সাত দিনে বিশ ইঞ্চি চুল লম্বা করার উপায় জানুন

আসসালামুয়ালাইকুম, এখানে আমি সাত দিনে বিশ ইঞ্চি চুল লম্বা করার উপায় এবং চুল লম্বা করার ঘরোয়া সহজ উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছি। ছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয়ে রচনা করা হয়েছে এগুলো পড়ে আপনার অনেক উপকৃত হবেন এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন সবাইকে দয়া করে অনুরোধ করছি।
সাত দিনে বিশ ইঞ্চি চুল লম্বা করার উপায় জানুন
সাত দিনে বিশ ইঞ্চি চুল লম্বা করার জন্য আমরা নিম তেল অর্থাৎ নিমপাতা এলোভেরার জেল এবং নারিকেলের তেল একসাথে করে ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে ব্যবহার করতে পারি। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করে আমাদের মাথার চুলে ও ত্বকের ব্যবহার করতে পারি। এছাড়াও আমরা এক সপ্তাহে চুল লম্বা করার উপায় এক মাসের চুল লম্বা করার উপায় এ সম্পর্কে আরো তথ্য দিয়েছি এগুলো জানার জন্য আপনারা এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভূমিকা

আমরা সবাই চাই যে আমাদের চুল লম্বা হোক যাতে করে আমাদের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি হবে সবাই লম্বা চুল পছন্দ করে। আর চুল লম্বা হওয়ার জন্য অনেকেই অনেক প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরে বসেই হেয়ার প্যাক তৈরি করে মাথায় ও চুলে ব্যবহার করে থাকে। চুল লম্বা করার জন্য পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে মাথার ত্বকে এবং চুলে তেল মালিশ করতে হবে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে এবং চুলের ডগা ফেটে গেলে তা কেটে দিতে হবে এছাড়া আরো অনেক উপায় আমরা আমাদের চুল লম্বা করতে পারি।

আরও পড়ুনঃচুল পাকে কোন হরমোনের অভাবে বিস্তারিত জানুন

প্রাকৃতিক উপাদান গুলো যেমন পেঁয়াজের রস, তেল, আমলকি, ভিনেগার, মেথি,লেবুর রস ইত্যাদি এগুলো পরিমান মত করে আমাদের চুলের গায়ে ও মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে চুল অনেক লম্বা হয়। নারীকেলের তেল ,আমলকি তেল, রোজমেরি অয়েল ,বাদাম তেলও অলিভ অয়েল ইত্যাদি তেলগুলো ব্যবহার করতে পারে এতে করে আমাদের চুলের গোড়া শক্ত হবে মজবুত হবে চুল ঘন হবে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ঠিক হবে এতে করে চুল তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে এবং চুল লম্বা হবে।

১ সপ্তাহে চুল লম্বা করার উপায়

আমি বা আমরা সবাই চাই যে আমাদের চুলটা একটু বেশি লম্বা হোক তাহলে হয়তো আমাদের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পাবে। এর জন্য আমরা অনেকেই অনেক কিছু ব্যবহার করে থাকি। আবার আমাদের মধ্যে অনেক নারীদের চুল ওঠা, চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, চুল বড় না হওয়ার কারণ ইত্যাদি অনেক ধরনের সমস্যায় থাকে। চুল বড় বা লম্বা না হওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে  তাহলে আমাদের চুল লম্বা হবে না। আজকে আমরা এক সপ্তাহে চুল লম্বা করার এই পদ্ধতি গুলো জানবো।

চুল লম্বা করার জন্য হেয়ার প্যাকঃ চুল লম্বা করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টির প্রয়োজন হয় এগুলো আমরা যে খাবার খায় সেখান থেকেই পুষ্টি গ্রহণ করে থাকে চুল যার জন্য চুল লম্বা ও বড় হয়। আর যদি এসব পুষ্টির অভাব হয় তাহলে  বাহিরে থেকে সেই সকল প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেওয়া। এজন্য আমরা ডিমের সাদা  অংশ নিব তারপর এটাকে চুলের গোড়া এবং সমস্ত চুলে মেখে নিতে হবে এবং তিরিশ মিনিট রাখার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে করে চুল প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও পুষ্টি পাবে।

মাথার ত্বকে ও চুলের গোড়া মাসাজ করাঃ আমাদের মাথার ত্বকে অনেক সময় রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হতে পারেনা। রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতন না হলে চুলের গোড়া এবং মাথার ত্বক সঠিক পরিমাণে পুষ্টি পায় না আর পুষ্টির অভাব হলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায় চুল বড় হতে পারে না চুল পড়ে। রক্ত সঞ্চালন যাতে সঠিকভাবে হয় তার জন্য এক্সারসাইজ কিছু ব্যায়াম করতে হবে এখন বাজারে অনেক ধরনের ইলেকট্রনিক্স হেডমাছা যন্ত্র পাওয়া যায় এটা থেকে আপনি ঘরে বসেই মাসাজ করতে পারবেন।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃ আমাদের শরীরে যেমন পুষ্টির অভাব হলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি বা নানারকম সমস্যা দেখা দেয় তেমনি যদি চুলে পুষ্টির অভাব হয় তাহলে চুল বড় হবে না চুল রুক্ষ হয়ে যাবে চুল পড়তে শুরু করবে এজন্য আমাদের উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি ,কেরাটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা। এই খাবারগুলো খেলে চুল লম্বা হবে চুলের গোড়া শক্ত হবে ও মজবুত হবে।

শ্যাম্পু ব্যবহারঃ আমাদের অনেকের মাথায় ধুলা বালি ময়লা ঘামের কারণে মাথা ও চুল ময়লা হয়ে থাকে। আর এর জন্য আমাদের চুল বড় হতে পারে না চুলের খুশকি হয় এছাড়া আরো নানারকম সমস্যা হতে পারে চুলে ও মাথায় এর জন্য আমাদের মাথা ও চুল সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে তার জন্য আমরা হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারি আমরা।

ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা চুলেঃ চুল লম্বা করার জন্য গোসল করার সময় বা চুল ধোয়ার সময় আমাদের উচিত ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করা আমরা যদি গরম পানি ব্যবহার করি তাহলে আমাদের চুলের গোড়ার ফলিকলগুলো নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এতে করে চুলের বৃদ্ধি হয় না। ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে খুশকির সম্ভাবনা থাকে না চুলের বৃদ্ধি হয় এবং চুলের গোড়া হাইড্রেট থাকে।

ফাটা চুলের ডগা কাটাঃ আপনারা অনেকেই মনে করেন যে চুলের ডগা কেটে ফেলে চুল ছোট হয়ে যায় এটা ভুল আমাদের অনেকেরই চুলের ডগা ফেটে যায় এর জন্য চুলের বৃদ্ধি হয় না। আমরা যদি নিয়ম করে পাঁচ থেকে ছয় মাস কেটে যাওয়া চুলের ডগা কাটতে থাকি তাহলে আমাদের বৃদ্ধি হবে এবং চুলের ডগা ফেটে যাওয়া বন্ধ হবে।

চুল লম্বা করার জন্য মেথির ব্যবহারঃ চুল লম্বা করার জন্য আমরা মেথির এবং মেথির পাতা ব্যবহার করতে পারি। প্রথমে চার থেকে পাঁচটি মেথির বীজ ভিজিয়ে রাখতে হবে তারপরে সামান্য পরিমাণে তেল নিয়ে তার সাথে দুই চামচ মেথি বীজ এবং ৪-৫টি মেথি পাতা নিতে হবে এই তেলটি হালকা গরম করে নিলে ভালো হয় তারপর  চুলের গোড়ায় এবং মাথায় ভালোভাবে মালিশ করতে হবে কিছুক্ষণ রাখার পর শ্যাম্পু করে নিতে হবে এতে করে চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হবে।

চুল লম্বা এর জন্য পেঁয়াজ তেলঃ চুল লম্বা করার জন্য আমরা পেঁয়াজের তেল ব্যবহার করতে পারি এতে করে আমাদের মাথার ত্বকে এবং চুলের কেরাটিন ও কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি হবে হলে চুল দ্রুত লম্বা হবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে।

মানসিকভাবে সুস্থ থাকাঃ মানসিকভাবে সুস্থ থাকার সাথে চুলের অনেক সম্পর্ক রয়েছে যথা চুলের বৃদ্ধি চুল পড়া ইত্যাদি মানসিক চাপ থাকলে এগুলো ব্যাহত হবে তাই আমাদের উচিত সবসময় মানসিকভাবে সুস্থ থাকা তাহলে আমাদের চুল পড়া বন্ধ হবে এবং দ্রুত চুলের বৃদ্ধি হবে।

চুলে চিরুনি করাঃ চুলে নিয়মিত চিরুনি করলে চুলের গোড়ার ফলিকলগুলো সক্রিয় হয়ে যায় যার ফলে চুলে দ্রুত বৃদ্ধি হয়। এলোমেলো এবং অগোছালো চুল চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে।

চুল লম্বা করার জন্য তেলের প্রয়োজনঃ চুল লম্বা করার জন্য আমাদের নিয়ম করে চুলে তেল ব্যবহার করতে হবে যেমন পেঁয়াজ তেল নারিকেল তেল এবং ক্যাস্টর অয়েল আমরা ব্যবহার করতে পারি। এই তেল গুলো আমরা প্রথমে হালকা গরম করে তারপর ঠান্ডা করে আমাদের চুলে অনেকক্ষণ ধরে মালিশ করতে পারি। তেল মালিশ করার ফলে আমাদের মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে এবং চুলের গোড়াতে উপস্থিত হবে এতে করে আমাদের চুল দ্রুত বৃদ্ধি হবে।

চুল লম্বা করার ঘরোয়া সহজ উপায়

লেবু এর ব্যবহারঃ প্রথমে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিতে হবে তারপর পাতি লেবুর রস এক চামচ পরিমাণে চুলের গোড়ায় মেখে নিতে পারেন ভেজা চুলে। তারপরে শুকনো তোয়ালে দিয়ে আধ ঘন্টার মত জড়িয়ে রাখতে পারেন এই পাতি লেবুর রসের গুণের কারণে আপনার চুল লম্বা হবে।

আমলকিঃ আমলকি গুঁড়ো করে নিয়ে সেগুলো হাফ কাপ তার সাথে ক্যাস্টর অয়েল এক চামচ এবং তার সাথে আমরা কিছু পরিমাণে ডিমের সাদা অংশটা নিতে পারি এগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে মেখে নিতে হবে তারপর তিরিশ মিনিট রাখতে হবে শুকিয়ে যাওয়ার পরে ধুয়ে ফেলতে হবে এটা আমরা দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে পারি সপ্তাহে।

ডিমের সাদা অংশঃ চুল লম্বা করার জন্য আমরা ডিমের সাদা অংশ চুলের গোড়ায় লাগাতে পারি এটা চুলের গোড়ায় লাগানোর পরে ১৫ মিনিট রেখে তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে করে আমরা অনেক উপকার পাবো।

কাঠবাদাম তেলঃ কাঠ বাদাম তেল হালকা গরম করে তারপরে এটা আমরা আমাদের চুলে মেখে নিতে পারি এবং এক ঘন্টা রাখার পরে শ্যাম্পু করে নিতে হবে এই কাঠ বাদাম তেল আমরা যদি সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করি তাহলে আমাদের চুল লম্বা হবে।

নিম পাতাঃ চুল লম্বা করার জন্য এবং চুলের ময়লা দূর করার জন্য নিম পাতা বেটে আমরা আমাদের চুলে লাগাতে পারি এতে করে চুল লম্বা হবে এবং চুলের ময়লা দূর হবে।

পেঁয়াজের রসঃ চুল লম্বা করার জন্য এবং ঘন করার জন্য আমরা পেঁয়াজের রস এবং এর সাথে নারিকেলের তেল ও লেবুর রস একসাথে করে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারি এবং শুকিয়ে যাওয়ার পরে শ্যাম্পু করে নিতে হবে এতে করে চুল লম্বা হবে এবং চুল ঘন হবে।

অলিভ অয়েলঃ আমরা যদি রাতে ঘুমোনোর আগে অলিভ অয়েল এবং কোকোনাট অয়েল একসাথে করে ভালোভাবে মিশে আমাদের চুলে মাসাজ করে রাখি এবং তার সাথে ও মিশিয়ে নিতে পারি আমরা একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল। সকালে আমরা শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে পারি এতে করে চুল লম্বা হবে।

চায়ের লিকারঃ চায়ের পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে সেটা সেকে নিয়ে ঠান্ডা করে এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিতে পারি এতে করে আমরা ভালো ফল পাব।

সাত দিনে বিশ ইঞ্চি চুল লম্বা করার উপায় জানুন

নিম তেলঃ ৭ দিনে ২০ ইঞ্চি চুল লম্বা করার জন্য আমরা নিম তেল ব্যবহার করতে পারি এর জন্য প্রথমে আমাদের একটি এলোভেরা নিতে হবে এবং এই এলোভেরা কেটে এটার ভিতর থেকে এলোভেরার জেলটা বের করে নিতে হবে। তারপর আমরা এর সাথে কিছু নিম পাতায় এবং নারিকেলের তেল ব্যবহার করতে পারি। নিমপাতা প্রথমে চুলায় দিয়ে একটু হালকা করে ভেজে নিয়ে তার সাথে এলোভেরা জেল মিশিয়ে একটু জাল করে তারপর তেলটা দিয়ে দিতে হবে কিছুটা জাল করার পরে কালার চেঞ্জ।

হয়ে আসলে নামিয়ে সেটা ছেকে নিতে হবে। তারপরে এই তেলটা ঠান্ডা হয়ে গেলে আমরা আমাদের চুলে লাগাতে পারি এবং ভালোভাবে মাসাজ করতে হবে এই তেলটা আমরা একমাস সংরক্ষণ করে রাখতে পারি এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমরা ফল পাব চুল লম্বা হবে চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত হবে।

আমন্ড ও ক্যাস্টর অয়েলঃ আমন্ড অর্থাৎ বাদাম তেল ২ চামচ এবং তার সাথে ক্যাস্টর অয়েল 1 চামচ পরিমাণে নিয়ে তার সাথে কিছু মেথি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে সারারাত তারপর সকালে গোসল করার এক দেড় ঘন্টা আগে এই তেলটা আমরা আমাদের চুল এবং মাথায় লাগাতে পারি এতে করে আমাদের চুল যেমন লম্বা হবে ঘন হবে এবং চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত হবে। এই তেলের সাথে মেথি দিলে চুলের আরো পুষ্টির মাত্রা বেড়ে যায় চুল প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টি পায়।

এটা আমরা সপ্তাহে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারি। গোসলের আগে ব্যবহার করে এক দেড় ঘন্টা রাখার পর তারপরে আমরা একটি হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে অথবা ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে পারি। এতে করে আমাদের চুল যেমন ঘন হবে ,কালো হবে চুল ৭ দিনে ২০ ইঞ্চি পরিমাণে লম্বা হবে এবং চুল শক্ত ও মজবুত হবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

চুল তাড়াতাড়ি লম্বা করার উপায়

হালকা গরম তেল মালিশঃ আমরা আমাদের মাথায় ত্বকে যাতে রক্ত সঞ্চালন তা ঠিকমত হয় তার জন্য আমরা নারিকেলের তেল অথবা আমন্ড অয়েল অথবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে হালকা গরম করে সেই তেল মাথার তোকে এবং চুলের মালিশ করতে পারি এতে করে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন যাবে চুলের বৃদ্ধি হবে এবং চুলের গোড়া শব্দ মজবুত হবে চুলের গোড়া ভালো মতো পুষ্টি পাবে।

কন্ডিশনার লাগানোঃ প্রতিবার শ্যাম্পু করে গোসল করার পরে চুলে কন্ডিশনার লাগাতে হবে এতে করে চুল পুষ্টি পাবে চুলের বগা ফেটে যাওয়া বন্ধ হবে চুলের গোড়ায় পুষ্টি না পৌঁছানোর কারণে এমন হয় তাই আমাদের শ্যাম্পু করার পরে চুলে অবশ্যই কন্ডিশনার লাগাতে হবে।

ট্রিমিং করাঃ চুল দ্রুত লম্বা করার জন্য এবং চুলের রুক্ষতা দূর করার জন্য চুলের ধুলো ময়লা দূর করার জন্য আমাদের নিয়মিত চুলের ট্রিমিং করা দরকার। এতে করে চুল স্বাস্থ্যকর হবে।

ডিমের সাদা অংশঃ চুল তাড়াতাড়ি লম্বা করার জন্য ডিমের সাদা অংশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ ডিমের থাকে প্রচুর প্রোটিন যা চুলের পুষ্টি যোগায় এবং চুল তাড়াতাড়ি লম্বা হয় এবং চুল গজাতে ও ভূমিকা রাখে। ডিমের সাদা অংশ এর সাথে এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেটা মাথার ত্বকে এবং চুলের লাগিয়ে বিশ মিনিট থাকতে হবে তারপরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

ঠান্ডা পানি ব্যবহার করাঃ গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের আদ্রতা নষ্ট হয়ে যায় এবং তার সাথে সাথে কিউটিকল হারিয়ে যায় তাই গোসল করার সময় বা চুল ধোয়ার সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে এতে করে স্বাভাবিক গতিতে বৃদ্ধি পাবে চুল।

শ্যাম্পু করাঃ চুলে ময়লা আবর্জনা খুশকি ও নোংরা হয়ে থাকলে চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এর জন্য নিয়ম করে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শ্যাম্পু করা দরকার তাহলে চুলের ময়লা আবর্জনা দূর হয়ে যাবে এবং চুলের বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি হবে চুল লম্বা হবে।

পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজের মধ্যে সালফেট থাকে যা চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে তাই আমাদের পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে ও চুলে ব্যবহার করা উচিত তাহলে আমাদের তাড়াতাড়ি লম্বা হবে।

লেবুর রসঃ চুল লম্বা করার জন্য আমরা লেবুর রস ব্যবহার করতে পারি চুল শ্যাম্পু করার পরে ভেজা চলে আমরা লেবুর রস লাগাতে পারি এতে করে আমাদের চুল লম্বা হবে।

আমলকিঃ আমলকি গুড়ো হাফ চামচ এবং তার সাথে ক্যাস্টর অয়েল এক চামচ এবং এর সাথে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে চুলের গোড়া এবং চুলের ব্যবহার করে কিছুক্ষণ রাখার পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে করে আমাদের চুল তাড়াতাড়ি লম্বা হবে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ চুলের তাড়াতাড়ি বৃদ্ধির জন্য আমাদের প্রতি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এতে করে চুলের গোড়ায় পুষ্টির পৌছাবে। আর চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছালে চুলের বৃদ্ধি ও তাড়াতাড়ি হবে।

চুল লম্বা করার তেলের নাম

ক্যাস্টর অয়েলঃ চুল লম্বা করার জন্য এবং ঘন করার জন্য এই তেল অত্যন্ত উপকারী কারণ এই তেলে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। মাথার ত্বকে এবং চুলে এই তেল ব্যবহার করলে চুলের অনেক সমস্যা দূর হয় এবং চুল লম্বা হয়।

পেঁয়াজের তেলঃ চুল লম্বা করার জন্য পেঁয়াজের তেল আমরা ব্যবহার করতে পারে কারণ পেঁয়াজের তেলে আছে অনেক পুষ্টি উপাদান আছে ভিটামিন সি এবং বি আছে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায় সেই সাথে চুল লম্বা হয় মসৃণ হয় এবং চুল পড়া কমে যায়।

নারিকেল তেলঃ নারিকেল এর তেলে আছে ভিটামিন ই এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখে। এই তেল আমরা হালকা গরম করে আমাদের চুলে লাগাতে পারি।

রোজমেরি অয়েলঃ চুল লম্বা করার জন্য এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা এই রোজমেরী অয়েল ব্যবহার করতে পারি এর সাথে আমরা কয়েক ফোঁটা নারিকেলের তেল এবং অলিভ অয়েল মেশিয়ে নিতে পারি।

তিলের তেলঃ চুল যাতে তাড়াতাড়ি লম্বা হয় সেজন্য আমরা তিলের তেল ব্যবহার করতে পারি। চুল যেমন লম্বা হবে তেমনি মাথার খুশকি দূর হবে।

আমলকির তেলঃ চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য এবং চুল মসৃণ এবং ঝলমলে করার জন্য আমরা আমলকির তেল ব্যবহার করতে পারি।

অলিভ অয়েলঃ চুল লম্বা করার জন্য এবং চুলের যাতে বৃদ্ধি দ্রুত হয় সেজন্য আমরা খাঁটি অলিভ অয়েল তেল আমাদের চুলের গোড়ায় মাসাজ করতে পারে এটা আমরা সপ্তাহে কয়েক দিন ব্যবহার করতে পারি।

১ মাসে চুল লম্বা করার উপায়

নারিকেলের তেল এবং অলিভ অয়েল এর হেয়ার মাস্কঃ প্রথমে একটি পাত্রে নারিকেলের তেল এক চামচ অলিভ অয়েল এক চামচ এবং তার সাথে মধু এক চামচ এবং একটি ডিম মিশিয়ে ভালোভাবে নিতে হবে। তাহলে রেডি হয়ে যাবে আমাদের হেয়ারমাস্ক তারপর এটা আমাদের মাথার ত্বকে এবং চুলে লাগিয়ে নিতে হবে এবং এক ঘণ্টা রাখতে হবে তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে আমরা সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারে এতে করে আমাদের চুল লম্বা হবে।

পুষ্টিকর খাবার খাওয়াঃ আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন নিয়ম করে পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে কারণ আমাদের শরীরের পাশাপাশি আমাদের মাথার চুলের ও পুষ্টির প্রয়োজন আছে। প্রোটিন, জিংক, আয়রন, ভিটামিন এবং ওমেগা ৩ এগুলো যেসব খাবারে আছে সেসব খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে হবে তাহলে আমাদের চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

চুলে তেল মালিশ করাঃ আমাদের প্রতিদিন নিয়ম করে চুলে তেল মালিশ করতে হবে এটার জন্য আমরা বিভিন্ন তেল ব্যবহার করতে পারে তেল মালিশ করার ফলে আমাদের মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে এবং চুলের গোড়ায় ও অক্সিজেন ও পুষ্টি পাবে যার ফলে আমাদের চুল লম্বা হবে।

তাপ নিয়ন্ত্রণ ও বালিশের কভার পরিষ্কার রাখাঃ চুল লম্বা করার জন্য তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং বালিশের কভার সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে কারণ এর থেকে আমাদের চলে ধুলাবালি ময়লা লেগে যেতে পারে তার জন্য চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হবে।

ফেটে যাওয়া চুলের ডগা ছাটাঃ চুল যাতে লম্বা হয় সেজন্য আমাদের বারবার ফেটে যাওয়া চুলের ডগা গুলো কেটে ফেলতে হবে তাহলে চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হবে।

কন্ডিশনার ব্যবহার করাঃ শ্যাম্পু করার পর আমাদের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে এতে করে চুল সুন্দর হবে চুল সিল্কি হবে ও চুলের রক্ষতা দূর হবে এবং চুল বড় হবে।

প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাঃ চুলের বৃদ্ধি হওয়ার জন্য আমাদের কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে হবে যেমন এলোভেরা জেল, আমলকি , নারকেলের দুধ ,পেঁয়াজের রস এবং আমার বিভিন্ন ধরনের তেল যেমন নারিকেলের তেল অলিভ অয়েল ক্যাস্টর অয়েল ইত্যাদি এগুলো আমরা আমাদের চুলে ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের চুল লম্বা হবে।

চুলকে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দেওয়াঃ চুলকে সবসময় শক্ত করে বা টাইট করে বেঁধে রাখা উচিত না ভেজা চুল বাধা যাবে না এতে করে চুল দুর্বল হয়ে যাবে। রোদে যাওয়ার সময় চুল ঢেকে নিতে হবে।

লেখক এর মন্তব্য

এখানে আমি আপনাদের জন্য সাত দিনে বিশ ইঞ্চি চুল লম্বা করার উপায় এবং চুল লম্বা করার ঘরোয়া সহজ উপায় এছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সমাধান দিয়েছি এগুলো পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং অন্য কেউ সাহায্য করতে পারবেন। তাই সবাইকে বলছি এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা পরিচিত আত্মীয় বন্ধু সবার সাথে শেয়ার করে দিবেন এবং ভালো লাগলে কমেন্টে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url