ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সেরা ১০টি উপায় জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো আগে ঘরে বসে
অনলাইনে
আয় করার সেরা ১০টি উপায় এবং অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের ইনকাম করার ১০টি উপায়
সম্পর্কে অনেক সঠিক তথ্য বিস্তারিতভাবে জানার জন্য খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু
পাননি। যারা পাননি তারা আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন এজন্য শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।
আপনারা আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সেরা ১০টি উপায়
ছাড়াও অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের ইনকাম করার ১০টি উপায় সহ মাসে ২০ হাজার টাকা আয়
করার উপায় এবং ঘরে বসে মোবাইলে বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম ইত্যাদি বিষয়ে অনেক সঠিক
তথ্য বিস্তারিত ভাবে দিয়েছি। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক বিষয় সম্পর্কে
জানতে পারবেন এবং নিজে উপকৃত হবেন। আপনারা যদি অনলাইনে কাজ করার উপায় গুলো জানতে
চান তাহলে আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
বর্তমান যুগ হচ্ছে ইন্টারনেট কেন্দ্রিক যুগ। এখন সব কাজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
অনলাইনে করা হয় আর এই কাজটি আমরা ঘরে বসে করতে পারি আমাদের অবসর সময়ে। এখন ঘরে
বসে অনলাইনে কাজ করে আমরা অর্থ উপার্জন করতে পারি। এজন্য দরকার শুধু আপনাদের ভালো
একটা ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থার এবং একটা ভালো মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ অথবা
কম্পিউটারের তাহলে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করে টাকা উপার্জন করতে
পারবেন। নারী পুরুষ এবং
আরো পড়ুনঃঅনলাইন বাস টিকেট বুকিং বাংলাদেশ ২০২৪
ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং
করে, কনটেন্ট রাইটিং করে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে, ফ্রিল্যান্সিং করে,
গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে, ফেসবুক ও ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে
পারে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বা তারও বেশি। এ সকল কাজের পাশাপাশি
নারীরা ঘরে বসে টিউশনি করে, বাগান তৈরি করার মাধ্যমে এবং সেলাইয়ের কাজ করে ও
স্বাবলম্বী হতে পারে এবং বাড়তি টাকা ইনকাম করতে পারে।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার আসলেও কি কোন উপায় আছে? হ্যাঁ অবশ্যই আছে আর এ
কাজটি আপনারা অবশ্যই ঘরে বসেই করতে পারবেন। আপনার জীবনের অনেক অসুবিধা দূর করতে
সাহায্য করে এই টাকা। টাকা থাকলে আপনি একটা ভালো জীবন যাপন করতে পারবেন। পরিবারকে
এবং আপনার মা-বাবাকে আত্মীয়-স্বজন সবাইকে সাহায্য করতে পারবেন এবং আপনাকে দেখবেন
সবাই ভালবাসবে। আপনার যদি একটা কাজ থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই কারোর ওপর নির্ভরশীল
হবেন না। আমাদের জন্ম
হয়েছে সক্রিয় এবং উৎপাদনশীল হয়ে ওঠার জন্য এবং আপনি সমাজের কাছে অনেক
গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি হতে পারবেন। যদি আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন
তাহলে।আপনার যদি অভিজ্ঞতা জ্ঞান এবং দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি মাসে ২০ হাজার টাকা
অথবা তার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আজকে আমি আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে
আপনাদেরকে টাকা ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় বলবো অথবা আপনি কিভাবে মাসে ২০ হাজার
টাকা আয় করতে পারবেন তার অনেকগুলো উপায় সম্পর্কে।
ব্লগিং করেঃ আপনার যদি একটা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে তাহলে আপনি বাড়িতে
বসে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। এই কাজটি আপনি ঘরে বসে পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম
একজন ব্লগার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এ জন্য আপনাকে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা করে
নিতে হবে এবং এই পেশাতে আপনাকে হতে হবে সৃজনশীল লিখনশৈলী এবং ব্লগ পাবলিশ করার
জন্য ন্যূনতম অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের। আপনি এই কাজ নিয়মিত করার মাধ্যমেও আয় করতে
পারবেন।
ইউটিউবারঃ আসলে একজন ভালো ইউটিউবার হওয়া অত সহজ বিষয় নয় বিষয় নয় অথবা
ইউটিউবে আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তোলা খুব সহজ নয় কারণ এখন এতে অনেক প্রতিযোগিতা
হচ্ছে। এজন্য আপনাকে হতে হবে সৃজনশীলতা ভিডিও বানানোর জন্য প্রচুর ধৈর্য এবং
সম্পাদনা সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা। এই কাজটি আপনি যখন খুশি আপনার মন মত করতে
পারবেন এবং একজন সফল ইউটিউবার হতে পারলে আপনি অবশ্যই এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
কনটেন্ট রাইটিংঃ বর্তমানে এখন অনেক কনটেন্ট রাইটিং এর ব্যাপক চাহিদা আছে
প্রত্যেকেই এখন তার নিজস্ব একটা প্রতিষ্ঠা তৈরি করার জন্য যত্নশীল হয়ে উঠছে। এখন
অনেকেই অনলাইন এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন কন্টেন্ট রাইটিং করে অর্থ
উপার্জন করছে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার বিষয়ে নজর দিতে হবে
কনটেন্ট রাইটিং করার ক্ষেত্রে।
ট্রান্সলেশন পরিষেবাঃ আপনি যদি কোন আঞ্চলিক অথবা আন্তর্জাতিক ভাষার ওপর
চরমভাবে দখল করে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই অনুবাদ
পরিষেবা বা ট্রান্সলেশন এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে কোন
বিনিয়োগ করতে হবে না। আপনার থাকতে হবে একটি কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান এবং
ভাষাগত জ্ঞান তাহলে আপনি পারবেন।
এসইও এক্সপার্টঃ এই সেক্টরটি আসলে পুরোপুরি ভাবে প্রযুক্তিগত এর মধ্যে
পড়ে। আপনি যদি প্রযুক্তি ব্যাপারে শিখতে এবং জানতে আগ্রহী হন এবং সার্চ ইঞ্জিল
অপটিমাইজেশন শিখতে পারেন তাহলে আপনি এই এসইও অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা
প্রধান গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার সম্পর্কে কাজ করতে পারবেন। কোন এসইও এক্সপার্ট
সম্পন্ন ব্যক্তির দায়িত্ব থাকে তাকে এমন সব কীওয়ার্ড খুঁজে বের করতে হবে এবং
সেটা একটি সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানি অথবা ক্লায়েন্টেড ওয়েবসাইটের রেংকিং বাড়াতে
সাহায্য করে।
ওয়েব ডিজাইনঃ ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে ওয়েব পেজ লেআউট এবং ডিসাইন করার কাজ। এ
কাজে আপনাকে ডিজাইন তৈরি করার জন্য পারদর্শী এবং যথেষ্ট সৃজনশীলতা ভিত্তিক হতে
হবে। আপনি যদি ভাল ওয়েব ডিজাইনার হন তাহলে আপনি অবশ্যই এ কাজের মাধ্যমেও টাকা
ইনকাম করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিংঃ এখন অনেক মানুষ ডিজিটাল বিশ্বের দৌলতে অনেক কোম্পানি বা এজেন্সি
তাদের সম্পর্কে প্রচারণার জন্য অনেক নতুন নতুন ভিডিও বানিয়ে সেগুলো ইউটিউব
ফেসবুকে ছাড়ছে।এ কাজটি করার জন্য আপনাকে পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম ভিডিও এডিটিং এর কাজগুলো দেখে
শিখে তারপরে কাজগুলো করতে হবে তাহলে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েব ডেভেলপিংঃ আপনার যেকোনো ওয়েব পেজের বিকাশ এবং সঠিক উপস্থাপনা করার
ক্ষেত্রে একজন ওয়েব ডেভলপারের চরম দায়িত্ব ও ভূমিকা থাকে। তাকে কোডিং এবং
প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলো সমাধানের কাজ করতে হয়। একজন ওয়েব ডেভলপার হওয়ার জন্য
আপনাকে অবশ্যই মৌলিক প্রোগ্রামিং ভাষার ওপর অনেক দক্ষতা থাকতে হবে তাহলে আপনি
বাড়িতে বসেই এই কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ট্রাভেল রিভিউঃ আপনি যদি ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনি ট্রাভেল
রিভিউ এর মাধ্যমেও টাকা আয় করতে পারবেন। আবার আপনি যদি কোন ওয়েবপেজ ট্রাভেল
ব্লগ শুরু করেন তাহলে আপনি সেখান থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখন অনেক মানুষই
এ বিষয়ে সম্পর্কে পড়তে এবং শুনতে পছন্দ করে থাকে। এভাবে আপনি টাকা ইনকাম করতে
পারবেন এবং এই পেশাতে আপনার অনেক লাভের আশা থাকবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সপার্টঃ এখন অনেক মানুষই সোশ্যাল মিডিয়ায়
বিভিন্ন উপস্থাপনা করে থাকে এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে যাতে করে
সেখান থেকে বহু মানুষ এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পারে এবং মানুষের কাছে পৌঁছে যায়।
এজন্য আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে সঠিক বিজ্ঞাপন এবং বিজ্ঞাপনের বিবরণ গুলো
অনুসন্ধান করে তা সঠিক বিজ্ঞাপন পোস্ট করতে হবে। বর্তমানে এ পেশাটি এখন খুবই
জনপ্রিয় এবং অর্থ উপার্জনের একটা উপায় এই কাজটি আপনি পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম
করতে পারেন।
কনটেন্ট ক্রিয়েটরঃ একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটরের কাজ থাকে প্রমোশন এবং
বিনোদনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির ডোমেইনের ওপর কনটেন্ট তৈরি করা। এ ধরনের
কাজে অনেকটাই ভিডিও এবং রিটেন কন্টেন্ট করা হয়ে থাকে। এজন্য অর্থাৎ এ কাজের জন্য
দরকার হবে শক্তিশালী অনলাইন প্রেসেন্স।
অনলাইন টিচিংঃ আপনার যদি পড়াশোনার বিষয়ে ভালো থাকে তাহলে আপনি বাড়িতে
বসে অনলাইনে টিচিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে ভালো
ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা এবং যে বিষয়ে আপনি পড়াবেন সে বিষয়ে আপনার সঠিক জ্ঞান
এবং যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হবে তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষক হয়ে উঠতে
পারবেন। এ কাজের জন্য আপনাকে কোন অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে না এবং আপনি বাড়িতে বসে
টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রচারমূলক
প্ল্যাটফর্মের জন্য পোস্টার এবং বিজ্ঞাপন তৈরি করার কাজ করতে হবে। এই পেশার জন্য
আপনাকে সৃজনশীলতা এবং কম্পিউটার দক্ষতা থাকতে হবে। আপনি এই কাজ অনলাইনে করার
মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্টঃ ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হলে
আপনার কোন প্রযুক্তিগত বিদ্যার প্রয়োজন হবে না শুধু মাত্র আপনাকে অভিজ্ঞতা এবং
সৃজনশীলতার প্রয়োজন হবে। এর মাধ্যমে আপনাকে কোন পণ্য এর সঠিক প্রচারণার মাধ্যমে
এবং বিপণন সম্পর্কে জানতে হবে এবং আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সব সময় বিজ্ঞাপনের
কার্যকারিতা সম্পর্কে। এভাবে আপনি এ কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
কোডারঃ কোডিং করা যদি আপনার নেশা হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই নেশাকে আপনার
পেশায় পরিণত করতে পারেন। আপনি একজন ভাল কোডার হিসেবে অনলাইনে কাজ করতে পারবেন।
এখনকার মার্কেটে কোডারদের অনেক চাহিদা আছে। আপনি যদি অংকে এবং লজিক গেট গুলার
ব্যাপারে পারদর্শী হন তাহলে আপনি ভালো কোডার হওয়ার ক্ষমতা রাখবেন এবং এ কাজের
মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
সেলসঃ আপনি যদি ভাল কথা বলতে পারেন এবং এ বিষয়ে দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি
একজন সেলস ম্যান হতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এ
কাজের মাধ্যমে আপনাকে অবশ্যই আপনার পণ্য অথবা পরিসেবা বিক্রি করার উদ্দেশ্যে
আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে।
এইচটিএমএল এক্সপার্টঃ এইচ টি এম এল হচ্ছে ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং
ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যবহৃত কম্পিউ টিং ভাষা। এই ভাষা সম্পর্কে যদি আপনার ভালো
জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ওয়েব পেজ ডেভেলপমেন্ট এর সেক্টরে চাকরি করে টাকা
ইনকাম করতে পারবেন।
মার্কেট রিসার্চারসঃ আপনি যদি একজন ভাল মার্কেট রিসার্চর হন তাহলে আপনার
কাজ হবে সমগ্র ব্যবসা বিশ্লেষণ করা এবং সে ব্যবসায়িক পরিকল্পনার কোনো সমস্যা বা
ভুল থাকলে সেগুলো বের করে সহায়তা করতে হবে। এ কাজের মাধ্যমে আপনার মস্তিষ্কের
নমনীয়তা বাড়বে এবং আপনি নতুন নতুন ব্যবসায়ী কৌশল সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে
পারবেন। এ কাজের মাধ্যমেও আপনি অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
ঘরে বসে মোবাইলে বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম
অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার আরেকটি সবচাইতে জনপ্রিয় উপায় অথবা মাধ্যম
হচ্ছে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করা। আপনারা যদি বিনা খরচ এর মাধ্যমে ঘরে বসে
অনলাইনের মাধ্যমে অনেকের ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান
বা করতে পারেন তাহলে আপনার আর কোন কিছু করার দরকার হবে না। এখন অনেক মানুষ আছে
যারা ফেসবুক, ইউটিউব অথবা টুইটার ইত্যাদিতে সময় নষ্ট করে। আপনি যদি এ সময় টুকু
নষ্ট না করে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয়
করতে চান তাহলে আপনাকে সেই সকল সাইট খুঁজে বের করতে হবে যে সকল সাইটের বিজ্ঞাপন
দেখার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারা যায়। তাহলে আপনি জেনে নিন ঘরে বসে মোবাইলে
বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম করার উপায়। বিজ্ঞাপন হচ্ছে আমরা সকলে টেলিভিশন ইউটিউব এ
বিভিন্ন রকমের ছবি নাটক এবং গান দেখে থাকি এবং এটা দেখার সময় মাঝেমাঝে বিরতি
দেওয়া হয় এবং এই বিরতিতে প্রচার করা হয় বিভিন্ন রকমের কোম্পানির পণ্য যেমন
স্নো, বিস্কুট, সাবান, শ্যাম্পু
এবং আসবাবপত্র ইত্যাদি বিষয়ে অনেক তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছানোর এবং তুলে ধরার
জন্য সে সকল বিষয়ের উপর যে প্রচার-প্রচারণা দেখানো হয় তাই সেটাই হচ্ছে বিজ্ঞাপন
বা অ্যাড আপনি যদি বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনি ঘরে বসে এ কাজটি
করে টাকা আয় করতে পারবেন। আর এখান থেকে আয়ের টাকা আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট এর
মাধ্যমে পেয়ে যাবেন এখন এ সব কাজের অনেক জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এই কাজটি করার জন্য
আপনার
কোন প্রকারের দক্ষতার প্রয়োজন হবে না আপনাকে শুধু বিজ্ঞাপন দেখতে হবে।
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা আয় করার বিষয়টি আপনি বাংলাদেশ থেকেও করতে পারবেন এখান
থেকে আয় করার জন্য যে সকল ওয়েবসাইট অথবা টুল আছে সে সকল বিষয়ের নিচে আলোচনা
করা হলো
neobux.comঃ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি সহজেই এড বা বিজ্ঞাপন দেখার
মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এই ওয়েবসাইটটি অনেক পুরনো। এই ওয়েবসাইটের
মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক মানুষ হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে বিজ্ঞাপনদেখার
মাধ্যমে এছাড়াও এই সাইটে আরো অনেক কাজ আছে যেগুলো করে আপনারা ইনকাম করতে পারবেন
গেম খেলে। এই ওয়েবসাইটে আপনি প্রতিদিন এর থেকে দুই ঘন্টা কাজ করে বিজ্ঞাপন দেখে
এবং এছাড়াও
অন্য কাজের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য আপনাকে
একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং কাজ করার মাধ্যমে আপনি যে অর্থ উপার্জন করবেন সেই
টাকা আপনি পেয়ে যাবেন PayPal এর মাধ্যমে।
lrazoo.comঃ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। এজন্য আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘন্টা কাজ করেন তাহলে আপনি একটা ভালো
পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি এখানে একাউন্ট খুলে তারপরে সেটা
রেজিস্ট্রেশন করে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন এবং এর থেকে উপার্জিত টাকা আপনি
পেয়ে যাবেন পেপাল একাউন্ট এর মাধ্যমে।
slidejoyঃ অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যদি বিজ্ঞাপন দেখে টাকায় উপার্জন করতে
চান সে ক্ষেত্রে এই অ্যাপটি একটি জনপ্রিয় অ্যাপ এটি অন্য গুলোর মত ওয়েবসাইট
নয়। এটি হচ্ছে মূলত অ্যাপ। এই অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি কাজ করতে চাইলে আপনাকে গুগল
প্লে স্টোরে যেতে হবে এবং এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে তারপরে এটা ইন্সটল করে নিতে
হবে। আপনার
মোবাইল
হলে ইন্সটল হয়ে গেলে আপনার ফোনটি স্ক্রিন লক করে দিবেন এবং আপনার মোবাইল ফোনের
ডিসপ্লেতে অনেক বিজ্ঞাপন দেখাবে। এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম
করতে পারবেন।
অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের ইনকাম করার ১০টি উপায়
বর্তমান সময়ে অনলাইনে ছাত্র-ছাত্রীদের ইনকাম করার অনেক উপায় আছে এবং অনেক সাইট
আছে যেগুলোর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে
পারে
পড়াশোনার
পাশাপাশি। এখন চল্লিশ পারসেন্ট এর বেশি মানুষ অনলাইনে কাজ করছে এবং টাকা ইনকাম
করেছে। অবসর সময়ে কাজ করে ছাত্র-ছাত্রীদের টাকা ইনকাম করার সুযোগ আছে।
ছাত্রছাত্রীদের জন্য এখন আউটসোর্সিং খুবই সহজ বিষয়। এ সকল সাইটে কাজ করে
ছাত্র-ছাত্রীরা নিজে স্বাবলম্বী হতে পারবে তবে তাকে দক্ষ তার সাথে কাজ করতে হবে।
এভাবে কাজ করলে ছাত্রছাত্রীরা অবশ্যই অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারবে। আমার এই পুরো
আর্টিকেলে থাকবে অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের ইনকাম করার ১০টি উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা
ডাটা এন্ট্রি করেঃ বর্তমান সময়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ডাটা এন্ট্রি এর
মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করা সবচেয়ে সহজ উপায়। ছাত্র-ছাত্রীরা মোবাইল
ফোন অথবা ল্যাপটপ ও কম্পিউটার দিয়ে করতে পারবে সহজেই। ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো
হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির সিস্টেমে ইনপুট তথ্য, ও বৈধতা যাচাই-বাছাই করা এবং
তথ্যসম্পাদন করা অথবা কম্পিউটারে হাতের লেখা ফাইল টাইপ করার কাজ এই কাজগুলো
ছাত্র-ছাত্রীরা খুব কম সময়ের মধ্যে করতে পারে এবং টাকা ইনকাম করতে পারবে।
কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয়ঃ ছাত্রছাত্রীরা বিষয়বস্তু লেখার
মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারে। কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে কোন
বিষয়ের উপর তথ্য খুঁজে বের করে তার ওপরে লেখা আর এ কাজটি ছাত্রছাত্রীরা খুব কম
সময়ের মধ্যে করতে পারে এজন্য তাকে লেখার গতি ভালো হতে হবে এবং সৃজনশীলতা ভাষার
জ্ঞান থাকতে হবে। এর তাকে ভালো ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি কম্পিউটার বা
ল্যাপটপ এ কাজ করতে হবে। বর্তমান সময়ে বাংলায়
এবং ইংরেজি দুই ভাষাতে কন্টেন্ট রাইটিং করা যায় কিন্তু ইংরেজি ভাষাতে কন্টেন্ট
লেখার জন্য আপনাকে কোর্স করাই ভালো। ইংরেজি কনটেন্ট রাইটিং লেখার জন্য অনেক
ওয়েবসাইট আছে সেগুলো হচ্ছে
- আপওয়ার্ক
- ফ্রিল্যান্সার
- ফ্লেক্সজবস
- ফ্রিল্যান্স রাইটিং জবস
- প্রোব্লগার জব বোর্ড
- টেক্সটব্রোকার
মাইক্রোসফট অফিসঃ এখন অনেক অফিস গুলোতে মাইক্রোসফট এর বেশিরভাগ কাজ
ফ্রিল্যান্সার দের কাছে আউটসোর্সিং করে। আপনি যদি এ বিষয়ের ওপর ভালো অভিজ্ঞ এবং
দক্ষ হন এবং আপনার যদি এ বিষয়ের ওপর আলো জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই এ বিষয়ের
উপর কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট এবং
এক্সেল শিট ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে তাহলে আপনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ
বিষয়ের ওপর কাজ করতে পারবেন।
রিসেলিং করে অনলাইনে আয়ঃ বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন রিসেলিং প্ল্যাটফর্ম
আছে এবং বিদেশি ওয়েবসাইটও আছে এর মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে সপআপ রিসেলার। এই
ওয়েবসাইটে আপনি রিসেলার হিসেবে রেজিস্টার করার পরে আপনি এখান থেকে পণ্য বিক্রি
করে তার দাম এবং ছবি সংগ্রহ করতে হবে। এখানে আপনার কে পণ্যের দাম বাড়ানো এবং
মার্কেটিং করা লাগবে। যদি কোন পণ্যের দাম ১৫০ টাকা হয় তাহলে সেই পণ্যটি যদি আপনি
২০০ টাকা দামে বিক্রি করেন তাহলে আপনার
পঞ্চাশ টাকা লাভ থাকবে। এখানে আপনার কাজ হবে অর্ডার সংগ্রহ করা এবং অর্ডার সংগ্রহ
করার সময় গ্রাহকদের কাছ থেকে তার নাম মোবাইল নাম্বার এবং ঠিকানা জানতে হবে।
তারপরে এ সকল তথ্যগুলো আপনি রিসেলিন অ্যাকাউন্টে দিবেন এবং অর্ডার দিয়ে দিবেন।
তারপরে বাকি কাজটি অর্থাৎ পণ্য সংগ্রহ করবে সপআপ এবং অর্ডার ডেলিভারি করবেও সে
নিজে।
ইউটিউব থেকেঃ ইউটিউব থেকে ছাত্রছাত্রীরা সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবে এটা
কিন্তু নতুন বিষয় নয় তাদের কাছে। ছাত্রছাত্রীরা এখানে সহজেই মজার মজার ভিডিও
অথবা ভ্রমণ বিষয়ক রান্না বিষয়ক এছাড়াও আরো নানা বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন ভিডিও
আপলোড করে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবে।
ফেসবুক থেকেঃ ছাত্রছাত্রীরা ফেসবুকে বিভিন্ন রকমের ভিডিও আপলোড করে অর্থ
উপার্জন করতে পারে। এটাও তাদের কাছে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম অনলাইনে টাকা ইনকাম
করার। এছাড়াও ফেসবুকে গ্রুপ তৈরি করে ছাত্রছাত্রীরা টাকা ইনকাম করতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেঃ এখন ছাত্রছাত্রীরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
করে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারে এটি হচ্ছে তাদের কাছে আরেকটি অনলাইনে
টাকা ইনকাম করার উপায়। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে কমিশনের জন্য আপনার
নিজস্ব পণ্য বিক্রি করা হয় এবং যে কমিশন পাবেন সেটা আপনার লাভ। আপনি আপনার
বন্ধুকে বিদেশি টাকা দিয়ে অ্যামাজন আইফোন লিংক দিবেন এবং আপনার বন্ধুকে বলবেন
এখান থেকে কিনতে। তারপরে আপনার বন্ধু
অ্যামাজন থেকে সেই পণ্যটি কিনবে এবং আপনি সেই পণ্য থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে
কমিশন পাবেন। যদি এই কাজটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা যায় তাহলে কত লাভ হবে বুঝতে
পারছেন। এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যে সকল ওয়েবসাইটে
কাজ করে ছাত্রছাত্রীরা টাকা ইনকাম করতে পারবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমেঃ বর্তমানে ছাত্রছাত্রীরা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর
কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। এ কাজটি করার জন্য ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রথমে
গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং তাদের কাছে থাকতে হবে একটি ভালো
ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা এবং একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার। এই কাজ করার জন্য
তাকে অবশ্যই বেশি সময় দিতে হবে এবং ধৈর্যশীল হতে হবে।
ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকামঃ বর্তমানে ছাত্রছাত্রীরা নিজের এবং অন্যের
ওয়েবসাইটের জন্য ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারে। এ কাজের জন্য তাকে ভালো
মানের এবং সৃজনশীলতার ভিত্তিতে কোন বিষয়ের উপর ব্লক তৈরি করতে হবে এবং সেটা
পাবলিশ করতে হবে ওয়েবসাইটে। এভাবে ব্লগিং করেও ছাত্রছাত্রীরা ইনকাম করতে পারবে
অনলাইনের মাধ্যমে।
ভিডিও এডিটিং করেঃ বর্তমান সময়ে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি মোবাইল
অথবা ল্যাপটপ কম্পিউটারের মাধ্যমে ফেসবুকে ইউটিউবে অথবা ফটোশপে ভিডিও এডিট করার
মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারে। এজন্য তার ভালো ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা এবং
একটি ভালো স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে। এই কাজটি করা খুবই সহজ এই
কাজটি করতে বেশি সময় লাগবে না এজন্য এ কাজটি সহজে শিক্ষার্থীরা করতে পারবে।
নারীদের ঘরে বসে কাজ করার উপায়
নারীরা ঘরে বসে কাজ করার উপায় গুলো কি কি এ বিষয়ে আমার এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা
জানতে পারবেন। কোন কোন কাজ করে নারীরা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে মাসে
হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবে। এ সকল প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আমার এই
পোস্টে পড়বেন। বর্তমান যুগে এখন নারীদের ঘরের কাজ করে তার পাশাপাশি বাড়তি টাকা
আয় করার অনেক উপায় আছে। এখন হচ্ছে ইন্টারনেটের যুগ আর এই ইন্টারনেট সংযোগ
ব্যবস্থা থাকলে
এবং আপনার একটি ভালো ল্যাপটপ মোবাইল অথবা কম্পিউটার থাকলে আপনি ঘরে বসেবাড়তি
টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ঘরের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি একটু সময় বের করে নারীরা
দিনে দুই তিন ঘন্টা কাজ করে অথবা পাটটাইম বা ফুল টাইম অনলাইনে কাজ করে অনেক টাকা
উপার্জন করতে পারে। মেয়েরা এখন ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং ভিডিও এডিটিং এবং ফেসবুকে
ইউটিউবে মার্কেটিং করে আর্টিকেল লিখে ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে
পারে। এখন বর্তমান
যুগে ছেলেদের মত মেয়েরাও বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে ঘরে বসে এতে করে তারা তাদের
পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এবং নিজেও স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারছে। আর বিশেষ করে এখন
নারীদের ঘরে বসে কাজ করার অনেক উপায় আছে। নারীদের ঘরে বসে কাজ করার উপায় গুলো
কি কি সে সম্পর্কে বলা হলো
কনটেন্ট রাইটিংঃ বর্তমানে ছেলেদের পাশাপাশি নারীরাও কনটেন্ট রাইটিং অথবা
আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কন্টেন্ট
লিখে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয় করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইটে
লেখার মাধ্যমে বা অন্য কাউকে কনটেন্ট লিখে দেওয়ার মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে
পারেন।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেঃ মেয়েরা এখন ঘরে বসে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার
মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারে। আর এই চ্যানেলে আপনি ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে
নিজের ভিজিটর বাড়িয়ে ইনকাম করতে পারেন। এই চ্যালেন খোলার পরে আপনি যেকোনো
বিষয়ে যেমন রান্না হোক কিংবা ভ্রমণ যাত্রা বিষয়ক অথবা উদ্ভিদ সম্পর্কে আবার
মজাদার খাবার বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করে এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে
পারেন।
ফেসবুক গ্রুপ থেকেঃ আপনি ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে ফেসবুক থেকেও অনেক টাকা
উপার্জন করতে পারেন মাসে। এখন বর্তমানে মেয়েরা ফেসবুকে গ্রুপ তৈরি করছে এবং সেটা
বড় করছে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে। এখানে আপনাকে সদস্য সংখ্যা.১০ হাজার এর
বেশি সদস্য তৈরি করতে পারলে ইনকাম করতে পারবেন।এই গ্রুপে আপনি সদস্য সংখ্যা
যত বাড়াতে পারবেন তত আপনার ইনকাম বেশি হবে। আবার সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ার পরে
আপনারাই এখানে এফিলিয়েটে মার্কেটিং এবং ই-কমার্স পণ্য বিক্রি করেও আয় করতে
সক্ষম হবেন।
ব্লগিং করেঃ বর্তমান সময়ে অনেকরা নারীরা ব্লগিং করে অনেক টাকা উপার্জন
করছে ঘরে বসে মাসে। এজন্য আপনার নিজের ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে অথবা অন্যর
ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ব্লক তৈরি করে এটার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে
পারেন। ব্লগিং করার মাধ্যমে যদি আপনার টাকা ইনকাম করা শুরু হয়ে যায় তাহলে আপনার
এই ইনকাম কখনোই বন্ধ হবে না। যদি আপনি কাজ বন্ধ করে দেন তবুও আপনার ইনকাম চলতেই
থাকবে।
ভিডিও এডিটিং করেঃ বর্তমানে নারীরা এখন বিভিন্ন চ্যানেলে ভিডিও এডিটিং করে
টাকা ইনকাম করতে পারে ঘরে বসে। আপনার যদি এ বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি
অবশ্যই সফল হবেন। আপনি যদি একজন ভালো প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখেন তাহলে
আপনি অবশ্যই বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট যেমন ফ্রিল্যান্সার ডটকম এবং ফাইবার
ডট কম ইত্যাদি সাইটে ভিডিও এডিট করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।এছাড়াও নারীরা ঘরে
বসে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও এডিট করেও টাকা ইনকাম করতে পারে।
টিউশনি করেঃ আপনি যদি পড়াশোনার বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞ এবং পারদর্শী হন তাহলে
আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশনি করার মাধ্যমেও ঘরে বসে টাকা ইনকাম
করতে পারেন। এখন বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় নারীদের হোম টিউটর এর ক্ষেত্রে।
ফ্রিল্যান্সিং করেঃ এখনকার সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করে নারীরা ঘরে বসে টাকা
ইনকাম করতে পারে এটি লাভজনক এবং জনপ্রিয় মাধ্যম। এই কাজের জন্য আপনাকে
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলতে হবে এবং আপনি ক্লায়েন্ট খুঁজে কাজ
করতে পারেন।ক্লায়েন্ট আপনাকে যে কাজ দেবে সে কাজগুলো আপনাকে দক্ষতা এবং
অভিজ্ঞতার সাথে করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক কাজ আছে এর থেকে আপনি পছন্দ
মতো কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতেই পারেন। যথা ওয়েব ডিজাইন, কনটেন্ট
রাইটিং, ভিডিও এডিটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি ।
টিফিন সার্ভিসঃ মেয়েরা রান্নার কাজে পারদর্শী এবং মজাদার রান্না করতে
পারলে তারা টিফিন সার্ভিস এর কাজটি করতে পারেন ঘরে বসে। এখন শহরে অনেক চাকরিজীবী
মানুষ আছে যারা নিয়মিত খাবার তৈরি করার সময় পায়না যার ফলে তারা রেস্টুরেন্ট
থেকে খাবার অর্ডার করে খেয়ে থাকে। এসব লোকেরা টিফিন সার্ভিস ব্যবসায়ীদের খোঁজে
তাদের প্রতিদিনের খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করাতে চাই আর এই কাজটি মেয়েরাও ঘরে
বসে করতে পারে এতে করে টাকা উপার্জন সম্ভব।
বিউটি পার্লার থেকেঃ নারীরা সাজগোজের ব্যাপারে একটু নয় বেশি আগ্রহী।
বর্তমানে অনেক মেয়েরাই এখন বিউটি পার্লার দিয়ে থাকতে এবং এ থেকে টাকা ইনকাম
করছে। রূপচর্চার জন্য বিউটি পার্লার সমূহ অনেক দরকার আর মেয়েরা এই রূপচর্চার কাজ
করে থাকে বাড়িতে বিউটি পার্লার দিয়ে। এখানে তারা বিউটি ট্রিটমেন্ট করে থাকেন
এবং এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করার পথ খুঁজে বের করেছে এখন মেয়েরা।
গৃহপালিত পশু পাখি পালন করেঃ এখন বর্তমানে গ্রামের পাশাপাশি শহরের
মেয়েরাও গৃহপালিত পশু পাখি পালনের মাধ্যমে বাড়তি টাকা ইনকাম করছে। এই কাজটি
মেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি করে থাকে অবসর সময়ে। গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি ও কবুতর
ইত্যাদির খামার করে এখন অনেকে স্বাবলম্বী হচ্ছে আবার অনেক নারীরা উদ্যোক্তা
হচ্ছেন এবং এর থেকে বাড়তি টাকা ইনকাম করতে পারছে।
বাগান তৈরি করেঃ বাগান তৈরি করার মাধ্যমে যেমন বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন
রকমের শাকসবজি এবং ফলের বাগান করে বাড়তি টাকা উপার্জন করছে। এতে করে তাদের
পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে এবং এসব বাগান থেকে তৈরি শাকসবজি
বাজারে বিক্রি করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারছে। এখন এই কাজটি ছেলেদের
পাশাপাশি নারীরাও করছে। এখন নারীরা বিভিন্ন অনলাইন শপিং কমপ্লেক্স অথবা কৃষি অফিস
থেকে উন্নত জাতের বীজ অর্ডার করে সেগুলো রোপন করার মাধ্যমে বাগান তৈরি করছে।
ওয়েবসাইট বিক্রি করেঃ এখন নারীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট তৈরি করে সেগুলো
বিক্রি করার মাধ্যমে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারছে। আপনি ওয়েবসাইটে তৈরি করে
সেখানে আর্টিকেল লেখার পরে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রভাল পেয়ে গেলে আপনি সেখানে থেকে
টাকা ইনকাম করতে পারেন। যখন আপনি গুগল এডসেন্স অনুমতি পেয়ে যাবেন তারপরে আপনি
সেই ওয়েবসাইটটি বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন।
বেকারি ব্যবসাঃ বর্তমান সময়ে মেয়েরা এখন অনেক রকম বেকারি আইটেম তৈরি
করছে বাড়িতে বসেই আর এগুলো তারা অনলাইনে প্রচার করে বাড়িতে থেকে বিক্রি করতে
পারছে। নারীরা বাড়িতে বসে বেকারি বিজনেস শুরু করতে পারে এজন্য নারীরা একটি
ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়াতে পেজ খুলে সেখানে কাস্টমারকে অর্ডার দিতে পারবে
এবং পণ্য বিক্রি করতে পারবে এখন অনেকে অনলাইনে জিনিস অর্ডার করতে পছন্দ করে।
দর্জির কাজ করেঃ নারীদের ঘরে বসে আর একটি সহজ কাজ হচ্ছে দর্জির কাজ করা আর
এই কাজের মাধ্যমেও তারা টাকা ইনকাম করতে পারে। এতে করে তাকে দর্জি কাজে নারীরা
ঘরের কর্মসংস্থান আবার অনেকেই অন্যের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করছে। এখন অনলাইনে
বা অফলাইনে দর্জির কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় আর সেখান থেকে আপনারা কাজ শিখে
দর্জির কাজ করে সংসারের জন্য বাড়তি টাকা আয় করতে পারেন এবং নিজে স্বাবলম্বী হতে
পারেন। এ কাজের মাধ্যমে আপনি অন্যের জামা কাপড় সেলাই করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম
করতে পারেন।
অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট
বর্তমানে এখন বাংলাদেশে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার অনেক সাইট আছে। যেগুলোর
মাধ্যমে আপনারা নিশ্চিন্তে ঘরে বসে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এখন
বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় সাইট আছে অনলাইনে ইনকাম করার এ সকল সাইডে আপনার নিয়ে
আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এর মধ্যে কিছু আছে ফ্রি
অনলাইন ইনকাম সাইট। অনলাইনে ইনকাম বাংলাদেশী সাইট সম্পর্কে বলা হলো পয়েন্ট আকারে
ফাইবারঃ বাংলাদেশের বিশ্বস্ত একটি ফ্রিল্যান্সিং করার জনপ্রিয় মাধ্যম
হচ্ছে এই ফাইবার ডট কম। এই সাইটের মাধ্যমে আপনি কাজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে
অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে এখন বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এই ফাইবারে
কাজ করছে এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। আপনিও চাইলে এই সাইটে কাজ করে আপনার
দক্ষতার গিজ় তৈরি করার পরে সেটা ফাইবারে পাবলিস্ট করার পরে অনলাইন এর মাধ্যমে
অনেক টাকা আয় করতে পারেন।
আপওয়ার্কঃ ফ্রিল্যান্সিং করার আরেকটি জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে আপওয়ার্ক।
এখানে আপনারা অনেক রকমের ফ্রিল্যান্সিং কাজ যথা গ্রাফিক্স ডিজাইন আর্টিকেল রাইটিং
ডাটা এন্ট্রি ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি কাজ অনলাইনে এর
মাধ্যমে করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই সাইটটি একটি বিশ্বস্ত অনলাইন ইনকাম সাইট
বাংলাদেশের।
ফ্রিল্যান্সার ডটকমঃ এটি হচ্ছে আরেকটি সাইট যেটা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার
একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এখানেও অনেক রকমের ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায় এবং যেটা
করার মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
সহজ ডট কমঃ বাংলাদেশের মধ্যে একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি
বিশ্বস্ততার সঙ্গে যে কোন রকমের প্রোডাক্ট বা পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে অর্থ
উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে এই সাইটের অনেক সুনাম এবং খেতে আছে এজন্য আপনি
এখানে নিঃসন্দেহে কাজ করতে পারেন এটি একটি সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম করার
সাইট। এখানে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী অনেক রকমের পণ্য তৈরি অথবা বিক্রি করার
মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
পাঠাও ডট কমঃ সাইট শেয়ারিং করার ব্যাপারে এই পাঠাও ডটকম বাংলাদেশের মধ্যে
এখন প্রথম স্থানে আছে। এই সাইটের মাধ্যমে আপনি রাইট শেয়ারিং ডেলিভারি পরিষেবা,
গাড়ি চালানো এবং মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারেন।
এই সাইট শেয়ারিং টি ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগে চালু হয়েছে শুধু এটিও একটি বাংলাদেশ
সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইট।
বিক্রয় ডটকমঃ বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে বিক্রয় ডটকম এই
সাইটটি একটি রিয়েল ইনকাম করার সাইট। এই সাইটের মাধ্যমে আপনি অনেক রকমের পণ্য
বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। এই সব সাইটে আপনারা আপনাদের নিজেদের
পণ্য অথবা অন্য কোন পণ্য বিক্রয় ডট কম সাইটে প্রচারণার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের
মাধ্যমে বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন
অনলাইনের মাধ্যমে।
আমাজন ডট কমঃ আমাজন হল বিশ্বের সবথেকে বড় এবং জনপ্রিয় ই-কমার্স
প্ল্যাটফর্ম কোম্পানি। বাংলাদেশের এখন বেশিরভাগ মানুষ এই আমাজন ডট কম এ এফিলিয়েট
মার্কেটিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে এবং স্বাবলম্বী হচ্ছে। আপনি এখানে
বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্ট নিয়ে ফেসবুক এবং ইউটিউব এর মাধ্যমে প্রচার করার মাধ্যমে
এফিলেট কমিশন অর্জন করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং এটি হচ্ছে একটি
রিয়েল ইনকাম সাইট।
ফেসবুক এবং ইউটিউব ডটকমঃ আপনারা আবার ফেসবুক এবং ইউটিউব ডট কম এই সাইটের
মাধ্যমেও কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। এই সাইটে আপনারা আপনাদের বিভিন্ন রকমের ভিডিও
আপলোড এবং কনটেন্ট আপলোড করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ভিডিও তৈরি করার
মাধ্যমে তা ইউটিউবের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমেও আপনারা অর্থ
ইনকাম করতে পারেন। এই দুইটি সাইটই বাংলাদেশের সেরা অনলাইন ইনকাম করার সাইট এবং
বিশ্বস্ত।
গুগল ডটকমঃ বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিল অপটিমাইজেশন গুগল এর কথা
আমরা সকলেই জানি। এই সাইটের মাধ্যমে আমরা এমন কোন বিষয় নিয়ে যেটা জানতে পারি না
বা বুঝতে পারিনা। এখানে আপনারা ব্লগিং করে অথবা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক
রকমের অ্যাপ তৈরি করার মাধ্যমে গুগল থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এই সাইটটি ও
বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা অনলাইন ইনকাম করার সাইট যেখানে কাজ করার মাধ্যমে আপনি
আপনার ক্যারিয়ার সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারবেন।
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সেরা ১০টি উপায়
এখন বর্তমানে ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে টাকা আয় করা কল্পনা নয় এখন এটা বাস্তবে
করা যাচ্ছে। কারণ আজকের পৃথিবীতে হচ্ছে ইন্টারনেট কেন্দ্রিক এখন মানুষ সবকিছুই
অনলাইনের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছে বা সকল তথ্য জানতে পারছে আবার ঘরে বসে অনলাইনে কাজ
করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারছে। এখন ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আয় করার অনেক
উপায় আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা ঘরে বসে যে কোন সময় পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম
কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন
তাই দেরি না করে আপনারা অনলাইনে কাজের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা শুরু করে দেন।
এজন্য আপনাকে অনলাইনে কাজ করার অনেক কয়েকটি উপায় সম্পর্কে প্রথমে জানতে হবে এবং
আপনার থাকতে হবে একটি ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা। তবে এখন অনেক প্রলোভন এবং
প্রতারণার ফাঁদ আছে অনলাইনে এজন্য আপনাকে সতর্ক হয়ে সবকিছু বিষয়ে বুঝে তারপরে
অনলাইনের যাত্রা শুরু করতে হবে। তাহলে আপনারা জেনে নিন আমারে আর্টিকেলের মাধ্যমে
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সেরা ১০ টি উপায় সম্পর্কে।
ব্লগিং করার মাধ্যমেঃ আপনারা ঘরে বসে আয় করতে পারেন ব্লগিং করার মাধ্যমে।
এর জন্য আপনাকে ব্লগ সাইট তৈরি করে আপনার ব্লগ চালু করতে হবে এজন্য এখন অনেক ফ্রি
ব্লগ সাইট আছে আপনি সেখানেও ব্লগ চালু করতে পারেন। নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও
ব্লগিং করে সেখান থেকেও ইনকাম করতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইটে ব্লগ লেখালেখি করে
সেগুলো পাবলিশ করতে পারেন এবং পরে মানুষ আপনার ব্লগ সাইট ভিজিট করবে এবং আপনি
গুগল এডসেন্স এর আবেদন করার মাধ্যমে অ্যাড দেখার অনুমতি পেয়ে গেলে
বিজ্ঞাপনে ক্লিক থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স থেকেঃ আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারেন গুগল এডসেন্স থেকে। আপনার
ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ এ নির্দিষ্ট জায়গায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন বা এড দেখানো
হবে এবং যে ব্যক্তি আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট এবং বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনি
গুগল থেকে টাকা পেয়ে যাবেন। আপনি পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে করতে পারবেন এবং
আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর মাধ্যমে আপনার আয় বৃদ্ধি পাবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করেঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে
অন্য কারো প্রোডাক্ট প্রচারের মাধ্যমে সেটা বিক্রি করা। যেটার মাধ্যমে আপনি
বিক্রি করা প্রোডাক্টের বা পণ্যের দাম থেকে নির্ধারিত হারে একটা কমিশন পাবেন।
আপনার ওয়েবসাইট থেকে যত বেশি পণ্য বা প্রোডাক্ট বিক্রি হবে আপনি তত বেশি আয়
করতে পারবেন। এই মার্কেটিং এর জন্য সবচেয়ে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এখন অ্যামাজন।
ইউটিউব থেকেঃ বর্তমানে এখন অনেক ব্যক্তি ইউটিউবের মাধ্যমে ঘরে বসে টাকা
ইনকাম করতে পারছে। এখন ইউটিউবে চ্যানেল খুলে তারপরে সেখানে ভিডিও আপলোড করলে সে
ভিডিও মানুষ যত বেশি দেখবে বা যত ভিউ হবে আপনার চ্যানেলের ভিউ তত বাড়বে এবং
আপনার ইনকামও বাড়বে। এই চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার প্রয়োজন হবে নির্দিষ্ট সংখ্যক
পরিমাণে। আপনি যদি ভালো মানের এবং সৃজনশীল ভিডিও আপলোড করেন তাহলে আপনার ভিডিও
দেখার মাধ্যমে ভিউয়ার বাড়বে এবং বিজ্ঞাপন দেখে আপনি আয় করতে পারবেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্টঃ বর্তমানে অনেক ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট এর
চাকরি অনেক লোভনীয়। কারণ এ চাকরিটি আপনি ঘরে বসে অথবা পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত
থেকে কোন কোম্পানির ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হওয়ার চাকরি করতে পারেন। এ কাজের
মাধ্যমে আপনাকে যে কাজ দেওয়া হবে সেই কাজটি আপনি ঘরে বসে করতে পারেন এখন এই
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট এর অনেক চাহিদা আপনি দক্ষতা অনুযায়ী আপনার উপার্জন
বৃদ্ধি করতে পারবেন।
আর্টিকেল বা কনটেন্ট লিখেঃ আপনি আর্টিকেল অথবা কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে ঘরে
বসে আয় করতে পারেন। এই কাজের এখন অনেক চাহিদা আপনি ওয়েবসাইট অথবা যেকোনো পণ্য
সম্পর্কে নানা রকম কন্টেন্ট বানিয়ে অথবা লিখে কাজ করতে পারেন। আপনার লেখার ধরন
অনুযায়ী কন্টেন্ট এর দাম নির্ধারণ করতে পারবেন এবং এ কাজের মাধ্যমে আপনি অল্প
সময়ে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আবার আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট
লিখেও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করেঃ এখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে
মানুষ টাকা আয়ের অনেক উপায় বের করেছে বা উপায় আছে যেগুলোর মাধ্যমে অর্থ
উপার্জন করা যায়। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটার ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করার
মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। এই কাজটি আপনারা ঘরে বসে করতে পারবেন এবং সোশ্যাল
মিডিয়াতে মার্কেটিং এর কাজ নানা ভাবে করে আপনার পেজ এ ফলোয়ার বেশি এবং কোম্পানি
এর পণ্যের প্রচারণার মাধ্যমেও আপনি
টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনি পেজ বিক্রি করার মাধ্যমেও ঘরে বসে
আয় করতে পারেন। বর্তমানে সোশ্যাল মেডিয়া মার্কেটিং এর সব থেকে জনপ্রিয় মাধ্যম
হচ্ছে ফেসবুক।আপনি ফেসবুকে মার্কেটিং করে বা শিখে ঘরে বসেই টাকা আয় করতে পারেন।
মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করেঃ আপনারা ঘরে বসে এখন মার্কেটপ্লেসে
ফ্রিল্যান্সিং করে ও টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনাকে জানতে হবে কোথায়
সার্ভিস প্রদান করা হয় এবং এর মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে এখন
ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম এবং আপওয়ার্ক ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে কাজের অনেক
সুযোগ আছে। এ কাজ আপনি ঘরে বসেও করতে পারেন এবং আপনি অর্থ নিতে পারেন পেমেন্ট ও
ব্যাংকের মাধ্যমে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করেঃ আপনি ঘরে বসে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে অনলাইনে
টাকা আয় করতে পারেন। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে
অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমেও কাজ করে আয় করতে পারেন কিন্তু এ কাজে আপনাকে
দক্ষ এবং পারদর্শী হতে হবে। আপনি আপনার ডিজাইন বিক্রি করার মাধ্যমেও অনলাইনের
মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমেঃএখন আপনি ঘরে বসে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখানে আপনি
নিজের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনার
একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকতে হবে। আপনার যদি ওয়েবসাইট তৈরি করা না থাকে তাহলে
আপনি ওয়েব ডিজাইন কোর্স করার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। আপনার
ওয়েবসাইটের নাম হোস্টিং এবং থিম ইত্যাদি আপনার নিজের মতো করে করতে পারেন তারপরে
আপনি গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখার অনুমতি দেবে
গুগল এবং তারপরে আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনার
ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার মাধ্যম থেকে আপনি আয় করতে পারেন।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ম্যাক্সিমো ইনফো আপনাদের জন্য এই পোস্টটিতে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার
সেরা ১০টি উপায় সহ অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের ইনকাম করার ১০টি উপায় ছাড়াও অনলাইনে
আয় করার বিভিন্ন উপায় এবং বাংলাদেশী ওয়েবসাইট সম্পর্কে অনেক সঠিক তথ্য
দিয়েছে। আপনারা যদি অনলাইনে কাজ করার সেরা উপায় গুলো জানার মাধ্যমে অথবা কাজ
করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আমার এই পোস্টটি পড়বেন এতে করে
আপনাদের অনেক কাজে আসবে। তাই আপনাদের বলছি এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url