এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এলাচ খাওয়ার উপকারিতা

আসসালামু আলাইকুম, আজ আমি আপনাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এলাচ খাওয়ার উপকারিতা ছাড়াও খালি পেটে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত তথ্য দেব। যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক সঠিক তথ্য জানতে পারবেন বিস্তারিতভাবে তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এলাচ খাওয়ার উপকারিতা
এখানে আপনাদের জন্য এলাচ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য যেমন এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এলাচ খাওয়ার উপকারিতা ও খালি পেটে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা সহ রাতে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা, এলাচ খেলে কি ক্ষতি হয়, কালো এলাচ খেলে কি হয় এবং এলাচ চা খাওয়ার উপকারিতা কি ইত্যাদি বিষয়ে অনেক সঠিক তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি যেগুলো পড়ার মাধ্যমে অনেক উপকৃত হবেন এবং অন্য কেউ উপকৃত করতে পারবেন। এ সকল বিষয়ে জানার জন্য আপনাদের সকলকে অনুরোধ করছি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভূমিকা

এলাচ হচ্ছে একটি মসলা যা আমাদের সকলের রান্নাঘরে থাকে এটি আমাদের খাবারের স্বাদ বাড়ায় এবং গন্ধ বাড়ায়। এর অনেক উপকারিতা আছে কারণ এতে আছে নানা রকমের পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন। এলাচ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয় আবার ত্বকের জন্য অনেক উপকারে আসে। সঠিক নিয়ম হচ্ছে এটি আমরা নানা রকমের খাবারের সাথে মিশে খেতে পারি। আবার দুধের সাথে মিশে চা তৈরি করেও খেতে পারি আমরা। এলাচ খাওয়ার ফলে আমাদের গলা ব্যথা, মাথা ধরা দূর হয়, সর্দি কাশি দূর হয়, ক্যান্সার
প্রতিরোধ করা যায়, এসিডিটি, পেটের সমস্যা ও গ্যাসের সমস্যা দূর হয়, হাঁপানি এবং হৃদরোগের জন্য  উপকার করে, মুখের দুর্গন্ধ দূর, দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির ক্ষয় ইত্যাদি সমস্যা দূর করে। আবার বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা চুলকানি হতে পারে, গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভপাতের সমস্যা হতে পারে, বমি হতে পারে এটা কিডনিতে পাথর বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও খালি পেটে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে পেটের নানা রকমের সমস্যা থেকে, হজমের সমস্যা থেকে এবং এসিডিটি ও গ্যাসের থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

রাতে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা

আমরা এলাচ নামের এই মসলাটি সকলে চিনে থাকি। এই মসলাটি আমাদের সকলের রান্নাঘরে থাকে এটি আমরা রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি এছাড়াও এর অনেক ব্যবহার ও উপকারিতা আছে। এটা সকালে খালি পেটে খেলে যেমন অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় তেমনি এটা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেলেও এর অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে। কারণ এতে আছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, আইরন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অনেক রকমের ভিটামিন যেগুলো আমাদের শরীরকে 

সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আমরা যদি রাতে এলা খাই তাহলে এর অনেক উপকারিতা পাব এটা আমাদের ত্বকের জন্য উপকারি। এ সকল উপকারিতায় এবং অনেক রকমের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের প্রতিদিন রাতে এলাচ খাওয়া উচিত। নিজে আলোচনা করা হলো রাতে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
  • রাতে ঘুমানোর আগে আমরা যদি দুইটি করে এলাচ খায় তাহলে আমাদের ঘুম ভালো হবে।
  • রাতে গরম পানির সাথে এলাচ খাওয়ার ফলে আমাদের মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
  • প্রতিদিন দুইটা করে এলাচ খাওয়ার ফলে আমাদের রক্ত সঞ্চালন বাড়তে থাকে বা বাড়াতে সাহায্য করে এলাচ।
  • এলাচের মধ্যে অনেক রকমের ভিটামিন আছে যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকার করে।
  • হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য আপনারা প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এলাচ খেতে পারেন।

এলাচ খেলে কি ক্ষতি হয়

এলাচ আমাদের খাবারের গন্ধ এবং সুগন্ধ যোগানোর ক্ষেত্রে অনেক পরিচিত। এর যেমন অনেক উপকারিতা আছে খাওয়ার ফলে আবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে আবার আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য আমাদের নিয়ম করে পরিমাণ মতো খেতে হবে এই এলাচ। এই মসলাটি আমাদের খাবারের স্বাদকে আরো বাড়িয়ে দেয় এবং খাবার কে করে সুস্বাদু।তাই এর সঠিক ব্যবহার এবং উপকারিতা জেনে আমাদের এটা ব্যবহার করা উচিত। এবার আমরা জানবো এলাচ খেলে কি ক্ষতি হয়
  • এলাচ বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে এলাচ খাওয়ার ফলে পেট খারাপ, বদহজম এবং ডায়রিয়ার উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে এলাচ খাওয়ার ফলে এলার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে তার মধ্যে হচ্ছে চুলকানি, গলা বা মুখ ফুলে যাওয়া এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ আছে। এরকম হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • এলাচের মধ্যে আছে হাইপোটেনসিভ বৈশিষ্ট্য এর অর্থ হচ্ছে এটি আমাদের রক্তচাপ কমাতে পারে। এজন্য যাদের নিম্ন রক্তচাপ আছে তাদের অতিরিক্ত পরিমাণে এলাচ খাওয়া থেকে সতর্ক হওয়া উচিত।
  • এলাচের মধ্যে এমন অনেক যৌগ আছে যা কিছু ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া করে। যদি কেউ ডায়াবেটিসের ওষুধ খান তাহলে আবার অন্য কোন ওষুধ খান তাহলে তাকে নিয়মিত খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • কিছু গবেষণা থেকে জানা যায় যে এলাচের ইস্ট্রোজেনিক প্রভাব আছে যা আমাদের শরীরের হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে থাকে অর্থাৎ হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে।
  • যারা স্তন অথবা জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি তারা হরমোন সংবেদনশীল হতে পারে এজন্য তাদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এলাচ ব্যবহার করতে হবে বা খেতে হবে।
  • গর্ভবতী মহিলারা যদি এলাচ খেতে চান তাহলে অবশ্যই তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে কারণ তাদের বেশি পরিমাণে এলাচ খাওয়ার ফলে গর্ভপাতের সমস্যা হতে পারে।
  • এছাড়া যাদের কিডনিতে স্টোন এর সমস্যা আছে তাদের জন্য এলাচ ক্ষতিকর কারণ এটি তাদের শরীরে পাথর বাড়াতে সাহায্য করে এজন্য এটি খাওয়ার আগে তাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে এলাচ খাওয়ার ফলে কাশি এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।

খালি পেটে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা 

এলাচ হচ্ছে একটি মসলা এটি আমাদের সকলের রান্নাঘরে থাকে। এটি আমরা রান্না করার সময় খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ বানানোর জন্য ব্যবহার করে থাকি তবে এর অনেক উপকারিতা আছে। এটা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে আমরা নানারকম অসুখের থেকে রক্ষা পেতে পারি। এলাচে আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লামেটর বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্য গুলো আমাদের শরীরে পুষ্টির যোগান দেয় এবং বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের রোগের থেকে রক্ষা করে থাকে। 
আমাদের মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, গলা ব্যথা ও মাথা ধরা দূর করে, ক্যান্সার প্রতিরোধে, হার্ট ভালো রাখতে এবং এবং সর্দি কাশি দূর করতে ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও আপনাদের যাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে তারা নিয়মিত সকালে খালি পেটে এলাচ খেতে পারেন এতে করে আপনাদের ত্বক টানটান হয়ে যাবে এবং ত্বকের বলি রেখা কমবে। আপনারা হয়তো অনেকেই সকালে খালি পেটে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা জানেন না। যারা জানেন না তারা জেনে নিন খালি পেটে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা
  • এলাচ খাওয়ার ফলে আমাদের পেটের নানা রকমের সমস্যা, এসিডিটির সমস্যা এবং হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • এটি খাওয়ার ফলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র সক্রিয় থাকে এবং হজমে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • সকালে খালি পেটে এলাচ খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের ভেতরে ক্ষতিকর টক্সিন গুলো বের হয়ে যায়।
  • যাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়েছে তারা নিয়মিত সকালে খালি পেটে এলাচ ভেজানো পানি খেতে পারেন এতে করে আপনাদের ত্বক টানটান হয়ে যাবে এবং বলিরেখা কমবে।
  • মধু গরম পানি এবং লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যায়। আবার যারা হুপিং কাশি এবং ফুসফুসের সংক্রমণের সমস্যায় ভুগছেন তারা এলাচ খেতে পারেন।
  • হাঁপানি এবং হৃদরোগ নিরাময়ের জন্য এলাচ অনেক উপকারে আসে। এটি আমাদের হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে এবং নিয়মিত খাওয়ার ফলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য আপনারা এলাচ চিবাতে পারেন এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি কারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে এটি।
  • মাড়ির ইনফেকশন, দাঁত ও মাড়ির নানা রকমের সমস্যা ও মুখের ফোড়া দূর করার জন্য এলাচ আমাদের রক্ষা করে থাকে।
  • গবেষণায় দেখা যায় যে, নিয়মিত এলাচ খাওয়ার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব এতে করে আমাদের দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাধা প্রদান হয়।
  • গরম পানিতে চা পাতা, মধু এবং এর সাথে এলাচ গুড়া মিশিয়ে খাওয়ার ফলে আমাদের মাথা ব্যথা কমে।
  • এলাচে এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা আমাদের সর্দি কাশি সমস্যা দূর করতে কাজে লাগে।

এলাচ কত টাকা কেজি ২০২৪

এলাচ হচ্ছে একটি মসলা যা আমাদের দেশে অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আর ঈদের সময় এই মসলার দাম অনেক বেড়ে যায়। শুধু এই মসলা নয় এছাড়াও লবঙ্গ তেজপাতা হলুদ দারুচিনি এবং ধনে এ সকল মসলার দামও বেড়ে যায় এ বছর তো আরো বেড়েছে কারণ ডলারের দাম বেড়ে গেছে এজন্য। কোরবানির ঈদের সময় অন্যান্য সময়ের চাইতে মসলার চাহিদা একটু বেশি পরিমাণে বেড়ে যায়। ডলারের দাম ৭ টাকা বেড়ে যাওয়ার কারণে রাজধানীর বেশিরভাগ বাজারেই আমদানি 

করা মসলার পাইকারি দামটা অনেক বেড়ে গেছে।হঠাৎ করে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এর প্রভাব পড়েছে মসলার বাজারেও। সুযোগ নিয়েও অনেক ব্যবসায়ীরাও মসলা মজুদ করে রেখেছে বেশি মুনাফা বের করার জন্য। পুরান ঢাকার পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে বড় দানার ভালো মানের এলাচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০০০ থেকে ৪১০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এই একই এলাচ বিক্রি করা হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা দরে। আবার ছোট দানার এলাচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৮০০ টাকা

দরে এই একই এলাচ গত সপ্তাহে বিক্রি করা হয়েছে ৩৫৫০ টাকা করে। চট্টগ্রামে গত বছর অক্টোবরে খাতুনগঞ্জ এ বিক্রি করা হয়েছে প্রতি কেজি ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা দরে আর বর্তমানে এর দাম হয়েছে ৪০০০ টাকা।

এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এলাচ খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের যেকোনো রকমের খাবার পরিমান মত সঠিক নিয়মে খাওয়া উচিত তা না হলে আমাদের স্বাস্থ্যের সমস্যা হতে পারে। সেটা যতই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হোক না কেন বা যতই উপকারী খাবার হোক। আপনারা হয়তো এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানেন না এজন্য হয়তো আপনারা অনেকে এটা খান না। আজকে আমারে পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে পারবেন।আপনারা এলাচ বিভিন্ন রকম উপায়ে খেতে পারবেন। মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও আপনারা চিবিয়ে খেতে
পারবেন আবার যে কোন রকমের খাবার অথবা সবজি তৈরি করার সময় এর দুই একটি দানা যোগ করেও আপনারা এটি খেতে পারেন। আবার আপনারা এলাচের গুড়া দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন বা খাওয়া যাবে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন দিনে অর্ধেক পরিমাণ থেকে এক গ্রাম পরিমাণ এলাচের গুড়া খাওয়া যেতে পারে বা খাওয়া উপযুক্ত। আপনারা যদি কোন রোগের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার এর জন্য এলাচ খেতে চান তাহলে অবশ্যই এর সঠিক পরিমাণ বা ডোজ জানতে হবে এবং

আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে খেতে হবে। এতক্ষণ তো আপনারা জানলেন খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবার আমি আপনাদের জানাবো এলাচ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। এলাচ খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এজন্য আমরা প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে এলাচ খাব। কারণ এলাচে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং এন্টিভাইরাল উপাদান। উপাদান গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে এবং আমাদের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। 

হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকেঃ আমরা প্রতিদিনের ভাজাপোড়া এবং তেল মশলা জাতীয় খাবার বেশি খেয়ে থাকি এতে করে আমাদের পেটে বদহজম গ্যাস এসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য আমরা ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে এলাচ ব্যবহার করে এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। এটা খাওয়ার ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য এবং এসিডিটির সমস্যা দূর হবে। এতে থাকা পুষ্টিগুণ আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এবং পেটের জ্বালা ভাব কমাবে সেই সাথে আমাদের এসিডিটি এবং বদহজমের সমস্যা কমবে।

হেঁচকির জন্যঃ আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের হেঁচকির সমস্যা আছে এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা এলাচ খেতে পারেন। এজন্য আপনারা যখন হেঁচকি আসবে তখন একটি এলাচ আপনাদের মুখে নিয়ে আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেতে পারেন এতে করে হেঁচকি ওঠা তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে।

গলার সংক্রমনের জন্যঃ ঋতু পরিবর্তন বা আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় আমাদের সকলেরই ঠান্ডা জ্বর সর্দি কাশি এবং গলা ব্যাথার মত সমস্যা দেখা দেয় এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা এলাচ ব্যবহার করতে পারেন। এ সময় আপনাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায় এজন্য আপনারা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা জনিত এবং গলার সংক্রমনের অসুখে পড়েন এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা এলাচ ব্যবহার করতে পারেন।

গলা ব্যথা কমাতেঃ আপনাদের গলা ব্যথা হলে এই ব্যথা কমানোর জন্য আপনারা রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্রাম পরিমাণে এলাচ গুঁড়ো এবং তার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এভাবে দুই তিন দিন খেলে গলা ব্যথা কমে যাবে।

রক্তচাপ কমাতেঃ গবেষণা থেকে জানা যায় যে প্রতিদিন এলাচ খাওয়ার ফলে আপনাদের রক্ত চাপ কমবে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ এর সমস্যা আছে তারা নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। কারণ এলাচে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম মেদ এর মত খনিজ পদার্থ গুলো আপনাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করবে এবং রক্তচাপ কমাতে।

হাঁপানি প্রতিরোধেঃ হাঁপানি রোগ প্রতিরোধ করার জন্য এলাচ একটি উপকারী ওষুধ হিসেবে কাজ করবে। এলাচের মধ্যে থাকা এমন অনেক গুণ আছে যা আমাদের ফুসফুসে রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং ফুসফুস কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। কাশি এবং হাঁপানের মতো রোগ প্রতিরোধ করতে ও কাজে আসে এই এলাচ।

ক্ষুধা বাড়াতেঃ আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের শরীরের মেটাবলিজম ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে থাকে এবং যার ফলে আমাদের ক্ষুধা বাড়ে। আপনাদের মধ্যে যাদের সময় মত ক্ষুধা লাগে না বা ক্ষুধা না লাগার সমস্যা আছে তারা নিয়মিত এলাচ খেতে পারেন।

নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতেঃ এলাচ খাওয়ার ফলে আপনাদের মুখের দুর্গন্ধ এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হবে। এজন্য এলাচ ব্যবহার করা হয় বেশি মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে।

বমি ও বমি ভাব দূর করতেঃ গবেষণা থেকে জানা যায় যে, অস্ত্রপাচারের পরে যে বমি বমি ভাব আসে তা দূর করে থাকে এলাচ। এলাচ, আদা ও পুদিনা একটি তুলোর করে গন্ধ নিলে অস্ত্রপাচারের পরের বমি বমি ভাব দূর হয়। এছাড়া দূরের রাস্তায় জার্নি করার সময় বমি ভাবের সমস্যা হলে আপনারা এলাচ খেতে পারেন।

যৌন ইচ্ছা বাড়াতেঃ এলাচ খাওয়ার ফলে পুরুষত্বহীনতা দূর হয়ে যায়। এলাচের মধ্যে অনেক কামোদ্দীপক বৈশিষ্ট্য আছে যা নারী-পুরুষের যৌন ইচ্ছা বাড়াতে সাহায্য করে।

স্ট্রেস দূর করতেঃ সুগন্ধ আমাদের মন মেজাজ কে ভালো রাখতে সাহায্য করে এছাড়া এলাচ চা পান করার ফলে পেট এবং শ্বাসকষ্টের রোগ দূর হয়, মানসিক চাপ দূর হয় এবং মন মেজাজ হতে থাকে। এজন্য যারা ডিপ্রেশনের মত সমস্যায় ভুগছেন তারা এই স্টেজ দূর করার জন্য এলাকা পান করতে পারেন।

ক্যান্সারের ক্ষেত্রেঃ এলাচে এমন অনেক খাদ্যগুণ আছে যা আমাদের বিভিন্ন রকমের ক্যান্সারের টিউমার বা কোষ গুলোকে বাড়তে দেয় না যার ফলে আমাদের ক্যান্সার রোগ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।

দাঁত ও মাড়ির জন্যঃ নিয়মিত এলাচ খাওয়ার ফলে যেমন আমাদের মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় তেমনি আমাদের মুখের ভেতরে দাঁত অথবা মাড়ির ইনফেকশন, মাড়ির ক্ষয় এবং মুখে ফোড়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি এলাচ খাওয়ার ফলে।

ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতেঃ আমাদের দেহের ভেতরে থাকা ক্ষতিকর বিষাক্ত টক্সিন গুলো বের করে দিতে সাহায্য করে এলাচ। এলাচের ভেতরে থাকা ডিউরেটিক উপাদান আমাদের দেহের ভেতরের ক্ষতিকর টক্সিন পরিস্কারে সাহায্য করে।

মানসিক উদ্বেগ কাটাতেঃ মানসিক উদ্বেগ কম করার জন্য আপনারা নিয়মিত এলাচের নির্যাস পানীয় হিসেবে পান করতে পারেন তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলে তারপরে এটা গ্রহণ করতে হবে।

মাথাব্যথা দূর করতেঃ আমাদের অনেকেরই মাথাব্যথা করে এজন্য আমরা এলাচ চা খেতে পারি। এলাচ গুঁড়ো এবং মধু মিশিয়ে এলাচা তৈরি করে খেলে মাথাব্যথা দূর হয়। আবার আপনাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এই এলাচ চা।

ত্বকের ক্ষতিপূরণেঃ এলাচে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান গুলো আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ এবং রিংকেল ইত্যাদি পড়তে বাধা প্রদান করে এতে করে আমাদের ত্বকের ক্ষতি হয় না।

হৃদ রোগ নিরাময়েঃ হৃদরোগের সমস্যা এবং হৃদরোগ নিরাময়ের জন্য এলাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি আমাদের হৃদস্পন্দন এর গতিকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে ফলে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার এলাচ আমাদের রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে রক্তের ঘনত্ব সঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে।

কালো এলাচ খেলে কি হয়

আমরা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে রান্না করার সময় হালকা সবুজ এলাচ আবার কালো বড় এলাচটা ব্যবহার করে থাকি। কালো এলাচ আমরা ভারী খাবার অথবা বিরিয়ানি রান্না করার সময় আবার মুখরোচক খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করে থাকি। পুষ্টিবিদরা বলেছেন যে দুই ধরনের এলাচে অনেক পুষ্টিগুণ এবং উপকারী গুণ আছে তবে কাল এলাচের উপকারিতা একটু বেশি। এর উপকারিতার কথা আপনারা জানলে অবাক হয়ে যাবেন এজন্য আজকে আপনাদের কালো এলাচ খেলে কি হয়

বা কি উপকারিতা পাওয়া যায় এ বিষয়ে বলব। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে রয়েছে যে কালো এলাচ পিত্ত প্রশমিত করে থাকে। আবার যারা অনিদ্রা জনিত সমস্যা ছাড়াও খাবারের রুচি কমে যাওয়ার সমস্যা আছে তারা কালো এলাচ খেতে পারেন এতে করে অনেক উপকারিতা পাবেন এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে আপনাদের। হার্ট অথবা লিভারের সুস্থতার জন্য আপনাদের কালো এলাচ বেশ উপকার করবে। এগুলো ছাড়াও কালো এলাচের আরো বিভিন্ন রকমের গুণ আছে যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে

সাহায্য করে থাকে। আপনাদের মধ্যে যদি কারো খাবার হজমের সমস্যা থাকে এবং মুখে দুর্গন্ধ দূর করার জন্য আবার আপনারা আপনাদের ক্ষুধা বাড়ানোর জন্য কালো এলাচ চিবিয়ে খেতে পারেন এতে করে অনেক উপকার মিলবে। মাথা ব্যথার সমস্যা, মুখের ঘা সারানোর জন্য, দাঁতের ব্যথা দূর করার জন্য এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা কালো এলাচ ব্যবহার করতে পারেন এটা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উল্লেখ আছে। আমাশয় বা কলেরা রোগের জন্য আপনারা এক গ্রাম পরিমাণে কালো এলাচের গুঁড়ো

সেবন করার ফলে অনেক উপকার পাবেন। বমি বমি ভাব দূর করার জন্য আপনারা চাইলে দুইটি এলাচ এবং এর সাথে কিছু পুদিনা পাতা গরম পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি খেতে পারেন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন রোগ যেমন কুষ্ঠ রোগ, কিডনি সমস্যা, আলসার ও ক্যান্সার এবং লিভার ডিজঅর্ডার এর মত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য এই এলাচ ব্যবহার করা হয়। আবার আপনাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আপনাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে কালো এলাচের অনেক জুড়ি আছে।

এলাচ চা খাওয়ার উপকারিতা কি

আমরা কম বেশি সকলে চা খেতে খুব পছন্দ করে থাকি এবং সকালে অথবা সন্ধ্যায় চা নাস্তা করে থাকি। কিন্তু আমরা এই চা বানানোর সময় যদি তাতে এলাচ মিশিয়ে চা বানায় তাহলে তার অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে এবং চায়ের স্বাদ বেড়ে যাবে। এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকার হবে তেমনি আমরা অনেক অসুখের হাত থেকে রক্ষা পাবো। এবার আমরা জানবো বা আপনাদের জানাবো এলাচ চা খাওয়ার উপকারিতা কি কি

হজম ক্ষমতা বাড়ায়ঃ আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দারুন কার্যকর এই এলাচ চা। আপনারা যদি ভারী খাবার খান এবং তারপরে এলাচ চা খান তাহলে খাবার হজমের কোন সমস্যা থাকবে না। এলাচের গুনে গ্যাস্ট্রিক এসিডের ক্ষরণের মাত্রা বেড়ে যাবে। এর ফলে আপনাদের হজম ক্ষমতা কমে এবং সেই সাথে বুকে জ্বালাপোড়া এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দূরে থাকবে বমি বমি ভাব কমে যাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা এলাচ চা খেতে পারেন। আপনারা যদি সকালে বা বিকেলে এই চা খান তাহলে আপনাদের এই সমস্যা দূরে সরে যাবে এবং সেই সাথে পেটের ব্যথা এবং পেট ফাঁপার সমস্যা থেকে সমাধান মিলবে।

হার্ট ভালো রাখতেঃ এলাচে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফেনোলিক কমপাউন্ড এ সকল উপাদান গুলো আমাদের হাইপারটেনশন কমায় এর ফলে আমাদের হার্টের ওপর এর প্রভাব পড়ে কম। রক্তনালীতে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল জমার আশঙ্কা কম থাকে। এটা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে ফলে হার্ট ভালো থাকে এবং হার্টের কোন অসুখের থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

সর্দি কাশি এবং জ্বর কমায়ঃ ঋতু পরিবর্তন এর সময় আমাদের কম বেশি ছোট বড় সকলেরই সর্দি-কাশি এবং ঠান্ডা জ্বর হয় আর এ থেকে আরাম পাওয়ার জন্য আমরা এলাচ চা খেতে পারি কারণ এতে আছে সব রকমের উপাদান যা আমাদের এ সকল সমস্যা তাড়াতাড়ি সারাতে সাহায্য করবে। আমাদের গলা ব্যথা দূর করবে বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব কমাতে কাজ করে এতে থাকা এন্টি ইনফ্লামেটরি, এন্টিমাইক্রোবিয়াল ও এন্টিভাইরাল উপাদানগুলো।

ডিটক্স পানীয়ঃ ডিটক্স পানীয় হিসেবে ভালো কাজে আসে এই এলাচ চা। আপনাদের শরীরে জমে থাকা দূষিত বা বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে বের করে দিতে পারে এই চা। এজন্য আপনারা প্রতিদিন অন্তত দুইবেলা এই চা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এটা যেমন আপনাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিবে সেই সাথে আপনাদের শরীরকে বিভিন্ন অসুখের হাত থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে ফলে আপনারা সুস্থ থাকবেন।

এই এলাচ তা আপনারা পরিমাণ মতো পানি নিয়ে তা ফুটিয়ে নিতে হবে এবং তাতে প্রয়োজনমতো এলাচ একটু ফাটিয়ে বা থেঁতো করে সেই পানির মধ্যে দিয়ে দিন তারপরে কিছুক্ষণ ফোটানো হয়ে গেলে তাতে চা পাতা দিয়ে দিতে হবে। সবগুলো একসাথে দুই তিন মিনিট জ্বাল করে নিয়ে তারপরে নামিয়ে সেটা ছেঁকে নিতে হবে। খাওয়ার সময় আপনারা তাতে অল্প মধু মিশিয়ে ও খেতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে আপনাদের জন্য এলা সম্পর্কিত অনেক তথ্য দিয়েছে যেগুলো জানার মাধ্যমে আপনারা এলাচ খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা বেশি খেলে কি হয় এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এলাচ খাওয়ার উপকারিতা, খালি পেটে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা ও কালো এলাচ খেলে কি হয় ইত্যাদি সকল বিষয়ে জানতে পারবেন। এ সকল তথ্য জেনে আপনারা এলাচ খাওয়া শুরু করুন। আর আপনাদের যদি এই পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনারা এই পোস্টটি আপনাদের পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url