বাংলাদেশের কৃষির আধুনিকায়নের উপায় জানুন

আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষির আধুনিকায়নের উপায় গুলো এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব ২০২২ এছাড়াও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির ভূমিকা সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে আপনাদের জানাবো এ সকল তথ্য জানার জন্য আপনারা এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
বাংলাদেশের কৃষির আধুনিকায়নের উপায় গুলো জানুন
আজকে আমি এই পোস্টটিতে বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নের কথা বলব এছাড়াও বাংলাদেশের কৃষির আধুনিকায়নের উপায় গুলো এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব ২০২২ কৃষিতে বাংলাদেশের অবস্থান এবং সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছি। এ সকল বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং অন্য কেউ সহযোগিতা করতে পারবেন। আমাদের দেশ কিভাবে খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন হল কৃষি ক্ষেত্রে তার অবদান কতটুকু ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভূমিকা

আমাদের বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ কিন্তু আয়তনে ছোট তারপরেও আমাদের দেশ কৃষি পণ্যের উৎপাদনের দিক থেকে অনেক এগিয়ে আছে আমাদের দেশের সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এবং কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য। কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য আমাদের দেশ এখন খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং আমাদের দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সম্ভব হচ্ছে এবং আমাদের দেশ এখন অনেক খাদ্যশস্য ফসল বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। ধান চাল উৎপাদনে এখন আমাদের বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে


আছে এছাড়াও আরো অন্যান্য কৃষি পণ্য ফসল উৎপাদনের দিকে থেকে শীর্ষ ১০ তালিকায় আছে আমাদের বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমাদের দেশের কৃষি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে কর্মসংস্থানের জন্য এবং দেশের ৮০ শতাংশ পরিবারের মানুষের খাদ্যের যোগান দিয়ে থাকে এই কৃষি খাত। আমাদের দেশে এখন কৃষি পণ্যের অনেক উপকরণ ব্যবহার করে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এগুলো থেকে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে। কৃষি পণ্যের সাথে সম্পৃক্ত প্রায় ৭০০টি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান আছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির ভূমিকা

আমাদের দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই কৃষি কাজের সাথে জড়িয়ে আছে আর এসব মানুষের মধ্যে বেশিরভাগই বাস করে গ্রামে। কৃষি আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে কারণ কৃষি এখন আর ধান ও পাট উৎপাদন করা হয় না কৃষিতে এখন অনেক ফসল উৎপাদন করা হয় এগুলো আমাদের যেমন খাদ্য শস্যের চাহিদা মেটাতে পারছে এবং এগুলো বিদেশে রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। দেশে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে এবং মানুষ অল্প পুজিতে


কৃষি পণ্য নিয়ে কাজ করে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এখন অনেক বহুমুখী উৎপাদনশীল বিভিন্ন কৃষিজ পণ্য ব্যবহার করে মানুষ বিভিন্ন ধরনের কৃষি খামার গড়ে তুলছে যেমন খাদ্য-পণ্য এবং কৃষিজ উৎপাদনের মাধ্যমে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ছোট বড় অনেক ব্যবসা শুরু করতে পারছে এবং বিভিন্ন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান বা শিল্প গড়ে তুলতে পারছে। এ সকল বহুমুখী কর্মক্ষেত্রের জন্য মানুষ এখন কৃষি শিল্পের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে এবং এর জন্য সম্প্রসারণ করা সম্ভব হচ্ছে কৃষি ক্ষেত্রের।

বাংলাদেশ এখন বিভিন্ন কৃষি ভিত্তিক ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প খাতের জন্য গুরুত্ব দিচ্ছে। এখন মুরগি, মাছ ,ফসল, দুধ, ফল ও সবজি ইত্যাদি এছাড়া আরো অনেক কৃষিজ পণ্য এবং উপকরণের সমন্বয়ে মানুষ এখন বিভিন্ন শিল্প খাত গড়ে তুলছে। এখন আমাদের দেশে প্রায় ৭০০ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আছে আর এর সকল প্রতিষ্ঠানগুলো বেশিরভাগই কৃষি পণ্যের সাথে সম্পৃক্ত। এখন আমাদের দেশে ঝিনুক ,বেত,বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন রকমের জিনিস তৈরি করা হচ্ছে এবং শীতলপাটি

তৈরি করা হচ্ছে আমাদের দেশে আর এগুলো কৃষি পণ্যের বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। এছাড়াও আরো কিছু দিক থেকে শিল্প রয়েছে যেমন ডেইরি ফার্ম, মৎস্য হিমায়িতকরণ এবং প্রক্রিয়াকরণ ,পোল্ট্রি ফার্ম বিভিন্ন রকমের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ইত্যাদি। বাংলাদেশে এখন কৃষি পণ্যের এবং কৃষি ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছে আমাদের দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে কৃষি কারণ কিসের মাধ্যমে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। এখন আমাদের

দেশের প্রায় ৫৫% চাল আসে বোরো ধান থেকে এবং চাল রপ্তানিতে বাংলাদেশ এখন সুখ্যাতি পাচ্ছে। এখন আমাদের দেশের বিভিন্ন কৃষি সম্পন্ন অন্যান্য দেশে ব্যাপক চাহিদা পাচ্ছে। এ সকল কৃষিজ পণ্যের দ্বারা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার কারণে আমাদের দেশের বেকারত্ব সমস্যা দূর হচ্ছে এবং মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও হচ্ছে অনেক।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব ২০২২

আমাদের বাংলাদেশের মানুষ ও প্রধান প্রশাসন হচ্ছে কৃষি কাজ কারণ আমাদের বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষই কৃষি কাজের সাথে জড়িত এবং আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে কৃষির অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়ার কারণে এদেশে প্রায় শ্রমশক্তির ৬৫ ভাগ এবং জিডিপিতে কৃষির অবদান আছে ৩৩ ভাগ এবং আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলের ৮০ টি পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস হল কৃষি। নেটে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব বর্ণনা করা হলো

খাদ্যের যোগান দেয়ঃ আমাদের দেশের মানুষ খাদ্য যোগানের মূল উৎস কৃষি। কৃষি কাজের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন খাদ্য সরষে এবার ফসল ও সবজি উৎপাদন করে আর এটার থেকে আমরা খাদ্যের যোগান পেয়ে থাকি এবং খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে আমাদের পুষ্টি চাহিদা ও মিটিয়ে থাকি।

প্রধান পেশাঃ আমাদের দেশের মানুষের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল।

কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেঃ আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের একটা বড় ক্ষেত্রে হলো কৃষি ক্ষেত্র প্রায় ৬৪ ভাগ লোক নিয়োজিত থাকে।

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনঃ কৃষি কাজের দ্বারা বিভিন্ন যে শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং কৃষি পণ্যের বিভিন্ন জিনিস ফসল বিদেশে রপ্তানি করে এখন আমাদের দেশ বিভিন্ন ভাবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে আর কৃষি খাতে এর অবদান সবচাইতে বেশি।

বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ করাঃ বাংলাদেশের অনেক শিল্প আছে যেগুলো কৃষিজ পণ্যের ওপর নির্ভর করে যেমন কাগজ চিনি দিয়াশলাই চা এবং সিগারেট ইত্যাদি শিল্পের কাঁচামালের যোগান দিয়ে থাকে এই কৃষি ।

শিল্প পণ্যের বাজার সৃষ্টি করাঃ বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের শতকরা ৮০ ভাগ পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস হলো কৃষি। আর এ সকল কৃষি পণ্য বা দ্রব্য বিক্রি করার জন্য মানুষ বিভিন্নভাবে বাজার সৃষ্টি করে থাকে। এক্ষেত্রে বাজার সৃষ্টি করার জন্য নির্ধারক শক্তি হিসেবে কাজ করে কৃষি।

কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনঃ এখন বাংলাদেশে কৃষি ভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে বিভিন্ন খামার তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো করার ফলে এখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি দ্রুততরে হচ্ছে।

কৃষিতে বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৩

বাংলাদেশ আয়তনে ৯৪ তম স্থান দখল করেছে কিন্তু কম আয়তনের বেশ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশে ফসল উৎপাদন অনেক বেশি পরিমাণে বেড়েছে। বাংলাদেশ এখন ২২ টি কৃষি পণ্য উৎপাদনের দিক দিয়ে বিশ্বে ১০ দেশের তালিকার মধ্যে স্থান পেয়েছে । এ সকল কৃষি পণ্যের মধ্যে আছে চাল পেঁয়াজ চা আলু এবং মসুর ডাল এছাড়াও আছে বিভিন্ন রকমের ফল। গত এক দশকের মধ্যে বাংলাদেশ ফুলকপি ,কুমড়া এবং এর সমজাতীয় কিছু সবজির মত অনেক পণ্য উৎপাদনের দিক থেকে নতুন করে


নাম লিখিয়েছে শীর্ষ তালিকার মধ্যে। বাংলাদেশ এখন কৃষি পণ্য উৎপাদনের দিকে থেকে অবস্থানে আছে ১৪ তম এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে চীন ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র। এ সকল দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও এখন কৃষি পণ্য উৎপাদনের দিক থেকে অনেক ভালো অবস্থানে আছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে বিভিন্ন নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন এবং কলা কৌশল ব্যবহার করার মাধ্যমে যাতে করে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা যায় এবং সরকার ও বিভিন্নভাবে বিভিন্ন

কৃষকদের মাঝে ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছে যার জন্য কৃষকরা এ সকল ফসল উৎপাদনে অনেক ভালো ফলাফল বাংলাদেশের অবস্থান আরো এগিয়ে গেছে। ২০০১ সালে বাংলাদেশ ১১টি পণ্য উৎপাদনে শীর্ষ ১০ এ ছিল এবং ২০১১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭টিতে ২০২১ সালে ২২ টি পণ্য উৎপাদনের দিক থেকে শীর্ষ দশ তালিকার বাংলাদেশের নাম আছে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পাট, সুপারি ও শুকনা মরিচ উৎপাদন করার ক্ষেত্রে। তৃতীয় অবস্থানে আছে রসুন,ধান, চাল এবং চিনি জাতীয়

ফসলের ক্ষেত্রে। সুগন্ধিমশলা, বড়ই, জাম ,করমচা, লটকন এবং জাতীয় ফলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আছে চতুর্থ স্থানে। মসুর ডাল এবং কাঁঠাল ও লিচু উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। আলু, পেঁয়াজ, বেগুন, আদা, নারকেলের ছোবড়া এবং শি্মের বিচি উৎপাদনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। কুমড়া এবং চা উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। আম, পেয়ারা, ফুলকপি, মটরশুটি, গাব জাতীয় ফল, পাখির খাদ্য এবং ব্রকলি উৎপাদনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নবম পর্যায়ে আছে।

বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ এদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির পিছনে কৃষির গুরুত্ব হয়েছে অনেক। বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য এবং পুষ্টির চাহিদা মেটাই এই কৃষি এবং বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালের যোগান দিয়ে থাকে। এ দেশের জাতীয় আয়ের ১৩.০২ ভাগ কৃষি থেকে আসে এবং ৪০.৬ ভাগ মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র হচ্ছে কৃষি এবং আমাদের দেশের ১৬.৬ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান ও পুষ্টির নিশ্চয়তা করে কৃষি। আমাদের দেশের সরকার কৃষি উন্নয়নের দিকে অনেক গুরুত্ব দিয়েছে

সরকার এখন কৃষি খাতকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে যাতে করে কৃষির উন্নয়ন হয় আরো বেশি এবং আমাদের দেশের খাদ্য চাহিদা ও পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করা যায়। কৃষির উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের অনেক ভূমিকা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশের সরকার কৃষি ক্ষেত্রে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়েছে যাতে করে উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় আমাদের দেশ। এ দেশের সরকার স্বল্প মেয়াদে উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। সেচ এবং

অন্যান্য বিভিন্ন কৃষি উপকরণ বা যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছেন এবং উন্নত বীজ প্রদান করেছেন কৃষিঋণ চালু করেছেন এবং বিভিন্ন খাস জমি বিতরণ করেছেন চাষাবাদের জন্য। ২৫ বিঘা জমির খাজনা রোহিত করেছেন কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য বেঁধে দিয়েছেন বিভিন্ন ভর্তুকের ব্যবস্থা করেছেন ।কৃষকদের মাঝে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার ও হারভেস্ট সহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি দিয়েছেন কৃষকদের মাঝে। সার ,বীজ এবং কীটনাশকসহ কৃষি পণ্যের উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করেছেন এবং বিভিন্ন কৃষি উপকরণের

মূল্য সহজলভ্য করেছেন জমিতে সেচ এবং পানির ব্যবস্থা করেছেন সরকারিভাবে বিভিন্ন বীজ ও খাদ্যশস্যের মুজতকরণ করেছেন। আমাদের দেশের সরকার এখন বিভিন্ন উন্নত জাতের বীজ এবং উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করছেন এবং বিভিন্ন ইনস্টিটিউট এ ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যাতে করে আরো উন্নত জাতের শস্য এবং বীজ উদ্ভাবন করা সম্ভব হয় সেদিকে নজর দিয়েছেন বিশেষভাবে। এছাড়াও বিনা সুদে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার সুবিধা আছে। সরকারের এ সকল সাফল্যের কারণে এখন বাংলাদেশ কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারছে।

বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ

বাংলাদেশের সরকার এখন কৃষি ক্ষেত্রে কৃষির উন্নয়নের জন্য গ্রহণ করেছে বিভিন্ন পদক্ষেপ যার জন্য আজ বাংলাদেশ খাদ্য সরণসম্পন্ন তা অর্জন করতে সম্ভব হয়েছে এবং বিদেশের রপ্তানি করা হচ্ছে অনেক খাদ্য । আমাদের দেশের সরকার এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা খরা ইত্যাদি দুর্যোগের হাত থেকে কৃষকদের এবং ফসল রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন অঞ্চলে। সরকার ২০২১ সালে ভর্তুকি দিয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা এছাড়া বিভিন্ন কৃষি উপকরণের জন্য স্মার্ট কার্ড

দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪ জন কৃষকদের মাঝে। এছাড়াও সরকার ব্যবস্থা করেছে ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার এবং বিভিন্ন ব্যাংক পরিষেবার ব্যবস্থা করেছে কৃষকদের জন্য কৃষি কাজে সুবিধার জন্য কৃষকদের অল্প সুদে ঋণ এবং সুদ মুক্ত ঋণ ব্যবস্থা করেছে। কৃষকদের এখন উন্নত জাতের বীজ সার এবং কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে যাতে করে ফসল উৎপাদন ভালো হয়। উচ্চ ফলনশীল বীজ উদ্ভাবন করে কম সময়ের মধ্যে উৎপাদন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানি সেচের জন্য বিভিন্ন আধুনিক পদ্ধতি্র ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের কৃষির আধুনিকায়নের উপায় গুলো জানুন

বাংলাদেশে আগে জমিতে পানি সেচের জন্য নদী নালাখাল বিল থেকে এবং জলাশয় ও টিউবয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করে সেচ দেওয়া হতো কিন্তু এখন আর এগুলো করতে হয় না এখন জমিতে পানি সেচ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সেচ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন জমিতে বিভিন্ন মানের সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে । এখন জমির মাটির গুনাগুন পরীক্ষার মাধ্যমে উন্নত করা সম্ভব হচ্ছে বিভিন্ন উন্নত জাতের উচ্চফলনশীল বীজ উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে। কৃষকের মাঝে বিভিন্ন ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কৃষকদের মাঝে এখন বিভিন্ন ভিডিও কনফারেন্সিং করা হচ্ছে যাতে করে তাদের সাথে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায় এবং তাদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সচেতন করা যায়। কৃষকদের মাঝে এখন অল্পসুদে বিভিন্ন ঋণ ব্যবস্থা করা হয়েছে জমি চাষাবাদ করার ক্ষেত্রে এখন বিভিন্ন যান্ত্রিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে ফসল কাটা এবং মাড়াই করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে পাওয়ার ও প্যাডেল থ্রেসার। ফসল কাটা মাড়ায় করা থেকে শুরু করে শুকিয়ে সেটা ভালোভাবে বস্তায় বন্দী করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার।

কৃষি ক্ষেত্রে এ সকল আধুনিকায়নের উপায় গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষির অনেক উন্নতি করা সম্ভব হচ্ছে। আমরা যদি এ সকল আধুনিক কারণগুলো কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহার করি এবং উপায় গুলো জানি তাহলে আমাদের কৃষির আরো উন্নতি করা সম্ভব হবে দিন দিন। এখন বর্তমানে অনেক শিক্ষিত মানুষই এ সকল কৃষি কাজের সাথে নিযুক্ত থাকেন তারা এ সম্পর্কে আরও ভাল বুঝতে পারবেন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে তারা আরো বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারবে কৃষির উন্নতি করতে পারবে ।

লেখকের মন্তব্য

ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে বাংলাদেশের কৃষির আধুনিকায়নের উপায় গুলো এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব ২০২২ অর্থাৎ এই পোস্টটিতে বাংলাদেশের কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে। কিভাবে বাংলাদেশের সরকার কৃষির উন্নতি করছে এবং কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনারা সবাই এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন আপনাদের পরিচিতদের মাঝে কমেন্টে জানাবেন কেমন হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url