গরমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি আপনাদের গরমে
ত্বকের
শুষ্কতা দূর করার উপায় এবং গরম পানিতে
লেবু খাওয়ার
অপকারিতা ছাড়াও পায়ের তালু গরম হওয়া এবং জ্বালা পোড়া করে কেন ইত্যাদি আরো
কয়েকটি বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেব যেগুলো পড়ে আপনারা অনেক সঠিক তথ্য
জানতে পারবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
আমরা গরমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য ঘরোয়া ভাবে অনেকে অনেক রকম জিনিস
ব্যবহার করে থাকি। এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন এছাড়াও
গরম পানিতে লেবু খাওয়ার অপকারিতা, গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ ,পায়ের তালু
গরম হওয়া এবং জ্বালাপোড়া করে কেন ইত্যাদি অনেক কয়েকটি বিষয়ে অনেক
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন এবং অনেক উপকৃত হবেন। এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য
জানার জন্য তাই এই পোস্টটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
আমরা গরমের কারণে ত্বকের একটু বেশি যত্ন করে থাকি যাতে করে আমাদের ত্বক শুষ্ক না
হয়ে যায় এবং আদ্রতা না হারিয়ে ফেলে। এজন্য আমরা ঘরোয়া ভাবে বিভিন্ন রকমের
পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি এবং অনেক ভালো ফল ও পায়। গরমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার
জন্য আমরা বেশি বেশি পানি পান করব এবং যাতে করে আমাদের ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে
এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে না যায়। আমাদের শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে আমাদের শরীর
ডিহাইড্রেশনের মধ্যে পড়ে যায় । এই শুষ্কতা দূর করার জন্য আমরা ঠান্ডা পানি
ব্যবহার
করবো এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করব। বাহিরের রোদে বের হওয়ার সময় মুখ ঢেকে
রাখবো এবং যে সকল খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর হাইড্রেট হয় সে সকল খাবার খাব।
আবার আমরা অনেকে গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খেয়ে থাকি এটা আমাদের স্বাস্থ্যের
জন্য যেমন উপকার তেমনি এটার অনেক অপকারিতা আছে। গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে
খাওয়ার ফলে আমাদের এসিডিটি, বমি হওয়া ও ক্ষুধামন্দা যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা
দিতে পারে।
পায়ের তালু গরম হওয়া এবং জ্বালাপোড়া করে কেন
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের হাতে পায়ের তালু গরম হয় এবং জ্বালাপোড়া করে। এই
সমস্যাটা রাতে বিছানায় যাওয়ার পরে আরো বেশি হয় এবং শীতের সময় অনেকেই হাত ও পা
কম্বল এবং লেপের মধ্যে রাখতে পারেনা এজন্য তাদের বাহিরে রাখতে হয়। তবে গরমের
সময় এই সমস্যাটা অনেকেরই বেড়ে যায়। অনেকের মনে হয় যেন হাতে পায়ের তালু
মরিচের মতো জ্বলছে এবং কোন কোন সময় ঝিমঝিম করে এবং অবশ হয়ে যায়। এটা একটি
বিরক্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি।
এই সমস্যাটা হয় অনেকের বিভিন্ন কারণে বিশেষ করে মানসিক বিপর্যয়ের কারণে, হাতে
পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে এছাড়াও আরো অনেক কারণে হাতে পায়ে তালু গরম হতে
পারে এবং জ্বালাপোড়া হতে পারে। আজকে আমি আপনাদের পায়ের তালু গরম হওয়া এবং
জ্বালা পোড়া করে কেন এ বিষয়ে জানাবো যারা জানেন না তারা আজকে আমার এই পোষ্টের
মাধ্যমে জানতে পারবেন। তাহলে আসুন জানা যাক এর কারণগুলো
- স্নায়ুজনিত কারণে এরকম সমস্যা হতে পারে অর্থাৎ আক্রান্ত অংশটার স্নায়ুর ওপরে চাপ লাগার কারণে এরকম হতে পারে।
- হরমোনজনিত কারণে ও এরকম হতে পারে অর্থাৎ মহিলাদের মেনোপোজ এর পরবর্তী সময়টাই হরমোনের তারতম্য ঘটে থাকে আর তখন এই সমস্যাটা দেখা দিতে পারে।
- হাতে পায়ে ছত্রাক সংক্রমণের কারণেও এরকম হতে পারে।
- হাতে পায়ের রক্ত চলাচলের কোন সমস্যা হলে।
- আপনি যদি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপে থাকেন তাহলে আপনার এই সমস্যাটা বেড়ে যেতে পারে।
- আপনি যদি পানি কম পরিমাণে পান করে থাকেন তাহলে আপনার শরীর কষা হয়ে যাবে এবং এতে করে আপনার হাত পা জ্বালাপোড়া করবে।
- আপনার শরীরে ভিটামিন বা মিনারেলের অভাব হলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যথা ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি থায়ামিন পাইরিডক্সিন ইত্যাদির অভাব হলে আপনার হাতে পায়ের তালুতে জ্বালা হতে পারে।
- যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদেরও এই সমস্যাটা হতে পারে। অনেকদিন ধরে ডায়াবেটিস রোগ আছে যাদের এবং যারা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে না তাদের ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি দেখা যেতে পারে।
হাতে গরম পানি পড়লে করণীয়
আমরা অনেকেই রান্না করার সময় ও সাবধানতা বসত আমাদের হাতে বা গায়ে
গরম পানি
পড়ে যায় তখন আমাদের কি করা উচিত এ সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। আজকে আমি
আপনাদের এ বিষয়ে জানাবো। প্রথমত হাতে বা শরীরের যেকোনো জায়গায় গরম পানি পড়লে
জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য গরম পানি যেখানে পড়েছে সেই জায়গায় ঠান্ডা পানি ঢালতে
হবে। কারণ গরম পানি পড়ার পরে সেই জায়গার ভেতরের দিকটা পুড়তে থাকে আর পানি
ঢালার কারণে
আর সেই জায়গাটা সহজে পুড়তে পারে না। তারপরে জ্বালা কমে গেলে পানি থেকে সরিয়ে
আনার পরে খাবার লবণ দিয়ে দিতে হবে যাতে করে সেই জায়গায় ফোসকার না পরে। আর যদি
ফোসকা পড়ে তাহলে খেয়াল রাখতে হবে যেন সেই ফোসকাটা গলে বা ফুটো হয়ে না যায়
কারণ ফোসকার ভেতরে যে পানি থাকে সেটা হচ্ছে একটা মেডিসিন আল্লাহ প্রদত্ত। সেই
পানি থাকার কারণে জায়গাটা তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে থাকে। এজন্য আমরা আরো অনেকগুলো
কাজ করতে পারি যেমন
- গরম পানি পড়ার কারণে ক্ষতস্থানে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে ১৫ মিনিট ফোসকা পড়ার ঝুঁকি কমানোর জন্য।
- পোড়া জায়গায় কিছুটা মিন্ট ফ্লেভারের টুথপেস্ট লাগানো যেতে পারে এতে করে রোগী আরাম পাবে এবং চামড়া সুরক্ষিত থাকবে।
- পোড়া জায়গায় এলোভেরার জেল লাগানো যেতে পারে। এতে করে শীতল অনুভূতি হবে এবং জ্বালা কমবে।
- ভিনেগারের সাথে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে পোড়া স্থানটি ধুয়ে নিতে পারেন এটি এন্টিসেপটিক এর কাজ করবে।
- ক্ষতস্থানে আদার রস করে তারপরে সেটা লাগানো যেতে পারে এতে করে জ্বালা কমে যাবে।
- মধু ব্যবহার করা যেতে পারে ইনফেকশনের ঝুঁকি কমানোর জন্য।
- ক্ষতস্থানে আপনি কয়েকটি ভেজানো টি ব্যাগ ধরে রাখতে পারেন কারণ চা পাতায় রয়েছে ট্যানিক অ্যাসিড আর এই উপাদানটি ত্বককে শীতল করে থাকে।
এই ঘরোয়া উপাদানগুলো ব্যবহার আমরা শুধু অল্প পুড়ে গেলে ব্যবহার করতে পারি
কিন্তু যদি বেশি পরিমাণে পুড়ে যায় তাহলে রোগীকে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিয়ে
যেতে হবে এবং চিকিৎসা দিতে হবে। তা না হলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। এজন্য
বিশেষ করে মহিলারা রান্না করার সময় তাদের পরনের পোশাক এবং চুলগুলো ভালোভাবে আটকে
নেবেন।
গরমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়
গরমে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে এর কারণ হচ্ছে আমরা হয়তো কম পরিমাণে পানি পান
করে থাকি। আমরা যদি কম পরিমাণে পানি পান করে থাকে তাহলে আমাদের ত্বক ডিহাইড্রেট
হয়ে যাবে যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে ও আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলবে। অনেক
সময় খাবারের কারণে এবং কিছু জিনিস আছে যেগুলো ব্যবহারের ফলে ত্বকের আর্দ্রতা
হারিয়ে যায় এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এর জন্য আমরা ঘরোয়া ভাবে এর প্রতিকার
করতে পারি। আপনার ত্বক যদি
গরমে
শুষ্ক হয়ে যায় এটা থেকে মুক্তির উপায়
পানি পান করা বেশি করেঃ গরমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় এর মধ্যে
হচ্ছে বেশি করে পানি পান করা। এর ফলে আপনাদের ত্বক হাইটেক থাকবে এবং ত্বকের
আদ্রতা বজায় থাকবে। বেশি করে পানি পান না করার ফলে আপনার শরীর পানিশূন্য হয়ে
পড়ার কারণে আপনার ত্বক ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
ঠান্ডা পানি ব্যবহারঃ অনেকেই আছেন গরম পানি দিয়ে গোসল করেন ত্বকের ছিদ্র
খোলার জন্য অথবা আপনার ত্বক পরিষ্কার করার জন্য কিন্তু এর ফলে আপনার টক শুষ্ক
হয়ে যেতে পারে। আপনি এর বদলে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে গোসল করতে পারেন এতে করে
আপনার শরীরের পানি শূন্যতা দূর হবে এবং আপনার চুলকানি এবং ত্বকের শুষ্কতাও দূর
হবে।
হালকা ফেসওয়াশঃ গরমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য আপনারা হালকা ফেসওয়াশ
ব্যবহার করতে পারেন যেগুলোতে রাসায়নিক পদার্থ নেই। যে সকল ফেসওয়াশের রাসায়নিক
পদার্থ থাকে সেগুলো আপনার ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। এর জন্য আপনারা পেঁপের মতো ফলের
এনজাইম গুলোর সন্ধান করবেন এবং সেই ফেসওয়াশে প্যারাবেন এর মত ক্ষতিকারক পদার্থ
নেই।
অনাবৃত ত্বক ঢেকে রাখাঃ আপনারা যখন বাহিরে রোদে বের হবেন তখন আপনারা
আপনাদের মুখ ঢেকে রাখতে পারেন এবং সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন । আপনার ত্বক ঢেকে
রাখার কারণেও আপনি আপনার ত্বকের শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। মোটা কাপড়
ব্যবহার করে আপনি ঢেকে রাখতে পারেন আপনার মুখ যাতে করে সূর্যের আলো তাপ এবং রোদ
আপনার ত্বকে না পৌঁছাতে পারে।
খাদ্যের প্রতি যত্নঃ গরমের সময় আপনি এমন খাবার খান যেগুলো খাবার ফলে
আপনার শরীর ও ত্বক হাইড্রেট থাকে এর জন্য আপনি আপনার খাবারের মিষ্টি আলু নারকেলের
পানি শুকনো ফল শসা এবং চর্বিযুক্ত মাছ রাখতে পারেন। এই খাবারগুলো থেকে আপনি
পোস্টটি পাবেন সেই সাথে সাথে আপনার শরীর পর্যাপ্ত হাইড্রেশন থাকবে।
হিউমিডিফায়ার ব্যবহারঃ এয়ারকন্ডিশনার আপনার ত্বককে শুষ্ক করে ফেলতে পারে
এটা আপনার ত্বকে আদ্রতা শোষণ করে ফেলে যার ফলে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে
আর তাই এজন্য আপনারা হিউমিটি ফায়ার ব্যবহার করতে পারেন বাড়িতে। এটা ব্যবহার
করার ফলে আপনার ত্বকের আর্দ্রতার পরিমাণ বজায় থাকবে এবং আপনার ত্বক শুষ্ক হবে
না।
গরম পানিতে লেবু খাওয়ার অপকারিতা
আমরা অনেকেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে ওজন কমানোর জন্য এবং দাঁত ও চুল ভালো রাখার
জন্য এছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা পাওয়ার জন্য গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে
পান করে থাকি। লেবুতে আছে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যেগুলো আমাদের
শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এবং প্রয়োজনীয় কিন্তু এর অনেক ক্ষতিকর
অপকারিতা আছে। গরম পানির সাথে লেবু খাওয়ার ফলে আপনাদের এসিডিটি, বমি এবং
ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। গবেষণা থেকে জানা যায় যে
আমরা যখন ঘুম থেকে উঠি তখন আমাদের দেহের বিষাক্ত পদার্থ থেকে পরিত্রাণ এবং
কোষগুলোকে পুনরায় জীবিত করার জন্য হাইড্রেশন এর প্রয়োজন হয়। আর এজন্য আমরা
অনেকেই শুধু পানি খাওয়ার পরিবর্তে এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করে থাকি।
কিন্তু সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার ফলে
আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে সেগুলো সম্পর্কে আজ আপনাদের জানাবো। তবে আসু্ন
জানা যাক গরম পানিতে লেবু খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি কি
ঘনঘন প্রস্রাব এবং ডিহাইড্রেশন হয়ঃ পানির সাথে বেশি পরিমাণে লেবুর রস যোগ
করার ফলে আপনাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ লেবুর রস
হচ্ছে ভিটামিন সি যুক্ত আর এটা বেশি থাকার কারণে মূত্রবর্ধক সমস্যা হয়। কিডনিতে
মূত্র উৎপাদনকে উৎসাহিত করে আবার এটি আপনাদের শরীরকে বেশি পরিমাণে লবণ এবং তরল
পদার্থ মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
দাঁতের ক্ষতি করেঃ আপনারা যদি সকালে গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খান
তাহলে আপনাদের দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। লেবুতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার ফলে
এটি বেশি বেশি পান করার ফলে আপনাদের দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে এটি।
ক্ষতিকর এনজাইম তৈরি করেঃ গরম পানিতে লেবু খাওয়ার ফলে আপনাদের শরীরের
জন্য তা ক্ষতিকর কারণ এটি আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় উৎসেচক উপাদান পেপসিন ভেঙে
ফেলে এর ফলে আপনাদের হজমে সমস্যা হবে। লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড পেপসিন কে ভেঙে
ফেলে এবং যার ফলে ক্ষতিকর এনজাইম তৈরি হয় এবং এটার ফলে আপনাদের খাবার ঠিকমতো হজম
হতে সমস্যা হয়।
হাড়ের ওপর প্রভাবঃ আপনারা যদি প্রতিদিন সকালে গরম পানির সাথে লেবুর রস
মিশিয়ে খালি পেটে খান তাহলে এটি আপনাদের হাড়ের ক্ষতি করে থাকে। আপনারা যদি বেশি
পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে পানি পান করেন তাহলে তা আপনাদের হাড়ের জয়েন্টের তেলকে
আস্তে আস্তে শোষণ করে যাতে করে ভবিষ্যতে আপনার হাড়ের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
মাইগ্রেন এর সমস্যাঃ প্রতিদিন গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার
ফলে আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। লেবু হচ্ছে সাইট্রাস খাবার আর এই
খাবারটি মানুষের মাইগ্রেনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আর আপনি যদি পরিমাণের
চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা দিন দিন বেড়ে যাবে
দ্বিগুণ হারে।
আয়রনের পরিমাণ বাড়াতেঃ আপনি যদি প্রতিদিন গরম পানির সাথে লেবুর রস
মিশিয়ে খান তাহলে আপনার শরীরে আয়রনের পরিমাণ বাড়তে পারে। কারণ লেবু দেয়া আছে
ভিটামিন সি যা আপনার শরীরে ননহিম আয়রনের শোষণ বাড়াতে পারে। আপনার শরীরে যদি
আয়রনের সঞ্চয় বেশি থাকে তাহলে পরবর্তীতে এটা আপনার শরীরের অঙ্গ গুলোর ক্ষতি
করতে পারে।
আলসারের কারণঃ বেশি পরিমাণে লেবু গরম পানি খাওয়ার ফলে আপনাদের বমি বমি
ভাব হতে পারে আবার কখনো বমি হতে পারে কারো লেবুতে অনেক এসিড থাকে। যদি আপনার
আলসার হয় তাহলে আপনি বেশি এসিডিক খাবার এবং পানীয় খাবার গ্রহণ করতে পারবেন না
আর গ্রহণ করার ফলে আপনার স্টপ লাইনিংকে বিরক্ত করে থাকে এবং যা পরবর্তীতে নিরাময়
প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
পেট খারাপ হতে পারেঃ আপনি যদি প্রতিদিন গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে পান
করেন তাহলে আপনার পেট খারাপের সমস্যা হতে পারে এবং আপনার গ্যাসট্রো সমস্যার
জটিলতা দেখা দিতে পারে।
কোন জিনিস ফ্রিজে রাখলেও গরম থাকে
আমরা ফ্রিজে অনেক সময় অনেক খাবার রাখি। রান্না করা অতিরিক্ত খাবার এবং কাঁচা
ফলমূল শাক-সবজি সকল কিছুই আমরা ফ্রিজে রাখে যাতে করে নষ্ট না হয়ে যায।বাহিরে
তাপমাত্রার কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে আমরা এই খাবারগুলো এবং সবজি ফ্রিজে
রাখি। আবার এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো ফ্রিজে রাখার ফলে নষ্ট হয়ে যায় এবং এর
স্বাদ ও গুনাগুন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আবার এমন খাবার আছে যেটা ফ্রিজে রাখলেও গরম
থাকে সেটা হলো গরম মসলা।
গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ
আমরা অনেকেই জানিনা গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ। আজকে আমি আপনাদের গরমে নাক
দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ কি কিসের জন্য গরমের সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়ে এই বিষয়ে
জানাবো। যখন অনেক বেশি পরিমাণে গরমে পরে তখন আমাদের নাক থেকে রক্ত পড়ার সমস্যাটা
দেখা দিতে পারে অনেকেরি। আবহাওয়া গরম হওয়ার কারণে যখন গরম বাতাস আমাদের নাকের
ভেতরে ঢুকে তখন আমাদের নাকের ভেতরের মিউকাস মেমব্রেন বেশি পরিমাণে
গরম হয় এবং নাকের ভেতরে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এরকম হলে আমরা নাকে বারবার হাত
দিয়ে থাকি এবং মনে করি তাড়াতাড়ি আমাদের নাকের ভেতরের জ্বালাপোড়া যেন কমে
যায়। নাকে বারবার হাত দেওয়ার কারণে আমাদের নাকের ভেতরের ওই স্থানের শিরা নষ্ট
হয় এবং ফেটে যায় আর তখনই আমাদের নাক থেকে রক্ত পড়তে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে গরমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায় এবং গরম পানিতে লেবু
খাওয়ার উপকারিতা ছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছে
যেগুলো জানার ফলে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং অন্য কেউ উপকৃত করতে পারবেন। তাই এই
পোস্টটি পড়ে আপনাদের যদি ভালো লাগে তাহলে আপনারা অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করে
দিবেন পরিচিতদের মাঝে। প্রতিদিন এরকম আরো নতুন তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট
করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url