জবা ফুলের হেয়ার প্যাক বানানোর উপায় জানুন

আসসালামুআলাইকুম, আজকে আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে জবা ফুলের হেয়ার প্যাক বানানোর উপায় সম্পর্কে এবং জবা ফুলের তেল বানানোর উপায় অর্থাৎ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে কিভাবে আপনারা হেয়ার প্যাক এবং জবা ফুলের তেল বানাতে পারবেন এ সকল বিষয়ে আপনাদের আজকে জানাবো। এগুলো জানার জন্য দয়া করে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
জবা ফুলের হেয়ার প্যাক বানানোর উপায় জানুন
জবা ফুল খুব পরিচিত একটি ফুল আমরা সবাই চিনি। জবা ফুলের অনেক উপকারিতা যেগুলোর কথা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা আজকে আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে জবা ফুলের উপকারিতার কথা এবং জবা ফুলের হেয়ার প্যাক বানানোর উপায় এবং জবা ফুলের তেল বানানোর উপায় সম্পর্কে আপনাদের বলেছি এছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে বলেছি এখানে এগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং সঠিক তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন এ সকল তথ্য পড়ে উপকৃত হওয়ার জন্য।

ভূমিকা

আমাদের সবার বাড়িতে কম বেশি জবা ফুলের গাছ দেখা যায় কারণ জবা ফুলের অনেক উপকারিতা আছে। জবা ফুল আমাদের ত্বকের জন্য চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং এর অনেক ভেষজ উপকারিতা আছে যেগুলো আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। জবা ফুল আমাদের চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এর ফলে মাথার খুশকি দূর হয় চুলের জেল্লা বাড়ে চুল গজাতে সাহায্য করে চুল ঘন কালো হয় সাদা চুল কালো হয় ইত্যাদি অনেক উপকারিতা। এছাড়াও জবা ফুলের তেল বানানো যায় যেটা আমাদের


চুলের জন্য খুবই উপকারী এছাড়া জবা ফুলের চা তৈরি করে খেলে অনেক অসুখের থেকে আরাম পাওয়া যায়। নিয়ন্ত্রণে থাকে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে লিভার কে সুস্থ রাখে। ক্যান্সার প্রতিরোধ জবা ফুলের চা খেলে উপকার পাওয়া যায় শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে। এছাড়াও যাদের এলার্জিজনিত সমস্যা আছে তারা জবা সেবন করা থেকে বিরত থাকবেন আবার জবা সেবন করলে মাথা ঘুরে বমি বমি ভাব হয় গর্ভাবস্থায় জবা সেবন করলে ভ্রুণের ক্ষতি হয়। এ সকল থেকে বলা যায় জবা ফুলের যেমন উপকারিতা আছে তেমনি কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে।

লাল জবা ফুলের উপকারিতা

মুখের যত্নেঃ জবা ফুলের মধ্যে আছে সাইট্রিক এবং ম্যালিক এসিড এবং আছে এক্সোফোলিয়েটিং ক্ষমতা এই উপাদানগুলো আমাদের মুখের কালো দাগ ছোপ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। আপনারা জবা ফুলের পাপড়ি এবং এর সাথে নারকেল অথবা তিলের তেল ব্যবহার করে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন এতে করে আপনাদের মুখের ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং টান টান হবে। এই ফুল বেটে মুখে লাগালে মুখের ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।

চুলের যত্নেঃ চুল পড়া কমানোর জন্য, চুল ঘন করার জন্য চুল লম্বা এবং উজ্জ্বল চুলের জন্য জবা ফুল এবং পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে এছাড়াও চুলের খুশকি এবং সাদা চুল ওঠা কমাতে ও চুল গজাতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও যেকোনো তেল তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে জবা ফুলের নির্যাস । আবার বিভিন্ন ধরনের হেয়ার শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার তৈরি করার জন্য ও জবা ফুল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ঔষধি গুনাগুনঃ জবা ফুলের চা ঔষধি গুনাগুন সম্পূর্ণ। জবা ফুলের চাতে কোনো ক্যাফেইন থাকে না। এই চা জবা ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে সেই শুকনো পাপড়ি দিয়ে গরম পানিতে তৈরি করা হয়। জবা ফুলের চা লিভার সুস্থ রাখার জন্য এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে। জবা ফুলের চা কোন ক্যাফেইন থাকে না তাই এটি শরীরের জন্য কোনরকম বিপরীত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ জবা ফুলের চা খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় কারণ জবা ফুলের চা তে আছে এন্টি অক্সিডেন্ট গুণাগুণ। আপনাদের মধ্যে যাদের এই সমস্যা আছে তারা জবা ফুলের চা নিয়মিত খেতে পারেন। এছাড়াও জবা ফুলের চা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন থাকলে তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে এবং আপনার শরীর থাকবে সুস্থ।

মেয়েদের ঋতুস্রাবের সমস্যা সমাধানেঃ জবা ফুলের কয়েকটি কুড়ি নিয়ে তার সাথে এক গ্রাম দারচিনি ভালোভাবে একসাথে করে বেটে নিয়ে সেটা পানিতে মিশে খেতে হবে পিরিয়ড হওয়ার শুরুর ডেট থেকে স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত। যাদের ঋতুস্রাবের সমস্যা হয় এবং ঠিকমতো হয় না বা এক বা দুই মাস পিরিয়ড স্বাভাবিক মত হয়না তারা এটি খেতে পারেন তাহলে আপনি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

জবা ফুলের তেল বানানোর উপায়

জবা ফুল দিয়ে তেল বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে কয়েকটা জবা ফুলের পাতায় এবং তার সাথে আট থেকে দশটি জবা ফুল নিতে হবে তারপর এগুলোকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এর সাথে আপনার প্রয়োজন হতে পারে নারকেল তেল। আপনার দরকার হবে একটি সসপ্যান। এবার এই উপাদান গুলো ভালোভাবে একসাথে করে একটি পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে পেস্ট বানানোর সময় কোন রকম পানি ব্যবহার করা যাবে না। এরপরে আপনাকে একটি সসপ্যান চুলাতে বসিয়ে অল্প আচে বসাতে হবে


তারপর সেই সসপ্যানে নারিকেলের তেল ঢেলে গরম করতে হবে প্রথমে কিন্তু আচ বাড়ানো যাবে না কিন্তু তেলটা পুড়ে যেতে পারে। তারপরে যখন তেলটা গরম হবে তারপর সেখানে আগে থেকে বানিয়ে রাখা পেস্ট টি দিয়ে দিতে হবে এবং ফুটাতে হবে ফোটানোর পরে দেখা যাবে যে তেলের রং ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে তারপরে সেটা চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে এবং ঠান্ডা হয়ে গেলে থেকে নিতে হবে। এভাবেই বানানোহয়ে যাবে জবা ফুলের তেল এই তেলটা আপনি একটি শিশিতে রাখতে পারেন। আপনারা এই জবা ফুলের

তেলটা সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনাদের চুল পড়া সমস্যা সমাধান হবে। চুল ঘন ও লম্বা হবে ,নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে ,মাথার খুশকি দূর হবে, সাদা চুল কালো হবে কারণ জবা ফুলে আছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ,ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রাকৃতিক পিগমেন্ট যা আপনার মেলানিন উৎপাদনে সাহায্য করবে। আপনার চুলকে করবে সুন্দর রাখবে নরম আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে জবা ফুলের তেল ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অনেক উপকার মিলবে।

নতুন চুল গজাতে জবা ফুল

নতুন চুল গজাতে জবা ফুলের অনেক উপকারীতা রয়েছে কারণ জবা ফুলে আছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ইত্যাদি উপাদান এই উপাদান গুলো চুলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এবং নতুন চুল গজাতে চুলের বিভিন্ন রকমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে । এছাড়া অনেকে জবা ফুলের তেল বানিয়ে সেটা ব্যবহার করে থাকেন এতেও চুল ঘন ও কালো হয় ,সাদা চুল কালো হয় এবং মাথার খুশকি দূর হয়। এজন্য অনেকেই জবা ফুলের সাথে বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করে থাকেন।

ডিম এবং জবা ফুলঃ নতুন চুল গজানোর জন্য ডিম এবং জবা ফুলের এই হেয়ার প্যাকটি অনেকের ব্যবহার করে থাকেন এতে করে যেমন নতুন চুল গজায় তেমনি চুলের বৃদ্ধি ও হয়ে থাকে। প্রথমে জবা ফুলের পাউডার নিতে হবে তিন টেবিল চামচ এবং তার সাথে নিতে হবে ডিমের সাদা অংশ এই দুইটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে একটি পেজ তৈরি করে নিতে হবে তারপর এটি আপনার চুলে ব্যবহার করে আধাঘন্টা রাখার পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে। আপনারা ব্যবহার করতে পারেন একবার সপ্তাহে।

জবা ফুলের তেলঃ নারকেল তেলের সাথে জবা ফুলের পাতা ও ৮ থেকে ১০ টি জবা ফুল ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে তারপর সেটাকে চুলার আচে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে তেল বানিয়ে সেই তেল মাথার চুলে ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার মাথার খুশকি দূর হবে ,নতুন চুল গজাবে ,সাদা চুল কালো হবে, চুল বড় হবে এবং ঘন হবে। অর্থাৎ চুলের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে আপনি এই জবা ফুলের তৈরি তেল ব্যবহার করতে পারেন।

কারণ জবা ফুলে আছে অ্যামিনো এসিড যা আপনার চুলের কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করবে এতে করে প্রাকৃতিকভাবে আপনার মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করবে এবং আপনার চুলের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করবে চুলের ফলিকল গুলোতে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করবে যেটা আপনার মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। এ সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই জবাব ফুলের তেল অথবা জবাব ফুলের বিভিন্ন হেয়ার প্যাক বানিয়ে মাথা ও চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা

জবা ফুলের অনেক প্রজাতি আছে প্রাই ১০০ আমাদের সবার বাড়িতেই এখন জবা ফুল এর গাছ পাওয়া যায়। কিন্তু এর উপকারিতা কথা অনেকেই জানেনা। জবা ফুলের প্রজাতির মধ্যে আছে রক্ত জবা, জবা কুসুম ,মরিচা জবা ,জবা এবং পঞ্চমুখী জবা ইত্যাদি। বাংলাদেশের পঞ্চমুখী জবা ফুলের গাছ পাওয়া যায় এই গাছটি জবা থেকে একটু আলাদা দেখতে মনে হয় যেন কয়েকটি জবাব একসাথে মিশে আছে। জবা ফুলের গাছ একটি মালভেশি গোত্রের পুষ্পধারি গুল্ম জাতীয় চির সবুজ উদ্ভিদ এবং এর উৎপত্তি পূর্ব এশিয়াতে। 


এই জবা ফুল গাছের উচ্চতা ৮ থেকে ১৬ ফিট পর্যন্ত হয়। জবা ফুলের রং বিভিন্ন রঙের হয় যেমন সাদা ,হলুদ, কমলা এবং লাল ইত্যাদি। জবা ফুলের অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বমি বমি ভাব হলে এবং অস্বস্তি দূর করার জন্য জবা ফুল চার থেকে পাঁচটি বেটে শরবত করে খেলে উপকার পাওয়া যায় আবার অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে জবা গাছের ছালের রস খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও দাড়ি চুল গোঁফ এবং বুথে কোন ফাংগাল ইনফেকশন হলে জবা ফুল পেটে তার প্রলেপ লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

চোখের কোনাতে ক্ষত হলে বা পুঁজ হলে জবা ফুল পেটে চোখের উপরে এবং নিচে লাগালে অনেক উপকার মিলে। আবার চর্ম রোগ হলে বা হাতের শুকনো চামড়া উঠতে লাগলে জবা ফুল হাতের তালুতে ঘষলে এ সকল সমস্যা সেরে যায়। সর্দি এবং কাশিতে জবা ফুল বেটে তার রস করে পানিতে মিশে খেলে আরাম পাওয়া যায়। চোখ ওঠার সমস্যা দূর করার জন্য জবা ফুলের পাতার প্রলেপ ব্যবহার করলে অনেক উপকার হয়। এছাড়া চুলের বৃদ্ধি করার জন্য, নতুন চুল গজাতে, সাদা চুল কালো করতে এবং চুলের জেল্লা বাড়াতে জবা ফুল তেল ব্যবহার করা হয়।

জবা ফুলের হেয়ার প্যাক বানানোর উপায় জানুন

জবা ফুলে আছে অ্যামিনো এসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন যেগুলো আমাদের চুলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এ সকল পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের চুলের গোড়া শক্ত করে মাথায় এবং চুলের গোড়াতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, চুল সুন্দর হয়, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং মাথার খুশকি দূর করে ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা সমাধান করে থাকে এজন্য অনেকেই জবা ফুলের সাথে বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে বিভিন্নভাবে হেয়ার প্যাক তৈরি করে সেগুলো মাথার 

ত্বকেও চুলে ব্যবহার করে থাকে। আসন জানা যাক জবাব ফুলের হেয়ার প্যাক বানানোর বিভিন্ন উপায় গুলো সম্পর্কে অর্থাৎ আপনারা কি কি উপকরণ জবা ফুলের সাথে যোগ করে হেয়ার প্যাক বানাতে পারবেন। নিচে সেগুলোর বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হল

জবা ফুল এবং আমন্ড অয়েলঃ প্রথমে জবা ফুল শুকিয়ে নিতে হবে তারপরে এর সাথে আমন্ড অয়েল এবং শুকনো জবাব ফুল ভিজিয়ে রাখতে হবে কয়েক সপ্তাহ ধরে তারপর সেটাকে থেকে সেই তেলটুকু ব্যবহার করতে হবে আপনার চুলে।

এলোভেরা জেল এবং জবা ফুলঃ এলোভেরা তৈরি করে নিতে হবে তারপরে এই পেজটি আপনার চুলে ব্যবহার করে রাখতে হবে ৪৫ মিনিট ধরে তারপরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন এতে করে অনেক উপকার মিলবে।

ডিম এবং জবা ফুলঃ জবা ফুল পেটে প্রথমে পেস্ট তৈরি করে সেই পেস্ট নিতে হবে তিন টেবিল চামচ পরিমাণে এবং এর সাথে মেশাতে হবে দুইটি ডিমের সাদা অংশটুকু। এই দুইটি উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিয়ে তারপর আপনার চুলে ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহার করার পরে ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

পেঁয়াজের রস এবং জবা ফুলঃ জবা ফুল প্রথমে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে তারপরে এর সাথে মেশাতে হবে একটি পেঁয়াজের রস। এই মিশ্রণটি আপনার চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে এবং কিছুক্ষণ রাখার পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।

টক দই এবং জবা ফুলের পাপড়িঃ জবা ফুলের পাপড়ি প্রথমে পরিষ্কার করে ধুয়ে একটি পাত্রে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে তারপরে এর সাথে মেশাতে হবে টক দই এই দুই উপকরণ ভালোভাবে মেশানো হলে এটি আপনার চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন এবং ঘন্টাখানেক রাখার পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

জবা ফুল এবং নারিকেল তেলঃ আগে জবা ফুল বেটে নিতে হবে তারপরে এর সাথে নারীকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল তেল মিশিয়ে আপনারা মাথায় চুলে ব্যবহার করতে পারেন ৪০ মিনিট রাখার পরে এটি আপনারা ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ও চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে পারেন।

জবা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

জবা পাতার উপকারিতা আছে অনেক এর অনেক ভেষজ উপকারিতা আছে যেগুলো আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এ সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য আমরা জবা পাতা ব্যবহার করতে পারি তাহলে আসুন জানা যাক জবা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে
  • জবা পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেলে আপনাকে শক্তি যোগাবে।
  • জবার পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেলে আপনার ক্ষুধা লাগবে না।
  • এটি আপনারা আপনাদের হজমের উন্নতি করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
  • উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই জবার পাতার চা ব্যবহার করতে পারেন।
  • আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে জবা পাতা দিয়ে চা তৈরি করে খেতে পারেন।
  • জবা ফুল কিডনি অথবা পিত্তথলিতে পাথর হলে তা অপসারণ করার জন্য সাহায্য করে থাকে।
  • জবা ফুল আপনাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করার জন্য অনেক ভূমিকা রাখে এবং আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে।
  • এই জবার ফুল ও পাতা আপনাদের ত্বকের বিভিন্ন রকমের সমস্যা এবং চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে থাকে।
জবা ফুল ও পাতার যেমন অনেক উপকারিতা আছে তেমনি এগুলো ব্যবহার করার ফলে অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতার দেখা দিতে পারে। যেগুলো আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে তাহলে আসন জানা যাক জবা ফুল ও পাতার কিছু অপকারীতার কথা
  • আপনাদের মধ্যে যারা জবা গ্রহণ করার ফলে অর্থাৎ জবাতে এলার্জি আছে তারা এটা থেকে দূরে থাকবেন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • জবাতে আছে অনেক অ্যালুমিনিয়াম। যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের জন্য অতিরিক্ত অ্যালুমিনিয়াম জমা হলে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় স্নায়ুর রোগে এবং ভ্রুণের বিকাশে জবাতে থাকা অ্যালুমিনিয়াম এর অনেক নেতিবাচক ভূমিকা আছে।
  • জবা সেবন করার ফলে নিম্ন রক্ত চাপের জন্য স্বাস্থ্যের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • মাথা ঘোরা, বুক ধড়ফড় করা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে অর্থাৎ এই পোস্টের মাধ্যমে জবা ফুলের হেয়ার প্যাক বানানোর উপায় এবং জবা ফুলের তেল বানানোর উপায় ছাড়াও আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অনেক বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে এগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। তাই এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনারা অবশ্যই আপনাদের পরিচিত বন্ধু আত্মীয় সবার সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন এবং কমেন্টে জানাবেন কেমন হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url