ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাব হলে তা জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম, এখানে আমি ঠোঁট ফাটার বিভিন্ন সমস্যা যেমন ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাব হলে এবং গরমে ঠোঁট ফাটার কারণ এর জন্য ভিটামিন বি মূলত দায়ী। এ সকল বিষয়ে অনেক আলোচনা করা হয়েছে। এ সকল বিষয়ে জানার জন্য এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল সবার কাছে।
আমি এখানে ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাব হলে শীতকালে এবং গরমকালে ঠোঁট ফেটে যাওয়ার কারণ এর থেকে পরিত্রাণের বিভিন্ন রকমের ঘরোয়া পদ্ধতি এবং ওষুধ বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারি এর জন্য এ সকল বিষয়ে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করেছি । এগুলো পড়ে আপনারা হয়তো অনেক উপকৃত হবেন এবং অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। ঠোট ফাটে মূলত তাপমাত্রা এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর অভাব হলে।আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
শীত গরম নাই এখন সব সময় ঠোট ফাটতে দেখা যায় কারণ ঠোঁটের চামড়া মুখের অন্যান্য ও চামড়ার চাইতে অনেক পাতলা হয়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে শীতের সময় আর গরমে তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে ঠোঁট ফাটে। এগুলো থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা অনেক ধরনের প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান ব্যবহার করি এবং বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ও মলম ব্যবহার করে থাকি। শীতকালে ঠোট ফেটে যাওয়ার কারণ কোন ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট ফেটে যায়।
আরও পড়ুনঃডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা রচনা
রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা কি কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারি ইত্যাদি আরো অনেক বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ঠোট ফাটা বন্ধ করার জন্য আমরা মধু ব্যবহার করতে পারি এলোভেরা জেল ,ভেসলিন, লেবুর রস, ঘিয়ে মাখ্ন, দুধের সর ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারি। আমাদের শরীরে পানি শূন্য দেখা দিলে এবং ঠোঁটে ধুলাবালি লেগে গেলে সূর্যের রোদের তাপে বেশিক্ষণ থাকলে ও ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। আমাদের বেশি বেশি পানি পান করতে হবে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
ফল শাকসবজি খেতে হবে যেসব খাবার আইরন জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যুক্ত সেগুলো খেতে হবে বেশি পরিমাণে তাহলে আমাদের ঠোট ফাটা বা ঠোঁট শুকিয়ে যাবে না। ঠোট নরম কোমল ও সুন্দর হবে রুক্ষতা ও শুষ্কতাদূর হবে। এছাড়া যদি অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে ঠোঁটে সমস্যা হয় অর্থাৎ ঘা হয় রক্ত বের হতে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে এবং ওষুধ খেতে হবে।
শীতকালে ঠোঁট ফেটে যায় কেন
শীত আসতে না আসতেই আমাদের সবার ঠোঁট থাকতে শুরু করে। এর কারণ শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে এর জন্য বাতাস শুষ্ক হয় এবং বাতাস দ্রুত জলীয় বাষ্প শোষণ করার ক্ষমতা রাখে। আমাদের ঠোঁটের উপরের চামড়া মুখের অন্যান্য অংশের চেয়ে ছয় গুণ পাতলা হয় আর এজন্যই আমাদের ঠোঁট ফেটে যায়। আমাদের ঠোঁটে ঘাম গ্রন্থি এবং তেল গ্রন্থি থাকে না এবং ঠোঁটে চুল ও গজায় না এসব কারণে ও ঠোঁট শুকনো থাকে এবং ফেটে যায়। নাকের নিচে ঠোঁট হওয়ার।
কারণে নাক থেকে যখন গরম আসবে বের হয় তখন ঠোঁট শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যেতে পারে। এছাড়া ভিটামিন বি, সূর্যের আলোতে বেশিক্ষণ থাকলে, ঠোঁটে ধুলো ময়লা পরলে, এলার্জিজনিত সমস্যার কারণে এবং যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে ইত্যাদি কারণে ও আমাদের ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। জলীয় বাষ্পের পরিমাণটা কম বাতাসে কম থাকে যার জন্য ঘাম হয় কম এর ফলে সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে যে তেল। তেলে পদার্থ বের হয় তা ঠিক মত কাজ করতে পারে না ফলে ফেটে যায়।
শীতে ঠোঁট ফাটা বন্ধ করার উপায়
অ্যালোভেরা জেলঃ শীতে ঠোঁট ফাটা বন্ধ করার জন্য এলোভেরা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ঠোটে লাগাতে হবে এবং সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে এভাবে ব্যবহার করলে ঠোঁট ফাটা সমস্যা দূর হবে।
মধু ব্যবহারঃ ঠোঁট ফাটা বন্ধ করার জন্য মধু ব্যবহার করা যেতে পারে মধু এন্টি ব্যাকটেরিয়া জাতীয় পদার্থ। পেট্রোলিয়াম জেলি ও মধু এক সাথে মিশিয়ে ঠোঁটে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ব্যবহার করতে হবে এতে ঠোঁটের ওপর পাতলা স্তর তৈরি হবে ১৫ মিনিট হয়ে গেলে পাতলা কাপড়ের সাহায্য নিয়ে ওই পাতলা স্তরটি তুলে ফেলতে হবে এতে করে ঠোঁট ফাটা বন্ধ হবে।
নারিকেলের তেলঃ নারিকেলের তেলের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড যা ঠোঁটের ত্বকের রুক্ষতা শুষ্কতা ফিরিয়ে আনতে এবং ঠোট নরম ও কোমল করতে আমাদের সাহায্য করে। এটা ব্যবহার করার ফলে আমাদের ঠোঁট ফাটার সমস্যা কিছুটা হলেও দূর হবে।
ঘি ও শসাঃ ঠোঁটে গিয়ে লাগিয়ে রাখলে ওঠো ওঠ পাটা বন্ধ হয় এছাড়া টুকরো করে শসা কেটে নিয়ে সেই শসা টাকে ঠোঁটে ঘষতে হবে আবার শসার রস ঠোঁটে ১০ মিনিট রেখে তারপর শুকিয়ে গেলে পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে এভাবে ব্যবহার করলে ঠোঁট ফাটা বন্ধ হয়।
দুধের সর ও গ্লিসারিনঃ দুধ এবং দুধের সর ঠোট ফাটা রোধ করে দুধ ১৫ মিনিট রাখতে হবে ঠোঁটে লাগানোর পর এতে করে ঠোঁট কোমল হয় রুক্ষতা দূর হয়। আবার গ্লিসারিন প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ঠোঁটে নিলে ফটো ফাটা বন্ধ হয়।
অলিভ অয়েল ও মাখনঃ প্রাকৃতিক মরশ্চারাইজার হচ্ছে অলিভ অয়েল ও মাখন এগুলো নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ফটো ফাটা বন্ধ হবে। অলিভ অয়েল এ আছে প্রচুর ফ্যাটি এসিড যা আমাদের ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে এবং ঠোট ফাটা বন্ধ করে।
বেশি পরিমাণে পানি পানঃ আমাদের শরীরে যদি পানির পরিমাণ কম হয় তাহলে শরীর আর্দ্র হয়ে যায়। আমাদের শরীরে পানি শূন্য দেখা দিলে ঠোঁট উজ্জ্বল হয় না ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায় ফলে ঠোঁট ফাটে। তাই বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
ভিটামিন বি কমপ্লেক্সঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর অভাবে ঠোঁট ফাটে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। আমাদের দেহে ভিটামিন বি এর অভাব হলে তখন শুষ্ক হয় বিশেষ করে ঠোঁট ফেটে যায় এছাড়াও আরো ভিটামিন আছে সেগুলো ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি ৯, বি ৬ এবং বি ১২। এজন্য আমাদের ভিটামিন বি আছে যে খাবারগুলোতে সেগুলো বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
আইরন ও জিংক এর অভাবঃ আমাদের দেহে আয়রন ও জিংক এর অভাব হলেও ঠোঁট ফাটে। এজন্য যেসব খাবারের খেলে আইরন ও জিংক এর অভাবে দূর হবে সেগুলো খেতে হবে এগুলো খনিজ ভিটামিন উপাদান।
আবহাওয়া ওঠা নামাঃ শীতকালে আবহাওয়া উঠানামা করে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায় এর জন্য ও আমাদের ঠোঁট ফেটে যেতে পারে।
পানি পান না করাঃ আমাদের দেহে পানির প্রয়োজন আছে যদি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে এবং ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। তাই বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
এছাড়াও ফোলেটের অভাব হলে, পর্যাপ্ত পুষ্টি না পেলে, ঠোঁটের যত্ন না নিলে, শুষ্ক হয়ে গেলে এবং আরো বিভিন্ন কারণে আমাদের ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। এই ঠোঁট ফাটার জন্য আমরা পেট্রোলিয়াম আর জেলি ব্যবহার করতে পারি। শীতের সময় বেশি ঘর থেকে বাহিরে বের না হলে ঠোঁট ফাটা রোধ করা যাবে কিছুটা। বেশি বেশি পড়ে মানে ভিটামিন বি খাবারগুলো খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে তাহলে আমাদের শরীরে এগুলোর অভাব হবে না এবং ঠোঁট ও ফাটবে না।
ঠোঁট ফাটার ওষুধ ঠোঁট ফাটার ক্রিম
ঠোঁট ফাটার জন্য আমরা বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক এবং ভেষজ ঔষধ ব্যবহার করতে পারি। আমরা এলোভেরা জেল ব্যবহার করে ঠোঁটের সমস্যা দূর করতে পারে অ্যালোভেরার জেল শুষ্ক বা ফাটা ঠোঁটকে নমনীয় কোমল করতে সাহায্য করে। দিনে দুইবার এলোভেরা জেল, অলিভ অয়েল এবং জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারি।। পুষ্টিকর এবং ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং বাহিরে বের হওয়ার আগে আমাদের।
ঠোঁটকে সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করতে হবে এতে করে সূর্যের ক্ষতি কর uv রশ্মি আমাদের ঠোঁটে পড়বে না। আমারা প্রতিদিন লিপ বাম ব্যবহার করতে পারি এতে করেও আমাদের ঠোঁট ফাটবে না ফল শাকসবজি খেতে হবে এগুলোই আমাদের ঠোঁট ফাটার ঔষধ হিসেবে কাজ করবে। ঠোট ফাটার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম এখন বাজারে পাওয়া যায় এগুলো বিভিন্ন দামেরও হতে পারে যেমন ভেসলিন ক্রিম ঠোঁট ফাটার জন্য ভালো এর ছোট প্যাকেটটির দাম ১৫ টাকা মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি আছে।
ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়
মধু ও দারুচিনিঃ আমরা মধু ও দারুচিনি গুড়া আধা চা চামচ এবং এর সাথে অলিভ অয়েল ও চিনি একসাথে করে মিশিয়ে ঠোটে ব্যবহার করতে পারে তাহলে ঠোঁট ফাটা কমে যাবে এটা ব্যবহার করার পরে ঠোঁট ধুয়ে ফেলে লিপ বাম দিতে পারি।
নারিকেলের তেল ও চিনিঃ এক চামচ নারিকেলের তেল এবং চিনি এক চামচ দুটো এক সাথে করে মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারে এতে করে ঠোঁট ফাটা দূর হয়ে যাবে।
গোলাপ জলঃ প্রতিদিন সকালে গোলাপ জল এবং এর সাথে নারিকেলের দুধ একসাথে করে মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারি।
গোলাপের পাপড়িঃ কাঁচা দুধের মধ্যে কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখতে হবে এরপর এগুলো পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে এবং ঠোঁটে লাগাতে হবে ২০ মিনিট রাখতে হবে এবং পরে ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে ঠোঁট ফাটা বন্ধ হবে।
লেবুর রসঃ দই দুই চামচ এবং লেবুর রস এক চামচ করে দিয়ে দুইটা এক সাথে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ঠোটে ব্যবহার করতে পারি এতে অনেক উপকারে আসবে।
মধুঃ মধু ভেসলিন একসাথে করে ঠোটে ব্যবহার করলে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর হবে ঠোঁট নরম ও কোমল হবে ঠোঁট ফাটা দূর হবে কারণ মধুতে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা এগুলো রোধ করে।
এছাড়া আমরা এলোভেরা জেল, দুধের সর, মাখন, ঘি, শসা এবং গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারি এগুলো সবই প্রাকৃতিক জিনিস এগুলো ব্যবহার করার ফলে কোনরকম ক্ষতি হবে না । যদি আমরা সঠিক নিয়মে সঠিক পরিমাপের ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের ঠোঁট ফাটা দূর হবে। এছাড়া বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে ভিটামিন বি যুক্ত খাবার আয়রন এবং জিংক খনিজ উপাদান আছে সে খাবার তাহলে ছোট ফাটা রোধ করা যাবে ঘরোয়া উপায়েই।
গরমে ঠোঁট ফাটার কারণ
গরমের সময় ঠোঁট ফাটার প্রধান কারণ হচ্ছে শরীরে পানির অভাব কারণ গরমের সময় আমরা প্রচুর ঘামে আর ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় যার জন্য শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয় আর এটার জন্য গরমের সময় ঠোঁট ফাটে। গরমের সময় বাতাসে ধুলাবালি ময়লার পরিমাণ বেশি থাকে আর এগুলো উড়ে এসে আমাদের ঠোঁটে পড়ে এ সময় আবহাওয়ার তীব্র ও প্রখর হয় যার জন্য ঠোঁট ফাটে। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে আমাদের শরীর।
থেকে পানি বের হয়ে যায় আর এর প্রভাবটা ঠোঁটের ওপরই বেশি দেখা যায় কারণ ঠোঁটের চামড়া অন্যান্য অংশের চাইতে খুবই পাতলা হয় যার জন্য এটা খুব সহজেই শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। রোজার মাসে রোজা রাখার কারণে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয় যার জন্য আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পানির অভাব দেখা দেয় এতে ঠোঁট শুকিয়ে যায় জ্বালাপোড়া করে এবং ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। এছাড়াও পুষ্টিকর খাবারের অভাব হলে পরিমিত পরিমাণে পানি পান না করলেও এর সমস্যা হয়।
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার প্রতিকার
শীত গরম এ দুই সময়েই আমাদের ঠোঁট ফেটে যেতে পারে এবং ঠোঁট শুকিয়ে যায়। শীতের সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে তাই এ সময় বাতাস খুব তাড়াতাড়ি পানি শুষে নিতে পারে যার জন্য আমাদের শরীরে পানি শূন্য হয়ে যায় এর ফলে ঠোঁট ফেটে যায়। আবহাওয়ার তারতম্য এর কারণে ও ঠোঁট ফেটে যেতে পারে বা শুকিয়ে যায়। এর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান ব্যবহার করতে পারি এবং বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ও ব্যবহার করতে পারি।
নারিকেলের তেলঃ নারিকেলের তেলের মধ্যে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে। এর জন্য আমরা নারিকেলের তেল ব্যবহার করতে পারি। এছাড়াও অলিভ অয়েল নিমের তেল এগুলো প্রাকৃতিক ভাবে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে।
মধু ও ভেসলিনঃ মধু এবং ভেসলিন এই দুটো উপাদান যদি আমরা একসাথে করে মিশিয়ে আমাদের ঠোঁটে লাগায় তাহলে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং ঠোঁট ফাটা ও দূর হবে।
অ্যালোভেরাঃ এলোভেরা এর মধ্যে এমন অনেক প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা আমাদের ত্বকের মরা নষ্ট কোষ গুলো দূর করার জন্য এগিয়ে আসে। এই এলোভেরার জেল আমরা প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ঠোঁটে ব্যবহার করলে ঠোঁট শুকিয়ে যাবে না ঠোঁট ফাটা বন্ধ হবে।
শসাঃ শসা টুকরো করে কেটে আমরা ঠোঁটে ঘসতে পারি আবার শসার রস ব্যবহার করতে পারে আমাদের ঠোঁটে এতে করে আমাদের ঠোঁট নরম কোমল হবেও শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
হাইড্রেটিং মাস্কঃ ঠোট যাতে শুকিয়ে না যায় সেজন্য আমরা হাইড্রেটিং মাস্ক এবং সিলিকন মাস্ক ও কোলাজেন লিপ মাস্ক ব্যবহার করতে পারি।
লিপ বাম ও তেলঃ ঠোঁট যাতে শুকিয়ে না যায় সেজন্য আমরা মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি বিভিন্ন রকমের চেপিস্টিক এবং তেল ব্যবহার করতে পারি এতে করে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করা সম্ভব।
লেখক এর মন্তব্য
ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে ঠোঁট থাকে কোন ভিটামিনের অভাবে এবং ঠোঁট ফাটা নিয়ে আরো অনেক বিষয়গুলো এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছে। এগুলো পড়ে আপনারা অনেক তথ্য জানতে পারবেন এসকল তথ্যগুলো যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে এবং পরে যদি আপনারা উপকৃত হন তাহলে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিবেন। এই পোস্টটি আপনাদের পরিচিত বন্ধু বান্ধবী আত্মীয় এবং প্রতিবেশী সবার মাঝে শেয়ার করে দিবেন ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url