গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো আগে গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা এবং কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা ছাড়াও কচু শাক সম্পর্কিত অনেক তথ্য খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাননি। যারা খুঁজে পাননি তারা আজকে আমার এ পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন এজন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
আজকে আমি আপনাদের জন্য কচু শাক সম্পর্কিত অনেক তথ্য দিয়েছি এই পোস্টটিতে। যেমন গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা, কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা, কচু শাকে কি ভিটামিন আছে, কচু শাক খেলে কি এলার্জি হয় এছাড়াও কচু ও কচু শাক খেলে গলা চুলকায় কেন কচুতে গলা ধরলে কি করা উচিত ইত্যাদি অনেক কয়েকটি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক সঠিক তথ্য জানতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভূমিকা

কচু শাক আমাদের সকলের কাছেই একটা পরিচিত শাক এই শাখা গ্রামের দিকে বেশি পাওয়া যায় শহরের তুলনায়। কারণ এই শাক খাওয়া আমাদের জন্য অনেক উপকারী । এই কচুশাকে আছে নানা রকমের পুষ্টিকর ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান যেগুলো ছোট বড় আবার গর্ভবতী মহিলা ও তার সন্তানের জন্য খুব উপকারী। গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে। গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলা যদি নিয়মিত কচু শাখায় তাহলে তার ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানের 
অভাব পূরণ হবে তার গর্ভের সন্তানের হাড় সুগঠিত হবে তার দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাবে। গর্ভবতী মহিলার বদ হজমের সমস্যা দূর হবে ইত্যাদি আরো নানা উপকারিতা আছে। আবার গর্ভবতী মহিলা কচু শাক খাওয়ার ফলে যেমন অনেক উপকারিতা পাবে তেমনি আমরাও কচু শা খাওয়ার ফলে অনেক উপকারিতা পাবো যেমন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, হজম শক্তি বৃদ্ধি, রাতকানা এবং চোখের ছানি পড়া রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। ক্যান্সার, হৃদরোগ

এবং স্ট্রোক থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কচু শা খাওয়ার ফলে অনেকের গলা চুলকায় কারণ এতে আছে অক্সালেট অ্যাসিড। এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা এটি মেশাতে পারেন লেবু অথবা তেতুলের রস।

কচু শাকে কি ভিটামিন আছে

কচু শাক আমরা সকলে খেতে খুব পছন্দ করি তার কারণ এতে অনেক ভিটামিন এবং পুষ্টিকর উপাদান আছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে। কচু শাকে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, লৌহ, ফাইবার, ফোলেট,আঁশ এবং থায়ামিন ইত্যাদি। আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে কচুশাকে কি ভিটামিন আছে হ্যাঁ কচু শাকের ভিটামিন আছে। আর এই ভিটামিন গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এগুলো আমাদের অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে। এতে থাকা ভিটামিন এ 

আমাদের রাতকানা, চোখের ছানি পড়া ও চোখের অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং ভিটামিন সি আমাদের শরীরের ক্ষত সারানোর জন্য সাহায্য করে থাকে। এই শাকে আছে আয়রন যা আমাদের দেহের রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে আপনাদের মধ্যে যাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা আছে তারা নিয়মিত এই শাক খেতে পারেন। এজন্য শিশুদের কচু শাক খাওয়ানো উচিত ছোটবেলা থেকে। আবার গর্ভবতী মায়েদের এবং তাদের গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য এই কচু শাক অনেক উপকারী। খাওয়ার ফলে তাদের ভিটামিন এবং

আয়রনের চাহিদা পূরণ হবে। এই শাকে আছে অনেক আঁশ আর এই উপাদানটি আমাদের হজমে সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কচুর শাকে আছে ৩৯ গ্রাম প্রোটিন, শর্করা আছে ৬.৮ গ্রাম, চর্বির পরিমাণ ১৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম আছে ২২৭ মিলিগ্রাম। আবার আইরনের পরিমাণ আছে ১০ মিলি এবং খাদ্য শক্তি আছে ৫৬ মিলিগ্রাম। এই কচু শাক আমরা রান্না করে খেয়ে থাকি এবং এটা অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার।কচুশাকে আছে ফ্লাভোনয়েড, কার্বোহাইড্রেট এবং স্যাপোনিনস যা আমাদের উচ্চ রক্ত চাপের ঝুঁকি কমায়। আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমে প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।

কচু শাকে কোন উপাদান বেশি থাকে

কচু শাকে লৌহ উপাদান বেশি থাকে এছাড়া আরো থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফাইবার ইত্যাদি। কচু শাক আমাদের প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদার অনেকটাই পূরণ করতে পারে। কচু শাকে থাকা ভিটামিন এ আমাদের রাতকানা রোগ এবং চোখের ছানি পড়া ও চোখের নানা রকম রোগের প্রতিরোধে সাহায্য করে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এছাড়াও কচু শাক আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় তা আমাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। আপনাদের কারো শরীরে যদি

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায় তাহলে আপনারা নিয়মিত কচু শাক খেতে পারেন এ কথা ডাক্তাররাও বলে থাকেন। কচু শাকে ভিটামিন এ আছে যে শুধু তাই নয় এর সাথে আছে ভিটামিন সি এবং বি এগুলো আমাদের ক্ষত সারাতে এবং মুখ এবং ত্বকের নানা রকম রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। কচু শাকের পুষ্টিগুণ অনুসারে প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণের সবুজ কচু শাকে আছে
  • শর্করা আছে-৬.৮ গ্রাম
  • প্রোটিন আছে-৩.৯ গ্রাম
  • লৌহ আছে-১০ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি১ আছে-০.২২ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি ২ আছে-০.২৬ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন সি আছে-১২ মিলিগ্রাম
  • চর্বি আছে-১.৫ গ্রাম
  • ক্যালসিয়াম আছে-২২৭ মিলিগ্রাম
  • আয়রন আছে-১০ মিলিগ্রাম
  • খাদ্য শক্তি আছে-৫৬ কিলো ক্যালরি।
এছাড়াও এই শাক নিয়মিত খাওয়ার ফলে আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়। এই শাকে আছে অ্যান্টি ইনফর্মেটরি এবং এন্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের শরীরের যে কোন রকমের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও এই শাকে আছে কার্বোহাইড্রেট,ফ্লাভোনয়েড এবং টেনিনস আর এ সকল উপাদানগুলো আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কচুর ডাটায় থাকে অনেক পানি যা গরমের সময় রান্না করে খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের পানির অভাব পূরণ হবে।

কচু শাক খেলে কি এলার্জি হয়

অনেকের প্রশ্ন থাকে যে কচু শাক খেলে কি এলার্জি হয় এ বিষয়ে। এ বিষয়টি জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই কচু শাক খেতে হবে। অবশ্যই কচুশাকে এলার্জি আছে। তবে কি পরিমাণে এলার্জি আছে তা বোঝার জন্য আপনাকে কচু শাক খেতে হবে খাওয়ার পরে আপনি যদি এলার্জির কোন লক্ষণ বুঝতে পারেন বা আপনার শরীরে যদি কোন এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে যে কচু শাক খাওয়ার ফলে আপনার এলার্জির সমস্যা দেখা দিবে। এলার্জির কোন লক্ষণ আপনার শরীরে দেখা না দেয় তাহলে বুঝতে হবে যে কচু শাক খাওয়ার ফলে

আপনার এলার্জির কোন সমস্যা হবে না। কচু শাকের পাতায় থাকে বিষাক্ত অক্সালেট উপাদান যার কারণে অনেকের এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের খাবার আছে যেমন কচুর শাঁক, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন ও গরুর গোস্ত ইত্যাদিতেও এলার্জির সমস্যা দেখা যায় অনেকের। এছাড়া কচুশাকে এমন অনেক উপাদান আছে যা আপনাদের এলার্জির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এজন্য যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তারা কচু শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আবার কচুশাকে এই অক্সালিক অ্যাসিড থাকার কারণে গলা চুলকায়।

গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের সকলের জন্য কচু শাক খাওয়া প্রয়োজন কারণ এই শাকে আছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান ও পুষ্টিগুণ যেটা আমাদের সকলের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এ সকল পুষ্টি গুণের জন্য ছোটবেলা থেকেই ছোট বাচ্চাদের নিয়মিত কচু শাক খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে। আবার গর্ভবতী মহিলাদের কচু শাক খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি গুণ এবং ভিটামিনের চাহিদার জন্য। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলাকে খাবারের দিকে অনেক
নজর দিতে হয় এবং অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়া দরকার। যাতে করে মা এবং শিশু দুজনেই ভালো থাকে। আর শাকের মধ্যে হচ্ছে কচু শাক অন্যতম কারণ এই শাকে আছে অনেক ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন এ, বি, সি, কে, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফাইবার আরো আছে এন্টিমাইক্রোবিয়াল এবং এন্টিইনফ্লামেটরি উপাদান। একজন গর্ভবতী মা ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানের অভাবের কারণে অনেক সময় 

নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে আর এজন্য যদি তারা নিয়মিত কচু শাক খায় এ সময় তাহলে তারা ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে পারবে। তাহলে আপনারা আজকে জেনে নিন আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
  • আমরা সকলেই জানি কচুশাকে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ আর এটা আমাদের রাতকানা এবং চোখের ছানি পড়া রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে সেই সাথে আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আর গর্ভাবস্থায় যদি একজন গর্ভবতী মহিলা কচু শাক খায় তাহলে তার ভিটামিন এ এর অভাব পূরণ হবে এবং সেই সাথে তার পেটের সন্তানের চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
  • একজন গর্ভবতী মহিলা যদি নিয়মিত ভাবে তাহলে তার শরীরে রক্তের ঘাটতি হবে না এবং রক্ত পরিষ্কার হবে এবং নতুন রক্ত উৎপাদন হবে।
  • গর্ভবতী মহিলাদের পেটে অনেক সময় বদহজমের সমস্যা হয় আর এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তারা কচু শাক খেতে পারেন তাহলে বদ হজমের সমস্যা দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
  • একজন মা যদি তার সন্তান হওয়ার আগে নিয়মিতভাবে কচু শাক খায় তাহলে সন্তান জন্মের পরে সেই সন্তান পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাবে।
  • কচুশাকে আছে ক্যালসিয়াম আর এ ক্যালসিয়াম শিশুর হাড় গঠনে সাহায্য করে এজন্য একজন গর্ভবতী মহিলা যদি কচু শাক খায় তাহলে তার শিশুর হাড়ের গঠন ভালো হবে মজবুত হবে।
  • একজন গর্ভবতী মহিলা ভিটামিন এবং প্রোটিনের অভাব দূর করার জন্য নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন কচু শাক।
উপরের বিষয়গুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে এবং বুঝতে পারছেন যে একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য কচু শাক কতটা প্রয়োজনীয়। গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলা কে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম ক্যাপসুল খেতে হয় আর এজন্য যদি কেউ আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয় এ সময় তারা এই ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম ক্যাপসুল এর পরিবর্তে নিয়মিতভাবে কচু শাক খেতে পারেন তাহলে তাদের শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে এবং সুস্থ থাকতে পারবেন মা এবং শিশু।

কচু খেলে কি প্রেসার বাড়ে?

কচুশাকে আছে কার্বোহাইড্রেট, ফ্লাভোনয়েড,স্যাপোনিনস এবং টেনিনস যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া কচুর ডাঁটায় আছে অনেক পানি যা গরমের সময় যদি আমরা রান্না করে খায় তাহলে আমাদের শরীরে পানির অভাব পূরণ হবে। নিয়মিত কচু শাক খাওয়ার ফলে আপনারা হৃদরোগের এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারবেন। এছাড়াও কচুশাকে ভিটামিন এ আছে যা আমাদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং আছে ভিটামিন সি যার কারণে আমাদের

শরীরের ক্ষত সেরে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে কচু শাক। আবার কচুশাকে আছে এন্টিইনফ্লামেটরি এবং এন্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যেগুলোর কারণে আমরা আমাদের শরীরে যে কোন রকমের প্রদাহ কমাতে পারি। কচুশাকে আছে অনেক পুষ্টিগুণ আছে ক্যালসিয়াম এবং লৌহ। এটা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের লৌহ এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে সক্ষম পুষ্টিবিদদের মতে। নিয়মিত কচু খাওয়ার ফলে আপনারা

কোলন ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারবেন এবং রক্তে কোলেস্টেরল কমে যায় উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ওল কচুর রস বেশ উপকারে আসে। আবার আপনাদের মধ্যে যাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা আছে তারা নিয়মিত কচু খেতে পারেন এতে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে এবং আপনাদের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে রাখতেও সাহায্য করে এটা।

কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা 

আমাদের সুস্থ থাকার জন্য বেশি পরিমাণে শাকসবজি খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। আর এগুলোর মধ্যে উপকারী একটা শাক হচ্ছে কচু শাক এই কচু শাকের অনেক পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা আছে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য। কচু শাক আমরা ভর্তা করে ইলিশ এবং চিংড়ি মাছ, ছোট মাছ ও শুটকি মাছ দিয়ে তরকারি হিসেবে রান্না করে খেয়ে থাকি অনেকেই। এই কচুশাকে আছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম যা আমাদের হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে ডাক্তারেরা কচু শাক খাওয়ার কথা

বলে থাকেন। কচু শাক খাওয়ার ফলে আমাদের ডায়াবেটিস এবং কোলন ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার এর ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে পারি। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং হজম শক্তি বাড়ে। এই সাথে থাকে ভিটামিন এ রোগ এবং চোখের ছানি পড়ার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এছাড়াও আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এই শাক খাওয়ার ফলে আমরা আমাদের প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদার অনেকটাই অংশ পূরণ করতে পারি। এই শাকে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এই শাকের প্রতি ১০০ গ্রাম

পরিমাণে শাকের মধ্যে আছে প্রোটিন ৩.৯ গ্রাম, শর্করা আছে ৬.৮ গ্রাম এবং লৌহ আছে ১০ মিলিগ্রাম। এছাড়াও ভিটামিন বি-১ আছে ০.২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ আছে ০.২৬ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন সি আছে ১২ মিলিগ্রাম। চর্বির পরিমাণ ১.৫ গ্রাম ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ২২৭ মিলিগ্রাম এবং খাদ্য শক্তি আছে ৫৬ কিলো ক্যালরি। নিচে কচু শাকের উপকারিতা বলা হলো
  • কচু শাকে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাঙ্গানিজ এগুলো আমাদের হাড় এবং দাঁতের গঠনের জন্য অনেক উপকারী। আপনারা যদি নিয়মিত কচু শাক খান তাহলে আপনাদের দাঁত এবং হাড় ভালো থাকবে সেই সাথে আপনাদের শরীরের ক্ষয় রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
  • কচু শাকে থাকে আইরন আর এই আইরন আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা থেকে আমাদের রক্ষা করে থাকে যাদের শরীরের রক্তের পরিমাণ কম তাদের কচু শাক খাওয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা।
  • কচুশাকে আছে ফাইবার যা আমাদের খাবারকে সহজেই হজম করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা আছে তারা এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন কচু শাক খেতে পারেন তাহলে এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • অনেক পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে কচুশাকে আর এজন্য আমাদের দেহে লৌহ উপাদান সহজেই আত্তীকরণ হয়। এছাড়াও ভিটামিন সি আমাদের শরীরের ক্ষত সারানোর কাজে সাহায্য করে এজন্য ছোটবেলা থেকে শিশুদের কচু শাক খাওয়ার কথা বলা হয়।
  • এই শাকে অনেক পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে আর এটা আমাদের রাতকানা রোগ এবং চোখের ছানি পড়া রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ সারানোর জন্য কচু শাকের কোন তুলনা হয় না।
  • কচু শাক খাওয়ার ফলে রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে এজন্য যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা খেতে পারেন কচু এবং কচু শাক। অর্থাৎ কচু এবং কচু শাক খাওয়ার ফলে আপনাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এর ফলে আপনাদের স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।
  • এছাড়াও আপনারা নিয়মিত কচু শাক খাওয়ার ফলে কোলন ক্যান্সার এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারবেন। এবং আমাদের রক্ত স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতেও সাহায্য করে।
  • কচুশাকে রয়েছে নানা রকমের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান আর এগুলো আমাদের গর্ভবতী মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। গর্ভবতী মহিলারা নিয়মিত কচু শা খাওয়ার ফলে ভিটামিন এবং আয়রনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
  • কচু শাক আমাদের শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ সচল রাখতে সাহায্য করে। এই শাকে থাকা আইরন এবং ফলেট আমাদের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে আবার ভিটামিন কে আমাদের রক্তপাতের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
উপরের আলোচনা থেকে আপনারা তো এতক্ষণ কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলেন এবার আপনারা জানতে পারবেন কচু শাক খাওয়ার কিছু অপকারিতা সম্পর্কে
  • আপনাদের মধ্যে যাদের কচু শাকে অ্যালার্জি আছে তারা কচু শাক অথবা কচু খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • বেশি পরিমাণে কচু শাক খাওয়ার ফলে আপনাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • কচুশাকে আছে অক্সালেট নামের উপাদান আর এজন্য কচু শাক অথবা কচু খাওয়ার সময় আমাদের গলা চুলকায়। এটা থেকে আপনারা মুক্তি পেতে রান্না করার সময় লেবুর রস এবং তেতুল ব্যবহার করতে পারেন।

কচু শাকে কোন ধাতু থাকে

কচু শাকে থাকে লোহা ধাতু। কচু শাক নামের এই সবজিটি অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ আবার এই সবজিটির আগাগোড়া সব অংশই খাওয়া যায়। কচুর মূল উপাদান হচ্ছে আয়রন যা আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে পারে যার ফলে শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক রাখা সম্ভব। প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কচুর শাকে আছে খাদ্য শক্তি ৫৬ মিলিগ্রাম। আরো আছে প্রোটিন ৩৯ গ্রাম, চর্বি আছে ১৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম আছে ২২৭ মিলিগ্রাম এবং ৬.৮ গ্রাম পরিমাণ আছে শর্করা, এছাড়াও আরো আছে ভিটামিন এ, বি এবং সি আয়রনের 

পরিমাণ হচ্ছে ১০ মিলিগ্রাম। এই কচু শাক খাওয়ার ফলে আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি যেমন রাতকানা, চোখের ছানি পড়া, হৃদরোগের ঝুঁকি, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি, কোলন ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও এতে থাকা এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান আমাদের শরীরের যে কোন রকমের ক্ষত সারাতে এবং প্রদাহ সাহায্য করে থাকে। আবার কচুশাকে আছে অক্সালিক এসিড এজন্য এই শাক খাওয়ার পরে গলা চুলকায়।

কচু ও কচু শাক খেলে গলা চুলকায় কেন?

কচু ও কচু শাক খেলে গলা চুলকায় কেন এ প্রশ্ন অনেকেরই থাকে এর কারণ হচ্ছে কচুতে থাকে র‍্যাফাইড। এই র‍্যাফাইড এর কারণে আমরা যখন কচু ও কচু শাক খায় তখন এটা আমাদের গলায় আটকে যাওয়ার কারণে তখন আমাদের গলা চুলকায়।র‍্যাফাইড এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ক্যালসিয়াম অক্সালেট। কচু গাছের সম্পূর্ণ অংশেই অর্থাৎ মূল, কাণ্ড এবং পাতা সমস্ত টাতেই এই যৌগটি থাকে আর এগুলি হচ্ছে গাছটির রেচন পদার্থ। এর গড়ণ হয় অনেকটা সূচের মতন আর এজন্যই যখন আমরা কচু খায় তখন এগুলো আমাদের 
গলায় বিধে যাওয়ার ফলে আমাদের গলা চুলকায়। যখন খুব গরম হয় তখন এই র‍্যাফাইড এর বেশিরভাগ অংশই গলে যায় আবার আমরা যখন কচু রান্না করে খাই তখন আমাদের গলা চুলকায় না। আবার অনেক সময় কিছু কিছু র‍্যাফাইড কচুতে অক্ষত অবস্থায় থেকে যায় আর এটা আমাদের গলায় অস্বস্তিকর অবস্থার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই র‍্যাফাইড আবার অনেক সময় আমাদের রক্তের সাথে মিশে কিডনি পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং যার কারণে পরবর্তীতে কিডনিতে পাথর জমার কারণ হতে পারে। আর এর থেকে বাঁচার জন্য আপনারা 

কচুর গায়ে লেবুর রস অথবা তেতুল এর রস লাগিয়ে দিতে পারেন কারণ এগুলোতে থাকে সাইট্রিক এবং টার্টারিক অ্যাসিড। এর ফলে কচু খাওয়ার সময় আমাদের গলায় অস্বস্তিকর অবস্থা হবে না এবং গলা চুলকাবে না। শুধু কচুর ক্ষেত্রেই নয় এটা ওলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য অর্থাৎ আপনারা র‍্যাফাইডের থেকে বাঁচার জন্য লেবু এবং তেঁতুল ব্যবহার করতে পারেন।

কচু শাক খেলে কি ওজন কমে?

কচু শাক খেলে কি ওজন কমে এ বিষয়ে হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না হ্যাঁ কচু শাক খেলে আপনাদের ওজন কমবে। কারন এই কচু শাকে ক্যালরির পরিমাণ কম ফাইবারের পরিমাণটা বেশি থাকে। এর ফলে কচু শাক অথবা কচু খাওয়ার ফলে আমাদের পেট অনেক সময় ধরে ভরা থাকে এবং আমাদের খাবার খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমে যায় যার ফলে আমাদের ওজন কমতে শুরু করে। এজন্য আপনারা যারা ওজন কমাতে চান তারা কচু অথবা কচু শাক খেতে পারেন। শুধু এটা আমাদের ওজন কমাতে যে সাহায্য করে তা

নয় এটা আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। কারণ কচুতে আছে ভিটামিন এ, সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর এগুলো আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও এটা খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হজম শক্তি বাড়ে। কচু শাক খাওয়ার ফলে এতে থাকা ভিটামিন এ আমাদের রাতকানা এবং চোখের ছানি পড়া রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।

কচুতে গলা ধরলে কি করা উচিত?

আমাদের অনেকেরই কচু খাওয়ার ফলে গলা চুলকায় কারণ কচুতে থাকে র‍্যাফাইড নামের যৌগ। এই যৌগটির বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ক্যালসিয়াম অক্সালেট। এই র‍্যাফাইড এর কারণে আমরা যখন কচু অথবা কচু শাক খায় তখন এগুলো আমাদের গলায় আটকে যায় এবং গলা চুলকাতে শুরু করে। কচু গাছের সমস্ত অংশতেই অর্থাৎ মূল পাতা এবং কাণ্ড সমস্ত তাতেই এই যৌগটি থাকে এগুলো হচ্ছে গাছের রেচন পদার্থ। এগুলোর গড়ণ অনেকটা সুচের মত আর এজন্যই কচু খাওয়ার সময় এগুলো আমাদের গলায় বিধে যায় যার 

ফলে গলা চুলকায়। খুব বেশি তাপমাত্রার কারণে এ র‍্যাফাইড এর পরিমাণ গলে যেতে থাকে এজন্য রান্না করা কচু খাওয়ার ফলে আমাদের গলা চুলকায় না। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে র‍্যাফাইড কচুতে অক্ষত অবস্থায় থাকে এবং এগুলো আমাদের গলায় অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলতে পারে এবং এটা আমাদের রক্তে মিশে কিডনিতে পৌঁছাতে পারে এজন্য অনেক সময় কিডনিতে পাথর জমার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এটা। আপনাদের যদি কচু খাওয়ার ফলে গলায় চুলকায় বা গলা ধরে তাহলে কি করা উচিত এ বিষয়ে জেনে নিন। আপনারা কি করে কচুর 

এই র‍্যাফাইড থেকে সাবধান হবেন এ বিষয়ে বলা হলো। এজন্য আপনারা কচু খাওয়ার আগে কচুর গায়ে তেঁতুল এবং লেবুর লাগিয়ে দিতে পারেনা কারণ এগুলোতে থাকে সাইট্রিক এবং টার্টারিক অ্যাসিড। আর এই এসিড গুলো র‍্যাফাইডকে গলিয়ে দিতে পারে। যার ফলে এগুলো আমাদের গলায় আর অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলতে পারবে না এবং কি আমাদের কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। শুধু যে কচুর ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্যতা নয় এটা ওলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা এর গায়ে লাগাতে পারেন লেবু এবং তেতুল।

কচুতে হাত চুলকালে করণীয়

আমরা সকলেই কচু এবং কচু শাক ও কচুর লতি খেতে খুব পছন্দ করি এবং এগুলো আমরা রান্না করে খায় কারন এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। কচুশাকে আছে পটাশিয়াম যা আমাদের হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় আছে আয়রন যা আমাদের শরীরের রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ আমাদের রাতকানা রোগ এবং চোখের ছানি পড়া থেকে প্রতিরোধ করে এবং দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও আছে ভিটামিন বি এবং সি। ভিটামিন সি আমাদের ক্ষত সারাতে এবং প্রদাহ

কমাতে সাহায্য করে এতে থাকা এন্টিমাইক্রোবিয়াল এবং এন্টিইনফ্লামেটরি উপাদান। কিন্তু এখন অনেকেই কচুর লতি এবং কচু খেতে চায় না এটা পরিষ্কার করার ভয়ে কারণ এটা পরিষ্কার করতে গেলে অনেকের হাত চুলকায়। আর এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা অনেকগুলি বিষয়ের দিকে নজর দিতে পারেন অথবা এর থেকে মুক্তির অনেকগুলো টিপস আছে যেগুলো মেনে চললে আপনাদের আর হাত চুলকাবে না।

কচু পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন নাঃ কচুর লতি কিংবা কচুর শাক অথবা কচু আপনারা কাটার আগে কখনোই পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন না কারণ এগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখার ফলে আপনাদের হাত আরো বেশি চুলকাবে। আবার আপনারা কাটার পরে এগুলো ধুয়ে নিয়ে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে রান্না করবেন আর যদি পানিতে ভিজিয়ে দেন তাহলে তাতে মেয়ের সাথে পারেন অল্প পরিমাণে লবণ। লবণে থাকে ক্ষার এজন্য আপনাদের হাত চুলকাবে না।

রোদে শুকিয়ে নিতে পারেনঃ কচু এবং কচুর লতি ভেজা জায়গায় বা জলাশয় হয় আর এজন্য কচু কাটার আগে অবশ্যই কিছুক্ষণ আপনারা রোদে শুকিয়ে নিতে পারেন। রোদে শুকানোর কারণে এগুলো শুকনো হবে আর এগুলো কাটার সময় ভেজা ভাব দূর হয়ে যাবে এবং তাতে হাত চুলকাবে না।

সর্ষের তেলঃ কচু অথবা কচুর শাক এবং কচুর লতি কাটার সময় আপনারা হাতে সরষের তেল লাগিয়ে নিতে পারেন। কারণ কচুর থেকে যে কস বা আঠা বের হয় তা আপনাদের হাতে লেগে চুলকাতে পারে। সরষের তেল আপনাদের হাতে লাগানোর ফলে চুলকানি থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে।

আঁশ ছাড়িয়ে নিনঃ কচু অথবা কচুর লতি পরিষ্কার করার সময় আপনারা এর আঁশ ছাড়িয়ে নিতে পারেন। আর এই আঁশ ছাড়ানোর জন্য আপনারা স্কচবাইট ব্যবহার করলে ভালো হবে এতে সম্পূর্ণ আঁশ উঠে যাবে এবং আপনাদের হাত চুলকাবে না।

ওপরের এই টিপস গুলো অবলম্বন করেও যদি আপনাদের হাত কচু অথবা কচুর শাক এবং কচুর লতি কাটার সময় চুলকায় তাহলে আপনারা এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নারকেলের তেল আপনাদের হাতে মালিশ করতে পারেন এতে করে তাৎক্ষণিক চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আবার কচু এবং কচুর লতি কচুর শাক পরিষ্কার করা বা কাঁটার সময় যদি আপনাদের হাত চুলকায় তাহলে আপনারা এর থেকে উপশম পাওয়ার জন্য লেবু ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ আপনারা লেবু কেটে যেখানে

চুলকাবে সেখানে ঘষতে পারেন এবং লেবুর রস দিয়ে আপনাদের হাত ম্যাসাজ করতে পারেন। কারণ লেবু হচ্ছে ভিটামিন সি এর ভালো উৎস এবং এটা ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। এই কাজটা করলেও আপনারা তাৎক্ষণিকভাবে চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন। আবার আপনারা এলোভেরা জেল দিয়ে আপনাদের হাত ম্যাসাজ করলে বা এটা কিছুক্ষণ আপনাদের হাতে লাগিয়ে রাখলে সাথে সাথে চুলকানি কমতে শুরু করবে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে আপনাদের জন্য গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এবং কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছে যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গর্ভাবস্থায় কচু শাকের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনারা যদি কেউ কচু শাক খেতে পছন্দ না করেন তাহলে আমার এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন এই শাক খাওয়ার ফলে কত উপকারিতা পেতে পারেন আপনারা। এজন্য এই পোস্টটি আপনারা শেয়ার করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url