ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি আপনাদের ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা এবং
ডাবের পানির ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অনেক তথ্য দেবো যেগুলো আপনারা অনেক খোঁজাখুঁজি
করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি কিন্তু আজকে আমার এই পোস্ট পড়ার মাধ্যমে আপনারা
তা জানতে পারবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আমরা সকলেই ডাবের পানি খুব পছন্দ করি এবং পান করে থাকি যেটা পান করার ফলে আমরা
অনেক উপকারিতা পেতে পারি। তাই আজকে আমি আপনাদের ডাবের পানি সম্পর্কিত কয়েকটি
তথ্য দেব। ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা, ডাবের পানি কি ফ্রিজে রাখা যায়,
ডাবের পানিতে কি কি উপাদান আছে এবং ডাবের পানির ক্ষতিকর দিক ইত্যাদি আরো কয়েকটি
বিষয়ে অনেক আলোচনা করেছি যেগুলো পড়ে আপনারা অনেক তথ্য জানবেন। তাই এই সকল
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
আমরা কম বেশি সকলে গরমের সময় স্বস্তি পাওয়ার জন্য কচি ডাবের পানি অথবা ডাবের
পানি পান করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে এই ডাবের পানিতে কি কি উপাদান
আছে এবং এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তাই আজকে আমি আমার এই পোষ্টের
মাধ্যমে ডাবের পানি সম্পর্কিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনাদের জানিয়েছি।
ডাবের পানিতে অনেক পুষ্টিকর খনিজ লবণ ভিটামিন এবং রোগ প্রতিরোধক উপাদান আছে
যেগুলোর জন্য
আরো পড়ুনঃরাতে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা জানুন
আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারি। শুধু আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের
জন্য ডাবের পানি উপকারী তা নয় এটা আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য অনেক উপকারী।
যাদের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার ফলে আমাদের মুখের কালো দাগ, মেস্তা, চোখের নিচের
কালো দাগ ,বয়সের ছাপ ও রোদে পোড়া দাগ ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে পারি আমরা।
এছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা আছে ডাবের পানির।
ডাবের পানি কি ফ্রিজে রাখা যায়
আমরা সকলে গরমের সময় কম বেশি ডাবের পানি পান করে থাকি কারণ ডাবের পানি খাওয়ার
ফলে আমরা এর থেকে অনেক উপকারিতা পেতে পারি যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব
উপকারী। ডাবের পানিতে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন সি
,ম্যাগনেসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট,
ক্যালরি
এবং আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। ডাবের পানি খাওয়ার ফলে আমাদের
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কিডনি, ত্বক এবং
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
সাহায্য করে। এছাড়াও ডায়াবেটিস , ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে এই ডাবের পানি।
ডাবের পানি আমরা কি ফ্রিজে রাখতে পারবো বা ডাবের পানি কি ফ্রিজে রাখা যায় এ
বিষয়ে আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা কিন্তু আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা তা জানতে
পারবেন। হ্যাঁ ডাবের পানি ফ্রিজে রাখা যায় কিন্তু এটা কমপক্ষে এক থেকে দুই দিনের
বেশি দিন ফ্রিজে রাখা যাবে না তাহলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ডাবের পানি আমরা সংরক্ষণের জন্য ঠান্ডা এবং শীতল
শুষ্ক স্থানে রাখবো। ফ্রিজে ডাবের পানি রাখা হলে তা এক থেকে দুই দিন পর্যন্ত ভালো
থাকে। তবে এই ডাবের পানি আমরা ফ্রিজে রাখার চাইতে সবচাইতে ভালো হবে টাটকা টাটকা
পান করা। আমরা যদি বেশিদিন ধরে ডাবের পানি
ফ্রিজে
রাখে তাহলে অর্থাৎ আমরা যে প্লাস্টিকের বোতলে করে রাখবো এবং তারপরে আমরা সেটা যদি
খায় তাহলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুব ক্ষতিকর হতে পারে এর কোন উপকার
পাবো না আমরা।
ডাবের পানি কত ঘন্টা ভালো থাকে
আমরা বিভিন্ন রোগের অসুস্থতার সময় ডাবের পানি পান করে থাকি। কারণ ডাবের পানিতে
আছে নানা রকম খনি যে লবণ এবং আরো অনেক ভিটামিন এবং পুষ্টিকর গুণ যা আমাদের শরীর
স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী এবং এটা আমাদের নানা রকমের রোগের থেকে মুক্তি দিতে
পারে এবং অনেক কাজে আসে। আমরা অনেকে ডাবের পানি কত ঘন্টা ভালো থাকে এ সম্পর্কে
জানিনা। ডাবের পানি আমাদের শরীরে স্যালাইনের মত কাজ দেয়। এজন্য আমরা অনেকেই
ডায়রিয়া জন্ডিস হলে ডাবের
পানি পান করে থাকি। ডাবের পানি আমরা যে স্থানে রাখবো অর্থাৎ ঘরের তাপমাত্রার ওপর
ভিত্তি করে আপনি ৬ ঘন্টা সময় ধরে সংরক্ষণ করে ভালোভাবে রাখতে পারবেন আর আপনারা
যদি ফ্রিজে রাখতে চান তাহলে তা এক থেকে দুই দিনের বেশি ভালো থাকবে না অর্থাৎ এক
থেকে দুই দিন ভালো থাকবে। অর্থাৎ ফ্রিজে রাখলে আপনারা এর থেকে দুই দিনের বেশি
সময় ধরে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন না এতে করে এটা খাওয়ার পরে স্বাস্থ্যের জন্য
ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ডাবের পানিতে কি গ্যাস হয়
আমরা অনেকেই জানিনা ডাবের পানি খাওয়ার ফলে কি গ্যাসও হতে পারে নাকি হতে পারে না
তাই আজকে আমি আপনাদের এ বিষয়ে জানাবো। ডাবের পানি খাওয়ার ফলে আমাদের পেটে
কোনরকম গ্যাসে হয় না। কিন্তু আমরা যদি ডাবের পানি অনেক বেশি সময় ধরে রেখে দিয়ে
তারপরে সেটা পান করে থাকি তাহলে এক্ষেত্রে আমাদের পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা
থাকতে পারে এজন্য ডাবের পানি টাটকা অবস্থায় তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলাই ভালো হবে।
তাই আপনারা যদি নিয়মিত সতেজ বা টাটকা ডাবের পানি পান করেন তাহলে আপনাদের পেটে
কোন রকমের গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না এজন্য আপনারা নিয়মিত নিশ্চিন্তভাবে
ডাবের পানি পান করতে পারেন। আর ডাবের পানি পান করার ফলে যদি আপনাদের পেটে গ্যাসের
সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনারা অবশ্যই ডাবের পানি পান করা থেকে বিরত থাকবেন এবং
সেইসাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
ডাবের পানিতে কি কি উপাদান থাকে
ডাবের পানি আমরা পানীয় হিসেবে পান করে থাকি এটা আমরা গরমের সময় প্রশান্তি পেতে
পান করে থাকি অনেক সময় শুধু তাই নয় এটা আমাদের শরীরে স্যালাইনের মত কাজ করে
থাকে। এটাতে অনেক পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন আছে যেগুলো আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের
জন্য খুব উপকারী এবং বিভিন্ন রোগের থেকে আমরা মুক্তি পেতে ডাবের পানি পান করে
থাকি। ডাবের পানি আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধের কাজ করে থাকে। কারণ ডাবের
পানিতে
আছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, এমিনো
এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,খনিজ লবণ, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি। এতে থাকা
এন্টিএজিং উপাদান আমাদের শরীরের কোষ গুলোকে বুড়িয়ে যেতে দেওয়া থেকে রক্ষা করে
থাকে অর্থাৎ বুড়িয়ে যেতে দেয় না। ডাবের পানি পান করার ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য
দূর হয়, এসিডিটি মূত্রনালীর সংক্রমণ, ডায়রিয়া ও আলসার ইত্যাদি প্রতিরোধ করে
এছাড়াও ত্বক এবং চুল যেমন ব্রণ,
মেস্তা ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে থাকে ডাবের পানি। ডাবের পানির প্রতি১০০
গ্রামে আছে ১৬.৭ ক্যালরি অর্থাৎ ৭০ কিলো জল খাদ্য শক্তি। ডাবের পানির উপাদানের
মধ্যে আছে।
- পানির পরিমাণ আছে ৯৫.৫%
- নাইট্রোজেনের পরিমাণ আছে ০.০৫ %
- ফসফরিক এসিডের পরিমাণ আছে ০.৫৬%
- পটাশিয়াম এর পরিমাণ আছে ০.২৫ %
- ক্যালসিয়ামের পরিমাণ আছে ০.৬৯ %
- ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড আছে ০.৫৯ %
গ্রাম/প্রতি ১০০ গ্রামে আছে
- লৌহ এর পরিমাণ হচ্ছে ০.৫
- মোট কঠিন ৪.৭১
- চিনি আছে ০.৮০
- মোট চিনি আছে ২.০৮
- আঁশ আছে ০.৬২
ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা
গরমের সময় আমরা স্বস্তি পেতে অনেকেই ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে থাকি বা ঠান্ডা
পানি দিয়ে মুখে ঝাপটা দেই এটা থেকে আমরা অনেকেই স্বস্তি পেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা
অনেকেই জানিনা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার চাইতে আমরা যদি ডাবের পানি বা
নারকেলের পানি ব্যবহার করে মুখ ধুয়ে থাকে তাহলে আমরা আরো অনেক বেশি উপকারিতা
পাব। এতে করে আমাদের মুখের আদ্রতা বজায় থাকবে এবং ত্বক সম্পর্কিত আরো অনেকগুলো
সমস্যার সমাধান পাব এবং এর ঝুঁকিও কমবে।
ডাবের পানিতে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমাদের ত্বককে বিভিন্ন ধরনের
সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। এজন্য আমরা এখন অনেকেই আছি যারা এ সকল উপকারী
তা জেনে ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে থাকি আবার অনেকেই আমরা ডাবের পানি দিয়ে মুখ
ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানি না। যারা জানেন না আজকে তাদের জন্যই এই পোস্টটি
তারা এখান থেকে জানতে পারবেন এ সম্পর্কে
কালো দাগ দূর করতেঃ আপনারা যদি আপনাদের মুখের কালো দাগ এবং মেস্তা থাকে
তাহলে এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন এতে
করে অনেক উপকারিতা পাবেন। এর ফলে আপনাদের মুখের দাগ অতি সহজেই দূর হয়ে যাবে বা
পরিষ্কার হয়ে যাবে সেই সাথে আপনাদের মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে অর্থাৎ বজায়
থাকবে।
ব্রণ দূর করতেঃ আপনাদের মুখে যদি ব্রণ থাকে তাহলে আপনারা ডাবের পানি দিয়ে
মুখ ধুলে আপনাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। আবার তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা যাদের
আছে তারা ডাবের পানি দিয়ে নিয়মিত মুখ ধোয়ার ফলে তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
চোখের নিচের কালো দাগঃ আমাদের অনেকেরই আছে যাদের চোখের নিচে কালো দাগ পরে
তারা যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে নিয়মিত ডাবের পানি দিয়ে মুখ
ধুতে পারেন। একটি তুলির সাহায্যে আপনারা এই ডাবের পানি চোখের নিচের কালো দাগের
উপর লাগাতে পারেন প্রতিদিন ব্যবহার করার ফলে এই কালো দাগ অল্পদিনের মধ্যেই দূর
হয়ে যাবে।
সতেজ ত্বকের জন্যঃ আপনারা যদি সতেজ এবং তার পাশাপাশি উজ্জ্বল ত্বক পেতে
চান তাহলে নিয়মিত ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার চেষ্টা করুন এতে করে আপনি
পারফেক্ট ফল পাবেন।
ঝলসে যাওয়া ত্বকের জন্যঃ এই গরমে আমাদের প্রায় সবার ত্বকে ঝলসে যাওয়ার
মত সমস্যা দেখা দেয় অর্থাৎ ট্যানিং এর মত সমস্যা হয় এই সমস্যা থেকে মুক্তি
পাওয়ার জন্য আপনারা নিয়মিত ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন এতে করে অনেক ভালো
ফল পেতে পারেন।
আর্দ্রতা ধরে রাখতেঃ ডাবের পানি হচ্ছে ন্যাচারাল ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানি
এটা আপনি নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে আপনার মুখের আর্দ্রতা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে
রাখতে পারবেন এবং ত্বক সুস্থ দেখাবে।
প্রদাহ দূর করেঃ ব্রণের সমস্যা থেকে আপনাদের মুখে প্রদাহ দেখা দিতে পারে
আর এজন্য আপনারা ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন এতে করে আপনাদের প্রদাহ দূর
হবে। কারণ ডাবের পানিতে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এনটিইনফ্লেমেটরি উপাদান।
সানবার্ন কমাতেঃ সানবার্ন অর্থাৎ রোদে পোড়া দাগ দূর করার জন্য আপনারা
মুখে ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন এতে করে অনেক উপকার পাবেন।
ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতেঃ ডাবের পানিতে আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা
আপনাদের ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করবে এবং ছোট ফাটা সমস্যা সমাধান দেবে।
ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া কমাতেঃ আমাদের ত্বকে বলি রেখা কপালে ভাজ চামড়া
কুঁচকে যাওয়া ইত্যাদি এছাড়াও আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে এগুলো থেকে আপনার
ত্বক বুড়িয়ে যেতে পারে। আর এ সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার জন্য আপনি প্রতিদিন
নিয়মিত ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন অথবা ডাবের পানি পান করতে পারেন। এতে
করে আপনার ত্বকের মরা কোষগুলো দূর হয়ে নতুন কোষ তৈরি হবে এবং কোষগুলো ও ভালো
থাকবে।
ডাবের পানির ক্ষতিকর দিক
ডাবের পানি খুব সুস্বাদু পানীয়। ডাবের পানিতে অনেক প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যগুণ আছে
এবং বিভিন্ন ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, খনিজ লবণ, জিংক,
আইরন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ওঅ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য
ইত্যাদি আছে। আমরা যদি
ব্যায়াম
এবং কঠোর পরিশ্রম করার পরে ডাবের পানি পান করে থাকে তাহলে এটা আমাদের শরীরের
ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ফিরে আসে। কিন্তু ডাবের পানি অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে পান
করার ফলে কিছু ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে সেগুলো হল
- ডাবের পানি মিষ্টি স্বাদের হওয়ায় এটা রক্তে চীনের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই পানীয় উপকারী নয়।
- ডাবের পানিতে অনেক সোডিয়াম থাকে যা আমাদের রক্তচাপ ও বাড়িয়ে দিতে পারে।
- ডাবের পানিতে এমাইনো এসিড এবং ডায়াটোরি ফাইবার থাকার কারণে এটা আমাদের ইনসুলিনের কর্ম ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- ডাবের পানিতে পটাশিয়াম থাকে আর কিডনি রোগীদের ডাবের পানি পান করা উচিত না। ডাবের পানির পটাশিয়াম এবং আমাদের শরীরের অতিরিক্ত পটাশিয়াম একত্রিত হয়ে কিডনি এবং হৃদপিণ্ড অকার্যকর করে ফেলে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডাবের পানি উপযুক্ত নয়।
- ক্রীড়াবিদদের জন্য এই পানীয় উপযুক্ত নয়। ডাবের পানিতে থাকা উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম কখনো বিষাক্ত হতে পারে তাই ক্রীড়াবিদের জন্য এই পানীয় পান করা ভালো না। এজন্য তাদের কিডনি হৃদপিণ্ড ও হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়।
- ডাবের পানি প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে থাকে কিন্তু যাদের অন্ত্রের কাজ ঠিকমতো হয় না তারা এই ডাবের পানি পান করা থেকে বিরত থাকবেন।
- ডাবের পানি পান করার ফলে যাদের এলার্জির সমস্যা চোখে পানি আসা হাঁচি হয় এবং ত্বক লাল হয়ে যায় তারা ডাবের পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে পারেন।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ডাবের পানি পান করার ফলে আমাদের শরীর থেকে গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি উপাদান বের হয়ে যায় প্রস্রাবের মাধ্যমে।
- হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে এই পানীয় পান করার ফলে।
কচি ডাবের পানির উপকারিতা
গরমে আমাদের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে পানি ঝরে যায় ফলে আমাদের শরীরের টি
হাইড্রেশন এর মধ্যে পড়ে যায় আর এজন্য আমরা অতি সহজেই একগ্লাস কচি ডাবের পানি
পান করতে পারি। কারণ কচি ডাবের পানিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এমিনো এসিড,
এনজাইম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি ,ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও জিংক
ইত্যাদি। ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক মিনারেলস আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে
স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
এর ফলে আমাদের হৃদরোগের ঝুকি কমে। কিডনি রোগ প্রতিরোধ হয় এছাড়াও আমাদের শরীরে
বিভিন্ন খাবার এবং বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস আমাদের পেটে ঢোকে এগুলো
বের করার জন্য বা মারতে আমাদের এক গ্লাস কচি ডাবের পানি পান করা উচিত। এছাড়া এর
অনেক গুন আছে যা আমাদের ব্লাড প্রেসার কমায়, ওজন কমাতে সাহায্য করে, মাথা ব্যথার
মহা ঔষধ হিসেবে আমরা কচি ডাবের পানি পান করতে পারি। এই কচি ডাবের পানি আমাদের
হার্ট টনিক এর কাজ করে থাকে
এবং আমাদের বয়স কমাতে সাহায্য করে থাকে। আমাদের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে
সাহায্য করে থাকে এই কচি ডাবের পানি। গরমে আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেশন এর থেকে
প্রতিরোধ করে থাকে এবং বমি হওয়ার কারণে আমাদের শরীর থেকে অর্থাৎ রক্তের
পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায় আর এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা কচি ডাবের
পানি পান করতে পারি। এছাড়া কচি ডাবের পানি পান করার ফলে আমাদের ত্বক এবং চুলের
অনেক উপকার হয়।
মুখের কালো দাগ বয়সের ছাপ চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয় ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে
আসে। চুলের জন্য অনেক উপকারী ডাবের পানি ডাবের পানি পান করার ফলে খুশকি দূর হয়
চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় তাই বুড়ো থেকে বাচ্চা সকলের
প্রতি ডাবের পানি পান করা উচিত এ সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য এবং আমাদের শরীর ও
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য।
ডাবের পানিতে কোন হরমোন পাওয়া যায়
ডাবের পানিতে কোন ধরনের হরমোন পাওয়া যায় এ সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা
কিন্তু আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা তা জানতে পারবেন ডাবের পানিতে কোন
হরমোন পাওয়া যায়। ডাবের পানিতে সাইটোকাইনিন হরমোন পাওয়া যায়। ডাবের পানিতে
পাওয়া যায় আরো অ্যাডিরেনালিন হরমোন। এই হরমোনটি স্যাডেনোকর্টিকযুক্ত হরমোনের
মধ্যে হচ্ছে একটি প্রধান হরমোন যা আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে
সাহায্য করে থাকে।অ্যাডিরেনালিন হরমোন আমাদের
শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়াতে কাজ করে থাকে যেমন হৃদয়ের কাজ রক্ত চাপের
নিয়ন্ত্রণ এবং শ্বাসকষমতা ইত্যাদি।অ্যাডিরেনালিন আমাদের জীবন শৈলীতে অনেক
গুরুত্বপূর্ণ অবদানে ভূমিকা রাখে। এটি আমাদের সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বা প্রয়োজন
হয় যেমন পরিমাণ মতো অ্যাডিরেনালিন হারানো একজন মানুষ চিন্তামুগ্ধ হতে পারে। এটি
উন্নত সক্রিয়তা এবং জনগণের টেনশন স্তর নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এছাড়াও আমাদের আলট্রা বেটা অবস্থায় আমাদের শরীরকে হলুদ সংগীতের শ্রম করার জন্য
প্রস্তুত করে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে আপনাদের জন্য ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা এবং
ডাবের পানির ক্ষতিকর দিক ছাড়াও আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অনেক
আলোচনা করেছে যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক সত্য তথ্য জানতে পারবেন এবং অনেক
উপকৃত হবেন। তাই আপনাদের কাছে এই পোস্টটি পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই এই
পোস্টটি আপনাদের পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন এবং নতুন তথ্য পেতে এই
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url