রোজা রাখার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আপনারা ভালো আছেন আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের রোজা রাখার উপকারিতা সম্পর্কে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা ছাড়া আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সকল তথ্যগুলো পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ করছি।
রোজা রাখার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
আমার এই পোস্টের মাধ্যমে রোজা রাখার উপকারিতা সম্পর্কে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা এছাড়াও রোজা রাখার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ও রোজা রাখলে কি ওজন কমে ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেছি। রোজা রাখলে স্বাস্থ্যগত অনেক উপকার হয় আমাদের পরিপাকতন্ত্র বিশ্রাম পায় ও হজম ক্রিয়া স্বাভাবিক হয় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে ইত্যাদি আরো অনেক উপকার হয়। এ সকল বিষয়ে আপনারা সঠিক তথ্য জানতে পারবেন তাই সবাইকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ করছি।

ভূমিকা

রমজান মাসে আমাদের রোজা রাখা নারী পুরুষ সকলের উপর ফরজ করা হয়েছে। রোজা রাখার ফলে আমাদের যেমন অনেক উপকার হয় তেমনি আমরা ভালো পথে চলতে পারে পূর্ণতা অর্জন করতে পারি। আমরা অনেকে বদ অভ্যাস দূর করে আল্লাহর ইবাদত করি। রোজা রাখার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক উপকারিতা হয় এর ফলে আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য পাক পবিত্র থাকে মনে  দুশ্চিন্তা দূর হয়। আমাদের শরীরে এ সময় বিষাক্ত টক্সিন গুলো শরীর থেকে বের হয়  ফলে আমাদের শরীরে পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে শরীরের রোগ


প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। হজম প্রক্রিয়া ভালো হয় আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কম হয় এবংরক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে এর ফলে আমাদের স্ট্রোক হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি কম হয়। আমরা টাইপ টু ডাইবেটিস এবং ক্যান্সার রোগ হতে সহজেই নিয়ন্ত্রণ পেয়ে থাকি। আমাদের মস্তিষ্ক কর্মক্ষম থাকে এবং মস্তিষ্ক উন্নতি সাধন হয়। আমাদের শরীরের ইমিউনো সিস্টেমের উন্নতি ঘটে এবং শারীরিক প্রদাহ ঘা বাত ইত্যাদি সমস্যাগুলো সমাধান হয় এছাড়া আমাদের মনে মানসিক চিন্তা দূর হয় এছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা আছে রোজা রাখার।

রোজার রাখার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

গোটা পৃথিবীর মুসলমান নারী-পুরুষ সবার জন্য রোজা পালন করা ফরজ কুরআনের রোজা পালন করার কথা বলা হয়েছে। রোজা রাখার অনেক উপকারিতা আছে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন- "তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনি করে তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে করে তোমরা পূর্ণ অর্জন করতে পারো"। জাপানের একজন বিজ্ঞানী রোজার উপকারিতা প্রমাণ সাপেক্ষে গবেষণা করার মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।

তাই বলা যায় রোজার অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। মেডিকেল সায়েন্স রোজার অনেক উপকারী তার কথা বর্ণনা করেছেন আজকে আমি সেই বিষয়গুলো আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো চলুন তাহলে জানা যাক রোজার স্বাস্থ্যগত উপকারী তার কথা

পরিপাকতন্ত্রকে বিশ্রাম দেয়ঃ রোজা পরিপাকতন্ত্র কে বিশ্রাম দিয়ে থাকে কারণ রোজা রাখার ফলে সারাদিন কোন প্রকার খাবার খাওয়া হয় না এর ফলে পরিপাকতন্ত্র বিশ্রাম নেয় এবং নতুন করে আবার হজম ক্রিয়া শুরু করে।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতেঃ রোজা রাখার ফলে মানুষের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমতে থাকে। কারণ রোজা রাখার ফলে মানুষের শরীরে সঞ্চিত ফ্যাটের ভাঙ্গন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং এটি শক্তি প্রদান করে থাকে। এর ফলে কোলেস্টেরল, টিজি ইত্যাদির মাত্রা কম হতে শুরু করে তাই উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কম হয়।

রক্তে শর্করা কমাতেঃ রোজা রাখার ফলে মানুষের শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমতে থাকে। কারণ দিনের বেলায় আমাদের অগ্নাশয় কিছু পরিমাণে বিশ্রাম নিতে থাকে ফলে নতুন করে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়।

চর্বি ও ওজন কমাতেঃ রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীরের চর্বি ও ওজন কমতে থাকে এর ফলে মানুষের স্থূলতার ঝুঁকি কম হয়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ রোজা রাখার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে কারণ মানবদেহের মৃত কোষ এবং টক্সিন উপাদান গুলো শরীর থেকে বের করে দিতে এবং নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে এবং রোজা রাখার ফলে এই প্রক্রিয়াগুলো বৃদ্ধি পায় আর এজন্য মানুষের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমতে থাকে।

মস্তিষ্কের উন্নতি সাধন করেঃ রোজা আমাদের মস্তিষ্কের ক্রিয়ার উন্নতি করে থাকে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।

শারীরিক প্রদাহ ও ঘা কমাতেঃ রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীরের মারাত্মক শারীরিক যে প্রদাহ আছে সেগুলো এবং ঘা ও বাত ইত্যাদি কমতে শুরু করে ফলে আমাদের শরীর অনেক আরাম পায়।

ইমিউনো সিস্টেম উন্নত হয়ঃ আমাদের শরীরে যে সকল টক্সিন মেটেরিয়ালস এর প্রবেশ ঘটে সেগুলো লিভার ও কিডনি ইত্যাদি অঙ্গে গিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে এবং দেহ হতে বের করে দেয় এর ফলে আমাদের ইমিউনো সিস্টেম উন্নত হয় আর এটা সম্ভব হয় রোজা রাখার মাধ্যমে কারণ রোজা রাখার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়।

রক্ত পরিশোধন করতেঃ অনেক বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে আমাদের রক্তে নানা রকমের বজ্র পদার্থগুলো এবং ক্ষতিকর অনেক পদার্থ থাকে বা ঘুরে বেড়ায় আর রক্ত থেকে এই বজ্র পদার্থগুলো পরিশোধন করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে রোজা অর্থাৎ রোজা রাখার মাধ্যমে রক্ত পরিশোধন হয়।

কোষ পরিষ্কার করতেঃ আমাদের সবার শরীরে ৩০ ট্রিলিয়ন কোষ রয়েছে। আর এই কোষের ভেতরে প্রতিদিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলো তৈরি হয়ে থাকে বিপাক ক্রিয়ার কারণে এবং উপাদান গুলো তৈরি হয় বিভিন্ন রকম ক্রিয়া বিক্রিয়ার জন্য। এতে তৈরি হয়ে থাকে হরমোন ,শক্তি ,এনজাইম এবং কিছু টক্সিন আর আমাদের শরীর থেকে এর সব টক্সিন পদার্থ গুলো বের করে দেওয়ার সবচেয়ে অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে রোজা রাখা।

এছাড়া রোজা রাখার ফলে আমাদের ভেতর থেকে কিছু বদ অভ্যাস দূর হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে মাদক ও নেশা থেকে দূরে থাকা বিড়ি ও সিগারেট ইত্যাদি খাওয়া থেকে দূরে থাকা এই কাজগুলো মানুষ করে থাকে রোজা রাখার ফলে। আবার রোজা থাকলে মানুষের আয়ু বৃদ্ধি পায় বিজ্ঞানীরা বলেন যে মাঝে মাঝে রোজা রাখলে মানুষের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পায় এছাড়াও টাইপ টু ডায়াবেটিস রোধ করা সম্ভব হয়। এ সকল দিক বিবেচনা করে আমাদের সকলেরই রোজা রাখা উচিত তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

রোজা রাখলে কি ওজন কমে?

রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীরের ওজন এক থেকে দেড় কেজি কমে এর ফলে আমাদের স্থূলতার ঝুঁকি কমে। কারণ রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীরের জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি সহজে গলতে শুরু করে এবং শক্তি যোগায়। রোজা রাখার ফলে হজম প্রক্রিয়া বিশ্রাম পাই এবং পুনরায় আবার নতুন করে খাবার হজম করতে সাহায্য করে  আমাদের দেহে আর অতিরিক্ত খাবার জমে থাকে না। রোজা রাখার মাধ্যমে আমাদের পেটের মেদ ভুড়ি কমাতে সবাই চেষ্টা করুন। এই মাসে আপনারা যদি সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি 


ওজন কমাতে চান তাহলে তাহলে রোজা রাখুন। রোজা রাখার ফলে সারাদিন না খেয়ে থেকে ইফতারের সময় অনেক বেশি পরিমাণে একসাথে খাওয়া যাবেনা এর ফলে আমাদের ঝিমুনি ও ক্লান্তি ভাব হবে। আবার পেটের বদ হজম, ডায়রিয়া ও আমাশা ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ইবাদত করার জন্য দ্রুত খাবার খাওয়া উচিত না অর্থাৎ খাবার চিবিয়ে খেতে হবে তা না হলে হজমে সমস্যা হবে। তাই আমাদের সকলের উচিত রোজা রেখে ওজন কমাতে হলে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা।

রোজা রাখার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

আমাদের প্রত্যেক মুসলমানদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। কারণ রোজা রাখলে একজন মানুষ যেমন পূর্ণতা অর্জন করতে পারে তেমনি করে তার স্বাস্থ্যগত মানসিক অনেক উন্নতি হয়। মানুষ অনেক বদ অভ্যাস দূর করতে পারে রোজা রাখার ফলে বিজ্ঞানীরা ও মেডিকেল সাইন্স প্রমাণ করেছেন যে রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীরের নানা রকম সমস্যা দূর হয় ও শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিজ্ঞানীরা বলেন যে আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে রোজা থাকেন তাহলে আপনার ওজন অবশ্যই কমবে। রোজা রাখার উপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক

শরীরের অঙ্গ পতঙ্গের বিশ্রাম হয়ঃ রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিশ্রাম হয় কারণ আমাদের শরীরটা হচ্ছে একটা মেশিনের মত এই মেশিনটাকে যদি পণ্য সচল করে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই একমাস রোজা রাখতে হবে। এই এক মাস রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীরের কিডনি, লিভার, মস্তিষ্ক , হার্ট এবং পরিপাকতন্ত্র ইত্যাদি যন্ত্র গুলো ভালো থাকবে বিশ্রাম পাবে। তাই বলা যায় রোজা রাখলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও যন্ত্র গুলো বিশ্রাম পায় এবং পুনরায় কাজ করার শক্তি পায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে আপনারা যদি সঠিক নিয়মে বা পদ্ধতিতে রোজা রাখেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের বাড়তি ওজন কমে যাবে। আর যদি সঠিক পদ্ধতিতে রোজা রাখতে না পারেন তাহলে আপনার ওজন কমাতে আপনি ব্যর্থ হবেন। এর ফলে আমাদের শরীরের ওজন ও চর্বি কমতে সাহায্য করে এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমে।

মস্তিষ্ককে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে থাকেঃ নিউরোসায়েন্টিস্ট ডক্টর মার্ক ম্যাটসন এবং তার সহযোগীরা অনেকদিন গবেষণা করার পর একটি ফলাফল প্রকাশ করেন তারা বলেন যে একজন মানুষ যদি মাঝেমধ্যেই রোজা রাখে তাহলে তিনি সমস্ত খাবার এবং পানিও থেকে বিরত থাকেন তাই তার ব্রেনের যে এজিং থাকে তাকে প্রতিরোধ করতে পারবে। মস্তিষ্ক বা ব্রেনকে জড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে এবং বুড়ো বয়সে যে রোগ গুলো দেখা যায় যেমন স্মৃতিশক্তি ভ্রষ্ট হয়ে যাওয়া এটা কেউ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে।

কোষ পরিষ্কার করতেঃ আমাদের শরীরের রয়েছে ৩০ ট্রিলিয়ন কোষ আর এই কোষের মধ্যে প্রতিদিন নানা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তৈরি হয় বিক্রিয়ার এবং বিপাক ক্রিয়ার ফলে। এর ফলে শক্তি তৈরি হয় হরমোন তৈরি হয় এবং এনজাইম তৈরি হয় এবং এর পাশাপাশি কিছু টক্সিন উৎপন্ন হয় আর এই টক্সিন গুলো আমাদের দেহ থেকে বের করার অন্যতম উপায় হলো রোজা রাখা। আর এটি যখন ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা হবে তখন চমৎকার ভাবে কাজ করবে।

আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করতেঃ বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে মাঝে মাঝে রোজা বা উপবাস থাকলে মানুষের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পায়। হযরত শাহজালাল (র) বেঁচে ছিলেন ১৫০ বছর আবার বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী বেঁচে ছিলেন ১৬০ বছর এরা প্রায়ই রোজা বা উপবাস থাকতেন। তাই বলা যায় রোজা রাখলে মানুষের দীর্ঘায়ু বৃদ্ধি হয়।

টাইপ টু ডায়াবেটিস রোধেঃ টাইপ ও ডায়াবেটিস রোধ করতে সাহায্য করে থাকে রোজা। কারণ রোজা রাখার ফলে মানুষ অনেকক্ষণ কোনরকম খাবার থেকে বিরত থাকে এর ফলে টাইপ ও ডায়াবেটিস নিরাময় করা সম্ভব হয়। টাইপ টু ডায়াবেটিসের মূল কারণ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। এই ডাইবেটিস নিরাময় করতে চাইলে সপ্তাহে তিন দিন ২৪ ঘন্টার ফাস্টিং করা উচিত।

রক্ত পরিশোধন করতেঃ বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে আমাদের রক্তে থাকে নানা রকম ক্ষতিকর পদার্থ এবং টক্সিন এগুলো আমাদের রক্তে ঘুরে বেড়ায় আর এই রক্তকে পরিশোধন করার জন্য আমাদের রোজা রাখা উচিত তাহলে রক্ত পরিশোধন হবে।

মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে থাকেঃ রোজা রাখার ফলে আমাদের মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের দ্বারা প্রমাণিত হয় যে মস্তিষ্কে নতুন কোষ গঠন করতে সাহায্য করে থাকে রোজা। এর ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার উন্নতি হয় এর ফলে মানসিক চাপ ও কম হয়।

বদ অভ্যাস দূর হয়ঃ রোজা রাখার ফলে মানুষের সব ধরনের বদ অভ্যাস দূর হয়। রোজা রাখার ফলে ধূমপান মধ্যপান ইত্যাদি থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমেঃ রোজা রাখার ফলে মানুষের শরীরের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কম হতে শুরু করে। রোজা রাখার কারণে লিপিড প্রোফাইলে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে যার ফলে যারা উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তারা এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন অর্থাৎ কোলেস্টেরল কমতে শুরু করবে। এর ফলে মানুষের হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

রক্তে শর্করা কমাতেঃ রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমতে থাকে। দিনের বেলায় অগ্নাশয় কিছুটা বিশ্রাম করে আবার নতুন করে ইনসুলিন নিঃসরণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে শুরু করে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ রোজা রাখার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে অর্থাৎ মানবদেহের মৃত কোষ এবং টক্সিন উপাদান গুলো শরীর থেকে বের করে দিতে এবং নতুন কোচ তৈরি করতে সাহায্য করে আর এই প্রক্রিয়াটি রোজা রাখার ফলে বৃদ্ধি পায় এবং এর জন্য মানুষের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমতে থাকে।

ইমিউনো সিস্টেম উন্নতি করেঃ মানুষের শরীরে যে সকল টক্সিন এর প্রবেশ ঘটে সেগুলোকে লিভার ও কিডনি ইত্যাদি অঙ্গে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করে থাকে এবং দেহ থেকে বের করে দেয় এর জন্য আমাদের ইমিউনো সিস্টেম উন্নত হয় আর এটা সম্ভব হয় রোজা রাখার ফলে কারণ রোজা রাখার ফলে এই প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়।

প্রদাহ ও ঘা কমাতেঃ রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীরে যে প্রধান হয় এবং ঘা ও বাত হয় সেগুলো থেকে আমরা দ্রুত আরাম পেতে পারি এবং কমতে শুরু করে তাই আমাদের রোজা রাখা উচিত এ সকল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবার জন্য।

পরিপাকতন্ত্রকে বিশ্রাম দেয়ঃ রোজা রাখার ফলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র বিশ্রাম নিতে সুযোগ পায় কারণ এ সময় মানুষ সকল প্রকার খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকে এর ফলে পরিপাকতন্ত্র বিশ্রাম নিতে থাকে এবং পুনরায় নতুন করে আবার হজম প্রক্রিয়া শুরু করে।

রোজার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা

রোজা রাখারও অনেক বৈজ্ঞানিক উপকারিতা আছে এগুলো সবার প্রমাণিত হয়েছে যে রোজা আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে রোজার উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না আসুন জানা যাক তাহলে রোজার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা সম্পর্কে
  • রোজা থাকার সময় আমাদের শরীরের পাকস্থলী যকৃত হৃৎপিণ্ড এবং অন্ত্রনালী সহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম বা আরাম করে বা আরাম পায় কারণ এ সময় আমরা সমস্ত প্রকার খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকি। এ সময় আমাদের দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুলো পুনরায় নিজেদেরকে পুনর্গঠনের কাজে নিয়োজিত করে। আবার দেহে যে সব চড়বে জমে শরীরের ক্ষতি করার চেষ্টা করে সেগুলো রোজা রাখার ফলে দেহের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর জন্য ছুটে বেড়াতে থাকে।স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী এর সুপিরিয়র নিউট্রিশন গ্রন্থে ডক্টর শেলটন বলেন রোজা কালে শরীরের মধ্যেকার প্রোটিন, চর্বি, শর্করা ইত্যাদি জাতীয় পদার্থগুলো স্বয়ং পাচিত হয় এর ফলে আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কোষের পুষ্টি বিধান হয়।
  • ডাক্তার আইজাক জেনিংস বলেছেন ,আপনাদের মধ্যে যারা আলস্য ও গোঁড়ামির কারণে এবং অতিভোজনের জন্য নিজেদের সংরক্ষিত জীবনী শক্তিকে ভারাক্রান্ত করে তোলে এবং আস্তে আস্তে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হয় রোজা তাদেরকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।
  • পৃথিবী খ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী নাস্টবারনার বলেন যে, কঠিন কাশি সর্দি ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ফুসফুসের কাশি রোজা রাখার ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই নিরাময় করা সম্ভব হয়।
  • ডাক্তার দেওয়ান একেএম আব্দুর রহিম বলেন রোজা রাখার কারণে মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্র সর্বাধিক উজ্জীবিত হয়ে থাকে।
  • স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডাক্তার আব্রাহাম জে হেনরি বলেছেন রোজা রাখার কারণে বহুমূত্র অজীর্ণ হৃদরোগ রক্তচাপ জনিত সমস্যা বাত রোগ ইত্যাদি রোগ গুলোতে মানুষ কম আক্রান্ত হয়।
  • গবেষণায় দেখা গেছে যে যে সমস্ত মানুষ রোজা থাকে তাদের মধ্যে যদি কারো পেপটিক আলসারের অসুখ থাকে তাহলে তারা স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে এবং উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানি হৃদরোগ রোগীদের জন্য তা অনেক উপকারী হবে।
  • ডাক্তারদের মতে রোজা রাখার ফলে মস্তিষ্কের সেরিবেলাম ও লিমরিক সিস্টেমের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়তে থাকে এর ফলে মনের অশান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায় যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপের জন্য অত্যন্ত ভালো। বহুমূত্র রোগীদের জন্য একাধারে ১৫ দিন রোজা রাখার ফলে রোগীরা অত্যন্ত উপকার পাবে।
  • এখন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন রোজা রাখার ফলে কিডনিতে সঞ্চিত থাকা পাথর কণা এবং চুন দূরীভূত হতে থাকে। অনেকে যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত আছেন তারা রোজা থাকতে চান না এই ভেবে যে তাদের সমস্যা আরো বেড়ে যাবে। কিন্তু চিকিৎসকরা এখন অন্য কথা বলে।
  • স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা আরো বলেন রোজার অনেক উপকারিতা আছে কারণ আমরা সারাক্ষণ ভেজাল খাদ্য এবং অতিভোজ করে থাকি এর জন্য আমাদের শরীরে অনেক জৈব বিষ জমা হয় আর এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। আর আমরা যদি এক মাস রোজা রাখে তাহলে এই জৈব বিষগুলো আমাদের শরীর থেকে সহজে দ্রবীভূত হতে থাকবে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা

রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ রক্তে সুগারের মাত্রা হিসাব করে বলা হয়ে থাকে পরবর্তীতে তার ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আছে কিনা যদি নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে সুগার থাকে তাহলে কোন ব্যক্তির ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আর রোজা রাখার ফলে এই ঝুঁকি কম হয় তুরস্কের গবেষকরা সহ আরো কয়েকটি দেশের ইরান কুয়েত এবং মিশর দেশের করা ১৬ টি গবেষণা একসাথে করে দেখেছেন যে রোজা রাখার ফলে পুরুষ ও মহিলাদের রক্তে সুগারের মাত্রা আগের থেকে অনেক ভালো আছে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীরের রক্তে চর্বির পরিমাণ অর্থাৎ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই কোলেস্টেরলের পরিমাণ যদি বেশি হয় তাহলে আমাদের রক্তনালীতে চর্বি জমা হয় এবং নারী চিকন হতে শুরু করে এর ফলে আমরা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিতে পড়ে থাকি। অনেক গবেষকরা গবেষণা করে বলেছেন যে রোজা রাখার ফলে রক্তে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ আগের থেকে অনেক ভালো নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকেঃ আমাদের শরীরের ভেতরে নাড়ি ভুড়িতে অনেক ধরনের জীবাণু বসবাস করে আর এ সকল জীবাণু আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক সময় বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্যের উপকার করে থাকে। আমরা যখন রোজা থাকি তখন এই জীবাণুর সংখ্যা বেড়ে যায় এজন্য আমাদের রোজা থাকা উচিত এতে করে পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

ওজন কমবেঃ বাংলাদেশসহ আরও বিভিন্ন দেশের ৩৫ টি গবেষণা একসাথে করে দেখা যায় যে রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে আমাদের গড়ে এক থেকে দেড় কেজি ওজন কমে থাকে। আবার দেখা গেছে কারো ওজন এর থেকে অনেক বেশি কমেছে আবার কারো ওজন বেশি হয়েছে।

তারুণ্য ধরে রাখতেঃ রোজা রাখার ফলে আমাদের দেহ তারুণ্য ও রোগ থেকে সুরক্ষা পায়। কারণ আমাদের শরীরে ৩০ ট্রিলিয়ন কোষ আছে এই কোর্সগুলো সারাক্ষণ কর্ম ক্ষম থাকে। আমাদের মানব দেহ একটা কারখানার মতো এখানে সারাক্ষণ কাজ চলতেই থাকে এখানে কিছু আবর্জনা তৈরি হয় কিছু যন্ত্রপাতি ভেঙে যায় এ সকল কাজ করার জন্য আমাদের শরীরের কিছুটা আরামের দরকার হয় আর রোজার মাধ্যমে বিশ্রাম করা সম্ভব হয় । এ সময় আমাদের দেহের অন্তর গুলো বিশ্রাম করে আবার নতুন করে কাজ করার ক্ষমতা অর্জন করে থাকে।

শরীরের চর্বি কমাতেঃ রোজা করার মাধ্যমে আমাদের শরীরের চর্বি কমতে থাকে। আমাদের শরীরটা পরিচালনার জন্য জ্বালানি দরকার হয় আর শরীর জ্বালানি সংগ্রহ করে থাকে খাবার থেকে। আমরা যখন রোজা রাখি তখন আমাদের শরীর থেকে ১০থেকে ১২ ঘন্টায় এই জ্বালা নিয়ে শেষ হয়ে থাকে। তখন শরীর আগে থেকে জমিয়ে রাখা চর্বিতে হাত দেয়। আর রোজা থাকলে এই উপকারটি পাওয়া যায় এর ফলে আমাদের হার্ট ভালো থাকে ,পেটের চর্বি কমে, ব্লাড প্রেসার কমে এবং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।

রোজার মাসে কোন খাবার খাওয়া উচিত

বছর ভেদ করে দেখা যায় যে রোজার সময় খানিকটা পরিবর্তন হয় কোন সময় শীতকালে রোজা হয় আবার কোন সময় গরমকালে রোজা হয়। শীতকালে রোজা হলে দিন ছোট হয় আর গরমকালে রোজা হলে দিন বড় হয়। আমাদের দেশে আমরা ১০ থেকে ১৪ ঘন্টার এই লম্বা সময় সকল প্রকার খাবার থেকে বিরত থেকে রোজা রাখি। আমরা সেই ভোরবেলা সেহেরী খাই এবং সন্ধ্যার সময় ইফতার করে রোজা খুলি। এ সময় আমাদের খাবার বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত এ সময় আমাদের যে খাবারগুলো খেতে হবে সেগুলো হল

খেজুরঃ খেজুর ছাড়া যেন আমাদের রোজা পূর্ণতা পায় না আমরা সবাই রমজান মাসে ইফতারের সময় রোজা ভঙ্গ করি খেজুর দিয়ে। আমাদের নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতারের সময় তিনটি করে খেজুর খেতেন। কারণ খেজুরে আছে অনেক পুষ্টিগুণ এতে আছে অনেক চিনি ও ভিটামিন । পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এর মত অনেক খনিজ পদার্থ খেজুর খেলে আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

ফল ও সবজিঃ আমরা ইফতার করার সময় বেশি করে ভাজাপোড়া খাবার বেশি খেয়ে থাকি কিন্তু এটার পরিবর্তে আমাদের সকলের উচিত ফল ও সবজি রাখা যেমন টমেটো ,আপেল, কলা ,পেয়ারা ,আঙ্গুরও গাজর ইত্যাদি ফল। কারণ আমরা সারাদিন না খেয়ে আমাদের শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয় আর ফল ও সবজি সেই ঘাটতি পূরণ করে থাকে আমাদের শরীর ভিটামিন ও খনিজ পেয়ে থাকে। পানিজাতীয় ফল ও সবজি যেমন শসা ,তরমুজ ইত্যাদি খেতে হবে বেশি করে।

ডাবের পানিঃ রোজা রাখার ফলে আমরা সারাদিন কোন প্রকার খাবার ও পানি ও পানিও গ্রহণ করতে পারি না এর জন্য ইফতারের সময় আমাদের এ ব্যাপারে বেশি সচেতন হওয়া উচিত। এ সময় আমরা বেশি করে শরবত লেবুর শরবত ফলের জুস এবং বাজার থেকে বিভিন্ন রকমের পানিও কিনে আনি এবং খেয়ে থাকি এগুলোতে উচ্চমাত্রায় ক্যালোরি এবং কৃত্রিম চিনি থাকে কিন্তু এর পরিবর্তে আমরা ডাবের পানি খেতে পারি এতে করে আমাদের শরীরে ইলেকট্রোলাইট ও পটাশিয়ামের মত পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করবে।

আস্ত শস্য দানাঃ রোজার সময় আমরা লাল চাল খেতে পারি সাধারণ চালের বদলে আর সাধারণ আটার বদলে আমরা খেতে পারি গমের আটা এগুলোতে থাকার জটিল কার্বোহাইড্রেট দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে থাকে এবং শক্তি উৎপন্ন করে। এগুলো খেলে আমাদের শরীর অনেকক্ষণ কর্মক্ষম থাকবে সহজে খিদে লাগবে না। এগুলোতে অনেক ফাইবার থাকে তাই হজম ও রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

চর্বিহীন প্রোটিন জাতীয় খাবারঃ আমাদের খাবার পাতে রাখতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবার এগুলো আমাদের শরীরের টিস্যু গঠন করে ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে থাকে। রোজার সময় আমাদের চর্বিহীন প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন -মাছ, চামড়া ছাড়ানো মুরগির মাংস ,ছাকা দই ও মটরশুটি ইত্যাদি এগুলো আমাদের শরীরে প্রোটিনের চাহিদার যোগান দিবে এবং আমাদের অতিরিক্ত খিদে লাগার অনুভূতি কেউ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

রোজা রাখার অপকারিতা

রোজা রাখার ফলে আমাদের অনেক উপকার হয় কিন্তু রোজা রাখার ফলে কোন অপকারিতা হয় না এটা চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রমাণিত নয় বরং রোজা রাখার ফলে আমাদের দেহ মন শরীর স্বাস্থ্য সবই ভালো থাকে। আমরা অনেক বদ অভ্যাস থেকে দূরে থাকি এবং ভালো কাজ করি। এ সময় আমরা সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করি এবং সকল প্রকার খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করি। তাই আসুন আমরা রোজা রাখি এবং রোজার উপকারিতা ভোগ করি এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখি।

লেখক এর মন্তব্য

ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে রোজা রাখার উপকারিতা সম্পর্কে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা ছাড়াও রোজা রাখলে কি ওজন কমে রোজা রাখার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ইত্যাদি বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সঠিক তথ্য প্রদান করেছে এ সকল বিষয়ে পড়ে আপনারা সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। আপনাদের যদি এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে আপনারা আপনাদের পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন এবং কমেন্টে জানাবেন কেমন হয়েছে।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url