জলবায়ু পরিবর্তনের চারটি মানবসৃষ্ট কারণ জানুন

আসসালামু আলাইকুম, আজকে এই পোস্টটিতে আমি জলবায়ু পরিবর্তনের চারটি মানব সৃষ্ট কারণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মানবসৃষ্ট কারণ ছাড়াও আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন কাকে বলে জলবায়ু পরিবর্তন এর কারণ এবং ফলাফল এ সকল বিষয়ে অনেক তথ্য আলোচনা করব। এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য জানার জন্য আপনারা সবাই এই পোস্টটি পড়ুন।
জলবায়ু পরিবর্তনের চারটি মানবসৃষ্ট কারণ জেনে নিন
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন কাকে বলে কিসের জন্য আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তিত হয় জলবায়ু পরিবর্তনের চারটি মানব সৃষ্ট কারণ জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাব কেমন হয় ইত্যাদি এর সকল বিষয়ে অনেক তথ্য আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টটিতে। জলবায়ু পরিবর্তন এর জন্য মানুষ দায়ী কারণ বেশি করে বনাঞ্চল ধ্বংস করছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার করছে এর জন্য নানা রকম সমস্যা হচ্ছে এ সকল বিষয়ে পড়ে আপনারা সঠিক তথ্য জানার মাধ্যমে উপকৃত হবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভূমিকা

আবহাওয়া ও জলবায়ু দুটি একে অপরের সাথে জড়িত আবহাওয়া হল কোন নির্দিষ্ট জায়গার অল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলের অবস্থা এবং জলবায়ু হল কোন নির্দিষ্ট এলাকার ২০ থেকে ৩০ বছরের আবহাওয়ার কর অনুপাত। আবহাওয়া কয়েকটি নিয়ামক এর ওপর নির্ভর করে এবং জলবায়ু ও কয়েকটি নিয়ামক এর ওপর নির্ভর করে থাকে। বায়ুর আদ্রতা তাপমাত্রা চাপ বায়ুপ্রবাহ এবং বৃষ্টিপাতের পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া পরিবর্তিত হয়। আবহাওয়া পরিবর্তন এর প্রধান একটি কারণ হচ্ছে বায়ুপ্রবাহ।


সূর্য সব জায়গায় সমান ভাবে তাপ দিতে পারে না কোন জায়গায় বেশি আবার কোন জায়গায় কম এটা বায়ুপ্রবাহের জন্য হয়ে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তিত হয় বাতাসের তাপমাত্রা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বায়ুচাপ পরিবর্তিত হলে সৌরশক্তি বিকিরণের ফলে এগুলোর পরিবর্তিত হলে জলবায়ু পরিবর্তিত হয়। এ জলবায়ু পরিবর্তন এর কারণে আমাদের অনেক সমস্যা হতে পারে এবং পরিবেশের ও অনেক সমস্যা হয় আর এই সমস্যা গুলি মানুষ সৃষ্টি করে। মানুষের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন টা এখন।

বেশি লক্ষ্য করা যায় কারণ মানুষ বেশি বেশি করে বনাঞ্চল ধ্বংস করছে গ্রীন হাউজের কারণ এর জন্য মানুষ দায়ী। মানুষ বেশি বেশি করে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করছে এবং কলকারখানা ও শিল্প কলকারখানায় এবং যানবাহনে কালো ধোয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে এর জন্য মানুষের খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে।

আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন কাকে বলে

আবহাওয়া হলো কোন একটি নির্দিষ্ট জায়গার অল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলের অবস্থা। আবহাওয়ার কয়েকটি উপাদান আছে সেগুলো হল তাপ চাপ বায়ুপ্রবাহ আদ্রতা এবং বৃষ্টিপাত আর এই উপাদান গুলোর পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে বায়ুমন্ডলের অবস্থার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এই উপাদান গুলোর গড় পরিবর্তন এর পর্যবেক্ষণ করে আগাম ধারণা দেওয়া হয় আবহাওয়া সম্পর্কে। কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানের দীর্ঘমেয়াদী সময় ধরে বায়ুপ্রবাহ তাপ আদ্রতা এবং বৃষ্টিপাতের যে পরিবর্তন


লক্ষ্য করা যায় তাকে আবহাওয়া পরিবর্তন বলা হয়।আর জলবায়ু হচ্ছে কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকা বা স্থানের বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা অর্থাৎ ২০ থেকে ৩০ বছরের আবহাওয়ার গড় অনুপাতকে জলবায়ু বলে এবং আবহাওয়ার এই ধরন পরিবর্তিত হয়ে অর্থাৎ বদলে গিয়ে নতুন রূপ ধারণ করাকে বলা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। আর এ পরিবর্তন বিভিন্ন কারণে হতে পারে আগ্নেয়গিরির অগ্ন উৎপাত এর ফলে সৌরশক্তি বিকিরণের ফলে জৈব প্রক্রিয়া সমূহ ইত্যাদি এগুলোর পরিবর্তন হলে

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাতাস এবং বায়ুচাপ পরিবর্তিত হয়ে যায় গ্রীন হাউস ইফেক্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ। বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড মিথেন নাইট্রোজেন এবং আরো অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই গ্যাস গুলো বায়ুমণ্ডল কে উত্তপ্ত করে ফলে বরফ গলা শুরু হচ্ছে এবং সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে পৃথিবীতে। গাছ কাটা জলবায়ু পরিবর্তন এর আরেকটি কারণ যার জন্য বায়ুতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে ।

আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণ ও ফলাফল

আবহাওয়া পরিবর্তন এর প্রধান কারণ হলো বায়ুপ্রবাহ এছাড়াও বৃষ্টিপাত তাপ চাপ চাপ এবং আদ্রতা এর পরিবর্তন হলেও আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বায়ু প্রবাহ বড় একটি অঞ্চল বা স্থান জুড়ে পরিবর্তিত হয়। এই বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে আমাদের পৃথিবী পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয় বা গরম হয়। আর এই পৃথিবী পৃষ্ঠ গরম হয় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম কোন জায়গায় বেশি গরম হয় আবার কোন জায়গায় কম গরম হয় অর্থাৎ সূর্যের তাপ পৃথিবীতে সব জায়গায় সমান ভাবে পড়ে না।


বায়ু সবসময় উষ্ণ স্থানের দিক হতে শীতল তম স্থানের দিকে প্রবাহিত হয়ে যায়। এজন্য বায়ুপ্রবাহের তারতম্য ঘটে এবং এটা বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রকম হয়। এই বায়ুপ্রবাহের মাত্রা যখন কম থাকে তখন দখিনা বাতাস বয় আর যখন এর মাত্রা বেশি হয় তখন বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। বায়ু সব সময় প্রবাহিত হয় উচ্চচাপীয় থেকে নিম্নচাপীয় অঞ্চলের দিকে এটা বায়ুর ধর্ম। আবহাওয়া পরিবর্তন এর ফলাফল অর্থাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে আমাদের পৃথিবীতে

নানা রকম সমস্যা হচ্ছে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে যার ফলে সমুদ্রে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে মেরুর বরফ গলা শুরু হচ্ছে বেশি বেশি দেখা দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলসার বন্যা খরা ইত্যাদি দুর্যোগ। দেখা দিচ্ছে অতি বৃষ্টি অনাবৃষ্টি এবং পৃথিবীতে মানুষের খাদ্য উৎপাদন এ ব্যাঘাত ঘটছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের মানবসৃষ্ট কারণ

এখন জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে মানব সৃষ্ট কারণেই বেশি পরিমাণে কারণ মানুষ এখন বেশি বেশি করে বৃক্ষ নিধন করছে শিল্প কলকার খানা তৈরি করছে বেশি বেশি করে নদী নালা ভরাট করে দিচ্ছে যার ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে তাপমাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে। বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে এর ফলে তাপমাত্রা বাড়ছে আবার অতিরিক্ত হারে শিল্পায়ন করার ফলে কল কারখানার কালো ধোঁয়া বাতাসে মিশে বাতাস দূষিত হচ্ছে এবং তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে


যার ফলে অসময়ে বৃষ্টি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং মেরুতে বরফ গলা শুরু হচ্ছে যার ফলে সমুদ্রে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে নিম্ন অঞ্চলগুলি প্লাবিত হচ্ছে। পৃথিবীর কোন স্থানের ২৫ থেকে ৩০ বছরের যে আবহাওয়ার গড়পরতা দেখা যায় এই অবস্থাকে সেই স্থানের জলবায়ু বলে। এ জলবায়ুর পরিবর্তন প্রাকৃতিক কারণেও হয়ে থাকে কিন্তু মূলত মানুষ সৃষ্ট কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন দ্রুত হচ্ছে। মানুষ বেশি বেশি পরিমাণে কয়লা পোড়ানো যানবাহন থেকে এবং কলকারখানা থেকে গ্যাস নির্গত হচ্ছে

যার ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রীন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে যেমন কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বায়ুতে তেমনি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপক হারে এতে করে বায়ুমণ্ডলের যে ভারসাম্য আছে সেটা নষ্ট হচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এই গ্রিনহাউস গ্যাসের হলে আমাদের পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে জলবায়ুর যে পরিবর্তন হচ্ছে এটি মূলত মানব সৃষ্ট কারণেই হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের বাংলাদেশ সবচাইতে বেশি ঝুঁকিতে আছে অন্য দেশের তুলনায়।

জলবায়ুর এই পরিবর্তন কমাতে হলে আমাদের বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে শিল্প কলকারখানা এবং যানবাহনের কালো ধোয়ার পরিমাণ কমাতে হবে তবে আমাদের এই দেশ এবং পরিবেশ রক্ষা পাবে।

আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রধান কারণ কি

আবহাওয়া হল কোন স্থানের বা জায়গার বাতাসের উষ্ণতা তাপ চাপ আদ্রতা বৃষ্টি মেঘ বায়ুপ্রবাহ এবং জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ইত্যাদির দৈনন্দিন বা প্রতিদিনের অবস্থাকে সেই স্থানের বা জায়গার আবহাওয়া বলা হয়। আবহাওয়া পরিবর্তনের কয়েকটি নিয়ামক আছে সেগুলো হল তাপমাত্রা বায়ুর চাপ বায়ুপ্রবাহ এবং বায়ুর আদ্রতা এগুলোর পরিবর্তন হলে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রধান কারণ বায়ুপ্রবাহ। এই বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে আমাদের পৃথিবীপৃষ্ঠ উত্ত উত্তপ্ত হয়।

আমাদের এই পৃথিবীতে সূর্য সবসময় সব দিকে একইভাবে তাপ দিতে পারেনা একেক জায়গায় একেক রকম তাপ হয় কোন জায়গায় সূর্য তির্যক ভাবে সূর্যের তাপ পরে আবার কোন জায়গায় একটু কম উত্তপ্ত হয়। আর এই বায়ু বেশি উষ্ণস্থানের দিক থেকে শীতল স্থানের দিকে বায়ুপ্রবাহিত হয়। এই বায়ু প্রবাহের মাত্রা যখন বেশি হয় স্থল ভাগে তখন স্থল ভাগে ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস তৈরি হয় জল ভাগে। বায়ু প্রবাহিত হয় সবসময় নিম্নচাপীয় অঞ্চলের দিকে উচ্চচাপীয় অঞ্চলের দিক থেকে।

জলবায়ু পরিবর্তনের চারটি মানবসৃষ্ট কারণ জেনে নিন

জলবায়ু পরিবর্তন প্রাকৃতিক কারণে হয়ে থাকে আবার মানব সৃষ্ট কারণে হয়ে থাকে কিন্তু বর্তমানে মানব সৃষ্ট কারণেই জলবায়ুর পরিবর্তন তা বেশি পরিমাণে হচ্ছে। আর এই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের মানব সমাজের অনেক অসুবিধা হচ্ছে গোটা পৃথিবীর সমস্যা হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ সবচাইতে বেশি ঝুঁকির মুখে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চারটি মানব সৃষ্ট কারণ সম্পর্কে আপনাদের বলব।

গ্রিনহাউস ইফেক্টঃ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ গ্রীন হাউস ইফেক্ট এর ফলে বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড এর পরিমাণ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে ওজোন স্তর ক্ষতি হচ্ছে যার ফলে বিভিন্ন রাসায়নিক বিষাক্ত গ্যাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করে নানা ধরনের অসুখের সম্মুখীন হচ্ছে আমরা। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ত্বকের ক্যান্সার এলার্জিজনিত সহ নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। এর ফলে আবার বায়ুর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।

বৃক্ষ নিধন করাঃ জলবায়ু পরিবর্তনের আরেকটি মানব সৃষ্ট কারণ হচ্ছে বৃক্ষ নিধন করা। এখন মানুষ বেশি বেশি করে বৃক্ষ নিধন করছে বনাঞ্চল ধ্বংস করছে যার ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বায়ুতে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হচ্ছে এবং এর ফল শোরুপ মেরুতে বরফ গলা শুরু হচ্ছে এবং নিম্ন ভূমি অঞ্চল গুলো প্লাবিত হচ্ছে। অসময়ে বৃষ্টি ,বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়ও জলোচ্ছ্বাস দেখা দিচ্ছে।

শিল্পকল কারখানা এবং যানবাহনের কালো ধোঁয়াঃ বর্তমান সময়ে মানুষ এখন বেশি বেশি করে শিল্প কর্কারখানা তৈরি করছে এবং যানবাহন ব্যবহার করছে যার ফলে এই কলকারখানা এবং যানবাহন থেকে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। এর ফলে আমাদের ভূপৃষ্ঠের  তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। মানুষ এখন অতিরিক্ত পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করছে যার ফলে নানাভাবে আমাদের এ পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং বায়ু দূষিত হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।

নদ নদী ভরাট করার জন্যঃ মানুষ এখন নদের নদী খাল বিল ভরাট করে দিচ্ছে এবং ছোট ছোট পুকুর খনন করছে আর এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে আমাদের এ পৃথিবী ধীরে ধীরে ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে। মানুষ এখন ফসল চাষ করার জন্য ফসলি জমিতে অতিরিক্ত পরিমাণে কীটনাশক সার এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার করছে এগুলো পরিবেশের ক্ষতি করছে এবং জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কেমন হয়

জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাবে আমাদের অনেক সমস্যা হতে পারে আমাদের এ পৃথিবী ধ্বংসের মুখে যেতে পারে খাদ্য অভাব প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাওয়া পানির অভাব এছাড়াও আরো নানারকম সমস্যা হতে পারে আমাদের পরিবেশের উপর এবং পরিবেশের মানুষের ওপর। পরিবর্তন এর প্রভাব কেমন হবে নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

বৃষ্টিপাত কম হওয়াঃ জলবায়ু পরিবর্তন এর ফলে বৃষ্টিপাত কম হবে অসময়ে বৃষ্টি হবে বন্যা হবে। যখন বৃষ্টির প্রয়োজন ফসল চাষ করার জন্য তখন না হয়ে অসময়ে বৃষ্টি হবে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হবে। পানির অভাবে ফসল চাষ করা সম্ভব হবে না এবং মাটিতে ফাটল দেখা দিবে এতে করে খাদ্য অভাব দেখা দিবে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবেঃ জলবায়ু পরিবর্তন এর কারনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে যার ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হবে বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাবে বাতাস গরম হবে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে পানির বাষ্পীভবন বেড়ে যাবে ও জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বাতাসে। এর ফলে শীতকালে বেশি তাপমাত্রা কমবে এবং গরমের সময় তাপমাত্রা বেশি হবে।

লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাবেঃ বৃষ্টিপাত কম হওয়ার জন্য নদী-নালা খাল দিলে পানির চাপ কম হবে এবং যার ফলে সমুদ্রের নোনা পানি স্থলভাগের কাছাকাছি চলে আসবে এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত পানি পরিমাণ বেড়ে যাবে।

মরুকরণ দেখা দিবেঃ বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে মরুকরণ দেখা দিবে এর ফলে ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ বা স্তর নিচে নেমে যাবে খরা দেখা দিবে এবং মানুষের খাদ্য পানির অভাব দেখা দিবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাবেঃ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিবে। অসময়ে বৃষ্টি হবে, বন্যা হবে, খরা হবে ,ঘূর্ণিঝড় ,জলোচ্ছ্বাস ,নদী ভাঙ্গন ,পাহাড় এবং ভূমিধস দেখা দিবে। ভূমিকম্প হবে এবং শিলা বৃষ্টি হবে।

সুপেয় পানির অভাবঃ যখন বৃষ্টিপাত কম হবে তখন ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আরো নিচে নেমে যাবে যার ফলে মানুষের খাবার পানির অভাব হবে। মানুষের ফসল চাষ বাস করতে সমস্যা হবে এর ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিবে।

সমুদ্র স্তরের পানির উচ্চতা বৃদ্ধিঃ সমুদ্র স্থানের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য আশঙ্কায় আছে বাংলাদেশ এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ডুবে যাওয়া সম্ভাবনা আছে।

প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ কমে যাচ্ছেঃ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর ফলে মৎস্য সম্পদ, বন্য জীবজন্তুর সংখ্যা কমে যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ধ্বংসের মুখে, এর ফলে বিভিন্ন পাখির অভয়ারণ্য ক্ষতি হচ্ছে এবং বিভিন্ন হাওর বাওর চলনবিল ও নদী-নালা খাল বিলের থাকা মাছের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।

কৃষিভিত্তিক উৎপাদন হ্রাসঃ জলবায়ু পরিবর্তন এর ফলে কৃষি ভিত্তিক উৎপাদন হ্রাস হচ্ছে এর ফলে ফসল চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না সেচের জন্য পানির অভাব দেখা দিচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য লবণাক্ত পানি জমিতে চলে আসছে যার জন্য ফসল চাষ করা সমস্যা হচ্ছে। মানুষের খাদ্য সমস্যা হচ্ছে, জীবিকার সমস্যা হচ্ছে, সময় মত জমিতে বীজ বপন করা যাচ্ছে না এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে মানুষ। খাদ্য সংকট দেখা দিলে মানুষের পুষ্টি চাহিদা মিটবে না এর ফলে মানুষ অসুস্থ হবে।

বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের তিনটি কারণ

বৃক্ষ নিধন করাঃ বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন এর কারণ হচ্ছে বৃক্ষ নিধন করা বা বনা অঞ্চল ধ্বংস করা। বেশি পরিমাণে গাছ কেটে ফেলছে যার ফলে বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড এর পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে বায়ুর আদ্রতা  বায়ুর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে এবং উত্তপ্ত হচ্ছে পৃথিবীপৃষ্ঠ। এর ফলে বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে, অসময়ে বৃষ্টি ,বন্যা ,খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ,পাহাড় ধ্বস ,ভূমিকম্প ও শিলা বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে মরুকরণ হচ্ছে এবং ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ নিচে নেমে যাচ্ছে সুপেয় পানির অভাব দেখা দিচ্ছে।

গ্রীন হাউস ইফেক্টঃ মানব সৃষ্ট গ্রীন হাউস ইফেক্ট এর কারণে ও বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড এর পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে এর ফলে বিভিন্ন বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে সূর্যের ইউভি রশ্মি আমাদের ত্বকে প্রবেশ করে ত্বকের ক্যান্সার এলার্জিজনিত সমস্যা শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য অনেক সমস্যা হচ্ছে। সূর্য খাড়াভাবে চাপ দিচ্ছে এর ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হচ্ছে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।

কলকারখানা এবং যানবাহনের কালো ধোঁয়াঃ কলকারখানা এবং যানবাহনের শিল্পকলকারখানার কালো ধোয়ার জন্য পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বাতাস দূষিত হচ্ছে এবং এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এই সকল কারখানার এবং যানবাহনের কালো ধোয়া বাতাসের সাথে মিশে আমাদের নানা ধরনের অসুখের সৃষ্টি করছে। মানুষ এখন বেশি পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করছে কয়লা ব্যবহার করছে যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।

নদী ভরাট এবং জমিতে অতিরিক্ত পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে এর ফলে বিভিন্ন মৎস্য প্রাণীর অভাব দেখা দিচ্ছে। খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে এবং আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে কৃষিভিত্তিক উৎপাদন এর পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। মাটির গুনাগুন নষ্ট হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য লবণাক্ততা পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার জন্য আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে এবং উৎপাদন ও কম হচ্ছে।

লেখক এর মন্তব্য

ম্যাক্সিমো ইনফো  এখানে জলবায়ু পরিবর্তনের চারটি মানব সৃষ্ট কারণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মানব সৃষ্ট কারণ ও জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাব কেমন হয় আবহাওয়া ও জলবায়ু কাকে বলে এবং এর পরিবর্তনের কারণ এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক বিস্তারিত তথ্য আলোচনার মাধ্যমে এখানে তুলে ধরেছে। এগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং অন্য কেউ উপকৃত করতে পারবেন তাই দয়া করে এই পোস্টটি সবাই শেয়ার করে দিবেন কেমন হয়েছে কমেন্টে জানাবেন ভালো থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url