দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো আগে দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা ও
খাওয়ার নিয়ম ছাড়াও দারুচিনি ও
মধুর উপকারিতা
সম্পর্কে অনেক সঠিক তথ্য খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু পাননি তারা আজকে আমার এই
পোষ্টের মাধ্যমে সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন এজন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজকে আমি আপনাদের জন্য দারুচিনি সম্পর্কে অনেক কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করেছি এখানে
যেগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা ও
খাওয়ার নিয়ম, প্রতিদিন সকালে দারুচিনি পানি খাওয়ার উপকারিতা, দারুচিনি ও মধুর
উপকারিতা ছাড়াও চুলের যত্নে দারুচিনি দারুচিনি খেলে কি ক্ষতি হয় দারুচিনি চা এর
উপকারিতা ইত্যাদি অনেক বিষয় সম্পর্কে। দারুচিনি খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ে, সর্দি কাশি দূর হয় এ সকল বিষয়ে জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
আমাদের সকলের রান্নাঘরে দারুচিনি নামের এই মসলাটি থাকে রান্নার স্বাদ এবং গন্ধ
বাড়ানোর জন্য। এই মসলাটি আমরা নানাভাবে ব্যবহার করে থাকি এর অনেক উপকারিতা
পাওয়ার জন্য। দারুচিনি খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হজম শক্তি
বৃদ্ধি পায় চুল এবং ত্বকের জন্য উপকারী হৃদরোগ দূরে থাকে, ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সর্দি-কাশি দূর হয় ইত্যাদি
আরো নানা উপকারিতা আছে। এটা খাওয়ার আবার কিছু অপকারিতা আছে
বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে লিভারের ক্ষতি এবং গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভপাতের কারণ হতে
পারে। যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তাদের এলার্জি হতে পারে আবার পাকস্থলীতে জ্বলনি
হতে পারে। দারুচিনি ও মধু খাওয়ারও অনেক উপকারিতা আছে। এটা একসাথে খাওয়ার ফলে
আমাদের চুল পড়া বন্ধ হয় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আবার হৃদরোগ দূরে থাকে,
বাতের ব্যথা দূর হয়, দ্রুত ওজন কমে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
প্রতিদিন সকালে দারুচিনি পানি খাওয়ার উপকারিতা
দারুচিনি মশলা হিসেবে আবার আমরা খাবারের স্বাদ ও ঘ্রান বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করে
থাকি কিন্তু এর আছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা।আপনারা প্রতিদিন দুই ইঞ্চি পরিমাণ
দারুচিনি দুই কাপ পরিমাণ পানিতে ভালোভাবে জ্বাল দিয়ে তারপরে সেই পানি একটা কাপে
নিয়ে গরম গরম চায়ের মত করে খেতে পারেন প্রতিদিন দিনে তিনবার পান করতে পারেন।
এতে করে আপনাদের কোলেস্টেরলের কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধান হবে। ডায়াবেটিস না
থাকলে আপনারা দারুচিনির পানিতে একটা চামচ পরিমাণে মধু মিশিয়েও পান করতে পারবেন।
দারুচিনিতে আছে অ্যান্টিবায়োটিক ও অক্সিডেন্ট যা আমাদের ক্যান্সার ও প্রদাহ এর
বিরুদ্ধে কাজ করে। আর এভাবে আপনারা যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দারুচিনির পানি
খাওয়ার অভ্যাস করে তাহলে আপনারা নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন। সকালে খালি পেটে
দারুচেনে পানি খাওয়ার ফলে আপনারা বেশি উপকারিতা পাবেন। প্রতিদিন সকালে দারুচিনি
পানি খাওয়ার উপকারিতা নিচে বলা হলো
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃদারুচিনি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে
সুপরিচিত এবং এটা আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। জার্নাল অফ
মেডিসিনাল ফুডয়ে প্রকাশিত মেটা বিশ্লেষণ অনুযায়ী দারুচিনি সম্পূরক টাইপ ২
ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর হিমোগ্লোবিন এ ১ সি এর মাত্রা ও উপবাসে রক্তে
গ্লুকোজের ভারসাম্যতা বজায় রাখে। এজন্য আপনারা যদি নিয়মিত দারুচিনি পানি খান
তাহলে আপনাদের রক্তের শর্করার ওঠা নামা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
ওজন হ্রাস করতেঃ দারুচিনির পানি আপনাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে। পানির
সাহায্যে দেহের চর্বি কোষ ভেঙে দিতে পারে এটা। এভাবে দারুচিনি পানি পান করার ফলে
আপনাদের বিপাকে প্রভাব পড়বে এবং ক্ষুধা কমতে শুরু করবে এবং আপনাদের ওজন কমতে
থাকবে।
কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেঃ দারুচিনি আপনাদের খারাপ কোলেস্টেরলের
মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং গ্লুকোজের মাত্রাকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে
এতে করে আপনাদের ধমনী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে ফলে হৃৎপিণ্ডের ওপর কোনো
রকমের চাপ পড়তে দেবে না এবং হৃদপিন্ডের চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ দারুচিনি আপনাদের প্রদাহ ও ব্যাকটেরিয়ার
বিরুদ্ধে কাজ করবে এতে আছে এতে আছে প্রদাহ এবং ব্যাকটেরিয়া রোধী উপাদান। নিয়মিত
সকালে খালি পেটে দারুচিনি পানি খাওয়ার ফলে আপনাদের অসুস্থতায় এবং সংক্রমণের
ঝুঁকি কমবে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
হৃদ স্বাস্থ্য ভালো রাখতেঃ দারুচিনির কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমানোর ক্ষমতা
আপনাদের হৃদ ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। আর যদি আপনারা নিয়মিত দারুচিনি পানি পান
করেন তাহলে আপনাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং হৃদ রোগের ঝুঁকি কমবে।
হজম শক্তি উন্নত করতেঃ আপনারা যদি নিয়মিত সকালে খালি পেটে দারুচিনি পানি
পান করেন তাহলে এটি আপনাদের হজম শক্তি উন্নত করবে এবং ফোলাভাব কমাবে তার সাথে বমি
বমি ভাব হওয়া কমাতে সাহায্য করবে।
বিষাক্ত পদার্থ বের করতেঃ দারুচিনিতে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট আপনাদের দেহের
ভেতরে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করবে এবং আপনাদের শরীরকে ফ্রি
রেডিক্যাল এর কারনে যে ক্ষয় হয় তা কমাতে সাহায্য করবে।
এটা তৈরি করার জন্য আপনাদের প্রথমে একটা পাত্রে একা পরিমাণে পানি ফুটিয়ে নিতে
হবে তারপরে এতে একটা দারুচিনির লাঠি দেওয়ার পরে তা ৫ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিতে
হবে। তারপরে আপনারা কাপে ঢেলে এর সাথে আবার আপনারা মধু এবং লেবু যোগ করতে পারেন
এবং এই পানি আপনারা একটি স্বচ্ছ পরিষ্কার বোতলে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। অনেকের
এই পানি পান করার ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে এবং দ্রুত ওজন কমে যেতে পারে আবার
কারো
এই পানি খাওয়ার ফলে বিপাক প্রক্রিয়া বেড়ে যেতে পারে। এজন্য অল্প পরিমানে
দারুচিনির পানি খেতে হবে এবং তার কোন প্রতিক্রিয়া হয় কিনা সেটা খেয়াল রাখতে
হবে। এজন্য আপনারা প্রথমে সপ্তাহে সাত দিনে দুই একবার পান করে সেটা আপনাদের
শরীরের সাথে মানানসই হচ্ছে কিনা দেখে তারপরে খাবেন।
চুলের যত্নে দারুচিনি
চুলের যত্নেও আমরা দারুচিনি ব্যবহার করতে পারি এর বিভিন্ন রকমের পেস্ট ব্যবহার
করে এটা আমরা ঘরে বসে করতে পারে এতে করে আমাদের চুল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং চুলের
ঘনত্ব বাড়বে পাতলা চুলের সমস্যার সমাধান করবে ইত্যাদি আরো নানা উপকার পাবো আমরা।
এর জন্য আমরা দারুচিনির সাথে অনেক রকম জিনিস ব্যবহার করতে পারে যেমন মধু, নারিকেল
তেল ইত্যাদি। দারু চিনিতে আছে প্রোসিয়ানিডিন যেটা আমাদের চুলের ফলিকলকে উদ্দীপিত
করতে এবং দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এছাড়াও আমাদের চুল পড়া কমাতে এবং টাক পড়া প্রতিরোধ করার জন্য কাজ করে থাকে। এতে
থাকা পলিফেলন প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে
থাকা মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আমাদের মাথার ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ
করে। চুলে দারুচিনির তেল ব্যবহার করার ফলে চুল সুস্থ এবং উজ্জ্বল হয় ও মাথার
ত্বকের রক্ত প্রবাহ বাড়ে এছাড়াও খুশকি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
চুলে দারুচিনির ব্যবহার পদ্ধতি
চুলের বৃদ্ধি হওয়ার
জন্য দারুচিনি আমরা দুই ভাবে ব্যবহার করতে পারি। প্রথম পদ্ধতি আমরা দুই টেবিল
চামচ পরিমাণে আগে থেকে দারুচিনি গুঁড়ো করে রাখা তাজা গুড়া এবং এর সাথে এক চামচ
পরিমাণে মধু এবং অল্প পরিমাণে নারিকেল তেল একসাথে মিশে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে
নিব। তারপরে এই পেস্টটি চুলে মাখিয়ে ২০ মিনিট রাখবো এবং মালিশ করব ভালোভাবে।
মালিশ করা হলে চুল ধুয়ে ফেলব এভাবে আমরা নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি
পাবে।
দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে একটি ডিম এবং নারিকেলের তেল এবং তার সাথে দারুচিনির গুড়া
ভালোভাবে মিশে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিব। এই পেস্টটি আপনারা মাথার ত্বকে এবং চুলে ৩০
মিনিট রেখে অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন এভাবে চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে। তবে আরেকটি
বিষয় খেয়াল রাখবেন এগুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন কারণ
বেশি পরিমাণে মাখার ফলে ক্ষতি হতে পারে।
দারুচিনি ও মধুর উপকারিতা
দারুচিনি ও মধুর উপকারিতা অনেক এই দুটো একসাথে খাবার ফলে আমরা নানারকম রোগের থেকে
মুক্তি পেতে পারি। মধুর যেমন অনেক উপকারিতা আছে তেমনি দারুচিনিরও আছে। এজন্য আমরা
অনেকেই দারুচিনি এবং মধু একসাথে খেয়ে থাকি। এটা খাওয়ার ফলে বাতের ব্যথা থেকে
এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এছাড়াও আরো নানা উপকারিতা আছে
চলুন জানা যাকদারু চিনি ও মধু একসঙ্গে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
হৃদরোগ দূরে রাখেঃ আমাদের হৃদযন্ত্র ভালো রাখার জন্য আমরা দারুচিনি ও মধুর
মিশ্রণ খেতে পারি। আপনারা যদি সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পরিমাণ পানিতে পরিমাণ মতো
মধু এবং তার সাথে দারুচিনির গুড়া মেশিয়ে পান করেন তাহলে হৃদরোগ দূরে থাকবে।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে এর ফলে আপনাদের হৃদরোগের ভয়
কমে যাবে।
বাতের ব্যথা দূর করতেঃ বিভিন্ন গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে দারুচিনি
এবং মধু মিশ্রিত পানি খাওয়ার ফলে তাড়াতাড়ি বাতের ব্যথা কমে যায়। এক গ্লাস
পরিমাণ গরম পানি এবং তার সাথে দুই টেবিল চামচ পরিমাণে মধু ও এক টেবিল চামচ পরিমাণ
মিশিয়ে পান করতে হবে। এটা আপনারা সকালে ও রাতে খেতে পারেন এতে বাতের ব্যথা কমে
যাবে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেঃ আপনাদের মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য আপনারা
ব্যবহার করতে পারেন মধু এবং দারুচিনি। হালকা গরম পানিতে মধু এবং দারুচিনির গুড়া
মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করতে পারেন এতে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
দ্রুত ওজন কমাতেঃ আপনাদের ওজন কমানোর জন্য আপনারা দারুচিনি ও মধু একসাথে
করে খেতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় যে তারুচিনি এবং মধু মিশ্রিত পানি
আপনাদের শরীরের বাড়তি চর্বি দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। এজন্য আপনারা প্রতিদিন
সকালে এক গ্লাস পরিমাণ পানি মিশিয়ে পান করলে আপনাদের ওজন দ্রুত কমে যাবে।
চুল পড়া বন্ধ করতেঃ চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আপনারা ব্যবহার করতে পারেন
দারুচিনি ও মধু। এজন্য আপনারা মধু ও দারুচিনি খেতে হবে না মাথার ত্বকে ব্যবহার
করুন। অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েল এর সাথে এক টেবিল চামচ পরিমাণে মধু এবং তার সাথে এক
চা চামচ পরিমাণে দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং মাথার ত্বকে
ব্যবহার করুন এতে করে আপনাদের নতুন চুল গজাবে এবং চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
দারুচিনি চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
দারুচিনি আমরা শুধু রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকে এবং বেকিংয়ে স্বাদ বাড়ানোর
এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। আমাদের মধ্যে কিছু লোক আছে তারা এই দারুচিনি
চিবিয়ে খায় এর গন্ধ এবং স্বাস্থ্য ও উপকারিতা পাওয়ার জন্য। দারুচিনি প্রদাহ
বিরোধী এবং এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা আমাদের স্বাস্থ্য উপকারিতার
জন্য অনেক উপকারী। দারুচিনি চিবিয়ে খাওয়ার ফলেও অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় যেমন
হজমে সাহায্য করে, আমাদের শ্বাস সতেজ হয়
এছাড়াও আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কিন্তু এই দারুচিনি
আমাদের বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয় এতে করে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
এজন্য আমাদের পরিমিত পরিমানে দারুচিনি খাওয়া উচিত।
দারুচিনি খেলে কি ক্ষতি হয়
দারুচিনি খেলে কি ক্ষতি হয় এ বিষয়ে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না কারণ এর কোন
উপকারিতা আছে। এটা আবার বেশি খাবার ফলে যে আমাদের ক্ষতি হতে পারে এ বিষয়ে হয়তো
আমরা অনেকেই জানিনা। দারুচিনি খাওয়ার ফলে আমাদের নানা রকম উপকারিতা হয় নানা
অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় রূপ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ত্বকের জন্য চুলের জন্য
উপকারী ইত্যাদি আরও নানা উপকারিতা আছে কিন্তু এটা খেতে হবে নিয়ম করে পরিমাণ মতো
তবে আমরা উপকার পাব। দারুচিনি খেলে কি ক্ষতি হয় নিচে বলা হলো
- গর্ভবতী মহিলাদের দারুচিনি না খাওয়াই ভালো কারণ এতে তাদের গর্ভপাতের কারণ হতে পারে।
- বেশি পরিমাণে দারুচিনি খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে জ্বালানির সৃষ্টি হতে পারে।
- বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
- যাদের শরীরে অস্ত্রপাচার করা হবে বা হয়েছে তাদের দারুচিনি খাওয়া ভালো নয়।
- যারা ডাইবেটিস রোধ করার ঔষধ খান তাদের দারুচিনি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- যাদের দারুচিনি খাওয়ার ফলে এলার্জি হয় বা ত্বকে এর তেল ব্যবহার করার ফলে এলার্জি বা অন্য কোন সমস্যা দেখা দেয় তারা এটা খাওয়া ও ত্বকে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন বা ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জানুন
আমাদের সকলের রান্নাঘরে দারুচিনি মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি আমরা এটা রান্নার
স্বাদ এবং ঘ্রান বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করি। এর অনেক উপকারিতা আছে এবং এতে আছে
নানা পুষ্টিগুণ। এর গাছের পাতা, ছাল, মুল এবং তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতি
১০০ গ্রাম পরিমাণ এর দারুচিনিতে আছে পানি ১০.৫৮ গ্রাম, এনার্জি ২৪৭ কিলো ক্যালরি,
প্রোটিন আছে ৩.৯৯ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৮০. ৫৯ গ্রাম। এছাড়াও আছে শর্করা ২১৭
গ্রাম ফ্যাটের পরিমাণ ১.২৪ গ্রাম। দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা হলো
- দারুচিনি আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- দারুচিনি আমাদের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
- ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে পারে দারুচিনি এর নির্যাস ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে এবং ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রাস করে এবং টিউমারে রক্তনালী তৈরি করে থাকে।
- এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করে এবং বিভিন্ন টিস্যুর ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে।
- ঠান্ডা কাশি উপশম করতে সাহায্য করে থাকে এই দারুচিনি মসলা।
- আমাদের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে এবং অনেকদিন এর বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- যক্ষ্মা রোগীদের জন্য উপকারী।
- মস্তিষ্কের কোষ গুলোর গঠন এবং কার্যকারীতার প্রগতিশীল ক্ষতির কারণে আমাদের নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ হয় আর এটা থেকে উপকার করে থাকে দারুচিনি।
- দারুচিনিতে আছে সিনামালডিহাইড উপাদান যা আমাদের ব্যাকটেরিয়ায় এবং ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে থাকে।
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে দারুচিনি। এটি আমাদের রক্তের প্রবাহে প্রবেশ করে থাকে এবং এর গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- দারুচিনি খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- নিয়মিত দারুচিনি খাওয়ার ফলে আমাদের হজমের সমস্যা দূর হয় এবং অন্তরে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- সাইনাসের ক্ষত সারাতে উপকারে আসে দারুচিনি।
- আমাদের শরীরে কোন রকম রক্তপাত হলে দারুচিনি ব্যবহার করলে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়।
- চুলকানি এলার্জি এবং ফোঁড়া সারানোর জন্য দারুচিনি এবং মধু মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
- চোখের ওপরের পাতায় দারুচিনির তেল লাগানোর ফলে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে দারুচিনি।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে দারুচিনি।
- ত্বকের জন্য যেমন ব্রণ দূর করতে আপনারা এক টেবিল চামচ দারুচিনির গুড়া এবং তিন টেবিল চামচ পরিমাণে মধু মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
- দারুচিনির গুড়ার ফেস পাউডার মুখে ব্যবহার করার ফলে মুখ উজ্জ্বল হয় নরম কোমল হয় মুখের আদ্রতা ফিরে আসে এবং মুখের কালো দাগ দূর হয়।
- চুলের জন্য দারুচিনি অনেক উপকারে আসে। চুল গজানোর জন্য এক টেবিল চামচ পরিমাণে মধু এবং দুই চামচ পরিমাণ দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে চুলে ৬০মিনিট লাগিয়ে তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
দারুচিনি খাওয়ার কিছু অপকারিতা হলো
- বেশি পরিমাণে দারুচিনি খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে জ্বলুনি হতে পারে।
- বেশি পরিমাণে দারুচিনি খাওয়ার ফলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
- গর্ভবতী মহিলারা দারুচিনি খাওয়ার ফলে তাদের গর্ভপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যে সকল ব্যক্তির অস্ত্রপাচার করা হবে বা করা হয়েছে তাদের দারুচিনি না খাওয়াই ভালো।
- ডায়াবেটিস রোধ করার ওষুধ সেবন করার সময় দারুচিনি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খাবেন।
- যাদের দারুচিনি খাওয়ার ফলে বা দারুচিনির তেল ব্যবহার করার ফলে ত্বকে এলার্জি এবং চুলকানির সমস্যা হয় তারা খাওয়ার আগে বা ত্বকে তেল ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে এটা ব্যবহার করবেন।
এবার আমরা জানবো দারুচিনি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এ বিষয়ে হয়তো আমরা অনেকেই
জানিনা যারা জানে না তারা আজকে আমার এ পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। দারুচিনি ২
ইঞ্চি মাপের দুই কাপ পরিমাণ পানিতে ফুটিয়ে তা এক কাপ পরিমাণ করে হালকা গরম থাকা
অবস্থায় খেতে পারি। এভাবে দারুচিনির চা বানিয়ে খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দারুচিনির ক্বাথ আমরা সর্দি-কাশি এবং গলা ব্যথা এবং আমাদের
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
ব্যবহার করতে পারি এতে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে। আবার গর্ভবতী মহিলাদের
দারুচিনি খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হতে হবে এটা খাওয়ার ফলে তাদের গর্ভপাতের
সমস্যা হতে পারে। দারুচিনি আমরা বিভিন্ন রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি এবং আমরা
দারুচিনির তেল ব্যবহার করে থাকি বাতের ব্যথা কমাতে। গরম পানির সাথে মধু লেবুর রস
এবং দারুচিনি মিশিয়ে আমরা খেতে পারি।
দারুচিনি চা এর উপকারিতা
আমাদের সকলের রান্নাঘরে দারুচিনি নামের এই মসলাটি পাওয়া যায়। এই মসলাটি আমাদের
খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয় আবার এর অনেক ঔষধি গুন আছে যা আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারে আসে। এটা খাওয়ার ফলে যেমন অনেক উপকারিতা হয়
আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে তেমনি এর চা বানিয়ে খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।
দারুচিনির যা আমরা সকলে আমাদের ঘরে তৈরি করতে পারি এর জন্য লাগবে দারুচিনি এবং
চা। একা পরিমাণ পানিতে.১ চা চামচের.৪
ভাগের ১ ভাগ দারুচিনির গুড়া জ্বাল দিয়ে নিতে হবে তারপরে একে ছেকে নিয়ে তার
সাথে আপনারা মধু ও দুইটি পুদিনা পাতা দিয়ে খেতে পারেন এটা খাওয়া উত্তম হবে।
এইটা আপনারা দিনে দুইবার খেতে পারেন এর বেশি খাওয়া উচিত নয়। ডায়াবেটিস এ
আক্রান্ত ব্যক্তিরা মধু বাদ দিয়ে খাবেন। দারুচিনি চা এর উপকারিতা হলো
- রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এই দারুচিনির চা। গবেষণা থেকে জানা যায় এটি ইনসুলিন ক্রিয়া-কলাপ উদ্দীপনা দ্বারা আমাদের দেহে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতাকে রাস করতে সাহায্য করে অর্থাৎ এটি আমাদের ইনসুলিন থেরাপীর বিকল্প হিসেবেও কাজ করে থাকে।
- উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে দারুচিনির চা। নিয়মিত দারুচিনির চা পান করার ফলে রক্তচাপ কমবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে নানা অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
- কোলেস্টেরল কমিয়ে লিপিডের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। দারুচিনির চা পান করার ফলে আমাদের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমবে গবেষণা থেকে জানা যায় যে ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ৪০ দিন ধরে প্রতিদিন ১/৪ চা চামচ দারুচিনি দিয়ে চা খাওয়ার ফলে তাদের খারাপ কোলেস্টেরল কমছে।
- ভালো কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যান্য গবেষণায় পাওয়া গেছে যে দারুচিনি দিয়ে চা খাওয়ার ফলে ১৮ সপ্তাহ পর্যন্ত তাদের ভালো কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বাড়ে।
- প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে। আমাদের বয়স বাড়ার সাথে আর্থাইটিসের মতো অনেক প্রদাহ জনিত রোগের সমস্যা দেখা দেয় এ ধরনের সমস্যা কমানোর জন্য আপনারা প্রতিদিন নিয়মিত দারুচিনি দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন।
- দারুচিনি দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়ার ফলে আপনাদের ওজন কমবে। গবেষণায় জানা যায় যে দারুচিনি চা মহিলাদের মাসিকের লক্ষণ যথা রক্তপাত ব্যথা বমি কমাতে এবং বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে থাকে।
দারুচিনি মুখে দিলে কি হয়
প্রাচীন কাল থেকে রান্নার জন্য এই মসলা ব্যবহার করা হয়ে আসছে শুধু রান্নার কাজে
নয় এটা আমাদের রূপচর্চা করার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
প্রোটিন পটাশিয়াম ফ্যাট সোডিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট আছে যা আমাদের মুখের ব্রণ
দূর করা থেকে শুরু করে পায়ের যত্নেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দারুচিনি মুখে দিলে
কি হয় এ বিষয়ে হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না এটা মুখে দেওয়ার ফলে অনেক
উপকারিতা পাওয়া যায়। এতে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমাদের মুখের ব্রণের
জন্য উপকার করে।
এই ব্রণের জন্য ব্যাকটেরিয়া দায়ী আর দারুচিনি এটা নির্মূল করতে সহায়তা করে
থাকে। অনেকে আবার দারুচিনির মাস্ক মুখে লাগান এতে অনেক উপকার হয়। এক চা চামচ
দারুচিনি এবং ৩ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে তারপরে এটি আপনাদের মুখে দশ মিনিট রেখে
শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে ব্যবহার করার ফলে
আপনাদের ত্বকের লাল ভাব দূর হয়ে যাবে এবং ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ফিরে আসবে।
এছাড়াও দারুচিনিতে আছে ত্বক উজ্জ্বল করার উপাদান
যা আপনাদের ব্রণের দাগ কালো দাগ মেস্তা দূর করতে সাহায্য করে এবংত্বককে দীপ্তিময়
করে তুলবে। দারুচিনির গুড়া আপনারা ফেস পাউডারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে
পারেন বা করা যায়। দুই টেবিল চামচ পরিমাণে দারুচিনির গুঁড়া এবং ৩ চা চামচ
পরিমাণে কর্নস্টার্চ একসাথে মিশিয়ে তার সাথে আপনারা পাঁচফোঁটা বাদাম তেল মিশিয়ে
ফেস পাউডার তৈরি করতে পারেন। এভাবে দারুচিনির ফেস পাউডার ব্যবহার করার ফলে আপনার
ত্বক নরম হবে এবং মৃত কোষ সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
দারুচিনি খেলে কি ওজন কমে
দারুচিনি আমরা ব্যবহার করে থাকে রান্নার সময় খাবারের স্বাদ বাড়াতে। এর অনেক
উপকারিতা ও ঔষধি গুন আছে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এতে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল
এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। আমাদের ওজন কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
সাহায্য করে। আমরা যদি প্রতিদিন এর পানি পান করি তাহলে আমাদের অনেক উপকার হবে।
এতে আছে আয়রন প্রোটিন ক্যালসিয়াম কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান।
দারুচিনিতে আছে ইনসুলিন প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বা কমানোর ক্ষমতা আছে।
এটি আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। দারুচেনের পানে পান করার ফলে আপনাদের খিদে
নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং আপনাদের পেট অনেক সময় ধরে ভরা রাখেতে ও আপনি যাতে
অতিরিক্ত খাবার খেতে না পারেন অর্থাৎ অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এড়ান এদিকে কাজ করে।
আবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী একটা ওষুধ হিসেবে কাজ করে দারুচিনি।
ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি প্রতিদিন দারুচিনের পানে পান করেন তাহলে তাদের রক্তে
শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। ওজন কমানোর জন্য আপনারা
তরকারি অথবা চা এর সাথে দারুচিনি বা দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। আপনারা
এক গ্লাস পানিতে দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে এই পানীয় তিন থেকে চার
বার পান করতে পারেন দিনে এভাবে খাওয়ার ফলে আপনাদের ওজন কমবে। ওজন কমানোর জন্য
আপনারা ফল এবং সবজির রসের সাথে দারুচিনির গুঁড়ো যোগ করে খেতে পারেন এতে করে
আপনার ওজন কমবে এবং ফলের রসের স্বাদ বাড়াবে। ওজন কমানোর জন্য আপনারা লেবু, মধু
এবং
দারুচিনি একসাথে করে চা বানিয়ে খেতে পারেন। অনেকে কফি খেতে পছন্দ করে কফির সাথে
আপনারা দারুচিনি যোগ করে পান করতে ও পারেন এটা স্বাস্থ্যকর হবে এবং ওজন কমাতে
সহায়তা করবে।
লেখকের মন্তব্য
ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে আপনাদের জন্য দারুচিনি সম্পর্কিত অনেক তথ্য দিয়েছে
বিস্তারিতভাবে যেমন দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সহ
দারুচিনি ও মধুর উপকারিতা, চুলের যত্নে দারুচিনি ইত্যাদি অনেক কয়েকটি বিষয়ে
যেগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং অন্য কেউ উপকৃত করতে পারবেন। আপনারা যদি
দারুচিনি খাওয়ার অভ্যাস শুরু করেন তাহলে আমার এই পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে
পারবেন এবং আপনাদের কাছে যদি এই পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে
দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url