ঘরে বসে প্রতি মাসে আয় করুন ১৫,০০০-২০,০০০ হাজার টাকা তার উপায় জানুন

ঘরে বসে প্রতি মাসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা

আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার মাধ্যমে আমরা প্রতি মাসে আয় করতে পারি ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ হাজার টাকা। তার জন্য আমাদের কিছু পদ্ধতি জানতে হবে এবং নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। এই কাজ করার জন্য আমরা মোবাইল কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারি। আর এখন সবচাইতে বড় সুযোগ হচ্ছে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা উপার্জন করা। এই কাজটি আমরা অন্যান্য যেকোনো কাজের পাশাপাশি ঘরে বসে যে কোন সময় করতে পারি।

আজ আমি আপনাদের ঘরে বসেই কিভাবে প্রতিমাসে যাতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন তার একটি ধারণা দিব।

আর্টিকেল লিখেঃ আপনি আর্টিকেল লিখে বা কনটেন্ট লিখে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন ঘরে বসেই তার জন্য আপনাকে ব্লগারদের সাথে যোগাযোগ করে নিতে হবে। এছাড়াও আর্টিকেল লিখার অনেকগুলো ওয়েবসাইট আছে সেগুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই ওয়েবসাইট গুলোর সাথে যোগাযোগ করলে আপনি বাংলা এবং ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

ছবি তুলে এবং ছবি এডিট করেঃ এখন বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলো আপনাদের ছবি কিনে নেই তার জন্য আপনাকে একটি ভালো স্মার্টফোন থেকে ছবি তুলে তারপর সেটাকে এডিট মডিফাই করে তাদের কাছে বিক্রি করতে হবে এজন্য যে ওয়েবসাইট গুলো আছে সেগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে এবং যারা ছবি কিনে নেয় তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ছবি তাদের পছন্দ হলে তারা ছবিগুলো কিনে নিবে এবং তার পরিবর্তে আপনাকে টাকা দিবে।

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করেঃ এখন অনেকেই ইউটিউবে বিভিন্ন রকমের ভিডিও আপলোড করে এটার জন্য অনেকেই ইউটিউবে চ্যানেল খুলে নেয় এবং বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে এটা করে থাকে। এটা থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু ভালো মানের ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং যারা এই ভিডিওগুলো দেখবে তাদের পছন্দ হতে হবে। আপনার ভিডিও মানুষ যত বেশি দেখবে আপনার তত ইনকাম বৃদ্ধি পাবে এভাবে আমরা ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারি।

সিপিএ মার্কেটিং করেঃ সিপিএ মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই এ সম্পর্কে একটি কোর্স করে এ বিষয়ে সবকিছু ভালোভাবে জানতে হবে তবে আপনি সিপিএ মার্কেটিং করতে পারবেন। আপনি ঘরে বসে এই মার্কেটিং করার ফলে আপনার পণ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন এবং তা বিক্রি করার মাধ্যমে অনলাইনে টাকা পেতে পারেন এই কাজটি সম্পন্ন আপনি ঘরে বসে অনলাইনে করতে পারেন।  এটার মাধ্যমে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানদের পণ্য বিক্রির প্রসার ঘটে।

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমেঃ এখন বর্তমান যুগে অনলাইনে টাকা ইনকামের বড় একটি প্লাটফর্ম হল আউটসোর্সিং কিন্তু এ বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকতে হবে এবং আপনার সাথে একটি ভাল মানের কম্পিউটার ল্যাপটপ থাকতে হবে। আউটসোর্সিং এর উপর আপনি পারদর্শী হলে অবশ্যই আপনি প্রতি মাসে ১৫০০০ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন অনেকে আবার এক লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারে আউটসোর্সিং করার মাধ্যমে।

আপনারা যদি ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে আপনাদের কাছে অবশ্যই একটি ভালো মানের স্মার্টফোন থাকতে হবে তার সাথে থাকতে হবে ইন্টারনেটে সংযোগ ব্যবস্থা। এবং আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে টাকা উপার্জন করতে হয় কিভাবে কোন কোন পদ্ধতিতে সেগুলো জানতে হবে। আজকে আমি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদের জানাবো চলুন জানা যাক ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে আপনারা কিভাবে ইনকাম করবেন।

মোবাইলের মাধ্যমে ব্লগিং করেঃ মোবাইলের মাধ্যমে ঘরে বসে উপার্জন করার একটি সহজ পদ্ধতি হলো ব্লগিং করা। ব্লগিং করার মাধ্যমে আবার নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটেও কাজ করতে পারেন । এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে মানুষ সার্চ দিয়ে কনটেন্ট গুলো পড়বে এবং এতে করে আপনার ভিজিটর বাড়বে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের কিওয়ার্ড নির্বাচন করে আর্টিকেল লিখতে হবে। মোবাইলের মাধ্যমে ব্লগিং করে প্রতি মাসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব এ ভিডিও আপলোড করেঃ এখন অনেকেই ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলে নিয়ে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করছে। এখানে মানুষ সব রকমের ভিডিও আপলোড করছে রান্নাবান্না খাওয়া দাওয়া বিষয় পড়াশোনা ভ্রমণ বিউটি টিপস ইত্যাদি অনেকেই অনেক ধরনের ভিডিও আপলোড করে। আর এ ভিডিও আপলোড করেও আমরা টাকা ইনকাম করতে পারি ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে।

ফ্রিল্যান্সিং করেঃ মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে বা ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খুলে ফাইবার ওয়েবসাইট থেকে আপনারা ঘরে বসেই কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন এর জন্য আপনাকে ফ্রি কিছু সময় কাজ করতে হবে। চাকরি বা ব্যবসা অন্য কোন কাজের পাশাপাশি এটা করা যায় অবসর সময়ে।

কনটেন্ট রাইটিং করেঃ কনটেন্ট রাইটিং করে ও আপনি ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারেন এজন্য আপনাকে কনটেন্ট রাইটিং বিষয়ে সকল কিছু জানতে হবে এবং দক্ষ হতে হবে তবে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য বিভিন্ন ব্লগারদের সাথে এবং বিভিন্ন কনটেন্ট রাইটিং এর ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করে কাজ করতে হবে।

ক্যাপচা পূরণের কাজ করেঃ এখন মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন apps এ সার্চ দিয়ে ক্যাপচা কোড সঠিকভাবে পূরণ করিয়ে কাজ করার মাধ্যমে অনেক অ্যাপ টাকা দিয়ে থাকে। এর জন্য বিভিন্ন অ্যাপ আছে এগুলো ইন্টারনেটে সার্চ দিলে পাওয়া যাবে এ সকল ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করে আপনি কাজ করতে পারেন।

ই কমার্স করেঃ ই-কমার্স অর্থাৎ অনলাইনে আপনি একটি দোকান চালু করে সেখান থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এটার জন্য আপনি প্রোডাক্ট কেনা অর্ডার করা গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করা সবই অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারেন এটা করেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ছবি তোলা ও এডিট করাঃ মোবাইলের মাধ্যমে আপনি আপনার বা বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে সেটা এডিট মডিফাই করে অনলাইনে বিভিন্ন app এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে সেগুলো বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের ছবি তুলতে হবে।

বর্তমানে এখন মেয়েরা ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা আয় উপার্জন করতে পারে। এর জন্য তাদের বাহিরে বের হওয়ার দরকার হয় না এখন অনেক ধরনের সুযোগ আছে মহিলাদের জন্য ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার। বিভিন্ন ধরনের কাজ অনলাইনে করতে পারে এছাড়াও অনলাইনে করা বাদেও তারা ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে টাকা উপার্জন করতে পারে। এতে করে তাদের সংসারের কিছুটা উন্নতি হবে নিজে হাত খরচের জন্য ব্যয় করতে পারে। নিচে এগুলো বর্ণনা করা হলো।

ডাটা এন্ট্রি করেঃ মহিলারা ঘরে বসে ডাটা এন্ট্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারে এজন্য তাকে অবশ্যই ডাটা এন্ট্রির কাজের সম্পর্কে জানতে হবে এবং লেখা লেখি করাতে দক্ষ হতে হবে। ডাটা এন্টি কাজটা কম্পিউটারের সাহায্যে কোন নির্দিষ্ট ডাটা আরেক জায়গায় হাতে লিখার মাধ্যমে বা অন্য কোন ফাইলে সংরক্ষণ করে রাখার প্রক্রিয়া।

ফেসবুক গ্রুপ থেকেঃ আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক গ্রুপে বা পেজে আপনার ইচ্ছা মত পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রি করার এফিলিয়েট লিংক থেকে, এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে এবং আপনি আপনার ফেসবুক গ্রুপে সদস্য বাড়িয়ে তা বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এভাবে মেয়েরা ঘরে বসে আয় করতে পারে।

রিসেলার বিজনেস করার মাধ্যমেঃ রিসেলার বিজনেস মানে হলো আপনি কারো কাছ থেকে পাইকারি দামে কোন পণ্য কিনে সেটাকে ভালোভাবে মডিফাই করে সেটার ছবি তুলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটে দেখিয়ে মানুষকে সে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে বিক্রি করতে পারেন। এভাবে বিজনেস করে মেয়েরা ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারে।

ফেসবুক পেজে প্রোডাক্ট সেল করার মাধ্যমেঃ আপনার ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী যেগুলো আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করে থাকে সেগুলো বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমেঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে নারীরা ঘরে বসেই আয় করতে পারে। এর জন্য কাউকে কোন পণ্য কেনার জন্য বা ডেলিভারি করার জন্য কোথাও যেতে হয় না শুধুমাত্র অনলাইনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকতে হবে।

বিভিন্ন ধরনের ভাষা অনুবাদ করার মাধ্যমেঃ আপনারা কেউ যদি অন্য কোন দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা জানেন তাহলে সেটা কে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে ভাষা অনুবাদ করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন ঘরে বসেই। এর জন্য আপনাকে ক্লাইন্ট খুজে বের করে তাকে বোঝাতে হবে যে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভাষা অনুবাদ করতে পারেন।

ড্রপ শিপিং করার মাধ্যমেঃ ড্রপ শিপিং কাজটি করার জন্য আপনাকে ড্রপ শিপিং ই কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কিত নতুন নতুন ছবি, পণ্যের দাম সহ কমিশন কত এ সকল বিষয়ে জানিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে পণ্যটি কেনার জন্য আপনার ফোন নাম্বার দিবেন যোগাযোগ করার জন্য যদি কারো পছন্দ হয় বা কিনতে চাই তাহলে তার এড্রেসে সেই পণ্যটি ড্রপ শিপিং ই-কমার্স এর মাধ্যমে অর্ডার করে দিতে পারবেন। এভাবে কাজ করার জন্য আপনি আয় করতে পারবেন।

জরিপ বা সার্ভে করেঃ এখন সার্ভে করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে রয়েছে এ সকল ওয়েবসাইটে সার্ভে করার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন ঘরে বসে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করেঃ এখন মহিলা ঘরে বসে গ্রাফিক্স ডিজাইন করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে একটি ভাল কম্পিউটার বা ল্যাপটপ রাখতে হবে কাছে এটার মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন নিত্য নতুন ক্রিয়েটিভ খাটিয়ে নতুন নতুন ডিজাইন করে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ডিজাইন ভিজিটিং কার্ড আইডি কার্ড পোস্টার ব্যানার এবং ক্যালেন্ডার এ ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে দেখিয়ে কাজ করে টাকা আয় করতে পারেন।

আর্টিকেল লিখেঃ ঘরে বসে অন্যজনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আয় করা যায়। এজন্য আপনাকে আর্টিকেল বিষয়ে সব কিছু জানতে হবে ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে হবে এই কাজটি ঘরের অন্যান্য কাজ করার পাশাপাশি অবসর সময়ে করা যায়। এই কাজটি করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে এবং বিভিন্ন ব্লগারদের সাথে যোগাযোগ করে করতে হবে।

ভিডিও এডিটিং করেঃ ভিডিও এডিটিং কাজটি করার জন্য আপনাকে প্রথমে ভিডিও এডিটিং এর কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে দক্ষ হতে হবে তারপরে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউব এবং ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে ক্লাইন্ট খুঁজে বের করে তাদের সাথে যোগাযোগ করে এই কাজটি করতে পারেন এর পরিবর্তে আপনারা তাকে অর্থ দিবে।

ফেসবুক ইউটিউব এ ভিডিও আপলোড করেঃ ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ও ঘরে বসে টাকা আয় করা যায়। ভালো মানের মানসম্মত ভিডিও আপলোড করতে হবে যাতে সবাই পছন্দ করে এবং আপনার ফলোয়ার ও ভিজিটর বাড়ে এগুলো যত বাড়বে আপনার উপার্জন ও তত বৃদ্ধি পাবে।

ব্লগিং করেঃ ব্লগিং করা হচ্ছে আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে পোস্ট করার মাধ্যমে গুগলে সার্চ দিয়ে মানুষ দেখার পরে আপনার ভিজিটর বাড়বে এবং ওয়েবসাইটটি ভিউ হবে এতে করে আপনি উপার্জন করতে পারবেন আপনার নিজের ওয়েবসাইট থেকে এই কাজটি ঘরে বসে অবসর সময়ে করা যায় অন্যান্য কাজের পাশাপাশি।

সেলাই এর কাজ করেঃ মহিলারা ঘরে বসেই সেলাই মেশিনে জামা কাপড় সেলাই করে ওর টাকা আয় করতে পারে। এতে করে নিজের যেমন কাজ করা হয় তেমনি অন্যজনার ও পোশাক তৈরি করে দেওয়া যায় আর এটা করার জন্যই টাকা আয় করা যায়।

গৃহপালিত প্রাণী পালন করেঃ মহিলারা ঘরে বসেই গৃহপালিত প্রাণী যেমন গরু, ছাগল, ভেড়া ,মহিষ ,হাঁস-মুরগি পালন করে টাকা আয় করতে পারেন।

টিউশনি করেঃ মহিলারা ঘরে বসেই টিউশনি করে টাকা আয় করতে পারেন। এতে করে যেমন নিজের হাত খরচ হয় আবার অনেক সময় সংসারের ও কাজে লাগে।

এখন আমরা ঘরে বসে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারি। এর জন্য আমাদের বাহিরে যাওয়ার দরকার হয় না চাকরি বা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি আমরা অবসর সময়ে করতে পারি। এখন বর্তমানে ডিজিটাল যুগ হওয়ার কারণে সকল কিছুই অনলাইনে করা সম্ভব বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। তার জন্য আমাদের কাছে একটি মোবাইল ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকলে হবে তার সাথে নেট সংযোগ থাকতে হবে। নিচে এগুলো বর্ণনা করা হলো।

আর্টিকেল রাইটিং করেঃ আর্টিকেল রাইটিং করার মাধ্যমে আমরা ঘরে বসে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি অবসর সময়ে এ কাজটি করে আয় করতে পারি। এর জন্য আমাদের আর্টিকেল রাইটিং বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে হবে। এই কাজটি আমরা নিজের ওয়েবসাইটেও করতে পারি এবং অন্যের ওয়েবসাইটেও বা বিভিন্ন ব্লগার দের সাথে যোগাযোগ করে করতে পারি। এর পরিবর্তে আমরা আয় করতে পারি।

ভিডিও এডিটিং করেঃ আমরা ইউটিউব অথবা ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ভালো মানের ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আয় করতে পারি ঘরে বসে। এর জন্য আমাদের ফেসবুক ইউটিউবে অথবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করে এই কাজটি করতে হবে।

ফেসবুকে ছবি তোলার মাধ্যমেঃ ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ছবি তোলার মাধ্যমে সেই ছবিগুলো যাতে ভালো মানের হয় এবং সকলের পছন্দ হয় ছবিটি বিভিন্নভাবে মডিফাই করে ক্রিয়েটিভ করে ছবিটা বিক্রি করার মাধ্যমে আমরা টাকা আয় করতে পারি এর জন্য আমাদের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করে রাখতে হবে যে ওয়েবসাইট গুলো এ ধরনের ছবি কিনে নেয় তাদের সাথে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করেঃ এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করা সম্ভব। এর জন্য অর্থাৎ কোন পণ্য কেনার জন্য বা ডেলিভারি দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে হবে।

ডাটা এন্ট্রি করার মাধ্যমেঃ ডাটা এন্ট্রি করা হচ্ছে কোন ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে তথ্য আছে সেই তথ্যটি হাতে লিখে বা অন্য কোন কম্পিউটারে যেখানে ডাটা সংরক্ষণ করে রাখা হয় সেখানে সংরক্ষিত করে রাখার একটি পদ্ধতি এই কাজটি করে ঘরে বসে আমরা আয় করতে পারি।

ফ্রিল্যান্সিং করেঃ বিভিন্ন ওয়েবসাইট ফাইবার ও ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের সাথে বা ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করে আপনি যে কাজটি জানেন অর্থাৎ নতুন ডিজাইন যেমন ব্যানার বা পোস্টার তৈরি করা ভিজিটিং কার্ড ক্যালেন্ডার তৈরি বুক কভার ডিজাইন সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন সম্পর্কে কাজ তাদেরকে জানানোর মাধ্যমে আপনার ক্রিয়েটিভ তুলে ধরে কাজ করা এটা করে ঘরে বসে আয় করা যায়।

জরিপ বা সার্ভে করেঃ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এখন বিভিন্ন ধরনের জরিপ সংক্রান্ত কাজ করার জন্য বলা হয় এ সকল ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করে জরি বা ছাড়বে করার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারেন।

ড্রপ শিপিং করেঃ ড্রপ শিপিং করার মাধ্যমে কোন পণ্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে যোগাযোগ করার জন্য নাম্বার দিয়ে সেই পণ্যটির ছবি তুলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মানুষকে জানিয়ে কারো যদি পছন্দ হয় বা কিনতে চায় তার জন্য তার দেওয়া এড্রেসে কন্টাক করে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্ডার করতে পারেন এভাবে কাজ করে আয় করা সম্ভব ঘরে বসে।

বিভিন্ন ধরনের পণ্য রিসেলার করেঃ ফেসবুক বা ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের পণ্য সম্পর্কে মানুষকে জানিয়ে সেটা বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা আয় করা যায় ঘরে বসে।

বাচ্চাদের টিউশনি করেঃ এখন অনেকেই বাচ্চাদের টিউশনি করে ঘরে বসে টাকা আয় করে থাকে।

গৃহপালিত প্রাণী পালন করেঃ এখন অনেকেই হাঁস, মুরগির ,গরু ও ছাগলের খামার করে বাড়িতে থেকেই অন্যান্য কাজের পাশাপাশি আয় করে থাকে এতে করে যেমন সংসারে উন্নতি হয় তেমনি দেশেরও উন্নতি করা সম্ভব কর্মসংস্থান হবে বেকারত্বদের।

বাড়িতে সবজি চাষ করেঃ এখন অনেকে বাড়িতে বসে সবজি চাষ করে বাড়ির আঙিনাতে বা আশেপাশে জমিতে আর সবজি চাষ করার মাধ্যমে ও আয় করা যায়।

সেলাইয়ের কাজ করেঃ বর্তমান যুগে এখনো অনেকেই সেলাইয়ের কাজ করে থাকে অন্যদের পোশাক বানায় এবং এর পাশাপাশি নিজের পরিবারের সদস্যদের ও পোশাক তৈরি করা হয় এতে করে ঘরে বসে আয় করা সম্ভব এই কাজটি এখন মহিলারাই বেশি করে থাকে গ্রামের বাড়ির দিকে এতে করে তাদের হাত খরচের টাকা হয়।

আমরা এখন বিভিন্ন ধরনের সরকারি কাজ সরকারিভাবে অনলাইনে করে থাকি আর এ কাজগুলো করার জন্য বা এ কাজগুলো সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের অবশ্যই যে সকল ওয়েবসাইটে এ কাজগুলো করা হয় সে সকল ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে এবং এই কাজ সম্পর্কে ও দক্ষ হতে হবে। এই সরকারি অনলাইন ইনকাম গুলো বিভিন্ন সার্ভের সাথে জড়িত। আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের শুমারি হয় তার জন্য যারা কাজ করে তাদেরকে একটি করে ট্যাব প্রদান করা হয় ।

এরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সেই ট্যাবে সংরক্ষণ করে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সেই তথ্যগুলো সাবমিট করে। এই কাজটি করার জন্য আপনাদের হয়তো একটা পরিমাণে অর্থ দেওয়া হয় আবার এই কাজগুলো নির্দিষ্ট বছর পর পর করা হয় সরকারিভাবে। এখন অনেক দোকানদার বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরকারিভাবে অনলাইনে কাজ করে থাকে এবং এ কাজগুলো করার জন্য অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক দরকার। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি কাজ।

বিভিন্ন সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা হয় যেমন শিক্ষা সংক্রান্ত অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে এই কাজগুলো কোন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকই সেই ওয়েবসাইটে করতে পারবে। এখন সবার হাতে স্মার্টফোন থাকা সত্ত্বেও অনেকে এর কাজগুলো সম্পর্কে জানে না বা করতে পারে না তার জন্য অনেকেই কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে করতে হয় অভিজ্ঞ লোকের কাছ থেকে। এখন বর্তমানে এনআইডি কার্ড তৈরি করার জন্য অর্থাৎ এখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য লিপিবদ্ধ।

করার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে সরকারিভাবে এখানে সকল ধরনের তথ্য জন্ম নিবন্ধন করার জন্য আবেদন করা থেকে শুরু করে নিবন্ধন করা হয় এবং আপনাকে একটি প্রিন্ট কপি দেওয়া হয় এ কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি সরকারিভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন এটা একটা সুযোগ। মৃত্যু নিবন্ধন সনদের কাজগুলো এখন সরকারিভাবে অনলাইনে করা হয়। এছাড়াও এখন মানুষ বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট সংক্রান্ত যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে।

সেখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা করিয়ে নিচ্ছে এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আবেদন করতে হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স বিষয়ক অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে। এই কাজগুলো আগে বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের মাধ্যমে করা হতো কিন্তু এখন মানুষ এই কাজগুলো ঘরে বসে করতে পারছে অনলাইনের মাধ্যমে। এছাড়া মানুষ শিক্ষা সংক্রান্ত বেতন সংক্রান্ত এবং চাকরি সংক্রান্ত সকল অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে।

যেগুলোতে যোগাযোগ করার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম তথ্য জানতে পারছে এবং অন্য কেউ জানাতে পারছে এবং এর সকল ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারছে।

এখন ডিজিটাল যুগে ঘরে বসে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। যে সকল অ্যাপের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায় সে অ্যাপ গুলো সম্পর্কে জানুন নিচে

• ফুটপান্ডা মোবাইল অ্যাপ
• গেমথন মোবাইল অ্যাপ
• কায়দা মোবাইল অ্যাপ
• নগদ ইনকাম মোবাইল অ্যাপ
• লুডো সার্কেল মোবাইল অ্যাপ
• পাঠাও মোবাইল অ্যাপ
• বিকাশ মোবাইল অ্যাপ
• দারাজ মোবাইল অ্যাপ
• পকেট লিগ মোবাইল অ্যাপ
• কর্ম চাকরি মোবাইল অ্যাপ
• ফ্যান ফাইট মোবাইল অ্যাপ
• ফিউশন ক্যাশ মোবাইল অ্যাপ
• সেবা বন্ধু মোবাইল অ্যাপ

এখানে আমি আপনাদের ঘরে বসে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার সুযোগ কিভাবে ইনকাম করবেন ইনকাম করার জন্য কোন কোন অ্যাপ আছে এবং ঘরে বসে কিভাবে আপনারা আয় করতে পারবেন এ সকল বিষয়ে আপনাদের বিভিন্ন তথ্য জানানো হয়েছে এগুলো পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হন এবং ভালো লাগে তাহলে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন আপনারা আপনাদের পরিচিত বন্ধু আত্মীয় সবার সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন। সবাই ভালো থাকবেন।