লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় জানুন

আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি আপনাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় এবং ওজন কমানোর সহজ উপায় সম্পর্কে অনেক তথ্য দিবো। আশা করি এর আগে আপনারা এ সকল বিষয়ের অনেক তথ্য পড়েছেন কিন্তু আজকে আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আরো নতুন করে অনেক তথ্য পড়তে পারবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় জানুন
আমরা অনেকেই আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চেষ্টা করি এবং অনেকে অনেক রকমের ওষুধও খেয়ে থাকি ওজন কমানোর জন্য। কিন্তু আজকে আমি আপনাদের লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় এবং ওজন কমানোর সহজ উপায় এছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনারা কিভাবে ওজন কমাতে পারবেন ইত্যাদি আরও অনেক কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন তাই এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানো খুব একটা সহজ কাজ না এই কাজটি আমরা করে থাকি অনেক ধৈর্য সহকারে এবং সময় নিয়ে। ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেকেই অনেক রকম পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি। আমরা অনেকেই লেবু দিয়ে ওজন কমানোর অনেক উপায় গ্রহণ করে থাকি। আবার ঘুমানোর মাধ্যমে ও ওজন কমিয়ে থাকি। ওজন কমানোর জন্য আমরা ব্যায়াম করি জোরে জোরে হাটাহাটি করি অনেক সময় ধরে 


আবার বেশি বেশি পানি পান করে থাকি এভাবে আমরা অনেকেই অনেক রকম পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে থাকি। ওজন কমানোর জন্য আমরা লেবুর সাথে মধু পানি মিশিয়ে খেয়ে থাকি আবার আমরা দারুচিনি ব্যবহার করি ওজন কমানোর জন্য। দারুচিনির পাউডারের সাথে আমরা ফলের রস, লেবুর রস ,কফি এবং পানি মিশিয়ে খেয়ে থাকি।

ঘুমিয়ে ওজন কমানোর উপায়

আমরা সকলে আমাদের শরীরের বাড়তি ওজন বা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাই। এই ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেকেই খাবারের ডায়েট চার্ট ফলো করি আবার অনেকেই ব্যায়াম করে ওজন কমাতে চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু আপনারা কি জানেন ঘুমানোর মাধ্যমে ওজন কমানো যায়। কিন্তু সেই ঘুমটা পারতে হবে কিছুটা নিয়ম মেনে তবে আমাদের ওজন কমবে। তাহলে আজকে আমি আপনাদের ঘুমিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বলবো

খাবার খাওয়ার কয়েক ঘন্টা পর ঘুমানোঃ আমরা অনেকে খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পরি কিন্তু এটা করা ঠিক না এতে আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে এবং বিপাক প্রক্রিয়াকে আস্তে আস্তে ধীর গতি সম্পন্ন করে ফেলে। তাই আমাদের ওজন বাড়তে পারে এই কারণে। তাই আপনারা যদি ওজন কমাতে চান তাহলে খাবার খেতে হবে ঘুমোতে যাওয়ার চার ঘন্টা আগে। আবার খাবার খাওয়ার পরে কিছু সময় ধরে হাঁটলে আমাদের মেটাবলিজম বেড়ে যায়।

গ্রিন টি পান করে ঘুমানোঃ আমাদের ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ গ্রিন টি তে আছে ফ্ল্যাভোনয়েড আর এই উপাদানটি আমাদের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনাদের যাদের ঘুমোতে যাওয়ার আগে কোন খাবার খাওয়ার অভ্যাস আছে তারা গ্রিন টি পান করতে পারেন। গ্রিন টি আপনাদের মেটাবলিজ বাড়াতে সহায়তা করবে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেঃ আপনারা যদি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন তাহলে আপনাদের শরীরের থাকা শর্করা ও চর্বি বার্ন করতে শুরু করবে। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কম করে হলেও চার ঘন্টা আগে কোন রকম খাবার খাবেন না কিন্তু পানি খেতে পারেন।

দুপুরে ঘুমানোর মাধ্যমেঃ আপনারা অনেকেই দুপুরবেলা ঘুমান কিন্তু এই ঘুমটা সময় মেনে পারতে হবে অনেক সময় ধরে ঘুম পারলে হবে না এতে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আপনি দুপুরে ঘুম পারলে ২০ মিনিট ঘুম পাড়তে পারেন এটাই যথেষ্ট ওজন কমানোর জন্য। পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর আমাদের ওজন কমানোর জন্য দুপুরবেলা ঘুমানোর পরামর্শ দেন।

রাতে ঘুমানোর সময় চোখে স্লিপিং মাস্ক পরাঃ আমরা অনেকে রাতে ঘুমানোর সময় ঘরে আলো জ্বালিয়ে ঘুম পারি কিন্তু এটা করা ঠিক না অন্ধকার ঘরে ঘুমানো উচিত। যারা অন্ধকার ঘরে ঘুমায় তাদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে অন্যদের তুলনায় ২১ শতাংশ। তাই রাত্রে ঘুমানোর সময় চোখে স্লিপিং মাস্ক পড়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

রাতে কম্বল ছাড়া ঘুমোনোর চেষ্টা করাঃ আমরা অনেকেই রাতে ঘুমানোর সময় কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুম পাড়ি। কিন্তু আমরা যদি কম তাপমাত্রায় ঘুম পারি তাহলে আমাদের বিপাকক্রিয়া বেড়ে যাবে যার জন্য আমাদের শরীরে আরো বেশি ক্যালরি পোড়াবে। একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে কম তাপমাত্রায় ঘুমানোর ফলে আমাদের শরীরের বাদামি চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং এটা ভালো। এই বাদামি চর্বি আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে যার ফলে ওজন কমে।

দারুচিনি দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

আমাদের সকলের বাড়িতেই রান্নাঘরে দারুচিনি থাকে আর এই দারুচিনি আমরা মসলা হিসেবে খাবারের সাথে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে দারুচিনি দিয়ে ওজন কমানো যায় এবং এই দারুচিনির অনেক গুণাবলী আছে আজকে আমি আপনাদের সে সম্পর্কে বলবো। আপনারা যদি ওজন কমাতে চান তাহলে দারুচিনি খেতে পারেন। এই দারুচিনিতে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল এর মত অনেক যৌগ আছে যেগুলো আমাদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে সহায়তা করে এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে 


সাহায্য করে থাকে। আবার আমরা যদি ঘুমোতে যাওয়ার আগে দারুচিনি দিয়ে মিশানো পানি একসাথে করে মিশে খায় তাহলে আমাদের ত্বক সুস্থ এবং উজ্জ্বল থাকবে। এই দারুচিনির স্বাদ হালকা তিক্ত স্বাদের এবং এটি আমাদের খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ পরিমাণে বাড়াতে সাহায্য করে। এই দারুচিনির এমন অনেক গুণ আছে যা আমাদের খিদে কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। কিন্তু এই দারুচিনি দিয়ে কিভাবে ওজন কমানো যায় আজকে আপনাদের সে সম্পর্কে বলবো

দারুচিনি ও পানিঃ যারা ওজন কমাতে চান তারা এক গ্লাস পানিতে দারুচিনির গুঁড়া একসাথে করে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। এভাবে এই পানীয়টি খেতে হবে তিন থেকে চার বার দিনে। এই পদ্ধতিটি একটি সহজ এবং সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি ওজন কমানোর জন্য।

দারুচিনি এবং ফলের রসঃ ওজন কমাতে আমরা দারুচিনির গুঁড়ো ফলের রস ও সবজির রসের সাথে মিশিয়ে খেতে পারি। এতে করে ফলের রসের স্বাদ বেড়ে যাবে এবং আমাদের ওজন কমতেও সাহায্য করে থাকবে।

দারুচিনি ও কফিঃ ওজন কমানোর জন্য আমরা দারুচিনি দিয়ে কফি বানিয়ে খেতে পারি এতে করে এটি আমাদের ওজন কমাতে সহায়তা করবে এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি স্বাস্থ্যকর হবে।

দারুচিনি, লেবু ও মধুঃ আপনারা যারা ওজন কমাতে চান তারা দারুচিনি, লেবু এবং মধু একসাথে করে মিশিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন এটি আপনাদের জন্য অনেক স্বাস্থ্যকর হবে এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে এবং আপনাদের ওজন কমবে। আবার দারুচিনি পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে তারপরে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ও খেতে পারেন আপনারা।

দারুচিনি এবং অ্যাপেল সিডার ভিনেগারঃ দারুচিনি এবং অ্যাপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে আপনারা শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। প্রথমে পানি গরম করে তারপরে হাফ চা চামচ পরিমাণে দারুচিনি পাউডার মিশিয়ে ফুটাতে হবে এরপর এটা থেকে নিতে হবে এবং এর সাথে মিশাতে হবে অ্যাপেল ডার ভিনেগার।এভাবে খেলে আপনারা অনেক উপকারিতা পাবেন।

লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

আমরা অনেকেই লেবুর রস খেয়ে ওজন কমাতে চেষ্টা করে থাকি। আর এই লেবুর রসের সাথে আমরা পানি মিশিয়ে খাই। আমরা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে যদি এক গ্লাস পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খায় তাহলে আমাদের শরীরের জন্য তা অনেক উপকারে আসবে। কারণ লেবুতে আছে ভিটামিন সি এবং এটা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আরও আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এটা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।


কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় অথবা লেবুর সাথে আর কি কি মিশিয়ে খেলে আমাদের ওজন কমে। ওজন কমানোর জন্য লেবু ও পানির অনেক ভূমিকা আছে। তাই আজকে আমি আপনাদের বলব লেবু দিয়ে ওজন কমানোর কিছু উপায় সম্পর্কে

লেবু, পানি এবং মধুঃ ওজন কমানোর জন্য আমরা লেবুর রস পানি এবং মধু এক সাথে করে মিশিয়ে খেতে পারি। আবার আমরা প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারে এতে করে আমাদের শরীরের ফ্যাট কমতে থাকবে। কিন্তু এর সাথে মিষ্টি বা চিনি মেশানো যাবে না। এক কাপ পানিতে অর্ধেক পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে এতে করে আমাদের ওজন কমবে।

লেবু এবং পানিঃ আমাদের শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে লেবু পানি এবং আমাদের শরীরের ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করে থাকে হাইড্রেশন। আমরা যদি ওজন কমাতে চাই তাহলে আমরা লেবু পানি একসাথে করে মিশিয়ে খেতে পারি এতে করে আমাদের শরীরের ফ্যাট বা চর্বি দূর হবে এবং আমাদের ওজন কমবে।

লেবু পানি বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করেঃ লেবু পানি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া বেড়ে যায় এজন্য আমাদের শরীরের ওজন কমতে থাকে আরো তাড়াতাড়ি। গবেষণায় দেখা যায় বেশি পানি পান করার কারণে আমাদের বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায় যার ফলে আমাদের ওজন তাড়াতাড়ি করতে থাকে বা সাহায্য করে থাকে।

খাওয়ার আগে লেবু পানি খেলেঃ আমরা যদি খাবার খাওয়ার আগে লেবু পানি একসাথে করে মিশিয়ে খায় তাহলে এটা আমাদের অল্প খাবার খেতে সাহায্য করবে এবং আমাদের ক্ষুধা কমাতেও সাহায্য করে থাকে। ২০০৮ সালের একটি গবেষণা থেকে দেখা যায় যে আমরা যদি খাবার খাওয়ার আগে পানি পান করি তাহলে তা আমাদের শরীরে ১৩ শতাংশ পরিমাণে কম ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করাতে পারে। এর ফলে আমাদের ওজন কমবে।

পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায়

আমরা পানি পান করার মাধ্যমে ও আমাদের শরীরের ওজন কমাতে পারি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে নাস্তা করার কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে যদি আমরা ৫০০ এমএল পানি পান করি তাহলে তা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। পানি পান করার ফলে আমাদের পাকস্থলী ভালো থাকে এবং পেটের যাবতীয় সমস্যা যেমন বদহজম গ্যাস্ট্রিক সহ নানা রকম সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।পানি আমাদের শরীরকে আদ্র রাখতে সাহায্য করে

থাকে এবং পানি পান করার ফলে আমাদের শরীরে কম ক্যালোরি গ্রহণ করে। পানি আমাদের বিপাক প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। পানি পান করার ফলে আমাদের শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় থাকে। পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বলা হলো

  • পানি আমাদের ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করে তাই খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে পানি পান করলে তা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
  • দুপুরে এবং রাতে ভারী খাবার খাওয়ার আগে আমরা যদি পানি পান করি তাহলে ও তা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
  • ওজন কমাতে চাইলে আমাদের ক্যালোরি সমৃদ্ধ পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে যেমন কফি এবং চিনি মেশানো পানীয় গুলো খাওয়া যাবে না এগুলো থেকে বিরত থাকলে আমাদের ওজন কমে যাবে।
  • আমরা ব্যায়াম করার আগে পানি পান করতে পারি এতে করে আমাদের শরীর আর্দ্র থাকবে এবং ভালো থাকবে এবং আমাদের ওজনও কমবে এটা আমাদের শরীরের পক্ষে অনেক ভালো।
  • ওজন কমানোর জন্য দিনে আমাদের অন্তত ১০ গ্লাস এর বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে তাহলে আমাদের ওজন কমবে।
  • আমাদের শরীরে যদি ঘামের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে আরো বেশি করে পানি পান করতে হবে এভাবেও আমাদের শরীরের ওজন কমানো যায়।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনাদের খালি পেটে চার থেকে পাঁচ গ্লাস পানি পান করতে হবে। দাঁত ব্রাশ করার পর কিছু পানি খেতে পারেন এবং তারপরে ৪০ মিনিট খালি পেটে থেকে খাবার খেতে হবে এভাবে করতে থাকলে আমাদের ওজন কমবে।

ওজন কমানোর সহজ উপায়

ওজন কমানো খুব একটা সহজ কাজ না এই কাজটা করতে হয় আমাদের খুব ধৈর্যের সাথে। আমরা ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি। আমরা খাবার তালিকায় ডায়েট চার্ট ফলো করি এছাড়াও আমরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়ে অনেক রকমের উপাদান দিয়ে নানা রকমের পদ্ধতি অবলম্বন করে সেগুলো আবার খেয়েও আমাদের ওজন কমাতে চেষ্টা করি। আজ আমি আপনাদের বলব ওজন কমানোর সহজ কিছু উপায়

  • প্রতিদিন সকালবেলা খাবার খাওয়ার আগে কিছুটা সময় কার্ডিও ওয়ার্ক করা যেমন জগিং করা দৌড়ানো জোরে জোরে হাটাহাটি করা সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করা ব্যায়াম করা এবং সাইকেল চালানো ইত্যাদি কাজগুলো আমরা করতে পারি এতে করে আমাদের ক্যালরি বার্ন হবে এবং আমাদের ওজন কমবে সহজেই।
  • প্রতিদিন রাতে কম পক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো এতে করে আপনার ওজন কমবে এবং আপনার শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে।
  • খাবার খাওয়ার আগে অর্থাৎ আধা ঘন্টা আগে বেশি পরিমাণে পানি পান করা এতে করে আপনার ক্ষুধা কম লাগবে এবং আপনি কম পরিমাণে খাবার খেতে পারবেন এভাবেও আপনি আপনার ওজন কমাতে পারেন।
  • আপনি আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন এবং আপনার ওজন কমাতেও এটি অনেক সাহায্য করবে।
  • আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে চিনি খাওয়া পরিহার করুন চিনিতে অনেক ক্যালরি থাকে যা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে, কমাতে নয়।
  • কমল পানীয় দুপুরে বা বিকেলের নাস্তায় সিঙ্গারা, সমচা এবং তেলে ভাজা খাবার আবার রাতে কিংবা দুপুরে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন তাহলে আপনি আপনার ওজন কমাতে পারবেন।
  • ওজন কমানোর জন্য আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেতে পারেন এতে করে আপনার বিপাক প্রক্রিয়া ভালো থাকবে এবং আপনার ওজন কমবে।
  • ওজন কমানোর জন্য আপনি খাবার তালিকায় সুষম খাবার রাখতে পারেন যেমন শাক-সবজি ফলমূল ইত্যাদি। আবার চর্বি জাতীয় খাবার খাবেন না এভাবেও আপনি আপনার ওজন কমাতে পারেন।
  • ওজন কমানোর জন্য আপনাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। দুশ্চিন্তা গ্রস্ত থাকলে মানুষ বেশি পরিমাণে খাবার খায় আর এর ফলে আপনি মোটা হয়ে যেতে পারেন।
  • ওজন কমাতে চাইলে আপনি প্রতিদিন চার কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এগুলো আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
  • ওজন কমানোর জন্য আপনি নাচতে পারেন। ১০ মিনিট ধরে নাচলে আপনার শরীরের ৫৮ শতাংশ ক্যালরি বার্ন হবে এভাবে আপনি ওজন কমাতে পারেন।
  • আপনার খাবারে মশলাদার খাবার যেমন- ধনে, জিরা গুড়া এবং হলুদ ইত্যাদি মসলা রাখুন এগুলো আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে।
  • রাতের বেলা খাবার খাওয়ার সময় আপনি অবশ্যই সময়টা লক্ষ্য রাখবেন। রাতের খাবার খেতে হবে তাড়াতাড়ি অর্থাৎ খেয়ে বিছানায় শুয়ে পড়া যাবে না একটু হাঁটতে হবে। অথবা আপনি রাতে ঘুমানোর আগে কমপক্ষে চার ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেতে পারেন।
  • আপনি ফোনে কথা বলার সময় দাঁড়িয়ে ঘুরে ঘুরে কথা বলুন এক জায়গায় কখনোই বসে থাকবেন না। এভাবে ঘুরে ঘুরে কথা বললে আপনি দশ মিনিটে ৩৬ শতাংশ ক্যালোরি খরচ করতে পারবেন এবং এটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
  • ওজন কমানোর আরেকটি সহজ পদ্ধতি হচ্ছে ঘর মুছা।ঘর মুছার ফলে আপনার শরীর থেকে ৪২ শতাংশ ক্যালরি বার্ন হবে এবং আপনার ওজন আপনি সহজে কমাতে পারবেন।
  • খিদে পেলে আপনি পপকর্ন খেতে পারেন কারণ পপকর্ন কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার। আবার আপনি ছোট প্লেটে খাবার খেতে পারেন এতে আপনার কম খাবার খাবার অভ্যাস হবে এবং এটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায়

আমাদের ওজন কমানোর জন্য ঘরোয়া ভাবেই অনেক কিছু জিনিস আছে যেগুলো খেয়ে আমরা ওজন কমাতে পারি। ওজন কমানোর জন্য ঘরোয়া যেমন-লেবু পানি ,লেবু মধু, দারুচিনি, জিরা ও জোয়ান ইত্যাদি খেতে পারি । প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। ক্যালরিযুক্ত ও কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে ফলমূল এবং শাকসবজি খেতে হবে। তবে  জানা যাক ঘরোয়া ভাবে ওজন কমানোর উপায়

লেবু ও পানিঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা এক গ্লাস পানিতে অর্ধেক পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারি এতে করে আমাদের ওজন কমে যাবে।

লেবু এবং মধুঃ ওজন কমানোর জন্য আমরা ঘরে থাকা লেবু এবং মধু এর সাথে হালকা কুসুম গরম পানি একসাথে মিশিয়ে খেতে পারি এতে করে আমাদের ওজন কমে যাবে।

গ্রিন টিঃ আমাদের সবার ঘরেই গ্রিন টি থাকে আর এই ঘরে থাকা গ্রিন টি লেবু পানি এবং মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারি এতে করে আমাদের ওজন কমবে।

জিরাঃ জিরা প্রথমে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে পানিতে তারপরে সকালে এই পানি পান করতে হবে এটা আমাদের অন্তরে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং এটা আমাদের ওজন কমাতে সহায়তা করে।

জোয়ানঃ আমরা ওজন কমানোর জন্য যদি সকালবেলা জোয়ান চিবিয়ে খায় তাহলে আমাদের অতিরিক্ত চর্বি তাড়াতাড়ি গলে যাবে। এটি অনেক বেশি কার্যকর এবং স্বাস্থ্যকর ওজন কমানোর জন্য।

ছাতুঃ আমরা অনেকেই ডাল গুঁড়ো করে ছাতু তৈরি করি আর এই ছাতো আমাদের ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করে। কারণ ছাতুতে আছে ফাইবার এবং ক্যালরির পরিমাণ কম। ছাতু খাওয়ার ফলে আমাদের পেট অনেক সময় ধরে ভর্তি থাকে।

দারুচিনিঃ ওজন কমানোর জন্য আমরা দারুচিনির গুড়ার সাথে পানি মিশিয়ে ফুটিয়ে তারপরে সেটা খেতে পারি এতে করে আমাদের ওজন কমে যাবে। আবার আমরা দারুচিনির পাউডার এর সাথে ফলের রস মিশিয়ে খেতে পারি।

দারুচিনি ,লেবু ও মধুঃ আমরা ওজন কমানোর জন্য দারুচিনির গুড়ার সাথে লেবুর রস ও মধু যোগ করে ও খেতে পারি এতে করে অনেক উপকার পাওয়া যাবে এবং এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।

লেখকের মন্তব্য

ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে আপনাদের জন্য লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় এবং ওজন কমানোর সহজ উপায় সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এগুলো পড়ে আপনারা অনেক তথ্য জানতে পারবেন যে কিভাবে আপনারা লেবু দিয়ে ওজন কমাতে পারবেন এবং লেবু বাদেও অন্যান্য কি কি উপায়ের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের ওজন কমাতে পারেন। তাই এই পোস্টটি বেশি বেশি করে শেয়ার করবেন এবং নতুন তথ্য পেতে ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url