স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কিশমিশের উপকারিতা ও অপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম, এখানে আমি স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কিশমিশের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং বেগুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা স্বাস্থ্য এর জন্য এছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয় যথা মুখে স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় স্বাস্থ্য ভালো রাখার কৌশল ও নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেছি। এগুলো জানার জন্য তাই সবাইকে অনুরোধ করছি এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আমাদের সকলেরই উচিত আমাদের শরীর স্বাস্থ্য কে ভালো রাখা। মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় এর মধ্যে আছে প্রতিনিয়ত মুখ পরিষ্কার রাখা দাঁত ব্রাশ করা ধূমপান বা মদ পান না করা তাহলে আমরা অনেক অসুখ থেকে রক্ষা পাব। এছাড়াও স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কিশমিশের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং বেগুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা স্বাস্থ্য এর জন্য ইত্যাদি আরো কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
আমরা সকলেই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করি এবং আমরা যাতে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা পায় তার জন্য সব সময় স্বাস্থ্যের যত্ন নিয়ে থাকি। আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত সুষম খাবার খেতে হবে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে হাঁটতে হবে প্রতিনিয়ত মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে এবং তার ব্রাশ করতে হবে ঘুমোতে হবে তাহলে আমরা আমাদের শরীর স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে পারি।
আরও পড়ুনঃপ্রতিদিন কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
অনেক নিয়ম কারণ মেনে চলে অনেকেই এছাড়া আমরা কি কি খাবার খেলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে কোন ক্ষতি হবে না বিভিন্ন ধরনের অসুখ থেকে মুক্তি পাবো এগুলো মেনে চ্লেন। এগুলো মেনে চললে আমরা ক্যান্সার হৃদ রোগ ইত্যাদি আরো অনেক জটিল রোগের সম্মুখীন হব না। বেশি বেশি করে সবুজ শাক সবজি এবং বেশি ফল খাব এতে করে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে আমাদের হাড় শক্ত হবে। আমরা ডাইবেটি স নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
মুখের স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়
আমাদের সকলেরই মুখের স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য অনেকগুলি উপায় আছে সেগুলি মেনে চলতে হবে। ধূমপান করা যাবে না, মদ পান করা যাবে না, পান ও জর্দা খাওয়া যাবেনা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার ও মিষ্টি খাবার অর্থাৎ মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের মুখের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে। এর জন্য হৃদরোগ, ক্যান্সার ,শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা এবং ডায়াবেটিস হতে পারে। মুখে অসুখ আছে এরকম মানুষ আমাদের পৃথিবীতে অনেক আছে দাঁতের রোগের জন্য আছে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ।
দাঁতের ক্ষয়জনিত সমস্যাটা বেশি হয় শিশুদের এরকম শিশু আছে প্রায় ৫২ কোটি। জিহ্বা, দাঁত, নরম ও শক্ত টিস্যুর গঠন মুখের ভেতরের এগুলো সমস্যা হলে মুখের সমস্যা হয়। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ না করলে মুখ পরিষ্কার না করলে মুখে স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। এর জন্য মাড়ি ফুলে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বের হয় এবং দাঁতের ক্ষয়জনিত সমস্যা হয় মুখের অসুখ হলে মানসিক চাপ এর সৃষ্টি হয়। অর্থসামাজিক অবস্থা দায়ী কারণ যে অঞ্চলের মানুষ কম শিক্ষিত তাদের সমস্যাটা বেশি দেখা যায়।
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য রক্ষার কৌশল কোনটি
- প্রতিদিন নিয়ম করে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে।
- প্রতিদিন পরিমিত পরিমানে সাত আট ঘন্টা ঘুম পাড়তে হবে।
- ব্যায়াম করতে হবে এবং হাঁটতে হবে।
- সাঁতার কাটতে হবে এবং ভালো চিন্তা ভাবনা করতে হবে।
- প্রতিদিন পরিমাণ মতো কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করতে হবে।
- শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
- ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
- প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খেতে হবে।
- দেশি ফল খেতে হবে এবং সামান্য জ্বর মাথাব্যথা গ্যাস এর সমস্যা হলে ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
শরীর স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়
ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এতে করে আমাদের দৃষ্টি শক্তি উন্নত হবে চরবিহীন বেশি তৈরি হবে রক্তে কোলেস্টেরল কমবে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক হবে। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটতে হবে এবং শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
রাতে ভালো ঘুমানোঃ প্রতিদিন নিয়ম করে সাত আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে এতে করে প্রতিদিন এর ক্লান্তি দূর হবে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
অ্যালকোহল পান করা যাবে নাঃ অ্যালকোহল আমাদের শরীরের টক্সিন এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে এবং ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ড এর গতি অনিয়ন্ত্রিত করে মস্তিষ্ক এবং লিভারের সমস্যা হয় এজন্য অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে।
পরিমিত পরিমাণ পানি পানঃ প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে কমপক্ষে ২ লিটার করে পানি পান করতে হবে এতে আমাদের হজমের সমস্যা হবে না রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে পেশিকে যোগাবে শক্তি এবং আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
মেডিটেশনঃ আমাদের প্রতিদিন নিয়ম করে মেডিটেশন করতে হবে এতে করে আমাদের মানুষের চাপ কমবে এতে মস্তিষ্ক স্থির থাকে।
স্বাস্থ্যকর খাবারঃ আমাদের প্রতিদিন একই সময় নিয়ম করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে বেশি করে সবজি এবং দেশি ফলমূল খেতে হবে। এতে করে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং আমরা বিভিন্ন রোগের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো ।চিপস ,ক্যান্ডি এবং ঠান্ডা পানীয় খাওয়া যাবেনা।
শরীরের বাড়তি ওজন কমানোঃ আমাদের শরীরের ওজন বাড়ানো যাবে না শরীরের আকার আয়তন ওজন ঠিক আছে কিনা তা সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে। বিভিন্ন ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে হবে।
নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যাওয়াঃ আপনার শরীর ঠিক আছে কিনা তা জানার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কোন রোগ হলে তা প্রথমে ডাক্তারকে দেখিয়ে তার চিকিৎসা নিতে হবে।
স্বাস্থ্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং নিয়ম
আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা আছে অনেক আমরা যদি আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে চাই বা ভালো রাখে তাহলে আমরা অনেক ধরনের অসুখ থেকে রক্ষা পাবো। ধূমপান মধ্যপান করলে যেমন হৃদ রোগের সমস্যা ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে আমরা যদি এগুলো না করি তাহলে আমাদের হৃদ রোগের সমস্যা ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিস রোগ থেকে মুক্তি পাবো। আমরা যদি নিয়মিত মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করি তাহলে আমাদের মুখ ও দাঁতের অসুখ হবে না।
এজন্য আমাদের একটু শিক্ষিত হতে হবে তাহলে আমরা এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারব এবং সে অনুযায়ী কাজ করলে আমরা অনেক মারাত্মক রোগের সম্মুখীন হবো না। আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য কয়েকটি নিয়ম আছে। আমাদের প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার করে পানি পান করতে হবে। পানি আমাদের শরীরে হজমে সাহায্য করে। কম করে হলেও প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। এতে করে আমাদের মানসিক চাপা কমবে।, প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করতে হবে ।
দাঁত ব্রাশ করতে হবে তাহলে আমরা মুখের বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা পাব দাঁতের ক্ষয় হবে না। শারীরিক পরিশ্রম ব্যায়াম এবং হাঁটতে হবে এতে করে আমাদের শরীরের বাড়তি ওজন কম হবে। পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খেতে হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার চিপস, ক্যানডি এবং কোমল পানিও থেকে দূরে থাকতে হবে বেশি বেশি করে দেশী ফল খেতে হবে তাহলে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যকে রক্ষা করতে পারবো এবং সুস্থ থাকব।
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কিশমিশের উপকারিতা ও অপকারিতা
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কিশমিসশের উপকারিতা গুলো নিচে বর্ণনা করা হলো
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় উপকারীঃ কিশমিশে থাকে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এ উপাদান গুলো আমাদের অ্যাসিডিটি কমাতে অনেক সাহায্য করে। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে কিডনিতে পাথর এবং হৃদরোগের মতো কঠিন রোগের প্রতিরোধেও অনেক সাহায্য করে থাকে আমাদের।
রক্তস্বল্প তাই উপকারীঃ কিশমিশে থাকে আয়রন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। ফলে আমাদের শরীরের রক্ত বৃদ্ধি হয় এবং কিশমিসশে যে তামা থাকে তা লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে।
হজমে সাহায্য করেঃ প্রতিদিন কিশমিশ খেলে পেট ভালো থাকে কিশমিশে থাকে ফাইবার তা আমাদের পেটের রেচক প্রভাব ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ কিশমিসশে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট এটা আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল কার্যকলাপ থেকে আমাদের রক্ষা করে।
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীঃ এটা আমাদের ত্বকের কোষ কে যেকোনো ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এর ফলে আমাদের ত্বকের দাগ এবং সূক্ষ্ম রেখা হওয়া থেকে রক্ষা করে।
ওজন বৃদ্ধিতেঃ কেউ যদি ওজন বাড়াতে চায় তাহলে কিশমিশ খেতে পারেন এটি খাবার ফলে শরীরে শক্তি যোগায় এবং ওজন বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও ঠান্ডা জ্বর কাশি হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ভালো ঘুম হয়।
কিশমিশের কিছু অপকারিতা গুলো নিচে বলা হল
- বেশি পরিমাণে কিশমিশ খেলে এলার্জি সমস্যা হতে পারে যাদের এলার্জি আছে তাদের এটা না খাওয়াই ভালো।
- বেশি পরিমাণে কিশমিশ খেলে ডায়াবেটিস বাড়তে পারে।
- শরীরের ওজন কমাতে চাইলে কিশমিশ খাওয়া হবে না কারণ কিশমিশ শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
- বেশি পরে মানে কিশমিশ খাওয়া ভালো না কারণ বেশি খেলে খাবার হজমে বিঘ্ন ঘটে।
বেগুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা স্বাস্থ্য এর জন্য
- বেগুন খাওয়ার উপকারিতা গুলো হল
- বেগুন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
- বেগুন খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়
- হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের সাহায্য করে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং চোখের জন্য খুবই উপকারী
- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে আমাদের
- বেগুন খেলে ঠোঁটের কোণে এবং মুখে ঘা ভালো হয়ে যায়
- ডায়রিয়া ভালো হয় এবং হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।
বেগুনের কিছু অপকারিতা স্বাস্থ্যের জন্য
- গর্ভবতী মায়েদের বেগুন খাওয়া উচিত না কারণ এতে করে তাদের ভ্রুণের সমস্যা হতে পারে।
- যাদের পেটে সমস্যা আছে তারা বেগুন খাবেন না এ সময় বেগুন খেলে মাথাব্যথা বমি বমি ভাব হতে পারে।
- যাদের ক্যান্সারের সমস্যা আছে তারা বেগুন খাবেন না এতে করে আরো বেশি সমস্যা হবে।
- এলার্জিজনিত সমস্যা যাদের আছে তারা বেগুন থেকে দূরে থাকুন। বেগুন খেলে এলার্জি বেশি হয়।
লেখক এর মন্তব্য
ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কিশমিশের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং বেগুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা স্বাস্থ্য এর জন্য এছাড়াও স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় নিয়ম ইত্যাদি আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। এগুলো পড়ে আপনারা অনেক তথ্য পাবেন এবং উপকৃত হবেন। তাই এই পোস্টটি ভালো লাগলে আপনারা আপনাদের পরিচিত আত্মীয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url