ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় জানুন
আসসালামু আলাইকুম, এখানে আমি আপনাদের জন্য ব্যায়াম না করে
ওজন কমানোর
উপায় এবং ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট ছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয়ে অনেক
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিব আশা করি এগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং সঠিক তথ্য
পাবেন তাই দয়া করে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজকে আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর বিভিন্ন
উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনারা ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় ,১০ কেজি
ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট ও ওজন কমানোর ব্যায়াম ইত্যাদি ছাড়াও আরো কয়েকটি
বিষয়ে জানতে পারবেন। এ সকল বিষয়ে হয়তো আপনারা আগে অনেক তথ্য খোঁজাখুঁজি করেছেন
কিন্তু পাননি তারা আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে সঠিক তথ্য পেতে পারবেন তাই দয়া
করে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন আমাদের অনেক দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয় এজন্য আমরা
অনেকেই অনেক রকম পদ্ধতি ব্যবহার করে বা অবলম্বন করে আমাদের শরীরের এই অতিরিক্ত
ওজন কমাতে চেষ্টা করে থাকি। আমরা অনেকেই এর জন্য ব্যায়াম করে থাকি আবার ব্যায়াম
না করে বিভিন্ন খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ও খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন করে বেশি বেশি
করে পানি পান করেও আমাদের ওজন কমাতে চেষ্টা করে থাকি এবং এগুলো করার মাধ্যমে ও
আমাদের ওজন অনেকটা কমে যায়। আমরা যেমন জিমে অথবা
বাড়িতে ব্যায়াম না করেও আমাদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারি আবার আমরা ব্যায়াম করে
ও আমাদের ওজন কমাতে পারি। আমরা সকালে কি খাবার খাব এবং রাতে কি খাবার খাব কিভাবে
খাব আবার আমরা সকালে খাবার খাওয়ার আগে অথবা সকালে ঘুম থেকে উঠে কি কি ব্যায়াম
করলে আমাদের শরীরের ওজন কমবে সকল তথ্য আপনারা আমার এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে
জানতে পারবেন। যেগুলো আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে অনেক ভূমিকা পালন করে
থাকে।
৭ দিনে ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
আমরা ওজন কমানোর জন্য অনেক রকমের খাদ্য তালিকায় ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে থাকে
এবং সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি যাতে আমাদের ওজন তাড়াতাড়ি কম হয়। এর জন্য
আমরা অনেকেই জিএম ডায়েট অনুসরণ করি এবং এটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো। আমরা
যদি এই ডায়েট ৭ দিন মেনে চলি তাহলে আমাদের ওজন কিন্তু কমবেই। জেনারেল মোটরসের
কর্মচারীদের জন্য এই জিএম ডায়েট প্ল্যানটি বানানো হয়েছিল। এই প্ল্যান আমাদের
প্রতিশ্রুতি দেয় যে আমরা পাঁচ থেকে সাত দিনের ব্যবধানে আপনার ওজন
৭ কিলো কমিয়ে আনতে পারবেন এবং আমরা যদি এই ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে চলি তাহলে
আমাদের ওজন কিন্তু ঝরবেই। আপনাদের ওজন কমাতে সহায়তা করবে তা নয় এর পাশাপাশি
আমাদের স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকবে এবং উপকারিতা পাবো হজমে সাহায্য করবে আমাদের
শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি নষ্ট করতে ও সাহায্য করবে আবার আমাদের শরীরের
ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে থাকে এই প্ল্যান। এই প্লেনে বা ডায়েটে শাকসবজি
খাওয়ার কথা বলা হয়েছে যা আমাদের ওজন
কমাতে সাহায্য করে ভীষণভাবে আবার আমাদের কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার কথা বলা
হয়েছে। যে সকল খাবার খেলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া সহজ হবে সে সকল খাবার খেতে বলা
হয়েছে। যে সকল খাবার পানি সমৃদ্ধ সে সকল খাবার খেতে বলা হয়েছে যাতে করে আমাদের
ওজন কমে। আপনি যদি ৭ দিনে ওজন কমাতে চান তাহলে এই ডায়েট চার্টটি অনুসরণ করতে
পারেন। ৭ দিনে ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট বা ৭ দিনে ওজন কমানোর জন্য আপনি যে সকল
খাবার খাবেন সেগুলো হল
প্রথম দিনেঃ প্রথম দিন আপনি কলা বাদে অন্য যে কোন ফল খেতে পারেন। প্রথম
দিনে মূলত সারাদিন তরমুজ খেতে বলা হয় আর এই তরমুজে অনেক পানি থাকে যা আপনার
শরীরের জন্য অনেক উপকারে আসবে এবং আপনার ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
দ্বিতীয় দিনেঃ দ্বিতীয় দিনে আপনি কাঁচা অথবা সেদ্ধ করা সবজি খেতে পারবেন
সে যে কোন সবজি হোক না কেন। আবার সবজি সিদ্ধ করে তার সাথে মাখন এবং গোলমরিচ
মিশিয়ে খেতে পারেন। এই দিনে ব্রেকফাস্টে খাবার খাওয়ার সময় আপনি লোফ্যাট মাখন
এর সাথে মাঝারি সাইজের একটি আলো সেদ্ধ করে খেতে পারেন।
তৃতীয় দিনেঃ এই দিনে আপনি কলা এবং আলু বাদে অন্য সকল কিছুই খেতে পারবেন
অথবা আপনি এই দিনে সেদ্ধ করা খাবার ফল এবং সালাদ খেতে পারবেন সারাদিন।
চতুর্থ দিনেঃ এই দিনে আপনি আপনার ওজন কমানোর জন্য শুধু কলা এবং দুধ খেতে
পারবেন। ছয় থেকে আট টি কলা আকারে বড় সাইজের পরিমাণে তিন গ্লাস দুধের সাথে খেতে
পারেন।
পঞ্চম দিনেঃ পঞ্চম দিনে আপনি মাছ এবং মুরগি খেতে পারবেন পরিমাণে ২৮০
গ্রাম। আবার আপনি ছয়টা টমেটো খেতে পারেন। আবার যারা নিরামিষ খাবার খায় তারা
পঞ্চম দিনে ব্রাউন রাইস এবং এর সাথে পনিরের তরকারি খেতে পারেন বা পনির দিয়ে
পোলাও ব্রাউন রাইস দিয়ে রান্না করে খেতে পারেন কিন্তু সকল খাবার খাওয়ার সময়
বেশি করে পানি খেতে হবে।
ষষ্ঠ দিনেঃ ষষ্ঠ দিনে আপনি আলু বাদে অন্য সকল সবজি সিদ্ধ করে খেতে পারবেন
এবং এর সাথে ব্রাউন রাইস ও পনির খেতে পারবেন। এই দিনে মাছ বা মাংস খাওয়ার জন্য
আপনারা ২৮০ গ্রাম পরিমাণে মাছ বা মাংস মেপে তারপরে খেতে পারেন কিন্তু পরিমাণে
অনেক বেশি পানি পান করতে হবে।
সপ্তম দিনেঃ সপ্তম দিনে আপনি ওজন কমানোর জন্য দুইটি রুটি অথবা ব্রাউন রাইস
খেতে পারেন। এর সাথে সবজি, ফল,ফ্রুট জুস, সালাদ ,মাছ-মাংস ও খেতে পারেন।
এছাড়াও আপনি আপনার ওজন কমানোর জন্য আরো কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন সেগুলো হলো
প্রত্যেকদিন আপনি ৪৫ মিনিট ধরে শরীর চর্চা করতে পারেন হাটাহাটি করা, জগিং করা ও
ব্যায়াম করা ইত্যাদি। আপনি কিন্তু তেলে ভাজা এবং মিষ্টি জাতীয় পানীয় হাই
ক্যালোরি যুক্ত ড্রিংক এবং অতিরিক্ত চিনি খাবেন না এতে করে আপনাদের ওজন কিন্তু
বেড়ে যেতে পারে।
দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
আমরা দ্রুত ওজন কমানোর জন্য অনেকেই অনেক রকম কাজ করে থাকে এর মধ্যে হল আমরা
অনেকেই টাকা খরচ করে অনেক ধরনের শরীরচর্চা করে থাকি এবং ব্যায়াম করে থাকি।
কিন্তু আপনাদের ওজন যাতে দ্রুত কমে এজন্য আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে
কয়েকটি দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বলবো। যে উপায় গুলো আপনারা অনুসরণ করে
আপনাদের ওজন ও দ্রুত কমাতে পারবেন।
নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ আপনি আপনার ওজন দ্রুত কমাতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম
করুন। আপনি প্রত্যেকদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এরপর আপনি ঘর
মুছতে পারেন দৌড়াতে পারেন সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করা সাইকেল চালানো জগিং করা
ইত্যাদি আরো অনেক ব্যায়াম আছে যেগুলো করার মাধ্যমে আপনার ওজন আপনি দ্রুত কমাতে
পারবেন।
চায়ে চুমুক দেওয়াঃ ওজন কমাতে চাইলে আপনি ওজন কমানোর চা পান করার অভ্যাস
শুরু করুন। এখন বাজারে ওজন কমানোর অনেক ধরনের চা পাওয়া যায় যেগুলো আপনি বাজার
থেকে কিনে এনে খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন। এতে করে আপনার হজম প্রক্রিয়া
ত্বরান্বিত হবে এবং আপনার ভালো ঘুম হতে সাহায্য করবে।Mylo নামক চাটি আপনার ওজন
কমাতে ১০০% সাহায্য করবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোঃ আপনার ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন রাতে পর্যাপ্ত
পরিমাণে ঘুমাতে হবে ভালো ঘুম হলে আপনার স্ট্রেস হবে না আর এগুলো আপনার ওজন কমাতে
সাহায্য করবে।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনঃ ওজন কমানোর জন্য আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার
পরিবর্তন করা দরকার। আপনি তেলে ভাজা জাঙ্ক ফুড অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার চিনি
জাতীয় মিষ্টি খাবার এবং চিনি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং বেশি করে ফল ও শাকসবজি
খেতে হবে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে এবং বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে এতে
করে আপনার ওজন কমবে।
স্ট্রেস কে দূরে রাখাঃ ওজন কমাতে চাইলে আপনি সকল প্রকার স্ট্রেস বা মানসিক
চাপ থেকে দূরে থাকুন। আপনি যদি ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমাতে চান তাহলে আপনাকে আপনার
জীবন থেকে সকল প্রকার মানসিক চাপ দূর করতে হবে।
রাতের খাবার আগে খাওয়ার চেষ্টা করাঃ আপনি ঘুমোতে যাওয়ার আগে অর্থাৎ এক
থেকে দেড় ঘন্টা আগে আপনার রাতের খাবার খেতে পারেন। আপনি যদি রাতে খাবার খাওয়ার
সাথে সাথে শুয়ে পড়েন তাহলে আপনার ওজন বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে তাই আগে
খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
অতিরিক্ত খাবার পরিহার করাঃ আপনার যতটুকু খাওয়া প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই
আপনি খাবেন এর বেশি আপনি খাবেন না অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আপনার ওজন বেড়ে
যেতে পারে। তাই ওজন কমানোর জন্য অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
গ্রিন টি পান করাঃ ওজন কমাতে চাইলে আপনি গ্রিন টি পান করতে পারেন কারণ
গ্রিন টি তে আছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
রঙিন সালাদঃ আপনি আপনার খাবার তালিকায় রঙিন সালাদ রাখতে পারেন এবং এর
সাথে টক দই মিশিয়ে খেতে পারেন।
১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
১০ কেজি ওজন কমানো অনেক কঠিন একটা কাজ এর জন্য আমাদের অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে
হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ভরে উঠতে হবে। কারণ সকালের রোদে ভিটামিন ডি থাকে যা
আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। মাসে ১০ কেজি ওজন কমাতে চাইলে আপনাকে আপনার ইচ্ছা
শক্তি ও পরিশ্রমের দিকে খুব নজর দিতে হবে আপনাকে এ কাজটি খুব ধৈর্যের সাথে করতে
হবে। আবার আপনাকে আপনার খাদ্য তালিকায় অনেক
পরিবর্তন আনতে হবে এবং সেগুলো যথাসময়ে খেতে হবে ও পালন করতে হবে। কারণ ১০ কেজি
ওজন কমাতে অনেক সময় লাগবে এবং আপনাকে ধৈর্য হারালে হবে না। যারা মাসে ১০ কেজি
ওজন কমাতে চান তারা আমার এই পোস্টটি পড়ুন অর্থাৎ মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট
চার্টটি ফলো করুন
লেবু পানি দিয়ে মধু খাওয়াঃ সকালবেলা আমরা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে মধু
দিয়ে এক গ্লাস পানিতে লেবু পানি দিয়ে পান করতে পারি। এখানে আমরা মাঝারি আকারের
লেবুর রস অর্ধেক পরিমাণে এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে পান করতে পারি আবার এর সাথে
আমরা এক চা চামচ পরিমাণে অর্গানি মধু মিশিয়েও পান করতে পারি। শীতের দিনে হালকা
কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো হয় এগুলোর সাথে আবার কালোজিরার তেল
মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
সকালের নাস্তাঃ সকালের নাস্তা অর্থাৎ আটটার দিকে আপনি সবুজ আপেল একটি অথবা
কমলা অথবা আপনি ছোট আকারের দুইটি কলা খেতে পারেন এর সাথে আপনি পরিমাণে এক চামচ
চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন। এক গ্লাস পানিতে এই চিয়া সিড খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে
আপনাকে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং তারপরে আপনি এটা খেতে পারবেন। এভাবে আপনি সপ্তাহে
চার দিন খেতে পারবেন আর বাকি দুইদিন আপনি পাতলা রুটি একটি। আর বাকি একদিন আপনি
একটি ডিম বা পরিমাণে এক গ্লাস দুধ খেতে পারবেন চিনি বাদ দিয়ে।
সকালের হালকা খাবারেঃ আপনি সকালের নাস্তা করার পর সাড়ে দশটার দিকে অল্প
তেল দিয়ে রান্না করা নানা রকমের মেশানো শাক-সবজি খেতে পারবেন বড় এক কাপ
পরিমাণের। সপ্তাহের দুই দিন ছোট সুপ খাবেন পরিমাণে এক বাটি এবং ডাল খাবেন এর সাথে
আপনি আবার অনেক ক্ষুধা লাগলে মুড়ি মিশিয়ে খেতে পারবেন। অথবা আপনি তিন থেকে চার
টেবিল চামচ ওটমিল ভেজানো কিসমিস খেতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপনি দুই
থেকে তিনটা খেজুর অথবা ২০ থেকে ২৫ টা কিসমিস ভেজিয়ে রাখতে পারেন।
দুপুরের খাবারেঃ দুপুরের খাবারে আপনি এক বাটি শাক-সবজির সাথে ডাল মিশিয়ে
খেতে পারেন মাঝারি সাইজের বাটির মাপে। এ ধরনের সবজি খাওয়ার ফলে আপনার দেহে সকল
ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল পেতে পারেন। কারণ সবজিতে থাকে অনেক ফাইবার যা আমাদের
হজমে সাহায্য করে। সবজি রান্না করার সময় তেল অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে এবং
সেদ্ধ করতে হবে আধা সেদ্ধ এতে অনেক পুষ্টি পাওয়া যায়। শাক সবজির মধ্যে ফুলকপি,
বাঁধাকপি, গাজর, টমেটো,
শসা, বেগুন,সিম, পটল, করলা, মিষ্টি কুমড়া, পালং শাক, পুঁইশাক, সরিষা শাক ও লাউ
শাক ইত্যাদি খাবার গুলো আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। আপনার যদি বেশি
ক্ষুধা লাগে তাহলে আপনি সপ্তাহে দুই দিন ভাত খেতে পারবেন একা পরিমাণে। আবার আপনি
সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে এক থেকে দুই দিন মুরগির মাংস খেতে পারবেন তবে মুরগির
বুকের মাংস খেতে হবে। সাত দিনে দুই দিন মাছ খেতে পারবেন এবং অতিরিক্ত তেল মসলা
দিয়ে খাবার খাওয়া যাবে না।
বিকেলের খাবারেঃ বিকেলের খাবারে অর্থাৎ চারটার দিকে আপনি ভেজানো ছোলা খেতে
পারবেন আধা মুট পরিমাণ এবং আপনি তিন থেকে চারটি
খেজুর
অথবা কলা একটি খেতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি সকালে কলা খান তাহলে বিকেল বেলা অন্য
কোন খাবার খেতে হবে। আপনি চিনি বাদ দিয়ে চা খেতে পারবেন।
রাতের খাবারেঃ সন্ধ্যার সময় আপনি অর্থাৎ সাতটার দিকে আপনি এক গ্লাস
পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। সকালের বেঁচে থাকা বাকি অর্ধেক পরিমাণে
লেবুর রস এক গ্লাস পরিমাণে পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন এগুলো খাওয়ার তিরিশ
মিনিট পরে আপনি আবার সবজি খেতে পারবেন। আপনাকে অবশ্যই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার
কমপক্ষে তিন ঘন্টা আগে খাবার খেতে হবে।
পানি পান করাঃ আপনাকে সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে কারণ পানি
আমাদের হজম প্রক্রিয়া সহজ করে । পানি পান করার ফলে আমাদের পেট ভরা থাকতে পারে
এবং ক্ষুধা কম লাগে। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাবার যেমন জরুরি তেমনি পানি পান
করা অনেক জরুরী। আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে ও সাহায্য
করে থাকে।
বাদাম খাওয়াঃ আপনি সারা দিনে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটা কাঠবাদাম এবং চার
থেকে পাঁচটা কাজু বাদাম খেতে পারেন। আবার এর সাথে আপনি ৩০ থেকে ৩৫ টা চীনা বাদামও
খেতে পারেন কারণ বাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের ক্ষুধা দূর হয়ে যায় এবং এগুলো আমাদের
শরীরের জন্য খুব প্রয়োজন এবং পুষ্টি যোগাবে।
এই ডায়েট চার্টটি অনুসরণ করার পরেও আপনি সকালে এবং সন্ধ্যায় ব্যায়াম করতে
পারেন। এই ওজন কমানোর চার্টটি অনুসরণ চলাকালীন সময় আপনি ওয়েট ফিল্ডিং ব্যায়াম
করতে পারবেন না এর পরিবর্তে আপনি কার্ডিও ব্যায়াম করতে পারেন। এগুলো আপনার অনেক
কাজে আসবে এবং আপনার ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করবে। এই ডায়েট চার্টটি মেয়েরাও
অনুসরণ করে মাসে ১০ কেজি ওজন কমাতে পারবেন।
ওজন কমানোর ব্যায়াম
আমাদের স্বাস্থ্যের বা শরীরের ওজন যখন বেশি হয়ে যায় তখন সেটা আমাদের জন্য একটা
খুব অস্বস্তিকর ব্যাপার হয়ে পড়ে। এই শরীরের অতিরিক্ত ওজন আমরা কমাতে চাই তার
জন্য আমরা ডায়েট করে থাকি কিন্তু ডায়েট বাদেও ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমরা
আমাদের এই শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারি। আমরা সব ধরনের খাবার খেয়েও ব্যায়াম
করার মাধ্যমে ওজন কমাতে পারি। আজকে আমি আপনাদের ওজন কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে
বলবো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করার মাধ্যমেঃ আমরা যদি প্রতিদিন সকালবেলা
ঘুম থেকে উঠে কিছু হালকা ব্যায়াম করি তাহলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন আমরা
কমাতে পারি। ব্যায়ামগুলো যথা একটু জোরে জোরে হাটা অথবা দৌড়ানোর চেষ্টা করা আবার
আমরা সাইকেল চালাতে পারি। সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করতে পারি এগুলো করার মাধ্যমে
আমরা আমাদের বাড়তি ওজন কমাতে পারি এবং ক্যালোরি বার্ন করতে পারি।
সকালে খাওয়ার আগে ব্যায়ামঃ আমরা প্রতিদিন যদি সকালে খাবার খাওয়ার আগে
কিছু কার্ডিও ওয়ার্ক করি তাহলে সেগুলো আমাদের ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনেক কাজে
আসবে। আমরা সকালে খাবার খাওয়ার আগে হাটাহাটি করতে পারি ,জগিং করতে পারি এবং
দৌড়াতে পারি এতে আমাদের ক্যালোরে বার্ন হবে। এই কাজগুলো আমরা খাবার খাওয়ার পরে
করার চাইতে খাবার খাওয়ার আগে করলে ভালো ফল পাব।
হাঁটাহাঁটি করাঃ আমরা যদি প্রতিদিন কমপক্ষে আধঘন্টা করে হাঁটার অভ্যাস করি
তাহলে আমাদের ১৫০ ক্যালোরি বার্ন হতে সাহায্য করবে এটা এতে করে আমাদের শরীরে
অতিরিক্ত ওজন কমবে এবং আমরা সুস্থ থাকবো। কারণ হাঁটলে আমরা নানা দিক থেকে উপকারিত
হব।
সাঁতার কাটাঃ ওজন কমানোর জন্য আরেকটি ব্যায়াম হলো সাঁতার কাটা। সপ্তাহে
অন্তত তিন থেকে চার দিন কমপক্ষে আধা ঘন্টা করে সাঁতার কাটলে আমাদের হৃদরোগ
ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমবে। আবার সাঁতার কাটার ফলে আমাদের শরীরের
প্রত্যেকটি জয়েন্টগুলো শক্তিশালী হয়। আপনাদের মধ্যে যাদের হাঁটু ব্যথা ও পিঠে
ব্যথা আছে তারা এই ব্যায়ামটি করতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
সাইক্লিং করাঃ আপনারা সাইক্লিং করার মাধ্যমে ওজন কমাতে পারেন এটি ওজন
কমানোর আরেকটি দুর্দান্ত ব্যায়াম। প্রত্যেকদিন এক ঘণ্টা করে সাইক্লিং করার ফলে
আমাদের ৪০০ থেকে ৭৫০ ক্যালোরি পর্যন্ত হতে পারে।
জগিং করাঃ হাঁটার মাধ্যমে যেমন আমাদের শরীরের ওজন কমে তেমনি জগিং করার
মাধ্যমে ও আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব হয়। প্রতিদিন জগিং করার ফলে
আমাদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে এবং বিপাক হার বাড়ে এবং ওজন কমাতে
আমাদের সাহায্য করে।
ইয়োগা করাঃ ইয়োগা করার মাধ্যমেও বা যোগ ব্যায়াম করার মাধ্যমেও আমাদের
শরীরের ওজন আমরা কমাতে পারি। এটি করার ফলে আমরা কাজে আরো মনোযোগী হয় এবং আমাদের
ক্ষুধা কমতে থাকে এই ব্যায়াম করার মাধ্যমে।
সিঁড়ি দিয়ে আরোহণ করাঃ আমাদের বাড়িতে অনেকেরই ব্যায়াম করার বিভিন্ন
সরঞ্জাম থাকে না এদিক থেকে আমরা ওজন কমানোর জন্য সিঁড়ি দিয়ে বারবার ওঠানামা
করতে পারি এতে করে আমাদের কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে তার সাথে সাথে আমাদের
জয়েন্ট এবং পেশি ও হাড়গুলো সুস্থ থাকতেও সাহায্য করে।
পাইলেটস করাঃ অনেক নায়ক নায়িকা রা এই ব্যায়াম করার মাধ্যমে তাদের শরীর
ফিট রাখে। এই ব্যায়াম করার ফলে আপনার শরীর আরো শক্তিশালী হবে এবং আপনার ওজন
নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
দড়ি লাফ দেওয়াঃ আমরা অনেকেই দড়ি লাফ দেওয়ার মাধ্যমে ব্যায়াম করে থাকি
এই দড়ি লাফ দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের ক্যালরি বেশি খরচ করতে পারা যায়। দশ
মিনিট ধরে হাঁটার চেয়ে আপনি যদি প্রতিদিন ১০ মিনিট সময় দড়ি লাফ দেন তাহলে
আপনার ক্যালরি বেশি বার্ন হবে। এতে আপনার পেশীগুলো শক্তিশালী হবে এবং আপনার ওজন
কমবে।
ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
আমরা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন ব্যায়াম না করে ও কমাতে পারি। আমরা অনেকে আছি
যারা জিমে গিয়ে ব্যায়াম করে ওজন কমাতে চাই আবার অনেকে আছে যাদের টাকা কম আছে বা
নেই তারা জিমে গিয়ে ব্যায়াম করে শরীরের ওজন কমাতে পারে না তাদের জন্য আজকে আমি
আমার এই পোস্টটি সাজিয়েছি। জিমে গিয়ে ব্যায়াম না করে অথবা বাড়িতে ব্যায়াম না
করেও আমরা ওজন কমাতে পারি তবে জানা যাক ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় কি কি
পানি পান করাঃ আমরা সবাই জানি যে পানি পান করলে আমরা সুস্থ থাকবো এবং
আমাদের শরীরের বিভিন্ন জটিলতা থেকে আমরা মুক্তি পাবো। শুধু তাই নয় আমাদের ওজন
কমানোর জন্যও আমরা নিয়মিত পানি পান করবো তাহলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে
যাবে। নিয়মিত পানি পান করার ফলে আমাদের বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি হবে এবং আমাদের
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ গুলো বের হবে। বেশি পানি পান করার ফলে আমাদের ক্ষুধা কম
লাগবে।
চিনি পরিহার করাঃ আমাদের চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে। শুধু চিনি খাওয়া বাদ
দিলে হবেনা চিনি সমৃদ্ধ সকল খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে। কারণ তিনি হচ্ছে উচ্চ
ক্যালোরিযুক্ত খাবার আর এই উচ্চ ক্যালরি খরচ করতে আমাদের অনেক বেশি কাজ করতে হবে।
আমরা যেহেতু কোনরকম ব্যায়াম না করে ওজন কমাতে চাই তাই আমাদের সকল প্রকার চিনি
সমৃদ্ধ খাবার এবং চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে। চিনি আমাদের বিপাক প্রক্রিয়া ধীরগতি
করে দেয়।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃ আমরা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন
সমৃদ্ধ খাবার রাখতে পারি এবং এগুলো বেশি বেশি করে খেতে পারি তাহলে আমাদের ওজন
কমবে কারণ এই খাবারগুলো আমাদের অনেক সময় ধরে ক্ষুধামুক্ত রাখতে সাহায্য করে এবং
আমাদের ক্ষুধা দূর করে থাকে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে ডিম ,ডাল ও সয়া জাতীয়
খাবার ইত্যাদি।
খাবার ভালো করে চিবিয়ে খাওয়াঃ খাবার খাওয়ার সময় খাবার গুলো ২০ থেকে৩০
বার করে ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। এতে করে খাবারগুলো তাড়াতাড়ি হজম যোগ্য হবে
আবার কি দিয়ে খাবার খাওয়ার ফলে এতে থাকা ক্যালরির পরিমাণ কমে যায়। অনেক
কয়েকটি গবেষণা থেকে দেখা যায় যে, সকল ব্যক্তি খাবার কম চিবিয়ে খায় তাদের ওজন
বেড়ে যায়।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃ আমাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ফাইবার
সমৃদ্ধ খাবার রাখা দরকার কারণ এই খাবারগুলো আমাদের অনেক সময় ধরে ক্ষুধা মুক্ত
রাখতে সাহায্য করে। এগুলো আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে তাই ওজন কমানোর জন্য
খাবার তালিকায় খাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই দরকার।
সবজি খাওয়াঃ মিনারেল ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে সবজি এগুলো
আমাদের পুষ্টি পূরণ করতে সাহায্য করে। আর এই খাবারগুলোতে কম পরিমাণে ক্যালরি এবং
ফ্যাট থাকে। তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় মাংস ও ভাত বাদ দিয়ে সবজি যোগ করতে হবে।
তাহলে আমাদের ওজন কমানো সম্ভব হবে।
গ্রিন টি পান করাঃ আমরা যদি ব্যায়াম ছাড়াই ওজন কমাতে চায় তাহলে আমাদের
গ্রিন টি পান করার অভ্যাস করতে হবে কারণ এতে আছে এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যা
আমাদের শরীরের মেদ কাটাতে অনেক সহায়তা করে থাকে।
ঘুমানোঃ আমাদের ওজন কমাতে চাইলে আমাদের ঠিকমতো ঘুম পারতে হবে রাতের বেলা
আর যদি ঘুম ঠিকমতো না হয় তাহলে আমাদের ওজন বেড়ে যেতে পারে। একটি গবেষণা থেকে
জানা যায় যে, আমরা যদি প্রতি রাতে সাড়ে ছয় ঘন্টা থেকে সাড়ে আট ঘণ্টা ঘুম
পাড়ি তাহলে আমাদের শরীরে চর্বি জমবে না। তাই আমাদের ঠিকমতো ঘুম পাড়তে হবে।
তরল ক্যালরিযুক্ত খাবার বাদ দেওয়াঃ আমরা অনেকেই ক্লান্তি এবং অবসাদ দূর
করার জন্য কফি পান করে থাকে কিন্তু কফি পান করার ফলে আমাদের ওজন বেড়ে যেতে পারে
তাই এটা থেকে বিরত থাকতে হবে। শুধু কফি থেকে নয় প্যাকেট জুস ,সোডা এবং অন্যান্য
বেভারেজ জাতীয় তরল পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে তবে আমাদের ওজন কমানো যাবে।
ওজন কমানোর ক্যাপসুল
এখন বাজারে ওজন কমানোর জন্য অনেক ধরনের ওষুধ বা ক্যাপসুল পাওয়া যায়। কিন্তু এ
সকল ওষুধ বা ক্যাপসুল খাওয়া ঠিক না ।আবার আপনি খেতে পারেন তবে খেতে হবে
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। আপনার উচ্চতা ও ভর অনুযায়ী ডাক্তার আপনাকে ওষুধ
দিবে। এ সকল ওষুধ খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে অনেক রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা
দিতে পারে এজন্য আপনাকে ওজন কমানোর ঔষধ বা ক্যাপসুল খাওয়ার চেয়ে খাদ্যাভ্যাস
পরিবর্তন এবং শরীর চর্চা করতে হবে
তাহলে আপনার ওজন কমবে। শুধু আপনি ওষুধ বা ক্যাপসুল খাওয়ার ফলে আপনার ওজন কমবে না
এর জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রমী এবং আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রোটিন ও
ফাইবার সমৃদ্ধ এবং সবজি জাতীয় খাবার রাখতে হবে এবং বেশি বেশি পানি পান করতে হবে
তবে আপনার ওজন কমানো সম্ভব হবে। ওজন কমানোর জন্য তাড়াহুড়ো করে ওষুধ বা ক্যাপসুল
খেয়ে ওজন কমানো ঠিক নয় কারণ এর অনেক নেতিবাচক প্রভাব আছে যেমন ক্ষুধামন্দা যাওয়া, পাতলা পায়খানা হওয়া, বমি
বমি ভাব হওয়া
বা বমি করা, পেট ব্যথা করা এবং আপনার শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে
পারে। তাই আপনারা যদি ওজন কমানোর ঔষধ বা ক্যাপসুল খেতে চান তাহলে ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারেন তবে এগুলো না খাওয়াই ভালো।
লেখক এর মন্তব্য
ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে আমাদের শরীরের ওজন কমানোর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে নানা
তথ্য দিয়েছে। এ সকল বিষয়ে পড়ে আপনারা অনেক সঠিক তথ্য পাবেন যেগুলো পড়ে আপনারা
অনেক উপকৃত হতে পারবেন। আপনারা ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় এবং দ্রুত ওজন
কমানোর উপায় ছাড়াও অনেক কয়েকটি বিষয়ে জানতে পারবেন এই পোস্টটিতে। তাই এই
পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগলে বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন এবং কমেন্ট করে জানাবেন
কেমন হয়েছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url