শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের অপকারিতা এবং উপকারিতা গুলো কি কি জানুন
আসসালামুয়ালাইকুম, এখানে আমি শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের অপকারিতা এবং উপকারিতা গুলো কি কি এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতার জন্য ইন্টারনেটের কুফল ইত্যাদি আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এগুলো পড়ে হয়তো আপনারা অনেক উপকৃত হবেন তাই দয়া করে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ করছি সবাইকে।
ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকারিতা এবং অপকারিতা গুলো আমরা সবাই জানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা ঘরে বসে সারা বিশ্বের খবরা খবর জানতে পারছে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে আমরা বিভিন্ন খবর সম্পর্কে জানতে পারছি। অপকারিতা গুলোর মধ্যে আছে চোখের সমস্যা হয় ঘুম কম হওয়া ঘাড়ে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয় নিয়ে বিভিন্নভাবে আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টটিতে তাই দয়া করে আপনাদের সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি।
ভূমিকা
বর্তমান যুগে ইন্টারনেটের ব্যবহার আমরা কমবেশি সবাই করে থাকি। ইন্টারনেটে ব্যবহার করার ফলে মানুষ এখন ঘরে বসেই সারা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করছে অনলাইনে কেনাকাটা করছে অনলাইনে ক্লাস করছে বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে পারছে সার্চ দিয়ে নেটে। শিক্ষা ব্যবস্থায় এর অনেক পরিবর্তন এসেছে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার রুটিন ফলাফল ভর্তি ফরম ফিলাপ এবং প্রয়োজনীয় ভিডিও পেয়ে থাকে শিক্ষকদের কাছ থেকে।
আরও পড়ুনঃধূমপান ছাড়ার উপায়গুলো কি কি সে বিষয়ে জানুন
শিক্ষার্থীরা মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস করতে পারছে ক্লাসে বসে। মানুষ এক জায়গায় বসে বিভিন্ন কনফারেন্স অংশ নিতে পারছে এর ব্যবহার করার ফলে যেমন মানুষ অনেক সুবিধা ভোগ করে তেমনি অনেক মানুষ আছে আবার অনেক অপব্যবহার করে এটার। অপব্যবহার করার ফলে মানুষের মধ্যে এখন নানা রকম ক্রাইমের সংখ্যা বাড়ছে মানুষ মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে এটার মাধ্যমে অন্যকে অবমাননা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে। মানুষ এখন বিভিন্ন খারাপ ভিডিও ও অশ্লীল পোশাক পরা ছবি।
আপলোড করছে ইন্টারনেটে ফলে অনেক ধর্ষণের শিকার হচ্ছে তরুণীরা। এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের বেশি বেশি করে চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে তরুণ তরুণীদের সমাজ কল্যাণমূলক কাজে অংশ নিতে হবে খেলার মাঠে গিয়ে খেলাধুলা ও শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে এর আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তরুণ তরুণীদের খারাপ কাজে লিপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা যাবে।
ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
বর্তমানে সারাবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে মানুষ অনেক অসম্ভব কাজকে সম্ভব করে ফেলছে এক নিমিষের মধ্যে। এটাকে কেউ ব্যবহার করছে উপকারে আবার কেউ ব্যবহার করছে খারাপ ভাবে। ইন্টারনেটে ব্যবহার করে মানুষ এক জায়গাতে বসে সারা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের যেমন উপকারিতা আছে তেমনি কিছু অপকারিতা আছে নিচে ইন্টারনেট ব্যবহারের কিছু উপকারিতার কথা এবং অপকারিতার কথা বলা হলো
উপকারিতা
- দ্রুত সারা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করা যায়।
- ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে মানুষ এখন ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করতে পারে।
- সহজেই আমরা যে কোন তথ্যের আদান প্রদান করতে পারি।
- ঘরে বসে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটা ও শপিং করতে পারি।
- ঘরে বসে আমরা সারা বিশ্বের সর্বশেষ খবর জানতে পারি।
- ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং করা যায়।
- ঘরে বসে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন অসুখের সমাধান করা যায়।
- ঘরে বসে আমরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারি, বিভিন্ন অফিসিয়াল মিটিং করতে পারি এবং বিভিন্ন কনফারেন্সে যুক্ত হতে পারি।
অপকারিতা
- ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
- ঘরে বসে করতে পারার কারণে অলসতা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
- নেটে সার্চ দিয়ে সবকিছু সম্পর্কে জানা যায় বলে মেধা বিকাশ কম হয়।
- ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীলতা দেখা যায় এটার জন্য অনেকে খারাপ অভ্যাসে পরিণত হয়।
- ক্রাইম বেড়ে যায় শিশুদের মধ্যে।
- ইন্টারনেটের প্রতিবেশী আসক্ত হওয়ার কারণে গবেষণার মান ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের অপকারিতা এবং উপকারিতা গুলো কি কি
বর্তমান যুগে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট এনেছে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন যার কারণে ছাত্রছাত্রীরা এখন ঘরে বসে ক্লাস করতে পারছে বিভিন্ন বিষয়ে অজানা তথ্য জানতে পারছে সার্চ দিয়ে। বিভিন্ন পরীক্ষার সময়সূচি ভর্তি পরীক্ষার সময় ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষা ইত্যাদি আরো অনেক কিছু জানার জন্য এখন বিভিন্ন অ্যাপ খোলা হয়েছে এগুলোর মাধ্যমে তারা সার্চ দিয়ে সকল কিছু জানতে পারছে ঘরে বসেই। এখন প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এর ব্যবহার আরো বেড়েছে।
তবে এর কিছু উপকারিতা এবং অপকারিতা ও আছে উপকারিতা গুলো হল
ইন্টারনেটে শিক্ষা প্রদান সাশ্রয়ীঃ বর্তমান অনেক শিক্ষার্থী ঘরে বসে ইন্টারনেটে মাধ্যমে ক্লাস করে থাকে এর মাধ্যমে অনেক কম সময়ে এবং অনেক কম মূল্যে বিভিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা কিনে শিক্ষা গ্রহণ করছে এর ফলে চাহিদা অনেক বাড়ছে শিক্ষা ক্ষেত্রে এবং নেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া টুইটার ফেসবুক এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনেক কম খরচে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে।
শেখার ধরন ও শিক্ষণ পদ্ধতি উন্নতঃ বিভিন্ন টিউটোরিয়াল এবং ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে উন্নত মানের শিক্ষণ পদ্ধতি ও শেখার উপায় গ্রহণ করে থাকে শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে শিক্ষকরা তাদের প্রয়োজনীয় নোটিশ এবং সিলেবাস পরীক্ষার রুটিন বিভিন্ন শিক্ষনীয় ভিডিও ইত্যাদি জানতে পারছে শিক্ষার্থীরা।
মাল্টিমিডিয়ার সাহায্যে শিক্ষাঃ এখন প্রত্যেকটি ক্লাস রুমে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করার মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হয় এখানে বিভিন্ন ভিডিওর মাধ্যমে ক্লাস করানো হয় এতে করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার আগ্রহ বেড়ে যায় এবং পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হয়।
ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্কঃ আগে যখন পড়াশোনার ব্যাপারে কোন সমস্যা হতো তখন পরবর্তী ক্লাসের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের অপেক্ষা করে থাকতে হতো যার ফলে অনেক সময় ব্যয় হতো এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ হারিয়ে যেত। এখন অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে কোন সমস্যা হলে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করে তারা সমাধান করে ফেলে খুব তাড়াতাড়ি এতে সময় ও কম লাগে।
নতুন তথ্যের সন্ধানে এবং উপলব্ধতাঃ এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষকরা বিভিন্ন বিষয়ের নতুন নতুন তথ্য দিয়ে থাকে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা খুব সহজেই সে সকল নতুন তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে এবং পড়ে নিতে পারে এছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা আছে ইন্টারনেট ব্যবহারের শিক্ষা ক্ষেত্রে। মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে পারছে এতে করে তাদের জ্ঞানের বিকাশ হচ্ছে।
এছাড়াও শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের কিছু অপকারিতা রয়েছে সেগুলো হল
ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তিঃ করনাকালীন সময় ছাত্রছাত্রীদের ইন্টারনেটে বা অনলাইনে ক্লাশ করানো হতো যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা ইন্টারনেটের প্রতিবেশী আসক্তি হয়ে পড়েছে। এখানে তারা পড়াশনা করার পাশাপাশি আরো অন্যান্য বিভিন্ন জিনিস দেখে থাকে ইন্টারনেটে। এতে করে তাদের মস্তিষ্কের অনেক ক্ষতি হয় এবং তারা পড়াশোনা ও মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে।
সঠিক ইন্টারনেট প্রযুক্তির অভাবঃ এখনো আমাদের দেশের অনেক জায়গা বা এলাকা আছে যেগুলোতে ইন্টারনেট সেবা দুর্বল। এর ফলে সেসব এলাকার ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার দিক দিয়ে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইন্টারনেট পড়ি সেবা দুর্বল থাকার কারণে তারা ঠিকভাবে ক্লাস করতে ও পারে না এবং লেখাপড়া দিক থেকে অনেক পিছিয়ে পড়ে অন্যদের তুলনায়।
দরিদ্রঃ আমাদের দেশের অনেক মানুষ আছে এখনো দরিদ্র তারা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য ভালো স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ কিনে দিতে পারেনা এর ফলে তারা অনলাইনে যে ক্লাসগুলো হয় বা যে সকল তথ্য দেওয়া হয় সেগুলো থেকে পিছিয়ে পড়ে।
শারীরিক এবং মানসিক ক্ষতিঃ শিক্ষা ব্যবস্থায় ইন্টারনেট প্রযুক্তিটা ভালো কিন্তু বেশিক্ষণ ধরে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলে এর আলো বা এর যে রশ্মি বের হয় এই রশ্মি আমাদের চোখে পড়ে এবং আমাদের চোখের অনেক সমস্যা হয় মাথা ধরে চোখ ঝাপসা হয়ে যায় অনেকে আবার চশমা ব্যবহার করে থাকে।
অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কুফল গুলো জানুন
সৃজনশীলতার অভাব বা ঘাটতিঃ বর্তমানে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে এমন কিছু নাই যে জানা যায় না সে বিষয়ে এজন্য মানুষ এখন নিজে তৈরি না করে নেটে সার্চ দিয়ে সকল কিছু সম্পর্কে জানতে পারে এবং অন্যের আইডিয়া নিয়ে কাজ করে। এজন্য মানুষের মধ্যে এখন অনেক সৃজনশীলতার অভাব দেখা দিচ্ছে। মানুষ এখন নতুন নতুন জিনিস তৈরি করার আইডিয়াটা নিচে অন্যজনের কাছ থেকে।
সাইবার বুলিয়িংঃ সাইবার বুলিয়িং হচ্ছে অন্যকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা। এখন মানুষ অন্যজনাকে অবমাননা বা অপমান করার জন্য ইন্টারনেটের সুযোগ নিচ্ছে এতে করে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল ভিডিও ছবি ছাড়ছে নেটে এর ফলে অনেক ভালো মানুষও এর শিকার হচ্ছে।
শারীরিক অক্ষমতাঃ ইন্টারনেটে ব্যবহার করার ফলে মানুষ এখন ঘরে বসেই সব কিছু জানতে পারছে এবং করতে পারছে ঘরে বসেই। আগে ছাত্রছাত্রীরা পায়ে হেঁটে স্কুলে যেত এবং ক্লাস করতো টিফিনের সময় হলে টিফিন খেত কিন্তু এখন নেটের কারণে এগুলো আর করার প্রয়োজন হয় না এর ফলে মানুষ হাঁটা, খেলাধুলা এবং ব্যায়াম করা এগুলো থেকে বিরত থাকছে। এর ফলে মানুষ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
ঘুম না হওয়াঃ মানুষ এখন রাত জেগে বা অনেক রাত ধরে মোবাইল দেখে বা ল্যাপটপে কাজ করে এর ফলে ঘুম হয় না এর ফলে মানুষ আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
ঘাড়ের ব্যথাঃ মাথা নিচু করে আমরা মোবাইল দেখি এবং ল্যাপটপ ও কম্পিউটারে কাজ করে থাকে এতে আমাদের ঘাড় নিচু হয়ে থাকে এ থেকে আমাদের ঘাড়ের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে কারণ এর জন্য আমাদের ঘাড়ের ওপর চাপ পড়ে।
পড়াশোনায় অমনোযোগীঃ এখন ছাত্রছাত্রীরা অনেকক্ষণ ধরে নেট ব্যবহার করে এবং মোবাইলে ছবি দেখে গেম খেলে ইত্যাদি আরো নানারকম ভিডিও দেখে এর ফলে তারা পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে।
ইন্টারনেট আসক্তির কারণ এবং ইন্টারনেটের অপব্যবহার
ইন্টারনেট আসক্তির অনেকগুলো কারণ আছে যারা সবসময় ঘরে বসে থাকে কোন কাজ করে না অর্থাৎ অলস যারা একা একা থাকে তাদের মধ্যে ইন্টারনেটে আসক্তির হওয়ার প্রবণতা বেশি। ইন্টারনেটে আসক্তি হওয়া কথা যারা নেট জগতে সার্বক্ষণিক থাকে বিনোদন উৎস হিসেবে এটাকে মনে করে যারা মানসিক চাপে থাকে এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তারা নেটের প্রতি বেশি আসক্তি হয়। এছাড়াও আরো অনেকগুলো কারণ আছে যার কারণে মানুষ আসক্তি হয় নেট জগতে।
- কৌতুহল ও উৎসাহ বসতে অনেকেই ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তি হয়।
- তথ্য নিয়ে হিমশিম খাওয়ার জন্য অনেক মানুষ নেটে সার্চ দিয়ে বের করে অনেক সময় পার করে এভাবে আসক্ত হয়।
- সাইবার সেক্সুয়েল আসক্তি নেটে অনেক সময় মানুষ অনেক খারাপ খারাপ ছবি এবং ভিডিও ছাড়ে এগুলো দেখে ও মানুষ নেটের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়।
- কম্পিউটারের প্রতি আসক্তি হয়ে মানুষ বেশি বেশি সময় ধরে গেম খেলে ছবি দেখে ভিডিও আপলোড করে এভাবেও তারা ইন্টারনেটে প্রতি আসক্তি হয়ে যায়।
- ভার্চুয়াল বন্ধুবান্ধব অনেক দূর দূরান্তের মানুষের সাথে কথা বলে ভার্চুয়াল বন্ধুবান্ধব তৈরি করে এদের সাথে সময় কাটায়।
- বিকল্প বিনোদন ব্যবস্থার মাধ্যম হিসেবে মানুষ এখন মোবাইল ল্যাপটপ কম্পিউটার এবং ট্যাব কে বেছে নেয় এর ফলে ও ইন্টারনেটের প্রতি আসক্ত বেড়ে যায়।
- বাস্তব জীবনের যাদের অনেক সমস্যা হয় এবং মানসিক চাপ বেড়ে যায় তারা এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ইন্টারনেটের প্রতি আসক্ত হয়।
- ইন্টারনেটে সেলিব্রেটি বাড়ানোর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ভিডিও সেলফি আপলোড করে এতে করেও মানুষ নেটের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়।
মানুষ বর্তমান যুগে নেট ব্যবহার করে যেমন উপকারিত হচ্ছে তেমনি অনেক মানুষ আছে এই ইন্টারনেটের অপব্যবহার ও করছে। অপব্যবহারের মধ্যে রয়েছে মানুষের সৃজনশীল উদ্ভাবনা কমে যাওয়া মানুষ ইন্টারনেটের অপব্যবহার করে অন্যের লেখা তথ্যকে অনুসরণ করে বা চুরি করে নিজের তৈরি করার ক্ষমতা কে হারিয়ে ফেলছে এর ফলে মানুষের নতুন নতুন জিনিস তৈরি করার সৃজনশীলতা কমে যাচ্ছে। লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা এর ফলে।
মানুষ নিজের দায়িত্ববোধ কর্তব্য ভুলে গিয়ে অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ছে ফলে মানুষ ক্রাইম করছে। মোবাইলে ল্যাপটপে এবং কম্পিউটারে গেম খেলছে, ভিডিও দেখছে অশ্লীল ভিডিও ছাড়ছে এবং দেখছে এর ফলে মানুষ অপব্যবহার করছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ সাইবার ক্রাইম করছে অন্যজনকে অবজ্ঞা অবমাননা করছে। ধর্ষণ এর শিকার হচ্ছে অনেক তরুণী অনেক নেগেটিভ সাইট ব্যবহার করছে এবং ঘরে বসে মানুষ মিথ্যা কথা এবং বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে।
বিতর্ক প্রতিযোগিতার জন্য ইন্টারনেটের কুফল
মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে যেমন ভাল কাজ করছে তেমনি বিভিন্ন খারাপ কাজের সঙ্গে লিপ্ত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ক্রাইম এর সাথে জড়িয়ে পড়ছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ বিভিন্ন মিথ্যা কথা এবং মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে যার কারণে দেখা অনেক ভালো মানুষেরও অনেক সমস্যা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে মানুষ মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে এবং এর প্রতারণা বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। এটা ব্যবহার করার ফলে এখনকার সময় এর তরুণ তরুণীরা বিভিন্ন অশ্লীল।
খারাপ কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে এর ফলে ধর্ষণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার ইন্টারনেটে বেশি সময় দেওয়ার কারণে লেখা পড়ায় সময় দিচ্ছে না লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে যাচ্ছে। কম্পিউটারের বিভিন্ন তথ্য পাসওয়ার্ড চুরি করছে। মানুষ এখন বোমা তৈরি করতে ও সক্ষম হচ্ছে। বিভিন্ন ব্লগ বা পোস্ট তৈরি করছে অনেক মানুষের এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে। মানুষ নানা ভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন হচ্ছে মেগাবাইট কেনার জন্য ।
ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়
- ইন্টারনেটে আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য তরুণ তরুণদের বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে বিভিন্নভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
- ছাত্র-ছাত্রীদের বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে যাতে করে এটার মধ্যে সময় কেটে যায়।
- খেলাধুলা, ব্যায়াম করা এবং হাটাহাটি করতে হবে বাহিরে খেলার মাঠে।
- বিভিন্নভাবে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে করে এগুলোতে তরুণ তরুণীরা অংশগ্রহণ করে।
- পরিবারের সাথে অর্থাৎ ছেলেমেয়েদের সাথে আলাদা করে সময় কাটাতে হবে।
- সন্তানদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো এবং ভালো দিকগুলো তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে।
- প্রয়োজন ছাড়া নেট ব্যবহার করা যাবে না এবং নতুন ইতিবাচক নেশা তৈরি করতে হবে।
লেখক এর মন্তব্য
ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের অপকারিতা এবং উপকারিতা গুলো এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতার জন্য ইন্টারনেটের কুফল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করলে আমাদের কি কি সমস্যা হতে পারে কিভাবে আমরা ইন্টারনেটের অপব্যবহার করি ইত্যাদি আরো অনেক বিষয়ে অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে এখানে। এ সকল বিষয়ে পরে আপনারা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনাদের পরিচিতদের সাথে সবাই শেয়ার করে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url