গরমে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব এসম্পর্কে জানুন
আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে গরমে
ত্বকের যত্ন
কিভাবে নেব এবং ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভূমিকা সম্পর্কে জানাবো
আপনাদের। গরমে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেওয়া যায় এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর জাদু এ
সকল বিষয়ে জানার জন্য আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি দয়া করে এই পোস্টটি শেষ
পর্যন্ত পড়ুন তাহলে অনেক উপকৃত হবেন।
আমরা সবাই চাই আমাদের ত্বক সুন্দর উজ্জ্বল নরম কোমল এবং দাগ মুক্ত থাকুক এজন্য
আমরা বিশেষভাবে ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি। আমরা ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল
ব্যবহার করি এবং গরমে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব এই বিষয়ে আমরা অনেক ধরনের ঘরোয়া
পদ্ধতিতে ঘরে থাকা কিছু উপকরণ এর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকে
ব্যবহার করে থাকি এতে করে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হয় ত্বকের দাগ দূর হয় ব্রণ
সমস্যা দূর হয়। এই পোস্টটিতে এ সকল বিষয়ে অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে তাই শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
আমরা সবাই চাই যে গরম বা শীত এই দুই সময়েই যেন আমাদের ত্বক সুন্দর নরম কোমল এবং
উজ্জ্বল থাকে এজন্য আমরা অনেক ধরনের বডি লোশন ক্রিম এবং অনেকেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে
অনেক ধরনের উপাদান দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করে থাকেন। কারণ শীতের
সময়ের থেকে গরমের সময় আমাদের শরীর অনেক বেশি পরিমাণে ডিহাইডেট হয়ে যায় এবং
শরীর ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে অনেক পরিমাণে পানি বের হয়ে যায় এজন্য আমাদের ত্বক
এসময় শুষ্ক হয়ে যায়।
এ সকল সমস্যা দূর করার জন্য অনেকেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘরে থাকা কিছু উপকরণের
মাধ্যমে যেমন অ্যালোভেরা জেল ,টকদই, টমেটোর রস, পুদিনা পাতা রস, মধু ও গ্রিন টি
ইত্যাদি দিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করে থাকেন এবং অনেকেই এর সুফল পেয়ে
থাকেন। তাছাড়া বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে পানি জাতীয় ফল খেতে হবে তাহলে
আমাদের ত্বক থাকবব হাইড্রেট। এছাড়াও আমরা ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল
ব্যবহার করতে পারি। শুধু যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার
করলেই হবে তা নয় এর সাথে আমরা গোলাপের পানি নারিকেলের তেল এলোভেরা জেল টক দই এবং
মধু ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হবে নরম কোমল হবে সুন্দর হবে
ফর্সা হবে কালো দাগ দূর হবে ব্রণ সমস্যা দূর হবে ত্বকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার
হবে।
গরমে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব
গরমে আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে হবে আরো বেশি করে কারণ এ সময় রোদ প্রখর হয় বাহিরে
বের হওয়া যায় না। গরমে বাহিরে বের হলে রোদের জন্য আমাদের ত্বক শুষ্ক নিস্তেজ ও
ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তাছাড়া রোদে আমাদের ত্বক পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সূর্যের ইউভি রশ্মি আমাদের ত্বকের জন্য খুব ক্ষতিকর। এ সময় আমাদের ত্বকে ব্রণ
দেখা দিতে পারে এবং ত্বক ট্যান হওয়া্র সম্ভাবনা থাকে। এ সময় আমরা যদি কিছু
নিয়ম মেনে চলি তাহলে আমাদের ত্বক ভালো থাকবে উজ্জ্বল হবে।
বেশি করে পানি পান করাঃ সূর্যের আলোর কারণে আমাদের ত্বক দ্রুত ডিহাইডেট
হয়ে যায় এজন্য এ সময় আমাদের বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে। তাছাড়া ঘাম
হওয়ার কারণে আমাদের শরীর থেকে পানি বের হয়ে যেতে থাকে তাই এ সময় পানি জাতীয়
ফল তরমুজ শাকসবজি শসা খেতে হবে এতে করে আমাদের দেহে ও ত্বকে ভিটামিন , পুষ্টি ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ হবে। আর আমাদের ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে ত্বকের বলিরেখা
প্রতিরোধ হবে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবেঃ গরমের সময় আমরা বাহিরে গেলে আমাদের ত্বকে
নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য আমরা গরমের সময় বাহিরে যাওয়ার আগে
সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারি এটা আমাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে
রক্ষা করবে। সানস্ক্রিন ব্যবহার করার ফলে আমাদের ত্বক রোদে পোড়া দাগ এবং ট্যানিং
হওয়া থেকে বাঁচবে।
এক্সফোলিয়েট করাঃ গরমের সময় আমাদের ত্বক প্রচুর পরিমাণে ঘামে এবং তাপের
কারণে আমাদের টকিং মৃত কোষের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ত্বকের ছিদ্র গুলোকে আটকিয়ে
রাখে। এজন্য আমাদের সপ্তাহে একবার করে এক্সফোলিয়েট করা দরকার। এটা করার ফলে
আমাদের ত্বকের মৃত কোষগুলি দূর হয়ে যাবে ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ হবে।
ম্যাসাজ করাঃ আপনারা মেকআপ করার আগে ৫ মিনিট সময় নিয়ে ঊর্ধ্বমুখী গতিতে
মুখ ম্যাসাজ করতে পারেন এতে করে আপনার মুখের ফোলা ভাব কমে যাবে ত্বক পানি ধরে
রাখবে। আপনারা যদি লাইট স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করেন তাহলে আপনার
ত্বকের ছিদ্র গুলি আটকাবে না এবং ভারী বোধ করবেনা ত্বক। এছাড়া আমরা হালকা ওজনের
সিরাম ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারি।
রোদে পোড়া দাগ দূর করার ক্ষেত্রেঃ আপনাদের ত্বকের রোদে পোড়া দাগ থেকে
মুক্তি দেবার জন্য আপনারা সপ্তাহে দুইবার এলোভেরার জেল মুখে ব্যবহার করতে পারেন
এতে করে আপনার রোদে পোড়া দাগ দূর হবে এবং ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে
মুক্তি পাবেন এবং আপনার ত্বকের প্রদাহ কমবে।
মাস্ক ব্যবহার করাঃ গরমের সময় আপনাদের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য
আপনারা মুলতানি মাটি এবং চন্দনের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন এগুলো আপনার ব্রণ
সমস্যা দূর করবে এবং ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।
ব্রণ থেকে মুক্তির জন্যঃ ব্রণ থেকে মুক্তি পাবার জন্য আপনারা গ্রিন-টি আইস
কিউব ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা গ্রিন টি এর সাথে এসেনশিয়াল অয়েল
ব্যবহার করে এগুলো যখন বরফ হয়ে যাবে তখন আপনার মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
গরমে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নেওয়া
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারঃ আপনারা ত্বকের যত্নে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন এতে
করে আপনার ত্বকের রোদে পোড়া দাগ এবং সানবার্ন সমস্যা দূর হবে। অ্যালোভেরা জেল
মুখে মাসাজ করতে হবে এবং শুকিয়ে গেলে তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে
হবে এতে করে আপনাদের ত্বক থাকবে ভেতর থেকে ঠান্ডা।
চিনির স্ক্রাবার ব্যবহারঃ ত্বকের মৃত কোষ দূর করার জন্য দরকার সপ্তাহে
দুইবার এক্সফোলিয়েশন করা। এর জন্য আপনারা চিনির স্ক্রাবার ব্যবহার করতে পারেন এর
ফলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং ত্বক মসৃণ ও কোমল
হবে। মধুর সাথে বাদামি চিনি মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে সপ্তাহে দুইবার।
দই এবং টমেটো এর ফেসপ্যাক ব্যবহারঃ ত্বকের ট্যান সমস্যা দূর করার জন্য
আপনি ব্যবহার করতে পারেন টমেটো এবং দই এর ফেসপ্যাক। টমেটো রস এবং টক দই এই দুটি
উপাদান একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে এবং আধঘন্টা রেখে দিতে হবে তারপর শুকিয়ে
গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে করে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
মধু এর ফেসপ্যাক ব্যবহারঃ আপনারা আপনাদের ত্বককে ভালো রাখার জন্য এবং
হাইড্রেট রাখার জন্য মধু এর সাথে গ্রিন টি ব্যবহার করে তৈরি করতে পারেন এবং এটা
আপনাদের মুখে ব্যবহার করলে ভালো উপকার মিলবে। এক চামচ মধুর সাথে এক চামচ পরিমাণে
গ্রিন টি এর পানি একসাথে মিশিয়ে তারপরে ব্যবহার করতে হবে।
চন্দন এবং গোলাপ জলের ফেসপ্যাকঃ এক চামচ চন্দন গুড়ো এবং এর সাথে এক চামচ
গোলাপ জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে তারপরে এটা মুখে লাগাতে হবে। এটা
ব্যবহার করার ফলে ত্বক থাকবে ঠান্ডা এবং হাইড্রেট রাখবে গোলাপ জল।
পুদিনা পাতা ও টক দই এর ফেসপ্যাকঃ পুদিনা পাতা বেটে নিয়ে তারপরে এর সাথে
টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে তারপরে এটা আপনারা আপনাদের মুখে লাগাতে
পারেন। লাগানোর পরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে তারপরে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে
করে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
শসা এবং দই এর ফেসপ্যাকঃ ত্বকের জ্বালা এবং চুলকানি রোদে পোড়ার সমস্যা
কমানোর জন্য আমরা শসা এবং দইয়ের ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারি। প্রথমে
শসার পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে তারপরে এর সাথে এক চামচ দই মিশাতে হবে এভাবে তৈরি
করে নেয়ার পরে মুখে বিশ মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখতে হবে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে।
গরমে ত্বকের যত্নে কি কি ব্যবহার করতে পারি
সানস্ক্রিনের ব্যবহার করাঃ গরমের সময় আমরা আমাদের ত্বকে বিভিন্ন রকমের
সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারি। সবাই আমাদের ত্বক পুড়ে যেতে পারে তাই বাহিরে বের
হবার আগে হাত মুখ এবং শরীরের যে সমস্ত জায়গা বের হয়ে থাকে সে সকল অংশে
সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারি আমরা।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত ক্রিম ব্যবহারঃ যে সকল সিরামে বা ক্রিমে বেশি
পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনাদের ত্বক ভালো
থাকবে।
সাবান এর ব্যবহারঃ আপনারা শীতকালে যে সাবান ব্যবহার করেন সেটা গরমের সময়
ব্যবহার করবেন না এতে করে আপনাদের ত্বকের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য
গ্রীষ্মকালে বা গরমের সময় সাবান বদলাতে হবে।
বেশি করে পানি পান করাঃ গরমের সময় আমাদের শরীর থেকে ঘাম এবং তাপমাত্রা
বাড়ার কারণে শরীর থেকে অনেক পরিমাণে পানি বের হয়ে যায় যার ফলে শরীর ডিহাইডেট
হয়ে যায় এজন্য বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে তাহলে আমাদের শরীর ও ত্বক ভালো
থাকবে। পানি বেশি পরিমাণে পান করলে আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে
যায় এর ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
ফল খাওয়াঃ বেশি বেশি করে ফল খেতে হবে এতে করে আমাদের শরীরে পানির
ভারসাম্য ঠিক থাকবে এবং ফলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন আমাদের ত্বক ও
শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
টোনার ব্যবহারঃ গরমের সময় আপনারা ত্বকে টোনার ব্যবহার করতে পারেন এটি
আপনাদের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাবে এবং পরিষ্কার রাখবে ত্বক।
শসা এলোভেরা ফেসপ্যাকঃ শসা টুকরো করে কেটে এবং এর সাথে এলোভেরা জেল
মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে তারপরে এটা মুখে লাগাতে হবে লাগানোর পর ২০ থেকে ৩০
মিনিট রেখে তারপরে ধরে ফেলতে হবে এতে করে বার্ধক্যের ছাপ কমবে এবং ত্বক হাইড্রেট
থাকবে।
গোলাপজল এবং চন্দনের ফেসপ্যাকঃ চামচ এর সাথে এক চামচ পরিমাণে গোলাপ জল
মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে পারি আমরা এতে করে আমাদের ত্বক হাইড্রেট
থাকবে এবং ঠান্ডা থাকবে উজ্জ্বল হবে।
গ্রিন টি এবং মধুর ফেসপ্যাকঃ প্রথমে গ্রিন টি পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে
তারপরে ছেঁকে নিয়ে পানি ব্যবহার করতে হবে এর সাথে আমরা এক চামচ মধু ব্যবহার করতে
পারে এই দুটো উপাদান একসাথে মিশিয়ে আমাদের মুখে ব্যবহার করতে হবে এতে করে অনেক
ভালো ফল পেতে পারি আমরা।
এছাড়াও আমরা আরো বিভিন্ন উপাদান দিয়ে যেমন টমেটো, টক দই ,মুলতানি মাটি, চন্দন
কাঠ, এলোভেরা জেল, পুদিনা পাতা এবং টক দই ইত্যাদি দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে আমরা
আমাদের মুখে বা ত্বকে ব্যবহার করতে পারি এতে করে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হবে মসৃণ
হবে কোমল হবে। ব্রণ সমস্যা দূর হবে রোদে পোড়া কালো দাগ দূর হবে ত্বক হাইড্রেট
থাকবে । এ সকল উপাদান গুলো ব্যবহার করলে আমরা ঘরোয়া উপায় গরমের সময় ত্বকের
যত্ন নিতে পারি।
ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল
আমাদের ত্বকের জন্য ভিটামিন ই খুবই দরকারি একটি উপাদান কারণ এটা আমাদের টককে নরম,
কোমল, সুন্দর ,উজ্জল ও আদ্র রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাই আমার আমাদের ত্বকের
যত্নের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে থাকি অনেকেই। অনেকেই এটা ব্যবহার
করলে কি হয় এটা ব্যবহার ঠিক না ভুল এটা নিয়ে অনেক সংশয়ে থাকেন। কিন্তু
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকের কোন ক্ষতি হবে না।
আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে
সাহায্য করে থাকে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল। আপনাদের অনেকের ত্বকেই ফুসকুড়ির মতো
সমস্যা, ব্রণ এবং দাগছোপ দেখা যায় আর এই সমস্যা গুলো সমাধান করে থাকে ভিটামিন ই
ক্যাপসুল এবং আপনাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। আমাদের
অনেকের মুখে ব্রণ হওয়ার পরে দাগ হয় আর এই দাগ নিরাময় করে থাকে ভিটামিন ই
ক্যাপসুল কারণ এই ভিটামিন ই ক্যাপসুলে আছে অনেক পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট। আপনাদের
ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করতে সাহায্য
করে থাকে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল। এছাড়াও চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য
করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল। এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর সাথে আমরা লেবুর রস এবং টক দই
মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারি এতে করে দ্রুত ফল পাওয়া যাবে। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি
ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই প্রয়োজনীয়।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে আমরা সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে এর সাথে আরো কিছু উপাদান
মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে আমাদের ত্বকে এবং মুখে ব্যবহার করতে পারি এতে করে আমরা
ফর্সা হব উজ্জ্বল আমাদের ত্বকের জেল্লা ফিরে আসবে এবং আমাদের মুখে জমে থাকা ময়লা
গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। আসেন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল
দিয়ে ফর্সা হতে পারি।
লেবু এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ একটি বাটিতে ২ চামচ দই এক ফোটা লেবুর রস এবং
এর সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে তারপরে এটা ১৫
মিনিট ধরে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলতে
হবে। এই ফেস প্যাকটি আমরা সপ্তাহে দুই দিন লাগাতে পারি । এতে করে আপনাদের মুখের
উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং দাগ দূর হবে ময়লা দূর হবে।
এলোভেরা এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ দেড় চামচ পরিমাণে অ্যালোভেরা জেল এবং এর
সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে তারপরে আপনাদের
মুখে মাসাজ করুন এবং ১০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপরে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এটা ব্যবহার করার ফলে আপনাদের মুখ সতেজ থাকবে ত্বকের ডার্ক স্পট কম হবে ত্বকের
জেল্লা ফিরে আসবে কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং নারিকেল তেলঃ একটি পরিষ্কার-পাত্র দুইটি ভিটামিন ই
ক্যাপসুল এবং এর সাথে ৮ টেবিল চামচ নারকেলের তেল একসাথে মিশিয়ে তারপরে সেটা
আধঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করার ৫ মিনিট পরে আপনারা আপনাদের
মুখে এই ফেসপ্যাকটি লাগাতে পারেন এবং ১০ মিনিট রাখতে হবে তারপরে পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলতে হবে। এটা ব্যবহার করার ফলে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে এবং ব্রণ সমস্যা দূর
হবে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
টক দই এবং ডিমঃ ডিমের সাদা অংশ পরিমাণে এক টেবিল চামচ এবং এর সাথে ভিটামিন
ই ক্যাপসুল এবং পরিমাণে এক টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন একটি
ফেসপ্যাক তারপরে এটি আপনারা আপনাদের মুখে ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার মুখের
প্রাণবন্ত ভাবটি ফিরে আসবে সুন্দর হবে।
মধু এবং গ্রিন টিঃ মধু নিতে হবে এক টেবিল চামচ এবং এর সাথে দুইটি ভিটামিন
ই ক্যাপসুল ও এক কাপ গ্রিন টি নিয়ে সেটআপ করে নিতে পারেন বা কিছুক্ষণ ফুটিয়ে
নিতে পারেন এতে করে একটি ভালো ফেসপ্যাক তৈরি হবে। এটি আপনারা আপনাদের মুখে লাগাতে
পারেন এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে আপনার ত্বকের
ব্রণের দাগ, কালো দাগ এবং বলিরেখা খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
গোলাপজল এবং পেঁপেঃ গোলাপ জল নিতে হবে এক টেবিল চামচ এবং পেঁপের পাল্প দুই
টেবিল চামচ পরিমাণে নিতে হবে আর এর সাথে মেশাতে হবে ১৫ থেকে ২০ ফোটা ভিটামিন ই
ক্যাপসুল। মেশানো হয়ে গেলে এটা আপনারা আপনাদের মুখে লাগাতে পারেন ১০ মিনিট রাখতে
হবে তারপরে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করলে স উজ্জ্বল
হবে ফর্সা হবে আগের চেয়ে অনেক বেশি এবং মুখ পরিষ্কার থাকবে।
নাইট ক্রিম এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ আপনারা যে নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন
তার সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দুটি এর তেল ভালোভাবে মিশিয়ে যখন আপনারা নাইট ক্রিম
ব্যবহার করেন তখন এইটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বক ফর্সা হবে
উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং ময়লা ও কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
- মুখে ব্যবহার করা ক্রিমের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে পারেন এতে করে আপনার ত্বকের সুরক্ষা হবে।
- ত্বক যদি তৈলাক্ত না হয় তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতরে থাকা তেল আপনার মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
- আপনার মুখ যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভেতরে থাকা তেলের সাথে আপনি মিশিয়ে নিতে পারেন গোলাপের পানি।
- অনেকদিনের পুরাতন কালো দাগ দূর করার জন্য আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল ব্যবহার করতে পারেন। হাতের কনুই এবং পায়ের হাঁটুর কালো দাগ দূর করার জন্য এই তেল ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে তিন বার।
- বাদাম তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে আপনারা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে পারেন।
- অনেক দিনের পুরাতন পক্সের ,কাটা এবং ব্রণের দাগ দূর করতে চাইলে আপনারা সেই জায়গায় ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল ব্যবহার করতে পারেন।
- ভেসলিন বা লিপবাম এর সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল মিশিয়ে নিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করলে ঠোঁট গোলাপি এবং মসৃণ হয়।
লেখকের মন্তব্য
এখানে ম্যাক্সিমো ইনফো গরমে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব এবং ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে গরমে ত্বকের
যত্ন নিব কিভাবে ইত্যাদি কয়েকটি বিষয়ে অনেক তথ্য দিয়েছে এই পোস্টটিতে এগুলো
পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং অনেক ধারণা পাবেন ত্বকের যত্ন কিভাবে নেবেন এই
বিষয়ে। এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনারা অবশ্যই এই পোস্টটি
আপনাদের পরিচিত বন্ধু আত্মীয় সবার মাঝে শেয়ার করে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url