ধূমপান ছাড়ার উপায়গুলো কি কি সে বিষয়ে জানুন

আসসালামু আলাইকুম, এখানে আমি ধূমপান ছাড়ার উপায় গুলো কি কি এবং ধূমপান প্রতিরোধ ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত ভাবে তথ্য দিয়ে আলোচনা করেছি। ধূমপান ছাড়ার প্রথম উপায় হল প্রতিজ্ঞা করা এবং ধূমপান সঙ্গী থেকে দূরে থাকা এছাড়া আরো অনেক বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ সকল বিষয় পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন তাই আপনাদের অনুরোধ করছি এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ধূমপান ছাড়ার উপায়গুলো কি কি সে বিষয়ে জানুন
ধূমপান করার ফলে এর বিষাক্ত ক্ষতিকর নিকোটিন আমাদের শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে যার ফলে আমাদের শরীরে নানা রকম সমস্যা তৈরি হয়। ফুসফুসের ক্যান্সার গলা ও মুখের ক্যান্সার রক্তনালী চিকন হওয়া ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা করা ধূমপান করলে কি কি ক্ষতি হয় না করলে কি কি উপকার পাওয়া যায় এবং ধূমপান ছাড়ার উপায়গুলো কি কি ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় আলোচনা করা হয়েছে তাই দয়া করে শেষ পর্যন্ত পড়ুন সকল বিষয়ে জানার জন্য।

ভূমিকা

ধূমপান হচ্ছে বিড়ি, সিগারেট এবং তামাক জাতীয় দ্রব্যের আগুনে পোড়ানোর ফলে যে ধোয়া বের হয় সেটাকে শরীরের মধ্যে প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়া। এর ফলে আমাদের শরীরে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। আমাদের শরীরের রক্তনালী চিকন হতে পারে ফুসফুসে অক্সিজেন চলাচল ব্যাহত হয় এবং রক্তে অক্সিজেন এর পরিমাণ কম হয়ে যায় এর ফলে ফুসফুসে ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক, হৃদরোগ এবং মুখে ও গলায় ক্যান্সার হয়। যে ধূমপান করে শুধু তার ক্ষতি হয়  না তার আশেপাশে থাকা মানুষের ও ক্ষতি হয়।

আরও পড়ুনঃপ্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা  

বিশেষ করে ছোট বাচ্চার এবং বয়স্ক বৃদ্ধদের সমাজের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর যদি কেউ ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা পায় তার মধ্যে তাকে প্রথমে ধূমপান ছাড়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করতে হবে এছাড়াও তাকে ধূমপান সঙ্গীতের সঙ্গ ছাড়তে হবে আরো নানা উপায়ে ধূমপান ছাড়া যায়। ধূমপান ছাড়ার ফলে মানুষের ক্যান্সার হৃদরোগ হার্ট অ্যাটাক মুখে ও গলার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় মানুষ খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা দিন দিন বাড়তে শুরু করে।

ধূমপান ছেড়ে দিলে কি হয় তা জানুন

ধূমপান ছাড়ার ২০ মিনিট পরঃ ধূমপান ছাড়ার মাত্র ২০ মিনিট পর থেকেই আমাদের শরীরের রক্তচাপ এবং নাড়ির গতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সিগারেটের বিষাক্ত নিকোটিন নার্ভ সিস্টেমকে সক্রিয় রাখার ফলে আমাদের শরীরের নার্ভ সিস্টেম এর গতি বেড়ে যায় ধূমপান ছাড়ার পরে তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় বা নিচে নেমে যায়।

ধূমপান ছাড়ার ১২ ঘন্টা পরঃ ধুমপান করার ফলে অর্থাৎ সিগারেটের যে বিষাক্ত গ্যাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং আমাদের শরীরে অক্সিজেন রক্তে যাতায়াত করতে বাধাগ্রস্ত হয়। ধূমপান ছাড়ার ১২ ঘন্টা পর থেকে আমাদের শরীরে অক্সিজেন এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে এবং স্বাভাবিক হয়ে যায়।

দুইদিন পর থেকেঃ ধূমপান করলে মানুষের স্বাদ এবং গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায় এবং ধূমপান ছাড়ার দুইদিন পর থেকে মানুষের এই স্বাদ এবং গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে দেয়।

বুকের ভেতরটা হালকা হয়ঃ ধূমপান ছাড়ার ফলে আমাদের শরীরে আর নিকোটিন থাকতে পারেনা সেই কারণে আমাদের বুকের ভেতরটা হালকা হয় এবং শ্বাসক্রিয়া স্বাভাবিক হয় এবং সহজ হয়ে যায়।

ফুসফুসে অক্সিজেন প্রবেশঃ ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার কয়েক মাস পর থেকে ফুসফুসে অক্সিজেন প্রবেশ করতে শুরু করে আগের থেকে ভালো। শতকরা ৩০ ভাগ বেশি পরিমাণে ফুসফুস অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কাশিভাব কমতে শুরু করে দেয় ও এবং শরীরের রক্ত চলাচল ও আগের থেকে ভালো হয়।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমেঃ ধূমপান ছাড়ার এক বছর পর থেকে লক্ষ্য করা যায় যে হৃদরোগের ঝুঁকি হওয়ার ক্ষমতা অর্ধেক এ নেমে আসে। ধূমপান ছাড়ার ১০ বছর পর দেখা যায় যে ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য মরে যাওয়ার ঝুঁকি ও কম হয়। কেউ যদি ১৫ বছর ধূমপান না করে থাকে তাহলে তার করোনারি হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি একেবারে কমে যায় যারা ধূমপান করে না তাদের মত।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ ধূমপান ছাড়ার কয়েক মাসের মধ্যেই লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে কিডনি, মুখ, গলার ক্যান্সার এবং মুত্রাশয় এ ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমতে শুরু করে।

ধূমপান করলে কি কি ক্ষতি হয়

ধূমপান এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত ধূমপান করা মানে বিষ পান করা। ধূমপান করলে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হতে পারে। শুধু যে স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হয় তা নয় এটা আমাদের পরিবারের এবং সমাজের উপর ও প্রভাব ফেলে নানা রকম ভাবে। যারা ধূমপান করে তারা এটাকে গুরুত্ব দেয় না তারা এ বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে থাকে কিন্তু এর প্রভাবে যে অনেক ক্ষতি হয় এটা তারা মনে করে না। আমরা বাহিরে রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় অনেক মানুষকে।

সিগারেট খেতে দেখতে পাই এতে করে তার যেমন ক্ষতি হয় তেমনি করে আশেপাশের মানুষেরও অনেক ক্ষতি হয় কারণ সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকে প্রায় ২০০ টিরও বেশি বিষাক্ত পদার্থ নিকোটিন থাকে। এই নিকোটিন আমাদের শরীরের রক্তে ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে দেয় যার ফলে মানুষ ফুসফুসে অক্সিজেন গ্রহণে বাধাগ্রস্ত হয়। ধূমপান করার কারণে আমাদের শরীরের রক্তনালি চিকন হতে শুরু করে যার ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।

ছোট শিশুদের সামনে ধূমপান করলে তারাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় যেমন নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ধূমপান করার কারণে মানুষের স্বাদ এবং গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়, ডায়াবেটিস, ফুসফুসের সমস্যা ,বন্ধ্যাত্ব ,ক্যান্সার, অন্ধত্ব, প্রদাহ বাড়া, ওরাল ক্যাভিটি, মুখে এবং গলায় ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ধূমপান ছাড়ার উপায়গুলো কি কি সে বিষয়ে জানুন

  • ধূমপান ছাড়ার উপায়গুলোর মধ্যে প্রথমটি প্রথমে আপনাকে ধূমপান ছাড়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
  • যারা ধূমপান করে তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে অর্থাৎ সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে।
  • একদিন ধূমপান না করে আপনার যে উপকার হয় তা অনুভব করুন এবং পার্থক্য তৈরি করুন। এভাবেই একদিন দুইদিন ধূমপান ছাড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • ধূমপান করার ফলে আপনি যে টাকা খরচ করেছিলেন সেটা হিসাব করে দেখে সেই টাকা অন্য কাজে ব্যবহার করুন তাহলে সহজ হবে ধূমপান ছাড়া।
  • আপনার আশেপাশে যেসব বন্ধু আছে যারা ধূমপান করে না তাদের সাথে থাকুন এবং তাদের স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য করুন তাহলে বুঝতে পারবেন।
  • ধূমপান না করে তার পরিবর্তে মুখে আদা এবং চুইংগাম দিতে পারেন।
  • যে সময়ে ধূমপান করার ইচ্ছা জাগে সেই সময় রাস্তায় হাঁটাচলা করুন তাহলে এর চাহিদা আর থাকবে না।
  • ধূমপান না করে তার পরিবর্তে স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং ধূমপান বিরোধী বইগুলো পড়তে পারেন।
  • নিজ পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারেন এতে করে অনেক ফল পাওয়া যাবে।

ধূমপান প্রতিরোধ ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

আমরা অনেকগুলি উপায় এর মাধ্যমে ধূমপান প্রতিরোধ করতে পারি এর জন্য আপনাকে কিছু উপায় সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেগুলো মেনে চলতে হবে। ধূমপানের জন্য আসক্তি নিয়ন্ত্রণ করা ,ইচ্ছা শক্তি দিয়ে, সংকল্প করে এবং সেগুলো থেকে দূরে থাকার অভ্যাস করলে ধূমপান প্রতিরোধ করা যাবে। প্রথমে হয়তো এগুলো করা একটু কষ্ট হবে বুঝতে হবে ধূমপান করলে আমাদের শরীরের কতটা ক্ষতি হয় এবং পরিবার ও সমাজের ক্ষতিগুলো সম্পর্কে বুঝতে চেষ্টা করতে হবে তাহলে প্রতিরোধ সম্ভব হবে।

নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিঃ সিগারেট থেকে যে নিকোটিন পাওয়া যায় এর পরিবর্তে অন্য নিকোটিনের উৎস সম্পর্কে জানতে হবে প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ডাক্তার ইনহেলার, স্প্রে, মাড়িএবং লজেন্স থেকে নিকোটিন পাওয়া যায় তা বলে দিতে পারেন এবং নন নিকোটিন হিসেবে বিভিন্ন ঔষধ ও দিতে পারে।

বিলম্ব পরিতৃপ্তিঃ যারা ধূমপান করে না তাদের কাছে যেতে পারেন তাদের সঙ্গ নিতে পারেন। আপনার মনকে বোঝাতে হবে যে আপনি আর ধূমপান করবেন না। ধূমপান বা সিগারেট না খাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় ফিরে যেতে পারেন।

ট্রিগার গুলো এড়িয়ে চলাঃ যেসব জায়গায় ধূমপান করেন, পরিচিত বন্ধু এবং যে নির্দিষ্ট স্থানের ধূমপান করেন সেই জায়গাগুলো আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে আর যদি এসব জায়গা গুলোর একটিতেও আপনি থাকেন তাহলে আপনার ধূমপান ছেড়ে দেওয়া কষ্টকর হবে।

অন্য কিছু চিবানোঃ আপনি চুইংগাম, আদা, সূর্যমুখীর বীজ এবং কাঁচা গাজর চিবাতে পারেন ধূমপান না করার পরিবর্তে এটা আপনাকে সাহায্য করতে পারে প্রতিরোধের কাজে।

ওয়ার্ক আউট করাঃ ধূমপান থেকে সরে আসতে আপনাকে সাহায্য করবে এগুলো বাহিরে বের হয়ে হাটাহাটি করতে পারেন ব্যায়াম করতে পারেন এবং অফিসের সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠা এবং নিচে নামার চেষ্টা করতে পারেন।

শক করাঃ শখ করে আপনি কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন বই পড়তে পারেন এবং কিছু হাতের কাজ যেমন জামা কাপড় সেলাই বা বুনন করতে পারেন এতে করে আপনার মন ভালো থাকবে এবং ধূমপান থেকে আপনি সরে আসতে পারবেন।

ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা অনেক যেগুলো আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হবে। ধূমপান করার কারণে আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের যে সকল অঙ্গের ক্ষতি হয় ধূমপান ছাড়ার পরে সেগুলো আবার সচল এবং স্বাভাবিক হয়ে যায়। পরিবার এবং সমাজের ওপরও কোন প্রভাব পড়ে না। ধূমপান ছাড়া ফলে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় সেগুলো হল
  • ধূমপান ছাড়ার ফলে মানুষের গন্ধ এবং খাবারের স্বাদ গ্রহণ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
  • শরীরে রক্তে অক্সিজেন যাতাযাত বাধা গ্রস্থ হয় না এবং স্বাভাবিক হয়।
  • ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণের মাত্রা বেড়ে যায় এবং স্বাভাবিক হয় ফলে ফুসফুসের ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমে।
  • শ্বাসকষ্ট, গলা এবং মুখের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম হয়।
  • বন্ধ্যাত্ব, অন্ধত্ব, ছোট বাচ্চাদের নিউমোনিয়া এবং ব্রংকাইটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
  • হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে এবং বুকের ভেতরটা হালকা হয়। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

ধূমপান কি ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেন

সিগারেট এবং তামাক জাতীয় দ্রব্যাদি আগুনে পুড়িয়ে তার ধোয়া শ্বাসের সাথে গ্রহণ করার প্রক্রিয়াকেই ধূমপান বলে। সাধারণত কোন দ্রব্য কে আগুনে পুড়িয়ে তার ধোয়া গ্রহণ করাকে ধূমপান বলা যেতে পারে কিন্তু তামাক জাতীয় দ্রব্যগুলো আগুনে পুড়িয়ে তার ধোয়া গ্রহণ করে শরীরে প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়াকেই ধূমপান বলে বিবেচনা করা হয়। তামাক জাতীয় দ্রব্যের ধোঁয়ার মধ্যে থাকে বিষাক্ত রাসায়নিক যা আমাদের শরীরের ডিএনএকে ক্ষতি করে এবং ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়।

ধূমপান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর এটা শুধু স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না এটা আমাদের সমাজ ও পরিবারেরও অনেক ক্ষতি করে থাকে। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেন সেগুলো হল
  • ধূমপানের কারণে আমাদের মুখ এবং গলার ক্যান্সার হয়।
  • ধূমপানের কারণে আমাদের শরীরের রক্তে অক্সিজেন যাতাযাত বাধা গ্রস্থ হয়।
  • ফুসফুসে অক্সিজেন যেতে পারেনা ফলে শ্বাসকষ্ট ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে।
  • বন্ধ্যাত্ব, অন্ধত্ব, ছোট শিশুদের নিউমোনিয়া এবং ব্রংকাইটিস হয় ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • মানসিক চাপ বেড়ে যায় যার ফলে মানুষ হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোক করে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। রক্তনালী চিকন হয়ে যায়।
  • মানুষের গন্ধ এবং খাবারের স্বাদ গ্রহণ করার ক্ষমতা কমে যায়।
  • ডায়াবেটিস, ফুসফুসের সমস্যা এবং ওরাল ক্যাভিটি হতে দেখা যায় এ সকল বিষয়গুলি হয়  নিকোটিনের কারণে এজন্য ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

বিড়ি খেলে কি ক্ষতি হয় এবং তামাকের ক্ষতিকর দিক

বিড়ি খেলে যেমন আমাদের ক্ষতি হয় তেমনি তামাকের ও ক্ষতিকর দিক আছে নানা রকম। এগুলো খাওয়ার ফলে এর বিষাক্ত ধোয়া আমাদের শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে যার ফলে আমাদের শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। শুধু যে খায় তার সমস্যা হয় না তার আশেপাশে থাকা মানুষ ছোট শিশু এবং সমাজের অনেক ক্ষতি হতে পারে। এর জন্য মানুষ পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ দুই রকম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিড়ি এবং তামাক খাওয়ার কারণে এর বিষাক্ত ধোয়া যখন।

আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তখন আমাদের শরীরে রক্তে অক্সিজেন চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় ফুসফুসে বিশুদ্ধ অক্সিজেন যেতে পারে না এর ফলে মানুষ হার্ট অ্যাটাক হৃদরোগ স্ট্রোক ফুসফুসের ক্যান্সার হতে দেখা যায়। রক্তনালি চিকন হতে শুরু করে নিকোটিন এর কারনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে ৮০ লাখ মানুষ মারা যায় তামাক গ্রহণ করার ফলে প্রতিবছর। শিশু থেকে বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলারাও আক্রান্ত হতে পারে নানা ধরনের রোগে ধূমপানের কারণে। গর্ভবতী মায়েদের শিশুর ওজন কম হয়।

বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় এবং সন্তান জন্মের সময় সমস্যা হতে পারে এবং শিশু মারা যেতে পারে। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ৬৫ হাজার শিশু মারা যাচ্ছে প্রতি বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে। সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে প্রায় সাত হাজারের বেশি পরিমাণে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে যার মধ্যে ৭০ টি পদার্থ ক্যান্সার হওয়ার জন্য দায়ী। ক্ষতিকর দিক থেকে আমাদের শরীর-স্বাস্থ্য পরিবার এবং সমাজকে রক্ষার জন্য বিড়ি,সিগারেট এবং তামাক জাতীয় দ্রব্য গুলোর ধোঁয়া গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

লেখক এর মন্তব্য

ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে ধূমপান ছাড়ার উপায় গুলো কি কি সে বিষয়ে এবং ধূমপান প্রতিরোধ ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা সম্পর্কে এছাড়াও আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছে। এ সকল বিষয়ের ওপর যে তথ্য দেওয়া হয়েছে এগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং অনেক সমস্যার সমাধান পাবেন। তাই এই পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা আপনাদের বন্ধু আত্মীয় পরিচিত সবার সাথে শেয়ার করে দিবেন। 












এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url