গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি আপনাদের
গরম
ভাতে ঘি
খাওয়ার উপকারিতা
এবং গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো এসব সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত তথ্য দেব যা
আপনারা আগে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু খুঁজে পাননি তাই আজকে আমার এই পোষ্টের
মাধ্যমে আপনারা সেই সকল বিষয়ে জানতে পারবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আমরা অনেকে গরম ভাতে ঘি খেয়ে থাকি কিন্তু এর উপকারিতার কথা আমরা অনেকেই জানিনা
।কিন্তু এর অনেক উপকারিতা আছে। গরম ভাতের সাথে ঘি খাওয়ার ফলে আমাদের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং শরীরে পানির অভাব দূর হবে এবং হজম শক্তি ভালো হবে।
গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো এ বিষয়েও এবং গরম পানির ঝর্ণা কোথায়
অবস্থিত এবং গরম ও ঠান্ডা দুধের উপকারিতা ইত্যাদি অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি এগুলো জানতে হলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
আমরা গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা কথা হয়তো অনেকেই জানিনা এবং গরমে বাচ্চাদের
জন্য কোন ক্রিম ভালো এ বিষয়ে অনেক বাবা মায়ের অজ্ঞাত আছেন এখনো তাদের জন্য আজকে
আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক তথ্য আলোচনা করেছি যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা এই
সকল বিষয়ে জানতে পারবেন। গরম ভাতে ঘি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি হয়
হজম শক্তি ভালো হয় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এছাড়াও আরো অনেক
উপকারিতা পেতে পারি আমরা তাই আমাদের প্রতিদিন
গরম ভাতের সাথে ঘি খাওয়া উচিত। ছোট বাচ্চাদের আমরা গরমের সময় অনেক ধরনের ক্রিম
বা লোশন ব্যবহার করে থাকি এতে করে ছোট বাচ্চাদের ত্বক ভালো থাকে না খারাপ হয় এটা
সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এই গরমে ছোট বাচ্চাদের ত্বক ভালো রাখার জন্য আমরা
হিমালয় হারবাল বেবি লোশন এবং সানস্ক্রিন ক্রিম নামের অনেক প্রাকৃতিক উপাদান থেকে
তৈরি ক্রিম ব্যবহার করতে পারি এতে করে ছোট বাচ্চাদের ত্বক ভালো থাকবে নরম হবে
কোমল হবে এবং হাইড্রেটেড থাকবে। আমরা অনেকেই গরম
বা ঠান্ডা দুধ পান করে থাকি এতেও অনেক উপকারিতা পায় আমরা গরম দুধ খাওয়ার ফলে
আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে, শক্তি যোগাবে শরীরে ও খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে
ইত্যাদি আরো অনেক উপকারিতা আছে। আবার ঠান্ডা দুধ খাওয়ার ফলে আমাদের
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে ও বদ হজমের সমস্যা দূর হবে
ইত্যাদি এজন্য ছোট বড় সকলকে বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের দুধ খাওয়ার কথা বলা হয়ে
থাকে দুধে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন এবং খনিজ লবণ আছে।
গরম পানির ঝর্ণা কোথায় অবস্থিত
সীতাকুণ্ড পাহাড়ে গরম পানের ঝর্ণা অবস্থিত । এই পাহাড় হিমালয় থেকে বিচ্ছিন্ন
হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলীয় অংশ। এই সীতাকুণ্ড পাহাড় হিমালয় দক্ষিণ ও দক্ষিণ এবং
পূর্ব দিকে ঘুরে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের ভেতর দিয়ে তারপরে ফেনী নদী পার
হয়ে গিয়ে চট্টগ্রামের সাথে মিলিত হয়েছে। চট্টগ্রামের অংশের দিকে ফেনী নদী হতে
চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত এটার দৈর্ঘ্য ৭০ কিলোমিটার। এই সীতাকুণ্ড পাহাড়ের পাদদেশে
নির্মিত করা হয়েছে সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক।
এই ইকো পার্কে আছে সহস্র ধারা এবং সুপ্ত ধারা নামে দুটি জলপ্রপাত। মীরসরাই অংশে
হরিণমারা, বাঘবিয়ানি, হাঁটুভাঙ্গা, বোয়ালিয়া সহ আরো নানা রকমের অনেক ঝরনা ও
জলপ্রপাত আছে। পূর্ব দিকের এই পাহাড় থেকে আরো কয়েকটি ঝরনা নদীর সাথে মিলিত
হয়েছে।
গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা
আমরা অনেকে গরম ভাতের সাথে ঘি খেয়ে থাকি কিন্তু এটা আমরা অনেকেই জানিনা যে গরম
ভাতের সাথে ঘি খেলে আমাদের অনেক উপকার মিলবে শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য। তাই আজকে
আমি আপনাদের গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলব। ঘি আমাদের খাবারের স্বাদ
ও গন্ধ বাড়িয়ে দেয় শুধু তাই না এটা আমাদের সুস্থ রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে
থাকে। আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে ঘি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যেতে
পারে কিন্তু এই কথাটি বিশেষজ্ঞরা মানতে নারাজ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা যখন পরিমাণের তুলনায় বেশি ঘি খেয়ে থাকব তখন সেটা আমাদের
শরীরের জন্য ক্ষতি করতে পারে। আপনারা অনেকেই গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা কথা
হয়তো জানেন না তাই আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে ঘি খাওয়ার ফলে যে সকল উপকারিতা
পাবেন সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন
শক্তি বৃদ্ধি করে থাকেঃ আপনারা যদি আপনাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে চান
তাহলে প্রতিদিন ঘি খেতে পারেন কারণ ঘি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি
পেতে থাকে এটি আমাদের শরীরে পুষ্টি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে। তাই গরম ভাতের সাথে এক
চামচ পরিমাণে ঘি খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘিতে ফ্যাটের পরিমাণটা বেশি থাকে
তাই এটা ওজনের সাথে সমন্বয়ে করে খাওয়া ভালো। বেশি খাওয়ার ফলে সমস্যা দেখা দিতে
পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ আপনারা যদি গরম ভাতের সাথে ঘি খেতে পারেন
তাহলে আপনাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে আবার ঘি খাওয়ার ফলে আমাদের
নানা রকমের সংক্রমণ ও অসুখ থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি কারণ ঘিতে থাকে বাটরিক
এসিড। এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেকটাই কাজ করে থাকে আবার ঘিতে
রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি আর এই দুই উপাদান আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে অনেক কার্যকরী।
পানির অভাব দূর করে থাকেঃ আপনাদের শরীরের আদ্রতা বজায় রাখতে বা ধরে রাখার
কাজটি ঘি করে থাকে। কারণ এতে আছে ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য যা আপনাদের শরীরকে ভেতর
থেকে আদ্র রাখতে সাহায্য করে থাকে। ঘি খাওয়ার ফলে আপনাদের ত্বক ভালো হবে বা
থাকবে। ঘিতে আছে এন্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য। আপনারা যদি ঘি এর
সাথে হলুদ একসাথে করে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
শরীরকে ঠান্ডা রাখতেঃ ঘি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর এবং মনে অনেক শীতলতা
আসে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে, কি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরকে
শিথিল রাখতে ও অনেক কাজ করে থাকে। কারণ ঘি হচ্ছে মিষ্টি এবং শীতল প্রকৃতির খাবার
তাই এই খাবারটি গরমের সময়ও খাওয়া যায়।
হজম ক্ষমতা ভালো রাখতেঃ ঘি খাওয়ার ফলে আমাদের হজম ক্ষমতা ভালো হয় বা
হজমে উন্নতি হয় অর্থাৎ হজমে সাহায্য করে থাকে ঘি। ঘিতে আছে অনেক বিউটারিক
অ্যাসিড যা কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঘি কার্বোহাইড্রেট খাবারের সাথে
মিশিয়ে খেলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সামান্য পরিমাণে কমে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের
জন্য অনেক উপকারী।
মাথা গরম হলে ঠান্ডা করার উপায়
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা রেগে গিয়ে মাথা গরম করে ফেলেন কিন্তু রাগ করা
স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। অনেকে রাগের বসে মাথা গরম করে অনেক ক্ষতির
সম্মুখীন হয়ে থাকেন বা অনেক ক্ষতি করে থাকেন। অনেকের আছে রাগটা ধীরে ধীরে হয়
আবার অনেকের মাথা তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়। আবার অনেকেই আছেন প্রখর রোদে
ঘোরাঘুরির কারণে মাথা গরম হয়ে যায়। তাই আজকে আমি আপনাদের মাথা গরম হলে ঠান্ডা
করার কিছু উপায় সম্পর্কে বলবো
- মাথা গরম হলে আপনি যেখানে আছেন সেখান থেকে বেরিয়ে অন্য জায়গায় চলে যান। এই কাজটি করার ফলে আপনি রাগের মাথায় যে ভুল কাজ করে থাকতে পারেন তার থেকে বিরত থাকবেন বা নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।
- মাথা গরম হলে আপনি কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে পারেন। এতে করে আপনার মাথায় আর অন্য কোন ভাবনা আসবে না।
- আপনার হাতের কাছে যদি কাগজ থাকে তাহলে সে কাগজে হিজিবিজি করে আঁকাআঁকি শুরু করুন।
- আপনাকে কেউ যদি খারাপ কথা বলে তাহলে যদি আপনার রাগ হয়ে থাকে তাহলে তার সাথে চেঁচামেচি না করে তার সাথে ঠান্ডা মাথায় মিষ্টি করে কয়েকটি কঠিন কথা বলতে পারেন।
- রাগ হলে আপনি হাতের কাছে আপনার পছন্দের খাবার রাখুন এবং সেই খাবারটি মুখে দিয়ে খেতে শুরু করুন। এতে করে খাবারের স্বাদ আপনার মুড ভালো করে দিতে পারে এবং আপনার রাগ কমে যাবে।
- রাগ হলে আপনি মোবাইল ফোনে গেম খেলতে শুরু করতে পারেন এতে করে আপনার ভালো কাজ হবে।
- বেশি রাগ হয়ে গেলে আপনি ঘরে দরজা বন্ধ করে দিয়ে সাজগোজ শুরু করতে পারেন। এতে করে আপনি সুন্দরভাবে সাজলে আপনার মন ভালো হতে পারে এবং রাগ করে যেতে পারে।
- রাগ হলে মাথা ঠান্ডা করার জন্য আপনি একটি নির্জন জায়গায় বেছে নিতে পারেন এবং তারপর সেখানে বসে রাগের কারণটি নিয়ে মনে মনে ভাবতে পারেন এতে করে আপনার মাথা আস্তে আস্তে ঠান্ডা হবে এবং আপনার মন হালকা হয়ে যাবে রাগ ও কমে যাবে সেই সাথে।
- রাগে মাথা গরম হয়ে গেলে আপনি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়তে পারেন সে বাড়ির কাজ হোক বা অফিসের কাজ হোক এতে করে আপনার রাগ করে যাবে ধীরে ধীরে।
- রাগ হলে মাথা গরম হয়ে গেলে আপনার হাতের কাছে সুগন্ধি থাকলে সেটা আপনার হাতে স্প্রে করতে পারেন। এই সুন্দর অ্যারোমা নার্ভ কে রিলাক্স করে তুলবে এবং আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।
এছাড়াও এখন অত্যধিক গরমের কারণে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমাদের মাথা সহজে গরম
হয়ে যায় এবং মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। মাথা গরম হয়ে গেলে আমাদের অনেক ধরনের
শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে যার জন্য আমরা অসুস্থ হতে পারি। এর জন্য আমরা
কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে আমাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে পারি
- আমরা রোদ থেকে আমাদের মাথাটাকে বাঁচানোর জন্য আমরা মাথায় টুপি পড়তে পারি এবং মেয়েরা মাথায় ওড়না দিয়ে ঢেকে নিয়ে তারপরে রোদের সময় বাহিরে যাওয়ার কথা ভাবতে পারি ভাই এগুলো ব্যবহার করতে পারি মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য।
- মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য আমরা গরমের সময় ঘন ঘন শ্যাম্পু করতে পারি। গরমের সময় আমাদের মাথা তাড়াতাড়ি ঘেমে যায় এর ফলে আমাদের মাথা গরম হয়ে যায় এবং চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তাই এ সময় আমাদের মাথা পরিষ্কার রাখতে হবে।
- গরমকালে আমাদের শ্যাম্পু বদলে ফেলতে পারি আমরা এর বদলে আমরা কুল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারি যার মধ্যে ন্যাচারাল কুল্যান্ট উপাদান আছে এগুলো ব্যবহার করার ফলে গরমকালে আমাদের মাথা ঠান্ডা থাকবে।
- অ্যালোভেরা জেল মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য খুবই কার্যকরী এই জেল আমরা মাথায় মাসাজ করতে পারি। এটা ব্যবহার করার ফলে আমাদের মাথার তালু অনেক ঠান্ডা থাকবে।
গরম ও ঠান্ডা দুধের উপকারিতা
আমরা সকলে দুধ খেতে পছন্দ করি কারণ দুধ হচ্ছে আদর্শ খাবার এবং অনেক পুষ্টিগুণে
ভরপুর একটি খাবার। এজন্য শিশুদের দুধ খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে শুধু শিশুদেরই
নয় ছোট বড় সকলেরই দুধ খাওয়া উচিত। আমরা অনেকেই ঠান্ডা দুধ খেতে পছন্দ করে থাকি
আবার অনেকে আছে যারা গরম দুধ খেতে পছন্দ করি। ঠান্ডা কিংবা গরম এই দুই রকমের দুধে
পুষ্টি মান একই রকম থাকে। দুধে আছে বিভিন্ন ভিটামিন যেমন ভিটামিন ডি আছে
ক্যালসিয়াম, আয়রন ,
ম্যাঙ্গানিজ, জিংক ,আয়োডিন, কোবাল্ট এবং অ্যামিনো এসিড ইত্যাদি। আজকে আপনারা
আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে গরম ও ঠান্ডা দুধের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন ।গরম
ও ঠান্ডা দুধ খাওয়ার ফলে আপনাদের শরীরের কি কি উপকারিতা পেতে পারবেন আপনারা এই
সকল বিষয়ে অনেক তথ্য পাবেন।
তাড়াতাড়ি হজম হয়ঃ গরম দুধ খাওয়ার সবচেয়ে বড় উপকারী তার মধ্যে একটি
হচ্ছে এটি খুব তাড়াতাড়ি হজম হয় এজন্য ছোট বাচ্চাদের গরম দুধ খাওয়ানো ভালো।
কারণ গরম দুধে ল্যাক্টোজ এর পরিমাণ কম থাকে এজন্য দুধ সহজেই হজম হয়ে যায়।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে যাদের দুধের তৈরি খাবার সহজে হজম হতে চায় না তাদের ক্ষেত্রে
গরম দুধ খাওয়ায় ভালো। ঠান্ডা দুধ ভারি হয় এজন্য হজম হতেও সময় লাগে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ঃ আপনাদের মধ্যে অনেকেরই এই সমস্যাটি হয়ে থাকে এই
সমস্যাটি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দৈনিক এক
গ্লাস গরম দুধ পান করে তারপরে ঘুমাতে যাবেন। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে
মুক্তি পেতে পারেন।
ভালো ঘুমের জন্যঃ আপনাদের মধ্যে যাদের রাতে ভালো ঘুম হয় না তারা ভালো
ঘুমের জন্য রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক ক্লাস গরম দুধ পান করতে পারেন এতে করে
অনেক ভালো ফল পাওয়া যাবে। কারণ দুধে থাকে অ্যামিনো এসিড যা আপনার ভালো ঘুমের
জন্য অনেক সাহায্য করবে। দুধ গরম করার ফলে এতে থাকা অ্যামিনো এসিড সক্রিয় হয়ে
উঠতে থাকে।
ঠান্ডা দূর করতেঃ ঠান্ডা দূর করতে অর্থাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বা
এমনিতেও ঠান্ডা লেগে থাকলে আপনারা হালকা কুসুম গরম দুধের সাথে মধু মিশিয়ে পান
করতে পারেন এতে করে ঠান্ডা দূর হয়ে যাবে।
শরীরে শক্তি যোগায়ঃ দুধে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ আছে।
এজন্য আমাদের সকলেরই দুধ খাওয়া উচিত দুধ আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়। শুধু গরম
দুধ খেলেই শরীরে শক্তি যোগায় না ঠান্ডা দুধ খেলেও আপনাদের শরীরে শক্তি হবে।
পিরিয়ডের সময় প্রশান্তি এনে দেয়ঃ মেয়েদের পিরিয়ডের সময় যে অসুস্থতা
দেখা যায় তার থেকে প্রশান্তি পাওয়ার জন্য আপনারা গরম দুধের সাথে হলুদ একসাথে
করে ভালোভাবে মিশিয়ে পান করতে পারেন। দুধের আছে পটাশিয়াম যা পিরিয়ডের সময়
ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে এবং হলুদ আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন
বের করে দেওয়ার কাজ করে থাকে।
আবার আমরা অনেকে ঠান্ডা দুধ খেতে পছন্দ করে থাকি কিন্তু ঠান্ডা দুধেরও অনেক
উপকারিতা আছে এটা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা তাই আজকে ঠান্ডা দুধের উপকারিতা তার
কথা আপনাদের বলব
বদহজমের জন্যঃ আপনাদের মধ্যে যাদের বদহজমের সমস্যা আছে তারা ঠান্ডা দুধ খেতে
পারেন গরম দুধের পরিবর্তে এতে করে বেশি উপকার পাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার জন্য আপনারা
ঠান্ডা দুধের সাথে ইসবগুল ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে পারেন এতে করে অনেক আরাম পাবেন।
এসিডিটির সমস্যা দূরঃ আমাদের অনেকেরই এসিডিটির সমস্যা আছে এজন্য আমরা
ঠান্ডা দুধ খেলে বেশি উপকার পাবো। খাবার খাওয়ার পরে আপনারা যদি একগ্লাস ঠান্ডা
দুধ খেতে পারেন তাহলে আপনাদের বুক জ্বালা পোড়া করা কমে যাবে এবং গ্যাস্ট্রিকের
সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই।
ত্বক ভালো রাখতেঃ ঠান্ডা দুধে আছে অনেক পরিমাণে ইলেকট্রোলাইট যা আমাদের
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অনেক পরিমাণে কাজ করে থাকে। তাই আপনারা যারা
ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান তারা ঠান্ডা দুধ খেতে পারেন।
স্থূলতা কমাতেঃ ঠান্ডা দুধ আপনাদের স্থূলতা কমাতে সাহায্য করবে। কারণ দুধে
আছে ক্যালসিয়াম যা আমাদের শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে দিয়ে থাকে আর এতে করে
আমাদের ক্যালোরি খরচ বেশি হয়। আপনারা যদি এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করেন তাহলে
আপনাদের অনেকক্ষণ খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন এবং আপনার বেশি খাবার
খাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে এবং আপনার
ওজন কমবে।
শরীরে শক্তি যোগাতেঃ আমরা জানি দুধে অনেক পুষ্টিকর ভিটামিন এবং খনিজ
পদার্থ আছে। যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে বা শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে
এর ফলে আমরা কাজ করার শক্তি পায় এবং আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এজন্য
ঠান্ডা বা গরম উভয় প্রকার দুধ খাওয়া ভালো।
মেয়েদের শরীর গরম থাকে কেন?
আপনারা কি জানেন মেয়েদের শরীর গরম থাকে কেন ?এটা হয়তো অনেকেই জানেন না যারা
জানেন না তারা আজকে আমার এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন। মেয়েদের থেকে
ছেলেদের শরীর বেশি গরম থাকে। কিন্তু আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে কুমারী
মেয়েদের শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে গরম থাকে। আর এর কারণ হচ্ছে
যৌনি স্রাব। যৌন সংক্রমনের লক্ষণ হচ্ছে সাদাস্রাব বা শ্বেতস্রাব অথবা স্পর্শে
উষ্ণতা আবার ইস্ট সংক্রমণ
বা প্রদাহর ইত্যাদি আরো অনেক কারণ আছে। তাই বলা যায় যে কুমারী মেয়েদের যৌন
স্রাব এবং শ্বেতস্রাব এর জন্য শরীর গরম থাকে। এছাড়াও আরো অনেক কারণে শরীর গরম
থাকতে পারে মেয়েদের কিন্তু স্থায়ী হয় না ক্ষণস্থায়ী হয়। মেনোপজের সময়
মহিলারা পুরুষের থেকে উষ্ণ বা গরম বোধ বেশি করে থাকে আর এটি পেশির ভর তৈরীর কারণে
হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্দিষ্ট একটা হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এরকম হয়ে
থাকে।
পুরুষের থেকে নারীর শরীরে বেশি ঠান্ডা লাগে কারণ মহিলাদের শরীরে পেশির ভর কম
থাকে। আর পেশির ভর কম থাকার কারণে মহিলাদের ত্বকের ছিদ্রগুলো থেকে কম পরিমাণে তাপ
উৎপন্ন হয়ে থাকে যার জন্য মহিলারা ঠান্ডা বেশি অনুভব করে।
গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো
এখন গরম কাল চলছে আর এ সময় বাচ্চাদের জন্য গরমে কোন ক্রিম ব্যবহার করা ভালো বা
কোন ক্রিম ব্যবহার করলে বাচ্চাদের জন্য ভালো হবে তা অনেক বাবা-মাই জানেন না। তারা
অনেকেই না জেনে না বুঝে অনেক ধরনের অনেক কোম্পানির ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন এতে
করে বাচ্চাদের ত্বকের জন্য সেটা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ বাচ্চাদের
ত্বক হয় খুব নরম এবং কমল। আর এই গরমে বাচ্চারা যেন ভালো থাকে এবং বাচ্চাদের ত্বক
ও
যেন ভালো থাকে এজন্য আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করে থাকি।
আর বাচ্চাদের ত্বক যেন কোন অবস্থাতেই ক্ষতি না হতে পারে সেদিকে খেয়াল রেখে আমরা
এই গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো হবে সেটা জেনে বুঝে ব্যবহার করব তাই আজকে
আমারে পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো
হবে এ বিষয়ে
সানস্ক্রিন ক্রিমঃ এই গ্রীষ্মকালের সূর্যের অতি প্রখর রোদের বা গরমের কবল
থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাচ্চাদের জন্য আমরা এই সানস্ক্রিন ক্রিম টি ব্যবহার
করতে পারি কারণ এই ক্রিমটি বাচ্চাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। সূর্যের
অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই ক্রিমটি ছোট
বাচ্চাদের জন্য অনেক ভালো কাজ দেয়। এই ক্রিমটি একটি ব্রড স্পেক্ট্রামসহ এবং সান
প্রটেকশন ফ্যাক্টর ক্রিম। এই ক্রিমের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই
ক্রিমটি ব্যবহার করার ফলে ছোট বাচ্চাদের ত্বক অনেক মৃদু হয় এবং জ্বালা পোড়াও
পরিমাণে অনেকটাই কম হয়। অনেক বাচ্চা বেশি পরিমাণে ঘামতে থাকে। আর যদি দেখেন বেশি
পরিমাণে ঘামছে তাহলে সেই বাচ্চার শরীরে দুই ঘন্টা পর পর এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে
পারেন।
শিয়া বাটার লোশনঃ শিয়া বাটার লোশন এই ক্রিমটি বাচ্চাদের ত্বকের জন্য
অর্থাৎ ত্বকের সুরক্ষার এবং ময়েশ্চারাইজারের জন্য অনেক কার্যকরী। কারণ এই
ক্রিমটিতে আছে অথবা এই ক্রিমটি তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সকল ধরনের
প্রাকৃতিক উপাদান । আর এই প্রাকৃতিক উপাদান গুলো ছোট বাচ্চাদের ত্বকের জন্য অনেক
স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর। আর উপাদানগুলো হচ্ছে সয়াবিন তেল, গ্লিসারিন এবং
সূর্যমুখী বীজের তেল ইত্যাদি।
হিমালয় হারবাল বেবি লোশনঃ গরমের সময় হিমালয় হারবাল বেবি লোশনটি সব
বাবা-মায়ের কাছে একটি জনপ্রিয় ক্রিম এবং এই ক্রিমটি ছোট বাচ্চাদের জন্য খুব
উপকারী। এই ক্রিমটি হারবাল কারণ এতে আছে অনেক ভেষজ উদ্ভিদের গুণাগুণ শক্তি। এই
ক্রিমটি তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে জলপাইয়ের তেল এবং বাদামের তেল যা
শিশুদের অর্থাৎ ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী এবং ছোট বাচ্চাদের ত্বকের জন্য
অনেক ভালো।
ময়েশ্চারাইজিং লোশনঃ এই গরমে ছোট বাচ্চাদেগ ত্বক হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ সব বাবা মায়ের ক্ষেত্রে। আর এই ত্বক হাইড্রেটেড রাখার
জন্য আপনারা ময়েশ্চারাইজিং লোশনটি ব্যবহার করতে পারেন। এই লোশনটি ব্যবহার করার
ফলে বাচ্চাদের ত্বক ২৪ ঘন্টা আর্দ্র থাকবে তাই এই ক্রিমটি ছোট বাচ্চাদের জন্য
বেশি উপযুক্ত। এই ক্রিমটিতে ব্যবহার করা হয় দুধের প্রোটিন এবং এলোভেরা আর এর
জন্য বাচ্চাদের ত্বক সব সময় থাকবে নরম এবং সফট।
ওপরের এই সবগুলো ক্রিম ছোট বাচ্চাদের গরমের সময় ব্যবহার করার জন্য খুব উপকারী
এবং জনপ্রিয় ক্রিম। এই ক্রিমগুলো এখন সব বাবা-মায়ের কাছেই পরিচিত এবং
জনপ্রিয়তার সর্ব উপরে আছে। কারণ এই ক্রিমগুলো তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সকল
প্রাকৃতিক উপাদান যা ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী এবং এদের ত্বকের ওপর কোন রকম
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণ হবে না। এই গরমে ছোট বাচ্চাদের রাখবে অনেক সুন্দর এবং
ত্বককে করে তুলবে নমনীয় কমনীয় এবং সফট ও সতেজ।
লেখকের মন্তব্য
ম্যাক্সিমো ইনফো আজকে তার এই পোস্টের মাধ্যমে গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা এবং
এই গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো এ সকল বিষয়ে অনেক বিস্তারিত সত্য তথ্য
তুলে ধরার চেষ্টা করেছে যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক তথ্য জানতে পারবেন এবং
উপকৃত হবেন। এই পোস্টটি পড়ার পরে যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনারা এই পোস্টটি
আপনাদের পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন এবং আরো নতুন তথ্য পেতে প্রতিদিন এই
ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url