অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানুন

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো আগে অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে এবং পত্রিকায় লেখালেখি করে আয় করার উপায় সম্পর্কে অনেক সঠিক তথ্য খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু পাননি যারা পাননি তারা আজকে আমার এ পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন এ বিষয়ে সম্পর্কে। এজন্য আপনাদের শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানুন
আজকে এখানে আমি এই পোস্টের মাধ্যমে অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে এছাড়া পত্রিকায় লেখালেখি করে আয় করার উপায়, ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার উপায়, লেখালেখির কাজ করাকে কি বলা হয় এছাড়াও আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে ছোট বড় অনেক প্রশ্ন ও উত্তর দিয়েছি। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক সঠিক তথ্য জানতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন। তাই এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য জানার জন্য আপনাদের অনুরোধ করছি এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভূমিকা

বর্তমান যোগ হচ্ছে ডিজিটাল বা ইন্টারনেটের যুগ। এখন ঘরে বসে মানুষ অনেক কাজ করছে অনলাইনের মাধ্যমে সেটা লেখা লেখি থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং করা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত আরও অনেক কাজ। আবার ঘরে বসে মানুষ এখন বিভিন্ন চাকরির আবেদন ফরম পূরণ করতে পারছে অনলাইনের মাধ্যমে। মানুষ এখন অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করছে আর এর জন্য অনেকগুলো ওয়েবসাইট আছে। যেগুলোর মাধ্যমে মানুষ এখন সহজেই লেখালেখি করে
আয় করতে পারছে এটা এটা বড় সুযোগ। আবার অনেকে এখন পত্রিকায় লেখালেখি করে আবার ফেসবুকে লেখালেখি করার মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করছে। তবে এ জন্য পত্রিকায় করার জন্য অনেক কয়েকটি নিয়ম মেনে চলে তারপরে পত্রিকায় লেখা প্রদান করতে হবে যেমন ব্যাকরণগত নিয়ম মেনে চলা সঠিক ইনফরমেশন দেওয়া কপি না করা ইত্যাদি আরো অনেক নিয়ম। ফেসবুকে লেখালেখি করে ইনকাম করার অনেক কয়েকটি উপায় এর মধ্যে হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং, ফেসবুক গ্রুপ থেকে এছাড়াও আরো অনেক উপায় আছে। 

লেখালেখির কাজ করাকে কী বলা হয়?

লেখালেখির কাজ করাকে বলা হয় ওয়ার্ড প্রসেসিং।

ওয়ার্ড প্রসেসিং এর অর্থ কি?

ওয়ার্ড প্রসেসিং এর অর্থ হচ্ছে শব্দ প্রক্রিয়াকরণ।

লেখালেখি সম্পাদনার প্রথম কাজ কোনটি?

লেখালেখি সম্পাদনার প্রথম কাজ কোনটি? এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর হবে বানান সংশোধন করা।

ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা কোনটি?

ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহারে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এডিটিং।

লেখা সম্পাদনার প্রয়োজনীয় কমান্ড পাওয়া যায় কোন মেনুতে

লেখা সম্পাদনার প্রয়োজনীয় কমান্ড পাওয়া যায় টাইপ মেনুতে এবং ক্যারেক্টার প্যালেটে।

পত্রিকায় লেখালেখি করে আয় করার উপায়

আপনি যদি নিজেকে একজন ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে তৈরি করতে চান এজন্য আপনাকে অনেকগুলো বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। আপনি যদি জাতীয় পর্যায়ের পত্রিকার ভালো রাইটার হতে চান তাহলে আপনাকে অনেকগুলো নিয়ম মেনে এবং আপনাকে আপনার লেখার মান কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে তবে আপনাকে ভালো পর্যায়ের কোন বড় পত্রিকার একজন ভালো লেখক হতে পারবেন এবং এর জন্য আপনাকে স্নাকত্তোর ডিগ্রী লাভ করতে হবে। পত্রিকায় লেখালেখি
করে যদি আয় করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ওদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে আবার অনেক সময় অনেক পত্রিকা লেখালেখির জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি যদি চান তাহলে এভাবেও উক্ত পত্রিকায় যোগাযোগ করে আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশে এখন অনেক কয়েকটি জনপ্রিয় পত্রিকা আছে সেগুলো হচ্ছে প্রথম আলো, যুগান্তর, সময় নিউজ, বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং জাগো নিউজ ইত্যাদি। এ সকল পত্রিকা এখন টিভি চ্যানেলগুলোতে ডিজিটাল পত্রিকা হিসেবে প্রকাশ পায়।

এ সকল পত্রিকায় কনটেন্ট পাঠানোর জন্য তাদের মূল ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে অথবা তাদের ইমেইলে ঢুকে তাদের সাথে কন্টাক করতে হবে।আপনাকে এ সকল নিয়মগুলো মানার পরে আপনি পত্রিকায় লেখালেখি করে ইনকাম করতে পারবেন। যে বিষয়গুলো আপনাকে মেনে চললে কাজ করতে হবে সেগুলোর নিচে বলা হলো

ব্যাকরণ নিয়ম মেনে লেখাঃ আপনি যদি জাতীয় পর্যায়ের কোন পত্রিকায় লেখা প্রকাশ করতে চান এবং সেখানে যদি লেখার মধ্যে বানান ভুল থাকে অথবা আপনি যদি ব্যাকরণ নিয়ম মেনে লেখা প্রকাশ করে পাবলিশ করেন তাহলে সেটা পত্রিকার ক্ষেত্রে আপনার লেখা এপ্রুভ হবে না বা করবে না। আপনি যদি বাংলা ভাষায় লেখেন তাহলে আপনাকে দেখতে হবে যেন ব্যাকরণগত ভুল না হয় এবং লেখার মধ্যে কোন বানান যেন ভুল না থাকে। অর্থাৎ আপনাকে একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটার হওয়ার জন্য গ্রামারের নিয়ম মেনে কন্টেন্ট লিখতে হবে।

সঠিক ইনফরমেশনঃ পত্রিকায় লেখা পাঠানোর আগে আপনি যে বিষয়ের ওপর লিখবেন সেটা বারবার পড়বেন এবং কোন তথ্য যেন সেখানে ভুল না থাকে। আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে রিসার্চ করে সেটা লিখতে হবে। অনলাইনে রিচার্জ করার জন্য আপনারা অনেক ওয়েবসাইট পাবেন। যে সকল ওয়েবসাইট থেকে সঠিক খবর বা ইনফরমেশন সংগ্রহ করতে পারেন এবং সেগুলো আপনার কনটেন্ট এর মধ্যে তুলে ধরতে পারেন।

কপি করা যাবে নাঃ পত্রিকায় লেখালেখি করার ক্ষেত্রে আপনাকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে লক্ষ্য দিতে হবে সেটা হলো কপি করা যাবে না অন্য কারো কনটেন্ট। আবার আপনি কখনোই গুগল এর বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকেও কোন তথ্য কপি করে আপনি কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন না বা সেগুলো পত্রিকায় লিখতে পারবেন না এতে করে সেটা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। আপনি যদি উইকিপিডিয়া থেকে কিছু টেক্সট কপি করেন তবে আপনাকে রেফারেন্স হিসেবে কপি করা টেক্সটের লিঙ্ক যুক্ত করতে হবে।

ক্রিয়েটিভ জ্ঞান থাকতে হবেঃ বর্তমানে ক্রিয়েটিভ জ্ঞান ছাড়া কোন কিছুই কল্পনা করা যায় না বা কঠিন। আর আপনি একজন ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই ক্রিয়েটিভ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে অনেক ভালো মানের মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। এখন মানুষ হাজার হাজার কনটেন্ট তৈরি করছে বিভিন্ন বিষয়ের উপর অথবা একই বিষয়ের ওপর গুগল থেকে সার্চ দিয়ে কিন্তু কারো সাথে লেখা মেলে না কারো। আপনার যদি বিষয়বস্তু একই থাকে তবে আপনাকে অবশ্যই ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট লিখতে হবে। 

আপনি কনটেন্ট এমন ভাবে সাজাবেন যেন পাঠক খুব সহজে আপনার কনটেন্ট পড়ে বুঝতে পারে বিষয়টা এবং আনন্দ মজা পায়। লেখালেখি করার মাধ্যমে আয় করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সৃজনশীল হতে হবে। আপনার যে বিষয়ের ওপর বেশি জ্ঞান আছে আপনি সেই বিষয়ের উপর লেখা সাজাতে পারেন নিজের মতো করে এবং পত্রিকায় লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে সৃজনশীলতার সাথে সাথে শব্দের অর্নামেন্ট গুলো বুঝতে হবে। আপনাকে অবশ্যই খাঁটি শুদ্ধ বাংলা ভাষা ব্যবহার করে কন্টেন্ট লিখতে বা সাজাতে হবে।
 
দ্রুত লেখার অভিজ্ঞতাঃ আগেকার দিনে মানুষ পত্রিকায় লেখা পাঠাতো খামে করে আর এখন ডিজিটাল যুগে মানুষ পত্রিকায় লেখা পাঠায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে। পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে আপনি যদি আয় করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই টাইপিং স্পিড বানাতে হবে। কারণ এখানে আপনাকে একটা সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে এই সময়ের মধ্যে আপনাকে পুরো লেখা তৈরি করে সেটা সাবমিট করতে হবে। আর এক্ষেত্রে যদি আপনার টাইপিং খুব ধীর গতি সম্পন্ন হয় তাহলে আপনি কন্টেন্ট সম্পূর্ণ করে সাবমিট করতে পারবেন না সময়ের মধ্যে। আপনার টাইপিং যদি দ্রুতগতি হয় তাহলে আপনি অনেকের থেকে এগিয়ে যাবেন।

মানসম্মত কনটেন্ট প্রদানঃ বর্তমানের যোগ হচ্ছে প্রতিযোগিতার যুগ এখানে সবার মধ্যে থেকে আপনাকে টিকে থাকতে হবে আর এটা একটা অনেক কঠিন লড়াই। এজন্য আপনাকে অনেক ভালো মানের কন্টেন্ট প্রদান করতে হবে। আপনাকে বিষয়ের দিকে অনেক লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সবার চাইতে আপনার কনটেন্ট ভালো মানের এবং ক্রিয়েটিভ সম্পন্ন হয়। পত্রিকাতে অনেক মানুষ আছে যারা আপনার চাইতেও অনেক ভালো কনটেন্ট প্রদান করে থাকবে এগুলোর 

মধ্য থেকে আপনাকে আরো ভালো মানের কনটেন্ট প্রদান করতে হবে। যেগুলো দেখে শুনে পড়ে অনেকেই বা অনেক ওয়েবসাইট আপনাকে কাজের জন্য নিযুক্ত করবে এবং আপনার লেখা কন্টেন্টগুলো ওদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে চাইবে।

পত্রিকায় লেখা পাঠানোর নিয়ম

আপনারা যখন খুশি তখন পত্রিকায় লেখা পাঠাতে পারবেন যত খুশি লেখা পাঠাতে পারবেন আপনারা। তবে লেখা গুলো আপনার নিজের মত করে লিখতে হবে অন্যর লেখা কখনোই চুরি বা কপি বা নকল করা যাবে না এবং সেগুলো পাঠানো যাবে না কারণ নকল ধরা পড়লে যে পাঠিয়েছে তার লেখা আর কখনোই পত্রিকায় ছাপানো হবে না। লেখাগুলো বাংলায় লিখতে হবে এবং লেখার সাথে অবশ্যই আপনাদের নিজের নাম, পূর্ণ ঠিকানা, যোগাযোগের নাম্বার, আপনার বয়স, পেশা, শ্রেণী এর ক্ষেত্রে স্কুল, কলেজ বা ভার্সিটির নাম এবং আপনারইমেইল ঠিকানা লিখে পাঠাতে হবে। এছাড়াও আরো
যে পত্রিকায় লেখা পাঠাতে চান সেই পত্রিকার ঠিকানায় ডাকযোগে অথবা সরাসরি সেই পত্রিকার অফিসে এসে লেখা পাঠাতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে খামের ওপরে সেই পত্রিকার নাম লিখতে হবে আর খামের ওপরে আপনার নাম ঠিকানা না লিখলেও কোন ক্ষতি হবে না। তবে প্রতিটি লেখার সাথে উপরের যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে তথ্য উল্লেখ করতে হবে। আপনারা যে পত্রিকায় লেখা পাঠাতে চান যেমন যদি ধরেন প্রথম আলো অথবা যুগান্তর হয় তাহলে সেই পত্রিকার ঠিকানা জেনে সেই ঠিকানার মাধ্যমে লেখা পাঠাতে পারেন। আবার সেই পত্রিকার ইমেইলের ঠিকানায় ও আপনাদের

লেখা মেইল করতে পারেন। ইমেইলে সাবজেক্ট দিবে আবার লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা এবং যে সকল তথ্য চাওয়া হবে সে সকল তথ্য দিতে হবে। ফেসবুক, স্কুল ম্যাগাজিনের অথবা পত্রিকার কোন ঘটনা যদি আগে প্রকাশিত বা লেখা হয়ে থাকে তাহলে সেগুলো পাঠানোর দরকার নেই। আপনার লেখা যদি ছাপা না হয় তাহলে আপনাকে সেগুলো আর ফেরত দেওয়া হবে না এজন্য আপনার কাছে লেখার একটা কপি রেখে তারপরে পাঠাবেন। গল্প কবিতা ছাড়াও আপনারা কোন মজার ঘটনা অথবা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা পাঠাতে পারবেন।

ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার উপায়

এখন অনেকেই ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করছে। ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার জন্য আপনাকে হাজার হাজার অডিয়েন্স থাকতে হবে তাহলে আপনি সহজেই ফেসবুক পেজ থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। আবার ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক মনিটাইজেশন এর দ্বারা। এর মাধ্যমে ফেসবুকে বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করার পরে সেগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আপনারা আয় করতে পারবেন। ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার অনেক অনেক কয়েকটি আলাদা উপায় আছে সেগুলো হচ্ছে

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনার যদি ফেসবুক পেজে অনেক ফলোয়ার ও লাইক থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করার উপায় হিসেবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে আপনার কাছে দুর্দান্ত। এটা হচ্ছে পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে আপনারা কোন প্রোডাক্টের প্রতিটি সেল এর থেকে কমিশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

স্পনসর্ড পোস্টঃ এটার মাধ্যমেও আপনারা চাইলে সরাসরি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটা হচ্ছে ধরুন কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস সম্পর্কে আপনি একটি রিভিউ লিখে সেটা আপনার ব্লগ অথবা ফেসবুক পেজে পাবলিশ করেছেন। এর জন্য কোম্পানি আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা দিবে কোম্পানির প্রোডাক্ট এর রিভিউ লিখার মাধ্যমে প্রোমোশন করলে।স্পনসর্ড পোস্ট এর মাধ্যমে যদি আপনারা ফেসবুকে লেখালেখি করে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির অথবা ব্র্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং আপনার ফেসবুক পেজে অনেক ফলোয়ার্স থাকতে হবে।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেসঃ ফেসবুক মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফেসবুকের একটা পণ্য কেনা বেচা বা ক্রয় বিক্রয় এর প্ল্যাটফর্ম। এটা হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক একটি সেবা প্রদান কেন্দ্র যেখানে থাকে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা একসাথে যুক্ত। এটার মাধ্যমে বিক্রেতা কোন পণ্য বিক্রি করার জন্য পোস্ট দিয়ে থাকে এবং যে কিনবে সে এই টা দেখে সেই পণ্যটি কিনতে পারবে। আপনি চাইলে এখানে আপনার নিজের কোন প্রোডাক্টও বিক্রয় করতে পারবেন এভাবে আপনারা ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুক গ্রুপ থেকেঃ ফেসবুকে এখন অনেক গ্রুপ আছে আপনার পছন্দ মতো আপনি যে কোন গ্রুপের সাথে যুক্ত হতে পারবেন। আপনি যদি কোন কনটেন্ট সার্ভিস প্রদান করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস সম্পর্কিত ফেসবুক গ্রুপের সাথে যুক্ত হতে হবে। এরপরে আপনি যে বিষয়ের ওপর  কনটেন্ট লিখতে চান সে ধরনের ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করে বা গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন আর এভাবে আপনাকে অনেক ক্লায়েন্ট কাজের জন্য নিয়ে থাকবে এবং এভাবেও আপনারা ফেসবুক গ্রুপ থেকে লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি ফেসবুকে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ফেসবুকে একটা পেজ খুলে সেখানে লেখালেখি করতে হবে। আপনি বিভিন্ন বিষয়ের বা  নিজের পছন্দের একটা বিষয়ের ওপরও লেখালেখি করে সেগুলো ফেসবুক পেজে আপলোড করতে পারেন । জনপ্রিয় কয়েকটি ব্লগ নিশ হচ্ছে টেকনোলজি, শিক্ষা বিষয়ক, অনলাইন ইনকাম এবং স্বাস্থ্য টিপস ইত্যাদি। ব্লগে আর্টিকেল লিখে নিজের ফেসবুক পেজে একটা সুন্দর ছবি দিয়ে পোস্ট করতে পারেন। এতে অনেক অডিয়েন্সরা  পড়বে এবং আপনি এর থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়ার্ড প্রসেসিং এর সুবিধা গুলো কি কি?

ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনারা নিচের কাজগুলো করতে পারেন।
  • লেখার মাঝখানে নতুন কোন লেখা সন্নিবেশিত করা যায় এবং অপ্রয়োজনীয় কোন লেখা মুছে দেওয়ার কাজ করা যায়।
  • কোন শব্দ বদলিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্য কোন নতুন শব্দ বসানো যায়।
  • বানান ভুল এবং ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন করা যায় এবং নির্ণয় করা যায়।
  • লেখার যেকোনো অংশ আপনি সহজে অন্য যে কোন অংশে কপি বা স্থানান্তর করতে পারবেন আপনারা।

অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট

এখন অনেকে অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করছে এজন্য অনেকগুলো ওয়েবসাইট আছে। আমাদের শিক্ষা জীবনে লেখালেখির চর্চা কথা বলে শেষ করা যাবে না। আর এই লেখালেখি কাজকে এখন অনেকেই ক্যারিয়ার হিসেবে দেখছে কারণ এখন অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করা যাচ্ছে। এই কাজটি আপনারা যেকোনো সময়ে বাসাতে বসে  করতে পারবেন। এখন এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে খুব সহজেই লেখালেখির কাজ পাওয়া যাচ্ছে এবং আয় করা যাচ্ছে। নিচে অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করার কিছু ওয়েবসাইট সম্পর্কে বলা হল 
  • রাইটিং ক্রিক
  • এসে শার্ক
  • রাইটারস ডট পিএইচ
  • ল্যান্সার হপ
  • অ্যাকাডেমিয়া রিসার্চ
রাইটিং ক্রিকঃ এই ওয়েবসাইটটি যাদের লেখালেখিতে হাতে খড়ি প্রয়োজন তাদের জন্য বেশ কার্যকর। এই ওয়েবসাইটটিতে সহজ এবং বিনামূল্যে লেখক এর নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে আর এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার জন্য সময় লাগে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা। আপনি যদি একবার লেখক একাউন্টটির অনুমোদন পেয়ে যান তাহলে এখানে লেখালেখির কাজ করার মাধ্যমে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন এবং টাকা উপার্জন করতে পারবেন। প্রথমে শুরুর দিকে প্রতি পৃষ্ঠার জন্য আপনাকে দেওয়া হবে চার ডলার এবং অভিজ্ঞদের দেওয়া হবে ১২ ডলার।

এসে শার্কঃ একটা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে আপনারা এই ওয়েবসাইটে এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ পেয়ে যাবেন। যাদের হাতের লেখা লিখিতে অনেক দক্ষতা আছে এমন অনেক শিক্ষার্থীদের জন্য এই ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে তারা হাত খরচ অথবা পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যেতে পারবে অর্থাৎ টাকা উপার্জন করতে পারবে। এই ওয়েবসাইটটিতে আপনারা আপনাদের নিজের পছন্দের বিষয়ের ওপর কাজ করতে পারবেন এটা সুযোগ আছে আবার কাজের মধ্যে কোন সমস্যা হলে সে বিষয়ে ক্লায়েন্টের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন।

রাইটারস ডট পিএইচঃ এই ওয়েবসাইটটি শীর্ষ একাডেমিক ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে একটি। এই ওয়েবসাইটিতে পেশাদার লেখক এবং গবেষকদের সাথে কাজ করা হয়। লেখকদের আবেদন অনুমোদনের জন্য এই ওয়েবসাইটটি সময় নেয় ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা এবং অনুমোদন পাওয়ার পর পরে এরা কাজ শুরু করা যেতে পারে। এখন বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক থাকার কারণে অনেক কাজ পাওয়া যায় আবার সমস্যা হলে কাজে সহায়তা পাওয়ার ব্যবস্থা আছে। কাজের ভিত্তিতে আপনাকে এই ওয়েবসাইট পদোন্নতির সুযোগ দিবে এবং সম্মাননাও দিবে। লেখালেখির কাজ ছাড়া এখানে আরো সম্পাদনা, প্রুফ রিডিং এবং উপস্থাপনার মত কাজও আছে।

ল্যান্সার হপঃ এই ওয়েবসাইটে কাজ করার অনেক ক্ষেত্র আছে। এই ওয়েবসাইটটিতে একাডেমিক লেখক এর পাশাপাশি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সম্পাদনা বিশেষজ্ঞ, ওয়েব কন্টেন্ট লেখক, কপিরাইটার ও ব্লগারদের নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এখানেও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে কাজ শুরু করতে হয়। এই ওয়েবসাইটটিতে ড্যাশবোর্ডের ব্যবস্থা আছে যার মাধ্যমে আপনারা লেখক এ কাজ দিতে পারবেন। পেমেন্ট এবং তথ্য সম্পাদনার বিষয়গুলো এখানে সুন্দরভাবে সাজানো থাকে।

অ্যাকাডেমিয়া রিসার্চঃ এই ওয়েবসাইটটি থেকে আপনি অবশ্যই লেখালেখির মাধ্যমে এটা ভালো ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আবেদনকারী কে অংশগ্রহণ করতে হয়। একাউন্ট অনুমোদন পাওয়ার পরে সাধারণ স্তরে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটটিতে লেখার জন্য প্রতি পৃষ্ঠা ৩ ডলার সম্মানী দেওয়া হয়ে থাকে। আবার আপনার হাতের লেখার মান ভালো হলে আপনি আরো বেশি সম্মাননা পাবেন আবার আপনার পদোন্নতির ব্যবস্থাও আছে। এই ওয়েবসাইটটি তে প্রায় সবই হাই স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ের লেখা হয়ে থাকে।

লেখালেখির জন্য কম্পিউটারে কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়

ওয়ার্ড প্রসেসর। ওয়ার্ড প্রসেসর হচ্ছে একটি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন যেটা ব্যবহার করা হয় সম্পাদনা করার কাজে যেমন ডকুমেন্ট প্রস্তুত করা সম্পাদনা ডকুমেন্টের গঠন নির্ধারণ করা ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করা এবং মুদ্রণ। বিশ্বের সর্বপ্রথম ওয়ার্ড প্রসেসর ওয়ার্ডস্টার যেটা ১৯৭৯ সালে মুক্তি পায়। অনেক প্রচলিত এবং ব্যবহৃত একটা ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যার হচ্ছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড।

লেখালেখির জন্য কোন সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়

লেখালেখির জন্য যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় সেটি হচ্ছে ওয়ার্ড প্রসেসর।

মাল্টিমিডিয়া বলতে কি বুঝ এবং মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার তৈরির প্রোগ্রাম কোনটি?

মাল্টিমিডিয়া হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যাতে অনেক ধরনের তথ্যকে যেমন শব্দ চিত্র এনিমেশন ভিডিও এবং লিপি ইত্যাদি একত্রে দর্শক বা ব্যবহারকারীদের কাছে উপস্থাপন করা হয় বা যায়। মাল্টিমিডিয়া দিয়ে আবার ইলেকট্রনিক মাধ্যম কেউ বোঝানো যেতে পারে এটার মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া সম্পর্কিত অনেক তথ্য তথ্য ধারণ সংরক্ষণ এবং ব্যবহার করা হয়। মাল্টিমিডিয়া বলতে বোঝায় যে কম্পিউটারের তথ্যগুলোকে অডিও গ্রাফিক্স ভিডিও ছবি এবং এনিমেশন আবার এর সাথে লেখাযুক্ত রেখে প্রকাশ করা যাবে।মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার তৈরির প্রোগ্রাম হচ্ছে ডিরেক্টর।

কোনটি কম্পিউটারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং কম্পিউটার ভাইরাস কোথায় অবস্থান করে?

ম্যালওয়্যার কম্পিউটারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।কম্পিউটার ভাইরাস অবস্থান করে মেমোরিতে।

সফটওয়্যার কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি?

নির্দেশনাবলের জন্য একটি সেট যায় একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়ারকে একটা কাজ সম্পাদন করার নির্দেশ দিয়ে থাকে তাকে বলা হয় একটি প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার প্রোগ্রাম। সফটওয়্যার প্রধানত দুই প্রকার সেগুলো হলো সিস্টেম সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার।

জনপ্রিয় ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার গুলো কি কি?

জনপ্রিয় ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়ার গুলো হচ্ছে
  • মাইক্রোসফটওয়ার্ড-MicrosoftWord (এটা সর্বশেষ সংস্করণ ২০১৩)
  • ওয়ার্ডপ্যাড-WordPad
  • গুগল ডক-Google Doc
  • ডব্লিউপিএস অফিস-WPS Office
  • লোটাস ওয়ার্ড প্রো-Lotus word pro
  • নোটপ্যাড-Notepad
  • ওয়ার্ড পারফেক্ট-WordPerfect(Windows only)
  • আপেল ওয়ার্ক-AppleWorks(Mac only)

আধুনিক অফিস ব্যবস্থাপনায় অপরিহার্য কোনটি

আধুনিক অফিস ব্যবস্থাপনায় অপরিহার্য হচ্ছে ওয়ার্ড প্রসেসর।

চিঠিপত্র লেখার জন্য উপযুক্ত প্রোগ্রাম কোনটি

চিঠিপত্র লেখা বা টাইপ করার জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সফটওয়্যার এর ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটারের ওয়ার্ড প্রসেসর দিয়ে বানানো কাজ বা তৈরি করা সংরক্ষিত কাজ হচ্ছে ডকুমেন্ট। চিঠিপত্র, বায়োডাটা, রিপোর্ট, মেমো, নথিপত্র এবং বই ইত্যাদি সব গুলো ডকুমেন্টের আওতায় পড়ে। অর্থাৎ চিঠিপত্র লেখার জন্য উপযুক্ত প্রোগ্রাম হচ্ছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সফটওয়্যার।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে আপনাদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি এবং অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত অনেক তথ্য দিয়েছে যার মধ্যে অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট এবং পত্রিকায় লেখালেখি করে আয় করার উপায় সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছে। অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে হচ্ছে রাইটিং ক্রিক,এসে শার্ক এবং রাইটারস ডট পিএইচ ইত্যাদি সম্পর্কে অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে। আপনাদের যদি এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url