কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো আগে কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবং কাঁঠালের পুষ্টিগুণ এবং কাঁঠালে কত ক্যালরি থাকে এসব সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি আজকে আপনারা সঠিক তথ্য পেতে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আমরা সকলেই কাঁঠাল এবং কাঁঠালের বিচি খেতে আমরা অনেক পছন্দ করি।কাঁঠালের বিচির  উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কাঁঠালের পুষ্টিগুণ এবং কাঁঠালে কত ক্যালরি থাকে এ বিষয়ে জানবেন । কাঁঠালের বিচির উপকারিতার মধ্যে আছে হজম শক্তি বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ,দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, চুলের আগা ফাটা  এবং চুল পড়া সমস্যা সমাধান করে ইত্যাদি।কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা কাঁঠাল খেলে কি প্রেসার বাড়ে ইত্যাদি আরো কাঁঠাল সম্পর্কিত তথ্য জানতে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভূমিকা

কাঁঠাল হলো আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় ফল। এই ফলটি হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন রসালো এবং মিষ্টি স্বাদের ফল এর ফল খেতে আমরা সকলে পছন্দ করি। এই ফলের অনেক উপকারিতা আছে। এই ফলটি আমরা কাঁচা পাকা উভয় প্রকার খেতে পারি। সেই সাথে আমরা কাঁঠালের বিচিও খেতে পছন্দ করি এর অনেক উপকারিতা আছে যেমন আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ,আমাদের হজম শক্তি বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ইত্যাদি আরো অনেক উপকারিতা আছে


যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারে আসবে। সেই সাথে কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ও অনেক কাঁঠালের মধ্যে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড, খনিজ লবণ ইত্যাদি। ৪ থেকে ৫ কোয়া কাঁঠালে আছে ১০০ কিলো ক্যালরি শক্তি এছাড়া ১০০ গ্রাম কাঁঠালের বিচিতে আছে ৬.৬ গ্রাম আমিষ এবং ২৫.৮ গ্রাম শর্করা।

কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা

আমরা কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খেয়ে থাকি এটা আমরা সকলে খেতে খুব পছন্দ করি। কাঁচা কাঁঠালে আছে ভিটামিন সি, আঁশ জাতীয় উপাদান, ভিটামিন এ, আয়রন এবং ফোলেট। কাঁচা কাঁঠালে আয়রন এবং ফোলেট উচ্চমাত্রায় আছে আর এগুলো আমাদের দেহে রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভে থাকা শিশুর বৃদ্ধি এবং বর্ধনের জন্য এগুলো খুব দরকারি । বাড়ন্ত শিশুদের জন্য এই কাঁচা কাঁঠাল অনেক উপকারে আসে কারণ এটা খাওয়ার ফলে শিশুরা লম্বা হয় এবং তাদের

শারীরিক পরিবর্তন হতে সাহায্য করে। কাঁচা কাঁঠাল আমাদের রক্ত চিনির মাত্রা বাড়াতে পারে না কাঁচা কাঁঠালের আঁশ জাতীয় উপাদানটি আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেকটা অবদান রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা কাঁঠালের খনিজ লবণ আছে উচ্চমাত্রায় আছে আয়োডিন ও এগুলো আমাদের হাড়, দাঁত, নখ এবং চুলের জন্য অনেক প্রয়োজন। কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কাঁচা কাঁঠালে থাকা ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারী। হৃদরোগ প্রতিরোধ

 করতে সাহায্য করে এবং আমাদের তার অন্য বজায় রাখতে অনেকটা সাহায্য করে চর্মরোগ প্রতিরোধে ও কাজ করে থাকে। কাঁচা কাঁঠালে থাকা আঁশ আমাদের কোলন ক্যান্সারে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আবার কাঁচা কাঁঠালে থাকা আঁশ জাতীয় উপাদানটি আমাদের অনেকক্ষণ ধরে পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং আমাদের কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা দূর  করে। কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়ে এবং চোখের রেটিনার ক্ষতি প্রতিরোধ করা যায়। কাঁচা কাঁঠাল টিউমারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

বাচ্চাদের কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা

বাচ্চাদের কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমার এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন। বাচ্চাদের কাঁঠাল খাওয়ানো যাবে এতে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে কারণ কাঁঠালের আছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান এবং ভিটামিন যেগুলো ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী। কাঁঠাল হয়েছে একটি গ্রীষ্মকালীন ফল এর ফলে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম, খনিজ লবণ, চিনি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আঁশ জাতীয় উপাদান এছাড়াও অনেক পুষ্টিকর উপাদান

যেগুলো বাচ্চাদের জন্য খুব দরকার। আপনি আপনার বাচ্চার বয়স যখন ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে হবে তখন আপনি আপনার বাচ্চাকে কাঁঠাল খাওয়াতে পারবেন। কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আপনার বাচ্চার অনেক পরিবর্তন এবং উপকার হবে। এ সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনি আপনার বাচ্চাকে কাঁঠাল খাওয়াতে পারেন। বাচ্চাদের কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা হলো
  • কাঁঠাল খাওয়ার ফলে বাচ্চার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে কারণ এতে আছে ফাইবার।
  • কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আপনার বাচ্চার বিকাশ ও বৃদ্ধি হবে কারণ এতে আছে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট। যা আপনার বাচ্চার পেশী বৃদ্ধি,পেশী মেরামত করতে এবং হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
  • এই ফল খাওয়ার ফলে আপনার বাচ্চার হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে কারণ এই ফলে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এর মত খনিজ লবণ উচ্চ মাত্রার আছে ম্যাগনেসিয়াম যেগুলো আপনার বাচ্চার হাড়ের জন্য দরকার।
  • কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আপনার বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। কারণ এতে আছে ভিটামিন সি এটি আপনার শিশুর ইমিউন সিস্টেমে অবদান  রাখবে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে।
  • কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আপনার বস্তার মস্তিষ্কের বিকাশ এর অনেক উন্নতি হবে। বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশ এবং উন্নতিতে অনেক কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য দরকার কাঁঠাল।

কাঁঠাল খাওয়ার পর কি কি খাবার খাওয়া উচিত না

মিষ্টি স্বাদের জন্য আমরা সকলে কাঁঠাল খেতে খুব পছন্দ করি এবং কাঁঠালের অনেক পুষ্টিকর উপাদান থাকার জন্য ও আমরা কাঁঠাল খেয়ে থাকি। কাঁঠাল আছে প্রচুর আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি আছে খনিজ লবণ এবং ফাইবার যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। তবে আমাদের আরেকটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হল কাঁঠাল খাওয়ার পর বেশ কয়েকটি খাবার আছে যেগুলো খাওয়া ঠিক না এতে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। কাঁঠাল খাওয়ার পরে আমারা কখনো ঢেঁড়স খাব না

কারণ কাঁঠালের মধ্যে থাকা অক্সালেট ঢেঁড়স এর সাথে মিশে গিয়ে আমাদের ত্বকে জ্বালা পোড়া এবংফুসকুড়ি এর মতো সমস্যা হতে পারে। আবার আমাদের কাঁঠাল খাওয়ার পরে পান খাওয়া ঠিক না এতে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে পেটের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাঁঠাল খাওয়ার পরে সাথে সাথেই আমাদের পেঁপে খাওয়া উচিত নয় কারণ পেঁপে এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম এবং কাঁঠালের মধ্যে থাকা অক্সালেট আমাদের থেকে গিয়ে একসাথে মিশে বিষক্রিয়ার

সৃষ্টি করতে পারে। কাঁঠাল খাওয়ার পরে আমাদের দুধ খাওয়া উচিত না কারণ এতে আমাদের এসিডিটি এবং হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং আমাদের বমি হতে পারে। কাঁঠাল খাওয়ার পরে আমাদের পানি খাওয়া ঠিক না এতে আমাদের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন  

আমরা কাঁচা কাঁঠাল তরকারি খেতে পছন্দ করি বা তরকারি রান্না করে খায় আবার পাকা কাঁঠাল আমরা খেতে খুব পছন্দ করি এর মিষ্টি স্বাদের জন্য। আবার কাঁঠালে অনেক পুষ্টিকর উপাদান এবং ভিটামিন আছে যেগুলো আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। শুধু যে আমরা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে রান্না করে খায় তা নয় এর সাথে আমরা এর বিচি ও রান্না করে খায়। আমরা অনেকে কাঁঠালের উপকারিতা সম্পর্কে সম্পর্কে জানি কিন্তু কাঁঠালের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে জানিনা। 


কাঁঠালের বিচির ও অনেক উপকারিতা আছে। কাঁঠালের বিচিতে আছে অনেক স্টার্চ, প্রোটিন, মিনারেল, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান,ফাইবার , কার্বোহাইড্রেট, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। ২৮ গ্রাম পরিমাণ কাঁঠালের বিচিতে আছে ৫৩ ক্যালরি ,আছে ২ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়া আছে দশমিক পাঁচ গ্রাম ফাইবার, ৫ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম, ৪ শতাংশ ফসফরাস, ১১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭ শতাংশ থায়ামিন। কাঁঠালের বিচির উপকারিতা হচ্ছে
  • কাঁঠালের বেঁচে খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের শক্তি সঞ্চয় হয় এবং এরা হৃদযন্ত্র , মস্তিষ্ক , মাংস পেশী এবং আমাদের নার্ভ সিস্টেমকে রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে কারণ কাঁঠালের ভিত্তিতে আছে অনেক থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন বি।
  • কাঁঠালের সাথে ফাইবার এবং রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরে সহজেই হজম হয় না। তবে অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলোর খাবার হিসেবে কাজ করে থাকে। এই উপাদান দুটো আমাদের ক্ষুধা নিবারণ করতে সাহায্য করে মাত্রা অতিরিক্ত। আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে উন্নতি ঘটায় এবং সাথে সাথে হজম ক্রিয়ার উন্নতি ঘটিয়ে থাকে।
  • একটি গবেষণা থেকে জানা যায় যে কাঁঠালের বিচি আমাদের রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বাড়াতে পারে। খারাপ করলে স্টেবল আমাদের হৃদরোগ উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • কাঁঠালের বিচিতে অনেক ফাইবার থাকে। এগুলো দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় প্রকারের ফাইবার থাকে। এ সকল ধরনের ফাইবার গুলো আমাদের অন্তর কার্যকলাপ সঠিকমত পরিচালনা করতে অনেক ভূমিকা রাখে। এছাড়াও কাঁঠালের বিচিতে এমন অনেক ফারবার আছে যেগুলো আমাদের হজম ক্রিয়ার অনেক সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • কাঁঠালের বিচিতে শরকরা আছে যা আমাদের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
  • কাঁঠালের বিচি আমাদের আমিষের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।
  • কাঁঠালের বিচিতে থাকা একটি বিশেষ উপাদান যা আমাদের এইডস রোগ প্রতিরোধ করতে ক্ষমতা রাখে এবং আমাদের ত্বকের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে বলি রেখা দূর করে।
  • কাঁঠালের বিচি খাওয়ার ফলে আমাদের চুলের আগা ফাটা সমস্যা রোদ হয় এবং চুল পড়া কমতে থাকে।
এতক্ষণ তো আমরা কাঁঠালের বিচি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এবার কিছু কাঁঠালের বিচি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানব। আপনারা হয়তো অনেকেই বলতে পারেন যে কাঁঠালের বিচি খাওয়ার আবার অপকারিতা আছে। হ্যাঁ আছে আসেন জেনে নেয়া যাক সে অপকারিতা গুলো সম্পর্কে
  • কাঁঠালের বিচিতে এমন অনেক শক্ত আঁশযুক্ত বাহিরের আবরণ থাকে যা আমাদের খাদ্য হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে । সেই সাথে আমাদের খাদ্যকে হজম করতে কঠিন করে।
  • কাঁঠালের বিচিতে আছে ফাইটিক অ্যাসিড, প্রোটেজ ইনহিরিটার এবং ট্যানিন এদের মত প্রাকৃতিক যৌগ আছে যা আমাদের পুষ্টির শোষণ এবং হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • কাঁঠালের বিচি থেকে কিছু লোকের এলার্জি হওয়া সম্ভাবনা থাকে তাদের চুলকানি হতে পারে এজন্য তারা কাঁঠালের বিচি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • কাঁঠালের বিচি বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে হজমের গোলযোগ হতে পারে এর জন্য পেটে ফোলা ভাব গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
  • কাঁঠালের বিচিতে এমন অনেক মানসিক দ্রব্য সাধারন থাকে যেমন নারকেলের তেল এর মত। এ সকল মানসিক দ্রব্য আমাদের কিছু মানসিক অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে যেমন মাথা ব্যথা , ত্রুটি শূন্যতা এবং চক্ষু ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে।

কাঁঠালের খোসার এবং শিকড়ের উপকারিতা

শুধু কাঁঠাল এবং কাঁঠালের বিচি খেলে যে উপকারিতা পাওয়া যায় তা নয় । এর খোসা এবং শিকড়েরও অনেক উপকারিতা আছে এ কথা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। কাঁঠালের খোসার উপকারিতা হচ্ছে
  • কাঁঠালের খোসা দিয়ে জেলি তৈরি করা হয়। কারণ কাঁঠালের খোসাতে থাকে ভিটামিন সি এবং অনেক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
  • খোসা দিয়ে যে জেলি তৈরি করা হয় তাতে অনেক ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম এর মত খনিজ লবণ থাকে। এগুলো আমাদের শরীরে সোডিয়ামের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের কাজ করে থাকে এবং এর মাধ্যমে রক্তচাপ এবং হৃদ স্পন্দন ঠিক রাখতে আমাদের অনেক সাহায্য করে।
  • আবার এই জেলিতে থাকা বিটা ক্যারোটিন আমাদের সেলড্যামেজ প্রতিরোধ করতেও অনেক সহায়তা করে।
কাঁঠালের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক
  • আপনাদের মধ্যে যাদের হাঁপানি এর সমস্যা আছে তারা কাঁঠালের শিকড় সেদ্ধ করে তারপরে সেটা গ্রহণ করতে পারেন এতে করে সহজেই নিরাময় হবে।
  • জ্বর এবং ডায়রিয়া হলে আপনারা কাঁঠালের শিকড় ব্যবহার করতে পারেন এতে করে খুব ভালো ফল পাওয়া যাবে।
  • এছাড়াও যাদের চর্ম রোগের সমস্যা আছে তারা কাঁঠালের শিকড় ব্যবহার করলে অনেক কার্যকরীতা পাবেন।

কাঁঠাল খেলে কি প্রেসার বাড়ে

আমরা অনেকেই জানিনা কাঁঠাল খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে আজ আমি আপনাদের বলব কাঁঠাল খেলে কি প্রেসার বাড়ে। কাঁঠালের তাপমাত্রা বেশি পরিমাণে থাকে। তাই কাঁঠাল খাওয়ার পরে যে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে তার থেকে একটু তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যারা বেশি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না তাদের কাঁঠাল খাওয়ার পরে প্রেসার বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন কাঁঠালে থাকা পুষ্টি আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। এতে থাকা পটাশিয়াম আমাদের ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে থাকে।

কাঁঠালের পুষ্টিগুণ এবং কাঁঠালে কত ক্যালরি থাকে

কাঁঠাল হলো আমাদের দেশের জাতীয় ফল। কারণ এই ফলের সবটুকু অংশই খাওয়া যায় এই ফল হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল এবং মিষ্টি স্বাদের। এই ফলে আছে অনেক আমিষ, শর্করা, ভিটামিন এ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, থায়ামিন, পটাশিয়াম, খনিজ লবণ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি , অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি। কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়,কোষ্ঠকাঠিন্য দূর  এছাড়া গর্ভবতী


মহিলাদের এবং গর্ভে থাকা শিশুর জন্য কাঁঠালের অনেক গুরুত্ব আছে। এতে থাকা ভিটামিন এ আমাদের  রাতকানা এবং অন্ধত্ব এর সমস্যা দূর করে। পাকা কাঁঠালের যেমন উপকারিতা আছে তেমনি কাঁচা কাঁঠালেরও অনেক উপকারিতা আছে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য। একটি কাঁঠালের চার থেকে পাঁচ কোয়া তে আছে ১০০ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি। কাঁঠালের দুই থেকে তিন কোয়া আমাদের ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ করে থাকে একদিনের। ১০০ গ্রাম কাঁঠালের বিচিতে আছে ৬.৬ গ্রাম আমিষ এবং ২৫.৮ গ্রাম শর্করা।

লেখক এর মন্তব্য

ম্যাক্সিম ইনফো এখানে কাঁঠালের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবং কাঁঠালের পুষ্টিগুণ এবং কাঁঠালে কত ক্যালরি থাকে এছাড়াও কাঁঠাল খেলে কি প্রেসার বাড়ে কাঁঠালের খোসার এবং শিকড়ের উপকারিতা ইত্যাদি আরো কয়েকটি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছে। আপনারা যদি কাঁঠাল খেতে পছন্দ করেন তাহলে এ সকল বিষয়ে জানার জন্য পড়ে নিতে পারেন। এছাড়া আপনারা এই পোস্টটি শেয়ার করে দিতে পারেন আপনাদের পরিচিতদের মাঝে এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন আরো তথ্য পেতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url