বিচি কলার উপকারিতা এবং বিচি কলার ঔষধিগুণ জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি এখানে আপনাদের জন্য বিচি
কলার উপকারিতা
এবং বিচি কলার ঔষধিগুণ এবং সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক
বিস্তারিত তথ্য দেবো যেগুলো হয়তো আপনারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু পাননি।
সঠিক তথ্য জানতে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজকে আমার এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা কলা সম্পর্কিত অর্থাৎ কলার বিভিন্ন জাতের
মধ্যে বিচি কলার উপকারিতা এবং বিচি কলার ঔষধিগুণ ছাড়াও সাগর কলার উপকারিতা ও
অপকারিতা আবার অনুপম করলার উপকারিতা ও সবরি কলার উপকারিতা ইত্যাদি জানতে পারবেন।
এ বিষয়গুলো অনেক বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো পড়ে আপনারা অনেক
উপকৃত হবেন। কলা সম্পর্কিত এসব তথ্য জানতে তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
আমরা সকলে কলা খেতে খুব পছন্দ করি এর স্বাদের জন্য এবং কলা আমাদের দেশে প্রায়
বারো মাসেই পাওয়া যায়। এই কলা আমরা পাকা অবস্থায় ফল হিসেবে এবং কাঁচা অবস্থায়
সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি। কলার অনেক পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা আছে যেগুলো আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। কলা খাওয়ার ফলে আমরা অনেক অসুখের হাত থেকে রক্ষা
পেতে পারি। সেটা বিচি কলা হোক বা সবরি কলা বা অনুপম কলা হোক। সকল প্রকার কলারে
অনেক উপকারিতা আছে।
আরো পড়ুনঃআম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
বিচি কলা খাওয়ার ফলে আমাদের ডায়রিয়া, আমাশয়, রক্ত আমাশয়, জ্বর ও
কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি অসুখ থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। বিচি কলা আমাদের
ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এই কলার অনেক ঔষধি গুণ আছে রান্না করা ফুল
ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এছাড়াও কৃমি জনিত সমস্যায় ব্যবহার করা
হয়। এছাড়াও আমাদের স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠনে ব্যবহার করা হয় এই কলা কারণ এই
কলাতে আছে ফসফরাস, নাইট্রোজেন, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম।
এছাড়াও সাগর কলা খাওয়ার ফলে আমরা অনেক উপকারিতা পেয়ে থাকে আমাদের রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে থাকে হার্ট ভালো থাকে। এছাড়াও সাগর কলা খাওয়ার ফলে আমাদের
মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও
আমরা যদি বেশি পরিমাণে সাগর কলা খেয়ে থাকে তাহলে আমাদের পেটে এসিডের মাত্রা
বেড়ে যেতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের সাগর কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ
নিয়ে তারপরে খেতে হবে।
কাঁচা না পাকা কোন কলায় বেশি পুষ্টি থাকে
কলা খাওয়ার ফলে আমাদের যে স্বাস্থ্য উপকারিতা হয় অনেক সে কথা আমরা অনেকেই জানি।
কারণ এই ফলে আছে অনেক ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও ভিটামিন সি এছাড়াও
আরো অনেক উপকারে উপাদান যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং
আমাদের শরীরকে রোগমুক্ত রাখার জন্য অনেক উপকারী। এজন্য আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার
জন্য আমরা নিয়মিত কলা খাব। তবে কাঁচা না পাকা কোন কলা খাবো এ বিষয়ে অনেকেরই
ভিন্ন মত আছে। অনেকে মনে করেন যে কাঁচা কলা বেশি
উপকারী আবার অনেকে মনে করে পাকা কলা বেশি উপকারী। কাঁচা কলা আমরা সবজি হিসেবে
রান্না করে খেয়ে থাকি আর রান্না করে খাওয়ার ফলে এতে থাকা ভিটামিন সি এর পরিমাণ
কমে যায় এর গুণ নষ্ট হয়ে যায় এজন্য পাকা কলা খাওয়াই বেশি উপকার হবে। কাঁচা
কলা খাওয়ার ফলে আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি পাকা কলা খাওয়ার ফলে ও
আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। বিশেষজ্ঞদের মতে আমরা যদি নিয়মিত পাকা কলা
খায় তাহলে আমরা একাধিক পুষ্টিগুণ পাব।
কারণ পাকা কলাতে আছে ভিটামিন বি ৬, ম্যাগনেসিয়াম, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ
ইত্যাদি। পাকা কলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে আমরা এনার্জি পাব আমাদের হার্ট ভালো
থাকবে আমরা বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারব এছাড়াও আমরা অনেক উপকারিতা
পাব পাকা কলা খাওয়ার ফলে। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা কলা খাওয়াই
ভালো। কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে ব্লাড প্রেসার এবং সুগার কে বসে আনা যায় এতে থাকা
ফাইবার আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য
এবং ক্রনিক ডায়রিয়া এর প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে থাকে এছাড়াও আমাদের পেটের
বিভিন্ন অসুখ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে। কাঁচা বা পাকা
দুই ধরনের কলার মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পুষ্টি আছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য
অনেক উপকারী তাই কাঁচা বা পাকা দুই ধরনের কলায় আমাদের খাওয়া উচিত।
কলা খেলে কি ঠান্ডা লাগে
কলা খেলে ঠান্ডা লাগে এ ধারণা হয়তো আপনাদের মধ্যে অনেকেরই আছে কিন্তু চিকিৎসকরা
বলছেন কলা খাওয়ার ফলে ঠান্ডা লাগে না। কলা হচ্ছে পুষ্টি গুণে ভরপুর একটি ফল এতে
আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন
এ, ভিটামিন বি ৬, খনিজ ও প্রাকৃতিক চিনি ইত্যাদি উপাদান যেগুলো আমাদের শরীরকে
সুস্থ রাখার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের অসুখ
ও রোগ থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে।
আর কলাতে এ সকল উপাদান গুলো থাকার কারণে কলা খাওয়া অত্যন্ত ভালো। কলা খাওয়ার
ফলে ঠান্ডা লাগে এ ধারণা ভুল তবে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে যাদের এজমা, নাক
দিয়ে পানি ঝরা ও হাঁচি হওয়া ইত্যাদি সমস্যা গুলো রয়েছে তারা শীতের সময় কলা
খাওয়ার ফলে এ সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য তারা এ সময় কলা খাওয়া থেকে বিরত
থাকতে পারেন। ঠান্ডা লাগলে টক জাতীয় ফল বা কলা খাওয়া বারণ করা হয় কিন্তু
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে যদি পরিমিত
পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে কোন সমস্যা হবে না। কলাতে ভিটামিন সি আছে যা আমাদের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কলা খাওয়ার ফলে আমাদের হজমে সমস্যা দূর
হয় অর্থাৎ হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এছাড়াও আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য
করে এবং মস্তিষ্ককে সজাগ গড়ে তুলতেও অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। কলাতে আছে
ফাইবার এছাড়াও আছে পটাশিয়াম যাদের পটাশিয়ামে অসুবিধা হয় তারা কলা না খেলে
ভালো হয়।
আবার ডায়াবেটিস রোগীরা যদি নিয়মিত ভাবে নিয়ন্ত্রিত ভাবে কলা খায় তাহলে তাদের
কোন সমস্যা হবে না । কলার মধ্যে থাকা ফাইবার শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে
সহায়তা করে থাকে।
অনুপম কলার উপকারিতা
অনুপম কলারও অনেক উপকারিতা আছে এবং অনেক পুষ্টিগুণ আছে যেটা আমাদের স্বাস্থ্যের
জন্য অনেক উপকারী। অনুপম কলা খাওয়ার ফলে আমাদের অনিদ্রা ভালো হয়। এছাড়াও
আমাদের মানসিক চাপ কমে এবং মানসিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমাদের চর্বি হজমে
সাহায্য করে থাকে এবং এর মধ্যে আছে অনেক আঁশ যা আমাদের পেট পরিষ্কার রাখতে
সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের শরীরে শক্তির যোগান দিয়ে থাকে অনুপম কলা।
সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
সাগর কলা আমাদের সকলের কাছে একটি পরিচিত কলা এ কলা একটি মধুর স্বাদের ফল এবং এর
ফলের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। এই ফলে আছে ফাইবার মিনারেল ভিটামিন এবং
অক্সিডেন্ট আছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এই ফলের যেমন উপকারিতা
আছে তেমনি কিছু অপকারিতা আছে যেটা অতিরিক্ত বেশি খাওয়ার ফলে আমাদের স্বাস্থ্য
ঝুঁকে বাড়তে পারে। এজন্য সঠিক পরিমাণে খাওয়া উচিত।আজ জানবো সাগর কলার উপকারিতা
এবং অপকারিতা সম্পর্কে। সাগর কলার উপকারিতা
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ রক্ত চাপের কম বেশি হলে আমরা কখনো সুস্থভাবে
স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারব না আমাদের অনেক সমস্যা হবে। কিন্তু আমরা যদি
সাগর কলা খায় তাহলে এ সমস্যা দূর হবে। সাগর কলাতে আছে পটাশিয়াম,সোডিয়াম এবং
কার্বোহাইড্রেট উপাদান যেটা আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমাতেঃ মহিলাদের প্রতি মাসে পিরিয়ড হয় আর এ সময় পেটে
ব্যথা হয়। সাগর কলাতে আছে ভিটামিন বি ৬ এবং পটাশিয়াম যা খাওয়ার ফলে এ সময়
মহিলাদের পেটে
ব্যথা
কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়া জরায়ুর পেশির শক্তি মাত্রা বাড়বে।
হার্টের সমস্যা সমাধানেঃ আমাদের হার্টের সমস্যা হলে আমাদের বেঁচে থাকা
কঠিন হয়ে পড়ে। হার্ট ভালো থাকলে আমরা সুস্থ ও ভালো থাকবো কারণ এর মাধ্যমে
আমাদের পুরো শরীরের রক্ত সঞ্চালন হয় ও স্বাভাবিক থাকে। আমরা যদি প্রতিদিন পরিমিত
পরিমাণে সাগর কলা খায় তাহলে আমাদের রক্ত সঞ্চালন সঠিক থাকবে এর ফলে আমাদের হার্ট
ভালো থাকবে এবং এর কর্মক্ষমতা বেড়ে যাবে।
মস্তিষ্কের স্নায়ু সতেজ রাখতেঃ আমাদের সবকিছুর নির্দেশ আসে মস্তিষ্ক
থেকে। আমাদের মস্তিষ্ক যদি সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে আমরা নানা সমস্যার সম্মুখীন
হবো। এজন্য আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ু গুলোকে সুস্থ রাখতে হবে আর এ কাজটি করতে
সাহায্য করে সাগর কলা। সাগর কলা মস্তিষ্কের স্নায়ু গুলোকে সতেজ রাখতে সাহায্য
করে এবং স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ আমাদের সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর ও ভিটামিন
সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত তাহলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং
আমরা সুস্থ থাকতে পারবো সকল রোগের সাথে লড়াই করতে পারব। আমরা যদি সাগর কলা খায়
তাহলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে বহু গুণে কারণ এতে আছে এন্টি
অক্সিডেন্ট।
লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়েঃ লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে
থাকে সাগর কলা। কারণ এই কলাতে আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা আমাদের লোহিত
রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
হজমে সাহায্য করেঃ সাগর কলা পিচ্ছিল হয় এই সাগর কলা আমাদের খাবারকে হজম
করতে সাহায্য করে থাকে আমাদের খাবারকে দ্রুত হজম করতে ও সাহায্য করে থাকে এই সাগর
কলা।
ওজন বৃদ্ধি করতেঃ যাদের শরীরের ওজন কম যারা শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য
চেষ্টা করছেন তারা নিয়মিত সাগর কলা খেতে পারেন এতে করে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধির
পাবে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করেঃ সাগর কলা খাওয়ার ফলে আমাদের কোলেস্টেরল
নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারা যায়। এছাড়াও আমাদের হৃদয়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য
অনেক সাহায্য করে থাকে এই সাগরকলা।
পৌষ্টিক মানঃ সাগরকলাতে অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন অ্যামিনো এসিড
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ আছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক
গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য পালন করে থাকে। অর্থাৎ সাগর কলা অনেক প্রয়োজনীয় পৌষ্টিক
মান সরবরাহ করে আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।
ডিজেস্টিভ সিস্টেমে সাহায্যঃ সাগরকলা তে আছে অনেক পরিমাণে ফাইবার যা
আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে অনেক সাহায্য করে থাকে। এছাড়া সাগর কলা খাওয়ার ফলে
আমাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
সাগর কলার অপকারিতা
- সাগরকলাতে এমিনো এসিডের পরিমাণ বেশি থাকে তাই বেশি পরিমাণে খেলে আমাদের পেটে এসিডের মাত্রা বাড়তে পারে।
- সাগরকলা পিচ্ছিল এবং এতে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে তাই বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে আমাদের দাঁতের ক্ষয় হতে পারে।
- যদি কারো শরীরে এলার্জি থাকে তাহলে তাকে এই কলার মুকুল ও কাণ্ড খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- গর্ভবতী মহিলারা সাগর কলা খেতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খাবেন।
- এই কলাতে অনেক বেশি এমিনো এসিড থাকে তাই বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে আপনার রক্ত নালীতে সমস্যা হতে পারে।
- সাগর কলা বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে এজন্য অবশ্যই আপনাকে এই কলা শুকনো জিনিসের সাথে খেতে হবে।
- সাগরকলা অনেক মিষ্টি হয় এজন্য সাগর কলা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- সাগর কলাতে স্যাকরোজ সম্মিলিতভাবে থাকে এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তা প্রতিষেধ্যতা সৃষ্টি করে থাকে।
- সাগর কলা তে অধিক পরিমাণে ক্যালরি থাকে যা আমাদের শরীরে বেশি ক্যালোরি সরবরাহ করতে পারে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ক্ষতিকর বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে।
বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে কলা খাওয়া যাবে কি
কলা হচ্ছে অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। এতে অনেক পুষ্টিকর উপাদান ও ভিটামিন আছে
যেগুলো বাচ্চার শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে। অনেকে মনে করেন যে
বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে কলা খাওয়া যাবে না এ ধারনা ভুল চিকিৎসকরা বলেছেন
বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে ও কলা খাওয়ানো যাবে। কলা হচ্ছে পিচ্ছিল হয় কিন্তু কলা
খেলে ঠান্ডা সর্দি কাশি বাড়ে না। বাচ্চার ঠান্ডা লাগলে বা সর্দি কাশি হলে তার
খাওয়ার রুচি কমে যায় এ সময় তাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে দিতে হবে অল্প
অল্প করে কিছুক্ষণ পরপর। কিন্তু বাচ্চার যদি কলা খাওয়ানোর ফলে এলার্জি হয় তাহলে
কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এ সময়। কলাতে আছে পটাশিয়াম, ফাইবার যা
বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে, হজমে সাহায্য করবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়বে, পেটের বিভিন্ন অসুখ দূর করবে, ডায়রিয়ায় কাজে লাগবে ও বাচ্চার
স্মৃতিশক্তি বাড়াবে।
বাচ্চাদের জন্য কাঁচা কলার গুঁড়ার উপকারিতা
আমরা হয়তো অনেকে বাচ্চাদের কাচা কলার গোড়া খাওয়ানোর কথা জানিনা কিন্তু এটাও
বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী। আপনার বাচ্চার বয়স যখন ছয় মাসের বেশি হবে বা আপনার
বাচ্চা যখন শক্ত কঠিন খাবার খাবার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে তখন আপনি এই কাঁচা
কলার গোড়া দিতে পারবেন। এটা খাওয়ানোর ফলে আপনার বাচ্চার অনাক্রম্যতা তৈরি হবে।
এছাড়াও এতে অনেক পটাশিয়াম এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান আছে যেটা আপনার
বাচ্চাকে পুষ্টি উপাদানের যোগান দিবে।
এটি আপনার বাচ্চাকে খাবার হজম করতে সাহায্য করবে খুব তাড়াতাড়ি এবং আপনার
বাচ্চাকে সর্দি-কাশি থেকে দূরে রাখবে। আপনার বাচ্চা সর্দি কাশির কারণ হয়ে
দাঁড়াবে না। এছাড়াও এটি আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্যকর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য
অনেক সাহায্য করে থাকবে। এজন্য আপনাকে একটা দৃঢ় এবং কাঁচা কলা নিয়ে তার উভয়
প্রান্ত কেটে কলার খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপরে পাতলা পাতলা করে ছোট ছোট টুকরো
করে কেটে নিয়ে এগুলোকে রোদে শুকোতে হবে তারপরে
এগুলোকে গুঁড়ো করে নিতে হবে। গুঁড়ো করার আগে আপনাকে মনে রাখতে হবে কলাটি অবশ্যই
কাঁচা হতে হবে এবং পরিষ্কার করে নিতে হবে। এই গুড়োর কারণে আপনার বাচ্চার
কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না।
বিচি কলার উপকারিতা এবং বিচি কলার ঔষধিগুণ
আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয় এবং পাওয়া যায় ও খাওয়া হয় পাকা
হিসেবে ফল এবং সবজি হিসেবে তরকারি করে খাওয়া হয় রান্না করে। এ সকল গলার অনেক
গুনাগুন ও ভিটামিন আছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারে আসে এজন্য আমাদের
প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কলা থাকা উচিত। বিচি কলা আমরা কাঁচা ও পাকা দুরকম ভাবে
খেতে পারি। এই কলাতে অনেক পরিমাণে শর্করা, পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন
সি, ভিটামিন ডি এবংভিটামিন বি ৬ ও লৌহ ইত্যাদি আছে।
একটা বিচি কলায় ১৫ থেকে ৬২ টি বিচি থাকতে পারে। এই কলার উৎপত্তি স্থান
হচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়। এই কলা খ্রিস্টপূর্ব প্রায় আট হাজার বছর আগে থেকে
মানুষ চাষ করে আসছে। এই বিচি কলা অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু ফল
হিসেবে পরিচিত আমাদের বাংলাদেশে। এই ফলের ওজন হয় ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম পাকা ফল
দেখতে হলুদ রংয়ের হয় এবং অনেক মিষ্টি হয়। আমরা হয়তো অনেকে
বিচি কলার উপকারিতা সম্পর্কে জানিনা আজ আমরা জানবো এসব সম্পর্কে। বিচি কলার উপকারিতা
- এই বিচি কলাতে প্রচুর পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস আছে যা আমাদের শরীরে স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠনে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে।
- বিচি কলার ফুলের রস ব্যবহার করা হয় আমাশয় আলসার ভালো করতে এবং ব্রংকাইটিস রোগে।
- রান্না করা ফুল ব্যবহার করা হয় ডায়াবেটিস এর চিকিৎসায়।
- এ গাছের কষ যুক্ত রস ব্যবহার করা হয় কুষ্ঠ রোগ, জ্বর, হিস্টোরিয়া রোগে, রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে, স্থায়ী আমাশয় সারানোর জন্য এবং ডায়রিয়ার চিকিৎসায়।
- এই বিচি কলা গাছের শিকড় ব্যবহার করা হয় পরিপাক জনিত সমস্যার ও আমাশয় রোগে।
- বিচি কলা খাওয়ার ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভব হয় এবং কিডনি এবং মুত্রাশয়ের পাথর দূর করার জন্য অনেক উপকারে আসে।
- কৃমি জনিত সমস্যা সারানোর জন্য বিচি কলা খাওয়া হয়।
- এই কলাতে আছে অনেক পটাশিয়াম যা আমাদের পেশির নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে যার ফলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং স্ট্রোকের ঝুকি কমে।
- আমাদের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ও আমাদের হাড়কে শক্ত ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে থাকে।
- এই কলা ছোট করে কেটে পানিতে ভিজে রেখে দিয়ে তারপরে সকালে খালি পেটে খেলে প্রসাবের জ্বালা যন্ত্রণা সেরে যেতে পারে।
- বিচি কলা খাওয়ার ফলে আপনাদের ওজন কমবে।
- পাতলা পায়খানা হলে এবং রক্ত আমাশয় ও সাদা আমাশয় হলে আগেকার দিনে মানুষ বিচি কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এখন আমরা জানবো বিচি কলার ঔষধিগুণ সম্পর্কে বিচি কলার অনেক ঔষধি গুন আছে এ কথা
হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা কিন্তু আজ আপনারা এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে তা জানতে
পারবেন। বিচি কলার অনেক ঔষধি গুন আছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী
এবং আমরা অনেক অসুখ থেকে মুক্তি পেতে পারি। এই কলাতে আছে অনেক পরিমাণে
ক্যালসিয়াম নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস যা আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠনে
অনেক কাজ করে থাকে।
কলা গাছের প্রায় সব অংশই ঔষধিতে ব্যবহার করা হয়। এই বিচি কলা গাছের ফুল
ব্রংকাইটিস, আলসার এবং আমাশয় রোগে এবং এর ফুল রান্না করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
কাজ করা হয়ে থাকে ডায়াবেটিস ব্যক্তিদের জন্য। এছাড়াও এই গাছের কসযুক্ত রস
ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিভিন্ন অসুখের জন্য যেমন কুষ্ঠ রোগ, জ্বর, রক্তক্ষরণ বন্ধ
করার জন্য, স্থায়ী আমাশয় রোগের জন্য, হিস্টেরিয়া রোগের জন্য এবং ডায়রিয়া রোগ
প্রতিরোধ করতে। এছাড়াও এই গাছের শিকড় ব্যবহার করা হয় আমাশয় রোগে
এবং পরিপাক জনিত সমস্যার জন্য। এই কলার বীজে আছে মিউসিলেজ যা ডায়রিয়া হলে
ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পাকা কলার খোসা এবং পাল্পে আছে ছত্রাক বিরোধী এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী এছাড়াও আছে কাঁচা সবুজ কলার খোসা ও পাল্পের দ্বারা
তৈরি করা হয় ছত্রাক নাশক। যা টমেটোর ছত্রাক জনিত রোগ দমন করার জন্য ব্যবহার করা
হয়ে থাকে। গ্যাস্টিক জনিত অম্লত্ব সমস্যা প্রশমন করে থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার
জন্য কাজে লাগে। কিডনি ও মুত্রাশয়ের পাথর দূর করার
জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে কলার ভুয়া কাণ্ডের ভেতরে থাকা কোন অংশের রস। এছাড়াও
এই কলা খাওয়ার ফলে মানুষের কৃমির জনিত সমস্যা দূর করা সম্ভব হয়। গবেষণা থেকে
দেখা যায় যে দুইটি কলা খাওয়ার ফলে মানুষ ৯০ মিনিটের জন্য কাজ করার শক্তি পেয়ে
থাকে। কলা খাওয়ার ফলে আপনি আপনার ওজন কমাতে পারবেন। এই কলার কিছু নাম আছে
বিভিন্ন অঞ্চলে এই কলা বিভিন্ন নামে পরিচিত।
সবরি কলার উপকারিতা
আমরা সারা বছরই কোনো না কোনো কলা পেয়ে থাকি। এই কলা নিয়মিত খাওয়ার ফলে আমাদের
অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি আমরা এবং সুস্থ থাকতে পারি কারণ গলাতে আছে অনেক
পুষ্টিকর উপাদান ও ভিটামিন। আর সবরি কলা তো আমরা সকলেই চিনি এটা বাজার থেকে আমরা
কিনে এনে খাই। এই কলাতে আছে প্রোটিন শর্করা চর্বি পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম
ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন বি ৬ ভিটামিন বি ক্যালোরি ইত্যাদি। আমরা আজ জানবো সবরি
কলার উপকারিতা সম্পর্কে
- আমাদের হজমের সমস্যা সমাধান করার জন্য আপনারা এই পাকা কলা খেতে পারেন এতে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে।
- এই কলা তে আছে অনেক ক্যালসিয়াম যা আপনার দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির অভাব পূরণ করবে এবং আপনার হাড়কে শক্ত ও মজবুত রাখতে সাহায্য করবে।
- এই কলা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের দুর্বলতা কেটে যাবে এবং আপনি শরীরে শক্তি পাবেন ও আপনার শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- এই কলাতে আছে অনেক আয়রন যা আপনার আয়রনের ঘাটতি পূরণ করবে এবং আপনাকে রক্তস্বল্পতা থেকে মুক্তি দিবে।
- এই কলার মধ্যে আছে ভিটামিন সি যা আপনার ত্বককে সুস্থ রাখবে ও সুন্দর রাখবে।
- কলাতে আছে পটাশিয়াম যা আপনার কিডনির বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে। আপনি যদি আপনার কিডনি ভালো রাখতে চান তাহলে নিয়মিত পরিমিত পরিমানে এই কলা খেতে পারেন।
- এই সবরি কলাতে অনেক পানি থাকে যা আপনার শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করবে। পানির অভাব হলে আপনার শরীরে নানা রকম রোগের সৃষ্টি হবে তাই পানি শূন্যতা দূর করার জন্য এই কলা খেতে পারেন নিয়মিত।
- আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য আপনি এই সবরি কলা খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন কমে যাবে আপনি খাবার তালিকায় এই কলা রাখতে পারেন।
- এই কলা খাওয়ার ফলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে কারণ এই কলাতে আছে কেরোটিনয়েড নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
- কলা খাওয়ার ফলে আপনার স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।
- এই কলা খাওয়ার ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে কারণ এই কলার মধ্যে আছে অনেক ফাইবার যা আপনার খাবারকে তাড়াতাড়ি হজম করতে সাহায্য করবে।
- আপনার শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ গুলোকে বের করে দিতে সাহায্য করবে এই কলা যার ফলে আপনি সুস্থ থাকবেন।
লেখকের মন্তব্য
ম্যাক্সিমো এখানে বিচি কলার উপকারিতা এবং বিচি কলার ঔষধিগুণ এবং সাগর কলার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে আপনাদের জন্য যেগুলো
পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। কলা সম্পর্কিত অনেক সঠিক তথ্য
দেওয়া হয়েছে এই পোস্টটিতে তাই আপনাদের যদি ভালো লাগে তাহলে আপনারা এই পোস্টটি
অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন আপনাদের পরিচিতদের মাঝে বন্ধুদের মাঝে এবং কমেন্টে
জানাবেন কেমন হয়েছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url