পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতার কথা বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা হয়তো পেয়ারা খাওয়ার
অপকারিতার কথা
ও পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন
কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাননি আমার এই পোস্টটির মাধ্যমে আমি এ সকল বিষয়ে আলোচনা
করেছি এ বিষয়ে পড়ে হয়তো আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন তাই দয়া করে আমার এই
পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আমার এই পোস্টটির মাধ্যমে আমি এখানে পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতার কথা, পেয়ারা
পাতা পেয়ারা পাতার উপকারিতা, পেয়ারা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় ও
গর্ভবতী মায়েদের পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় নিয়ে
আলোচনা করেছি এটা পড়ে আপনারা হয়তো অনেক সমস্যা সমাধান পেতে পারেন তাই
আপনাদের সবাইকে এই পোস্টটি পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।
ভূমিকা
এখানে আমি পেয়ারার পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য ও উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।
পেয়ার হাতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক রাসায়নিক উপাদান ও ফাইবার আর খনিজ
পদার্থ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি রয়েছে পেয়ারা খেলে চুল পড়া কমতে পারে
রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে ডায়রিয়া হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।এলার্জিজনিত সমস্যা দূর হয় দাঁত ও মাড়ি ভালো থাকে
স্তন ক্যান্সার মাথাব্যথা কম হয়।পেয়ারা আমাদের জন্য অর্থাৎ ছোট বড় সবার জন্য
একটা উপকারী ফল।
এছাড়া আরো অনেক উপকারিতার কথা বর্ণনা করা হয়েছে খালি উপকারিতা এর পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়াও আছে এটাও বর্ণনা করা হয়েছে এই পোস্টের মাধ্যমে। পেয়ারা খাওয়ার
সঠিক নিয়ম পেয়ারা পাতার উপকারিতার কথা এবং পেয়ারা পাতা কি কি কাজে লাগে
ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
পেয়ারা গাছ ও পাতার উপকারিতা
পেয়ারা গাছ ও পাতার অনেক উপকারীতা রয়েছে তা অনেকেই জানে না হয়তো পেয়ারা গাছ
দাঁতের মাজন হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়
পেয়ারা গাছ যখন মরে শুকিয়ে যায় তখন এটাকে আমরা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করি
এর পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় পেয়ারা পাতার উপকারিতা গুলো হল
- পেয়ারা পাতা চুল পড়া সারতে সাহায্য করে।
- কফ কমাতে ও সাহায্য করে।
- পেয়ারা পাতার চা বানিয়ে খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।
- পেয়ারা পাতার চা বানিয়ে খেলে ডায়রিয়া হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- রক্তকে ঘন হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- এলার্জিজনিত সমস্যা দূর করে।
- স্তন ক্যান্সার জরায়ু ক্যান্সার ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।
- পেয়ারা পাতা ওজন কমাতে ও পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
- পেয়ারা পাতা শরীরের পরিপাকে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- পেয়ারা পাতাতে ভিটামিন সি রয়েছে এটা মুখের ব্রণ সারতে ব্যবহার করে।
পেয়ারা গাছের বৈশিষ্ট্য
পেয়ারা গাছ বহু বর্ষ জীবী দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ। পেয়ারার ফুল উভ লিঙ্গ হয়
এরপরে পাঁচটি পাপড়ি পাঁচটি বৃত্তাংশ থাকে ফলে বীজ থাকে। পেয়ারা খেতে খুব
সুস্বাদু ও মিষ্টি হয়। আমাদের দেশে অনেক প্রজাতির পেয়ারা গাছ পাওয়া যায় এর
মধ্যে রয়েছে কাজী পেয়ারা ললিত পেয়ারা হাই পেয়ারা এলাহাবাদ সফেদা আপেল রং
পেয়ারা ইত্যাদি।পেয়ারা গাছ অত্যন্ত খরা বা তাপমাত্রা সহনীয় একটি গাছ এই গাছ
ঠান্ডা বা গরম উভয় অঞ্চলে চাষ করা যায়।
পেয়ারা গাছ ৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা সহ্য করতে সক্ষম। অনেক প্রজাতির
পেয়ারার মধ্যে লাল রং হয়। পেয়ারা গাছ আকারে বড় হয় আবার অনেক পেয়ারা গাছ
মাঝারি আকারেরও হয়। পেয়ারা গাছের ডাল পালা ছড়িয়ে থাকে। শেখর মাটির নিচে
মাটি আঁকড়ে ধরে থাকে । আমাদের দেশে ১০০ এরও বেশি প্রজাতির পেয়ারা গাছ আছে।
পেয়ারা গাছ দেখতে মাঝারি আকারের হয় এরা খুব বেশি বড় হয় না ডালপালা যুক্ত
গাছ।
পেয়ারা ফলের উপকারিতা
হজম শক্তি বাড়াতেঃ পেয়ারা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এটাতে
ফাইবার রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে যাদের ঠিক মত পায়খানা হয় না তারা নিয়মিত
একটি করে পেয়ারা খান।
চোখের সমস্যা দূর করতেঃ পেয়ারাতে ভিটামিন এ থাকে যা চোখের ছানি
পড়া রোধ করে দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতেঃ পেয়ারা খেলে ওজন কমে পেয়ারা তে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন সি রয়েছে এতে করে ত্বক ভালো থাকে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয় শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
মুখের ভেতরে স্বাস্থ্য রক্ষায়ঃ পেয়ারা মুখের ভেতরের অর্থাৎ দাঁত
ও মারির জন্য খুবই উপকারী পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেলে দাঁত ও মারি ভালো থাকে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ স্তন ক্যান্সার রোধ করার জন্য প্রতিদিন
অন্তত একটি করে পেয়ারা খাওয়া উচিত। এটা রক্তে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বজায়
রাখে। পেয়ারার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
উচ্চ রক্তচাপের কমায়ঃ পেয়ারার মধ্যে এমন অনেক গুন আছে যা উচ্চ
রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় যাদের সোডিয়াম ও পটাশিয়াম স্তরে কোনরকম সমস্যা আছে
তারা পেয়ারা খেতে পারেন এটা হৃদরোগের ঝুকি কমায়।
মানসিক চাপ কমায়ঃ পেয়ারা খেলে মানসিক চাপ কমে স্ট্রোকএর মত
সমস্যা দূর হয় গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খাওয়া উচিত এতে
করে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
পেয়ারার মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে এজন্য পেয়ারাকে
সুপার ফুড বলা হয় এখন সারা বছর বাজারে পেয়ারা পাওয়া যায় পেয়ারাতে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে আমলকিতে যে ভিটামিন সি রয়েছে এরপরে পেয়ারার স্থান
এর পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা জানুন নিচেপেয়ারাতে প্রচুর ভিটামিন সি আছে
একটি ১০০ গ্রাম পেয়ারা তে মোট ১৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে এটা ঠান্ডা কাশি
শ্বাসতন্ত্র গলা ফুসফুস ইত্যাদিকে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।
রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে হার্ট ভালো রাখে।ডাইবেটিস ডায়রিয়া ক্যান্সার ইত্যাদি
আরো নানা ধরনের রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে এ পেয়ার পেয়ারা খেলে ত্বক
ভালো থাকে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ে হজম শক্তি বাড়ে। পেট ফাঁপা কমে। ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতা রয়েছে এই পেয়ারার।পেয়ারাতে রয়েছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এন টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।
বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজে লাগে শরীরের মধ্যে বাস
করে নানা প্রকারের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে বিভিন্ন
রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এসব নানা দিক বিবেচনা করে বলা যায় যে
পিয়ারা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ও এর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই আমাদের
প্রতিদিন অন্তত একটি করে হলেও পেয়ারা খাওয়া উচিত ছোট বড় বাচ্চা গর্ভবতী
মহিলা দেরও খাওয়া উচিত।
পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা
সর্দি কাশি হতে পারেঃ যারা প্রায় এই সর্দি কাশিতে ভোগে থাকেন
তাদের বেশি পরিমাণে পেয়ারা খাওয়া উচিত নয় এতে করে সমস্যা আরও বাড়তে পারে
কারণ পেয়ারা ঠান্ডা।
গর্ভবতী মহিলাদেরঃ গর্ভবতী মহিলাদের অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে খাওয়া
উচিত নয় এতে করে তাদের হজমে সমস্যা হতে পারে ডাক্তারের পরামর্শ মতে খাওয়া
উচিত।
পেট খারাপ হতে পারেঃ পেয়ারা পাতার রস বেশি পরিমাণে খেলে পেট খারাপ
হতে পারে এতে করে হজমের প্রবলেম দেখা দিবে ডায়রিয়া হতে পারে। মাথা ব্যথা ও
কিডনির সমস্যা হতে পারে।
পেট ফোলাঃ পেট ফুলে যেতে পারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে করে
হজমে সমস্যা হতে পারে এবং পেটে ফুলে যেতে পারে। পেয়ারাতে চিনি থাকে। এটি
গ্যাসের ও কারণ হতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদেরঃ ডায়াবেটিসের রোগীদের বেশি পরিমাণে পেয়ারা
খাওয়া উচিত না কারো পেয়ারাতে শর্করা থাকে এদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে
দিতে পারে এতে রোগীদের অনেক সমস্যা হতে পারে।
দাঁতের সমস্যাঃ বেশি পরিমাণে পেয়ারা খেলে দাঁতের সমস্যা হতে পারে
অনেকে পাকা পেয়ারা ও সুস্বাদু বলে বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলে এতে করে দাঁত এর
সমস্যা হয় দাঁতের গোড়া ফুলে যায়।
এলার্জি জনিত সমস্যাঃ বেশি পরিমাণে পেয়ারা খেলে তোকে জ্বালা ভাব
সৃষ্টি হয় এতে করে তোকে এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম
পেয়ারা একটি সুস্বাদু ফল এই ফলটি খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই ভালো
প্রতিনিয়ত যদি আমরা নিয়ম করে পেয়ারা খায় তাহলে আর এটি আমাদের শরীরে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে শরীরকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে। ভিটামিন সি পাব
এছাড়া আরো অনেক পুষ্টি কোন পিয়ারার মধ্যে রয়েছে তাই শরীরকে ভালো রাখার
জন্য।আমাদের প্রতিনিয়ত নিয়ম করে পেয়ারা খাওয়া উচিত ভারী খাবার গ্রহণ করার
পরে অর্থাৎ দুপুরবেলা ভারী খাবার গ্রহণ করার পরে পেয়ারা খাওয়া ।
একবার ভারী খাবার খাওয়ার পর দ্বিতীয় বার ভারী খাবার খাওয়ার আগে অর্থাৎ এর
মাঝামাঝি সময় এ পেয়ারা খাওয়া উচিত। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার গ্লুকোজ
ও এনার্জি রয়েছে তাই যাদের পেয়ারা খেলে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়বলে মনে
করেন তারা একটি পেয়ারা খাওয়ার পরিবর্তে অর্ধেক করে কেটে অর্ধেক
খেতে পারেন। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তারা ব্যায়াম করার আগে অথবা পরে
পেয়ারা খেতে পারেন। পুষ্টি উপাদান পাবার জন্য আমাদের নিয়ম করে পেয়ারা খাওয়া
উচিত ।
লেখক এর মন্তব্য
আপনাদের সবার কাছে যদি ম্যাক্সিমো ইনফোর এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে
অর্থাৎ পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা পেয়ারার কি কি পুষ্টি গুন আছে
ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আপনারা সবাই আপনাদের পরিচিতদের সাথে
বন্ধুদের সাথে আত্মীয়দের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন যাতে সবাই এটা পড়ে
কিছু উপকৃত হতে পারে। ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url