ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানাবো আশা করি এ সকল বিষয়ে আপনারা সঠিক তথ্য পাবেন এবং উপকৃত হবেন। তাই দয়া করে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ করছি আপনাদের সবাইকে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো জেনে নিন
ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনারা সবাই আপনাদের ত্বক নখ এবং চুলের যত্নের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এই উপাদানটির সাথে  ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিভিন্ন উপাদান যেমন এলোভেরা জেল, দই ,মধু ও ডিম ইত্যাদি মিশিয়ে নানা রকম প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন আপনাদের চুলে এবং ত্বকে । এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম এছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করেছি এগুলো জানার জন্য আপনারা শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভূমিকা

আমরা সবাই আমাদের ত্বকের যত্নে এবং চুল নখ এর যত্ন নেওয়ার জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে থাকি। এখন বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায় এগুলো আপনারা বাজার  কিংবা ফার্মেসি থেকে সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে এখন ইভিয়ন ৪০০ নামের এটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায় এটি আপনাদের কোষ গুলোকে সুরক্ষা দেবে কারণ এর মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।তবে আপনি যে ধরনের ভিটামিন ই ক্যাপসুলি খান সেটা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।


এটা বেশি পরিমাণে খেলে আপনাদের শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার আপনারা এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর সাথে মধু দুধ ডিম এলোভেরা জেল ইত্যাদি উপাদানে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে আপনাদের মুখে ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার মুখ উজ্জ্বল হবে, মুখের দাগ দূর হবে ,ব্রণের দাগ দূর হবে ও প্রাণবন্ত হবে ত্বক।  আপনারা চুলের সমস্যা সমাধানে নতুন চুল গজাতে, চুল পড়া বন্ধ করতে ও চুলের বৃদ্ধির জন্য  ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর সাথে দই ,মধু ,এলোভেরা জেল ও ডিম ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো

বর্তমানে এখন বাজারে অনেক ধরনের ছোট সবুজ রঙের স্বচ্ছ ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায় আর এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বক এবং চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়ে থাকে কিন্তু এগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা ভালো। কারণ ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভারী হয় এগুলো নিজের মত খাওয়া উচিত নয় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে এ ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া দরকার। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার অভ্যাস করলে অল্প দিনের মধ্যেই হরমোনাল 


সমস্যা, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া ও প্রেসারের জটিলতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। বর্তমানে মেয়েরা লম্বা ঘন চুল এবং ত্বক যাতে উজ্জ্বল হয় মসৃণ হয় ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে থাকে। এখন বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসিতে বা দোকানে বিভিন্ন রকমের এবং নামের ভিটামিন ই ক্যাস্টেল পাওয়া যায়। অনেক কোম্পানি এগুলো তৈরি করে থাকে বিভিন্ন নামে এগুলোর দাম ও একেকটা একেক রকম হয়। আপনারা যে ভিটামিন ই ক্যাপসুলই কিনেন না কেন

সেগুলো অবশ্যই রেজিস্টার্ড কোম্পানির বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিনবেন। ইভিয়ন নামে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বেশ পরিচিত এটি মহিলারা ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য বেছে নেন। ইভিয়ন ৪০০ নামের ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি আপনার কোষগুলোকে সুস্বাস্থ্য করে রাখতে সাহায্য করে কারণ এর মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আপনার কোষ পুনরুদ্ধার-পুনরুজ্জীবিত করে এবং কোষগুলো মেরামত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা দিয়ে থাকে।

Genone E-gen 400 Softgel Capsule ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের জন্য অর্থাৎ ব্রণ থেকে মুক্তির জন্য ত্বক পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এবং চুলের জন্য অর্থাৎ চুল লম্বা ঘন করার জন্য চুলের বৃদ্ধির জন্য এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমরা সরাসরি গিলে খেতে পারি বা ত্বকে এবং চুলে সরাসরি ব্যবহার করতে পারি। তবে আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী এটা ব্যবহার করা উচিত তবেই ভালো ফল পাওয়া যাবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

ত্বকের যত্নেঃ ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর নির্যাস নিয়ম করে ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে এতে করে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন আস্তে আস্তে উন্নত হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে ,ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ,চোখের নিচের কালো দাগ, বলিরেখা দূর হবে ও রোদে পোড়া দাগ দূর হবে ইত্যাদি।

রোদে পোড়া দাগ দূর করতেঃ আপনাদের মধ্যে যাদের অল্প সময়ের মধ্যে রোদে থাকলে ত্বক পুড়ে যায় তাদের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই দরকারি। এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়ে যাবে এবং রোদে পোড়া দাগ থেকে সুরক্ষা দেবে। রোদে পুড়ার কারণে আপনাদের ত্বকে জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি হতে পারে এর জন্য আপনারা কুলিং ক্রিম এর সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে ত্বকে লাগাতে পারেন এতে করে উপকার পাওয়া যাবে।

বলিরেখা দূর করার জন্যঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুলে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তাই এই তেল মালিশ করলে আপনার ত্বকের বলি দেখা দূর হবে কুচকে যাওয়া এবং অন্যান্য দাগ ও দূর করতে সাহায্য করবে।

চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ চুলের যত্নে ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চুল পড়া বন্ধ করতে নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে চুল লম্বা এবং ঘন করার জন্য আপনারা যে তেল ব্যবহার করেন সেই তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ভালো উপকার পাবেন। এভাবে ব্যবহার করার পরে দুই তিন ঘণ্টা সময় ধরে রেখে দিতে হবে এবং তারপরে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করে শ্যাম্পু করতে হবে সপ্তাহে দুই দিন এটা ব্যবহার করা উচিত।

নখের যত্নেঃ আপনারা হাত দিয়ে সারাদিন অনেক কাজ করে থাকেন যেমন থালা-বাসন ধোয়া কাপড় ধোয়া ফল কাটা সবজি কাটা ও বাগান পরিচর্যা করা ইত্যাদি কাজ। এ সকল কাজ করার সময় আপনাদের হাতের নখের অবস্থা করুণ হয়ে যায় তাই নখের যত্ন নেওয়া উচিত তা না হলে হাতের নখ হলুদ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর জন্য আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল হাতের নখের চারপাশে মেখে নিতে পারেন এটা রাতে ঘুমানোর আগে নেওয়া ভালো এতে করে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

ওভারনাইট ক্রিম হিসেবেঃময়েশ্চারাইজিং গুণের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল দেশ পরিচিত। তাই এটি ওভার নাইট ক্রিম হিসেবে বেশ কার্যকর হয়ে উঠেছে সবার কাছে। প্রথমে মুখ ধুয়ে নিতে হবে তারপরে আপনি যে ওভার নাইট ক্রিম বর্তমানে ব্যবহার করুন তার সাথে কয়েকটা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এই তেলটি একটি সিরাম হিসেবে আপনার ত্বকে কাজ করবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আধঘন্টা আগে এটি আপনার মুখে ব্যবহার করতে হবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অনেক উপকারিতা আছে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বক এবং চুলের যত্ন মুখের যত্ন এবং নখের যত্নে ব্যবহার করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা কথা
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভেতরের তেল সিরাম হিসেবে অনেক কাজ করে থাকে।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল বার্ধক্যের প্রভাব কমাতে পারে।
  • হাড়ের সমস্যা এবং বন্ধ্যাত্বের সমস্যা ও রোধ করে থাকে।
  • চুল পড়া রোধ করে এবং নতুন চুল গজাতে চুল লম্বা ও ঘন করতে সাহায্য করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
  • নখের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল ব্যবহার করা হয়।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল নাইট ক্রিম হিসেবে ও ব্যবহার করা হয় এবং এটি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
  • ত্বকের কালো দাগ বিভিন্ন বলিরেখা ব্রণ সমস্যা দূর করতে এবং টান পড়া ত্বক এর জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল সানবার্ন হিসেবে ব্যবহার করা হয় কারণ এটি আপনাদের রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের যেমন অনেক উপকারিতা আছে তবে এর কিছু অপকারিতাও আছে। চলুন জানা যাক এর অপকারিতার কথা
  • যাদের ত্বক খুবই সংবেদনশীল তারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করবেন না এতে করে ত্বকে প্রবাহের সৃষ্টি হতে পারে।
  • ত্বক ভালো রাখার জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল সরাসরি ব্যবহার না করে এর সাথে মধু, পাকা পেঁপে এবং লেবুর রস মিশিয়ে আমরা ব্যবহার করতে পারি এতে করে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হবে ব্রণ এবং দাগছোপ কমবে। ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করার ফলে অনেকের সমস্যা হতে পারে।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল বেশি পরিমাণে খেলে আমাশয় এবং এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল বেশি পরিমাণে সেবন করার ফলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহার করা যায় কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এটা মুখে নিয়ম করে ব্যবহার করার ফলে মুখের কালো দাগ দূর হবে ব্রণ সমস্যা থাকলে তার সমাধান মিলবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে সুন্দর হবে ফর্সা হবে প্রাণবন্ত হবে এছাড়া চোখের নিচের কালো দাগ দূর হবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করা যায় আপনার ব্যবহৃত ক্রিম এর সঙ্গে এতে করে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে আসুন জানা যাক ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম

লেবু, দই এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ একটি বাটিতে দুই চামচ পরিমাণে দই এবং কয়েক ফোটা লেবুর রস নিতে হবে তার সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল ভালোভাবে মিশিয়ে আপনার মুখে লাগাতে পারেন। মুখে লাগানোর পরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখতে হবে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে এভাবে আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন মুখে সপ্তাহে দুইবার। এটা ব্যবহার করার ফলে আপনাদের মুখের কালো দাগ দূর হবে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরবে এবং মুখের ত্বকে পুষ্টি যোগান দিবে।

স্কিন সিরাম হিসেবে ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ আপনারা যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনাদের ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে এটি আপনাদের দোকানে কেনা বডি লোশন এর মত কাজ করবে। যাদের ত্বক শুকনো এবং নরমাল তাদের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল অত্যন্ত কার্যকরী হবে তারা প্রথমে তেলটা হাতে ঘষে তারপরে ত্বকে মাসাজ করবেন এতে করে ভালো ফল পাওয়া যাবে। । যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের জন্য এই তেল ভারী হবে।

নাইট ক্রিম হিসেবে ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ আপনি আপনার পছন্দ মত নাইট ক্রিম নিন তার সাথে দুই একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মিশিয়ে আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনি এক্সট্রা গুণ পাবেন এই ক্রিম নিয়মিত ব্যবহারের ফলে।

চোখের নিচের কালো দাগ দূরঃ চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার জন্য আপনারা যদি বাদাম তেল এর সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভেতরে থাকা তেল মিশিয়ে আপনার মুখে চোখের নিচের কালো দাগে ব্যবহার করেন তাহলে ভালো ফল পাবেন।

ব্রণের দাগ দূর করতেঃ ব্রণের দাগ দূর করতে পক্সের দাগ দূর করার জন্য আপনারা এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল তেল ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার ব্রণের দাগ ধীরে ধীরে হালকা হতে শুরু করবে এবং খুবই কার্যকরী এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভেতরে থাকা তেল।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্যঃ আপনারা যদি উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দুই থেকে তিনটা এর সাথে দুই চামচ পেঁপের পেস্ট এবং তার সাথে এক চা চামচ পরিমাণে মধু মিশিয়ে আপনার মুখে লাগাতে পারেন এতে করে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং কোষগুলো মেরামত করবে।

শুষ্ক ত্বকের জন্যঃ শুষ্ক ত্বকের জন্য আপনারা দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেলের সাথে এক চামচ পরিমাণে মধু এবং তার সাথে দুধ দুই টেবিল চামচ পরিমাণে মিশিয়ে ভালোভাবে প্যাক তৈরি করুন তারপরে মুখে লাগান এটা সপ্তাহে আপনারা তিনবার ব্যবহার করতে পারবেন এতে করে আপনাদের মুখের শুষ্কতা দূর হয়ে যাবে।

চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

আমরা যেমন সবাই ত্বকের যত্ন করি তেমনি করে চুলের যত্ন করা উচিত আমাদের সকলের। এতে করে আমাদের চুল ভালো থাকবে চুল ওঠা বন্ধ হবে চুলের গোড়া শক্ত হবে চুলের বৃদ্ধি হবে আর এগুলো পাওয়ার জন্য আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারি। চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অনেক উপকারিতা আছে কারণ ভিটামিন ই ক্যাপসুলে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অনেক কার্যকরী ভিটামিন উপাদান। এই উপাদানটি নিয়ম করে ব্যবহার করলে আমাদের চুলের কোন ক্ষতি হবে না। চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানা যাক

ডিম, বাদাম তেল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ একটি পরিষ্কার পাত্রে একটি ডিম ভেঙে তার সাথে চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভেতরে থাকা তেল এবং এর সাথে মেশাতে হবে এক চা চামচ পরিমাণে বাদাম তেল এই উপাদান গুলো একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে আপনার মাথার ত্বক থেকে শুরু করে আপনি এটি চুলে লাগাতে পারেন এটা লাগানোর পরে এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে তারপরে শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার করতে হবে। এভাবে আপনারা সপ্তাহে এক থেকে দুইবার এটি নিতে পারেন।

এলোভেরা এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ প্রথমে ৭ থেকে ৮ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভেতরে থাকা তেল বের করে নিতে হবে তারপরে এর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ পরিমাণে এলোভেরার জেল মেশাতে হবে। মেশানো হয়ে গেলে এটি আপনার চুল এবং মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন এবং মালিশ করেন। এটি লাগানোর পরে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিয়ে তারপরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে এভাবে আপনারা এটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনাদের চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং চুল পড়া কমবে।

দই, মধু এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ একটি পরিষ্কার পাত্রে দুই চামচ পরিমাণে মধু এবং তার সাথে নিতে হবে অর্ধেক কাপ পরিমাণে দই এবং এর সাথে মেশাতে হবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মেশানো হয়ে গেলে এটি আপনি আপনার চুলে লাগাতে পারেন। চুলে লাগানোর পরে আধঘন্টা রেখে দিতে হবে এবং পরে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন এটি ব্যবহার করার ফলে আপনার মাথার ত্বকের ও চুলের খুশকি দূর হয়ে যাবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়

আপনার অবশ্যই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন যখন আপনাদের ভিটামিন ই এর অভাবের কারণে নানা রোগের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে তখন এই ভিটামিন খাওয়ানো যেতে পারে তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত। কারণ আপনি যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ক্লান্তি বাড়বে মাথাব্যথা ও ত্বকের ফুসকুড়ি দেখা দিবে আপনার দৃষ্টি শক্তি ঘোলাটে হয়ে যাবে এবং পেট ব্যথা করতে পারে এছাড়াও আপনার মাথা

ঘোরা ও শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং আপনি ফর্সা হবেন। আপনি আপনার মুখের দাগ ছোপ কমানোর জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন এতে করে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা ফিরবে ,ব্রণ সমস্যা দূর হবে, চোখের নিচের কালো দাগ দূর হবে, বলিরেখা দূর হবে, ডার্ক সার্কেল সমস্যা থাকলে সেটার সমাধান হবে এবং আপনার ত্বক প্রাণবন্ত হবে। এছাড়া আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারি চুলের যত্নে, নখের যত্নে ,চুল পড়া বন্ধ

করতে ,চুলের বৃদ্ধিতে ও নতুন চুল গজাতে ইত্যাদি আরও অনেক উপকারিতা আছে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের। ভিটামিন ই ক্যাপসুল বেশি পরিমাণে খেলে আপনাদের আমাশয় এবং এলার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে এবং আপনাদের ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে। এটা খাওয়া ভালো কিন্তু অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে খেলে আমাদের শরীরের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ইত্যাদি কয়েকটি বিষয় নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছে এই পোস্টটিতে। এ সকল বিষয়ে পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং অন্য কেউ সাহায্য করতে পারবেন বা ধারণা দিতে পারবেন। এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনারা অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন এবং কমেন্টে জানাবেন কেমন হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url