রাতে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা জানুন

আসসালামু আলাইকুম, রাতে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা এবং গরম পানি দিয়ে গোসল করার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা হয়তো আগে অনেক তথ্য খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি। আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সেই সকল বিষয়ে জানতে পারবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়বেন সবাইকে অনুরোধ করছি।
রাতে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা জানুন
আমরা অনেকে কারণে-অকারণে গরম পানি খেয়ে থাকি বা গরম পানি দিয়ে গোসল করে থাকি কিন্তু আমরা জানি না যে রাতে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা এবং গরম পানি দিয়ে গোসল করার উপকারিতা আছে অনেক। এজন্য বিশেষজ্ঞরা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা কুসুম গরম পানি পান করার কথা বলেন। খালি পেটে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা, মোবাইল চার্জ দিলে গরম হয় কেন এবং শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয়ে অনেক তথ্য পাবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ করছি।

ভূমিকা

শীতের দিন আসলে আমরা সকলেই ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গরম পানি পান করে থাকে এবং গরম পানি দিয়ে গোসল করে থাকি। গরম পানি পান করার যেমন অনেক উপকারিতা আছে তেমনি গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। খালি পেটে গরম পানি খাওয়ার ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। গরম পানি পান করার ফলে আমাদের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় 


এবং শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং শরীর থেকে ঘাম বের হয় সেই সাথে আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত বা টক্সিন জাতীয় পদার্থ বের হয়ে যায়। আবার আমরা অনেকেই গরম জলের সাথে মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকি এতে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। হালকা কুসুম গরম পানি পান করার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে আমরা নানা ধরনের অসুখ যেমন মাইগ্রেন ,উচ্চ রক্তচাপ, নিম্ন রক্তচাপ, হাটু বা গোড়ালিতে ব্যথা এবং কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি 

নানা রকমের রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারি। এছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা আছে রাতে এবং সকালে হালকা কুসুম গরম পানি পান করার এজন্য আমাদের সকলেরই উচিত সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা কুসুম গরম পানি পান করার অভ্যাস করা।

খালি পেটে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা

আমরা অনেকেই আছি যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানি পান করে থাকে কিন্তু এতে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় একথা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা না জেনেই এই হালকা গোসল গরম পানি পান করে থাকি। আমরা প্রতিদিন সকালে যদি হালকা গোসল করো পানি পান করে থাকে তাহলে আমরা অনেক রকমের অসুখ থেকে মুক্তি পেতে পারি। তবে আসুন জানা যাক সকালে খালি পেটে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা
  • আপনাদের মধ্যে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য পেটে ব্যথা গ্যাস এবং অম্বলের সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানি পান করার অভ্যাস করুন তাহলে অনেক সমাধান পাবেন এগুলো থেকে।
  • হজমে সমস্যা হলে আপনারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গোসল গরম পানি পান করতে পারেন এক গ্লাস। এতে করে আপনাদের হজম শক্তি পাবে এবং খাবার তাড়াতাড়ি ও সহজে হজম হবে।
  • খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানি খাওয়ার ফলে আপনাদের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যাবে।
  • মহিলাদের পিরিয়ডের সময় ব্যথা হলে হালকা কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন এতে করে আপনাদের জমাট বাধা রক্ত সহজেই বের হয়ে আসবে ভেঙে।
  • গরম পানি খাওয়ার ফলে আপনাদের শরীরের প্রতিটি স্নায়ু সচল থাকবে এবং আপনাদের শরীরের গিঁটে ব্যথা সহ আপনার শরীরে আরো যদি অন্য কোন ব্যথা থেকে থাকে তাও থেকে মুক্তি পাবেন এ সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • আপনি যদি আপনার শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে হালকা কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন।
  • আপনার ত্বকে আদ্র রাখতে সাহায্য করবে এই পানি।
  • আপনার যদি সর্দি ও নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয় তাহলে আপনি হালকা গোসল গরম পানি পান করতে পারেন এতে অনেক উপকার মিলবে।
  • আপনি যদি সকালে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানি পান করেন তাহলে আপনার শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমে যাবে।
  • আপনার যদি মাথা ব্যথার সমস্যা থাকে তাহলে আপনি গরম পানি পান করতে পারেন।
  • গরম পানি খাওয়ার ফলে আপনার গলার মধ্যে কোন সমস্যা থাকলে তা থেকে মুক্তি মিলবে।
  • গলা শুকিয়ে গেলে বা আসলে আপনি গরম পানি পান করতে পারেন।
  • আবার আপনি যদি গরম পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করেন তাহলে আপনার শরীরে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে আসবে।
  • আপনি যদি প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুই গ্লাস গরম পানি পান করেন তাহলে আপনার বদহজম এর সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং আপনার শরীর তাড়াতাড়ি ডি-টক্স হয়ে যাবে।
  • গরম পানি পান করার ফলে আপনার তারুণ্য শক্তি সহজেই ধরে রাখতে পারবেন।
  • সকালে গরম পানি পান করার ফলে আপনার ব্রণ সমস্যা দূর হবে এবং সেই সাথে আপনার ত্বকের সেলের কোন ক্ষত থাকলে তা সেরে যাবে। আবার ত্বক টানটান হবে ত্বকের বলি রেখা হ্রাস পাবে।
  • হালকা গরম পানি খাওয়ার ফলে আপনার চুল পড়া খুশকি থেকে মুক্তি ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং আপনার চুলের সৌন্দর্য বাড়ে।
  • আপনার মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনার জন্য হালকা গরম পানির সাথে মধু এক চামচ পরিমাণে মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • সকালে খালি পেটে গরম পানি খাওয়ার ফলে আপনারা বিভিন্ন ধরনের রোগ এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন যেমন উচ্চ রক্তচাপ, নিম্ন রক্তচাপ, মাইগ্রেন, হাটু বা গোড়ালিতে ব্যথা, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধিরাস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি রোগ থেকে সহজেই সমাধান পাবেন।

গরম পানি দিয়ে গোসল করার উপকারিতা

শীত আসলে আমরা অনেকেই আছি যারা ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে চাই না বা করি না তারা পানের সাথে গরম পানি মিশ দিয়ে গোসল করে থাকি। গরম পানিতে গোসল করার ফলে আমরা অনেক রকমের উপকারিতা পেতে পারি আর সে সম্পর্কে আপনাদের বলব তাই এসব উপকারিতা জানতে হলে আপনাদের পড়তে হবে এই পোস্টটি

ওজন কমাতেঃ গরম বা উষ্ণ পানিতে গোসল করার ফলে আপনাদের ওজন কমতে পারে। গরম পানি দিয়ে গোসল করার সময় এই পানি বিপাক ক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলে থাকে যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে তাই ওজন কমাতে চাইলে আপনারা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন।

বন্ধ নাখ খুলতেঃ বন্ধ নাক খুলতে এই হালকা কুসুম গরম পানি বা উষ্ণ পানি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। যারা ঠান্ডা জনিত সমস্যার কারণে গোসল করতে চান না তারা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে অনেক উপকার পাবেন।

ঋতুস্রাবের ব্যথা কমাতেঃ মহিলাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের ঋতুস্রাবের সময় পেট ব্যথা করে এ সময় আপনারা যদি গরম পানি দিয়ে গোসল করেন তাহলে আপনাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

অকালে বুড়ো হওয়া ঠেকাতেঃ আপনারা যারা অকালে বুড়ো হওয়া থেকে বাঁচতে চান তারা নিয়মিত গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন কারণ গরম পানি আপনাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বক হতে থাকে ।

ত্বকে তারুণ্য থাকেঃ গরম পানি দিয়ে গোসল করার ফলে আপনার ত্বকে তারণ্য থাকবে। এর ফলে আপনার ত্বকে অকালে কোনরকম বার্ধক্যের ছাপ পড়বে না আপনার ত্বক থাকবে সুন্দর ও সতেজ। আপনার চেহারায় তারুণ্য থাকবে সব সময়।

ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তিঃ আপনি যদি নিয়মিত গরম পানি দিয়ে গোসল করেন তাহলে আপনার ব্রণের সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। কারণ গরম পানি দিয়ে গোসল করার ফলে আপনার ত্বক তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হয় এবং ব্রণের ঝামেলা কম হয়।

মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তিঃ আপনি যদি গরম পানি দিয়ে গোসল করেন তাহলে আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা সহজেই সমাধান হয়ে যাবে। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার ফলে আপনার রক্ত চলাচল কম হয় এ কারণে আপনার মাথা ধরা এবং মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি হয় আর যদি আপনি গরম পানি দিয়ে গোসল করেন তাহলে আপনার রক্ত চলাচল বাড়বে এবং মাইগ্রেনের সমস্যা উধাও হয়ে যাবে।

পেশিতে টান পড়া থেকে মুক্তিঃ এছাড়া শীতকালে অনেক সময় আমাদের পেশিতে , ঘাড়, কাঁধ এবং গলার পেশীতে টান পড়ে আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন তাহলে এ সকল সমস্যা থেকে সহজে কাটিয়ে উঠতে পারেন।

গরম জলে মধু খাওয়ার উপকারিতা

আমরা অনেকেই গরম জলে মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকি আর এই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করা পানীয় আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারে আসে। কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য। মধুতে আছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান যেগুলো আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী মধুতে আছে গ্লুকোজ আরো আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যেগুলো আমাদের বাহিরে সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে


থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রাচীন কাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় মধুর অনেক উপকারী তার কথা পাওয়া যায় গরম জলের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়ার ফলে আপনারা অল্প সময়ের মধ্যেই ক্যালোরি বার্ন করতে পারেন এছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে গরম জলে মধু খাওয়ার ফলে এগুলো জানা যাবে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে

হজমে সাহায্য করে থাকেঃ গরম জলের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়ার ফলে আপনাদের হজম প্রক্রিয়া আরো ভালোভাবে কাজ করতে থাকবে। কারণ মধুতে আছে এন্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা আমাদের পেটের এসিডিটি কমাতে অনেক সাহায্য করে থাকে। গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় গরম জলের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়ার ফলে।

কাশি থেকে মুক্তিঃ ২০০৭ সালের একটি গবেষণা থেকে পাওয়া যায় যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কাশি উপশমকারী হিসেবে মধু ব্যবহার করার কথা বলেছে। রাতের বেলা আমাদের কাশির মাত্রা বেড়ে যায়। শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমনের অর্থাৎ কাশি কম করতে মধু অনেক উপকারী। মধুতে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আমাদের সংক্রমনের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে এবং গলা ব্যাথার উপশম করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ মধুতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য যেগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।

ত্বকের যত্নেঃ মধু একটি প্রাকৃতিক খাবার এবং প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট অর্থাৎ এর অর্থ মধু আমাদের শরীরের আদ্রতা বজায় রাখতে অনেক কার্যকরী একটি উপাদান। এছাড়া মধু আমাদের ত্বককে হাইড্রেট এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তিঃ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এবং পেটের সমস্যা একটা বড় ধরনের সমস্যা আর এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা গরম জলের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ আপনারা যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তারা গরম জলের সাথে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন এতে করে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে। এতে আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ সহজেই দূর হয়ে যাবে।

চুল পড়ার সমস্যা সমাধানেঃ আপনাদের মধ্যে আছে চুল পড়ার সমস্যা যারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তারা গরম জলের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কারণ মধুতে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য।

শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের শরীর গরম হয়ে যায় আর এ সময় নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন পেটের সমস্যা জ্বর এবং বমি হতে পারে। কখনো বৃষ্টি হচ্ছে আবার কখনো রোদ হচ্ছে এমন সময় তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়। এরকম সময় কখনো শরীর ঠান্ডা হয়ে যায় আবার কখনো শরীর গরম হয়ে যায়। আর এ সকল সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার জন্য শরীর গরম হয়ে গেলে আমরা এই পাঁচটি খাবার খেতে পারি

ডাবের পানিঃ শরীর গরম হয়ে গেলে আমরা ডাবের পানি অথবা নারকেলের পানি খেতে পারি এতে আছে ভিটামিন ইলেকট্রোলাইটের মত উপাদান এবং খনিজ যেগুলো আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কমাতে অনেক সাহায্য করবে। এই পানি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর সুস্থ এবং সতেজ থাকবে। আপনাদের শরীর দুর্বল হয়ে গেলেও এই পানি পান করতে পারেন।

মেথি চাঃ শরীর গরম হয়ে গেলে আপনারা এক কাপ মেথি চা পান করতে পারেন এতে করে আপনাদের শরীর ঠান্ডা হবে। এইটা খাওয়ার ফলে আপনাদের শরীরে ঘাম ঝরতে পারে আর শরীর ঠান্ডা হবে।

মরিচঃ মরিচ আমরা শুধু রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি এটি আমাদের রান্নার স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে এর পাশাপাশি মরিচ আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ও অনেক সাহায্য করে থাকে। মরিচে আছে ক্যাপসাইসিন উপাদান আর এই উপাদান আমাদের শরীরকে শীতল বা ঠান্ডা রাতে অনেক উপকারে আসে। তাই এই গরমে মরিচ খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে।

অ্যালোভেরা জুসঃ আমরা ত্বকের যত্নের জন্য অ্যালোভেরা ব্যবহার করে থাকে কিন্তু আমরা আমাদের শরীর গরম হয়ে গেলে অ্যালোভেরার জুস খেতে পারি এতে করে আমাদের শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে।

গোলমরিচ এর চাঃ শরীর গরম হয়ে গেলে ঠান্ডা রাখার জন্য আমরা গোল মরিচ এবং গোলমরিচের চা বানিয়ে খেতে পারি। এতে করে আমরা মুহূর্তের মধ্যে উপকার পাব। এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে এবং আমরা অনেক উপকারিতা ও পাব।

রাতে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা

আমরা অনেকেই আছি যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানি পান করে থাকি এতে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে। আবার আমরা অনেকেই আছি যারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা কুসুম গরম পানি পান করে থাকে এতে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য। আবার অনেকেই আছে যারা রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানি পান করি না তারা মনে করেন যে রাতে পানি পান করার


ফলে বারবার বাথরুমে যেতে হবে এতে করে ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে কিন্তু এটা করা মোটেও ঠিক না। রাতে গরম পানি খাওয়ার ফলে আপনাদের ভালো ঘুম হবে এবং এটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার দিবে। তাই আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো রাতে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি

হজমের উন্নতি করেঃ আমরা যদি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম পানি পান করে থাকে তাহলে আমাদের খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে। দিনের বেলার তুলনায় রাতের বেলা আমাদের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হয়ে থাকে আর যদি আমরা রাত্রে গরম পানি পান করে থাকে তাহলে আমাদের খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে।

ওজন কমাতেঃ হালকা গরম পানি পান করার ফলে আমাদের ওজন দ্রুত কমতে পারে। আমরা অনেকেই ওজন কমানোর জন্য সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গরম পানি পান করে থাকি কিন্তু আমরা যদি রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা গরম পানি পান করি তাহলে আমাদের ওজন আরো তাড়াতাড়ি অর্থাৎ দ্বিগুণ ওজন কমে যাবে।

বিষন্নতা থেকে মুক্তিঃ আমাদের শরীরে পানির অভাব হলে বিষন্নতার সমস্যা দেখা দিতে পারে এটা অনেক গবেষণা থেকে জানা যায়। এটি আমাদের ঘুমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটার জন্য আমরা যদি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক ক্লাস হালকা কুসুম গরম পানি পান করি তাহলে আমাদের শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় থাকবে ও আমাদের মেজাজ ভালো থাকবে।

শরীর থেকে টক্সিন বের করতেঃ আমরা যদি হালকা গরম পানি পান করি তাহলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে পারে যার ফলে আমাদের শরীরে ঘামের পরিমাণ বেড়ে যাবে। আর এই ঘাম আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে এবং আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত বা টক্সিন জাতীয় পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই আমাদের সকলের উচিত রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হালকা গরম পানি পান করা।

মোবাইল চার্জ দিলে গরম হয় কেন

এখন আমাদের সকলের হাতে মোবাইল ফোন আছে এটার আমরা অনেক ব্যবহার করে থাকি এখন বর্তমান যুগে আবার অনেকেই আছে এটার খারাপ দিকটা ব্যবহার করে থাকে। মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার সময় গরম হয়ে যায় এটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু যদি অতিরিক্ত বেশি গরম হয়ে যায় তবে মোবাইলের ব্যাটারি এবং মোবাইলের অন্যান্য হার্ডওয়ারের ক্ষতি হতে পারে। অনেক সময় এটা অনেক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মোবাইল চার্জ দিলে গরম হয় কেন এর কারণগুলো হলো

মোবাইল ব্যবহার করার ফলেঃ মোবাইল চার্জে থাকা অবস্থায় যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয় তাহলে এর ব্যাটারি বেশি পরিমাণে গরম হয়ে যাবে।

অতিরিক্ত চার্জঃ মোবাইল চার্জে দেওয়ার পরে চার্জ হয়ে যাওয়ার পরেও অনেক সময় ধরে চার্জে থাকলে মোবাইল গরম হয়ে যাবে। এবং এর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে এতে করে মোবাইল গরম হয়ে যায়।

চার্জারঃ আপনি যদি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টার্বো চার্জার আপনার মোবাইল ফোন চার্জের জন্য ব্যবহার করে থাকেন এবং সেই চার্জার যদি আপনার মোবাইল ফোনের সাথে সাপোর্ট না করে তাহলে আপনার মোবাইল অধিক পরিমাণে গরম হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ফোনের চার্জারটি ব্যবহার করতে হবে অন্যের চার্জার ব্যবহার করা যাবে না।

প্রসেসরঃ মিডিয়াটেক কোম্পানির প্রসেসর অন্যান্য কোম্পানির প্রসেসর এর তুলনায় বিদ্যুৎ খরচটা বেশি করে থাকে ফলে এটা বেশি তাড়াতাড়ি গরম হয়। আর যদি আপনার মোবাইল ফোন মিডিয়াটেক কোম্পানির হয় তাহলে আপনার মোবাইল কিছুটা গরম হতে পারে।

মোবাইল ব্লুটুথঃ আপনি যদি আপনার মোবাইল ফোনের ব্লুটুথ সব সময় চালু রাখেন তাহলে আপনার ব্যাটারি বেশি খরচ হবে ও মোবাইল ফোনও গরম হয়ে যাবে। আবার নেটওয়ার্কের কোন সমস্যা থাকলে মোবাইল তাড়াতাড়ি গরম হতে পারে। এজন্য আপনার মোবাইল চার্জে দেওয়ার সময় এয়ারপ্লেন মোড দিয়ে চার্জে দিতে পারেন।

অভ্যন্তরীণ শর্ট-সার্কিটঃ যদি আপনার মোবাইল ফোন চার্জে দেওয়ার পরে শর্ট সার্কিট হয় বাট পানি ঢুকে যায় তাহলে আপনার মোবাইল চার্জে দেওয়ার পরে তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যেতে পারে বা শর্ট সার্কিট হয়ে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বেড বা সোফায় রেখে চার্জে দেওয়াঃ আপনি যদি বেড বা সোফায় রেখে মোবাইল চার্জে দিয়ে থাকেন তাহলে এসময় তাপের অপচয় হবে কবে এবং এর ফলে মোবাইলে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। এরকম অবস্থায় চার্জে দেওয়ার ফলে আপনার মোবাইল তাড়াতাড়ি গরম হতে পারে।

গরম পরিবেশে চার্জ দেওয়াঃ গরম পরিবেশের মধ্যে মোবাইল ফোন চার্জে দেওয়ার ফলে আপনার মোবাইল ফোনে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে এবং মোবাইল ফোন তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যাবে।

লেখকের মন্তব্য

ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে আজকে আপনাদের জন্য রাতে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা এবং গরম পানি দিয়ে গোসল করার উপকারিতা সম্পর্কে অনেক সত্য তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছে। যেগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হতে পারবেন এবং অনেক সত্য তথ্য জানতে পারবেন। তাই এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে আপনারা অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন আপনাদের পরিচিতদের মাঝে এছাড়াও নতুন তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন প্রতিদিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url