আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো আগে আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি কিন্তু আজকে আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা কিছু সঠিক তথ্য জানতে পারবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
আজকে এখানে আপনারা আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা ছাড়াও আম সম্পর্কিত আরো কয়েকটি বিষয়ে অনেক তথ্য জানতে পারবেন যেগুলো পড়ার পরে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং অন্য কেউ উপকৃত করতে পারবেন। আম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী কারণ এতে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন উপাদান আছে এটা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় হজমে সাহায্য করে ইত্যাদি এ সকল বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভূমিকা

আম হচ্ছে আমাদের সকলের কাছে একটা সুপরিচিত মিষ্টি জাতীয় ফল এবং সকলের ছোট খুব পছন্দ করে থাকি এর স্বাদের জন্য। আম খাওয়ার ফলে আমরা অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পেয়ে থাকে কারণ আম এ আছে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, বিটা ক্যারোটিন, শর্করা, খনিজ লবণ, আমিষ, প্রাকৃতিক চিনি ইত্যাদি আরো নানারকম পুষ্টি উপাদান যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এবং গর্ভে থাকা শিশুর বিকাশের জন্য খুব উপকারী। 


আম খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, আমাদের দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে, আমাদের ত্বক ভালো থাকে, হৃদপিণ্ড ভালো থাকে ইত্যাদি আরও নানা উপকারিতা আছে। এছাড়াও কাঁচা আম খাওয়ার ফলে আমাদের সকালে উঠে যে বমি বমি ভাব হয় সেটা দূর হয়ে যায়, অম্লতা দূর হয় ,কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এ সকল উপকারিতা ছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় শুধু কাঁচা আমের নয় পাকা আম খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।

আমের পুষ্টিগুণ এবং পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে

আম হচ্ছে একটা সুস্বাদু পুষ্টিকর ফল এই ফলটা খেতে আমরা সকলেই খুব পছন্দ করে কারণ এই ফলে আছে অনেক পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন। আমাদের বাংলাদেশে এপ্রিল মাসে কাঁচা আম পাওয়া যায় এ ছাড়া পাকা আম পাওয়া যায় মে মাস থেকে। আমরা ছোট-বড় সকলে এই আম খেতে খুব পছন্দ করি এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। আম এ আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, শর্করা, বিটা ক্যারোটিন, খনিজ, প্রাকৃতিক চিনি, ক্যালরি, আমিষ, পটাশিয়াম ইত্যাদি।

কাঁচা আমের থেকে আঁশযুক্ত পাকা আম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো। পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম বলেছেন, পাকা আমে অনেক পরিমাণ আঁশ জাতীয় উপাদান পেকটিন থাকে যেটা আমাদের পাকস্থলীতে থাকা খাবারকে ভালোভাবে পরিপাক করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও তিনি বলেন পাকা আম এ অনেক পরিমাণে আমিষ, ভিটামিন এ, শর্করা, ক্যালরি, পটাশিয়াম ইত্যাদি থাকে। আম এ থাকা কিছু এনজাইম খাদ্য উপাদানে উপস্থিত প্রোটিন কে ভাঙতে সাহায্য করে।

আবার এ সকল পুষ্টি উপাদান বাদে আরো ২৫ ধরনের ক্যারোটেনয়েডস আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে এবং দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে। ভিটামিন এ এবং ই আমাদের স্কিনকে খুব ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং আমাদের দেহের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে আম। আমাদের হজমে সমস্যা চুল পড়া ছাড়াও আরো অনেক সমস্যা দূর করতে সাহায্য। এর স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ এর কারণে একে ফলের রাজা বলা হয়ে থাকে। পাকা আম খেতে খুব মজা লাগে

পাকা আমরাও অনেক পুষ্টিগুণ আছে। আছে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন , আঁশ জাতীয় উপাদান পেকটিন, আমিষ, শর্করা, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন বি ২, খনিজ লবণ, প্রোটিন, ফ্যাট ,ক্যালরি, পটাশিয়াম ইত্যাদি। এছাড়াও আরো অনেক ভিটামিন এবং পুষ্টিগুণ আছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এছাড়া পাকা আমে থাকা আর জাতীয় উপাদান আমাদের খাবার কে ভালোভাবে পড়ে থাকা হতে সহায়তা করে থাকে।

কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

কমবেশি আমরা সকলে কাঁচা আম খেতে পছন্দ করি এবং এই কাঁচা আম দিয়ে আমরা অনেকেই বিভিন্ন রকম আচার তৈরি করে থাকি। প্রচন্ড গরমে আমরা এক গ্লাস কাঁচা আমের শরবত করে খেতে পারি এতে অনেকটাই শীতল আর শরীরকে চাঙ্গা মনে হবে। আম কাঁচা হোক বা পাকা দুটো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী কারণ আম এ আছে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন। ১০০ গ্রাম কাঁচা আমের থাকে পটাশিয়াম ৪৪ ক্যালোরি ভিটামিন সি আছে ৫৪ মিলিগ্রাম এবং


ম্যাগনেসিয়াম আছে ২৭ মিলিগ্রাম। আমরা অনেকেই কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানি না যে কাঁচা আম খেলে আবার কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য আজকে সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

ওজন কমাতে: আপনারা যারা ওজন কমাতে চান তারা কাঁচা আম খেতে পারেন। পাকা আমের থেকে কাঁচা আমের চিনি কম থাকে এবং এটা আমাদের ক্যালরি খরচ করতে সাহায্য করে।

অম্লতা দূর করতে: আপনাদের মধ্যে যাদের বুক জ্বালা পোড়া করে বা অম্ল তার সমস্যায় ভুগছেন তারা কাঁচা আম খেতে পারেন এক টুকরো কাঁচা আম আপনাদের এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি দিতে পারবে।

ঝিমুনি ভাব দূর করতে: আমাদের মধ্যে অনেকেরই দুপুরে খাবার খাওয়ার পরে একটু ঝিমুনি ভাব আসে এ ভাব কাটার জন্য আপনারা কাঁচা আম খেতে পারেন কারণ কাঁচা আম আছে অনেক শক্তি।

সকালের বমি ভাব দূর করতে: আমরা অনেকেই সকালে উঠে বমি বমি ভাব অনুভব করি বিশেষ করে যারা গর্ভবতী মহিলা তারা এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা কাঁচা আম খেতে পারেন।

যকৃত এর সমস্যা দূর করতে: যকৃত এর সমস্যা নিরাময়ের জন্য কাঁচা আম আপনাদের প্রাকৃতিক বন্ধু হতেও পারে। কাঁচা আম চিবানোর ফলে পিত্তরস বৃদ্ধি হয়ে থাকে এর ফলে আমাদের যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং অন্ত্রের জীবাণু সংক্রমণ দূর হয়ে যায়।

ঘামাচি প্রতিরোধে: গরমের সময় আমাদের সকলের শরীরে কম বেশি ঘামাচি বের হয় এটা একটি অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয় আমাদের। আর এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য কাঁচা আম অনেকটাই উপকারী এতে থাকা কিছু উপাদান আছে যা আমাদের সানস্ট্রোক হতে বাধা দিয়ে থাকে।

বয়স ধরে রাখতে: কাঁচা আমে আছে ভিটামিন সি এটা আমাদের দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত কাজ করে এটা আমাদের বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: কাঁচা আমে আছে ভিটামিন ই যা আমাদের শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায় এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাঁচা আমের থাকা বিটা ক্যারোটিন আমাদের হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।

হজমে সাহায্য করে: কাঁচা আমে থাকা অ্যামাইলেস এনজাইম আমাদের খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে এবং এসিডিটি বদহজমের সমস্যা কমানোর জন্য বেশ কার্যকর। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে এবং আমাদের শরীরের লবণের ঘাটতি পূরণ করে থাকে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে: কাঁচা আম খাওয়ার ফলে আমাদের দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে সুস্থ থাকে এবং আমাদের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায় চোখের রেটিনা ভালো থাকে। এছাড়াও আমাদের রক্তস্বল্পতা সমস্যা থাকলে তা দূর হয়ে যায় আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।

গর্ভাবস্থায় আম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া ভালো এতে আম নিয়ে উপকারিতা পাওয়া যাবে কারণ আমি আছে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান কার্বোহাইড্রেট চর্বি প্রোটিন যা একজন গর্ভবতী মায়ের ও গর্ভ থাকা শিশুর জন্য খুব উপকারী। আর এ সকল প্রত্যেকটি উপাদান আমের মধ্যে আছে তার গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া যাবে এতে করে মা ও শিশু দুজনারি উপকার হবে। গর্ভাবস্থায় আম খাওয়ার ফলে আম এ যে ভিটামিন এ আছে এর অভাব পূরণ হবে এর ফলে রক্তস্বল্পতা অকালে জন্মগ্রহণ ভ্রূণের বিকৃতি ভ্রূণের বৃদ্ধি


প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি সমস্যা গুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কারণ আমে থাকা ফলিক এসিড ভ্রূণের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।ফলিক এসিড মেরুদন্ড বিকশিত করতে সাহায্য করে থাকে এবং গর্ভাবস্থার বিভিন্ন জটিলতা কমাতে পারে। এ ছাড়া আম এ থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ,সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক গর্ভবতী মহিলার গর্ভাবস্থায় যোগাতে ও উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে। অবস্থায় আম খাওয়ার ফলে হজমে সাহায্য হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে পারা যায়।

আম খাওয়ার সঠিক সময়

আম খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি এবং উপযুক্ত সময় কখন এ বিষয়ে আমরা হয়তো অনেকেই জানে না। আমরা দিনে বা রাতে যে কোন সময় আম খেয়ে থাকি। তবে আম খাওয়ারও কিছু উপযুক্ত সময় বা সঠিক সময় আছে এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ মিজ তাসনিম বলেন দুই বেলাই মেইন খাবার খাওয়ার পরে আমরা আম খেতে পারি। আবার খাবার খাওয়ার অন্তত ২ ঘন্টা পরে আম খাওয়া উচিত আমের গ্লাইসনিক ইনডেক্স মাত্রা ৬০ থেকে ৮৫ তাই বেশি পরিমাণে আম খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তে

শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টাকা আম এ যেহেতু শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে কাঁচা আমের তুলনায় এজন্য ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীদের পাকা আম খাওয়ার বিষয়ে একটু সতর্ক থাকা উচিত। আমি অনেক পটাশিয়াম থাকে যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে এছাড়া একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন অনায়াসেই দুইটা আম খাওয়া উচিত। তবে ফজলি আম খাওয়া অনেক ভালো কারণ ফজলি আমে ভিটামিন এ দুইটা ক্যারোটিন এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক থাকে।

আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আম খাওয়া খুব ভালো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কারণ আমি অনেক স্বাস্থ্যগুণ এবং পুষ্টিগুণ আছে। আম এ আছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন ই ক্যারোটিন শর্করা প্রোটিন আমিষ প্রাকৃতিক চিনি ইত্যাদি। আম খাওয়ার ফলে আমরা বিভিন্ন রকমের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে। বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা আম খাওয়ার কথা বলে থাকেন এর উপকারিতা গুলো ও ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ পাওয়ার জন্য আম খাওয়ার উপকারিতা নিচে বর্ণনা করা হলো
  • যারা স্থূলতা কমাতে চান তারা আম খেতে পারেন এতে করে স্থূলতা কমে যাবে।
  • আমের গুঁড়িতে থাকা ফাইবার এবং চর্বি আপনাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত চলবে কমাতে সাহায্য করবে। 
  • আম খাওয়ার ফলে আমাদের ক্ষুধা কমে যাবে এবং ক্যালরি বার্ন হবে।
  • আম খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
  • আম খেলে আমাদের হৃদপিণ্ড ভালো থাকে সুস্থ থাকে খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কম হয়।
  • আম এ ভিটামিন সি থাকার কারণে এটা আমাদের মাড়ি দাঁতের ক্ষয় ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
  • আমাদের শরীরে পানির অভাব দূর করতে সাহায্য করে এবং রক্তস্বল্পতার সমস্যা সমাধান করে।
  • আম খাওয়ার ফলে আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়ে এবং চোখের রেটিনা ভালো থাকে আমাদের চোখ সুস্থ থাকে।
  • কাঁচা আম খাওয়ার ফলে আমাদের বমি ভাব দূর হয় এবং যকৃতে সমস্যা থাকলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • হজমে সাহায্য করে পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে।
আমরা সকলে আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবাই জেনে থাকি কিন্তু আমরা আম খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানিনা। আম খাওয়ার ফলে আমরা যেমন উপকারিতা পেয়ে থাকি কারণ আম এ অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন আছে কিন্তু এটা যদি আমার অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকে তাহলে সেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হতে পারে তাই আজকে আমরা জানবো আম খাওয়ার অপকারিতার কথা
  • আম এ প্রাকৃতিক চিনি থাকে তার বেশি মাত্রায় আম খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের দেশে পরিমাণে আম খাওয়া উচিত না।
  • আমে অনেক পরিমাণে ফাইবার আছে এজন্য বেশি পরিমাণে আম খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া এর সমস্যা হতে পারে।
  • যাদের আম এ এলার্জি আছে তারা আম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • বেশি আম খাওয়ার ফলে আপনাদের শরীরের তাপ বাড়তে পারে এজন্য দিনে দুটি বা একটি আম খাওয়া উচিত এর বেশি খাবেন না।
  • এতে বেশি পরিমাণে ক্যালরি আছে যা আপনার ওজন বাড়াতে পারে তাই যারা চিকন স্বাস্থ্যের তারা আম খেতে পারেন বেশি করে।

পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা

সুস্বাদু এবং রসালো ফল হচ্ছে আম। আম খেতে আমরা সকলে পছন্দ করি এবং এর অনেক পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্যের উপকারিতা আছে যেগুলো আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে। পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা আজকে আমরা পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব। পাকা আমের অনেক পুষ্টিগণ এবং ভিটামিন আছে যেমন ভিটামিন বি এক, ভিটামিন বি ২, শর্করা, আমিষ, ক্যালরি, প্রোটিন ,ফ্যাট, ভিটামিন এ ,পটাশিয়াম,

ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, বিটাক্যারোটিন, আয়রন ইত্যাদি। এগুলো আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। পাকা আমের ক্যারোটিনের মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে ১০০ গ্রাম আমে ২৭৪০ মাইক্রো গ্রাম ক্যারোটিন থাকে। ক্যালসিয়াম থাকে ১৪ মিলিগ্রাম। আয়রন থাকে ১.৩ গ্রাম আবার ভিটামিন বি এক থাকে ০.১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি থাকে ০.০৭ মিলিগ্রাম।পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিচে বর্ণনা করা হলো
  • এই আম খাওয়ার ফলে আমাদের চোখ সুস্থ থাকে এবং সর্দি কাশি দূর হয়ে যায়।
  • আমাদের কর্ম শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
  • অ্যানিমিয়া রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • পাকা আমে থাকা ভিটামিন সি আমাদের স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং আমাদের দাঁত মাড়ি ত্বক ও হাড়ের সুরক্ষা ও সুস্থতা বজায় করতে ও অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • এই ফলে থাকা আঁশ জাতীয় উপাদান এবং ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  • ক্যান্সার স্তন ক্যান্সার রক্তস্বল্পতা এবং প্রোটেস্ট ক্যান্সার এ সকল রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • আমাদের রক্তে কোলেস্টেরল এর ক্ষতিকর মাত্রা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে।
  • আমাদের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া সমস্যা সমাধান করে।
  • পাকা আমে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় সুগঠিত করতে সাহায্য করে।
  • আমি থাকা পটাশিয়াম আমাদের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে এবং আমাদের হৃদযন্ত্র সচল ও ভালো রাখতে ও সহায়তা করে থাকে।

লেখক এর মন্তব্য

ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা ছাড়া আরও কয়েকটি আম সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছে যেগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। যদি এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে এই পোস্টটি আপনারা আপনাদের পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন এবং কমেন্টে জানাবেন কেমন হয়েছে এবং আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url