খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের খেজুর
খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য জানাতে চলেছি আশা করি আপনারা এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং এ সকল
বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আজকে আমি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খেজুর ও
কিসমিস এর উপকারিতা ছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয় যেমন দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুর খেলে কি মোটা হওয়া যায় খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ইত্যাদি কয়েকটি বিষয়ে
অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছি। এ সকল তথ্য পরে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং অন্য
কেউ উপকৃত করতে পারবেন। তাই এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য জানার জন্য এই পোস্টটি শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
আপনারা সকলেই খেজুর খেয়ে থাকেন কারণ খেজুর হচ্ছে অনেক পুষ্টিকর এবং ভিটামিন
সমৃদ্ধ একটি খাবার যেটা খাবার ফলে আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য থাকবে ভালো শরীর থাকবে
রোগ মুক্ত। খেজুর খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের হাড় মজবুত
হয়, স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয়, আমাদের দৃষ্টি শক্তি প্রখর হয় ও বিভিন্ন রোগ যেমন
ক্যান্সার , স্ট্রোক ও হৃদরোগ ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গর্ভবতী মহিলাদের
জন্য খেজুর অনেক উপকারী
এটা ফল এটা খাওয়ার ফলে গর্ভের বাচ্চার অনেক উপকার হয় তবে এটা খাওয়ার বেশ কিছু
অপকারিতা আছে। বেশি খাওয়ার ফলে পেটের ব্যথা ,বদহজম ও পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা
দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশি পরিমাণে খেজুর খাওয়া উচিত না কারণ
খেজুর খাওয়ার ফলে তাদের ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আবার যাদের
এলার্জিজনিত সমস্যা আছে তারা খেজুর খেলে তাদের এলার্জিজনিত সমস্যা আরো বেড়ে যেতে
পারে।
এছাড়াও খেজুর ও কিসমিসের অনেক উপকারী তার কথা এই পোস্টের মাধ্যমে বলা হয়েছে এ
সকল বিষয়ে পড়ে আপনারা অনেক সঠিক তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন তার সাথে
জানতে পারবেন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুর ও
দুধ এ দুটি খাবারে খুবই পুষ্টিকর এবং উপকারী খাবার। কারণ খেজুরে আছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন খনিজ পদার্থ পুষ্টি উপাদান ভিটামিন, ক্যালসিয়াম,
পটাশিয়াম, প্রোটিন ,ভিটামিন এ ,ফসফরাস, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২ ইত্যাদি আরও
পুষ্টি উপাদান। খেজুরে থাকে প্রাকৃতিক শর্করা। এ সকল পুষ্টি উপাদানের কথা বিবেচনা
করে দুধকে সুপার ফুড বলা হয়। এই দুটি খাবার যদি আপনারা একসাথে খান তাহলে আপনাদের
শরীরে পুষ্টিগুণ আরো দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যাবে। আপনারা অনেক রোগের হাত থেকে
মুক্তি পাবেন স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
শরীর দুর্বল লাগলে, মাথা ঘুরলে ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা থেকে আপনারা মুক্তি পেতে
পারেন আপনাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে মন ভালো থাকবে দুধ এবং খেজুর
খেলে। হাদিসেও খেজুর ও দুধ খাওয়ার কথা বলা হয়েছে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য
তালিকায় দুধ রাখা উচিত কারণ দুধে আছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও মিনারেল ইত্যাদি
আরো উপাদান যেগুলো আমাদের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এবং এদের অনেক উপকারিতার
কথা হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে।দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতার কথা
ওজন বাড়ানোর জন্যঃ আপনাদের মধ্যে যাদের শরীরের ওজন বাড়ছে না বা
যারা ওজন বাড়াতে চান তারা নিয়মিত খেজুর ও দুধ খেতে পারেন। এই খেজুর ও দুধ
আপনারা যদি কয়েক সপ্তাহ খেতে পারেন তাহলে আপনাদের শরীরের ওজন বেড়ে যাবে এবং
শরীরের উজ্জ্বলতা দ্রুত বেড়ে যাবে।
চোখের সমস্যার সমাধানঃ আপনারা যারা অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটার বা
ল্যাপটপের সামনে কাজ করেন তাদের চোখে সমস্যা হতে পারে তারা দুধ ও খেজুর খেতে
পারেন। এছাড়াও চোখের অঞ্জনির সমস্যা হলে এবং দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে এই দুধ ও
খেজুর খুবই উপকারী।
বিষক্রিয়া বন্ধেঃ আজওয়া খেজুরে রয়েছে বিশেষ কর্ম ক্ষমতা কমানোর
একটি বিশেষ গুণ। যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজোয়া খেজুর খাবে সেদিন সেই
ব্যক্তির উপর কোন বিষ এবং জাদু প্রভাব ফেলতে পারবে না এটা আমাদের নবী হযরত
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেছেন।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্যঃ গর্ভবতী মহিলারা যদি খেজুর ও দুধ একসাথে
মিশিয়ে খান তাহলে তার গর্ভে থাকা শিশুর হাড় ও রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করবে এবং
গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য ও ভালো থাকবে।
রক্তস্বল্পতা দূর করতেঃ অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতার সমস্যা দেখা
দিলে আপনারা দুধ ও খেজুর খেতে পারেন এতে করে এ সমস্যা দূর হবে।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিঃ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আছে আইরন যা
রক্তের অংশ হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ আপনারা যদি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক
গ্লাস দুধের মধ্যে দুটি খেজুর একসাথে করে মিশিয়ে খান তাহলে আপনাদের বিভিন্ন রোগ
প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে এটা আপনাদের মন ভালো থাকবে। কারণ খেজুর আছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
শারীরিক দুর্বলতা কাটাইঃ আমাদের শরীরটা সবসময় ভালো থাকে না কোন না
কোন সময় অসুস্থ হয় যেমন মাথা ঘোরা শরীর দুর্বল লাগা শরীরে ক্লান্তি ভাব আসা
ইত্যাদি সমস্যা হয়। এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা দুধ ও খেজুর খেতে
পারেন।
হাড় শক্তিশালী করতেঃ দুধ ও খেজুর খেলে আমাদের হাড় শক্তিশালী হবে
কারণ দুধ ও খেজুর দুটি খাবারই খুবই উচ্চ পুষ্টি গুন সম্পূর্ণ খাবার। এছাড়াও
আমাদের মাংসপেশী তৈরি করতে ও সাহায্য করে থাকে এই দুধ ও খেজুর।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যঃ ডায়াবেটিস রোগীরাও দুধ ও খেজুর খেতে
পারবেন কারণ এটিও তাদের জন্য অনেক উপকারী। দুধ ও খেজুর খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার
মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এ থাকবে।
ত্বকের যত্নেঃ আমাদের ত্বকে ভিটামিনের যোগান দিতে সাহায্য করে
এই দুধ ও খেজুর। এগুলো আমাদের ত্বকের দাগ দূর করতে এবং উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে
সাহায্য করে।
চুলের যত্নেঃ চুল ভালো রাখতে এবং চুল পড়া রোধ করতে চুলের গোড়া
মজবুত করতে ইত্যাদি আরো কয়েকটি সমস্যার সমাধানে আপনারা দুধ ও খেজুর খেতে পারেন
নিয়ম করে তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ এক গ্লাস দুধের মধ্যে যদি খেজুর মিশিয়ে
তারপরে সেই দুধ খান তাহলে আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা বা অম্বলের সমস্যা থাকে তাহলে
আপনি এই সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পেতে পারেন। তাই প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এভাবে
এক গ্লাস দুধ খান।
দুর্বলতা কাটাতেঃ দুধ এবং খেজুর একসাথে খেলে আপনার শরীর শক্তিশালী
হবে এবং আপনার দুর্বলতা কেটে যাবে। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম করে ২৫০ গ্রাম দুধের
সাথে খেজুর সিদ্ধ করে নিয়ে তারপর সেটা পান করেন তাহলে আপনার দুর্বলতা কেটে যাবে।
হার্টের জন্য উপকারীঃ খেজুর এবং দুধ এর দুটি খাদ্য হার্টের জন্য খুবই
উপকারী কারণ খেজুরে ফ্যাট কম থাকে এবং কোলেস্টেরল এর মাত্রা ও কম থাকে আবার খেজুর
খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। দুধে আছে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি এর
দ্রুত উপাদান একসাথে মিশিয়ে খেলে এর পুষ্টিগণ আরো দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যায় আর
এ দুটো উপাদান নিয়ে হার্টের জন্য উপকারী।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেঃ আমাদের সকলেরই খুব অল্প বয়সেই চোখের নানা
রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন চোখে ছানি পড়া এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার
জন্য চিকিৎসকরা এখন দুধ ও খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
বয়সের ছাপ দূর করতেঃ খেজুর এবং দুধে আছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট এই
উপাদানটি আমাদের বয়স বাড়ার কারণে মুখে যে চামড়া কুচকে বয়সের ছাপ পড়ে তা দূর
করতে সাহায্য করে।
প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতেঃ দুধও খেজুর একসাথে করে খেলে নারী ও পুরুষ
উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে এবং যৌন ক্ষমতা বেড়ে যায়। ছাগলের দুধের সাথে
কয়েকটি খেজুর রাত্রে ভিজিয়ে রাখতে হবে তারপরে সকালে ভালো করে সেটা মিশিয়ে তার
সাথে একটু এলাচ এবং মধু যোগ করে খেতে হবে।
ডায়াবেটিসে খেজুর খাওয়া যাবে কি?
ডায়াবেটিসে খেজুর খাওয়া যাবে কি? এখন অনেকের মনে এই প্রশ্ন আসে। কারণ
ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি খাওয়া নিষেধ কারণ মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের
রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায় যার ফলে তাদের নানা রকম শরীরে সমস্যা দেখা দিতে
পারে। চিনি খাওয়া যাবেনা কিন্তু তাই বলে কি খেজুর খাওয়া যাবেনা এই প্রশ্নের
উত্তরের ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর খাওয়ার বিষয়ে কোনো
নিষেধাজ্ঞা নেই। এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি অর্থাৎ
খেজুর খেলে যে তাড়াতাড়ি দেহে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাবে এমনটা নয়। তবে একসাথে
বেশি করে খাওয়া যাবে না দিনে দুই থেকে তিনটি খেতে হবে। কারণ বেশি খেলে
ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আরেকটি বিষয় খাওয়ার আগে
অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলে খেতে পারেন। ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি
খাওয়ার নেশা থাকে তাদের বারবার মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হয় এই পরিস্থিতিতে ডাইবেটিস
রোগীরা খেজুর খেতে পারেন। খেজুর সুগার ক্রেভিং
কমিয়ে দিতে সাহায্য করে আবার এই ফল আমাদের রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি পরিমাণে
বাড়ায় না। তাই আমরা বলতে পারি ডায়াবেটিস রোগীদের বারবার মিষ্টি খাওয়ার নেশার
অর্থাৎ সুগার ক্রেভিং দূর করার জন্য খেজুর হতে পারে একটা অস্ত্র। তাই ডায়াবেটিস
রোগীদের যখনই মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হবে তখনই তারা মুখে খেজুর পুড়ে নিতে পারেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি
খেজুর খাওয়া নিরাপদ হতে পারে।
খেজুর খেলে কি মোটা হওয়া যায়?
খেজুর খেলে কি মোটা হওয়া যায়? এ বিষয়ে হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না কিন্তু
হ্যাঁ খেজুর খেলে আপনার ওজন বেড়ে যাবে । একটি খেজুর থেকে আপনারা পেতে পারেন ২৩
কিলো ক্যালোরি আবার ১০০ গ্রাম খেজুর থেকে আপনারা পেতে পারেন ২৮২ কিলো ক্যালরি। এই
অল্প পরিমাণে খাবার খেয়ে আমরা বেশি ক্যালরি পেতে পারে এগুলো আমাদের ওজন বাড়ানোর
জন্য খুব উপকারি। খেজুর খেলে আপনি মোটা হবেন কি না এ সম্পর্কে বলা হলো খেজুর খেলে
আপনি মোটা হবেন না
কারণ মোটা হওয়ার জন্য আমাদের প্রয়োজন ফ্যাট কিন্তু খেজুরে ফ্যাট থাকে না এর
কারণে খেজুর খাওয়ার ফলে আপনি মোটা হবেন না। খেজুরে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ,প্রাকৃতিক শর্করা ও
ফাইবার ইত্যাদি থাকে এগুলো আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। আপনি যদি
কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যায় তাহলে খেজুর খেতে পারেন তাহলে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের
মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কারণ খেজুরে থাকে ফাইবার।
এছাড়াও খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের অন্যান্য পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে, শরীর
স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, শরীরের শক্তি যোগাবে, দৃষ্টি শক্তি উন্নত হবে ও শরীরের
ক্লান্তি ভাব দূর হবে এছাড়াও আরো অনেক সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে। আমাদের
হার্ট ভালো থাকবে ও রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। খেজুর খাওয়ার
ফলে আপনারা এ সকল সমস্যা অল্প সময়ে এর ব্যবধানে দূর করতে পারবেন কিন্তু খেজুর
খাওয়ার ফলে আপনি মোটা হবেন না।
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুর হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের একটি ফল যা খুব সুস্বাদু ও সব দেশেই সবার কাছেই খুব
পরিচিত। খেজুরে থাকে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম
,ক্যালসিয়াম ও প্রাকৃতিক শর্করা ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্য
ভালো রাখার জন্য খুব দরকার। আসুন তবে জানাজাক খেজুর খাওয়ার উপকারিতার কথা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির হয়। যকৃতের সংক্রমণ এর জন্য খেজুর খুব দরকারি একটি
খাবার এছাড়া গলা ব্যথা, কাশি ঠান্ডা জ্বর ইত্যাদির জন্য খেজুর খাওয়া খুব
প্রয়োজন। আবার খেজুর অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়ার সমস্যার জন্য বেশ উপকারে আসে।
ভিজানো খেজুর খাওয়ার ফলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করতে থাকে।
কর্মশক্তি বাড়ায়ঃ খেজুরে থাকে প্রচুর প্রাকৃতিক চিনি এজন্য খেজুর
খেলে আমাদের দ্রুত কর্মশক্তি বৃদ্ধি পায় আবার বয়স বাড়ার কারণে শরীরে ঝিমুনি
ভাব দেখা যায় কেমনেও প্রতিদিন তিনটি করে খেজুর খেলে আপনার শরীরের ক্লান্তি ভাব
দূর হয়ে যাবে।
স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ খেজুরের নানা রকমের পুষ্টি
উপাদান এবং ভিটামিন থাকে যা আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য
করে। মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার উন্নতি ঘটে তার সাথে স্নায়ুতন্ত্রের কর্ম ক্ষমতা
বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। স্মৃতিসক্তি বৃদ্ধি করতে অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি যাতে লোভ
না পায় সেজন্য আপনারা খেজুর খেতে পারেন।
দৃষ্টি শক্তি প্রখর করতেঃ খেজুরে থাকা ভিটামিন যেমন ভিটামিন বি১,
বি২, বি৩ এবং বি৫ এছাড়াও ভিটামিন এ সহ নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ থাকার কারণে
খেজুর কে বলা হয় পাওয়ার হাউজ। এগুলো আমাদের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য
করে। অনেকের চোখের সমস্যা হয় যেমন ছানি পড়া অঞ্জনির সমস্যা ইত্যাদি সমস্যা গুলো
দূর করার জন্য খেজুর খাওয়া শুরু করুন আজ থেকেই।
পরিপাকে সাহায্য করেঃ ৩০ বছর পার হলেই আমাদের হজম শক্তি কমতে থাকে এ
সমস্যা থেকে সমাধান মিলবে খেজুর খেলে। খেজুর খেলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে
অর্থাৎ আপনার পরিপাকে কোন সমস্যা হবে না। আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।
মজবুত পেশী গঠনেঃ আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের পেশীর
নানা সমস্যা হয়ে থাকে আর এই সমস্যা থেকে আপনারা মুক্তি পাবেন প্রোটিন থেকে আর
খেজুরে থাকে প্রোটিন তাই এই সমস্যা সমাধানে আপনারা খেজুর খেতে পারেন।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়ঃ আমাদের বয়স বাড়ার সাথে বাড়তে থাকে স্ট্রোক
ও হৃদরোগের ঝুঁকি এই ঝুঁকি এড়াতে খেজুর আমাদের সাহায্য করবে কারণ খেজুরে আছে
পটাশিয়াম যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃগবেষকরা বলেছেন খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে
কোলেস্টেরল এর নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করা যায়। খেজুর খাওয়ার ফলে খারাপ কোলেস্টেরল এর
পরিমাণ কমে এবং ভালো কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বৃদ্ধি হতে থাকে।
হিমোগ্লোবিনের সামঞ্জস্যতাঃ খেজুরে আয়রন থাকার কারণে তা আমাদের
শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা
দেখা দিলে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা দেখা দিলে খেজুর খেতে পারেন। ফলে রক্তের কোষ
উৎপন্ন হতে থাকবে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হবে স্বাভাবিক।
ত্বকের যত্নেঃ ত্বকের যত্নের জন্য খেজুর খুব উপকারী কারণ খেজুরে আছে
এন্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারী। মুখের দাগ দূর করার জন্য
ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য খেজুর খুব উপকারী। ত্বকের বলিরেখা নিয়ন্ত্রণ এর
জন্য ফ্যাকাশে ভাব ও হরমোনের সমস্যা কমাতে গেলে আপনারা খেঁজুর খেতে পারেন। খেজুর
খাওয়ার ফলে আপনাদের মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে ত্বক মসৃণ হবে ত্বকের রুক্ষ
ও শুষ্ক ভাব কেটে যাবে।
হাড় মজবুত এর ক্ষেত্রেঃ খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা
আমাদের হাড় মজবুত করতে ও শক্তিশালী করার জন্য খুব প্রয়োজন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ ডায়াবেটিস রোগীরা দিনে দুইটি থেকে তিনটি
খেজুর খেতে পারেন এতে করে তাদের অনেক উপকারে আসবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কারন চিনির বিকল্প হিসেবে খেজুর ব্যবহার করা হয় এটা আয়রনের ঘাটতি মেটাতে
আপনাদের সাহায্য করবে।
চুলের যত্নেঃ চুলের যত্নের জন্য খেজুর অনেক উপকারী। চুলের গোড়া
মজবুত করার জন্য, চুল পড়া রোধ করতে এবং চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে খেজুর
আমাদের অনেক সাহায্য করে।
পানি শূন্যতা দূর করতেঃ খেজুর আমাদের পানি শূন্যতা দূর করতে সাহায্য
করে থাকে। খেজুর আমাদের রক্তশূন্যতা দূর করতে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে।
মন ভালো রাখতেঃ খেজুর এ থাকা পুষ্টি উপাদান সেরোটোনিন নামক হরমোন
তৈরিতে সাহায্য করে যা মানুষকে মানসিক প্রফুল্লতা এনে দেয় এবং মন ভালো রাখতে
সাহায্য করে।
যৌবন ধরে রাখতেঃ খেজুরে থাকা বিভিন্ন মাত্রার পুষ্টি উপাদান গুলো
আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী এবং এগুলো আমাদের তারুণ্য ও যৌবন ধরে
রাখতে সাহায্য করে থাকে।
খেজুর খাওয়ার অনেক উপকারী তার কথা আপনাদের বলা হলো কিন্তু খেজুর খাওয়ার ফলে ও
অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে বা এর কিছু সংখ্যক অপকারিতা আছে যেগুলো সম্পর্কে এখন
আপনাদের বলব
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খেজুর খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত কারোর বেশি মাত্রায় খেজুর খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশি মাত্রায় খেজুর খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস এর মাত্রা বেড়ে যায়।
- যেসব ব্যক্তির দেহে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে তাদের খেজুর খাওয়ার ব্যাপারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত তা না হলে সমস্যা হবে কারণ খেজুরে থাকে পটাশিয়াম।
- অতিরিক্ত বেশি মাত্রায় খেজুর খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের ওজন বেড়ে যাবে।
- শরীরে এলার্জি আছে তারা খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ শুকনো খেজুর এলার্জি কে জাগ্রত করে তোলে।
- বেশি মাত্রায় খেজুর খাওয়ার ফলে বদহজম এর সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও পেট ব্যথা ,পেট ফাঁপা ও পেটে গ্যাস হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি তাই অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
- খেজুরে থাকে অনেক মাত্রায় পটাশিয়াম তাই বেশি পরিমাণে খেজুর খেলে আপনাদের কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
খেজুরের গুড়ের উপকারিতা
আমাদের দেশে শীতকাল আসলে সবাই খেজুরের রস খেতে খুব পছন্দ করেন আর এই খেজুরের রস
থেকে খেজুরের গুড় তৈরি করা হয়। এই খেজুরের গুড় থেকে তৈরি করা হয় বিভিন্ন
রকমের পিঠা পায়েস সহ নানা মজাদার খাবার। যেগুলো আমরা বাঙালিরা সবাই খেতে পছন্দ
করি এবং শীতকালে আমাদের সবার ঘরে গুড় থেকে নানা ধরনের পিঠা বানানো হয় এবং পিঠা
উৎসব পালন করা হয়। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না খেজুরের গুড়ের উপকারিতা
সম্পর্কে আজকে খেজুরের গুড়ের উপকারিতা সম্পর্কে জানবেন
- আপনারা যদি নিয়ম করে খেজুরের গুড় খান তাহলে আপনাদের শরীর গরম থাকবে।
- খেজুরের গুড় খাওয়ার ফলে সর্দি কাশি এবং ভাইরাস ফিভার হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
- খেজুরের গুড় খাওয়ার ফলে হরমোন বৃদ্ধি পায়।
- খেজুরের গুড়ে থাকে আইরন যা আমাদের আয়রনের অভাবের ঘাটতি পূরণ করবে।
- আয়রনের অভাব হলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে এজন্য আপনারা খেজুরের গুড় খেতে পারেন।
- খেজুরের গুড় খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
- এই গুড় খাওয়ার ফলে এনজাইনের শক্তি বৃদ্ধি হয়ে থাকে।
- প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের দেশের মহিলারা খেজুরের গুড় খেতে পারেন নিয়ম করে।
- লিভার ভালো রাখে এই খেজুরের গুড় আমাদের পেশিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে কারণ খেজুরের গুড়ে আছে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম।
- নারীদের জন্য খেজুরের গুড় অনেক উপকারে আসে কারণ খেজুরের গুড়ের মধ্যে এমন পুষ্টি আছে যা নারীদের জন্য খুব দরকার। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের অসুখ থেকে রক্ষা পেতে পারে গুড়ে থাকা এই ভিটামিন ও পুষ্টির জন্য।
- ত্বক ভালো রাখতে ও খেজুরের গুড় অনেক উপকারে আসে। মসৃণ ত্বক করতে চেহারায় বয়সের ছাপ কমাতে এবং ব্রণ ও ফুসকুড়ি দূর করতে খেজুরের গুড় অনেক উপকারী।
- খেজুরের গুড় খাওয়ার ফলে থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে এই খেজুরের গুড়।
- হাড় এবং বাতের ব্যথা কমানোর জন্য খেজুরের গুড় অনেক উপকার করে।
খেজুর ও কিসমিস এর উপকারিতা
খেজুর ও কিসমিস এই দুটো খাবারই আমাদের সবার কাছেই খুব পছন্দের একটি খাবার। এই
দুটো খাবার আমরা বিভিন্ন খাবারের সাথে ব্যবহার করে রান্না করে খেয়ে থাকি যেমন
পিঠা বানানোর সময় ইফতার ও পায়েস, সেমাই রান্না করার সময় আমরা খেজুর ও কিসমিস
দিয়ে থাকি। এগুলো অনেক উপকারিতা ও পুষ্টি গুণ ও ভিটামিন আছে। যেগুলো আমাদের শরীর
স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না খেজুর ও কিসমিস এর
উপকারিতার কথা তবে আসন জেনে নিন খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
ক্যান্সার থেকে রক্ষাঃ একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে প্রতিদিন নিয়ম
করে তিনটি খেজুর খেলে ক্যান্সার নামক মরণব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
হাড় মজবুত করতেঃ কিসমিস এবং খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের হাড় মজবুত
হবে। কিসমিসে আছে অনেক বোরন এবং ক্যালসিয়াম খেজুরে আছে অনেক ক্যালসিয়াম যা
আমাদের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
প্রেসার নিয়ন্ত্রণের জন্যঃ খেজুর এবং কিসমিসে আছে অনেক পটাশিয়াম যা
আমাদের শরীরের ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে থাকে এবং ব্লাড প্রেসার
নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অ্যাসিডিটি কমাতেঃ খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তের
অ্যাসিডিটি কমে কারণ খেজুর ও কিসমিসে থাকে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যেগুলো
আমাদের শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তের অ্যাসিডিটি কমে যায়।
অ্যানিমিয়া রোগ থেকে রক্ষাঃ কিসমিসে আয়রন থাকার ফলে আমাদের লোহিত
কণিকা উৎপাদন করতে সাহায্য করে থাকে রক্তশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে ফলে মেয়েরা
অ্যানিমিয়া রোগ থেকে রক্ষা পায়।
দৃষ্টি শক্তির উন্নতিতেঃ খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার ফলে আমাদের দৃষ্টি
শক্তির উন্নতি হয় সেই সাথে রাতকানা সহ চোখের বিভিন্ন অসুখের প্রকোপ থেকে রক্ষা
পাওয়া যায়।
হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে ক্ষতিকর
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে থাকে যার জন্য আমাদের হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোক ও হৃদরোগের
ঝুঁকি কমে এবং হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম হয়।
ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধিতেঃ খেজুরে থাকে ফাইবার,
পটাশিয়াম,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আরো বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেগুলো আমাদের
মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ত্বক সুন্দর করতেঃ খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বকের নানা রকম সমস্যা
দূর হয় যেমন ত্বকের বলি রেখা দাগ ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। কারণ খেজুরে আছে
ভিটামিন সি ও ডি যা আমাদের ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
নানাবিধ পেটের অসুখ থেকেঃ খেজুরে থাকে অনেক ভাইবার যা আমাদের পেটে
নানা রকমের রোগ বালাই থেকে রক্ষা করে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো এবং খেজুর ও
কিসমিস এর উপকারিতা ছাড়াও খেজুর খেলে কি মোটা হওয়া যায় খেজুরের গুড়ের
উপকারিতা ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে পারবেন। এগুলো পড়ে যদি
আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনারা এই পোস্টটি বেশি বেশি করে শেয়ার করবেন আপনাদের
পরিচিতদের সাথে যাতে আপনাদের পরিচিতরাও পড়ার সুযোগ পায়। আরো তথ্য জানতে এই
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন নিয়মিত।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url