বই পড়ার ক্লাবের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পড়ুন
আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি বই পড়ার ক্লাবে প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে এবং গল্পের বই পড়ার উপকারিতা রচনা এছাড়াও বই পড়ার দশটি উপকারিতা ইত্যাদি কয়েকটি বিষয়ে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সঠিক তথ্য তুলে ধরব এগুলো পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন তাই দয়া করে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
বই পড়ার উপকারিতা অনেক বই পড়লে আমাদের জ্ঞান শক্তির বৃদ্ধি হবে নতুন নতুন শব্দ সম্পর্কে জানতে পারবো এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটবে মস্তিষ্ক সচল থাকবে নতুন শব্দ শেখার মাধ্যমে আমরা নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে আগ্রহী হব। বই পড়ার যেমন উপকারিতা আছে তেমনি উপকারিতা আছে বই পড়ার ক্লাবের প্রয়োজনীয়তা এছাড়াও গল্পের বই পড়ার উপকারিতা রচনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে । তাই এই পোস্টটি দয়া করে শেষ পর্যন্ত পড়ুন এ বিষয়ে জানার জন্য।
ভূমিকা
আমাদের মধ্যে কেউ না কেউ বই পড়তে খুব ভালোবাসে এবং বই পড়ার মাধ্যমে অনেক কিছু শেখা যায় জানা যায়। বই পড়ার মাধ্যমে আপনার চিন্তাশক্তির বিকাশ হবে এবং সৃজনশীল তার বিকাশ হবে আপনার মানসিক চাপ কমবে শব্দ ভান্ডার বৃদ্ধি পাবে প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে পড়ে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে আগ্রহী হবেন। আপনার ইতিবাচক শক্তির বিকাশ ঘটবে এবং অন্য কেউ অনেক কিছু ইতিবাচক বিষয় সম্পর্কে জানাতে পারবেন ও পরামর্শ দিতে পারবেন।
বই পড়লে আপনার একাকীত্ব দূর হবে একাগ্রতা বাড়বে এবং বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে আপনি বইকে বেছে নিতে পারবেন। আমাদের সকলেরই বই পড়ার অভ্যাস করা উচিত প্রতিদিন একটু একটু করে এতে করে আপনার মস্তিষ্ক সচল থাকবে। বিছানায় শুয়ে থেকে বই পড়লে আমাদের চোখ ও বইয়ের মাঝে একটা দূরত্ব বজায় থাকে না যার জন্য চোখের অনেক সমস্যা হতে পারে চোখের অস্থি গন্থির পানি শুকিয়ে যেতে পারে চোখ ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। বিছানায় শুয়ে থেকে বই পড়া উচিত না এর জন্য।
বই পড়ার ১০ টি উপকারিতা
স্মৃতিশক্তি উন্নত করেঃ বই পড়লে আমাদের স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। বইয়ের পড়ার মধ্যে অনেক চরিত্র, ইতিহাস ,গল্পের উদ্দেশ্য , উপ খন্ড এবং পটভূমি ইত্যাদি থাকে এগুলো মনে করে রাখার মাধ্যমে আমাদের স্মৃতিসক্তি উন্নত হয়। মস্তিষ্কের একটি অসাধারণ ক্ষমতা আছে সব কিছু মনে রাখার জন্য প্রতিটি নতুন স্মৃতি একটি করে নতুন Synapse তৈরি করার মাধ্যমে বিদ্যমান স্মৃতিকে শক্তিশালী করে তোলে এবং অল্প মেয়াদী স্মৃতিকে উন্নত করে তোলার মাধ্যমে বই আমাদের সাহায্য করে।
শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করেঃ বেশি বেশি করে বই পড়লে আমাদের শব্দ ভান্ডার বৃদ্ধি পাবে। কারণ প্রতিদিন নতুন নতুন বই পড়ার মাধ্যমে নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হওয়া যাবে এবং শেখা যাবে। এগুলো আপনার চাকরি জীবনে এবং ব্যক্তিগত জীবনে এবং আপনার আত্মবিশ্বাস জোগাতে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
মানসিক চাপ কমাবেঃ মানসিক চাপ কমানোর জন্য আপনি বেশি বেশি করে বই পড়তে পারেন। অনেকেই মানসিক চাপ কমানোর জন্য ব্যায়াম করে আবার কেউ যোগ ব্যায়ামের দ্বারস্থ হয়ে মানসিক চাপ কমিয়ে স্বাভাবিক হয়। বই পড়লে বই আপনাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে যাবে সেখানে আপনি কল্পনা করবেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এভাবেই আপনি একটু হলেও মানসিক চাপ থেকে দূরে সরে থাকবেন এবং আপনার মানসিক প্রশান্তি ফিরে আসবে।
মানসিক উত্তেজনাঃ বই পড়ার প্রথম উপকারিতা হলো মানসিক উত্তেজনা। বই পড়ার মাধ্যমে Alzheimers এবং ডিমেনটিয়া রোগ হ্রাস করা যায় এবং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে। মস্তিষ্ককে সচল রাখার জন্য আমাদের বই পড়া উচিত তাহলে মস্তিষ্ক তার ক্ষমতা হারাবে না।
নতুন জিনিস আবিষ্কার করা যায়ঃ বই পড়ার মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন নীতি নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সে সকল বিষয় আবিষ্কার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। বই পড়ার মাধ্যমে আপনি নতুন নতুন শখ এবং নতুন কোন পেশা অতিরিক্ত যোগ হয়েছে এবং আপনি পেশা হিসেবে কোনটিকে বেচে নিতে চান এবং তার মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে চান এগুলো জানতে পারবেন।
কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবেঃ বই পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার কল্পনা শক্তিকে আরো উন্নত ও বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং আপনার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। বই পড়ার মাধ্যমে আপনি নানা অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আবিষ্কার করতে আগ্রহী হবেন। আপনার জানা বিষয়ের সাথে বই পড়ার মাধ্যমে অজানা কিছু জানার বিষয়গুলো একসাথে জোড়া দিয়ে নতুন একটি জিনিস আবিষ্কার করতে পারবেন।
মনোযোগ বৃদ্ধি করেঃ এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মানুষ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এক সাথে করার চেষ্টা করে তার জন্য মনোযোগ হারিয়ে যায় একটা থেকে আরেকটা লাফ দিয়ে চলে যায় এতে করে তার কাজ করার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ একটি গল্প বা বিষয়ের ওপরে মনোনিবেশ করে থাকে। এভাবে আপনি বই পড়ার মাধ্যমে আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারেন এজন্য আপনাকে প্রতিদিন বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে।
আপনার আত্ম উন্নতিতে সাহায্য করেঃ বই পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার আত্ম উন্নতি করতে পারবেন। কারণ বই পড়লে মন সুস্থ এবং প্রফুল্ল থাকে। বই পড়ে আপনি নিজেকে সঠিকভাবে গঠন করতে পারবেন এবং নতুন এক জগত তৈরি করতে পারবেন। যে বিষয় নিয়ে আপনার অধিক আগ্রহ আছে সেই বিষয়ে আপনি আরো জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারবেন বই পড়ার মাধ্যমে। বই পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার ভবিষ্যতের সঠিক কর্ম নির্ণয় করতে পারবেন।
যোগাযোগ এর ক্ষেত্রেঃ বই পড়ার মাধ্যমে আপনি সারা দুনিয়া অর্থাৎ পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন। কোন পরিস্থিতিতে কি কথা বলা উচিত এবং কার সাথে কিভাবে কথা বলা উচিত এগুলো আপনি বই পড়েই সচেতন হতে পারবেন এবং অন্য কেউ তা শিখাতে পারবেন। বই পড়ার মাধ্যমে আপনি ভালো একজন সংবাদদাতা হতে পারবেন। বই পড়ার মাধ্যমে আপনার জ্ঞানের পরিধি বিস্তার লাভ করবে।
একাকিত্বের সঙ্গী হয়ঃ বই আপনার জীবনের একাকিত্বের সঙ্গী হতে পারে। অনেক সময় আপনি একা একা থাকেন তখন বই পড়লে আপনার এই একাকীত্ব দূর হবে।
জ্ঞান সমৃদ্ধশালী হয়ঃ বই পড়ার মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন নতুন নতুন জ্ঞানে জ্ঞানী হতে পারবেন। কারণ বইয়ের মধ্যে এমন কোন জিনিস নেই যে তার বিস্তারিত আলোচনা সেখানে নেই সেখানে পৃথিবীর সবকিছুই আছে বিস্তারিতভাবে। আপনি যদি প্রতিদিন বই পড়ার অভ্যাস করেন তাহলে আপনার জ্ঞান সমৃদ্ধশালী হবে এবং আপনার জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাবে।
বই পড়ার ১০ টি অপকারিতা
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে শুয়ে অর্থাৎ বিছানায় শুয়ে বাসে ট্রেনে শুয়ে বসে বই পড়ে কিন্তু এই অভ্যাসটি ভালো না। কারণ শুয়ে শুয়ে বই পড়লে আমাদের চোখের অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই বই পড়ার সময় আমাদের বই থেকে চোখের দূরত্ব ঠিক রাখা উচিত আর শুয়ে থেকে বই পড়লে এই দূরত্বটা সমান থাকে না। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেছেন নিয়ম মেনে বই পড়া উচিত আর যদি নিয়ম মানা না হয় তাহলে আমাদের চোখের অনেক সমস্যা হতে পারে।
- বই পড়ার সময় বই থেকে চোখের দূরত্ব ঠিক না থাকলে আমাদের চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে এর ফলে আমাদের দৃষ্টি শক্তি ঝাপসা হয়ে যাবে।
- চোখে রক্ত চলাচল কম হতে পারে।
- পানি শুকিয়ে যেতে পারে চোখের অশ্রুগন্থির যার ফলে চোখের পেশির কাজের জন্য বাধার সৃষ্টি হয়।
- চোখের পেশির কাজের বাধার জন্য এ প্রভাব পড়ে আমাদের মাথার পেশিতে এবং এর জন্য ঘুমের পরিমাণ কম হতে পারে।
- এর ফলে আমাদের আংজাইটি অস্থিরতা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
- বই পড়ার নেশা থাকলে বই কেনার জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ হবে।
- রাত জেগে অতিরিক্ত বই পড়লে ঘুমের ক্ষতি হবে আমাদের।
- বই পড়ার সময় অন্য কোন দিকে মনোযোগ থাকে না বা অন্য কোন কথা কানে শোনা যায়না বই পড়ায় বিভোর থাকলে।
বই পড়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
বর্তমান সময়ের তিনদিন বই পড়ার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কমে যাচ্ছে কারণ এখন স্মার্ট প্রযুক্তির যুগে মানুষ মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভিডিও ,গেম খেলা, ছবি দেখা ছাড়াও আরো নানা রকম কাজ করে থাকছে মোবাইল কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে। যার জন্য মানুষ এখন বই পড়ার গুরুত্ব দিচ্ছে না। কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়াম বলেছেন রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাতে হয়ে আসবে কিন্তু বই অনন্ত যৌবনা হয়ে থাকবে যদি তেমন বই হয়।
আমাদের শরীর স্বাস্থ্য রোগাক্রান্ত হয়ে যাবে সময়ের সাথে সবকিছুই ধুলো ময়লায় মলিন হয়ে যাবে কিন্তু চির যৌবন হয়ে থাকবে বই। বই হচ্ছে অমৃতের সুধা ভান্ডার আনন্দের আঁধার এবং জ্ঞানের ভান্ডার। বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ অনেক কিছু জানতে পারে শিখতে পারে এবং নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কার করতে পারে। রবীন্দ্রনাথ বলেন অতীত এবং ভবিষ্যতের মধ্যে সাঁকো বেঁধে দেয়া হয়েছে বইয়ের মাধ্যমে। বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ নতুন নতুন সৃজনশীলতা ও কল্পনা শক্তির বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়।
মানুষ বই পড়ার মাধ্যমে প্রতিদিন নিত্য নতুন বিষয় জানতে পারে এবং সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে তার সৃজনশীলতা ও কল্পনা শক্তিকে বৃদ্ধি করতে পারে। বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ তার জ্ঞানের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তার মস্তিষ্ককে সচল রাখতে পারে। বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ মানসিকের চাপ দূরে রাখতে পারে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে । বই পড়লে মানুষের শব্দ ভান্ডার বৃদ্ধি হয় নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হতে পারে এবং সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারে। বই পড়লে মানুষের একাগ্রতা বাড়ে
এবং একাকিত্ব দূর হয় মন ভালো থাকে। লক্ষ পূরণের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়ে, ভালো ঘুম হয় ও মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়। বই পড়লে মস্তিষ্কের কোষগুলি উদ্দীপিত এবং স্নায়ুগুলি উজ্জীবিত হতে থাকে যার ফলে চিন্তা শক্তি জাগ্রত হয় এর ফলে আমাদের লিখন ও পাঠন দক্ষতা ও বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রতিদিন আধঘন্টা বই পড়ার অভ্যাস করলে এটি আমাদের ইয়োগার মতোই কাজ করে এবং আমাদের ব্লাড প্রেসার মানসিক অশান্তি কমায় ও উচ্চ হৃদস্পন্দন কমাতে সাহায্য করে।
বই পড়ার মাধ্যমে মানুষের ইতিবাচক পরিবর্তন হয় এবং সমাজ, দেশের ও মানুষের সাথে যোগাযোগ সম্পর্ক ভালো হয়। এ সকল কারণে আমাদের বই পড়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং প্রয়োজনীয়তা বাড়ানো উচিত বই পড়ার জন্য।
গল্পের বই পড়ার উপকারিতা রচনা
গল্পের বই পড়ার উপকারিতা আছে সেগুলো ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি কাজে লাগে। কারণ ছোট বাচ্চাদের সবকিছু জানার এবং জিজ্ঞাসা করার আগ্রহ টা বেশি থাকে এবং এ সময় এরা অল্পতেই সবকিছু মনে করে রাখতে পারে আর যদি সেটা গল্পের মাধ্যমে বলা হয় তাহলে সেটা তারা আরও বেশি ভালো করে মনে রাখতে পারে। দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের যদি বই দিয়ে সেটা গল্পের মাধ্যমে বলা হয় এবং তারা সেখান থেকে নতুন নতুন শব্দ জানতে পারবে নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হবে
এবং তাদের জ্ঞানটা প্রথম থেকেই বই কেন্দ্রিক হবে। তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সের বাচ্চাদের ইমাজিনেশন বারে এবং তাদের সবকিছু জানার জন্য কিউরি সিটি বা কৌতূহল জাগে। এ সময় যদি তাদের গল্পের বই দেওয়া হয় এবং বলা হয় তোমরা গল্পের বই পড়ো তাহলে তারা গল্পের বই পড়ে বিভিন্ন রকম নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হবে এবং তাদের সে সম্পর্কে জানার আগ্রহটা বাড়বে। সেগুলো পড়ে তারা তাদের চিন্তাশক্তি এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারবে।
৬ থেকে ৯ বছর বয়সী বাচ্চাদের তো বই পড়ার অভ্যাস করা উচিত তারা যেন বই নিয়ে ঘাটাঘাটি করে সবকিছু জানতে পারে এবং তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়বে মস্তিষ্ক সচল থাকবে নতুন নতুন কল্পনা শক্তি হবে এবং বিভিন্ন জিনিস তৈরির জন্য ক্রিয়েটিভ বুদ্ধি বের করতে সক্ষম হবে। দশ বা তার বেশি বয়সী বাচ্চারা তো সবকিছুই বুঝতে পারে কোনটা ভালো কোনটা মন্দ গল্পের বই পড়ার মাধ্যমে তারা অনেক কিছু জানতে পারবে তাদের ইতিবাচক শক্তির ও চিন্তাধারার বিকাশ ঘটবে। তারা কার সাথে কিভাবে
কথা বলতে হবে কোন ভাষায় বলতে হবে দেশ এবং সমাজের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে এই বই পড়ার মাধ্যমে। গল্পের বই পড়ার মাধ্যমে তার একাকীত্ব দূর হবে ,একাগ্রতা বাড়বে ,স্মৃতিশক্তি উন্নত হবে ,কৌতুহল জাগবে, শব্দ ভান্ডার বৃদ্ধি পাবে ,আত্মবিশ্বাসে প্রত্যয়ী হবে, ভবিষ্যতে উন্নতি করতে পারবে, মানসিক চাপ কমবে এবং অন্যদেরকেও ইতিবাচক পরামর্শ দিতে পারবে সবাই তাকে ভালবাসবে এ সকল কারণে আমাদের ছোট বড় সকলেরই গল্পের বই পড়ার অভ্যাস করা উচিত।
বই পড়ার ক্লাবের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পড়ুন
বই পড়ার ক্লাবের প্রয়োজনীয়তা আছে অনেক প্রথমে বই পড়ার ক্লাব গঠন করতে হবে তার জন্য যারা নিয়মিত বই পড়ে অর্থাৎ যারা বই পড়তে আগ্রহী তাদের নির্বাচন করতে হবে। সময়ের মূল্য দিতে হবে অর্থাৎ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাবের বই জমা দিতে হবে এবং সেখান থেকে প্রতিনিয়ত বই নিয়ে পড়তে হবে এবং নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করতে আগ্রহী হতে হবে। যারা ক্লাবের সদস্য হবে তাদের সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে যাতে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে তারা যে বইগুলো
পড়বে সেগুলো সম্পর্কে একে অপরের সাথে ধারণা ও পরামর্শ দিতে পারে এবং যাতে করে একে অপরের সাথে বন্ধুত্ব হয়। একটি বই পড়ার ক্লাবে অনেক ধরনের বই থাকে সে সকল বই প্রতিদিন যদি একজন একজন করে এক একটি বই পড়া হয় তাহলে অনেকগুলো বই পড়া যাবে এবং সে সকল বই পড়ে অনেক কিছু বিষয় নতুন নতুন জানা যাবে এবং সৃজনশীলতা বাড়বে চিন্তা শক্তি বাড়বে। একে অপরের সাথে সে সকল বিষয় শেয়ার করে অন্য কেউ তা জানানো যাবে।
এভাবে মানুষ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়বে । বই পড়ার ক্লাবের প্রচার করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং বিভিন্ন রকম ওয়েব সাইটে প্রচার করা যেতে পারে আবার মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে কথা বলে তার প্রচার করানো যেতে পারে। পোস্টার এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও আপনি বই পড়ার ক্লাবের সম্পর্কে মানুষকে জানাতে পারবেন এবং বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারবেন। এ সকল ব্যবস্থা করার মাধ্যমে আপনি বই পড়ার জন্য যে ক্লাবটি আছে তার সদস্য
বাড়াতে পারবেন। এভাবে আপনি প্রতিদিন কতটা বই পড়বেন কোন ধরনের বই পড়বেন ইত্যাদি সকল বিষয়ে জানতে পারবেন। একটি ক্লাবে অনেক ধরনের বই থাকবে সেখান থেকে বই নিয়ে আপনি পড়তে পারবেন এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং অন্য কেউ জানাতে পারবেন। একটি দল গঠন করে তাদের সবার সাথে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে একটি ভালো পরিবেশ গঠনের মাধ্যমে এ কাজটি করতে পারবেন। ক্লাবে বিভিন্ন রকমের বই থাকে তাই সেখান থেকে বিভিন্ন বয়সের
মানুষ তার ইচ্ছা অনুযায়ী বই নিয়ে পড়তে পারবেন। এভাবে যদি বই পড়ার ক্লাবের প্রয়োজনীয়তা বাড়ে তাহলে মানুষের মধ্যে জ্ঞানের ভান্ডার বৃদ্ধি পাবে,মানুষের মাঝে সৃজনশীল তার বিকাশ ঘটবে, চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটবে ,মানসিক চাপ কমবে , একাকীত্ব কাটবে ও মানুষের মাঝে ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটবে।
বই পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়ার ১০ টি কারণ
ইন্টারনেটের ব্যবহারের ফলেঃ ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে মানুষ এখন মোবাইল ,ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে ও তার পাশাপাশি ছবি দেখছে , গেম খেলছে ,ভিডিও তৈরি করছে ফেসবুক ও ইউটিউব এ সময় কাটাচ্ছে এভাবে বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে।
প্রযুক্তির ব্যবহার করেঃ এখন মানুষ প্রযুক্তির ব্যবহার করেই প্রতিদিন নিত্য নতুন জিনিস গুগলে বা অন্যান্য ওয়েবসাইটে সার্চ দিয়ে বের করে সেখান থেকে পড়ে নিচ্ছে এর ফলে মানুষের বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে।
মোবাইল দেখছেঃ এখন ছাত্রছাত্রীরা ও অন্যান্য বয়স্ক ,তরুণ তরুণীরা সবাই মোবাইল দেখছে মোবাইলের মাধ্যমে তারা সময় কাটাচ্ছে বিভিন্ন রকম ভিডিও দেখে , ছবি দেখে এবং অনলাইনে কাজ করে এভাবে তাদের মনোযোগ মোবাইলের দিকে বেশি হচ্ছে ফলে বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে।
এখন প্রয়োজনীয় বই পড়ার ক্লাব লাইব্রেরী নেইঃ বর্তমান সময়ে এখন অনেকেই মোবাইল এর মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারছে গুগলে সার্চ দিয়ে। যার ফলে মানুষ এখন বই পড়ার ক্লাব বা লাইব্রেরীতে খুব কম যায় আর এগুলো এখন তিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে যার জন্য ও বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে মানুষের মাঝে।
রেল স্টেশনে বইয়ের দোকান না থাকাঃ বাংলাদেশের একটা সময় ছিল যে সময়ে রেলস্টেশন গুলোতে একটি করে বইয়ের দোকান ছিল তখন দীর্ঘ ভ্রমণের পথে মানুষের একমাত্র সঙ্গী ছিল বই কিন্তু এখন বর্তমানে স্টেশন গুলোতে তেমন আর বউয়ের দোকান চোখে পড়ে না। যার ফলে মানুষ এখন ফোন ব্যবহার করে সময় কাটানোর জন্য।
পাঠক ও লেখকদের আড্ডা আর নেইঃ এক সময় পাঠক ও লেখকদের মধ্যে নিয়মিত সাহিত্য আড্ডা হতো এই আড্ডার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন সাহিত্য বিষয়ক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করত কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাহিত্য আড্ডার অস্তিত্ব এখন আর চোখে পড়ে না যার জন্য ও বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে সংস্কৃতি কর্মীদের মধ্যে।
শিক্ষার প্রতিযোগিতামূলক ধারার জন্যঃ বর্তমানে এখন শিক্ষার প্রতিযোগিতা মূলক ধারার জন্য ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা শেষ হলেই বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হয়ে যায় যেমন ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোর্স করা, কম্পিউটার কোর্স , ইংলিশ কোর্স , বিভিন্ন সাবজেক্ট এর ওপর ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডিপ্লোমা করার জন্য কোর্স ইত্যাদি এর কাজগুলো করার জন্য এখন বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে দিন দিন।
লেখক এর মন্তব্য
ম্যাক্সিমো ইনফো এখানে বই পড়ার ক্লাবের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে এবং গল্পের বই পড়ার উপকারিতা রচনা ছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয়ে অনেক তথ্য দিয়েছে। এগুলো পড়ে আপনি একটি সম্পূর্ণ ভালো চিন্তাভাবনার ও সৃজনশীলতার এবং আপনার স্মৃতিশক্তি উন্নত হবে এবং বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবেন এবং অন্য কেউ এ সম্পর্কে ধারণাও পরামর্শ দিতে পারবেন। এ সকল বিষয়ে পড়ে আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি এই পোস্টটি অবশ্যই আপনার বন্ধু আত্মীয় পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url