একটি খেজুরে কত ক্যালরি থাকে এ বিষয়ে জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন আজকে আমি আপনাদের একটি
খেজুরে
কত ক্যালোরি থাকে এবং খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় ও নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের
বিভিন্ন সঠিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশা করি আপনারা এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত
পড়বেন এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য।
আমরা সকলে খেজুর খেতে পছন্দ করি কিন্তু একটি খেজুরে কত ক্যালোরি থাকে এ বিষয়ে
আমরা অনেকেই জানিনা। আবার খেজুর আমরা দিনে বা রাতে যে কোন সময় খেয়ে থাকি কিন্তু
খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় ও নিয়ম আপনারা অনেকেই জানেন না তাই আজকে আমি আপনাদের
এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়েছি। এছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয়ে তথ্য দিয়েছি আশা
করি আপনারা এগুলো পড়ে অনেক উপকৃত হবেন তাই দয়া করে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত
পড়বেন।
ভূমিকা
খেজুর আমাদের সকলের কাছে একটি প্রিয় খাবার কিন্তু এই খাবার আমরা কতটুকু খাব একটি
খেজুর থেকে আমরা কত ক্যালরি পেতে পারি এবং খেজুর কোন সময় খেলে উপকার বেশি পাওয়া
যাবে অর্থাৎ খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় ও নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা
আবার অনেকে জানি। যারা জানেন না তারা আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে তা জেনে
নিবেন। এগুলো বাদেও গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয়, খেজুরের রস খাওয়ার উপকারিতা
এবং অপকারিতা, অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয় এবং খেজুর খেলে কি প্রেসার বাড়ে
ইত্যাদি বিষয়ে অনেক সঠিক তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। এ সকল বিষয়গুলো পড়ে
আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং অন্য কেউ উপকৃত করতে পারবেন। একটি খেজুর থেকে আমরা
অর্থাৎ একটি বড় খেজুর থেকে আমরা ৯০ ক্যালরি পেতে পারি। এই খেজুর আমরা সকালে ঘুম
থেকে উঠে খালি পেটে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং ব্যায়াম করার আধাঘন্টা আগে
খেতে পারি এতে করে আমাদের শরীরে শক্তি যোগাবে এবং আমাদের শরীর থেকে ক্লান্তি ভাব
দূর হয়ে যাবে আমাদের শরীর থাকবে রোগ মুক্ত।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় খেজুর
খাওয়া খুব উপকারী কারণ খেজুরে অনেক পুষ্টিগুণ এবং ভিটামিন থাকে যেমন
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়রন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আমিষ ও
প্রাকৃতিক চিনি ইত্যাদি। খেজুরে অনেক ফ্রুক্টোজ আছে এই উপাদানটি খুব তাড়াতাড়ি
ভেঙে যায় ও রক্তে শর্করার মাত্রা পরিবর্তন করে না এবং শক্তি সরবরাহ করে থাকে
তাৎক্ষণিক। আপনারা অনেকে গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয় এ সম্পর্কে হয়তো
জানেন না আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে তা জানতে পারবেন
- খেজুরে আছে ল্যাক্সেটিভ যা গর্ভবতী মহিলাদের জরায়ু সংকোচনে সাহায্য করে এবং প্রসব শ্রমকে সংক্ষিপ্ত করে সাহায্য করে থাকে।
- গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় কারণ খেজুরে আছে ফাইবার।
- খেজুরে অনেক আয়রন থাকার জন্য এগুলো মায়ের শরীর থেকে বাচ্চার শরীরের রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে থাকে।
- খেজুর খাওয়ার ফলে জরায়ুর পেশি শক্তিশালী হয়।
- খেজুর খাওয়ার ফলে প্রসব পরবর্তীকালীন সময়ের রক্তপাতের সম্ভাবনা কম করে থাকে।
- গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খেজুর খাবার ফলে গর্ভবতী মায়ের দেহে শক্তির মাত্রা বেড়ে যায় এজন্য সে গর্ভের সন্তান প্রসব করার সময় শক্তির যোগান দিতে পারে।
- খেজুরে থাকে কার্বোহাইড্রেট এবং গ্লুকোজ ,সুক্রোজ ফ্রুক্টোজ এগুলো গর্ব অবস্থায় ধরে রাখার জন্য খুব জরুরী আর এই সবগুলো উপাদান খেজুরে থাকে।
- খেজুরে থাকে ফ্যাটি এসিড এই উপাদান থাকার জন্য প্রসব বেদনা কম অনুভূত হয় ।
- খেজুর খাওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় হাঁপানি এবং ঘ্রাণ কাশি হওয়ার ঝুঁকি কম হয়।
- খেজুর খাওয়ার ফলে দাঁত এবং হাড়ের বিকাশ হয় কারণ খেজুরে থাকে ভিটামিন এ। জারক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ভ্রুণের ও দৃষ্টি বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে।
খেজুর রসের উপকারিতা
আমাদের দেশে শীতের দিনে খেজুরের রস পাওয়া যায়। খেজুরের রস অনেক উপকারী এটা
পানীয় কারণ খেজুরের রসে আছে প্রচুর শক্তি এবং জলীয় অংশ। এই রসকে অনেকেই
প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক বলে থাকে কারণ এতে গ্লুকোজের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি।
খেজুরের রস আমরা কাঁচা খেয়ে থাকে আবার অনেকে এটাকে জাল দিয়ে
গুড়
বানিয়ে খেয়ে থাকে। আপনারা অনেকেই খেজুর রসের উপকারিতা সম্পর্কে জানেনা আজকে
এখান থেকে জেনে নিন খেজুর রসের উপকারিতা
- খেজুরের রস আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
- শীতের দিনে সর্দি কাশি সারানোর জন্য খেজুরের রস অনেক উপকারী।
- আমাদের দেহ থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে খেজুরের রস।
- খেজুরের রসে আছে ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড় শক্ত করতে সহায়তা করে থাকে।
- আমাদের শরীরের শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং আমরা কাজকর্মে কর্মস্পৃহা ফিরে পায়।
- খেজুরের রস খাওয়ার ফলে বা খেজুরের রসের গুড় বা খেজুরের রস জাল করে লালি গুড় বানিয়ে খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায়।
- আমাদের পেশির কার্যকারিতা স্বাভাবিক ও সচল রাখতে প্রয়োজন পটাশিয়াম ও সোডিয়াম। আর খেজুরের রসে আছে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম আর এই উপাদান গুলো আমাদের পেশিকে মজবুত করে এবং স্নায়ু সংকেত চলাচল করতে ও সাহায্য করে থাকে।
- খেজুরের রস খাওয়ার ফলে আমাদের ক্লান্তি ভাব দূর হয় কারণ এতে আছে ম্যাগনেসিয়াম।
- ভিটামিনের অভাব দূর করে থাকে কারণ খেজুরের রসে আছে ভিটামিন বি ৩ ভিটামিন সি ইত্যাদি এগুলো আমাদের রক্ত উৎপাদন করতে ও ইমিউন সিস্টেম কে সহায়তা করে থাকে।
- আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে এবং অতিরিক্ত চর্বি দেহে জমতে দেয় না যার ফলে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- ফাইবার যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এর ফলে আমাদের মল নরম হয়।
- খেজুরের রস খাওয়ার ফলে আমাদের হজম ক্ষমতা বেড়ে যায়।
খেজুরের রস খাওয়ার অপকারিতা
আপনারা অনেকেই জানেন যে খেজুরের রস খাওয়ার উপকারিতা অনেক কিন্তু খেজুরের রস
খাওয়ার অপকারিতা আছে অনেক সে সম্পর্কে হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না। খেজুরের রস
খাওয়ার ফলে আমাদের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে কারণ খেজুরের রস খোলা
অবস্থায় থাকে এবং এখানে বিভিন্ন পাখ,,বাদুড় ও পোকামাকড় ইত্যাদি মুখ দেয় যার
ফলে বিভিন্ন রোগ জীবাণু সেই রসের সাথে মিশে যায় এবং এটা খাওয়ার পরে নানা রকমের
অসুখ দেখা দিতে পারে। খেজুরের রস খাওয়ার অপকারিতা গুলো হলো
- যে সকল ব্যক্তির ডায়াবেটিস আছে তাদের খেজুরের রস খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে কারণ খেজুরের রসে আছে চিনি।
- যাদের কিডনি জনিত রোগের সমস্যা আছে তাদের খেজুরের রস না খাওয়াই ভালো কারণ খেজুরের রসে পটাশিয়াম আছে আর এটা কিডনি রোগের জন্য ভালো না এতে করে সেই ব্যক্তির কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- আবার যাদের রক্তের সমস্যা আছে তারা খেজুরের রস খাবেন না খেলে সমস্যা হবে।
- যাদের শ্বাসকষ্ট আছে অর্থাৎ হাঁপানি বা এজমা আছে তারা খেজুরের রস খাওয়ার ফলে তাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যাবে।
- বাদুড় এবং পোকা মাকড় খেজুরের রস খাওয়ার ফলে এদের থেকে বিভিন্ন রোগ জীবাণু খেজুরের রসের সাথে মিশে যায় এটা থেকে আমাদের নানা রকমের অসুখ হবার সম্ভাবনা থাকে।
- খোলা অবস্থায় খেজুরের রস থাকার কারণে এতে বিভিন্ন রোগ জীবাণু থাকতে পারে। তাই আগুনে হালকা ফুটিয়ে রস খাওয়া ভালো।
- বাদুড়ে মুখ দেওয়ার রস খাওয়ার ফলে আমাদের নিপা ভাইরাস এ সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আবার খেজুরের রস খাওয়ার আগে আমাদের কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। খুব সকালে এবং
সূর্যের তাপ বাড়ার আগেই খেজুরের রস খেতে হবে। সূর্যের তাপ বেড়ে গেলে খেজুরের
রসে ছত্রাক বাতাসে ভেসে এসে এর সাথে মিশে যায় এই রসকে ফার্মেন্টেশন করার ফলে এই
রস প্রথমে অ্যালকোহল বা মদ এবং পরে ভিনেগার তৈরি হয়ে থাকে যেটা আমাদের পেটের
নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমাদের পেটের অসুখ হতে পারে।
খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময় ও নিয়ম
খেজুর একটি উচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার এতে অনেক ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ আছে।
খেজুরে আছে অনেক ক্যালরি ফাইবার যা আমাদের হজম শক্তি উন্নত করে। এতে থাকা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনাকে কম করে তোলে এবং আমাদের
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে ও সাহায্য করে থাকে। খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, বদহজমের সমস্যা দূর হয়, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে ও হার্টের
সমস্যা দূর হয় ইত্যাদি আরো নানা রকমের সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।
কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না আমাদের কোন সময়টাতে খেজুর খাওয়া উচিত খেজুর খাওয়ার
উপযুক্ত সময় কোনটি। আমরা খেজুর খেতে পারি ওয়ার্কআউট করার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট আগে।
এ সময় আমরা দুই থেকে চারটি খেজুর খেতে পারি। এ সময় খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের
ওয়ার্ক আউট করার সময় শরীর থাকবে এনার্জিটিক। খেজুরে থাকা ফাইবার আমাদের ক্ষুদা
নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে থাকে যার ফলে
আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এই খেজুর আমরা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেতে পারি এতে করে আমাদের অন্ত্রের
ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে। লিভার সুস্থ থাকবে যদি আমরা সকালে খেজুর খেতে পারি তাহলে
তাই আমাদের সকালে খেজুর খাওয়া উচিত। তাই আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে
খেজুর খেতে পারি। আবার সকাল ১১ টার দিকে এবং বিকেল বেলা পাঁচটার দিকে রাতে ঘুমোতে
যাওয়ার আগে প্রতিদিন একটা নিয়ম করে সময়মতো আমাদের খেজুর খেতে হবে।
খেজুর আমাদের সকলের জন্যই একটি উপকারী ফল এ বিষয়ে আমরা সকলেই জানি কিন্তু এই
খেজুর আমরা কোন নিয়মে খাব এবং খেলে বেশি উপকার পাবো এ বিষয়ে হয়তো অনেকেই
জানিনা আজকে আমি আপনাদের এ বিষয়ে জানাবো অর্থাৎ খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
সকালে ঘুম থেকে উঠেঃসকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেজুর খেলে অনেক
উপকারিতা পাওয়া যায় এতে করে আমাদের দেহে সারাদিন কাজ করার শক্তি যোগাবে।
ব্যায়াম করার আগেঃআবার আমরা ব্যায়াম করার আধাঘন্টা আগে খেজুর খেতে পারে
এতে করে আমাদের ক্লান্তি আসবেনা আবার আমাদের পেট থেকে দূষিত পদার্থ বা টক্সিন বের
হয়ে যাবে।
রাতে ভিজিয়ে রেখেঃ খেজুর আমরা রাতে ভিজিয়ে রেখে তারপরে সকালে সেটা খেতে
পারি। এভাবে খেজুর খাওয়ার ফলে আমরা অনেক উপকার পাবো। আবার আমরা রাতে ঘুমোতে
যাওয়ার আগে খেজুর খেতে পারি।
শুকনো খেজুরঃ এই শুকনো খেজুর আমরা রাতে ভিজিয়ে রেখে তারপরে সকালে খেতে
পারি। আবার আমরা খালি শুকনো খেজুরও খেতে পারি। আমরা শুকনো খেজুর দুধের সাথে
ভিজিয়ে তারপরে সেটাও খেতে পারে এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
দুধের সাথে ভিজিয়েঃ আমরা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একগ্লাস দুধের মধ্যে
দুইটি খেজুর ভিজিয়ে রেখে তারপরে সেটা সকালে খেতে পারি। এভাবে খেলে আমরা অনেক
ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবো আমাদের শারীরিক দুর্বলতা কেটে যাবে।
খেজুর খেলে কি প্রেসার বাড়ে
খেজুরে আছে ম্যাগনেসিয়াম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পটাশিয়াম আঁশ ক্যালসিয়াম ইত্যাদি।
আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে খেজুর খাওয়ার ফলে আমরা নানা রকম রোগ থেকে মুক্তি পায়
আমাদের মস্তিষ্ক প্রাণবন্ত ও সজীব থাকে আমরা শরীরে শক্তি পায় ক্লান্তি দূর হয়।
ম্যাগনেসিয়াম থাকার ফলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ অর্থাৎ ব্লাড প্রেসার বাড়ে না
অর্থাৎ খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের ব্লাড প্রেসার কমে অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে
সাহায্য করে খেজুর। তাই আপনারা নিশ্চিন্তে খেজুর খেতে পারেন।
একটি খেজুরে কত ক্যালরি থাকে
খেজুর হচ্ছে উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন একটি ফল যা অল্প পরিমাণে খেলে দ্রুত আমাদের
শরীরে ক্যালরি সরবরাহ করে থাকে এবং শক্তি যোগায়। যার ফলে আমরা কাজ করার সময়
ক্লান্তি ভাব অনুভব করি না। খেজুর আমাদের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। একটি বড়
খেজুরে ৯০ ক্যালরি থাকে। একটি খেজুরে কত ক্যালরি থাকে এ সম্পর্কে আপনাদের নিজে
বলা হলো
- শক্তি-২৩ ক্যালোরি
- শর্করা-৬.২ গ্রাম
- সহজ শর্করা বা চিনি-৫.৩ গ্রাম
- আমিষ-০.২ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম-১৩ মিলিগ্রাম
- ফাইবার-২.৮ গ্রাম
- প্রোটিন-১ গ্রাম
- একটি বড় অথবা ৩০ গ্রাম খেজুরে থাকে-৯০ ক্যালরি।
অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়
আমাদের যে কোন খাবারই পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত তা না হলে আমাদের শরীরের নানা রকম
সমস্যা দেখা দিতে পারে। খেজুর কিংবা অন্য যে কোন খাবার অতিরিক্ত বেশি খাওয়ার ফলে
আমাদের শরীরে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের অসুবিধা। এটা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন
না তাই আজকে আমি আপনাদের অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয় এ সম্পর্কে বলব
- অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার খাওয়ার ফলে এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- আবার খেজুরে সালফাইড থাকার ফলে আমাদের এলার্জি হতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খেলে চোখের চুলকানি, চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং চোখ লাল হয়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া ও বদ হজম এর মত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে।
- অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের ওজন বেড়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বকের নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন চুলকানি ,র্যাশ এবং আমাদের ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
১ প্লেট ভাতে কত ক্যালরি থাকে
আমাদের বাঙ্গালীদের প্রিয় খাবার হচ্ছে ভাত। কিন্তু এই ভাতে অর্থাৎ এক প্লেট ভাতে
কত ক্যালরি থাকে এটা আমরা জানি না। আমাদের ভাত না খেলে চলেনা এক প্লেট ভাতে
অর্থাৎ ৮০ গ্রাম ভাতে আছে ২৭২ ক্যালোরি। এক বাটি সুজির হালুয়াতে ৩৭৯ ক্যালরি
থাকে। আবার একটি পরোটা আর যদি সেটা হয় ২০ গ্রামের তাতে থাকে ৭০ ক্যালরি। একটি
বড় আকারের আটায় তৈরি চাপাটিতে ১০০ ক্যালরি থাকে। আলুর পর থাকে অর্থাৎ আলুর
পরোটায় থাকে ২১০ ক্যালোরি।
বাদামে কত ক্যালরি থাকে
কোন বাদাম থেকে কত ক্যালরি পাওয়া যায় এ সম্পর্কে নিজে বলা হলো
কাজুবাদামঃ কাজুবাদাম একটি ফাইবার জাতীয় খাবার যা আমাদের কোলেস্টেরল
কমাতে সহায়তা করে থাকে। এই কাজুবাদামে অনেক পুষ্টি পদার্থ এবং ভিটামিন আছে যেমন
ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস আইরন সেলেনিয়াম ম্যাঙ্গানিজ তামা এবং ভিটামিন কে ভিটামিন
বি ৬ ইত্যাদি।
- ১ আউন্স অর্থাৎ প্রায় ২৮.৩ গ্রাম কাজুবাদাম থেকে আমরা পেতে পারি ১৫৭ গ্রাম ক্যালরি
- প্রোটিন-৫.১৭ গ্রাম
- ফ্যাট -১২. ৪৩ গ্রাম
- শর্করা-৮.৫৬ গ্রাম
- ফাইবার-০.৯ গ্রাম
- চিনি-১.৬৮ গ্রাম
কাঠবাদামঃ কাঠবাদাম থেকে অর্থাৎ প্রতি আউন্স থেকে পাওয়া যাবে ৬ গ্রাম
প্রোটিন এবং ১৬৪ ক্যালোরি। কাঠবাদামে ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং এসেনশল
খনিজ অর্থাৎ ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভালো উৎস হচ্ছে কাঠবাদাম। এই কাঠ বাদাম খাওয়ার
ফলে আমরা ফ্রি রেডিক্যাল থেকে মুক্তি পেতে পারি এবং আমাদের প্রদাহ কমাতে সাহায্য
করে। আবার এই কাঠবাদাম আমাদের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
চিনা বাদামঃ চিনা বাদামের প্রতি আউন্স থেকে আমরা পেতে পারি ৭ গ্রাম
প্রোটিন এবং১৬ ক্যালোরি। চিনা বাদাম একটি উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার। চিনা বাদাম
খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিনা বাদামে আছে
প্রচুর প্রোটিন আর এই প্রোটিন উপাদানটি অন্য বাদামের তুলনায় এই বাদামে বেশি
থাকে।
পেস্তা বাদামঃ পেস্তা বাদামের প্রতি আউন্স থেকে আমরা পেতে পারি ৬ গ্রাম
প্রোটিন এবং ১৫৯ ক্যালোরি। এই বাদামে উচ্চ আশ, ভিটামিন, খনিজ ,স্বাস্থ্যকর চর্বি
এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যেগুলো আমাদের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের
ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে এই পেস্তা বাদাম।
হ্যাজেল নাটঃ এটার প্রতি আউন্স থেকে আমরা ৪ গ্রাম প্রোটিন এবং ১৭৮ ক্যালরি
পেতে পারি। এটি একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং অনেক পুষ্টিকর। এটি আমাদের হৃদরোগের
ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং অক্সিডেটিভ কমাতে সাহায্য করে।
আখরোটঃ আখরোটের প্রতি আউন্স থেকে আপনারা পেতে পারেন চার গ্রাম প্রোটিন এবং
১৮০ ক্যালোরি। এই বাদামে ওমেগা থ্রি ফেটি অ্যাসিড আছে এবং এই বাদামে চর্বির
পরিমাণ বেশি থাকে অন্য বাদামের থেকে। এই বাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি
কমে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
ম্যাক্সিমো ইনফো এই পোস্টটিতে একটি খেজুরে কত ক্যালরি থাকে এবং খেজুর খাওয়ার
উপযুক্ত সময় ও নিয়ম ছাড়াও আরো কয়েকটি খেজুর সম্পর্কিত বিষয়ে খেজুর খাওয়ার
ফলে আমাদের কি কি হতে পারে এবং খেজুরের রস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি
বিষয়ে অনেক তথ্য দিয়েছে। আশা করি এগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন তাই এই
পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনারা এই পোস্টটি অবশ্যই শেয়ার করবেন
এবং প্রতিদিন তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url