কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আজ আমি আপনাদের
কাঁঠাল খাওয়ার
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবং গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা জানাবো
যেগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। কারণ কাঁঠালের মধ্যে আছে অনেক পুষ্টিকর
ভিটামিন এবং উপাদান যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাই শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
এখানে আমি কাঁঠাল সম্পর্কিত কয়েকটি বিষয় যেমন কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে এবং গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা, কাঁঠাল খেলে কি
ক্ষতি হয়, কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয় এছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয়
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কাঁঠালের মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ আছে যেগুলো আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারে আসে কিন্তু এগুলো আমাদের বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক
না বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীদের। এ সকল বিষয়ে জানার জন্য শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
ভূমিকা
কাঁঠাল হলো আমাদের
বাংলাদেশের
জাতীয় ফল এই ফল অনেক রসালো এবং মিষ্টি হয়। এর ফলের অনেক পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা
আছে। এর ফলে আছে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন উপাদান যেমন ভিটামিন এ,ভিটামিন বি, সি,
আয়রন, ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা
ক্যারোটিন ইত্যাদি। এ সকল পুষ্টি উপাদান থাকার জন্য বিশেষজ্ঞরা কাঁঠাল খাওয়ার
পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, দৃষ্টি
শক্তি বাড়ে,
আরো পড়ুনঃআম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। গর্ভবতী মহিলাদের ও কাঁঠাল
খাওয়ার ফলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। গর্ভবতী মায়ের শারীরিক দুর্বলতা কাটে
এবং গর্ভে থাকা শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য কাঁঠাল খাওয়া প্রয়োজন। দুগ্ধ
দানকারি মা কাঁঠাল খাওয়ার ফলে তার বুকের দুধ দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যায়। এর সকল
উপকারিতা পাওয়ার জন্য আমরা সকলেই কাঁঠাল খাব তবে বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়
এতে করে আমাদের পেটের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ওজন কমানোর জন্য কাঁঠাল কখন খাওয়া উচিত
ওজন কমানোর জন্য আমরা কাঁঠাল খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা পরে খেতে পারি। আবার আমরা
খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা পরে এক গ্লাস কাঁঠালের রস খেতে পারি এবং তারপরে ওজন
কমানোর জন্য আমরা কাঁচা কাঁঠাল খেতে পারি। কারণ কাঁঠালের থাকা অনেক পুষ্টিকর
ভিটামিন আছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে কাঁঠাল আমাদের বেশি
পরিমাণে খাওয়া উচিত নয় এটা আপনার ওজন কমাতে এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেক
কার্যকর।
গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। একজন
গর্ভবতী মহিলাকে তার গর্ভের সন্তানকে ভালো রাখার জন্য এবং নিজেকে ভালো থাকার জন্য
ও পুষ্টিকর খাবার এবং ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া উচিত। এতে করে গর্ভবতী মহিলা এবং
তার শিশু দুজনে ভালো থাকবে। ফলের মধ্যে কাঁঠাল খাওয়া অন্যতম এর অনেক পুষ্টিগুণ
আছে এটা দুজনেরই উপকার হবে। তবে আসন জানা যাক গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
থাকে কারণ কাঁঠালের আছে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকবে।
কারণ গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তা মা ও শিশুর জন্য মারাত্মক সমস্যার
সৃষ্টি করতে পারে এজন্য কাঁঠাল খেতে পারেন।
শক্তি বৃদ্ধি করেঃ কাঁঠাল আছে ফ্রুকটোজ এবং সুক্রোজ যা একজন গর্ভবতী
মহিলার শারীরিক দুর্বলতা দূর করে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
ইমিউনিটি সিস্টেমঃ কাঁঠালে আছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন সি যা আপনার গর্ব
অবস্থায় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খুবই কার্যকর এবং এটা আপনার
ইমিউনিটি সিস্টেমকে ভালো রাখবে।
মানসিক চাপ হ্রাসেঃ গর্ভাবস্থায় একজন শিশুর মানসিক চিন্তা ভাবনা তা তার
শিশুর জন্য খারাপ হতে পারে এর জন্য আপনারা কাঁঠাল খেতে পারেন। এতে থাকা
প্রয়োজনীয় পোষ্টটি উপাদান গুলো গর্ব অবস্থায় একজন মায়ের মানসিক চাপ।
ভ্রুনের বিকাশ ও বৃদ্ধিতেঃ কাঁঠালে আছে অনেক পটাশিয়াম জিংক আইরন বিটা
ক্যারোটিন ইত্যাদি উপাদান যেগুলো গর্ভে থাকা শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশে অনেক
সাহায্য করে। এছাড়াও কাঁঠালের থাকার ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এ সকল ভিটামিন
গুলো ভ্রূণের বিকাশে গঠনে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করেঃ গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়ার ফলে এটি আপনার
অন্ত্রের ক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করবে এবং আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এর
ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
পেটের সমস্যা দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আপনার পেটের
নানা রকম সমস্যা থেকে আপনি উপকার পেতে পারেন। সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়মে খাওয়ার
ফলে এটি আপনার পাকস্থলীর আস্তরণের ওপরে থাকা ঘা প্রতিরোধ ও কার্যকর।
ক্লান্তি ভাব দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আপনার শারীরিক
দুর্বলতা কেটে যাবে এবং আপনার ক্লান্তি ভাব দূর হয়ে যাবে কারণ এতে থাকা অনেক
পুষ্টিকর ভিটামিন এটা করতে কার্যকর। এছাড়াও কাঠালে থাকা ম্যাঙ্গানিজ কপার
ম্যাগনেসিয়াম মিনারেল ইত্যাদি থাকার কারণে এগুলো আপনার শরীরে রক্ত তৈরি করবে এবং
এর ফলে আপনি রক্তস্বল্পতা থেকে মুক্তি পাবেন।
কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
কাঁঠাল হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় ফল এই ফল স্বাদে গুনে মিষ্টিতে ভরপুর।
কারণ এই ফলে আছে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন যেগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকমের রোগ
থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কাঁঠালে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, আঁশ জাতীয়
উপাদান ,ফাইবার ,আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আমিষ,
শর্করা, খনিজ লবণ ইত্যাদি উপাদান। ১০০ গ্রাম কাঠালে আছে ৩৯৭ কিলো
ক্যালরি। প্রোটিন আছে এক দশমিক ৭২ গ্রাম,
ক্যালসিয়াম আছে ২৪ মিলিগ্রাম ,পটাশিয়াম আছে ৪৪৮ মিলিগ্রাম, ১৯.০৮ গ্রাম আছে
চিনি এছাড়া আরো বিভিন্ন মাত্রায় প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান
আছে। কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করা হলো
- কাঁঠালের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন আমাদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- পাঠালে থাকা ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট স আমাদের পাইলস কোলন ক্যান্সার এবং আলসার এর যোগী কমায়।
- বার্ধক্য এবং উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- কাঁঠালের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি আমাদের চুল দাঁত দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- টিউমারের বিরুদ্ধে কাঁঠাল প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
- কাঁঠালের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের দৃষ্টি শক্তি ভালো এবং বৃদ্ধি পায় এবং চোখের রেটিনা ভালো থাকে।
- কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পায় কারণ কাঠালে আছে কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালরি।
- কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং হজম শক্তি বাড়ে পেট পরিষ্কার হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় আর এ সকল সম্ভব হয় কাঁঠালের থাকা আশ জাতীয় উপাদান থাকায়।
- কাঁঠালে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আমাদের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
- কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বেড়ে যায় কারণ এতে আছে আইরন। এতে করে আমাদের রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর হয়।
- কাঁঠালের মধ্যে কোন প্রকার ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই । আবার কাঁঠালের কোন ক্ষতিকর ফ্যাটের পরিমাণ কম হয় এর জন্য কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের ওজন সম্ভাবনা থাকে না।
- কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি ৬ যা আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- কাঁঠালের ফোনিজ এবং ম্যাঙ্গানিজ যা আমাদের রক্তে শর্করা এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের বদহজম এবং দুশ্চিন্তা প্রতিরোধ করা যায়।
- যে সকল মায়েরা তার বাচ্চাকে দুধ খাওয়ান তারা তাজা পাকা কাঁঠাল খাওয়ার ফলে তাদের বুকের দুধের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
আমরা কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানি কিন্তু কাঁঠাল খাওয়ার ও যে কিছু
অপকারিতা আছে সেগুলো সম্পর্কে আর জানবো। কাঁঠালে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন ও খনিজ
লবণ, চিনি, ভিটামিন এ, সি ইত্যাদি পুষ্টিকর উপাদান আছে যেগুলো আমাদের শরীর
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু এ সকল পুষ্টি উপাদান বেশি মাত্রায় খাওয়ার ফলে
ও আমাদের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশি মাত্রায় খাওয়ার ফলে কাঁঠাল আমাদের
শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সেগুলো হল
- বেশি পরিমাণে কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আপনাদের পেটে বিভিন্ন রকমের সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, পেট ফোলা, বদহজম ইত্যাদি সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।
- অধিক বেশি কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- দুগ্ধ দানকারী মায়েরা বেশি পরিমাণে কাঁঠাল খাবেন না।
- যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তারা বেশি পরিমাণে কাঁঠাল খাবার নাই এতে করে তাদের জটিলতা দেখা দিতে পারে।
- বেশি পরিমাণে কাঁঠাল খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়েদের শরীরে শর্করার মাত্রা ওঠা নামা করতে পারে।
- আপনাদের মধ্যে যাদেরকে নিজে জনিত সমস্যা আছে তাদের রক্তে যদি পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে তারা কাঁঠাল না খাওয়াই ভালো।
- কাঁঠাল খাওয়ার পরে দুধ খেলে পেট ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং আমাদের ত্বকে চুলকানি সাদা দাগের সমস্যা হতে পারে।
- কাঁঠাল খাওয়ার পরে পানি পান করলে আপনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারেন।
- কাঁঠাল খাওয়ার পরে আপনি যদি পেতে খান তাহলে আপনার শরীরে এলার্জি এর সমস্যা হতে পারে।
- এছাড়া কাঁঠাল খাওয়ার পরে আপনি ঢেঁড়স খেলে আপনার এসিডিটি সমস্যা হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কি পরিমানে কাঁঠাল খাওয়া যাবে
গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের সুস্থ থাকার জন্য অনেক পুষ্টিকর খাবার এবং ফলমূল ও
শাকসবজি খাওয়া উচিত। এতে করে গর্ভবতী মহিলা এবং তার পেটে থাকা শিশুর ভালো হবে।
এই সময় গর্ভবতী মহিলাদের নানা রকম শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে এজন্য
এ সময় তাদের বেশি বেশি করে নিয়ম মত সকল রকমের সবজি ফল খাওয়া উচিত। এ সময়
তাদের একটু বেশি পুষ্টির দরকার হয়। গর্ভবতী মহিলারা কি পরিমানে প্রতিদিন কাঁঠাল
খেতে পারবে এ সম্পর্কে বলবো।
এ সময় একজন গর্ভবতী মহিলা অনেক বেশি পরিমাণে তার ইচ্ছেমতো কাঁঠাল খেতে পারবেনা
এতে করে তার ক্ষতি হতে পারে। গর্ভবতী অবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলা প্রতিদিন ২০০
গ্রাম পাকা কাঁঠাল খেতে পারবে। এতে করে তার গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য
অনেক ভালো হবে সকল ধরনের পুষ্টি পাবে। মায়ের ও শিশুর স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে এবং
শিশুর বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক মত হবে। পাকা কাঁঠাল খাওয়ার ফলে একজন দুগ্ধ দানকারী
মায়ের বুকের দুধ দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে।
কাঁঠাল খেলে কি ক্ষতি হয়
কাঁঠালের মধ্যে অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে এর জন্য বিশেষজ্ঞরা কাঁঠাল খাওয়ার
পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কাঁঠাল খাওয়ার ফলে ও আমরা অনেক ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পেতে
পারি। কিন্তু আমরা যদি অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে কাঁঠাল খেয়ে থাকে তাহলে তা আমাদের
শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস এবং
পিডায়াবেটিস সেকশন আছে তাদের বেশি পরিমাণে কাঁঠাল খাওয়ার ফলে ক্ষতি হতে পারে।
কারণ কাঁঠালের মধ্যে আছে অনেক বেশি পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ।
এজন্য তাদের বেশি পরিমাণে কাঁঠাল খাওয়ার ফলে ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পেতে পারে যা
তাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার যাবে কিডনি রোগের সমস্যা
আছে তাদেরও বেশি পরিমাণে কাঁঠাল খাওয়ার ফলে সমস্যা হতে পারে। কিডনি রোগীদের
যাদের পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে তাদের বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে কাঁঠাল
খাওয়ার ফলে। কারো কারো বেশি পরিমাণে কাঁঠাল খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা হতে
পারে এজন্য যাদের এই সমস্যা হয় তারা কাঁঠাল খাওয়া থেকে
বিরত থাকুন। সার্জারি করার পরে এবং আগে কাঁঠাল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ এই
সময় তা রোগীদের কিছু ঔষধ সেবন করানো হয়। আর কাঁঠাল খাওয়ার ফলে এটা ওষুধের সাথে
মিশে বিক্রিয়া করে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে এজন্য এই সময় কাঁঠাল খাওয়া
থেকে একটু সতর্ক হবেন।কাঁঠাল খাওয়ার পর পানি পান করা যাবে না আবার যদি
আমরা দুধ খায় তাহলে আমাদের পেট ফুলে যেতে পারে এবং আমাদের ত্বকে চুলকানি, সাদা
দাগ এবং ফুসকুড়ি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কাঁঠাল খাওয়ার পর কোকাকোলা খেলে কি হয়
কাঁঠাল খাওয়ার পর আমরা অনেকেই কোকাকোলা খেয়ে থাকি কিন্তু এটা করা ঠিক নয়।
অনেকেই বলে থাকেন কাঁঠাল এবং কোকাকোলা একসাথে খাওয়ার ফলে মৃত্যু হতে পারে। এগুলো
একসাথে খাওয়ার ফলে তিনটি সাপের কামড়ের বিষের সমান বিষ তৈরি হয় কিন্তু এই ধারণা
ভুল। এই কথাটি সামাজিক মাধ্যমেও অনেক ভাইরাল হয়। এই দাবিটিকে মিথ্যা বলে এই
দাবির ওপর ভিত্তি করে ফ্যাক্টওয়াচ এই বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ এর সাথে পরামর্শ করে
জানতে পেরেছেন যে,
কাঁঠাল এবং কোকাকোলা এ এমন কোন উপাদান নাই যা একসাথে খাওয়ার ফলে বিক্রিয়া করে
বিষ তৈরি করতে পারে। কাঁঠালের মধ্যে থাকা আঁশ এবং কোমল পানীয় এর মধ্যে থাকা
কার্বোনেশন কারণে আমাদের পেটে পেট ব্যাথা এবং বদহজম এর সমস্যা হতে পারে। আবার
অনেকের ডায়রিয়া হতে পারে তবে কেউ মারা যাবে না।
কাঁঠাল খাওয়ার কতক্ষণ পর পানি পান করা উচিত
যে কোন ফল খাওয়ার পরে পানি পান করা উচিত নয় কারণ এই মিশ্রণটি আমাদের শোষণ এবং
হজম প্রক্রিয়ার হস্তক্ষেপ করে থাকে। এর জন্য আমাদের এসিডিটি সমস্যা হতে পারে
এজন্য অনেকেই ফল খাওয়ার পরে অস্বস্তি বোধ করে থাকে। কাঁঠাল খাওয়ার পর অথবা যে
কোন ফল খাওয়ার পরে অন্তত এক ঘন্টা পরে পানি পান করা উচিত। এটা আমাদের
স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো হবে কাঁঠাল খাওয়ার পরে সাথে সাথে পানি পান করে তাহলে
আমাদের এসিডিটি সমস্যা হতে পারে আমরা অস্বস্তি বোধ করতে পারি।
লেখক এর মন্তব্য
ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবং
গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ছাড়াও কাঁঠাল সম্পর্কিত আরো কয়েকটি
বিষয়ে অনেক বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছে। আপনারা যারা কাঁঠাল খেতে খুব পছন্দ করেন
তারা এ সকল বিষয়ে জেনে তারপরে কাঁঠাল খেতে পারেন। এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের যদি
ভালো লাগে তাহলে আপনারা এই পোস্টটি আপনাদের পরিচিতদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার করে
দিবেন এবং কমেন্টে জানাবেন কেমন হয়েছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url