আর এরকমটা বিশ্বের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষের হয়ে
থাকে। মানুষ বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার পরে যখন কেবল চোখটা বুজে আসে তখনই আচমকা
একটা ঝাকুনি হয় আর মনে হয় যেন কোথাও পড়ে যাচ্ছে। শরীরের এমন ঝাকুনির অভিজ্ঞতা
অনেকেই জানিয়েছেন। মানুষের ঘুমের মধ্যে এমন ঝাকুনিকে বলা হয়ে থাকে ‘হিপনিক
জার্কস’।‘হিপনিক জার্কস’হচ্ছে দ্রুত হৃদ স্পন্দন, তাড়াতাড়ি শ্বাস নেওয়া, ঘাম ও
কখনো কখনো শূন্যে পড়ে যাওয়ার অবস্থার মত
অদ্ভুত সংবেদনশীল অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত হয়ে থাকে। আবার এটি কোন পরিষ্কার বা
স্বচ্ছ স্বপ্নের অভিজ্ঞতা ও হতে পারে। এমনটা হয়ে থাকে কিসের জন্য এ বিষয়ে হয়তো
আমরা অনেকেই জানিনা। এমনটা হয় তার কারণ হচ্ছে মানুষ যখন জেগে থাকা অবস্থায় থেকে
সবে ঘুমাতে যায় এবং এ অবস্থার সময় মানুষের ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। এ
অবস্থায় সময় মানুষ কিন্তু পুরোপুরি ঘুমের মধ্যে থাকে না তখন সে তন্দ্রাচ্ছন্ন
অবস্থায় থাকে এবং এ অবস্থার মধ্যেই তখন মানুষ স্বপ্ন দেখা শুরু করে দেয়।
এমন অবস্থাতে জাগরণ এবং স্বপ্নের সীমানাকে অনেক সময়েই আমাদের মস্তিষ্ক ঠাহর করতে
পারে না আর এই সব থেকেই তখন‘হিপনিক জার্কস’এর সমস্যা তৈরি হয়ে থাকে। মানুষের
শরীরের এমন পরিস্থিতি বা অবস্থা কেন মস্তিষ্ক অনুভব করতে পারে না। আসলে আমাদের
শরীরে তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব যখন নেমে আসে তখন আমাদের পিসি গুলো ধীরে ধীরে অবশ হতে
শুরু করে অথচ আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের এই পেশীর অবস্থান বুঝতে পারে না আর
না পারার কারণেই এই প্রক্রিয়াকে আটকানোর চেষ্টা করে থাকে ফলে আমাদের
শরীরে ঝাঁকুনির মত এই সমস্যাটা হয়। অনেক মানুষ এটাকে শারীরিক অসুবিধা ভেবে নেয়
এবং ভয় পায় কিন্তু চিকিৎসকের মতে এতে আমাদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ
অনেক সময় আমরা যখন রাতে ঘুমায় তখন আমরা অনেকেই নাক ডাকি আর এই নাক ডাকা থেকে ও
আমাদের‘হিপনিক জার্কস’এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের
উত্তেজনা প্রবাহ যখন আমাদের মস্তিষ্ক ঠিকমতো ঠাহর করতে পারেনা তখন ও আমাদের ঘুমের
মধ্যে শরীরে ঝাকুনির সমস্যা হতে পারে।
রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়
কিসমিস পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। কারণ এতে আছে
প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি ৬, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ফাইবারসহ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি উপাদান। এই কিসমিস যদি আপনারা নিয়মিত খান তাহলে
আপনাদের অনেক সমস্যা দূর হবে। যেমন অ্যাসিডিটি, অনিদ্রা সমস্যা সহ আরো অনেক রোগ
থেকে আপনি রক্ষা পাবেন। অনেকের রাতে এবং সকালে খালি পেটে কিসমিস খেয়ে থাকেন আবার
অনেকেই কিসমিস ভেজানো পানি খেয়ে
থাকেন এতে করে অনেক উপকার পাওয়া যাবে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য। কিন্তু আপনারা কি
কখনো রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেয়েছেন যদি না খেয়ে থাকেন তাহলে খাওয়ার ফলে
আপনারা যে উপকার গুলো পাবেন এ সম্পর্কে আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিন।
চোখ ভালো রাখতেঃ রাতে ঘুমানোর আগে আপনারা যদি কিসমিস খান তাহলে এটা
আপনাদের চোখের জন্য অনেক ভালো হবে। কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আপনারা যদি
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধের সাথে অথবা শুধু কিসমিস খেয়ে ঘুমান তাহলে আপনাদের
দৃষ্টি শক্তি ভালো হবে আপনাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
হাড় মজবুত করতেঃWebMD এর খবর অনুযায়ী রাতের বেলা আমরা যদি কিসমিস খাই
তাহলে এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাব আমারা। আমরা যদি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে
কিসমিস খায় তাহলে এর বেশি উপকারিতা পাবো। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিসমিস
খাওয়ার ফলে আমাদের হাড় শক্ত মজবুত হয় কারণ এতে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। এছাড়াও
আমরা যদি কিসমিস দুধের সাথে মিশিয়ে খায় তাহলে এর উপকারিতা আরো দ্বিগুণ পরিমাণে
পাব।
ওজন কমাতেঃ ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিসমিস খাওয়ার ফলে আমাদের
ওজন কমানো সম্ভব হবে। আমরা যদি ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফাইবার সমৃদ্ধ এই কিসমিস খায় তাহলে
আমাদের পেট অনেক বেশি সময় ধরে ভরা থাকবে আর সকালে উঠে খিদে পাবে না আর এটা
আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে বা কমাতে সাহায্য করবে।
অনিদ্রা দূর করতেঃ আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকেরই অনিদ্রা সমস্যা আছে আর এটা
থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে কিসমিস। যাদের এরকম ঘুমের সমস্যা আছে তারা রাতে
ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিসমিস খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন একমুঠো কিসমিস নয় আপনারা
যদি দশটা কিসমিস দুধের সাথে মিশে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খান তাহলে আপনাদের
অনিদ্রা সমস্যা দূর হবে এবং ঘুম ভালো হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিসমিস খেলে আমাদের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শক্তিশালী হয়। এটি যদি আমরা নিয়মিত খাই তাহলে
আমাদের শরীরের জন্য তা অনেক উপকার বয়ে আনবে। দুধ খেতে পছন্দ করে না যারা তারা
শুধু কিসমিস ও খেতে পারেন এতে অনেক উপকার হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
রক্তস্বল্পতা দূর করতেঃ আছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
আর এগুলো আমাদের শরীরে রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও
কিসমিসে থাকা কপার আমাদের রক্তের লোহিত কণিকার পরিমান বাড়াতে সাহায্য করে।
হজমে সাহায্য করেঃ কিসমিসে আসে আঁশ আর এটা যদি আমরা পানিতে ভিজিয়ে রাখি
তাহলে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে থাকে। রাতে
কিসমিস খাওয়ার ফলে আমাদের হজমের সমস্যা দূর হবে খাবার হজম করতে সাহায্য করবে এবং
কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা কমাবে সেই সাথে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ কিসমিস হচ্ছে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ আর এটা আমাদের শরীরের
লবণাক্ত তার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
যায়। এছাড়াও এটি এন্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস যেটা আমাদের রক্ত নালীর জৈব
রসায়নে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের রক্ত চাপ কমতে থাকে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেঃ কিসমিসে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যেটা
আমাদের মুখে স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সেই সাথে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়তা করে
থাকে।
শক্তি যোগায়ঃ আমরা যদি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিসমিস অথবা কিসমিস
ভেজানো পানি খেয়ে থাকে তাহলে আমাদের কর্মশক্তি বাড়বে এবং সেই সাথে শরীরের
দুর্বল ভাব কমবে। কারন কিসমিসে আছে প্রাকৃতিক গ্লুকোজ যা আমাদের কর্মশক্তি
বাড়াতে সাহায্য করে।
অন্ধত্ব এবং কোলেস্টেরল দূর করতেঃ কিসমিসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা
আমাদের অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিসমিসে আছে দ্রবণীয় ফাইবার
যেটা আমাদের লিভার থেকে কোলেস্টেরল দূর করার কাজ করতে সাহায্য করে থাকে।
মনোযোগ ও বুদ্ধির বিকাশেঃ শিশুদের বুদ্ধির বিকাশের জন্য কিসমিস অনেক দারুন
কাজ করে থাকে। কারণ এতে থাকা সব উপকারি উপাদান গুলো যেমন বোরন শিশুদের বা
আমাদেরকে যে কোন কাজ করতে মনোযোগী করতে সাহায্য করে থাকে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতেঃ কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং
বিটা ক্যারোটিন যেগুলো আমাদের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং শিশুদের
জন্য অনেক উপকার করে।
মানসিক প্রশান্তিঃ কিসমিসে আসে আয়রন যা আমাদের ভালো ঘুমের জন্য দরকার
এছাড়াও আমরা নিয়মিত কিসমিস খাবার ফলে আমাদের শরীরের অবসাদ দূর হবে এবং মানসিক
প্রশান্তি আনতে এটা দারুন কাজ করবে।
ত্বকের জন্যঃ কিসমিস আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী কারণ এতে আছে
মিনারেল, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই আর কোলাজেন এছাড়াও আরো আছে ভিটামিন বি৬,
ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং কপার ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও আরো আছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। আমাদের ত্বকের
আর্দ্রতা ধরে রাখতে কিসমিস সাহায্য করে থাকে। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে
বাঁচাতে পারে এটা এজন্য আমরা যদি নিয়মিত রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিসমিস
খায়
তাহলে আমাদের
ত্বক হবে
উজ্জ্বল এবং আমাদের ত্বকের বলি রেখা দূর হবে। আপনার লাবণ্যময় ত্বকের জন্য আপনি
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিসমিস খেতে পারেন এভাবে। প্রথমে আধা কাপ পরিমাণের
ফুটানো স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে সাতটি কিসমিস ভিজিয়ে রাখতে হবে তারপরে চার
ঘণ্টা পরে যখন এগুলো ভিজে যাবে তখন আপনাকে সেই পানি সহ কিসমিস খেতে হবে তাহলে
আপনি এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার লাবণ্যময় ত্বক ফিরে পাবেন।
গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়
গর্ভাবস্থায় একজন মহিলাকে তার ঘুমের দিকেও নজর দিতে হয় খাবারের দিকে যেমন নজর
দিতে হয় তেমনি। এ সময় তার ঘুম তার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক দরকারি এবং তার
বাচ্চার জন্য অনেক দরকারি এতে করে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না তাকে। আর
যদি
গর্ভাবস্থায়
একজন মহিলার ভালো ঘুম না হয় তাহলে তার নানা রকমের স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিতে
পারে এজন্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলাকে পর্যাপ্ত
পরিমাণে ঘুম পারতে হবে। যখন গর্ভবতী মহিলার সন্তান হওয়ার সময় ধীরে ধীরে এগিয়ে
আসে
তখন এ অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের ঘুমানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে কারণ এই সময়েই
মহিলাদের পেট ধীরে ধীরে প্রশস্ত হতে থাকে। এ সময় তখন তাদের হাঁটাচলা নড়াচড়া
করতে কষ্ট হয় অনেকের আবার কষ্টকাঠিন্য এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে থাকে।
এজন্য এ সময় তাদের পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন পড়ে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীরা
চিত হয়ে ঘুমাতে পছন্দ করে থাকে কিন্তু এভাবে ঘুমানো ঠিক নয় বিশেষজ্ঞদের মতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থায় মহিলারা বাম কাত হয়ে শুলে সব থেকে নিরাপদ হবে। বাম
কাত হয়ে শোয়ার কারণে
তাদের নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হবে না অর্থাৎ তারা ভালোভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে
পারবে এতে করে তাদের সন্তানেরও ভালো হবে। অপরদিকে আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের
লিভার থাকে আমাদের পেটের ডান দিকে আর আমরা যদি ডানদিকে হয়ে ঘুমাই তাহলে আমাদের
শরীরের সম্পূর্ণ চাপ পড়বে লিভারের ওপর। গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় যদি ডান
কাত বা দিক হয়ে ঘুমায় তাহলে সেটা তার সন্তানের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এ
সময় গর্ভের সন্তান সুস্থ থাকা এবং মায়ের সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরী সেই সাথে
গর্ভবতী মহিলাদের দেহের
প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় থাকা প্রয়োজন। আর এ সময় যাতে করে
গর্ভবতী মায়ের লিভারের কোন সমস্যা না হয় সেজন্য তাকে ডান পাশে না ঘুমিয়ে বাম
পাশে ঘুমাতে হবে। লিভারকে যথেষ্ট পরিমাণের জায়গা দিতে হবে এসময় এবং যাতে
লিভারের কোন সমস্যা না হয় এজন্য একজন গর্ভবতী নারীকে অবশ্যই ডান পাশে না ঘুমানোই
ভালো হবে। আমাদের প্রত্যেকটি মহিলাদের শরীরের সবথেকে বড় শিরা হচ্ছে ইনফিরিয়ন
ভেনা কাভা আর এটা আমাদের শরীরের ডান পাশে থাকে।
আর আমরা যদি ডান পাশে হয়ে ঘুমায় তাহলে আমাদের শরীরের এই শিরার ওপর সব থেকে বেশি
চাপ পড়বে এবং সেই সাথে আমাদের শরীরের রক্ত চলাচলে সমস্যা হবে। অন্যদিকে আমরা যদি
বাম পাশ হয়ে ঘুমাই তাহলে আমাদের শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে সেই সাথে
শরীরের সব কয়েকটি অঙ্গ প্রতঙ্গে রক্ত এবং পুষ্টি ছড়িয়ে পড়বে।
কোন প্রাণী ঘুমালে মারা যায়
কোন প্রাণী ঘুমালে মারা যায় এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা আবার
অনেকে জানি। সেই প্রাণীটি হচ্ছে পিঁপড়ে। পিঁপড়ে হচ্ছে বিশ্বের এমন একটি প্রাণী
যেটা ঘুমালে মারা যায়। এখন অনেক পরীক্ষার এমসিকিউ প্রশ্নের ক্ষেত্রে এমন অনেক
সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন আসে যে প্রশ্নের উত্তর হয়তো আমরা জানি কিন্তু বিভ্রান্তির
কারণে সঠিক উত্তর দিতে পারি না। কিন্তু এ সকল সাধারণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের
জানা দরকার। যখন আপনারা উত্তরটা জানবেন তখন ভাববেন এ প্রশ্নের উত্তর তো আমি
জানতাম।
কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর আমাদের আশেপাশে থাকে কিন্তু আমরা উত্তর দিতে পারি না।
আমরা যদি একটু মাথা খাটায় তাহলে এ সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব কারণ এ সকল
প্রশ্নের উত্তর আমাদের সামনেই থাকে। কোন প্রাণী ঘুমলে মারা যায় এ প্রশ্নের উত্তর
হয়তো আপনারা অনেকেই দিতে পারবেন না কিন্তু উত্তর জানার পরে আপনারা অবাক হয়ে
যাবেন। এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে পিঁপড়ে। পিঁপড়ে সম্পর্কিত আরো অনেক মজার মজার
তথ্য আছে যেগুলো জানলে হয়তো আপনারা আরো অবাক হয়ে যাবেন। আপনারা কি জানেন
পিঁপড়ে সারি বদ্ধ বা
লাইন হয়ে চলাচল করে কেন কারণ পিঁপড়েরা চোখে দেখতে পায় না। পিঁপড়েরা যখন
খাবারের সন্ধানে যায় তখন এদের মধ্যে থাকা রানী পিঁপড়ে এক ধরনের রাসায়নিক
পদার্থ তাদের পথের মধ্যে ফেলে যায় সেই পদার্থটি হচ্ছে ফেরোমোন পদার্থ। এই
পদার্থটির গন্ধ শুঁকে তারা পথ অনুসরণ করে লাইনের পর লাইন ধরে চলাচল করে। আর এভাবে
হাঁটার কারণে তারা একটা সারি তৈরি করে।আন্টার্কটিকা ছাড়া পুরো পৃথিবীতেই পিঁপড়ে
পাওয়া যায়। পিঁপড়া যেমন ঘুমালে মারা যায় তেমনি এমন আরও অনেক প্রাণী আছে
যেগুলো পানি পান করলে মারা যায় সেটি হচ্ছে ক্যাঙ্গারু ইঁদুর। এই প্রাণীর জীবনে
কখনো পানি পান করে না।
মুখের ভিতরে সাদা ঘা কেন হয়
মুখের ভিতরে সাদা ঘা অনেকেরই হয়ে থাকে এটার জন্য তারা অস্বস্তিক অবস্থার মধ্যে
পড়ে। এই ঘা হওয়ার কারণ হচ্ছে মাড়ি,জিব এবং মুখের ভেতরে অনেকের অনেক সময় ব্রণের
মত সাদা ফুসকুড়ি বের হয় আর এটি বারবার হওয়ার কারণে এমনটা হয়। বিশেষ করে
আপনাদের মধ্যে যদি কারো কোন ভিটামিনের সল্পতা বা অভাব দেখা দেয় অথবা দুশ্চিন্তা
করলে অনিদ্রা এর সমস্যা হলে অথবা মুখের অস্বাস্থ্যকর অবস্থার জন্য আবার কারো কারো
মানসিক অস্থিরতার জন্য ইত্যাদি কারণে মুখের
ভেতরে সাদা ঘা হয়ে থাকে। খাদ্য তালিকায় পুষ্টির অভাব ঋতুস্রাব হরমোনের
পরিবর্তনের কারণে আবার খাবারে এলার্জির কারণে মুখে ঘা হতে পারে। এছাড়া দাঁত এবং
খাবার খাওয়ার সময় আঘাত লাগলে মুখে ঘা হতে পারে।আপনাদের মুখের ভেতরে নরম যে আবরণ
আছে তাকে বলে মিউকাস মেমব্রেন আর এই মিউকাস মেমব্রেনের কোন কারণে ক্ষয় হলে বা
ক্ষতি হলে আপনাদের মুখগহ্বরের ভেতরে ঘা হতে পারে। অনেকের আবার এ সমস্যা আলসারের
রূপ নেয়। আপনাদের মধ্যে কারো
যদি মুখের ভেতরে সাদা ঘা হয় তাহলে এর জন্য আপনারা লবণ পানি মুখে নিয়ে ফুলকুচি
করতে পারেন। আবার বেকিং সোডা এই ঘা সারাতে অনেক উপকার করবে এটি আপনাদের পিএইচ
ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করবে ফলে ঘা এর জ্বালা ভাব কমে যাবে। আবার আপনারা
আধা কাপ পরিমাণ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা নিয়ে দুইটা মিশিয়ে মুখে নিয়ে
কুলকুচি করতে পারেন এতে করে ঘা অনেকটাই কমে যাবে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠকের এখানে ম্যাক্সিমো ইনফো রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় এবং
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এছাড়াও কোন প্রাণী ঘুমালে মারা যায়,
গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয় ইত্যাদি অনেক কয়েকটি বিষয়ে অনেক সঠিক তথ্য
বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছে যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক সঠিক তথ্য জানতে
পারবেন আর যদি আপনাদের কারো কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস না থাকে তাহলে এই পোস্টটি
পড়ার মাধ্যমে এই অভ্যাসটি শুরু করতে পারেন সেই সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করে
দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url