মাথায় নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো আগে মাথায় নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রসের
ব্যবহার এবং প্রতিদিন
কাঁচা পেঁয়াজ
খেলে কি হয় এ বিষয়ে অনেক সঠিক তথ্য খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু পাননি যারা পাননে
তারা আজকে আমার এ পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য আপনাদের শেষ
পর্যন্ত পড়তে হবে।
আজকে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জন্য পেঁয়াজ সম্পর্কিত অনেক তথ্য দিয়েছি।
অর্থাৎ মাথায় নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার, ১ কেজি পেঁয়াজের দাম কত
২০২৪ বাংলাদেশ, প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি হয়, পেঁয়াজের রস মুখে দিলে কি
হয়, পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বালা করে কেন এবং কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা
ছাড়াও অনেক বিষয়। এই বিষয়গুলো পড়ে আপনারা অনেক তথ্য জানবেন এবং উপকৃত করতে
পারবেন অন্য কেউ। এজন্য আপনাদের শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ করছি।
ভূমিকা
পেঁয়াজ আমরা অতি প্রাচীনকাল থেকেই রান্নার কাজে রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য
ব্যবহার করে আসছি এবং এর অনেক ঔষধি গুন আছে যেটা আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যকে ভালো
রাখতে সাহায্য করে। কারণ এতে আছে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন এবং উপাদান। পেঁয়াজ
ছাড়া যেন আমাদের রান্না সম্পূর্ণ হয় না অর্থাৎ আমরা সকল রকমের রান্না করার সময়
পেঁয়াজ ব্যবহার করে থাকি। পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে আমাদের হার্ট ভালো থাকে,
ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়, হাড় মজবুত করতে, রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়াতে,
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং হজম শক্তি আরো উন্নত করতে ইত্যাদি আরো নানা উপকারিতা
আছে। আমাদের মাথায় নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে আমরা পেঁয়াজের রসের ব্যবহার করতে
পারি। পেঁয়াজ বেটে নিয়ে তার থেকে রস বের করে নিয়ে তার সাথে নারিকেলের তেল
মিশিয়ে মাথায় ঘষতে হবে আলতোভাবে তারপরে শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে
হবে এতে করে আমাদের মাথায় নতুন চুল গজাবে এবং চুল পড়া সমস্যা রোধ হবে। ত্বকে
ব্যবহার করার ফলে ত্বকের বলি রেখা ও দাগ দূর হবে।
১ কেজি পেঁয়াজের দাম কত ২০২৪ বাংলাদেশ
আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ১ কেজি পেয়াজের দাম কত ২০২৪ এ বিষয়
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। আমরা অনেকেই এক কেজি পেয়াজের দাম কত এ বিষয়ে জানিনা
যারা জানেন না তারা জেনে নিন। পেঁয়াজ আমাদের সকলের রান্নাঘরের একটা অতি
প্রয়োজনীয় জিনিস যেটা ছাড়া আমাদের রান্না সম্পূর্ণ হয় না। সব রকমের খাবার
রান্না করার জন্য পেঁয়াজের দরকার হয়। কিন্তু বর্তমান বাজারে এক কেজি পেঁয়াজের
দাম ৯০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে
আবার পুরাতন পেঁয়াজের দাম আরো বেশি। কোন এলাকায় ১ কেজি পেঁয়াজের দাম ৯০ টাকা
আবার কোথাও ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। সব এলাকার বাজারে পেঁয়াজের দাম
এক রকম নয়। এজন্য আপনারা পেঁয়াজ কেনার আগে একটু বাজার দরকার যাচাই-বাছাই করে
তার পরে কিনবেন। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কিন্তু এক মাস আগেও পেঁয়াজের
দাম ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। আর এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ৯০ থেকে
১২০ টাকা কেজি। বাংলাদেশে এখন
প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১২০ টাকা করে। তবে কিছু কিছু
এলাকায় পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা কম বেশি হচ্ছে। আপনারা যদি এক বস্তা
পেঁয়াজ কেনেন সে ক্ষেত্রে দামটা একটু কমে পাওয়া যাবে। পাইকারি কিনতে গেলে একটু
কমে পাওয়া যাচ্ছে কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা কম খুচরার চাইতে। দেশি পেঁয়াজের দাম
আবার একটু বেশি কারণ এর চাহিদা ও বেশি হওয়ার কারণে। বর্তমানে এক কেজি দেশি
পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে.১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা দরে।
চুলের জন্য পেঁয়াজের উপকারিতা
আমরা সকলে পেঁয়াজের অনেক উপকারিতা সম্পর্কে জানি এটা খাওয়ার ফলে যেমন অনেক
উপকারিতা পাওয়া যায় সেমনি এটা আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী কারণ এতে আছে
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট গুণ এছাড়াও আছে অনেক রকমের পুষ্টি ও
ভিটামিন। এগুলো আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী। এ কথা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা
যারা জানে না তারা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। আপনারা পেঁয়াজের উপকারিতা যে
অনেক চুলের জন্য এ কথা জানলে অবাক হয়ে যাবেন।
এই সবজিটার অনেক উপকারিতা আছে এটা ছোট কিন্তু এর উপকারিতা অনেক বেশি বড়। এর সব
উপকারিতায় আপনি পাবেন একটি রিসাইক্লেবল বোতলের মধ্যে এতে রয়েছে স্টিম থেকে
পরিশোধিত পেঁয়াজের গন্ধ থেকে তৈরি নিষ্কাশিত তেল এটা অর্গানিক নারকেলের তেল আর
খাঁটি ব্ল্যাক সিড অয়েল আর আছে পাচোলি ফুলের মিষ্টি গন্ধ। লাভ বিউটি এন্ড
প্লানেট অনিয়ন ব্ল্যাক সিড এবং পাচোলি হেয়ার ফল কন্ট্রোল শ্যাম্পু এর কথায় আমি
আপনাদের বলছি। এই শ্যাম্পুটা আপনারা
ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনাদের চুলের বৃদ্ধি হবে এবং চুলকানি কমবে চুলের আগা
ফাটা ও চুল ঝরা কমে যাবে। এরই উপকারী তার কথা অর্থাৎ চুলের জন্য পেঁয়াজের
উপকারিতা বলা হলো
চুল ভাঙ্গা ঝরা কমাতেঃ পেঁয়াজে থাকে সালফার আর এই সালফার আমাদের চুলের
ফলিকল গুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের চুল ভেঙ্গে যাওয়া ঝরে
যাওয়া কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার হাত থেকে আমাদের
রক্ষা করে। ঘন এবং মজবুত চুলের জন্য এই সালফার অনেক প্রয়োজন চুলের বৃদ্ধি ঘটিয়ে
থাকে এবং চুল ওঠা কমায় এই সালফার। এছাড়া কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায় আবার পেঁয়াজ
আমাদের স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ফলে চুলের বৃদ্ধি ঘটে থাকে।
সংক্রমণ কমাতেঃ পেঁয়াজে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং
অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ আর এ সকল গুনের জন্য আমরা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে
পারি আমাদের স্ক্যাল্পকে। একটি গবেষণায় জানা যায় যে আমাদের
মাথার খুশকি
এবং উকুনের সমস্যা কমানোর জন্য পেঁয়াজ অনেক উপকারী। আমাদের স্ক্যাল্প যদি
সংক্রমিত হয় তাহলে চুল উঠতে পারে।
চুলকানি কমায়ঃ পেঁয়াজের পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে এন্টি ইনফ্লামেটরি
বৈশিষ্ট্য এর ফলে আমাদের স্কাল্পের চুলকানি এবং প্রদাহ ছাড়াও স্কাল্পের শুষ্কতা
কমাতে সাহায্য করে বা সক্ষম। আবার চুলের ফলিকল গুলোকে মজবুত করার জন্য পেঁয়াজ
দরকার।
অকালপক্কতা কমাতেঃ আমাদের চুলের ফলিকল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে চুল পাতলা
হয়ে যায় আর এর মূলে আছে ফ্রি র্যাডিক্যাল। পেঁয়াজে আছে অনেক
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর এই ফ্রি র্যাডিক্যাল এর আক্রমণ থেকে আমাদের চুলকে রক্ষা
করে থাকে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার ফলে আমাদের চুল গুলো পরিবেশগত বিভিন্ন রকমের
ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় এর ফলে আমাদের চুল পাকার সমস্যা কমে যায় এছাড়াও
চুলের অকালপক্কতা কমে।
চুলে আনে চমকঃ আপনারা যদি নিয়মিত পেঁয়াজ ব্যবহার করেন তাহলে আপনাদের চুল
স্বাভাবিকভাবে জেল্লা ফিরিয়ে আনতে পারবে সেইসাথে আপনাদের চুল চমকপ্রদ দেখাবে। এর
জন্য আপনাদের কোন কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করতে হবে না এজন্য আপনারা পেঁয়াজের উপর
ভরসা রাখতে পারেন।
ভাতের সাথে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি হয়
আমরা ডাল ভাত থেকে শুরু করে বিরিয়ানি এবং যেকোনো রকমের সুস্বাদু খাবারে আমরা
কমবেশি কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে থাকি। কারণ এটা খাওয়ার ফলে আমাদের খাবারের স্বাদ আরো
বেড়ে যায়। এটা যে শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় তা নয় এটা খাওয়ার ফলে আমরা অনেক
উপকারিতা পাব। কারণ পেঁয়াজের অনেক পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন আছে। কাঁচা পেঁয়াজে
আছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস ছাড়াও আরো অনেক পুষ্টিগুণ এগুলো আমাদের শরীরের অনেক
কাজে আসে। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার
ফলে আমরা অনেক রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারি। আমরা অনেকেই ভাতের সাথে কাঁচা
পেঁয়াজ খেয়ে থাকি কিন্তু হয়তো জানি না যে এটা খাওয়ার ফলে কি উপকার হয় বা
খেলে কি হয়। তাহলে আসেন জানা যাক
ভাতের সাথে
কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি হয় বা এর উপকারিতা কি এ বিষয়ে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েঃ আপনারা যদি আপনাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন। যারা প্রতিদিন কাচা
পেঁয়াজ খায় তাদের ঠান্ডা সর্দি কাশির মত রোগ দূরে থাকে। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার
ফলে আমাদের দেহে শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনারা যদি হজম ক্ষমতা
বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখুন ফাইবার জাতীয় খাবার। এটি
আপনার শরীরে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের রোগ কমাতে
সাহায্য করবে।
বাতের ব্যথা কমাতেঃ কাঁচা পেঁয়াজের এমন অনেক গুন আছে যা আপনারা খাওয়ার
ফলে আপনাদের এজমা, ব্রংকাইটিস এবং আর্থাইটিস এর মতন অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে
পারবেন। এজন্য আপনারা নিয়মিত কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
হাড় মজবুত রাখতেঃ আপনারা যদি হাড় মজবুত করতে চান তাহলে প্রতিদিন খেতে
পারেন কাঁচা পেঁয়াজ কারণ এতে আছে প্রচুর পরিমাণে সালফার। খাওয়ার ফলে আপনারা
অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে পারবেন।
স্মৃতিশক্তি বাড়াতেঃ আপনাদের স্মৃতিশক্তিকে আরও বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন
ভাতের সাথে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন এতে করে মস্তিষ্ক আরো ভালো হবে। পড়াশোনায়
মন বসবে এবং মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করবে কাঁচা পেঁয়াজ।
শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেঃ আপনারা যদি রক্তে সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন। কারণ এতে আছে ক্রোমিয়াম যৌগ
যা আপনাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের রাখবে অনেকটাই।
ত্বক ভালো রাখতেঃ আপনাদের ত্বক ভালো রাখার জন্য এবং আরো উজ্জ্বল খেতে
পারেন কাঁচা পেঁয়াজ। কারণ কাঁচা পেয়াজে আছে ভিটামিন সি অক্সিডেন্ট এবং আরো
অন্যান্য যৌগ আপনাদের মুখের বলি রেখা কমানোর কাজ করে থাকে কাঁচা পেঁয়াজ।
ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধেঃ কাঁচা পেঁয়াজে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ২৫
টিরও বেশি অনেক রকমের ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলি আমাদের অক্সিডেশনে
বাধা দেওয়ার কাজ করে সেই সাথে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো জটিল রোগ
প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।
কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা
পেঁয়াজ আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি সবজি। এই সবজিটা আমরা সকল রকমের রান্নার
কাজে ব্যবহার করে থাকে এবং এটা আমাদের খাবারের স্বাদ বাড়াতে পারে দ্বিগুণ
পরিমাণে। পেঁয়াজের মধ্যে আছে অনেক রকমের পুষ্টি ও ভিটামিন যেমন
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টিফাংগাল, এন্টিব্যাকটেরিয়াল, ভিটামিন সি, সালফার ও
ফাইটোকেমিক্যাল ইত্যাদি আরো নান রকমের যৌগ যেটা আমাদের মানব দেহের জন্য অতি
প্রয়োজনীয়। এগুলোর জন্য আমরা সুস্থ থাকতে পারি এজন্য আমাদের জানা উচিত কাঁচা
পেঁয়াজের
উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে আমাদের হজম শক্তি
বাড়ে চুল পড়া বন্ধ হয় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে ক্যান্সার ও হৃদ রোগ
নিরাময় করা সম্ভব ইত্যাদি আরও নানা উপকারিতা আছে। কাঁচা পেঁয়াজ আমরা ভাতের সাথে
অথবা অন্যান্য যেকোনো রকমের খাবারের সাথে খেয়ে থাকি এতে খাবারের স্বাদ আরো বেড়ে
যায়। এবার আমরা জানবো
কাঁচা পেঁয়াজের
উপকারিতা সম্পর্কে
রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণেঃ আপনারা যদি নিয়মিত পেঁয়াজ খান তাহলে আপনাদের
রক্ত চলাচল ঠিক বা স্বাভাবিক থাকবে যার ফলে আপনাদের হার্টের সমস্যা বা হার্ট
অ্যাটাক এর সম্ভাবনা কমে যাবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতেঃ যাদের হজমের সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ
খেতে পারেন এতে করে তাদের খাবার হজমের সমস্যা সমাধান হবে। কারণ কাঁচা পেঁয়াজে
আছে খাবার হজমের প্রয়োজনীয় এনজাইম যা আপনাদের খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য
করবে।
সংক্রমণ সারাতেঃ পেঁয়াজের মধ্যে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এন্টিসেপটিক
কারমিনেটিভ এবং এন্টিবায়োটিক পদার্থ। এই পদার্থগুলো আমাদের শরীরকে বিভিন্ন
সংক্রমণ এর হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে
আপনাদের শরীরের সংক্রমণ কমবে আবার সর্দি কাশির সমস্যার জন্য আপনারা পেঁয়াজের
রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার হবে। এছাড়াও গলা ব্যথা জ্বর কাশি এলার্জি এবং
গা ব্যথা ইত্যাদি রোগের জন্য কাঁচা পেঁয়াজ দারুন অনেক উপকারে আসে।
দাঁতের সংক্রমণ রোধেঃ দাঁতের সংক্রমণ রোধ করার জন্য আপনারা পেঁয়াজ খেতে
পারেন এতে বেশ উপকারিতা পাবেন। কাঁচা পেয়া চিবিয়ে খাওয়ার ফলে দাঁতের ফাঁকে
ঢুকে যাবে এবং জীবাণুগুলো মারতে সাহায্য করবে সেই সাথে আপনাদের দাঁতের সংক্রমণ
রোধ করা সম্ভব হবে।
চুল পড়া কমাতেঃ আপনাদের চুল পড়ার সমস্যায় এবং চুল বৃদ্ধি করার জন্য
পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন কারণ এতে আসে সালফার যা আপনাদের চুল পড়া বন্ধ করবে।
আবার চুল ভেঙ্গে যাওয়ার সমস্যা থেকে আপনাদের রক্ষা করবে চুলের বৃদ্ধি হবে।
সর্দি জ্বর থেকেঃ আপনাদের শরীর গরম হলে কপাল ভার ভাব হলে নাক বন্ধ থাকলে
এগুলো থেকে আপনারা হয়তো বোঝেন যে আপনাদের গায়ে জ্বর আসছে। এজন্য আপনারা কাঁচা
পেঁয়াজের রস নাকের কাছে নিয়ে টানলে সর্দি বেরিয়ে আসবে এবং আপনাদের জ্বর ভাবও
চলে যাবে।
হার্টের সমস্যায়ঃ আপনাদের মধ্যে যাদের কারগি কার্ডিভাসকুলার ফাংশনের
সমস্যা আছে তারা যদি প্রত্যেক দিন দুই চা চামচ পরিমাণে পেঁয়াজের রস খান তাহলে এ
সমস্যা থেকে অর্থাৎ হার্টের সমস্যা হবে না তাদের।
চোখের জ্যোতি ঠিক রাখতেঃ নিয়মিত যদি আপনারা পেঁয়াজের রস খান তাহলে যাদের
দৃষ্টির সমস্যা আছে তাদের এ সমস্যার সমাধান হবে চোখের জ্যোতি ঠিক থাকবে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লেঃ অনেকের শরীর গরম হয়ে গেলে অনেক সময় তাদের নাক
থেকে রক্ত পড়তে থাকে এজন্য তারা যদি পেঁয়াজের রস নাকে টানে তাহলে রক্ত পড়া
বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রস্রাব ধারণ ক্ষমতা বাড়াতেঃপ্রস্রাব এর ধারন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য
আপনারা এক চা চামচ পরিমাণ পেঁয়াজের রস আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে রাতের বেলা ঘুমোতে
যাওয়ার আগে খেতে পারেন। এভাবে চার সপ্তাহ খেলে আপনাদের প্রস্রাব এর ধারণ ক্ষমতা
বাড়বে এছাড়াও ঘন ঘন প্রস্রাব এর সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
বমি বমি ভাব বা বমি হলেঃ আপনাদের মধ্যে যদি কারো বমি বমি ভাব বা বমি হয়
তাহলে চার থেকে পাঁচ ফোটা পেঁয়াজের রস এক কাপ হালকা কুসুম গরম পানির সাথে
মিশিয়ে খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কানে পুঁজ হলেঃ অনেকের বা বাচ্চাদের কানে অনেক সময় ঘা হয়ে যায় এবং পুঁজ
হয় এজন্য আপনারা পেঁয়াজের রস গরম করে এক থেকে দুই ফোঁটা কানে দেওয়ার ফলে ঘা
সেরে যাবে। আয়ুর্বেদ নিয়ম অনুযায়ী এটা কানের জন্য অব্যর্থ ওষুধ।
অর্শের ক্ষেত্রেঃ অনেকের অর্শের কারণে রক্ত পড়ে এর জন্য তাদের শরীর
দুর্বল হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে তারা যদি এক চা চামচ পরিমাণে পেঁয়াজের রস এবং তার
সাথে সমপরিমাণ পানি দিয়ে খেতে পারে তাহলে তাদের এ সমস্যা আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে
যাবে। দুপুরে আপনারা সবজি ও সালাদে পেঁয়াজসহ খেতে পারেন তাহলে আপনাদের
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে এবং পায়ুপথের কোন সমস্যা থাকবে না।
এবার আমরা জানবো কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার কিছু অপকারিতা সম্পর্কে।
- মানুষের মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে এর ফলে আপনাদের অনেক বেশি সময় ধরে মুখ এবং শ্বাস দুর্গন্ধযুক্ত থাকতে পারে।
- যাদের পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা হয় তাদের অতিরিক্ত পরিমাণে পেঁয়াজ খাওয়া ঠিক নয় এতে তাদের এলার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
- যাদের এলার্জি সমস্যা হয় তাদের পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে চোখ এবং ত্বক এ লাল ভাব হয় এছাড়াও চুলকানি শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় এবং শরীর জ্বলন ইত্যাদি অনেক সমস্যা হতে পারে বা এলার্জির লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
- পেঁয়াজ কাটার সময় আমাদের চোখ দিয়ে পানি ঝরে কারণ পেঁয়াজে থাকে সালফিউরিক এসিড এর জন্য আমাদের চোখ দিয়ে পানি ঝরে। এই এসিডের সংস্পর্শে আসলে চোখ জ্বালাপোড়া করে এবং অন্ধ করে দিতে পারে এই এসিড।
- অতিরিক্ত পরিমাণে পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে আমাদের হৃৎপিণ্ডের সমস্যা হতে পারে। পটাশিয়ামের উচ্চ মাত্রা আমাদের দেহে হাইপোটেনশনের কারণ হতে পারে এ থেকে আমাদের হৃদ যন্ত্রের জটিলতার সৃষ্টি হয়। এর ফলে আপনাদের হার্ট স্ট্রোক এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- আবার বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার জন্ম দিয়ে থাকে এর ফলে আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিচে নামতে থাকে। এর ফলে আমাদের অনিয়মিত হার্টবিট, মাথা ব্যথা এবং মাথা ঘরা ঘোরা ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মাথায় নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার জানুন
আমাদের প্রায় সকলের জীবনে চুল পড়া সমস্যা এবং টাক পড়া সমস্যা আছে। এ সমস্যা
থেকে মুক্তির জন্য আমরা অনেকেই অনেক রকম জিনিস ব্যবহার করে থাকি। নতুন চুল গজানোর
জন্য আমরা অনেকেই অনেক রকম চিন্তা করে থাকি। কিন্তু এর জন্য আমরা যদি পেঁয়াজের
রস ব্যবহার করি তাহলে অনেক উপকার পাব। এতে করে আমাদের মাথায় নতুন চুল গজাবে, টাক
পড়ার সমস্যা সমাধান হবে, চুলের বৃদ্ধি হবে ও চুল ভাঙ্গা রোধ হবে ইত্যাদি আরো
সমস্যা থেকে আমরা সমাধান পেতে পারি।
কারণ পেয়াজে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য যা আমাদের
মাথার ত্বকের নানা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। আবার এতে আছে সালফার যৌগ বেশি
পরিমাণে আর এই খনিজ টি আমাদের নতুন চুল গজাতে অনেক সাহায্য করে।আমরা অনেকেই
জানিনা যে মাথায় নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার আমরা কিভাবে করব এ
বিষয়ে যারা জানেন না তারা আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। অথবা কিভাবে নতুন
চুল গজানোর জন্য পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবেন সে বিষয়
পেঁয়াজের রসের ব্যবহারঃপেঁয়াজের রস আপনাদের মাথায় নতুন চুল গজাতে এবং
চুল পড়া বন্ধ করতে অনেক উপকারে আসবে। প্রথমে পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নিয়ে তারপরে
সেটা বেটে নিয়ে তা থেকে রস বের করে নিতে হবে। এবার এই রসের সাথে আপনারা নারিকেল
তেল মিশিয়ে আপনাদের মাথার ত্বকে আলতো ভাবে ঘষে লাগিয়ে নিন। রস শুকিয়ে আসলে
তারপরে কোন ভালো ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে আপনারা
সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে আপনাদের মাথায় নতুন চুল গজাবে
এবং স্ক্যাল্পের সমস্যা দূর হবে। পেঁয়াজের রস চুলে ব্যবহার করার ফলে চুলের
নিজস্ব প্রোটিন এবং কেরাটিন উৎপাদনের হার বাড়ে। এতে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল
উপাদান গুলো আমাদের মাথার ত্বকে কোন প্রকারের সংক্রমণ হতে বাধা দেয় এবং চুলের
ফলিকল গুলোর ক্ষতি হতে দেয় না। এর জন্য আপনারা উপরের এই পদ্ধতি ছাড়াও পেঁয়াজের
খোসা ছাড়িয়ে পেঁয়াজ বেটে তা থেকে রস ছেকে নিয়ে তার সাথে পরিমাণ মতো এলোভেরার
জেল মিশিয়ে নিতে পারেন।
তারপরে এই মিশ্রণটি আপনারা মাথার ত্বকে মেখে নিন এবং আধঘন্টা রাখার পরে
শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে আপনারা অন্তত দুই তিন দিন এই পদ্ধতি
অবলম্বন করতে পারেন এতে করে চুল পড়া অনেকটাই কমবে এবং তার সাথে নতুন চুল গজাতে
সাহায্য করবে।
পেঁয়াজের রস মুখে দিলে কি হয়
পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে যেমন অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় আমাদের স্বাস্থ্যের তেমনি
পেঁয়াজের রস ব্যবহার করার ফলে আমাদের চুল ভালো থাকে উজ্জ্বল হয় চুল পড়া বন্ধ
হয় চুলের বৃদ্ধি হয় ইত্যাদি আরো নানা উপকারিতা আছে। শুধু যে চুল এবং আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে পেঁয়াজ তা নয় এটা আমাদের মুখের তথা
ত্বকের ও অনেক উপকার করে। এ কথা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা যে পেঁয়াজের রস মুখে
দিলে কি হয়। আবার পেঁয়াজের রস মুখে দেওয়া যাবে কিনা এ বিষয়ে আমরা অনেকে
অজ্ঞাত।
কিন্তু হ্যাঁ পেঁয়াজের রস মুখে দেওয়া যাবে।এটা মুখে দেওয়ার ফলে এতে থাকা এসিড
মুখের কালো দাগ ও দাগ দূর করতে একটি আদর্শ প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। এটি আমাদের
কোষের টার্ন ওভার বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে যার ফলে আমাদের ত্বক হয় উজ্জ্বল এবং
পুনরুজ্জীবিত। আবার আপনারা পেঁয়াজর রসের সাথে অন্যান্য বেশ কয়েকটি উপাদান
ব্যবহার করেও মুখের দাগ দূর করতে পারেন। আবার পেঁয়াজের রসে আছে অ্যান্টি
অক্সিডেন্ট এবং এন্টি পিগমেন্টেশন বৈশিষ্ট্য যার ফলে আমাদের ত্বকের মুখের দাগ
কমতে থাকে।
ত্বকে মেলানিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে আপনাদের মুখ লাল হয়ে যেতে পারে
বা মুখে লাল দাগ হয় আর এই দাগ দূর করার জন্য আপনারা নিয়মিত ভাবে পেঁয়াজের রস
ব্যবহার করতে পারেন। মুখের দাগ দূর করার জন্য আপনারা পেঁয়াজের রসের সাথে মধু
ব্যবহার ও করতে পারেন এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য
আপনার মুখের দাগ কমাতে সাহায্য করবে।
প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি হয়
আপনারা আপনাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পুষ্টিমান উন্নত করার জন্য এবং বেশি
উপকারিতা পাওয়ার জন্য কাঁচা পেঁয়াজ রাখতে পারেন। এই কাঁচা পেঁয়াজ হয়তো আপনারা
এর গন্ধের জন্য অনেকে খেতে পছন্দ করে না কিন্তু এটা খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে।
আপনারা যদি প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খান তাহলে আপনাদের শরীর থাকবে রোগমুক্ত সেই
সাথে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং ত্বকের যত্নেও অনেক উপকারিতা পাবেন। কারণ এতে আছে
অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি, এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল
উপাদান সালফার ইত্যাদি এগুলো যেমন আমাদের শরীরকে রোগমুক্ত রাখে সেই সাথে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের জন্য ও চুলের জন্য অনেক উপকারী। এ সকল
উপকারিতা পাওয়ার জন্য এবং পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য ও আমাদের শরীরকে রোগমুক্ত
রাখার জন্য আমাদের প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া উচিত। প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ
খেলে কি হয় তা নিচে বলা হলো
- কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে কারণ এতে আছে ভিটামিন সি।
- কাঁচা পেঁয়াজে থাকা ভিটামিন সি আমাদের রক্তে শ্বেত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে আর এই শ্বেত রক্ত কণিকা আমাদের দেহে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
- প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে আমাদের ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি কাশি ও জ্বর এর অসুস্থতার জন্য প্রতিরোধে কাজ করে।
- কাঁচা পেঁয়াজ আমাদের শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুকি কমে।
- কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে আমাদের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বা হজমে সাহায্য করে কাঁচা পেঁয়াজ। এতে থাকা ডায়াটরি ফাইবার যেটা আমাদের হজমে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পায়ুপথের সমস্যা দূর হয়।
- কাঁচা পেঁয়াজে থাকা এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য যা আমাদের দেহে প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে।
- এজমা, ব্রংকাইটিস এবং আর্থাইটিস এর মত নানা সমস্যা থেকে উপকার করে থাকে কাঁচা পেঁয়াজ।
- কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে আমাদের হাড় মজবুত হয় কারণ এতে আছে সালফার যৌগ যা আমাদের হারগুলোকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে এবং ক্যালসিয়ামের শোষণকে উন্নত করে।
- আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে এতে থাকে সালফার যৌগ যা আমাদের মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটার গুলির উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের কাজে মনোযোগ বসে এবং স্মৃতি শক্তি ভালো থাকে।
- কাঁচা পেঁয়াজে থাকা সালফার যৌগ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এবং আমাদের দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি হতে দেয় না।
- কাঁচা পেঁয়াজে আছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের বলি রেখা ও দাগ কমাতে সাহায্য করে এর জন্য আমাদের ত্বক সুন্দর এবং উজ্জ্বল থাকে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কাঁচা পেঁয়াজ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
- নিয়মিত পেঁয়াজের রস খাওয়ার ফলে আপনাদের চোখের জ্যোতি ঠিক থাকবে ও ভালো থাকবে।
পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বালা করে কেন
পেঁয়াজ আমাদের সকলের রান্নাঘরে থাকে এটি একটি মসলা যা ছাড়া আমাদের রান্না
সম্পূর্ণ হয় না। আমরা সকল ধরনের খাবার রান্না করার সময় এই পেঁয়াজ ব্যবহার করে
থাকে এটি খাবারের স্বাদ বাড়ায়। কিন্তু পেঁয়াজ কাটার সময় আমাদের চোখ জ্বালা
করে এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে কিন্তু কেন এরকম হয় এ বিষয়ে হয়তো আপনারা অনেকেই
জানেন না। পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বালা করে কেন এ বিষয়ে যারা জানেন না তারা আজকে
আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। এর কারণ হলো পেঁয়াজে থাকা সালফেনিক অ্যাসিড।
পেঁয়াজ কাটার
পরে এই সালফেনিক অ্যাসিড বেরিয়ে আসে এবং অন্য এনজাইনের সাথে মিশে যায় আর তৈরি
হয় সালফার গ্যাস। আর এই গ্যাস যখন আমাদের চোখে গিয়ে লাগে তখন আমাদের চোখ জ্বালা
করে এবং চোখ থেকে পানি বের হয় মনে হয় যেন আপনি কাঁদছেন। আর ঠিক এজন্যই পেঁয়াজ
কাটার অনেক সময় পরেও আমাদের হাত থেকে গন্ধ যায় না গন্ধ লেগে থাকে। কিন্তু
পেঁয়াজ কাটার সময় আপনারা যদি কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাহলে আর আপনাদের
পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ জ্বালা করবে না বা চোখ দিয়ে পানি পড়বে না। সে উপায়গুলো
হলো
- প্রথমে পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন কিছু সময় পরে বের করে পেঁয়াজ কাটলে চোখে আর পানি আসবে না।
- আপনারা যদি পেঁয়াজ কাটার সময় ধারালো ছুরি ব্যবহার করেন তাহলে কম কাঁদতে হবে কারণ এই ধারালো ছুরি পেঁয়াজ কাটার সময় পেঁয়াজের কোষের কম ক্ষতি করবে যার ফলে এনজাইম বেশি পরিমাণে বের হয় না।
- আবার আপনারা পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে তারপরে সেগুলো ১৫থেকে ২০ মেনে ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখেন এতে করে সালফেনিক এসিড পানিতে ধুয়ে যাবে এবং পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ দিয়ে পানি বের হবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে পেঁয়াজ কাটার সময় সাবধানে কাটতে হবে কারণ পেঁয়াজ পিচ্ছিল হবে।
- পেঁয়াজের মূলের দিকটায় বেশি পরিমাণে সালফিউরিক যৌগ থাকে এজন্য পেঁয়াজ কাটার সময় এই অংশটুকু আগে কেটে বাদ দিয়ে দিন।
- দু টুকরো করা পেঁয়াজ এর কাটা দিকটা ঘুরিয়ে চপিং বোর্ডের ওপরে রাখুন কারণ কাঁটা দিকটা খোলা থাকলে এই সমস্যা আরও বেশি হবে।
লেখকের মন্তব্য
ম্যাক্সিমো ইনফো আপনাদের জন্য এই পোস্টটিতে মাথায় নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রসের
ব্যবহার এবং প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি হয় ছাড়াও পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বালা
করে কেন, কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা ও পেঁয়াজের রস মুখে দিলে কি
হয় ইত্যাদি বিষয়ে অনেক বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। আপনারা যদি নিয়মিত পেঁয়াজ
খাওয়ার অভ্যাস করা শুরু করেন তাহলে আমার এ পোস্টটি পড়ে তারপরে পেঁয়াজ খাওয়ার
অভ্যাস শুরু করুন। আর আপনাদের যদি এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার
করে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url