মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় জানুন

আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি আপনাদের মাঝে মেয়েদের ওজন সম্পর্কে অর্থাৎ মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে এবং প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেক সঠিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব আশা করি আপনারা অনেক সঠিক তথ্য জানতে পারবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় জানুন
ওজন কমানো খুব একটা সহজ কাজ না আর মেয়েদের ক্ষেত্রে তো আরোই। ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেকেই অনেক রকম উপায় অবলম্ব ও চেষ্টা করে থাকি। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় এবং প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায়, ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা ,মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ঔষধ ইত্যাদি কয়েকটি টপিজ নিয়ে আলোচনা করেছি এগুলো সম্পর্কে জানার জন্য পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পডুন।

ভূমিকা

আমাদের মেয়েদের পক্ষে দ্রুত ওজন কমানোর জন্য অনেক কষ্ট করতে হয় শুধু মেয়েদের জন্য নয় ছেলেদের জন্য এটা খুব কষ্টকর। কারণ শরীরের অতিরিক্ত ওজন আমাদের অনেক দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয় এবং অনেক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে স্বস্তি পাওয়া যায় না। তাই আমরা অনেকেই অনেক রকম ঘরোয়া পদ্ধতি আবার অনেক রকম হারবাল ও আয়ুর্বেদ ঔষধ আছে যেগুলো সেবন করার ফলে আমাদের এই অতিরিক্ত ওজন কমাতে চেষ্টা করে থাকি।


মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে আমরা অনেক বেশি বেশি পরিমাণে পানি পান করতে পারি আমরা খাদ্যাভাসে আঁশযুক্ত খাবার খেতে পারি এবং কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে তবে আমাদের ওজন কমবে। এছাড়াও আমরা প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর জন্য আমরা গ্রিনটি ব্ল্যাক কফি এবং আরো শরীর চর্চা অর্থাৎ ব্যায়াম করতে পারি তাহলে আমাদের ওজন দ্রুত কমানো সম্ভব।

ওজন কমানোর খাবার তালিকা

ওজন কমানোর জন্য আমরা প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করে থাকে আবার বিভিন্ন রকমের জগিং করে থাকি এতে করে আমরা অনেক উপকার পেয়ে থাকি। কিন্তু এগুলো করলেই হবে না এর পাশাপাশি আমাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ও কিছু খাবার রাখা দরকার যেগুলো আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তাই আজকে আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের ওজন কমানোর খাবার তালিকা সম্পর্কে আপনাদের বলবো। ওজন কমানোর জন্য এ খাবারগুলো আমাদের প্রতিদিনের খাবার হিসেবে বেছে নেওয়া উচিত।


ওজন কমানোর জন্য আমরা প্রতিদিন সালাদ খেতে পারি। এই সালাদ আমরা টমেটো, ক্যাপসিকাম ,শসা ,গাজর, বিট এবং বাঁধাকপি দিয়ে তৈরি করে খেতে পারি তাহলে এগুলো আমাদের অনেক উপকারে আসবে কারণ এই সবজিগুলোতে অনেক ক্যালরি কম থাকে যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে। আবার আমরা বিস্কুটের পরিবর্তে আঙ্গুর আপেল এবং কমলা লেবু খেতে পারি এই ফলগুলো আমাদের অনেক শক্তি যোগাবে এবং আমাদের পেট ভরা রাতে সাহায্য করবে। কারণ বিস্কুটে থাকে অনেক উচ্চ মাত্রার ক্যালরি

তাই আমাদের বিস্কুট খাওয়া ঠিক না। আমাদের খাবার তালিকায় আমরা গরুর দুধ থেকে তৈরি দই রাখতে পারি কারণ গরুর দুধ থেকে তৈরি হয়ে আছে অর্থাৎ প্রতি ১০০ গ্রাম দইয়ে আছে ৫৬ ক্যালরি আবার দই হল প্রোটিন, ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামের উৎস এছাড়াও আরো অনেক পুষ্টিকর অনেক উপাদান আছে দই এ। আপনারা অঙ্কুরিত ছোলা বীজও খেতে পারেন কারণ এই ছোলা বীজে আছে অনেক ফাইবার ও ভিটামিন যা আমাদের পেট ভরা রাতে সাহায্য করে এবং এটা আমাদের 

স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।এছাড়া আমাদের ওজন কমানোর জন্য বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে কারণ পানি পান করার ফলে আপনাদের দেহে কোন রকম ক্যালরি প্রবেশ করবে না অর্থাৎ পানিতে কোনরকম ক্যালোরি থাকে না। বেশি বেশি পানি পান করার ফলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং পানি আমাদের পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে থাকে। আমরা ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় ডিম রাখতে

পারি ডিমে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ,আয়রন এবং অ্যামিনো এসিড ইত্যাদি আরো অনেক উপাদান আবার আমরা সেদ্ধ বা হাপ সেদ্ধ ডিম খেতে পারি।আমরা ওজন কমানোর জন্য মাছের তেল খেতে পারি কারণ মাছের তেলে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এই উপাদানটি আমাদের দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না। আবার আমরা ওজন কমাতে চাইলে মুরগির মাংস খেতে পারি কারণ মুরগির মাংসে আছে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের পুষ্টির যোগান দিতে

সাহায্য করবে এবং ওজন কমবে। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আমরা ডিম, মুরগির মাংস ,সবুজ শাকসবজি, মাছ, ফুলকপি, ব্রকলি, বাঁধাকপি, ছোলা ও বাদাম ইত্যাদি খাবার গুলো রাখতে পারি। কারণ এই খাবারগুলোতে অনেক প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে এই খাবারগুলো খেলে আমাদের শরীরের ওজন দ্রুত কমতে শুরু করবে।

প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

আপনারা যদি প্রতিদিন এক কেজি করে দ্রুত ওজন কমাতে চান তাহলে আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনারা কিভাবে দ্রুত প্রতিদিন এক কেজি করে ওজন কমাতে পারবেন সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনারা শুনে হয়তো অবাক হবেন যে প্রতিদিন আবার এক কেজি করে ওজন কমানো যায় নাকি হ্যাঁ অবশ্যই যাবে কিন্তু তার জন্য আপনাকে এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে তাহলে আপনি আপনার ওজন কমাতে পারবেন প্রতিদিন এক কেজি করে

বেশি বেশি পানি পান করাঃ আপনি আপনার ওজন প্রতিদিন ১ কেজি করে কমাতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে। পানি যে আমাদের শরীরের ওজন কমাতে এবং মেদ কমাতে সাহায্য করে তা নয় এটা আমাদের দেহ থেকে টক্সিন এবং শর্করাকে বের করে দিতে সাহায্য করে এর ফলে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। আবার আমাদের হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়।

গ্রিন টি পান করাঃ আমরা ওজন কমাতে প্রতিদিন গ্রিন টি পান করতে পারি অর্থাৎ আমরা কালো চা এবং দুধ চা কফি খাওয়ার পরিবর্তে গ্রিন টি পান করতে পারি এটা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে। গ্রিন টি খাওয়ার ফলে আমাদের পাচনতন্ত্রের জমে থাকা কতগুলো ক্ষতিকর খাদ্য গুন শরীর থেকে বের হয়ে যাবে এবং আমাদের দেহকে চর্বি মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। কালো চা ও কফিতে অনেক ক্যালরি থাকে এবং এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

বেশি পরিমাণে শাকসবজি এবং ফল খাওয়াঃ আপনারা যদি ওজন কমাতে চান তাহলে বেশি বেশি করে শাকসবজি এবং ফল খেতে পারেন। বিনস জাতীয় শাকসবজিতে অনেক প্রোটিন থাকে তাই এই জাতীয় শাক সবজি পরিহার করুন। পরিমাণে অল্প প্রোটিনযুক্ত শাকসবজি খেতে পারেন অর্থাৎ শাক-সবজি এবং ফলে প্রোটিনের মাত্রা কম থাকে আর এই প্রোটিন আমাদের শরীরে চর্বি জমার কারণ হতে পারে।

শসা খাওয়াঃ শসা হচ্ছে একটি সবজি যা আমাদের শরীরটাকে অ্যালকালাইন মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। শসা খাওয়ার ফলে আমাদের পেট অল্পতেই ভরে যায় এবং এর ফলে আমাদের অল্প খাবার খাওয়ার অভ্যাস হয়ে যায় অর্থাৎ আমাদের ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করাঃ আমাদের সবসময় খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত কারণ খাওয়া-দাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের ওজনটা বেড়ে যায় অর্থাৎ আমাদের তেলেভাজা ফাস্টফুড দুধ মিষ্টি অ্যালকোহল জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে তবে আমাদের ওজন কমানো সম্ভব হবে।

শরীরের ঘাম ঝরানোঃ আমরা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন শুধু খাবার নিয়ন্ত্রণ করে কমাতে পারবো তা না এর জন্য আমাদের শরীরের ঘাম ঝরাতে হবে প্রচুর পরিমাণে অর্থাৎ আমাদের দৌড়ানো হাটাহাটি করা জগিং করা সাঁতার কাটা এক্সারসাইজ করা ইত্যাদি কাজগুলো করতে হবে যাতে করে আমাদের শরীর থেকে অনেক ঘাম ঝরতে পারে এগুলো করলে আমাদের শরীরের জমে থাকা চর্বি গলতে শুরু করবে এবং আমাদের ওজন কমে যাবে।

ঠিক মত ঘুমানোঃ আমাদের ওজন কমানোর জন্য রাতের বেলা কম করে সাত ঘন্টা ঘুমাতে হবে। বেশি রাত জাগার অভ্যাস থাকলে তা আজই পরিহার করুন এই কাজগুলো করার পরে আপনি সকালবেলা আপনার ওজন মেপে দেখুন আপনার ওজন অবশ্যই কম হবে।

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ঔষধ

বর্তমান সময়ে এখন বাজারে ছেলে-মেয়ে উভয়ের ওজন দ্রুত কমানোর জন্য অনেক রকমের ঔষধ পাওয়া যায় যেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করার ফলে আপনার শরীরের ওজন দ্রুত কমতে থাকবে। নিচে এ সকল ঔষধের কয়েকটি নাম এবং দাম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। এই ঔষধ গুলো ব্যবহার করার ফলে আপনারা খুব সহজেই আপনাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারবেন। তবে আসল জানা যাক মেয়েদের ওজন কমানোর ওষুধের নাম

জিরোফ্যাট ১২০ এম জিঃ এই ওষুধটি মেয়েদের ওজন কমানোর জন্য অনেক ভালো একটা ওষুধ। তবে এই ওষুধটি বেশি মাত্রায় সেবন করার ফলে আপনার নেশা হয়ে যেতে পারে কারণ এই ওষুধটি একটি ড্রাগ এডিক্টেড ওষুধ। এ জন্য এই ঔষধটি নিয়ম করে সেবন করার ফলে আপনার ওজন সহজেই কমে যাবে।

নোফ্যাট ১২০ এম জিঃ এই ওষুধটিও আমাদের শরীরের ওজন কমানোর জন্য একটি কার্যকরী ওষুধ। এই ওষুধটি আপনি মোটা হয়ে গেলে আপনার শরীরের ওজন কমানোর জন্য সেবন করতে পারেন কিন্তু অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে এই ওষুধটি ব্যবহার করতে হবে।

ফ্যাট বার্নারঃ এই ওষুধটি আপনি বড় বড় ওষুধের দোকানে পেতে পারেন। এই ওষুধটির সাথে ড্রাগ এডিক্টেড জিনিস মেশানো হয়ে থাকে শরীরের চর্বি কমানোর জন্য। তাই আমাদের এই ওষুধটি পরিমিত পরিমাণে সেবন করা উচিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।

স্টিমুলান্টঃ এই ওষুধটি একটি বিদেশি কোম্পানির ওষুধ অর্থাৎ বাহিরের দেশের এই ঔষধটি এজন্য আপনি সব জায়গায় পাবেন না এজন্য আপনাকে বড় বড় ঔষধের দোকানে খোঁজ নিতে হবে কিন্তু এই ওষুধের ব্যবহার করার ফলে আপনার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও দেখা দিতে পারে এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

এডিপোনিলঃ এডিপোনিল হচ্ছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ কোম্পানির একটি ঔষধ এবং এই ওষুধের দাম মাত্র ৪০ টাকা।

Olistat: এই ওষুধটি একটি স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ এই ওষুধের দাম ৬০ টাকা।

স্লিমফাস্টঃ এই ওষুধটি মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর জন্য একটি ঔষধ যা হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ কোম্পানির ঔষধ এবং এই ওষুধটির দাম ৫০ টাকা।

এছাড়াও ওজন কমানোর জন্য কিছু আয়ুর্বেদিক ঔষধ আছে যেগুলো অনেক কার্যকরি হতে পারে এগুলোর মধ্যে আছে

লোফ্যাটঃ এই ওষুধটি প্রস্তুত করেছে এ বি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি এবং এই ওষুধটির নাম হচ্ছে ৮৬০ টাকা এবং এতে আছে ৫০ টি ক্যাপসুল।

ফ্যাট রিডিউসারঃ এই ওষুধটি প্রস্তুত করেছে মার্কো ইউনানী ফার্মা কোম্পানি এবং এই ওষুধটির দাম হচ্ছে ৪৫০ টাকা। এতে আছে ৩০ টি ক্যাপসুল।

হালাক্সঃ এই ওষুধটি তৈরি করেছে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ কোম্পানি এবং এই ওষুধটির দাম হচ্ছে ১০০ টাকা যার মধ্যে আপনারা পেয়ে যাবেন ৫০ টি ক্যাপসুল।

নবীন চিরতাঃ এই ওষুধটির মধ্যে আছে ৫০ টি ক্যাপসুল যা আপনারা মাত্র ১৫০ টাকা দামে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আরো অনেক বিদেশী ওষুধ আছে যেগুলো খাওয়ার ফলে আপনাদের ওজন কমে যাবে তবে সব ওষুধ গুলোই আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে পারবেন তা না হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

আমরা মেয়েরা আমাদের দ্রুত ওজন কমানোর জন্য আমরা ঘরে বসেই অনেক উপকরণ ব্যবহার করে আমাদের ওজন কমাতে পারি। আমরা খাবারে ডায়েট কন্ট্রোল করে আবার ঘরোয়া পদ্ধতিতে পরিশ্রম করে অর্থাৎ ব্যায়াম করে ওজন কমাতে পারি। এর জন্য আমাদের কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে তবে আসুন জানা যাক মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় কি কি আছে সেগুলো সম্পর্কে

বেশি বেশি পানি পান করাঃ মেয়েদের ওজন দ্রুত কমানোর জন্য বেশি বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে খাবার খাওয়ার আগে আমাদের বেশি বেশি পানি পান করা উচিত। পানি পান করার ফলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং হজম প্রক্রিয়া ভালো হয় আমাদের শরীরের ক্যালরি কমতে থাকে আমাদের পেট ভর্তি থাকতে সাহায্য করে এজন্য আমাদের বেশি বেশি পানি পান করা উচিত ওজন কমানোর জন্য।

রোজা রাখাঃ রোজা রাখার মাধ্যমেও আমরা মহিলারা আমাদের ওজন কমাতে পারি। বিরতিহীন ভাবে রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন দ্রুত কমতে থাকবে রোজা রাখার ফলে আমারা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি এতে করে আমাদের ওজন কমতে থাকবে।

লেবু পানি পান করাঃ আমরা আমাদের ওজন দ্রুত কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস ভালোভাবে একসাথে করে মিশিয়ে খেতে পারি এতে করে আমাদের চর্বি ঝরতে শুরু করবে এবং ওজন কমতে থাকবে।

আঁশযুক্ত খাবার খাওয়াঃ আমরা ওজন কমাতে চাইলে আমাদের খাবার তালিকায় প্রতিদিন আঁশযুক্ত খাবার থাকতে হবে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং আমাদের ওজন কমতে থাকে।

গ্রিন টি পান করাঃ আমাদের অর্থাৎ মেয়েদের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি পান করার অভ্যাস করা উচিত কারণ গ্রিনটিতে ক্যাবিনের মাত্রার পরিমাণ কম থাকে এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে অনেক এগুলো আমাদের শরীর থেকে মেদ কমাতে সাহায্য করে থাকে।

ফল এবং শাকসবজি খাওয়াঃ গবেষণা থেকে দেখা যায় যে বেশি বেশি পরিমাণে ফল এবং শাকসবজি খেলে আমাদের শরীরে ফাইবার, ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ হয় যেগুলো আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে নিয়ে দেয় এবং পেটের চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে এবং এর ফলে আমাদের ওজন কমে।

ব্যয়াম করাঃ মেয়েদের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে যেমন হাটা হাটি করা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা সাঁতার কাটা জগিং করা ইত্যাদি এগুলো করার ফলে অনেক ক্যালরি ঝরতে থাকে যার ফলে আমাদের ওজন কমতে থাকে।

কার্বোহাইড্রেট খাবার পরিহার করাঃ মেয়েদের ওজন দ্রুত কমানোর জন্য কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে অর্থাৎ তেলে ভাজা খাবার, ফাস্টফুট জাতীয় খাবার, মিষ্টি, বিস্কুট, আলু ,কোমল পানীয়, পাউরুটি ও চিনি এগুলো পরিহার করা উচিত তবেই ওজন কমানো সম্ভব।

ব্ল্যাক কফি খাওয়াঃ মেয়েরা অনেকেই আছে যারা চেনে যুক্ত করে কফি ও চা খেতে পছন্দ করে কিন্তু এগুলো খাওয়ার ফলে মেয়েদের ওজন অনায়াসে বেড়ে যায় তাই এগুলোর পরিবর্তে ব্ল্যাক কফি খাওয়া উচিত কারণ এই ব্ল্যাক কফিতে আছে ওজন কমানোর সক্রিয় উপাদান। যা আপনাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে ৫০ শতাংশ পরিমাণে এবং পেটের চর্বি ঝরাতে সাহায্য করবে।

থাইরয়েড রোগীর ওজন কমানোর উপায়

কোন ব্যক্তির যদি থাইরয়েড এর সমস্যা থাকে তাহলে তার পক্ষে ওজন কমানো একটু কঠিন হয়ে পড়ে কিন্তু তা অসম্ভব কিছু না একটু নিয়ম মেনে চললে থাইরয়েড থাকা সত্ত্বেও আপনি আপনার ওজন কমাতে পারবেন। থাইরয়েড হলে সেই ব্যক্তির বিপাকীয় হার কিছুটা কম হয় এর ফলে ব্যক্তির হজমের সমস্যা দেখা দেয় যার ফলে ওজন বাড়তে থাকে। কিন্তু থাইরয়েড থাকা শর্তেও আপনি আপনার ওজন কমাতে পারবেন যদি কিছু নিয়ম এবং উপায় মেনে চলেন তাহলে সেগুলো হল

আপনার পেট খালি না রাখাঃ থাইরয়েড আছে এমন ব্যক্তির পেট খালি রাখা যাবে না কিছুক্ষণ পর পর এ অল্প করে খাবার খেতে হবে একেবারে বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়া যাবেনা। আপনার পেটে খালি থাকলে এতে করে আপনার ওজন কমার বদলে দ্বিগুণ ওজন বেড়ে যেতে পারে।

মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস না করাঃ থাইরয়েড আছে এমন ব্যক্তির মিষ্টি খাওয়াতে কোন অসুবিধা নেই তবে ওজন কমাতে চাইলে সেই ব্যক্তির মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস না করাই ভালো। যত মিষ্টি কম খাবে তত ভালো ওজন কমানোর জন্য।

শরীরচর্চা করাঃ থাইরয়েড রোগীদের ওজন কমানোর জন্য শরীরচর্চা করা উচিত এর কোন বিকল্প নেই ওজন কমানোর জন্য এর জন্য আপনি বাড়িতে অথবা জিমে গিয়ে কিছু পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করে শরীরচর্চা করতে পারেন এটা করা আপনার জন্য জরুরী।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোঃ ওজন কমানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো উচিত ঘুমের অভাব হলে স্থূলতার কারণ হতে পারে। আমাদের ঠিকমত ঘুম হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং ঘুম কম হলে এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কোমল পানীয় এড়িয়ে চলাঃ কোমল পানি ও গুলো খেতে ভালো লাগলেও এগুলো আমাদের পানকরা থেকে দূরে থাকা উচিত ওজন কমানোর জন্য কারণ এগুলোতে অনেক পরিমাণে ক্যালরি থাকে যার ফলে আমাদের ওজন বেড়ে যেতে পারে। আর থাইরয়েড থাকলে এই পানিওগুলো কখনোই খাওয়া উচিত নয়।

প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়

আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেকেই কম পরিমাণে খেয়ে থাকি আবার অনেকে আছে খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে জিমে অথবা বাড়িতে অনেক সময় ধরে ব্যায়াম করে থাকি এতে করে আমাদের শরীর থেকে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টির পরিমাণ কমে যায় যার ফলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে এবং আমরা অপুষ্টিতে ভুগতে পারি। এই কাজগুলো না করেও আমরা আমাদের ওজন প্রাকৃতিক উপায়ে কমাতে পারি সেগুলো হল

খাবার বাছাই করাঃ ওজন কমানোর জন্য আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনি কোন খাবারগুলো খেলে অনেকক্ষণ আপনার পেট ভর্তি থাকে এবং আপনার খোদা কম লাগে সেই খাবারগুলো খেতে হবে যেমন গমের আটার রুটি এবং সবজি খেতে পারেন। আবার আপনি তেল মসলাযুক্ত খাবার না খেয়ে বাড়িতেই কম মসলা দিয়ে রান্না করে খাবার খেতে পারেন এটা আপনার জন্য অনেক ভালো হবে ওজন কমানোর জন্য। শস্যজাতীয় খাবার খেতে পারেন 

এগুলো আপনাদের বিভাগ প্রক্রিয়া সহজ এবং স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে এবং শক্তি যোগাবে এর ফলে আপনার ক্ষুধার তীব্রতা কম হবে। আপনি মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন আপনি চিনি ছাড়া ফলের জুস খাবার অভ্যাস করতে পারেন অনেক পরিমানে ফল এবং শাকসবজি খেতে পারেন এগুলো আপনাকে অনেক ভালো রাখবে এবং আপনার ওজন কমানোর জন্য খুব কার্যকরী হবে।

পানি পান করাঃ আপনার ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো হাতিয়ার হতে পারে প্রচুর পানি। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার ফলে আপনার হজম প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং আপনার ক্ষুধা কম লাগবে পেট ভর্তি থাকবে এভাবে আপনি নিয়মিত পানি পান করার ফলে আপনার ওজন কমতে থাকবে।

লিফটকে না বলাঃ আমরা অনেকেই আছে যারা সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করার বদলে লিফট দিয়ে ওঠা নামা করতে পছন্দ করে থাকি কিন্তু এতে করে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে আমরা যদি একটু কষ্ট করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করে বহু তল ভবনে উঠতে চেষ্টা করি তাহলে আমাদের জন্য তা ভালো হবে কিছুদিনের মধ্যে আমাদের শরীরের ওজন কমতে থাকবে এভাবে ওঠানামা করার ফলে।

ধীরে ধীরে খাবার খাওয়াঃ ওজন কমানোর জন্য আমাদের ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া উচিত এবং অনেক সময় নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে চিবিয়ে চিবিয়ে খাবার খাওয়া উচিত এতে করে খাবারে থাকা ক্যালরির পরিমাণ কমতে থাকবে।

লেখক এর মন্তব্য

এখানে ম্যাক্সিমো ইনফো আপনাদের জন্য অর্থাৎ বিশেষ করে মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় এবং প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেক মতামত দিয়েছে যেগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হতে পারবেন এবং সঠিক তথ্য পাবেন। তাই এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনারা এই পোস্টটি পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং আরো তথ্য পেতে এই পেজটি ফলো করতে পারেন এবং কমেন্টে জানাতে পারেন কেমন হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url